• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • আজ প্রথম অফিস করলেন প্রধানমন্ত্রী

    চতুর্থবারের মতো সরকারপ্রধান হিসেবে শপথগ্রহণের পর আজ রোববার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে নিজ কার্যালয়ে প্রথম অফিস করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

    এ সময় শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা।

    পরে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ মাল্টিপারপাস হলে তার দফতরের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবির সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর চা চক্রে মিলিত হন।
    এর আগে সকালে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

    চাকুরী সংক্রান্ত ভুল পরিসংখ্যান নিয়ে সংসদে বিতর্ক

    জাপানের সংসদের নিম্ন ও উচ্চ পরিষদের শ্রম কমিটি, চাকুরী সম্পর্কে ভুল পরিসংখ্যানের বিষয়ে এ মাসের শেষের দিকে বৈঠকে মিলিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য যে, বহু বছর ধরে শ্রম মন্ত্রণালয় তার মাসিক শ্রম জরীপ গ্রহণের সময় ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করে এসেছে বলে স্বীকার করেছে।

    এসব জরীপে, বেতন এবং কাজের সময় সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের, কমপক্ষে ৫০০ জন কর্মী রয়েছে এমন সবগুলো বৃহৎ কোম্পানিতে জরীপ চালানোর কথা থাকলেও মন্ত্রণালয় টোকিওর এধরণের মাত্র এক তৃতীয়াংশ কোম্পানির উপর জরীপ চালিয়েছে।

    এই ভুল তথ্যের ফলে, বেকার ভাতা এবং দুর্ঘটনা সম্পর্কিত ক্ষতিপূরণ সঠিক পরিমাণের চেয়ে কম দেওয়া হয়।

    ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের সংসদ বিষয়ক প্রধান হিরোশি মোরিয়ামা বলেন যে, এ ধরণের ঘটনা যাতে আর কখনোই না ঘটে তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

    এই ঘটনা যাতে বাজেট বিতর্ক এবং আসন্ন উচ্চ পরিষদ নির্বাচনের উপর প্রভাব না ফেলে ক্ষমতাসীন জোট তার আগেই বিষয়টির সমাধান করতে চায় বলে মনে হয়।

    বিরোধী সাংবিধানিক ডেমোক্রেটিক পার্টি”র সহসভাপতি আকিরা নাগাৎসুমা বলেন যে, তাঁর দল বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে। তিনি, এই কেলেঙ্কারি জাপানের উপর আস্থার ভিতকে নাড়িয়ে দিতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

    জি20’র সাফল্যের জন্য জাপান ও নেদারল্যান্ড একসাথে কাজ করবে

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে বলেছেন যে, জাপান এবং নেদারল্যান্ড জুন মাসে ওসাকা’য় অনুষ্ঠিতব্য জি20’র শীর্ষ বৈঠকের জন্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

    আবে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তে’র সাথে বুধবার রটরডম’এ বৈঠক করেন।

    বৈঠকে, আবে বলেন, নেদারল্যান্ড হচ্ছে জাপানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার এবং দেশ দু’টি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের মত অভিন্ন সার্বজনীন মূল্যবোধ পোষণ করে। তিনি এও বলেন, জাপান ওসাকার জি20 শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য নেদারল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানায়।

    তিনি আরও বলেন, দেশ দু’টি জি20 শীর্ষ বৈঠকের সফলতা নিশ্চিত করার জন্য বৈশ্বিক সমস্যাগুলো সামাল দিতে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার ব্যাপারে সম্মত হয়।

    এইসব বিষয়ের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও সামুদ্রিক দুষণের কারণ প্লাস্টিক বর্জ্য সমস্যা সামাল দেয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    আবে এবং রুত্তে আগামী মাসে কার্যকর হতে যাওয়া জাপান-ইইউ বাণিজ্য চুক্তির সাথে সাথে দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ককে জোরদার করতেও সম্মত হন।

    উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে, আবে বলেন, দেশ দু’টি উত্তর কোরিয়ার ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র এবং সব ধরনের পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সম্পূর্ণ, যাচাইযোগ্য এবং অপরিবর্তীয় নিস্ক্রিয়করণ অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালানোর কথা নিশ্চিত করেন।

    তিনি এও বলেন, উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবসমূহের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে তাদের মধ্যে মতৈক্য অর্জিত হয়।

    দাঁড়িয়ে পানি পান মৃত্যুরও কারণ হতে পারে

    উবায়দুর রহমান খান নদভী

    আমেরিকার এক শহরে জনৈক পাকিস্তানি ট্যাক্সি চালক একটি কফি শপে ঢুকলেন। নিজে এক বোতল ঠান্ডা পানি নিয়ে এক পাশে গিয়ে বসে, প্রথমে ছোট ছোট তিন ঢোক তিন নিঃশ্বাসে পান করলেন। এরপর বাকী পানিটুকু শেষ করে যখন লোকটি বের হয়ে যাচ্ছেন, তখন আরেক ভদ্রলোক দৌঁড়ে এসে তার হাত ধরলেন। বললেন, এক্সকিউজ মি, আপনি কি আমাকে ৫ মিনিট সময় দিবেন? আমার কিছু কথা বলার ছিল। ড্রাইভার লোকটি বললেন, বসে বলব না চলতে চলতে বলব। পার্কিংয়ে আমার গাড়ি রাখা আছে। তখন ভদ্রলোক বললেন, চলুন আপনার সাথে যেতে যেতেই কথাগুলো বলা যাক। ভদ্রলোক যা বললেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। তিনি নিজের পরিচয় দিলেন, আমেরিকার প্রখ্যাত এক বিজ্ঞানী তিনি। ট্যাক্সিতে বসে তিনি পাকিস্তানি এই চালককে প্রশ্ন করলেন, আপনি একটু আগে যেভাবে পানি পান করলেন, এটা কি আপনার অভ্যাস না হঠাৎ করেই এমনটি হয়েছে। যেখানে আমেরিকায় আমরা যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে শুধু পানি কেন পুরো লাঞ্চ বা ডিনার করে ফেলি, আপনি সেখানে এক বোতল পানি এক জায়গায় বসে থেমে থেমে নিঃশ্বাস নিয়ে পান করলেন, এর পেছনে কারণ কি? বিজ্ঞান যেখানে বলে, পরিশ্রান্ত মানুষ দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। পানির প্রেসারে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তার হার্ট, কিডনি, লিভার ইত্যাদি। নিজের জীবনের দৈনন্দিন এ অভ্যাসটি এই বিজ্ঞানীর চোখে এত বিস্ময়কর কেন ঠেকলো তা এই ড্রাইভার বুঝতে পারছিলেন না। তিনি সরল ভাষায় উত্তর দিলেন, আমি একজন মুসলমান। আমাদের ধর্মে এভাবেই পানি খাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। আমি ছেলে বেলা থেকে এভাবেই পানি খেতে শিখেছি। আমার পরিবারের ছোট বড় সকলেই এভাবে পানি পান করে। বিজ্ঞানী তখন বললেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের পানি পানের সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করছি। আমার জ্ঞানের সাথে আপনার আজকের এ পানি পানের দৃশ্য এমনভাবে মিলে গেছে যে, আমি আপনাকে না ধরে পারলাম না। আপনি আমাকে একটু লম্বা সময় দিন। দূরে কোনোদিকে লংড্রাইভে চলুন। আমি আপনার পেমেন্ট দিব, কথা বলার জন্য আলাদা সম্মানিও দেব। তথাপি আমি চাই, আমার গবেষণার একজন রোলমডেলের সাথে আমার দীর্ঘ আলোচনায় আমার গবেষণা পূর্ণতা লাভ করুক। বিজ্ঞানী এরপর জানতে চাইলেন, এভাবে পানি পান করা আপনি শিখেছেন কার কাছে? এটি কি কোনো সংস্থা বা গবেষকের ফর্মুলা। তখন ড্রাইভার সহজ সরলভাবে জবাবে বললেন, এটি আমাদের নবী (সা.) এর সুন্নত। তার এ নির্দেশনা মত পৃথিবীর সব অনুগত মুসলমান পানি পান করে থাকেন। শুধু তাই না, আমাদের জীবনে প্রতিটি কাজের এমন একটি সুন্দর নকশা আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এঁকে দিয়ে গিয়েছেন। যাকে সুন্নত বলে, আমরা তারই অনুসরণ করি। তখন এ বিজ্ঞানী ট্যাক্সি চালককে তখনকার মতো বিদায় দিয়ে বললেন, আমাকে আরও সময় দিতে হবে। আপনার ঠিকানা ও যোগাযোগের সবকিছু আমাকে দিন। আপনাদের প্রফেটের সুন্নত সম্পর্কে যারা বেশি জানেন তেমন জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিন। সেদিনের মতো এভাবেই তারা দু’জন আলাদা হয়ে যান। ক’য়েকটি সাক্ষাতের পর এই বিজ্ঞানী ইসলামিক সেন্টারের ইমাম সাহেবের হাতে ইসলামগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামের সত্যতা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আলোচিত ট্যাক্সি চালকের পানি পান করা থেকে প্রথম ধারণা লাভ করেন। পরে তিনি বলেছেন, দাঁড়িয়ে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খুব তৃষ্ণার সময় একশ্বাসে অনেক পানি খাওয়া আরও ক্ষতিকর। পানি পানের বহু থিওরি আমি জমা করেছি, কিন্তু সাধারণ একজন ট্যাক্সি চালক যেভাবে বসে ধীরে ধীরে ছোট ছোট তিন ঢোক পানি তিন নিশ্বাসে পান করলো, এ ছিল আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আমি বুঝতে চেষ্টা করেছিলাম এ ঘটনাটি কি ইচ্ছাকৃত না কাকতালীয়। যখন চালক ব্যক্তিটি আমাকে সব বুঝিয়ে বললেন, তখন আমার সামনে জ্ঞানের দরজা খুলে গেল। আমি সেই মহামানবের সকল সুন্নত সম্পর্কে শ্রদ্ধাভরে জানার সুযোগ পেলাম। যা দেড় হাজার বছর আগে একটি অনুন্নত পরিবেশে থেকেও ইসলামের নবী (সা.) শিক্ষা দিয়ে গেছেন। যার মধ্যকার বিজ্ঞান সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্ব দিনে দিনে বিশ্বের মানুষ আরও বেশি করে বুঝতে পারছে। মানুষ যখন প্রথম এক ঢোক পানি খায়, এরপর নিঃশ্বাস নেয় তখন পানির পরপরই তার দেহে অক্সিজেন প্রবেশ করে। এরপর তিনবার যখন এ কাজটি করে তখন তার মস্তিষ্ক ও রক্তের শিরা-উপশিরা যথেষ্ট অক্সিজেন লাভ করে, ফুসফুস আরাম পায়, খাদ্য ও শ্বাসনালী নিজেদের সেরা পারফর্ম করে, পাকস্থলী ধীরে ধীরে সে পানিগুলো রিসিভ করে। বিভিন্ন নালী ও শিরা পানিটাকে ফিল্টারিং করে, পানিতে কোনো জীবাণু বা ময়লা থাকলে উপকারী জীবাণুরা সেগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে এর তীব্র গতি পাকস্থলীকে যেভাবে আঘাত করে, তার কুপ্রভাব কিডনী পর্যন্ত পৌঁছে যায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি এমনকি মূত্রথলিতেও চাপ সৃষ্টি করে। আর তৃষ্ণার্থ বা ক্লান্ত মানুষ এক নিঃশ্বাসে অনেক পানি খেলে এতে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা, রক্তচাপ, মস্তিষ্কের কমান্ড ইত্যাদি সবক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। বিষম খেয়ে বা খাদ্যনালীতে আটকে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটাও অসম্ভব নয়। শুধু এ বিজ্ঞানী নয়, দুনিয়ার আরও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মুসলমানদের পানি পানের সুন্নত পদ্ধতিকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিচ্ছে, স্বাগত জানাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরির জন্য জাপানী ও ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ছোট ছোট ঢোক নিয়ে শ্বাস ছেড়ে ছেড়ে দীর্ঘ সময়ে পানি পান করার পদ্ধতি প্রয়োগ করে ভালো ফল লাভ করেছে। পাশ্চাত্যের ইসলামগ্রহণের যে প্রবণতা দিনদিনই বাড়ছে এতে বড় বড় ঘটনাতো বটেই সাধারণ মুসলমানদের জীবনরীতি দেখেও অসংখ্য মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৩২শ’ মানুষ ইসলামগ্রহণ করে। তাদের এ পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে পানি পান, খাদ্যগ্রহণ, পারিবারিক শান্তি, বিবাহিত জীবনের পবিত্রতা, সন্তানদের মায়া-মমতা, এমনকি রোগীর সেবা, মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা ও ইসলামী পদ্ধতির জানাজা দাফন-কাফন। আল্লাহ মানুষের হেদায়াতের জন্য যে কোনো বিষয়কে উসিলা বানাতে পারেন। মহানবী (সা.)-এর সুন্নত তো ইসলামের সর্বপেক্ষা বড় সম্পদ। এটি কল্যাণের আকর, সাফল্যের ভান্ডার, আর বিজ্ঞানের সমারোহ।

    মন্ত্রী হচ্ছেন যারা

    Posted by admin on January 7
    Posted in Uncategorized 

    মন্ত্রী হচ্ছেন যারা

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর টানা তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। সোমবার শপথ নেবে নতুন মন্ত্রিসভা।

    ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। বাদ পড়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা। এবার শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী থাকছেন ৩ জন। বিগত মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী, ৯ প্রতিমন্ত্রী ও ২ উপমন্ত্রী এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শরিক দলের কেউ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি।

    পূর্ণ মন্ত্রীদের নামের তালিকা:

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

    ১. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়: আ ক মোজাম্মেল হক

    ২. সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়: ওবায়দুল কাদের

    ৩. কৃষি মন্ত্রণালয় : মো. আব্দুর রাজ্জাক

    ৪. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: আসাদুজ্জামান খান কামাল

    ৫. তথ্য মন্ত্রণালয়: মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ

    ৬. আইন বিচার ও সংসদ বিষয় মন্ত্রণালয়: আনিসুল হক

    ৭. অর্থ মন্ত্রণালয় : আহম মুস্তফা কামাল

    ৮. স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় : মো. তাজুল ইসলাম

    ৯. শিক্ষা মন্ত্রণালয়: ডা. দীপু মনি

    ১০ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: এ. কে আব্দুল মোমেন

    ১১. পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়: এম এ মান্নান

    ১২. শিল্প মন্ত্রণালয়: নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন

    ১৩. বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়: গোলাম দস্তগির গাজী

    ১৪. স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়: জাহিদ মালিক

    ১৫. খাদ্য মন্ত্রণালয়: সাধন চন্দ্র মজুমদার

    ১৬. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: টিপু মুনসি

    ১৭. সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়: নুরুজ্জামান আহমেদ

    ১৮. গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়: শ ম রেজাউল করিম

    ১৯. পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়: মো. শাহাবুদ্দীন

    ২০. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়: বীর বাহাদুর উশেশিং

    ২১. ভূমি মন্ত্রণালয়: সাইফুজ্জামান চৌধুরী

    ২২. রেলপথ মন্ত্রণালয়: মো. নুরুল ইসলাম সুজন

    ২৩. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়: ইয়াফেস উসমান

    ২৪. ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়: মোস্তফা জব্বার

    প্রতিমন্ত্রীদের নামের তালিকা:

    কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প মন্ত্রণালয়), ইমরান আহমেদ (প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম মন্ত্রণালয়), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ—টেকনোক্র্যাট (ধর্ম)।

    উপমন্ত্রীদের নামের তালিকা:

    হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।

    জাপানে আংশিক সূর্য গ্রহণ

    জাপান জুড়ে আকাশ পর্যবেক্ষকরা, গত তিন বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মত আংশিক সূর্য গ্রহণ প্রত্যক্ষ করেছেন।

    আজ সকালে, সূর্য আংশিকভাবে চন্দ্রে ঢাকা পড়ে। ২০১৬ সালের মার্চ মাসের পর জাপানে এই প্রথমবারের মত আংশিক সূর্য গ্রহণ প্রত্যক্ষ করা হয়।

    উত্তরাঞ্চলীয় শহর সাপ্পোরোতে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে, সূর্যের প্রায় ৪০ শতাংশ ঢাকা পড়ে।

    টোকিওতে, সকাল ১০টা ৬ মিনিটে সূর্যের প্রায় ৩০ শতাংশ ঢাকা পড়ে।

    সূর্য গ্রহণ প্রত্যক্ষ করতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় লোকজন সমবেত হন।

    লোকজন, সুরক্ষামূলক চশমা লাগিয়ে সূর্য গ্রহণের দৃশ্য উপভোগ করেন।

    সাপ্পোরোর এক সমাবেশে অংশ নেয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জনৈক ছাত্র, ঢাকা পড়া সূর্যকে চন্দ্রের মত দেখায় বলে উল্লেখ করে। ছাত্রটি, প্রথমবারের মত এই দৃশ্য দেখেছে উল্লেখ করে এটির সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করে বিস্মিত হয় বলে জানায়।

    জাপানের জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষন কেন্দ্র, দেশের লোকজন আগামী ২৬শে ডিসেম্বর পুনরায় আংশিক সূর্য গ্রহণ প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হবেন বলে জানায়।

    কুরআন হাতে নিয়ে শপথ নিলেন প্রথম মুসলিম কংগ্রেসওম্যান রাশিদা

    ফিলিস্তিনি-আমেরিকান প্রথম মুসলিম কংগ্রেসওম্যান হিসেবে কুরআন হাতে নিয়ে শপথ নিলেন রাশিদা তালিব। যুক্তরাষ্ট্রের ১১৬তম কংগ্রেসে যে দুজন মুসলিম নারী নির্বাচিত হয়েছেন রাশিদা তাদের একজন। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

    মিশিগান থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট প্রতিনিধি তার মায়ের হাতে সেলাই করা ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি পোশাক পড়ে শপথ নেন। এদিন রাশিদা কুরআনে হাত রেখে শপথ নেন। ১৭৩৪ সালে ইংরেজি অনুবাদ করা ওই কুরআনের মালিক ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসন। যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট জেফারসনের কুরআনটি কংগ্রেসের লাইব্রেরিতেই সংরক্ষিত ছিল।

    কুরআন নিয়ে শপথের বিষয়ে রাশিদা বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ অনেক মার্কিনি মনে করেন যে ইসলাম মার্কিন ইতিহাসে বহিরাগত, কিন্তু মুসলিমরা শুরু থেকেই এখানে ছিল।
    তিনি বলেন, আমার অস্তিত্ব এমনকি আমার মুসলিম বিশ্বাস, তাদের জন্য সমস্যার কারণ হবে, সেটা কুরআন নিয়ে বা ছাড়া শপথ করলেও।

    এর আগে ২০০৭ সালে কুরআন হাতে শপথ নেন প্রথম মুসলিম কংগ্রেসম্যান কিথ এলিসন। তবে এরপরই চরম ডানপন্থীদের সমালোচনার শিকার হন তিনি।

    রাশিদার সঙ্গে বৃহস্পতিবার আরও একজন মুসলিম নারী কুরআনে হাত রেখে শপথ নেন। তিনি হচ্ছেন মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত ইলহান ওমর। তারা দুজনই হচ্ছে প্রথম মুসলিম নারী যারা কংগ্রেসওম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

    কিয়োতোতে নববর্ষের পুষ্প সজ্জা

    জাপানের একটি নেতৃস্থানীয় ইকেবানা বা পুষ্প সজ্জা বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা, কিয়োতোতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপন করেছেন।

    ইকেবানা বা পুষ্প সজ্জা বিদ্যালয়টিতে, চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া মুরোমাচি যুগ থেকে নববর্ষ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসা হচ্ছে।

    আজ আয়োজিত অনুষ্ঠানে, সারাদেশের প্রায় প্রায় ১ হাজার ৫শ ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।

    এঁদের মধ্যে ৩৬ জন ঐতিহ্যবাহী কিমোনো পরিধান করে জাপানী পুষ্প সংস্কৃতির জন্মস্থান রোক্কাকুদো মন্দির পরিদর্শন করেন।

    তাঁরা, গোলাপ ও অন্যান্য ফুল ব্যবহার করে পুষ্প সজ্জা তৈরি করেন।

    বিদ্যালয়ের পরবর্তী প্রধান সেনকো ইকেনোবোও, ভাল এবং শান্তিপূর্ণ বছরের জন্য প্রার্থনার পাশাপাশি পুষ্প সজ্জা তৈরি করেন।

    প্রথমবারের মত এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী জনৈক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, নিজেও একই রকমভাবে বেড়ে ওঠার আশাবাদ পোষণ করে পুষ্প সজ্জার জন্য সোজা এবং দীর্ঘ একটি ডাল ব্যবহার করেন বলে জানান।

    ছাত্রীটি, নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করবেন বলে উল্লেখ করেন।

    সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার রাতে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম- এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

    ৬৮ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে থেকেই তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ নৌকার প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    আইটি খাতের মন্দার কারণে নিক্কেই সূচকে দরপতন

    টোকিও’র শেয়ার বাজারের প্রধান একটি সূচক নিক্কেই গড় নিউ ইয়র্কের বৃহস্পতিবারের শেয়ারমূল্যের আকস্মিক হ্রাসের কারণে ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে বছরের প্রথম লেনদেন শুরু করেছে। সকালের অধিবেশনে নিক্কেই গড় সূচক ৭০০ পয়েন্টেরও বেশি পড়ে যায়। সূচকটি দিনের লেনদেন শেষ করে ৪৫২.৮১ পয়েন্ট বা ২.২৬% কমে ১৯ হাজার ৫৬১ পয়েন্টে।

    বিস্তৃত সূচক টপিক্স দিনের লেনদেন শেষ করে ১.৫৩% কমার মধ্য দিয়ে।

    শেয়ার বেচে দেয়ার হিড়িক পড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে অ্যাপলের শেয়ারে দরপতন। মুনাফার পূর্বাভাসে নিম্নমুখী সংশোধনের জন্য এই আইটি কোম্পানি চীনে আইফোনের হতাশাব্যঞ্জক বিক্রিকে দায়ী করার পরে শেয়ারের দর প্রায় ১০% কমে যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণেও আংশিকভাবে এই ঘটনা ঘটে।

    টোকিওতে, অ্যাপলের কাছে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা জাপানি কোম্পানির শেয়ারেও যেমন আশা করা হয়েছিল তেমন ব্যাপক দরপতন ঘটে। বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে নাসডাক সূচকে ৩%-এরও বেশি দরপতনের পরে পুরো প্রযুক্তি খাত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

    বিষয়টি বৈশ্বিক বিশেষ করে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দু’টি অর্থনীতির চাহিদাকে কমিয়ে দেয়া নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধিতে ইন্ধন যোগাচ্ছে। টোকিওতে সব ধরনের খাতের শেয়ার নেতিবাচকভাবে দিনের লেনদেন শেষ করে।

    চলতি সপ্তাহের উপাত্ত থেকে দেখা যাচ্ছে যে, মার্কিন কারখানার উৎপাদন এবং ডিসেম্বর মাসের চীনা উৎপাদন উভয়ই কমে গেছে যা ইতোমধ্যেই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়া বাজার পরিবেশকে নতুন করে নাজুক করে তুলছে।

    কর্মপন্থায় দ্বিধান্বিত ঐক্যফ্রন্ট

    নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন মান্না আন্দোলনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যানকারী সব দলকে চান ড. কামাল হোসেন ভরাডুবির জন্য তিন নেতাকে সন্দেহ বিএনপির

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে হতবাক জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচন পরবর্তী ভবিষ্যত কর্মপন্থা নিয়ে তাই দ্বিধান্বিত ফ্রন্টের নেতারা। যদিও এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা আলোচনা শুরু করেছেন। কিন্তু করণীয় নির্ধারণ এবং আন্দোলনের বিষয় নিয়ে তারা একমত হতে পারছেন না। বিএনপি খুব দ্রুত আন্দোলন শুরু করতে চাইলেও গণফোরামসহ অন্যান্য দলগুলো ধীরে-সুস্থে আন্দোলনে নামার পক্ষে। গণফোরামের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন চাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের বাইরেও যেসব দল নির্বাচনে ভোট ডাকাতির কথা, অনিয়মের কথা বলছে; তাদের সাথে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করতে।
    এ ছাড়া এ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়নি তা আন্তর্জাতিক মহলকে বুঝিয়ে তাদের মাধ্যমেও সরকারকে চাপে রাখতে। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রতিকার চাইবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি মামলা করব। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও অভিযোগ জানাব। আমি চাইব, সব প্রার্থীই তার আসনভিত্তিক অভিযোগ করবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির একজন সদস্য জানান, আসন ধরে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে, এই উদ্যোগের সঙ্গে মহাজোটের বাইরে থাকা অন্যান্য দলগুলোকেও যুক্ত করার। বিএনপির একটি অংশ এ বিষয়ে একমত হলেও অন্য একটি অংশ সরকারকে সময় দিতে চান না। তারা চান দ্রুত আন্দোলন শুরু করতে।
    নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেবে। নির্বাচনের আগে দাবি-দাওয়া নিয়ে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনে গেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের জেরে বৈঠকের মাঝামাঝি বের হয়েও আসেন নেতারা। নির্বাচনের ফল বর্জন করে প্রার্থীসহ সেই ইসিতেই তাঁরা আবার যাচ্ছেন স্মারকলিপি দিতে। যে দিন তাঁরা যেতে চান, ওই দিনই আবার নবনির্বাচিতরা শপথ নেবেন। ঐক্যফ্রন্টের এ কর্মসূচি নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বিমত দেখা দিয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এ বিষয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। যে নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষমতার পরিচয় দেয়নি, সেই নির্বাচন কমিশন এখন কী করবে। নির্বাচনের কয়েক দিন আগে মওদুদ আহমদ ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর একটি ফোনালাপ ফাঁস ঘিরে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। সেখানে তাঁদের আলোচনায় ছিল সব প্রার্থীকে ঢাকায় ডেকে কোনো কর্মসূচি দেয়া। এখন নির্বাচনের পর সবাইকে ঢাকায় ডেকে কমিশনে নেয়া প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি নির্বাচনের আগেই করতে হতো। এখন করলে ফলপ্রসূ কিছু হবে বলে মনে হয় না।
    ইসিতে স্মারকলিপি দেয়ার আগে সব প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক হবে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে। এ জন্য দলের পক্ষ থেকে সব প্রার্থীকে ঢাকায় ডাকা হয়েছে। তবে এতে অনেক প্রার্থী না আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ তারা এ ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি নির্বাচনের আগে চেয়েছিলেন। তখন তাদেরকে বলা হয়েছে, আপনারা চুপচাপ এলাকায় থেকে কাজ করুন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় নেতাদের এসব কথা শুনে তারা কিছু করতে পারেননি। নির্বাচনের সময় কোনো আন্দোলন কর্মসূচি না দেয়ার জন্য দলের প্রভাবশালী তিন নেতা কাজ করেছেন বলে এখন আলোচনা হচ্ছে। স্থায়ী কমিটির একজন প্রবীণ নেতা, চট্টগ্রামের একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং নোয়াখালি অঞ্চলের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতার ভ‚মিকা নিয়ে দলের মধ্যে এখন ক্ষোভ এবং অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। তারা সরকারের সাথে গোপন আঁতাত করে দলের এই ভরাডুবি ডেকে এনেছেন এমন গুঞ্জনও শুরু হয়েছে।
    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী এমপিরা আজ শপথ নেবেন। নির্বাচনে বিজয়ী ঐক্যফ্রন্টের সাতজন এমপি শপথ নেবেন কি না তা নিয়ে বিএনপি এবং গণফোরামের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের সাতজন এমপির মধ্যে ছয়জন ধানের শীষ প্রতীকে এবং একজন গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। যে ছয়জন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার মধ্যে পাঁচজন বিএনপির দলীয় প্রার্থী এবং একজন নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী। বিএনপি ইতোমধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে নির্বাচিতদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্ট করে বলেছেন, যেহেতু আমরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেছি; তাই শপথ নেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। অন্য দিকে গণফোরাম এবং নাগরিক ঐক্যের যে দুইজন নির্বাচিত হয়েছেন; তারা শপথ নেবেন কি না সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। গণফোরাম সূত্র জানায়, আগামী ৫ তারিখ দলের বর্ধিত সভায় নির্বাচিত এমপির শপথ নেয়া না নেয়ার বিষয় সিদ্ধান্ত হবে। তবে গণফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচন কেমন হয়েছে তা গোটা দেশবাসী জানে। পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট চুরি করা হয়েছে। এই নির্বাচনে যদি গণফোরাম তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেউ শপথ গ্রহণ করে বা সংসদে যায় তা হলে তারা হবেন সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি। কারণ এই নির্বাচনের ফলাফল শুধু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টই নয়, দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে।
    বগুড়া-৪ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত বিএনপির প্রার্থী মো. মোশাররফ হোসেন শপথ গ্রহণের বিষয়ে বলেন, আমি আজকে বিজয়ী হয়েছি দল ও ধানের শীষের কারণে। দল যদি আমাকে ধানের শীষ মনোনয়ন না দিত, তা হলে কেবল ব্যক্তি হিসেবে আমি কখনোই বিজয়ী হতে পারতাম না। তাই দল যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, আমি সেটিই পালন করব। দল যদি বলে শপথ নিতে হবে, আমি শপথ নেবো। দল যদি বলে শপথ নেয়া যাবে না, আমি শপথ নেয়ার কথা চিন্তাও করব না। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

    সম্রাটের শুভেচ্ছায় সর্বাধিক লোকের আগমন

    চলতি বছর সিংহাসন ত্যাগের আগে প্রদত্ত সর্বশেষ নববর্ষের শুভেচ্ছা বাণীতে সম্রাট আকিহিতো জাপান ও সারা বিশ্বের জনগণের সুখের জন্য তার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছেন।

    বুধবার নববর্ষের শুভেচ্ছায় আগত লোকসংখ্যা রেকর্ড এক লক্ষ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

    পূর্ব নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে সকাল সোয়া ন’টায় মূল ফটক খোলার সময় সেখানে ৩০ হাজার লোক অপেক্ষায় ছিলেন।

    সম্রাট এবং রাজকীয় পরিবারের অন্যান্য সদস্য প্রাসাদের বারান্দা থেকে জনতার উদ্দেশ্যে সাতবার হাত নাড়েন।

    রাজকীয় পরিবার সংক্রান্ত সংস্থা পূর্ব নির্ধারিত পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয়বার তাদের আবির্ভাবের আয়োজন করে, কিন্তু ষষ্ঠবারের মত তাদের আবির্ভাবের পরও মানুষের আগমন অব্যাহত থাকে। সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীর প্রবল ইচ্ছার কারণে সপ্তমবারের মত এর আয়োজন করা হয়। আগমনকালে সম্রাটের পরিবার প্রাসাদের সম্মুখে অবস্থানরত চার হাজারের বেশি ব্যক্তির সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করে।

    রাজকীয় পরিবার সংক্রান্ত সংস্থা জানায়, চলতি বছর সেখানে এক লক্ষ চুয়ান্ন হাজারের বেশি লোকের সমাগম ঘটে, যা বর্তমান হেইসেই আমলে সর্বোচ্চ।