• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • একদিনের প্রধানমন্ত্রী!

    রূপকথার গল্পকে বাস্তবে রূপ দিলেন জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার একদিনের জন্য প্রাবজ্যোতি লক্ষণ পালকে প্রতীকী প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে নিজের চেয়ার ছেড়ে দিলেন তিনি। কল্পনার এইম ইন লাইফ সত্যি হলো ইয়র্ক ইউনিভার্সিটর ছাত্র প্রাবজ্যোতি লক্ষণ পালের।
    মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৯ বছর বয়সী প্রাবজ্যোতি ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলো প্রধানমন্ত্রী হতে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই খবর জানতে পেরে পিজি লক্ষণ পাল এবং তার পরিবারের সদস্যদের ভিভিআইপি মর্যাদা দিয়ে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে রাজধানী অটোয়ায় আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখা হয়। এ সময় তারা হোটেল শ্যাতো লরিয়র-এর প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটে অবস্থান করে। পরে ১ মার্চ প্রাবজ্যোতি লক্ষণ পালকে একদিনের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ মর্যাদা এবং নিরাপত্তা দেয়া হয়।
    প্রাবজ্যোতি লক্ষণ পাল শুধু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেনি;  সেই সঙ্গে কানাডার পার্লামেন্ট ভবন পরিদর্শন, স্পিকার, গভর্নর জেনারেল, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং জাস্টিন ট্রুডো সঙ্গে সাক্ষাৎ, একটি শপথ অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিমানে চড়া থেকে শুরু করে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বের পর গণমাধ্যমে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়।
    উল্লেখ্য, পিজি পাল যখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে, তখন জাস্টিন ট্রুডো একটি সাধারণ চেয়ারে আসন গ্রহণ করেন।

    হিজাব নিয়ে জাপানি তরুণীদের উৎসাহ বাড়ছে   

    মাথায় কাপড় বা পাগড়ি দেয়ার একটি আরবী পরিভাষা হচ্ছে হিজাব। যেটাকে নারীবাদীরা দীর্ঘদিন যাবত নারীদের ওপর জোর জবরদস্তির প্রতীক হিসেবে মনে করে আসছে। গত শনিবার জাপানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক আসাচি শিম্বুনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানে বসবাসকারী একদল নারী এই ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছেন। তারা বলছেন, মুসলিম বিশ্বের নারীদের সবার সামনে এমন পোশাক পড়ার কারণ তাদের শালীনতা রক্ষা করা। জাপানে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় একদল মুসলিম নারী হিজাব এবং মুসলিমদের অন্যান্য পোশাকের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন রুচিসম্মত পোশাক হিসেবে। তাদের আশা, এসবের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করার মাধ্যমে জাপানি নারীদের ইসলামের অনুসারী বানানো। জানুয়ারির শেষদিকে প্রায় ১০০ নারী জাপানের সবচেয়ে বড় মসজিদ টোকিও জামেতে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে তারা ঐতিহ্যবাহী হিজাব স্কার্ফ কিভাবে পরতে হয় তা শিখতে আসেন। রঙ-বেরঙের স্কার্ফ মাথায় পেঁচিয়ে পিন দিয়ে এঁটে দেয়া হয়। যেসব নারী ‘হিজাবের একদিন’ নামের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তারা আয়নায় তাদের নিজেদের দেখে উৎসাহিত হয়ে বলতে থাকেন চমৎকার এবং খুবই আকর্ষণীয়। মরোক্কোর এক মুসলিম নারী অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলছিলেন, আমাদের ধর্মে ¯্রষ্টা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, মুখ এবং হাতের প্রথমভাগ ব্যতীত সমস্ত শরীর ঢেকে রাখার। তাই হিজাব পরিধান করা আমাদের জন্য ইবাদত। যখন আমরা পর্দা করি তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় এবং অন্যের কাছ থেকে সম্মান পেয়ে থাকি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন জাপানে বসবাসরত ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪ জন মুসলিম নারী। তাদের মধ্যে একজন ২৩ বছর বয়সী আরিসা সাকামোতো, যিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, অনুষ্ঠানে তিনি একটি ফুলের নকশা করা কালো স্কার্ফ পরেছেন। সাকামোতো জানান, তিনি ইসলাম গ্রহণের পূর্বে বেশিরভাগ সময়ই ছোটখাট পোশাক পরতেন। তিনি ইসলামে দীক্ষিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষে মালয় বিষয় নিয়ে পড়ার সময়। ইসলামের সহিষ্ণু নিয়মনীতি, সব রকম প্রতিকূলতায় ইতিবাচক মনোভাব পোষণ তাকে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি হিজাব পরেন যাতে মানুষ জানতে পারে যে, তিনি একজন মুসলিম। তার বাবা-মা তাকে এ থেকে বেড়িয়ে আসতে বলেছেন। তার কারণ, তারা মনে করছেন এর ফলে তাদের কন্যা নির্যাতিত হতে পারেন। কিন্তু যখন তারা দেখলেন, তার কন্যা খুব আন্তরিকভাবে তার বিশ্বাসের চর্চা করছে, সক্রিয়ভাবে তাদের সেবা করছে এবং সম্মান প্রদর্শন করছে, তখন তার মায়ের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়। এখন তিনি তার মেয়ের জন্য এমন পোশাক পছন্দ করেন, যা হিজাবের সঙ্গে মানিয়ে যায়। সাকামোতো জানান, যখন থেকে তিনি হিজাব পরে বাইরে যান, তখন অন্যান্য মুসলিম বোনেরা তাকে উৎসাহিত করেন। এছাড়াও বয়স্ক জাপানিরাও তার মাথা বন্ধনীকে ‘সুন্দর’ বলে প্রশংসা করেন। তবে সাকামোতো কাজের সময় হিজাব পরতে পারেন না। তিনি বলেন, আমি সেখানেও হিজাব পরতে চাই, কিন্তু এটা কঠিন, কারণ সেখানে অল্প কয়েকজন মুসলিম রয়েছেন। আমার প্রথমে যেটা করতে হবে তা হচ্ছে, আমার আচার-আচরণের মাধ্যমে তাদেরকে ইসলাম বোঝানো। জাপানে অমুসলিম নারীদের মাঝে ইসলামী পোশাকের প্রতি আগ্রহ দিনদিন বেড়েই চলেছে। ‘হিজাবের একদিন’ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া নারীদের অর্ধেকই অমুসলিম নারী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ২২ বছর বয়সী আয়ানো অকি জানান, তিনি ফেসবুকে এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পেরে বন্ধুদের সঙ্গে এখানে এসেছেন। তিনি বলেন, আগে আমার ধারণা ছিলো মুসলিম নারীদেরকে হিজাব জোর করে পরানো হয়। তবে এখন আমার ধারণা একেবারেই পাল্টে গেছে। এখানে এসে জানতে পারলাম এটা পুরোটাই মুসলিম নারীদের নিজের ইচ্ছাধীন ব্যাপার। এছাড়াও অনুষ্ঠানটি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে জানতে ভালো সুযোগ করে দিয়েছে, যেহেতু আমার কোনো মুসলিম বন্ধু নেই।