Posted by admin on July 12
Posted in Uncategorized
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা মালিকানার দাবি খারিজ
দক্ষিণ চীন সাগরের সিংহভাগের ওপর চীনের একচ্ছত্র মালিকানার দাবি দি হেগের স্থায়ী সালিশি আদালত খারিজ করে দিয়েছে। মামলাটি করেছিলো ফিলিপাইন, আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে।
তবে চীন সাথে সাথেই তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, আদালতের রুলিং কার্যত প্রত্যাখ্যান করেছে। বেইজিং বলেছে, এই রায় ভিত্তিহীন। দি হেগের এই আদালতের রায় মানার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তবে রায় কার্যকর করার কোনো ক্ষমতা আদালতে নেই। মঙ্গলবার এই রুলিংয়ের আগে যুক্তরাষ্ট্র বিতর্কিত জলসীমায় একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। সাগরের ওপর নিয়মিত টহল দিচ্ছে আমেরিকার যুদ্ধবিমান।
এ সপ্তাহের চীনা সরকার সমর্থিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস এক সম্পাদকীয়তে ‘সামরিক লড়াইয়ের’ জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করেছে। খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে চীনের সাথে আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরোধ দিন দিন ভয়ানক মোড় নিচ্ছে।
এমন কিছু জলসীমা এবং দ্বীপ, চর এবং প্রবাল দ্বীপ চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দখলে নিয়েছে, যেগুলো অন্যান্য দেশগুলো দাবি করে। চীনের দখলে থাকলেও দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল এবং স্প্রাটলিস দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে আসছে ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন। স্কারবারা চর নামে সামরিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরের মালিকানা নিয়ে চীন এবং ফিলিপাইনের বিরোধ বহুদিনের।
এসব বিতর্কিত এলাকাগুলো এখন কার্যত চীনের দখলে। এসব জায়গায় চীনা যুদ্ধজাহাজ নিয়মিত মহড়া দেয়। এমনকি সাগরের অনেক অগভীর জায়গায় চীন মাটি-বালি দিয়ে ভরাট করে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে সেগুলোতে সৈন্য মোতায়েন করেছে। দু-একটিকে রানওয়ে পর্যন্ত তৈরি করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে এই বিরোধে চীনের বিরোধীদের পক্ষ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।