• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • আমি নিয়মিত কুরআন পড়ি : টনি ব্লেয়ার

    ধর্মে অবিশ্বাসী হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পরিচিত ছিল টনি ব্লেয়ার। এ সময় তিনি বলতেন, ‘আমরা ঈশ্বরের না।’ অথচ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়ার পর রীতিমত ধর্ম চর্চা শুরু করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্বাসী থাকার জন্য তিনি এখন নিয়মিত কুরআন শরীফ থেকে আয়াত পাঠ করেন!
    প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কয়েক মাস পর থেকে টনি ব্লেয়ার খ্রিস্টান ক্যাথলিক ধর্ম চর্চা শুরু করেন। পরবর্তীতে ধর্ম চর্চা জারি রাখার জন্য এবং বিশ্বের বর্তমান অবস্থাকে বোঝার জন্য তিনি কুরআন পাঠ শুরু করেন বলে জানিয়েছেন টনি ব্লেয়ার। অবজারভার ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বাসী হিসেবে টিকে থাকা বেশ কঠিন।
    তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন কুরআন থেকে পড়ি। আমি মূলত পড়ি কারণ এটি অত্যন্ত শিক্ষামূলক এবং বিশ্বকে বোঝার জন্যও আমি এটাকে পড়ি।
    এর আগে ব্লেয়ার মুসলিম বিশ্বাসকে ‘সুন্দর’ মন্তব্য করে বলেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘একটি অত্যন্ত সভ্য শক্তি’।
    অবশ্য ২০০৬ সালে এক বক্তব্যে টনি ব্লেয়ার জানিয়েছিলেন, কুরআন শরীফ একটি লিখিত বই যেখানে অনেক কিছু সন্নিবেশ করা হয়েছে। সেখানে বিজ্ঞান ও জ্ঞানের কীর্তন রয়েছে এবং কুসংস্কারকে ঘৃণার কথা বলা হয়েছে। এটি খুবই বাস্তব সম্মত এবং নিশ্চিতভাবে এটি প্রকাশের সময় থেকে অনেক পরের বিষয় যেমন রাষ্ট্র পরিচালনা, ধর্ম ও নারীদের নিয়ে লেখা হয়েছে। এ সময় তিনি সেই সকল জিহাদিদের সমালোচনা করেন যারা কুরআনকে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার জন্য ব্যাখ্যা করছে।
    কসোভো, সিয়েরা লিওন বা ইরাকে যুদ্ধে জড়ানোর সঙ্গে টনি ব্লেয়ারের ধর্ম বিষয়ক চিন্তা কাজ করেছিল কিনা অর্থাৎ আধ্যাতিকভাবে তিনি এ বিষয়ে কোন কিছু জানতে পেরে কাজ করেছেন কিনা জানতে চাইলে বেশ উষ্ণ কণ্ঠে তিনি বলেন, এর থেকে বানোয়াট ও উদ্ভট আর কিছু হতে পারে না। বিষয়গুলো সম্পূর্ণভাবে সামরিক সিদ্ধান্ত ছিল। এর সাথে আমার ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।

    টনি ব্লেয়ার প্রধানমন্ত্রী থাকা কালে ব্রিটেন আমেরিকার সঙ্গী হয়ে ইরাক যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। এ ছাড়াও তার সময় কসোভো ও সিয়েরা লিওনেও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ব্রিটিশরা। অনেক সমালোচক বলে থাকেন টনি ব্লেয়ার খ্রিস্টান ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এমন কাজ করেছেন। আবার অনেকে বলে থাকেন, টনি ব্লেয়ার আধ্যাত্মিক নির্দেশ পেয়ে এই কাজ করেছেন। কিন্তু এ সকল সমালোচকদের কথাকে উড়িয়ে দিয়ে টনি ব্লেয়ার জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও সামরিক সিদ্ধান্ত অনুসারে যুদ্ধগুলোতে জড়িয়েছিল ব্রিটেন।

    আরিফ মাহমুদ, টোকিও

    জাপান প্রবাসীদের বিশাল শোক সমাবেশ

     

    গুলশান এ ৭জন জাপানী হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে জাপান প্রবাসীদের এক বিশাল শোক সমাবেশ ও মানববন্ধন ১০ জুলাই রবিবার,বিকাল ৩টায় প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে চিবা কেন, শিমিজু ফুতামা ফ্লাওয়ার পার্ক, জাপান এ অনুষ্টিত হয়। ৭জন জাপানী হত্যার প্রতিবাদে ইসলামিক মিশন জাপানের আয়োজনে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির এই শোক সমাবেশ ও মানববন্ধন এ জাপানিজ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রাবাসীরা অংশ নেন।

    ইসলামিক মিশন জাপানের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কমিউনিটি লিডার হাফেজ আলাউদ্দিন সভাপতিত্বে অনুষ্টিত শোক সমাবেশ এ অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশী বংশোদভূত জাপানী নাগরিক আলি আহকাম লিখন,কমিঊনিটি লিডার সিরাজুল হক, ব্যবসায়ী আব্দুল মোমেন,সমবেদনা জানিয়ে বাংলাদেশ থেকে আগত কবি ও শিল্পী রিয়াদ হায়দারের স্বরচিত গান সবাইকে আরো বেশী শোকাহত করে তোলে।

    শোক সমাবেশে বক্তারা দল ও ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে প্রবাসী বাংলাদেশী ও দেশের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে ৭ জাপানিজ সহ এই জঙ্গী হামলা ও এর নেপথ্যের নায়কদের খুজে বের করার জোর দাবী জানান।

    দুই শতাধিক প্রবাসীদের উপস্থিতিতে জাপান প্রবাসীদের এই শোক সমাবেশে জাপানিজ ও ইংরেজী ভাষায় লিখা প্লেকার্ডে নিহতদের প্রতি সমবেদনা ও টেররিজমের বিরোদ্ধে অবস্থান সম্বলিত লিখা শোভা পায়। প্লেকার্ডে যা লিখা ছিল তা হলঃ

    1. We deeply apologize for the accident happened in Bangladesh. バングラデシュで起こった事件について深く謝

    罪します。

    2. IS not representing Islam. ISはイスラム教を代表するものではありません。

    3. Islam does not permit the killing of innocent people イスラム教は罪のない人々の殺害を許可して

    いません。

    4.Please submit the judicial investigation report to the Japanese government.日本政府に司法調査報

    告書を提出してください。

     

    দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা মালিকানার দাবি খারিজ

    দক্ষিণ চীন সাগরের সিংহভাগের ওপর চীনের একচ্ছত্র মালিকানার দাবি দি হেগের স্থায়ী সালিশি আদালত খারিজ করে দিয়েছে। মামলাটি করেছিলো ফিলিপাইন, আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে।
    তবে চীন সাথে সাথেই তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, আদালতের রুলিং কার্যত প্রত্যাখ্যান করেছে। বেইজিং বলেছে, এই রায় ভিত্তিহীন। দি হেগের এই আদালতের রায় মানার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তবে রায় কার্যকর করার কোনো ক্ষমতা আদালতে নেই। মঙ্গলবার এই রুলিংয়ের আগে যুক্তরাষ্ট্র বিতর্কিত জলসীমায় একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। সাগরের ওপর নিয়মিত টহল দিচ্ছে আমেরিকার যুদ্ধবিমান।
    এ সপ্তাহের চীনা সরকার সমর্থিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস এক সম্পাদকীয়তে ‘সামরিক লড়াইয়ের’ জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করেছে। খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে চীনের সাথে আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরোধ দিন দিন ভয়ানক মোড় নিচ্ছে।
    এমন কিছু জলসীমা এবং দ্বীপ, চর এবং প্রবাল দ্বীপ চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দখলে নিয়েছে, যেগুলো অন্যান্য দেশগুলো দাবি করে। চীনের দখলে থাকলেও দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল এবং স্প্রাটলিস দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে আসছে ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন। স্কারবারা চর নামে সামরিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরের মালিকানা নিয়ে চীন এবং ফিলিপাইনের বিরোধ বহুদিনের।

    এসব বিতর্কিত এলাকাগুলো এখন কার্যত চীনের দখলে। এসব জায়গায় চীনা যুদ্ধজাহাজ নিয়মিত মহড়া দেয়। এমনকি সাগরের অনেক অগভীর জায়গায় চীন মাটি-বালি দিয়ে ভরাট করে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে সেগুলোতে সৈন্য মোতায়েন করেছে। দু-একটিকে রানওয়ে পর্যন্ত তৈরি করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে এই বিরোধে চীনের বিরোধীদের পক্ষ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

    কুরআন সংরক্ষণের ইতিহাস 

    কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ সূত্রপাত হয়েছিল লাইলাতুল কদর, ২১ রমযান, ১০ আগস্ট ৬১০ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার। ঐ সময়ে রাসূল (স.)-এর বয়স ছিল চন্দ্র বছর হিসেবে ৪০ বছর ৬ মাস ১২ দিন। আর সৌর বছর হিসেবে ৩৯ বছর ৩ মাস ২২ দিন। অহী অবতীর্ণের প্রারম্ভে রাসূল (স.) এ ভয়ে থাকতেন যে, না জানি তিনি অহীর কথাগুলো ভুলে যান। জিবরাইল (আ.) এর সাথে সাথে অহীর কথাগুলো বার বার পড়তেন, ফলে আল্লাহ এ নির্দেশ দিলেন যে- “তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্য আপনি দ্রুত অহী আবৃত্তি করবেন না। (সূরা কিয়ামা -আয়াত:১৬) সাথে সাথে এ নিশ্চয়তাও দিলেন যে, এ অহী স্মরণ রাখা এবং পড়ানো আমার দায়িত্ব। আল্লাহর বাণী। “এর সংরক্ষণ ও পাঠ করা বার আমারই দায়িত্ব। অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি তখন আপনি ঐ পাঠের অনুসরণ করুন। (সূরা কিয়ামা-আয়াত : ১৭.১৮) আল্লাহর এ বাণী থেকে এ কথা পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে, কুরআন মাজীদের এক একটি আয়াত, এক একটি শব্দ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা রাসূল (স.) এর অন্তরে সংরক্ষিত করে দিয়েছিলেন। আরো সতর্কতার জন্য রাসূল (স.) প্রতি বছর রমযান মাসে কুরআন মাজীদের ততটুকু শুনাতেন যতটুকু অবতীর্ণ হয়েছিল। যে বছর তিনি মৃত্যুবরণ করেন ঐ বছর জিবরাইল (আ.)-কে দু’বার কুরআন শুনিয়েছেন। যেন রাসূল (স.) এর অন্তরে কুরআন মাজীদ এমনভাবে সংরক্ষিত ছিল যে, সামান্য ভুলত্রুটি বা সামান্য হেরফেরের কোনো প্রকার সম্ভাবনা ছিল না। সাহাবায়ে কিরামের মাঝে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সর্বপ্রকার লোকই ছিল, শিক্ষিত লোকদের সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। তাই রাসূল (স.) কুরআন সংরক্ষণের জন্য কুরআ’ন মুখস্থ করা এবং লিখিতভাবে রাখা উভয় পদ্ধতিই তিনি অবলম্বন করেছেন। উভয় পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিচে উল্লেখ করা হলো- ক. কুরআন মুখস্থ করা কুরআন মাজীদের অবতীর্ণ যেহেতু শাব্দিকভাবে হয়েছিল তাই জিবরাইল (আ.) শব্দ এবং আয়াতের ধারাবাহিকতার সাথে সাথে রাসূল (স.) কে তার বিশুদ্ধ উচ্চারণও শিখাতেন। আর ঐ শাব্দিকভাবেই উম্মত পর্যন্ত পৌঁছানো জরুরি ছিল। তাই রাসূল (স.) তাঁর সার্বিক প্রচেষ্টা কুরআন মুখস্থ করার ক্ষেত্রে ব্যয় করেছেন। মাদিনায় হিযরত করার পর তিনি সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মাণ করেছেন, এরপর মসজিদের একপাশে সামান্য উঁচু করে “সুফফা” তৈরি করে তাকে মাদরাসায় রূপ দিয়েছেন। যেখানে উস্তাদগণ তাদের ছাত্রদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতেন। ওবাদা ইবনে সামেত (রা.) বলেন- যখন কোনো ব্যক্তি হিযরত করে মদিনায় আসত তখন রাসূল (স.) তাকে আমাদের আনসারদের মধ্য থেকে কারো নিকট পাঠিয়ে দিতেন, যেন তাকে কুরআন শিখানো হয়। মসজিদে নববীতে কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করা এবং শিক্ষা দেয়ার আওয়াজ এত বেশি হতো যে, রাসূল (স.) বললেন, হে লোকের! তোমরা তোমাদের আওয়াজ সংযত রাখ। কুরআন মুখস্থ করার প্রতি তাড়াহুড়া এবং বেশি গুরুত্ব দেয়ার দ্বিতীয় কারণ এই যে, আরবদের ছিল যথেষ্ট মুখস্থ শক্তি, যারা তাদের বংশধারাতো বটেই এমনকি তারা তাদের ঘোড়ার বংশধারাও পরিষ্কার করে জানত। কুরআন মুখস্থের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার তৃতীয় কারণ ছিল এই যে, প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য নামাযে কিছু না কিছু তেলাওয়াত করা অপরিহার্য, ফরয নামায ব্যতীত নফল নামায, বিশেষ করে তাহাজ্জুদ নামাযের ফযিলত সাহাবায়ে কিরামের মাঝে কুরআন মুখস্থের আগ্রহকে আরো বৃদ্ধি করেছে। রমযান মোবারকের পূর্ণ মাস কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত, শ্রবণ, মুখস্থ, শিখা, শিখানোর বিশেষ সময়। এতদ্বত্যতীত কুরআন মাজীদের অসংখ্য ফযিলত এবং কল্যাণের প্রতি দৃষ্টি রেখে কুরআন মুখস্থ করার ব্যাপারে সাহাবায়ে কিরাম একে অপরের চেয়ে অগ্রগামী থাকার জন্য চেষ্টা করত। ৪র্থ হিজরীতে বীরে মাউনার বেদনাদায়ক ঘটনায় ৭০ জন সাহাবীর ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে যে, তারা সবাই ভালো কুরআন তেলাওয়াতকারী ছিল। তারা দিনের বেলায় কাঠ কেটে আহলে সুফফার লোকদের জন্য খাবার সংগ্রহ করত এবং কুরআন শিখত ও শিখাত আর রাতে আল্লাহর নিকট দোয়া ও নামায আদায়ে ব্যস্ত থাকত। সাহাবায়ে কিরামের এ আগ্রহের ফলাফল এই ছিল যে, রাসূল (স.) এর জীবদ্দশায়ই হাফেজগণের একটি বড় দল গড়ে উঠেছিল, ঐ দলের মধ্যে ১। আবু বকর সিদ্দীক (রা.) ২। ওমর ফারুক (রা.) ৩। ওসমান গনী (রা.) ৪। আলী (রা.) ৫। তালহা (রা.) ৬। সা’দ (রা.) ৭। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ৮। হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রা.) ৯। সালেম (রা.) ১০। আবু হুরায়রা (রা.) ১১। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমার (রা.) ১২। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) ১৩। মুয়াবিয়া (রা.) ১৪। আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.) ১৫। আব্দুল্লাহ ইবনে সায়েব (রা.) ১৬। আয়েশা (রা.) ১৭। হাফসা (রা.) ১৮। উম্মু সালামা (রা.) এ নামগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রাসূল (স.)-এর মৃত্যুর সাথে সাথেই ১১ হিজরীতে সংঘটিত ইয়ামামার যুদ্ধে ৭০০ হাফেযে কুরআনের শাহাদাতবরণ এ কথা স্পষ্ট যে, ঐ সময় পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণ হাফেয গড়ে উঠেছিল। মুখস্থ করার মাধ্যমে কুরাআন মাজীদ সংরক্ষণের এ ধারা নবী (স.)-এর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যমান আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা চালু থাকবে ইনশাআল্লাহ। খ. কুরআন লিখন কুরআন মুখস্থ করার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া সত্ত্বেও কুরআন লিখে রাখার গুরুত্বের কথা রাসূল (স.) মোটেও ভুলে যাননি। এ উদ্দেশ্যে রাসূল (স.) শিক্ষিত সাহাবাগণকে এ দায়িত্ব দিয়েছিলেন যে, অহি নাযিল হওয়া মাত্রই তারা তা লিখে রাখবে। যায়েদ ইবনে সাবেত (রা.) তাঁর নির্দিষ্ট অহির লিখক ছিল। এছাড়াও তিনি সরকারি অন্যান্য বিষয়াবলি লিখে রাখার দায়িত্বও প্রাপ্ত ছিল! স্বয়ং রাসূল (স.) তাকে বিদেশী ভাষা শিখার এবং লিখার জন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অহি লিখগণের নাম নি¤œরূপ। ১. আবু বকর সিদ্দীক (রা.) ২. ওমর ফারুক (রা.) ৩. ওসমান (রা.) ৪. আলী (রা.) ৫. ওবাই ইবনে কা’ব (রা.) ৬. যুবাইর ইবনে আওয়াম (রা.) ৭. মোয়াবিয়া বিন সুফিয়ান (রা.) ৮. মুগীরা ইবনে শো’বা (রা.) ৯. খালেদ ইবনে ওলীদ (রা.) ১০. আবান ইবনে সাঈদ (রা.) ১১. আব্দুল্লাহ ইবনে সাঈদ ইবনে আস (রা.) যায়েরদ ইবনে সাবেত (রা) জাহেলিয়াতের যুগেও লিখক হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। রাসূল (স.) তাকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন যে, সে যেন সাহাবা কেরামগণকে লিখা শিখায়, বলা হয়ে থাকে যে, নবী (স.) এর যুগে অহি লিখকগণের সংখ্যা ৪০ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। রাসূল (স.)-এর অভ্যাস ছিল এই যে, যখনই কুরআন কারীমের কোনো আয়াত অবতীর্ণ হতো তখন তিনি অহি লিখকদেরকে পরিপূর্ণভাবে নির্দেশ দিতেন যে, এ আয়াতটি ওমুক ওমুক সূরায় ওমুক ওমুক আয়াতের পরে লিখ, তখন ওহী লেখকগণ পাথর, চামড়া, খেজুরের ডাল, গাছের পাতা, হাড্ডি বা কোনো কিছুর ওপর লিখে রাখত। এভাবে নবী (স.)-এর যুগে কুরআন কারীমের এমন একটি কপি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল যা রাসূল (স.) নিজের তত্ত্বাবধানে লিখেয়েছেন। এছাড়াও অনেক সাহাবী এমন ছিলেন যে, তারা নিজের ইচ্ছা ও আগ্রহে কোনো কোনো সূরা বা আয়াত নিজের নিকট লিখে রাখত। যেমন ওমর (রা.) ইসলাম গ্রহণের পূর্বে তাঁর বোন এবং ভগ্নিপতি একটি পুস্তিকায় সূরা ত্ব- হা এর কিছু আয়াত লিখে রেখেছিল। তাই বলা হয়ে থাকে যে, রাসূল (স.) এর মৃত্যুর সময় পর্যন্ত অগোছালোভাবে ১৭টির অধিক মাসহাফের (কুরআনের কপি) সন্ধান পাওয়া যায়।

    টোকিওতে বাংলাদেশে নিহত জাপানিদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত

    ঢাকায় নিহত দুই জাপানির অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া শুক্রবার টোকিও’তে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিহত দু’জন হচ্ছেন হিরোশি তানাকা (৮০) এবং কিয়ো ওগাসাওয়ারা (৫৬)।

    তানাকা’র অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় প্রায় ৫০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তার ছোট ভাই অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে বলেন তার ভাইয়ের এমন মৃত্যু তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।

    ছোট ভাই বলেন বিশ্বকে শান্তিপূর্ণ ও সকলের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান যেমনটা তানাকা করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র একটি বার্তা শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে পাঠ করে শোনানো হয়।

    তানাকা’র ৪৭ বছরের বন্ধু তোশিকো কিতাহারা বলেন “তিনি একজন খুব নম্র ব্যক্তি ছিলেন এবং একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলতে কাজ করার কঠোর আগ্রহ ছিলো”।

    ওগাসাওয়ারা’র অন্ত্যোষ্টিক্রিয়াতে প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাইকা’র প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা।

    নিহত ৭ জনের সকলেই জাইকা প্রকল্পে কাজ করছিলেন।

    পিসি টিভির ডাউন লিংকের অনুমতি বাতিল

    বাংলাদেশে জাকির নায়েক পরিচালিত পিস টিভির ডাউন লিংকের অনুমতি বাতিল করেছে সরকার। সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ডাউন লিংকের শর্ত ভঙ্গ করায় বিদেশি ফ্রি-টু-এয়ার টিভি চ্যানেল পিস টিভির ডাউন লিংকের অনুমতি বাতিল করা হল।
    একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশের ভেতরে পিস টিভির সব ধরনের সম্প্রচার বন্ধের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
    এর আগে রবিবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    বিদায় রমযান, বিদায় ঈদ

    রমযান মাস পুরোটাই কল্যাণ ও বরকতের মাস; এই মাস মেঘমালার মতো আল্লাহর বান্দাদেরকে শীতল ছায়া দান করছিল; মেহরাবগুলোতে হাফেয সাহেবদের সুমধুর তেলাওয়াত, যা মূলত মুমিনের উদ্দেশ্যে রাহমানুর রাহীমের আহবান, হৃদয় ও মস্তিষ্কে আলো দান করছিল; যিকির ও দুআ এবং তেলাওয়াত ও তাহাজ্জুদ, অন্তরকে আল্লাহর নৈকট্যের অনুভূতিতে সিক্ত করছিল এবং চোখ থেকে খোদাভীতির অশ্রু ঝরাচ্ছিল। দেখতে দেখতেই এই ধারাবাহিকতার সমাপ্তি ঘটল; যেন ইবাদতের এই বিশেষ রোখ পরিবর্তিত হল এবং পয়লা শাওয়ালে রোযার পরিবর্তে ইসলামী শিক্ষা মোতাবেক ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নির্দেশ এল এবং এরই মাধ্যমে বান্দা তার পরিচয় তুলে ধরার নির্দেশ পেল। শাওয়ালের ২ তারিখ থেকে এক বছরের জন্যে এই দুই নেয়ামত রমযান ও ঈদ আমাদের নিকট থেকে বিদায় নিল। যদি হায়াত পাই আর আল্লাহ তাআলার তাওফীক নসীব হয় তাহলে পুরো এক বছর পর আবার এই দুই নেয়ামত আমরা ফিরে পাব। এ পর্যায়ে একজন মুমিনের ভেবে দেখা উচিত, রমযান ও ঈদ থেকে তিনি কী আহরণ করলেন এবং এর কী প্রভাব তার হৃদয় ও মস্তিস্কে, বোধ ও বিশ্বাসে এবং কর্ম ও চরিত্রে অবশিষ্ট রইল। রমযান থেকে তিনি কী পেলেন এবং রমযানের বিদায়ে কী খায়ের-বরকত হারালেন। এটা বাস্তব সত্য যে, রমযানের হক যিনি যত বেশি আদায় করেছেন, রমযানের আদবসমূহের প্রন্তুি যিনি যত বেশি যত্নবান থেকেছেন তিনি তার কর্মজীবনে রমযান ও ঈদের প্রভাব তত বেশি অনুভব করবেন। পক্ষান্তরে যিনি যেমন ত্রুটি করেছেন ত্রুটির মাত্রানুপাতে প্রভাব ও ক্রিয়াতেও ত্রুটি উপলব্ধি করবেন। আমরা যদি রোযা ও রমযানের পুরা হক আদায় করে থাকি তাহলে রমযানের সবচেয়ে বড় প্রভাব (যদি রোযা রাখা হয়ে থাকে এবং রোযাকে গুনাহমুক্ত রাখা হয়ে থাকে) তাকওয়া; যা বান্দাকে প্রতি মুহূর্তে পথনির্দেশ দান করে; বান্দাকে কল্যাণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে এবং অকল্যাণের প্রতি বিরূপ করে। তাকওয়াপূর্ণ অন্তর নসীহত দ্বারা দ্রুত প্রভাবিত হয় এবং সামান্য সতর্ক করার দ্বারা অমঙ্গলের পথ থেকে ফিরে আসে। আর যদি রমযানের পুরা হক আদায় না করে থাকি তাহলে তাকওয়ার সেই বিশেষ স্তর আমাদের অর্জিত হয়নি। তবুও নিরাশ হওয়ার কিছুই নেই। কেননা প্রতিটি মুমিনের অন্তরে সামান্য পরিমাণে হলেও তাকওয়ার স্ফুলিঙ্গ অবশ্যই থাকে; আর রোযার মাধ্যমে তাতে কিছু না কিছু বৃদ্ধি অবশ্যই ঘটে থাকে। এখন যদি তা লালন করা যায় এবং সে মোতাবেক ধীরে ধীরে আমল করা যায় তাহলে এই বৈশিষ্ট্য দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর এবং উজ্ঝল থেকে উজ্ঝলতর হতে থাকবে। গুণাবলি ও যোগ্যতাসমূহের এটাই সহজাত নিয়ম। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী সৎগুণাবলির বিষয়ে এ কথা আরো বেশি সত্য। আল্লাহ তাআলা হাদীসে কুদসীতে ইরশাদ করেছেন, ‘‘বান্দা আমার প্রতি যেরূপ ধারণা রাখে আমি তার সাথে সেরূপ আচরণ করি এবং বান্দা যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তার সঙ্গী হই। যদি সে আমাকে একাকী স্মরণ করে আমিও তাকে একাকী স্মরণ করি। যদি সে আমাকে জামাতে সমবেতভাবে স্মরণ করে আমিও তাকে তাদের চেয়ে উত্তম জামাতে স্মরণ করি। যদি বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে চার হাত অগ্রসর হই। আর যদি সে আমার দিকে হেঁটে আসে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।’’-সহীহ মুসলিম ২/৩৪১ এখন যদি অন্তরে কোনো নেক কাজের আগ্রহ সৃষ্টি হয় তাহলে বুঝতে হবে এটি তাকওয়া ও খোদাভীতির প্রভাব; এর কদর করতে হবে এবং বিলম্ব না করে এই আগ্রহ অনুযায়ী আমল করতে হবে। তেমনি কোনো গুনাহের বিষয়ে, যাতে আমরা দুর্ভাগ্যবশত লিপ্ত রয়েছি, অন্তরে যদি ঘৃণা সৃষ্টি হয় এবং তা পরিহার করার তাগাদা উপলব্ধি হয় তাহলে বুঝতে হবে এটা সেই অন্তনির্হিত তাকওয়া ও খোদাভীতির প্রভাব। এর কদর করা এবং সাথে সাথেই সে গুনাহ পরিত্যাগ করে খাঁটি মনে তওবা করে নেওয়া জরুরি। এব্যাপারে বিলম্ব করা এজন্যেও ভয়াবহ যে, দুর্বল তাকওয়ার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় না এবং বার বার অন্তরের এরূপ আগ্রহকে অবহেলা করলে তা আরো দুর্বল হয়ে যায়; যা একজন মুমিনের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়। মোটকথা তাকওয়ার গুণ যার যতটুকু অর্জিত হয়েছে তা সংরক্ষণ করা এবং সযত্ন পরিচর্যার মাধ্যমে আরো শক্তিশালী করাই হবে রমযানের নেয়ামতের যথার্থ শোকর আদায়। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন, আমীন। আল্লাহর যেসব বান্দা রমযানের রোযাও রাখেনি এবং ঈদও পালন করেছে ভিনজাতির মতই অনুষ্ঠান-সর্বস্বরূপে; এবং রমযানের শেষ দশক-যা পুরো মাসের রূহ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতপূর্ণ সময়, একেও যারা ঈদ-মার্কেটের পেছনে নষ্ট করেছে; তাদের কাছে রমযান এবং ঈদের চিহ্ন যদি কিছু থাকে তাহলে আছে নতুন ডিজাইনের পোশাক আর জুতো এবং বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে পাওয়া কিছু গিফ্ট আর ঈদ কার্ড !! তেমনি যারা রমযানে জিনিসপত্রের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রোযাদারদের থেকে অন্যায়ভাবে অধিক মুনাফা লুটে সম্পদের পাহাড় গড়েছে অথবা বিতাড়িত শয়তানের শৃঙ্খখলিত হওয়া সত্ত্বেও যারা এই মুবারক মাসে অন্যায়-অপরাধে ও দুর্নীতি-সন্ত্রাসে লিপ্ত ছিল- এদের সবার জন্যে এখনও পথ খোলা রয়েছে; আল্লাহ রাববুল আলামীন অসীম দয়ালু ও মেহেরবান। তাঁর দয়ার দুয়ার সব বান্দার জন্য খোলা। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্মোক্ত বাণী একটু হৃদয় দিয়ে শুনুন- ان الله عز وجل يبسط يده بالليل ليتوب مسيئ النهار ويبسط يده بالنهار ليتوب مسيئ الليل حتى تطلع الشمس من مغربها. ‘‘আল্লাহ তাআলা রাতে তাঁর রহমতের হাত প্রসারিত করেন (বান্দার তওবা কবুল করার জন্যে উন্মুক্ত থাকেন) যাতে দিনের অপরাধী তওবা করে (কৃতকর্মের ব্যাপারে অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে) এবং আল্লাহ দিনে তাঁর রহমতের হাত প্রসারিত করেন যাতে রাতের অপরাধী তওবা করে; যত দিন না সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হয়। (কেয়ামতের আগ পর্যন্ত এ সুযোগ অবারিত)।’’-সহীহ মুসলিম ২/৩৫৮ তাই বিলম্ব না করে এই সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করা উচিত; খাঁটি মনে তওবা করে কল্যাণের দিকে প্রত্যাবর্তন করা উচিত এবং আগামী রমযানের কল্যাণ ও বরকত লাভের জন্যে নিজেকে প্রস্ত্তত করা উচিত। এ বিষয়ে শেষ কথা এই যে, রমযান মাসে আমরা যেমন আল্লাহর বান্দা ছিলাম এখনও আল্লাহর বান্দা। তাই তখন যেমন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার বিষয়ে গুরুত্ব দিতাম, নামাযের দিকে খেয়াল রাখতাম, জামাতের সাথে নামায আদায়ের চেষ্টা করতাম তা এখনও অব্যাহত রাখা উচিত। গুনাহ যখনই করা হোক তা গুনাহ। তাই রমযান মাস চলে গেলে গুনাহর কাজে লিপ্ত হওয়া যায়-এই চিন্তা পরিহার করতে হবে। আর নামায তো রোযার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ফরয এবং প্রতিদিনের আমল। ঈমান ও ইসলামের নিদর্শন। যে মুমিন অন্তত এটুকু চিন্তা করবে যে, নামাযের মাধ্যমে মাটির মানুষ তার খালিক ও মালিকের দরবারে হাজিরা দিতে পারছে, তার প্রিয় রহমান ও রহীমের সঙ্গে কথোপকথনে সক্ষম হচ্ছে, তার তো নামাযের বিষয়ে শিথিলতা করা সম্ভব হবে না; বরং অতি দুর্লভ অথচ সহজপ্রাপ্তি ভেবে মনেপ্রাণে নামাযের বিষয়ে যত্নবান হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই সত্য উপলব্ধি করার তাওফীক দান করুন নামাযের গুরুত্ব বোঝার এবং একে জানদার বানানোর চেষ্টায় আমাদেরকে নিয়োজিত রাখুন, আমীন।

    জাপানে ঈদউলফিতর উদযাপিত

    জাপান বুধবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিত উদযাপিত হয়েছে। রাজধানী টোকিও সহ জাপান জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় শ’খানেক মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা এসব মসজিদে ঈদের নামায আদায় করেন।

    প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্যে এবার ঈদ ছিলো ব্যতিক্রমী, শুক্রবার গুলশানের হোলি আর্টিসন রেস্টুরেন্টে নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিব্রত এবং বিহ্বল ছিলেন প্রবাসীরা।

    সকালের নাময সেরে যে যার কর্মস্থলে ছুটে যান। কেউ কেউ অবশ্য এদিন কর্মস্থল থেকে ছুটি নেন। তবে দেশের ঈদের আমেজের সাথে জাপানে ঈদের কোনো তুলনাই চলে না। খোলার দিনে ঈদ প্রায় সাধারণ দিন গুলোর মতোই। অনেকে অবশ্য সন্ধ্যার পরে কেউ কেউ এর-ওর বাড়ি গিয়ে কিছুটা ঈদের আমেজ আনার চেষ্টা করেন।

    অন্যান্য দেশের মুসলমানদেরও কম-বেশি প্রায় একই অবস্থা। অনেক মসজিদে ঈদের জামাতের পর বিরিয়ানী সহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়।

    গুলশান হামলার অস্ত্র সরবরাহকারীদের শেকড় খুঁজে বের করা হবে : প্রধানমন্ত্রী 

    গুলশানের স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে সেই অপরাধীদের অবশ্যই শেকড় খুঁজে বের করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেস্টুরেন্টে ভয়ঙ্কর পরিকল্পিত এ হামলার জন্য যারা সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে আমরা অবশ্যই সেই অপরাধীদের শেকড় খুঁজে বের করব। জাপানের স্টেট মিনিস্টার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স সিইজি কিহারা গতকাল রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীরা এর আগে গুপ্তহত্যা চালিয়েছে এবং পুরোহিত, ফাদারস ও ভিক্ষুদের টার্গেট করেছে। অপরাধে জড়িত অনেক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং জাপানের স্টেট মিনিস্টার ঐকমত্য প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ও জাপান ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান ও ভারতে সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জাপানি নাগরিকদের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য জাপানের স্টেট মিনিস্টার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জন কেরির ফোন : মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহানুভুতি জ্ঞাপন বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও সহানুভূতি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আজ সন্ধ্যায় বারাক ওবামার পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে এই তথ্য জানান বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে জন কেরি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গি নির্মূলে বাংলাদেশকে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানিয়ে জন কেরিকে বলেন, অনুসন্ধানমূলক তথ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে। জন কেরিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার জন্য তাঁর সরকার পুলিশের ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট’ গঠন করছে। সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য বারাক ওবামাকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ঢাকা যাচ্ছেন নিহত জাপানিদের স্বজনরা

    জাপান সরকার নিহত ৭ ও আহত ১ জাপানির পরিবাবারের সদস্যদেরকে ঢাকায় ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে, শুক্রবার রাতে ঢাকায় নৃশংস ভাবে এসব জাপানিদেরকে জিম্মিকারীরা হত্যা করে।

    প্রধান মন্ত্রী পরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন সরকারি বিমানে মন্ত্রণালয় ও জাইকার কর্মকর্তারা পরিবার গুলোর সাথে যাবেন। নিহতরা বাংলাদেশে জাইকার উন্নয়ন প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গ্রুপের এই হামলার “অটলভাবে নিন্দা” জ্ঞাপন করেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য আইএসআইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

    ইতালি প্লেন পাঠাবে, জাপানের প্রতিনিধি দল আসছে

    গুলশানের রেস্টুরেন্টে জিম্মি ও নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার নিজ দেশের নাগরিকদের মরদেহ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কয়েকটি দেশ। এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে জাপান, ইতালি ও ভারতের নাগরিক রয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এখনো নিহতদের পরিচয় ও সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তৃপক্ষ জানায়নি। এই তিন দেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়েছে।
    ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রী পাওলো গেন্তিলোনি শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মাহমুদ আলী হতাহতদের পরিচয় ও নাগরিকত্ব সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া মাত্রই ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।
    নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো গেন্তিলোনি বলেছেন, ঢাকায় রেস্টুরেন্টে হামলায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯ জন ইতালীয় নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছে। পুরো তথ্য পাওয়ার পর ইতালির সরকার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশে বিশেষ বিমান পাঠাবে।
    এদিকে, জাপান সরকার প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে হামলায় নিহতদের মধ্যে ছয় থেকে সাত জন জাপানি নাগরিক রয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাপান সরকার একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
    অন্যদিকে ভারতের একজন তরুণী তারুশি জেইন হামলায় নিহত হয়েছেন। তার পরিবার দ্রুত বাংলাদেশে আসছে। ইতিমধ্যে নয়াদিল্লি, টোকিও রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসাসহ প্রয়োজনীয় কাজ সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক মিয়ানমার সফর সংক্ষিপ্ত করে শনিবারই ঢাকায় ফিরেছেন।

    ৭ জাপানির খবর নেই

    Posted by admin on July 2
    Posted in Uncategorized 

    ৭ জাপানির খবর নেই

    জাপান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন ঢাকায় জিম্মি নাটকের অবসান হওয়ার পর এক জাপানি নাগরিককে উদ্ধার করা হলেও অন্য ৭ জাপানি নাগরিকের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

    ডেপুটি মন্ত্রী পরিষদ সচিব কোইচি হাগিউদা শনিবার বলেছেন, রেস্টুরেন্টে ৮ জন জাপানি প্রবেশ করেছিলেন।

    হাগিউদা বলেন উদ্ধারকৃত জাপানি নাগরিকের গায়ে গুলি লেগেছে। তিনি জিম্মিদের বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, একই প্রকল্পে কর্মরত ৮ জন বেকারিতে গিয়েছিলেন।