• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • ইডেনে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ  

    আকাশপথে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্বের চেয়ে একটু বেশি ঢাকা-কোলকাতার দূরত্ব। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ, একই ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে ক্রিকেটে মিত্রতার সুযোগ পাচ্ছে কোথায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল? সেই ১৯৯০-এর ৩১ ডিসেম্বরের পর ২৫ বছর ১০৬ দিন পেরিয়ে ইডেন গার্ডেনসে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বাড়ির অনেক কাছাকাছি ভেন্যুটি বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেট-খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের প্রায় তিনগুণ, এতদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের কাছে তা রূপকথার মতো শোনালেও আজ এই ভেন্যুতেই বেজে উঠবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। ইডেনে আজ এই মহেন্দ্রক্ষণটির সাক্ষী হচ্ছেন ২৫ হাজার দর্শক- তেমনটাই জানিয়েছেন সিএবি’র বিশ্বস্ত সূত্র। ২০১৪ সালে ইডেন গার্ডেনসের দেড়’শ তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে সৌরভ গাঙ্গুলির আমন্ত্রণ রক্ষা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আমন্ত্রনমূলক টুর্নামেন্টে দল পাঠিয়েছে বিসিবি একাদশ। কিন্তু ইডেনের দেড়শ’তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে সিবিএ আয়োজিত টূর্নামেন্টের ম্যাচগুলোর একটিও হয়নি ভারতের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে! কোলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ম্যাচগুলো খেলেছে নাসির, মুমিনুলরা। তা নিয়ে কম আক্ষেপ করেনি বিসিবি একাদশ। বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাসের সমর্থক হয়েও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে টেস্ট খেলতে ইডেনে আতিথ্য দিতে অপেক্ষা করতে হবে আরো ৫ মাস। আপাতত প্রতিশ্রæতি পর্যায়েই আছে তা। তবে তার আগেই ক্রিকেটের নন্দনকাননে বাংলাদেশ দলকে দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব। টি-২০ বিশ্বকাপে ধর্মশালার পরীক্ষায় পাস করে গ্রæপ রাউন্ডের বাধা পেরিয়ে ইডেন গার্ডেনসে পড়েছে পা, সে লক্ষ্যটা ইতোমধ্যে পূরণ করেছে মাশরাফিরা। প্রথম পর্বে ফেভারিটদের মতো খেলে সুপার টেন নিশ্চিত করে এখন ট্রফির লড়াইয়ে বাংলাদেশ দলের শুরুটা হচ্ছে ইডেন গার্ডেনস থেকেই, পাকিস্তনের বিপক্ষে অবতীর্ণ হবে মাশরাফিরা ক্রিকেটের নন্দনকানন খ্যাত ইডেন গার্ডেনসে ! বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার জন্য যে লোকটির অবদান অনস্বীকার্য, সেই জগমোহন ডালমিয়া যখন সিবিএ’র সেক্রেটারী, তখন থেকে সিবিএ-বিসিবি’র বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, ১৯৮৪ সাল থেকে এখনো ওই চুক্তিতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের কিশোররা করছে সফর বিনিময়। কিন্তু ১৯৯০ সাল থেকে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল মাত্র ৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে ভারতে, সেখানে ইডেন গার্ডেনে খেলার সুযোগ পেয়েছে মাত্র ১টি ম্যাচ। ১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শ্রীলংকার বিপক্ষে এশিয়া কাপের সেই ম্যাচটির স্মৃতিই ভেসে উঠেছে আতাহার আলী, আকরাম খান, নাসির আহমেদ নাসুর চোখের সামনে। ইডেনে প্রথম এবং একমাত্র ম্যাচে বাংলাদেশ দল শ্রীলংকার কাছে ৭১ রানে হেরেও পেয়েছে বাহাবা। সেই ম্যাচে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার আতাহার আলীর ৯৫ বলে ৭৮ রানের ইনিংসে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। একই ভাষাভাষী সমর্থকদের সামনে ২৫ বছর ১০৬ দিন পর আনতর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দল, তা নস্টালজিয়ায় ফিরিয়ে নিয়েছে ইডেনে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ এখন টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের এই ভেন্যু থেকে ওই ভেন্যুতে ঘুরছেন, কিন্তু দেশের হয়ে প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচের সেই স্মৃতিটা এখনো তাকে দেয় নাড়াÑ ‘ক্রিকেটার হিসেবে সবার স্বপ্ন থাকে লর্ডস, মেলবোর্ন এবং ইডেন গার্ডেনসে খেলার। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ আমি এবং তা ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে। এখনো আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই স্মৃতি। বিশাল স্টেডিয়ামে প্রচুর দর্শক, বাংলাদেশ দলকে সবার সমর্থন, হেরেও পেয়েছি সবার হাততালি। এটা কি ভোলা যায়? এখনো কোলকায় গেলে, মাঝবয়সী কিংবা বৃদ্ধ কারো সাথে পথে দেখা হলে আমাকে ওই ইনিংসের কথা মনে করিয়ে দেন তারা।’ বাংলাদেশের এই প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে কোলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলোয়াড় বলে ইডেন গার্ডেনস সাকিবের খুব চেনা-জানা ভেন্যু। বাংলাদেশের এই প্রজন্মের অন্য কারো এই অভিজ্ঞতা নেই এই ভেন্যুতে খেলার। তবে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকে সুপার টেনে উঠে ইডেন গার্ডেনসে খেলার স্বপ্ন পূরণ করবে বাংলাদেশ দল, এমটাই প্রত্যাশা করছেন আতাহার আলীÑ ‘যতটা জানি, সাকিব, মাশরাফি, তামীম, মুশফিকুরদের যথেস্ট ভালবাসে কোলকাতার ক্রিকেট ফ্যানরা। যেহেতু দীর্ঘ ২৫ বছর পর বাংলাদেশ জাতীয় দল খেলবে এখানে খেলতে নামছে, তাই একই ভাষাভাষী ক্রিকেট ফ্যানদের সমর্থন তাই পুরোটাই পাবে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বলেই ইডেন গার্ডেনে খেলতে নেমে নিজেদের ভেন্যুই মনে করবে বাংলাদেশ।’ কোলকাতায় এসেই মাশরাফিরা যেনো নিজেদের চেনা পরিবেশই পাচ্ছে। খোঁজ-খবর নিচ্ছে যারা, তাদের অধিকাংশই বাঙালী। মাশরাফিদের ভক্তের সংখ্যাও তো কম নয় এখানে। ট্যাক্সি ড্রাইভার থেকে সবারই অভিনন্দন পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গতকাল বেলা ৩টায় বাংলাদেশ দল যখন এসেছে এখানে অনুশীলনে, তখন ইডেন গার্ডেনসের বাইরে শত শত লোক, মাশরাফিদের এক নজর দেখতে কৌত‚হলী তারা! ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ভেন্যু মেলবোর্নে ২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত, শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ দল। তবে মেলবোর্নে নিজেদের হোম মনে হয়নি মাশরাফিদের। ইডেনকে সেখানে পরিচিত আবহাওয়া ও খাদ্যাভাস এবং স্থানীয় মানুষদের চার হোম হোমই যে মনে হচ্ছে। ধর্মশালা থেকে টনিক নিয়ে ইডেনে যে প্রানের স্পন্দনটা একটু বেশিই পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের মতো অতো লম্বা সময় প্রতীক্ষা করতে না হলেও ইডেনেও যে ৫ বছর বিরতির পর আন্তর্জাতিক টি-২০ বসছে! ইডেনে বাংলাদেশ দল অভিষেকে খালি হাতে ফেরেনি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ পেয়েছে বাংলদেশ এই ইডেন থেকেই। ২৫ বছর পর ইডেনে খেলার সুযোগকে স্মরনীয় করে রাখার সংকল্প মাশরাফিরÑ ‘আমরা ইডেন গার্ডেনে খেলার ভালো একটি সুযোগ পেয়েছি। এখানে আমাদের খেলোয়াড়রা সবাই শিহরিত। এখানে প্রায় ৯০ হাজার দর্শক থাকে। কালকের ম্যাচে হয়ত ততটা হবে না। তারপরও ক্রিকেট এটা বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি ভেন্যু। আমরা চাই ভালো খেলতে ও স্মরণীয় করে রাখতে।’ কোলকাতা নাইট রাইডার্সে ৬ বছর কাটিয়ে দেয়ায় ইডেন কোলকাতার ঘরের ছেলেই যেনো হয়ে গেছেন সাকিব। ইডেনে খেলতে এসে বাংলাদেশ দলের মধ্যে সাকিবের কদরটা একটু বেশিই। তাই ইডেনের পীচ,রাতের শিশির সব কিছু’র প্রাক ধারনা নিতে সাকিবই যে প্রধান ভরসা মাশরাফিরÑ ‘এই মাঠ সম্পর্কে আমরা সাকিবের থেকে অনেক তথ্য নিতে পারব। কারন কেকেআরের হোম গ্রাউন্ড এটি।’ বদলে গেছে ইডেন, এক সময়ে লাখ ছাড়িয়ে যেতো দর্শক। ৯৬’র বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারত-শ্রীলংকা ম্যাচে ১ লাখ ১০ হাজার দর্শকের রেকর্ড এখনো ক্রিকেটের কোন ভেন্যু পারেনি ভাংঙতে। সংস্কারে নেমে এসেছে ৬৬ হাজার ৩৪৯ টি আসনে। এই ভেন্যুতে এসে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পরম বন্ধু, বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার অন্যতম সমর্থক জগমমোহন ডালমিয়ার স্মৃতিটাও মনে করতে হচ্ছে।

    জ্বালানিকোষ গাড়ি নিয়ে এলো হোন্দা

    এক দফা চার্জেই আগের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি চলতে সক্ষম এমন নতুন জ্বালানি-কোষ গাড়ি বাজারে নিয়ে এসেছে হোন্দা।

    জ্বালানি-কোষ গাড়ি বিদ্যুতেই চলে যা উৎপাদিত হয় স্টোরেজ ট্যাংকে রাখা হাইড্রজেনের সাথে বাতাস থেকে নেয়া অক্সিজেন মিশ্রিত করে। পেছনের পাইপ থেকে নিসৃত হবে কেবলমাত্র পানি।

    হোন্দা প্রকৌশলীরা বলছেন নতুন মডেলটি একবার ট্যাংক পূর্ণ করলে গাড়ি ৭৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম। তারা বিদ্যুত উৎপাদন সিস্টেমকে সংক্ষিপ্ত করেছেন যাতে গাড়িতে ৫ জন যাত্রী অনায়াসে বসতে পারেন।

    গাড়িটির দাম পড়ছে ৬৭,০০০ ডলার।

    হোন্দা আপাতত এটিকে দেশের অভ্যন্তরীণ কোম্পানি এবং স্থানীয় সরকার গুলোর কাছে বিক্রির জন্যে প্রস্তাব করছে, পরবর্তীতে তা সাধারণ গ্রাহকদের জন্যেও উন্মুক্ত হবে।

    হোন্দা প্রেসিডেন্ট তাকাহিরো হাচিকো বলেছেন এই মডেল বিশ্ব উষ্ণায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভুমিকা রাখবে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন জ্বালানি-কোষ গাড়ির ব্যবহার সম্প্রসারণ নির্ভর করছে গাড়ির দাম এবং কতটা সাশ্রয়ী হচ্ছে তার উপর। তা ছাড়াও এ ধরনের গাড়ির জন্যে আরো হাইড্রজেন স্টেশন নির্মানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

    বাংলাদেশের ‘মিনি ফাইনাল’ আজ

    সুপার টেনে উঠতে হলে ওমানের বিরুদ্ধে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। তবে বৃষ্টি অথবা অন্য কোনো কারণে ম্যাচটি যদি পরিত্যক্ত হয়ে যায়, তাহলে রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে পরের রাউন্ডে উঠে যাবে মাশরাফিরা। বাংলাদেশ ও ওমানের রানরেট যথাক্রমে +০.৪০০ এবং +০.২৮৩।
    বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচটি তাই অলিখিত ফাইনালে পরিণত হয়েছে। ভারতের ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এবারই প্রথম দেখা হচ্ছে বাংলাদেশ ও ওমানের। উভয় দলই তাদের প্রথম লড়াইকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ জেতার জন্য মরিয়া হয়ে লড়বে। জয়ের তাগাদা ওমানের দিক থেকেও কম নয়। কারণ আজ বাংলাদেশকে হারাতে পারলে সুপার টেনের টিকেট জুটবে তাদেরই ভাগ্যে। বিশ্বকাপে প্রথম আবির্ভাবে এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না ওমান।
    ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ ও ওমান উভয়েরই পয়েন্ট ৩। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৮ রানে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে। ওমান তাদের বিশ্বকাপ মিশনকে স্মরণীয় করে রেখেছে অভিষেক ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে পরাজিত করে। ওমান ও নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ দু’টি বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছে। ফলে পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে চারটি দলই এক পয়েন্ট করে পেয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছে নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ড। আজ ধর্মশালায় এ দু’টি দলের লড়াই তাই নিয়ম রক্ষার ম্যাচে পরিণত হয়েছে।
    আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে বেশ দাপুটে সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তামিম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটিংয়ে ভর দিয়ে মাত্র ৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ১২ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। বৃষ্টি বাগড়া না দিলে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনায়াসেই জিততে পারতো বাংলাদেশ। তাহলে আজ ওমানের ম্যাচটি নিয়ে বাড়তি দুঃশ্চিন্তা করতে হতো না ।
    বৃষ্টির পাশাপাশি আইসিসিকে নিয়েও বেকায়দায় আছে বাংলাদেশ। তাসকিন ও আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আইসিসি, যা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মনের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। এ দুই বোলারকে সাতদিন সময় দেয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে ভারতের বেঙ্গালোো একটি পরীক্ষাগারে গিয়ে তাসকিন ও সানিকে প্রমাণ করতে হবে যে তাদের বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিমুক্ত।
    কয়েকজনের ইনজুরি নিয়েও সমস্যায় আছে বাংলাদেশ। বেশ ভালো রকম ইনজুরিতেই ভুগছেন টিমের বোলিং সেনসেশন মুস্তাফিজ। সমর্থকদের জন্য বড় দুঃসংবাদ হলো, মুস্তাফিজ আজও খেলছেন না। বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক গতকাল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে সাকিব ও মাশরাফির অবস্থা এখন বিপদমুক্ত বলেই জানা গেছে। সাকিব, মুশফিকের মত সিনিয়র ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছেন না। এ নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন কোচ হাতুরুসিংহে।

    ভূমিকম্প ও সুনামির ৫ম বছর স্মরণ করছে জাপান

    পাঁচ বছর আগে এই দিনে জাপানে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প ও সুনামিতে নিহতদের স্মরণ করছে দেশটির জনগণ। দেশটির উত্তরপূর্ব উপকূলে ভয়াবহ ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ লোক প্রাণ হারায়। ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে ফুকুসিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে।
    এ উপলক্ষে টোকিওতে একটি জাতীয় স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাপানের সম্রাট আকিহিতো, সম্রাজ্ঞী মিশিকো, প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে উপস্থিত ছিলেন।
    স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতা মাথা নত করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ২০১১ সালের মার্চ মাসের ১১ তারিখে ঠিক এই সময়ে প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ সুনামি আছড়ে পড়ে দেশটিতে।

    জাপানে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত আরো একজনের সন্ধান

    জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার দেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত আরো একজনের সন্ধান পেয়ছেন। গত বছর থেকে দক্ষিণ আমেরিকাতে ভাইরাসটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

    স্বাস্থ্য, শ্রম এবং কল্যাণ মন্ত্রণালয় বলেছে, তিরিশর্ধ্ব এক বিদেশী মহিলা মশা বাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশিত করা হয়।

    জাপানে এটি ছিলো জিকো ভাইরাসে আক্রন্ত হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা।

    ব্রাজিলের যে মেয়েটি বাংলাদেশের ক্রিকেট বলতে পাগল

    বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ব্রাজিলের পতাকা উড়তে দেখা যায়। ফুটবলে ব্রাজিলের ভক্ত সমর্থক এ দেশে অসংখ্য। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভক্ত-সমর্থক পাওয়া গেল ব্রাজিলে!

    ব্রাজিলের ১৯ বছরের তরুণী সিলভিয়া মোরেনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর প্রোফাইল ছবি রাঙিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থনে। এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফাইনালের আগে ৬ মার্চ লাল-সবুজ জুড়ে দিয়েছেন তাঁর ছবিতে। এখনো এটাই তাঁর প্রোফাইল ছবি হিসেবে আছে। ক্রিকেট যে দেশে মোটেও জনপ্রিয় নয়, সেই ব্রাজিলের একজন বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভক্ত। ঘটনাটি বিস্ময় জাগানিয়াই বটে!
    বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্ত সিলভিয়া মোরেনার (ফেসবুক প্রোফাইল নাম সিসি মোরেনা) কথা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জানতে পারি। জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক শেখ মিজানুর রহমান জানান তাঁর কথা। ভাইবারে তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলের একটি মেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ফ্যান।’ ফেসবুকে সিলভিয়ার প্রোফাইলে গিয়ে দেখা গেল লাল-সবুজে রাঙানো তাঁর প্রোফাইল ছবি। শেখ মিজানুর রহমান জানালেন, তাঁর ফেসবুক বন্ধু সিলভিয়া পর্তুগিজ ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানেন না।
    গুগল ট্রান্সলেটের সাহায্যে ইংরেজি থেকে পর্তুগিজ ভাষায় রূপান্তর করে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ব্রাজিলে থাকা সিলভিয়াকে বার্তা পাঠানো হলো। মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোর পাঠানো সেই বার্তার জবাব দিতে থাকেন সিলভিয়া।
    প্রোফাইল ছবিতে বাংলাদেশ কেন? জিজ্ঞেস করায় সিলভিয়া বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের “সুপার ফ্যান”। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য প্রচার চালাতে এবং বাংলাদেশকে তুলে ধরতে প্রোফাইল ছবিটি পরিবর্তন করেছি।’ ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এসপিরিতো স্যান্তোর (হলি স্পিরিট) রাজধানী ভিতোরিয়ার বাসিন্দা সিলভিয়া। পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানেই একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি।
    ক্রিকেট পছন্দ করেন? সিলভিয়ার উত্তর, ‘ভালোবাসি’। জানালেন বাংলাদেশের সাব্বির রহমান ও মাহমুদউল্লাহ তাঁর প্রিয় খেলোয়াড়। সিলভিয়া এও বললেন, ‘বাংলাদেশে বেড়াতে যেতে চাই আমি। আমার স্বপ্ন বাংলাদেশ ঘুরে আসার।’
    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ জিতবে এই বিশ্বাস সিলভিয়ার। বললেন, ‘এ জন্য আমি অনেক প্রার্থনা করছি। আশা করি, তারা খুব ভালো লড়াই করবে।’

    প্রচলিত ভুল

    Posted by admin on March 9
    Posted in Uncategorized 

    প্রচলিত ভুল : একটি বানোয়াট কিচ্ছা – নবীজীর ওফাতের সময় মালাকুল মাওতের অনুমতি প্রার্থনা

    লোকমুখে নবীজীর ওফাতের বিষয়ে এ কিচ্ছাটি প্রসিদ্ধ যে, নবীজীর ইন্তেকালের সময় মালাকুল মাউত এক গ্রাম্য বেদুঈনের ছুরতে আগমন করেন এবং গৃহে প্রবেশের অনুমতি চান। অনুমতি দেওয়া হলে তিনি গৃহে প্রবেশ করেন এবং বলেন, আল্লাহ আমাকে অনুমতি ছাড়া গৃহে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন এবং অনুমতি ছাড়া আপনার পবিত্র রূহ কবজ করতে নিষেধ করেছেন। আপনি যদি অনুমতি দেন তাহলে রূহ কবজ করব অন্যথায় ফিরে যাব। একপর্যায়ে নবীজী অনুমতি দিলে তারপর তাঁর রূহ মোবারক কবজ করেন। এটি নবীজীর ওফাত সংক্রান্ত একটি দীর্ঘ জাল বর্ণনার অংশবিশেষ, যা আবদুল মুনঈম নামক এক ব্যক্তি জাল করেছে। ইবনুল জাওযী রাহ. বলেন,

    هَذَا حَدِيث مَوْضُوع…وَالْمُتَّهَم بِهِ عبد الْمُنعم بن إِدْرِيس.

    এটি একটি জাল বর্ণনা। আবদুল মুনঈম ইবনে ইদরীস নামে এক ব্যক্তি এটা জাল করেছে।

    জালালুদ্দিন সুয়ূতী রাহ. ও ইবনু আররাক রাহ. ইবনুল জাওযী রাহ.-এর সিন্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেছেন। Ñকিতাবুল মাওযূআত, ইবনুল জাওযী ১/৩০১; আললাআলিল মাছনূআহ, সুয়ূতী ১/২৫৭; তানযীহুশ শরীআহ, ইবনু আররাক ১/৩৩১

    দেশব্যাপী জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে

    একাত্তরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহালের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরু হয়।
    এর আগে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগে বহাল থাকার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশব্যাপী এই হরতাল ডাকে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে এ হরতালের ডাক দেন।
    বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবিতে ৯ মার্চ বুধবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’

    আজ ঐতিহাসিক মার্চ

    আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন।
    সুদীর্ঘকালের আপসহীন আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
    এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে জাতির অবিসংবিদিত মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
    ৭ মার্চ তাঁর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
    বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাক্সিক্ষত মুক্তির লক্ষ্যে।
    ১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িক মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয়,তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
    বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
    বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটি প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
    দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
    এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আজ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। বিকাল ৩টায় ৭মার্চের ভাষনের স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে জনসভা। আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।
    দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং জাতীয় পত্রিকাসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
    ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত্ পত্ করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খঁচিত লাল-সবুজের পতাকা। লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে।
    সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব ’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
    তিনি দরাজকণ্ঠে তাঁর ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি…।’
    এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেনÑ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম…, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
    মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকান্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।
    বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’
    তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাইÑ আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোন কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’
    বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা’।
    বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লিখে।
    তিনি বলেন, এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলো।
    রাজনীতি বিশেষঞ্জদের মতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নয়। এটি সব জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক নির্দেশনা।

    চলে গেলেন ইমেইলের উদ্ভাবক

    ইমেইল ছাড়া আধুনিক বিশ্বের যোগাযোগ প্রায় অসম্ভব। আর এই ইমেইলের যিনি উদ্ভাবন করেছিলেন সেই রে টমলিনসন মারা গেছেন।
    ৭৪ বছর বয়সে মারা গেলেন এই মার্কিন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৭১ সালে তিনি প্রথম ই মেইলের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক বার্তা আদান প্রদানের বিষয়টি শুরু করেন। এখন ইমেইল ছাড়া আধুনিক বিশ্বের যোগাযোগ প্রায় অসম্ভব। বোস্টনে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় তিনি প্রথম আধুনিক ইমেইল বার্তাটি পাঠান।
    বর্তমানে সব ধরনের ইমেইলের ক্ষেত্রে যে “@” প্রতীকের ব্যবহার করা হয় তারও প্রচলন শুরু হয় তার মাধ্যমে। তিনি পরে বলেছিলেন, তার প্রথম ইমেইলে কি লেখা হয়েছিল সেটি তার আর স্মরণ নেই।

    ভাবনায় কেবলই ফাইনাল

    এক বিদেশি সাংবাদিক বলছিলেন—বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসকে দু ভাগে ভাগ করা যায়; মাশরাফির দুই চারের আগে এবং পরে!
    একটু বাড়াবাড়ি মনে হলেও কথা মিথ্যে নয়। অন্তত মাশরাফির ওই চারের ফলে বাংলাদেশ যে অবিশ্বাস্য একটা লাফ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দিয়েছে, তাতে নতুন যুগ শুরু হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। অবশ্য দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তামিম ইকবাল বলছেন, এখনই তারা নতুন যুব বা নিজেদের দাপট নিয়ে ভাবছেন না। এখন তাদের ভাবনায় কেবলই ফাইনালে সেরা খেলার চেষ্টা।
    বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতেও বড় দল হয়ে গেছে কি না, এমন আলোচনাই এখন প্রাসঙ্গিক মনে করছেন না তামিম, ‘আমি মনে করি না এখনই আমাদের জায়ান্ট বলা উচিত। এখনো অনেক পথ আমাদের যেতে হবে। তবে এটা সত্য আমরা বেশ খানিকটা এগিয়েছি। তবে সেটা জায়ান্ট বলার মতো না, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। আমরা এই ফরম্যাটে উন্নতি করছি। এভাবে এগোতে থাকলে, আশা করছি তাহলে ভবিষ্যতে আমরা দারুণ কিছু হবে।’
    ফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারত নিয়েও তামিমের কণ্ঠে শ্রদ্ধার অভাব নেই। তবে প্রতিপক্ষ যেই হোক, নিজেদের ক্রিকেটটা ধরে রাখতে চান তিনি, ‘ভারত শক্তিশালী একটি দল। ওরা এশিয়া কাপে ভালো ক্রিকেট খেলছে। সেই সঙ্গে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। শেষ তিনটি ম্যাচে আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ফাইনালে যে কোন কিছুই হতে পারে। যে দল ভালো ক্রিকেট খেলবে তারাই জিতবে।’
    এই ভালো খেলার মানে কী, তাও বুঝিয়ে দিলেন দেশসেরা এই ওপেনার। তার কাছে ভালো খেলা মানে হলো তিন বিভাগেই সমান পারফরম্যান্স করা, ‘একটি জিনিস নিশ্চিত, ভারতের সঙ্গে আমাদের জিততে হলে তিন বিভাগেই সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের। এই তিন বিভাগে আমাদের অনেক শক্তিশালী থাকতে হবে। কারণ প্রথম ম্যাচে ওরা খুব বাজে অবস্থা থেকে ফিরে এসে ম্যাচ জিতেছে। ওদের সেই স্কিল রয়েছে। ওই ভুলগুলো আমরা কম করলে সবকিছুই সম্ভব।’
    ভারতের সাথে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই অবশ্য কিছু স্মৃতি। এই তামিমের ব্যাটে চড়েই ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে সুপার এইটে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। আগে-পরে আরও ইতিহাস আছে। তামিম বলছেন, ইতিহাসের চেয়েও সম্ভাবনা বেশি আকর্ষণীয়, ‘ভারতের সঙ্গে ভালো কিছু ইনিংস খেলার স্মৃতি তো অবশ্যই মনে পড়বে। একটা জিনিস আমরা বিশ্বাস করি, একটা দল যতোই শক্তিশালী হোক না কেনো, আমরা যদি আমাদের মতো খেলি, তাহলে আমরা যে কোনো দলকেই হারাতে পারি। যা আমরা প্রমাণ করেছি। ভারতের সর্বশেষ সিরিজে তাদেরকে আমরা হারিয়েছি। যদিও সেটা অন্য ফরম্যাট ছিলো। তারপরও আমরা যদি ভুল কম করি, তাহলে আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে।’
    বোঝা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে ফাইনালের প্রতিপক্ষ দলটি নিয়ে হোমওয়ার্কে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষের কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে লক্ষ্য করার পক্ষে নন তিনি, ‘আমি বিশেষ কোন একজনের নাম বলবো না।  তারা প্রত্যেকেই ভালো বোলার। ভারতের সবাই দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। আমরা আমাদের নিয়েই ভাবছি। একটি খারাপ বল পেলে তার সদ্ব্যবহার আর ভালো বল হলে তাকে সমীহ করা।’
    সোজা কথা, তামিম জানেন, তার কাজ দলকে ভালো একটা শুরু এনে দেয়া। তারপর বাকীটা সতীর্থদের ওপর ভরসা আছে তার, ‘আমি ওপেনিং করি। আমার কাজ হলো দলকে শুরুটা ভালো এনে দেয়া। আমি এবং আমার পার্টনারের এটাই কাজ। এ ধরনের টুর্নামেন্টে ওপেনারদের দায়িত্বটা বড়। কারণ প্রতিপক্ষ সব সময়ই চায় শুরুতেই উইকেট নিয়ে নিতে। আমরা চেষ্টা করবো যাতে সেটা কম হয় এবং নিজেদের খেলা উপভোগ করবো। আমাদের শুরুটা হলে, আগে ব্যাটিং করলে যদি ভালো একটা স্কোর করি, তাহলে ভালো কিছুই হবে। কারণ আমাদের বোলাররা এই টুর্নামেন্ট সব মিলিয়ে খুব ভালো খেলছে।’

    একদিনের প্রধানমন্ত্রী!

    রূপকথার গল্পকে বাস্তবে রূপ দিলেন জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার একদিনের জন্য প্রাবজ্যোতি লক্ষণ পালকে প্রতীকী প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে নিজের চেয়ার ছেড়ে দিলেন তিনি। কল্পনার এইম ইন লাইফ সত্যি হলো ইয়র্ক ইউনিভার্সিটর ছাত্র প্রাবজ্যোতি লক্ষণ পালের।
    মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৯ বছর বয়সী প্রাবজ্যোতি ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলো প্রধানমন্ত্রী হতে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই খবর জানতে পেরে পিজি লক্ষণ পাল এবং তার পরিবারের সদস্যদের ভিভিআইপি মর্যাদা দিয়ে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে রাজধানী অটোয়ায় আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখা হয়। এ সময় তারা হোটেল শ্যাতো লরিয়র-এর প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটে অবস্থান করে। পরে ১ মার্চ প্রাবজ্যোতি লক্ষণ পালকে একদিনের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ মর্যাদা এবং নিরাপত্তা দেয়া হয়।
    প্রাবজ্যোতি লক্ষণ পাল শুধু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেনি;  সেই সঙ্গে কানাডার পার্লামেন্ট ভবন পরিদর্শন, স্পিকার, গভর্নর জেনারেল, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং জাস্টিন ট্রুডো সঙ্গে সাক্ষাৎ, একটি শপথ অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিমানে চড়া থেকে শুরু করে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বের পর গণমাধ্যমে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়।
    উল্লেখ্য, পিজি পাল যখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে, তখন জাস্টিন ট্রুডো একটি সাধারণ চেয়ারে আসন গ্রহণ করেন।

    হিজাব নিয়ে জাপানি তরুণীদের উৎসাহ বাড়ছে   

    মাথায় কাপড় বা পাগড়ি দেয়ার একটি আরবী পরিভাষা হচ্ছে হিজাব। যেটাকে নারীবাদীরা দীর্ঘদিন যাবত নারীদের ওপর জোর জবরদস্তির প্রতীক হিসেবে মনে করে আসছে। গত শনিবার জাপানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক আসাচি শিম্বুনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানে বসবাসকারী একদল নারী এই ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছেন। তারা বলছেন, মুসলিম বিশ্বের নারীদের সবার সামনে এমন পোশাক পড়ার কারণ তাদের শালীনতা রক্ষা করা। জাপানে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় একদল মুসলিম নারী হিজাব এবং মুসলিমদের অন্যান্য পোশাকের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন রুচিসম্মত পোশাক হিসেবে। তাদের আশা, এসবের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করার মাধ্যমে জাপানি নারীদের ইসলামের অনুসারী বানানো। জানুয়ারির শেষদিকে প্রায় ১০০ নারী জাপানের সবচেয়ে বড় মসজিদ টোকিও জামেতে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে তারা ঐতিহ্যবাহী হিজাব স্কার্ফ কিভাবে পরতে হয় তা শিখতে আসেন। রঙ-বেরঙের স্কার্ফ মাথায় পেঁচিয়ে পিন দিয়ে এঁটে দেয়া হয়। যেসব নারী ‘হিজাবের একদিন’ নামের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তারা আয়নায় তাদের নিজেদের দেখে উৎসাহিত হয়ে বলতে থাকেন চমৎকার এবং খুবই আকর্ষণীয়। মরোক্কোর এক মুসলিম নারী অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলছিলেন, আমাদের ধর্মে ¯্রষ্টা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, মুখ এবং হাতের প্রথমভাগ ব্যতীত সমস্ত শরীর ঢেকে রাখার। তাই হিজাব পরিধান করা আমাদের জন্য ইবাদত। যখন আমরা পর্দা করি তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় এবং অন্যের কাছ থেকে সম্মান পেয়ে থাকি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন জাপানে বসবাসরত ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪ জন মুসলিম নারী। তাদের মধ্যে একজন ২৩ বছর বয়সী আরিসা সাকামোতো, যিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, অনুষ্ঠানে তিনি একটি ফুলের নকশা করা কালো স্কার্ফ পরেছেন। সাকামোতো জানান, তিনি ইসলাম গ্রহণের পূর্বে বেশিরভাগ সময়ই ছোটখাট পোশাক পরতেন। তিনি ইসলামে দীক্ষিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষে মালয় বিষয় নিয়ে পড়ার সময়। ইসলামের সহিষ্ণু নিয়মনীতি, সব রকম প্রতিকূলতায় ইতিবাচক মনোভাব পোষণ তাকে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি হিজাব পরেন যাতে মানুষ জানতে পারে যে, তিনি একজন মুসলিম। তার বাবা-মা তাকে এ থেকে বেড়িয়ে আসতে বলেছেন। তার কারণ, তারা মনে করছেন এর ফলে তাদের কন্যা নির্যাতিত হতে পারেন। কিন্তু যখন তারা দেখলেন, তার কন্যা খুব আন্তরিকভাবে তার বিশ্বাসের চর্চা করছে, সক্রিয়ভাবে তাদের সেবা করছে এবং সম্মান প্রদর্শন করছে, তখন তার মায়ের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়। এখন তিনি তার মেয়ের জন্য এমন পোশাক পছন্দ করেন, যা হিজাবের সঙ্গে মানিয়ে যায়। সাকামোতো জানান, যখন থেকে তিনি হিজাব পরে বাইরে যান, তখন অন্যান্য মুসলিম বোনেরা তাকে উৎসাহিত করেন। এছাড়াও বয়স্ক জাপানিরাও তার মাথা বন্ধনীকে ‘সুন্দর’ বলে প্রশংসা করেন। তবে সাকামোতো কাজের সময় হিজাব পরতে পারেন না। তিনি বলেন, আমি সেখানেও হিজাব পরতে চাই, কিন্তু এটা কঠিন, কারণ সেখানে অল্প কয়েকজন মুসলিম রয়েছেন। আমার প্রথমে যেটা করতে হবে তা হচ্ছে, আমার আচার-আচরণের মাধ্যমে তাদেরকে ইসলাম বোঝানো। জাপানে অমুসলিম নারীদের মাঝে ইসলামী পোশাকের প্রতি আগ্রহ দিনদিন বেড়েই চলেছে। ‘হিজাবের একদিন’ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া নারীদের অর্ধেকই অমুসলিম নারী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ২২ বছর বয়সী আয়ানো অকি জানান, তিনি ফেসবুকে এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পেরে বন্ধুদের সঙ্গে এখানে এসেছেন। তিনি বলেন, আগে আমার ধারণা ছিলো মুসলিম নারীদেরকে হিজাব জোর করে পরানো হয়। তবে এখন আমার ধারণা একেবারেই পাল্টে গেছে। এখানে এসে জানতে পারলাম এটা পুরোটাই মুসলিম নারীদের নিজের ইচ্ছাধীন ব্যাপার। এছাড়াও অনুষ্ঠানটি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে জানতে ভালো সুযোগ করে দিয়েছে, যেহেতু আমার কোনো মুসলিম বন্ধু নেই।

    আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে দুধ পান

    যারা কারণে-অকারণে দুধ পান করেন না তাদের জন্য একটি তথ্য দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। তথ্যটি হলো একটি বড় ধরনের গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে যে, দুধ পানে আর্থ্রাইটিস বা গ্রন্থি বাত ব্যথার উপশম হয়, ব্যথায় আক্রান্তের প্রবণতা প্রলম্বিত হয়।
    এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর তথ্য হচ্ছে, ২৫ বছরের অধিক বয়সের লোকদের শতকরা ১৪ ভাগ এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সের লোকদের শতকরা ৩৪ ভাগের দীর্ঘ মেয়াদি অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টে প্রদাহ হতে পারে। তবে আশার কথা হলো মহিলাদের জন্য একটু বাড়তি খবর রয়েছে গবেষণায়।
    বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাগণ সাধারণত শারীরিক পরিবর্তনের কারণে হাড়ে ও জয়েন্টে বা অস্থি সন্ধির ব্যথা বা অস্টিওআর্থ্রাইটিসে বেশি ভুগে থাকেন। এই বয়সের মহিলাগণ যদি সপ্তাহে ৫ থেকে ৭ গ্লাস লো-ফ্যাট মিল্ক পান করেন তবে তাদের জয়েন্ট প্রদাহ বা আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হবার প্রবণতা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম।
    এ ব্যাপারে স্টাডি অথার হারভার্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক বিং লুর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল সত্যি সত্যিই কি প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? তিনি জবাব দিয়েছেন ‘ইয়েস’। লো-ফ্যাট অথবা ফ্যাট ফ্রি মিল্ক পানে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কিছু নেই। বরং অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিকে বেশ প্রলম্বিত অথবা প্রতিরোধ করে।

    জাপানে আরো একটি নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান মিললো

    ফুকুই প্রিফেকচারের কাত্সুইয়ামা’তে নতুন আরেকটি প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান নিশ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে জাপানে পাওয়া ডাইনোসরের প্রজাতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ এ।

    জীবাশ্ব বিশ্লেষণের তথ্য অনুসারে নতুন প্রাণীটি হলো একটি ছোট থেরোপড যেটির আদিম এবং উদ্ভূত বৈশিষ্ট্য রয়েছে, ফুকুই প্রিফেকচারাল ডাইনোসর জাদুঘর এবং ফুকুই প্রিফেকচারাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্যানুসারে নতুন ডাইনোসরটির নাম রাখা হয়েছে ফুকুইভেনাটোর প্যারাডক্সাস বা “ফুকুই প্রিফেকচারের স্ববিরোধী শিকারী”।

    থেরোপড যখন পাখির মতো উড়তে শুরু করেছিল, সে সময়ে ফুকুইভেনাটোরের অস্তিত্ব ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়র একজন অধ্যাপক ইয়ৈইচি আজুমা বলেছেন ফুকুইভেনাটোর পাখিতে পরিণত হতে ব্যর্থ হয়।

    ফুকুইভেনাটোর প্রায় আড়াই মিটার লম্বা এবং ওজন ছিলো প্রায় ২৫ কেজি -আজুমা বলেন।

    ২০০৭ সালের অগাস্টে ১৬০টির মতো ডাইনোসরের হাঁড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছিলো, ১ কোটি ২০ লক্ষ বছর আগে ক্রটেশাস সময়ের শেষের দিকে পৃথিবীর বুকে বিচরণ করা ডাইনোসরের ফসিল গুলোর ৭০ শতাংশ চমত্কার অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।