কৃত্তিম আলোর ঝলকানিতে হারিয়ে যাচ্ছে মিল্কি ওয়েঃ বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ মানুষ আর দেখবেন না ছায়াপথ
মানব সৃষ্ট আলোর কারণে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ আর আমাদের ছায়াপথ মিল্কি ওয়ে দেখতে পাবেন না।
উত্তর আমেরিকার ৮০ শতাংশ মানুষ এবং ইউরোপের ৬০ শতাংশ মানুষ মিল্কি ওয়ে হারাচ্ছেন।
আলো দূষণের বিশ্বব্যাপী মানচিত্র গত শুক্রবার তাদের একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধের অংশ হিসেবে এই তথ্য প্রকাশ করে।
ঝলমলে কৃত্তিম আলোই এখন রাতের আকাশের নীচে রয়েছে ফলে মিল্কি ওয়ে’র আলো আর এক-তৃতীয়াংশ মানুষের কাছে পৌঁছুতে পারছে না।
“আমার মনে হয় এই তথ্য অবশেষে আলোক দূষণ সম্পর্কে মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে” প্রবন্ধের প্রধান লেখক ফ্যাবিও ফ্যালচি এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। তিনি উত্তর ইতালির আলোক দূষণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট’র সাথে যুক্ত রয়েছেন।
ছোট্ট সিঙ্গাপুর হচ্ছে সবচেয়ে বেশি আলোক দূষণকারী দেশ, দেশটির পুরো জনগন রাতের সত্যিকার রূপ থেকে বঞ্চিত। কুয়েত এবং কাতারও একই পথে রয়েছে। বিপরীতক্রমে চাদ, মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক এবং মাদাগাস্কার সবচেয়ে কম আলোক দূষণকারী দেশ।
ফ্যালচি এবং তার গবেষকদলের সদস্যরা সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন এই সমস্যা নভোচারীদের চেয়েও গুরুতর হতে পারে। ভালোভাবে বললে রাতের আকাশ নিয়ে মানুষের মৌলিক অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে যাচ্ছে।
প্রবন্ধের সহ লেখক ক্রিস্টোফার এলভিজ উল্লেখ করেছেন “আমেরিকার একটি গোটা প্রজন্ম কখনো কখনো মিল্কি ওয়ে চোখে দেখেনি।”
“এটি (মিল্কি ওয়ে) হলো মহাকাশের সাথে আমাদের যোগাযোগ স্থাপনকারী -আর সেটাই কিনা এখন হারিয়ে গেলো।”
কোনো কোনো প্রাণীর জন্যে এই অবস্থা আরো খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। কৃত্তিম আলো পাখি এবং সামুদ্রিক কচ্ছপদেরকে দিকভ্রান্ত করে দিয়ে ভয়াবহ ফলাফলের সৃষ্টি করতে পারে।
ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস’র ড্যান ডিউরিস্কো বলেছেন ইয়েলোস্টোনের মতো স্থানই হয়তো আমেরিকাতে অন্ধকারের শেষ আশ্রয়স্থল।