• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • ‘চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ করতে ভয় পায় না’

    চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ করতে ভয় পায় না চীন। ওই এলাকায় আরো যুদ্ধাজাহাজ পাঠানো হবে-যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রতিক্রিয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে চীনের পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়া আসলো। দেশটির কট্টর জাতীয়তাবাদী পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস অভিযোগ করেছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন চীনকে উস্কানি দিচ্ছে। গতকাল বুধবার পত্রিকাটির এক সম্পাদকীয়তে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, চীনের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলে কাজ করা এবং একইসঙ্গে খারাপ কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকা। খবর দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি ও ডনের।

    পত্রিকাটির সম্পাদকীয়তে বলা হয়, হোয়াইট হাউসকে এটা বোঝানো যে, ইচ্ছা না থাকলেও চীন এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ করতে ভয় পায় না। চীন তার   সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। পত্রিকাটিতে আরো বলা হয়, এই অঞ্চলে বেইজিংয়ের দ্বীপ নির্মাণের দাবিতে বাধা দেয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো দেশেরই নেই। চীনের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বস্থানীয় সংবাদপত্র দ্য পিপলস্ লিবারেশন আর্মি ডেইলির প্রথম পাতায় এক সম্পাদকীয়তে অভিযোগ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে ইরাক এবং আফগানিস্তানের মতো গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এতে আরো বলা হয়, প্রকৃত সত্য হলো, বিশ্বের যেসব দেশে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করেছে সেখানে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কোনো কোনো দেশে আবার সরাসরি এসব ক্ষেত্রে যুক্ত হয়ে চরম ক্ষতি করেছে দেশটি।
    মঙ্গলবার দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। চীন বলছে, তাদের এলাকায় মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজকে দেখার পর তারা ওই জাহাজটিকে সতর্ক করে দিয়েছে। জাহাজটি ওই সাগরে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা চীনের কয়েকটি দ্বীপের কাছাকাছি বিতর্কিত জলসীমায় ঢুকে পড়েছিল।
    চীনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র লু কাং অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটন ইচ্ছে করেই দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, যে কোন দেশের ইচ্ছাকৃত উস্কানির বিরুদ্ধে চীন শক্ত ব্যবস্থা নেবে। চীন তাদের আকাশ সীমা এবং সমুদ্র সীমার ওপর তীক্ষ নজর রাখছে। চীনের ‘সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং স্বার্থে’ আঘাত হানার বিরুদ্ধে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ার করে দেন। চীনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকেও মঙ্গলবার তলব করা হয়।
    মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলছে, এটা রুটিন অপারেশন এবং আন্তর্জাতিক জলসীমা আইন মেনেই তা করা হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের যে বিতর্কিত অঞ্চলটিকে চীন তাদের সমুদ্র সীমা বলে দাবি করছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগে থেকেই কিছু জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লাসেন চীনের তৈরি কৃত্রিম দ্বীপটির ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার কংগ্রেসে এক শুনানিতে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করে আমরা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় উড়বো, পাল তুলবো এবং অভিযান চালাবো। যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দিয়েছে জাপান।

    চীন যাকে নিজের সমুদ্রসীমা বলে দাবি করছে, সেটিকে চীনের অনেক প্রতিবেশি দেশ বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমা হিসেবে। ২০১৩ সালে দক্ষিণ চীন সাগরের ডুবন্ত কোরাল রীফের ওপর মাটি ফেলে চীন এই কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ তৈরি করে, এরপর সেখানে সামরিক ব্যবহারের উপযোগী রানওয়ে এবং লাইটহাউজও বসানো হয়। এসবের লক্ষ্য ছিল চীনের সমুদ্র সীমা দক্ষিণ চীন সাগরের অনেক গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত করা।

    ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অবনতি

    বাংলাদেশে বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার, কিন্তু কমেছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি পর্যবেক্ষক সংগঠন ফ্রিডম হাউস বার্ষিক জরিপ প্রতিবেদন ‘ফ্রিডম অব দ্যা নেট ২০১৫’ প্রকাশ করে বুধবার। সেখানেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
    ২০১৪ সালে বিশ্বের ৬৫টি দেশ নিয়ে গবেষণা করে ফ্রিডম হাউজ। গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী, ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাধীনতার দিক থেকে ১০০ এর মধ্যে ৫১ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ওয়েবসাইটে প্রবেশের বাধার ক্ষেত্রে ১২, লেখায় বাধার ক্ষেত্রে ১২ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকার আটকানোর ক্ষেত্রে ২৭ পয়েন্ট পেয়েছে। ফ্রিডম হাউজের গবেষণা ফলাফলে ১০০ এর মধ্যে যে দেশের পয়েন্ট যত কম হবে সে দেশ ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তত উদার।
    ২০১৩ সালে বিশ্বের ৬০টি দেশ নিয়ে গবেষণা করে ফ্রিডম হাউজ। ওই বছর ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাধীনতার দিক থেকে ১০০ এর মধ্যে ৪৯ নম্বর পেয়ে ‘আংশিক স্বাধীন’ ক্যাটাগরিতে স্থান পায় বাংলাদেশ। নতুন গবেষণা প্রতিবেদনেও একই অবস্থানে আছে দেশ।
    ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদনে যে সব দেশ পয়েন্টের দিক থেকে শূন্য থেকে ৩০ পেয়েছে তারা ‘স্বাধীন’ ও যে সব দেশ ৩১ থেকে ৬০ পেয়েছে তারা ‘আংশিক স্বাধীন’ ক্যাটাগরিতে পড়েছে।
    গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৮৫ লাখ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের হার দেখানো হয়েছে ১০ শতাংশ। গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের প্রসার বাড়লেও এর ব্যবহারে স্বাধীনতা টানা পাঁচ বছর ধরে কমেছে।