• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • একটি বানোয়াট কিসসা : শাদ্দাদের বেহেশত

    সমাজে ‘শাদ্দাদের বেহেশত’ শিরোনামে বিভিন্ন ধরনের কিসসা প্রচলিত আছে। কেউ কিসসা টি এভাবে বলেন ।

    শাদ্দাদ বিশাল রাজত্ব ও ধন-সম্পদের মালিক ছিল। তার কওমের নবী তাকে দাওয়াত দিলে সে বলে, ঈমানের বদলে কী মিলবে? নবী বললেন, জান্নাত। তখন সে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে নিজেই জান্নাত বানাতে শুরু করে ।

    ৩০০ বছর ধরে জান্নাত বানায়; তাতে বিভিন্ন ফলের গাছ লাগায়। প্রাসাদ বানায়, নহর খনন করে ইত্যাদি। এরপর সে যখন সৈন্য-সামন্ত নিয়ে তার বানানো বেহেশতের দিকে রওনা হয়। এক দিন এক রাতের রাস্তা বাকি থাকতেই আল্লাহ তাকে তার সৈন্য-সামন্তসহ ধ্বংস করে দেন।

    কেউ বলে, তার বানানো জান্নাত দেখতে যাওয়ার পথে একটি সুন্দর হরিণ দেখতে পায়। হরিণটি শিকার করতে গিয়ে সে একটু দূরে চলে যায়। এ মুহূর্তে মালাকুল মাউত হাযির হয় এবং তার রূহ কবয করে। সে তার বানানো জান্নাত নিজেও দেখতে পারে না।

    কেউ বলে, সে তার বানানো বেহেশতে প্রবেশ করার জন্য যখন এক পা দিল,তখন দ্বিতীয় পা রাখার আগেই মালাকুল মাউত তার রূহ কবয করে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি।

    কারো কারো মুখে এ-ও শোনা যায়, এরপর আল্লাহ তাআলা তার ঐ জান্নাত যমিনে ধ্বসিয়ে দেন; মাটির সাথে মিশিয়ে দেন। বালুর মধ্যে যে অংশ চিকচিক করে, তা শাদ্দাদের বানানো বেহেশতের ধ্বংসাবশেষ।

    এ ছাড়াও শাদ্দাদের বেহেশত কেন্দ্রিক আরো অনেক কথা সমাজে প্রচলিত আছে। তার বেহেশত কীভাবে বানালো, কতজন শ্রমিক লেগেছে, এর দেয়াল কিসের ছিল,ফটক কিসের ছিল, মেঝে কিসের ছিল, ইত্যাদি।

    শাদ্দাদের বেহেশত বানানোর কিসসা একেবারেই অবাস্তব ও কাল্পনিক; নির্ভরযোগ্য কোনো দলীল দ্বারা তা প্রমাণিত নয়। যারা এটি উল্লেখ করেছেন তারা ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে তা এনেছেন। এজন্যই ইমাম ইবনে কাসীর ও আল্লামা ইবনে খালদুনসহ আরো অনেকেই এ কিসসাকে অবাস্তব ও কাল্পনিক বলে অভিহিত করেছেন। তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৮০২-৮০৩; মুকাদ্দামাতু ইবনে খালদূন ১/১৭; আলইসরাঈলিয়্যাত ওয়াল মাওযূআত ফী কুতুবিত তাফসীর ২৮২-২৮৪

    তথ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা!

    সার্চ জায়ান্ট গুগলের স্মার্টফোন অপারেটিং সিসটেম অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ন। ইসরায়েলের তেল আবিব ভিত্তিক মোবাইল নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান জিম্পেরিয়াম ল্যাব দাবি করেছে, অ্যান্ড্রয়েডের বড় ধরণের নিরাপত্তা ত্রুটি রয়েছে এবং একে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি বলছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা।
    জিম্পেরিয়াম ল্যাবের ব্লগে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বের ৯৫ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। ল্যাবের গবেষকরা বলেছেন, অ্যান্ড্রয়েডের স্টেজফ্রাইট ২.০ বাগ আবারো নতুনভাবে ডিভাইসগুলোতে জায়গা করে নিচ্ছে। গত এপ্রিলে প্রথমবারের মতো স্টেজফ্রাইট অ্যন্ড্রয়েড ডিভাইসে দেখা দেয়। সেসময় এমএমএস এর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে প্রবেশ করেছিল স্টেজফ্রাইট।
    গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, ব্যবহারকারী তার ডিভাইসে গান শোনার জন্য এমপিথ্রি বা এমপিফোর ফাইল চালু করলেও এর মাধ্যমে তার ডিভাইসে স্টেজফ্রাইট ২.০ জায়গা করে নিয়ে পারে। সেই সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিসটেম চালিত ডিভাইস ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
    অপারেটিং সিসটেম অ্যান্ড্রয়েড তথা মোবাইল ওএস এর ক্ষেত্রে স্টেজফ্রাইট ২.০ কে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন জিম্পেরিয়াম ল্যাবের গবেষকরা। কারণ, বিশ্বজুড়ে ৯৫০ মিলিয়ন মোবাইল ও ট্যাবলেট ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।