• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • মার্কের ক্ষমতা নজিরবিহীন

    ফেসবুক ভেঙে ফেলার সময় এসেছে-২

    আমরা মনোপলির উপর প্রাধান্য বিস্তারের ঐতিহ্য বহনকারী জাতি, তা এসব কোম্পানির নেতাদের যতই সদিচ্ছা থাক না কেন। মার্কের ক্ষমতা নজিরবিহীন এবং অ-আমেরিকান।
    এখন ফেসবুক ভেঙে ফেলার সময়। ফেসবুকের প্রাধান্য ঠেকানোর জন্য যে যন্ত্র প্রয়োজন তা ইতিমধ্যেই আমাদের রয়েছে। মনে হচ্ছে, আমরা সেগুলো সম্পর্কে বিস্মৃত। ক্ষমতা কোনো একক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হওয়া উচিত নয়-একদিন এ ধারণার উপরই আমেরিকার সৃষ্টি হয়েছিল, কেন না আমরা সবাই ভ্রমপ্রবণ। এ কারণেই আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতারা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স ব্যবস্থার সৃষ্টি করেন। গণতন্ত্রের প্রতি বিশাল কোম্পানিগুলো হুমকি হয়ে উঠবে এটা বোঝার জন্য তাদের ফেসবুকের উদ্ভব দেখা দরকার হয়নি। জেফারসন ও ম্যাডিসন অ্যাডাম স্মিথের সর্বভুক পাঠক ছিলেন যিনি বিশ্বাস করতেন যে মনোপলি প্রতিযোগিতাকে রোধ করে যা উদ্ভাবনকে উদ্দীপনা যোগায় ও ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে চালিত করে।
    এক শতক পর, তেল, রেলপথ ও গিল্ডেড এজ-এর ব্যাংকিং ট্রাস্টের আগমনের পর ওহিও রিপাবলিকান জন শেরম্যান কংগ্রেসের মেঝেতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা যদি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে কোনো রাজাকে সহ্য না করি, আমরা উৎপাদন, পরিবহন ও জীবনের প্রয়োজনীয় কোনো কিছু বিক্রয়ের উপর কোনো রাজাকে সহ্য করতে পারব না। আমরা যদি কোনো সম্রাটের আনুগত্য স্বীকার না করি তাহলে প্রতিযোগিতা রোধ করা ও কোনো পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করার ক্ষমতা সম্পন্ন একজন বাণিজ্যিক স্বৈরাচারের কাছে আমাদের আত্মসমর্পণ করা উচিত নয়।’ শেরম্যান অ্যান্টি ট্রাস্ট আইন, ১৮৯০ মনোপলিকে নিষিদ্ধ করে। বিশ শতকে প্রতিযোগিতার বিকাশ ও বৃহৎ কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতার জন্য আইনগত ও নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামো সৃষ্টিতে আরো আইন প্রণীত হয়। বিচার বিভাগ স্ট্যান্ডার্ড অয়েল ও এটিঅ্যান্ডটির মতো মনোপলিগুলো ভেঙে দেয়।
    আজকের দিনে বহু মানুষের জন্য সরকার সঠিক কিছু করতে অনেক কিছু করছে- এ কথাটি মনে করা কঠিন, এ অবস্থায় ফেসবুকের মত একটি কোম্পানিকে ভেঙে ফেলতে দেয়া হোক। এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়।
    অর্থনীতিবিদ, আইনজীবী ও নীতি নির্ধারকদের একটি ছোট কিন্তু নিবেদিতপ্রাণ গ্রæপ ১৯৭০-এর দশকে আমাদের সিনিসিজমের বীজ বপন করে। পরবর্তী ৪০ বছরে তারা একটি উদীয়মান প্রজন্মকে সরকারি কোনো বিষয়ের চেয়ে বেসরকারি স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত- এ শিক্ষা দিতে থিংক ট্যাংক, সাময়িকী, সামাজিক ক্লাব, একাডেমিক সেন্টার ও মিডিয়াগুলোর এ কটি নেটওয়ার্ককে অর্থায়ন করে। তাদের গসপেল ছিল সাধারণঃ মুক্তবাজার হচ্ছে গতিময় ও উৎপাদনশীল, অন্যদিকে সরকার হচ্ছে আমলাতান্ত্রিক ও অকেজো। ১৯৮০-র দশকের মধ্যভাগে তারা ইতিহাস বইতে উদ্যমী অ্যান্টিট্রাস্ট প্রবর্তনা ন্যস্ত করতে ব্যাপকভাবে সফল হয়।
    ব্যবসা-বান্ধব কর ও নিয়ন্ত্রণ নীতির সাথে এ পরিবর্তন একত্রীকরণ ও অধিগ্রহণের সময়ে ঘটে যা মেগাকর্পোরেশনের সৃষ্টি করে। গত ২০ বছরে এয়ারলাইন্স থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস পর্যন্ত আমেরিকার ৭৫ শতাংশেরও বেশি শিল্প বর্ধিত কেন্দ্রীভ‚তকরণের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে এবং সরকারি কোম্পানিগুলোর গড় আকার তিনগুণ হয়েছে। এর ফল হিসেবে উদ্যোক্তা হ্রাস পেয়েছে, উৎপদনশীলতা প্রবৃদ্ধি থেমে গেছে এবং ভোক্তারা উচ্চমূল্য ও সীমিত পছন্দের শিকার হয়েছে।
    সামাজিক মাধ্যম ও ডিজিটাল যোগাযোগের ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটেছে। কারণ ফেসবুক সামাজিক নেটওয়ার্কিং এতটা প্রাধান্য লাভ করেছে যে, এটি কোনো বাজারভিত্তিক জবাবদিহিতার সম্মুখীন নয়। এর অর্থ যে প্রতিটি সময়েই ফেসবুক ঝামেলা পাকায়, আমরা এক ক্লান্তিকর প্যাটার্নের অনুসরণ করিঃ প্রথমে রাগ, তারপর হতাশা এবং শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ।
    ২০০৫-এ আমি পালো আল্টোর কেন্দ্রস্থলে এমারসন স্ট্রিটে ফেসবুকের প্রথম অফিসে ছিলাম। তখন আমি সংবাদটি পাঠ করি যে রুপার্ট মারডকের নিউজ কর্পোরেশন ৫৮ কোটি ডলারে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট মাইস্পেসের মালিক হচ্ছে। মাথার ওপরের আলোগুলো বন্ধ ছিল, আমাদের একটি গ্রুপ কি-বোর্ডগুলো প্যাকিং করছিল, আমাদের ২১ বছর বয়সী মুখগুলো স্ক্রিনের আলোয় আধা আলোকিত হয়েছিল। আমি ‘হোয়া’ বলে একটি চিৎকার শুনলাম। এ ও এল ইনস্ট্যান্ট মেসেঞ্জারের সরবরাহ করা সংবাদটি আমাদের কক্ষটির মধ্যে নীরবে বিরাজ করতে থাকল। আমার চোখ বিস্ময়ে বিস্ফারিত। আসলেই ৫৮ কোটি ডলার?
    ফেসবুক পরোক্ষভাবে মাইস্পেসের সাথে প্রতিযোগিতা করছিল। আমরা এ পর্যায়ে কলেজ ছাত্রদের ব্যাপারে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু মাইস্পেসের যখন বানানো গল্প ছিল তখন আমাদের প্রকৃত পরিচিতি ছিল। আমাদের ব্যবহারকারীরা অধিক সম্পৃক্ত ছিল। প্রতি ঘন্টায় না হলেও প্রতিদিন। আমরা বিশ্বাস করতাম যে, মানের দিক দিয়ে ফেসবুক মাইস্পেসকে ছাড়িয়ে গেছে এবং সময় ও অর্থের দিক দিয়ে সহজেই তাকে স্থানচ্যুত করতে পারে। যদি মাইস্পেসের মূল্য ৫৮ কোটি ডলার হয় তাহলে ফেসবুকের মূল্য হবে কমপক্ষে দ্বিগুণ। (অসমাপ্ত)

    জাপানের বাজার উন্মুক্ত করতে মার্কিন কৃষিমন্ত্রীর আহ্বান

    মার্কিন কৃষিমন্ত্রী সনি পারডু, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি পণ্যের জন্য জাপানের বাজার উন্মুক্ত করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    আজ নিইগাতা জেলায় জি ২০ভুক্ত অর্থনীতিগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকের পাশাপাশি পারডু, এনএইচকেসহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

    গতমাসে আরম্ভ হওয়া জাপান যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনার বিষয় উল্লেখ করে পারডু, দেশ দুটি অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সুসম্পর্ক উপভোগ করে আসায় তারা একযোগে এগিয়ে গিয়ে আলোচনার উপসংহারে পৌঁছাতে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেন।

    পারডু, আমেরিকার ভোক্তাদের ব্যয়ের মাধ্যমে জাপান ও জাপানের অর্থনীতি ভাল করে এসেছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র একজন ভাল গ্রাহক হিসেবে উন্নত আচরণ কামনা করে বলে জানান।