ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অবনতি

বাংলাদেশে বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার, কিন্তু কমেছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি পর্যবেক্ষক সংগঠন ফ্রিডম হাউস বার্ষিক জরিপ প্রতিবেদন ‘ফ্রিডম অব দ্যা নেট ২০১৫’ প্রকাশ করে বুধবার। সেখানেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
২০১৪ সালে বিশ্বের ৬৫টি দেশ নিয়ে গবেষণা করে ফ্রিডম হাউজ। গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী, ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাধীনতার দিক থেকে ১০০ এর মধ্যে ৫১ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ওয়েবসাইটে প্রবেশের বাধার ক্ষেত্রে ১২, লেখায় বাধার ক্ষেত্রে ১২ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকার আটকানোর ক্ষেত্রে ২৭ পয়েন্ট পেয়েছে। ফ্রিডম হাউজের গবেষণা ফলাফলে ১০০ এর মধ্যে যে দেশের পয়েন্ট যত কম হবে সে দেশ ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তত উদার।
২০১৩ সালে বিশ্বের ৬০টি দেশ নিয়ে গবেষণা করে ফ্রিডম হাউজ। ওই বছর ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাধীনতার দিক থেকে ১০০ এর মধ্যে ৪৯ নম্বর পেয়ে ‘আংশিক স্বাধীন’ ক্যাটাগরিতে স্থান পায় বাংলাদেশ। নতুন গবেষণা প্রতিবেদনেও একই অবস্থানে আছে দেশ।
ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদনে যে সব দেশ পয়েন্টের দিক থেকে শূন্য থেকে ৩০ পেয়েছে তারা ‘স্বাধীন’ ও যে সব দেশ ৩১ থেকে ৬০ পেয়েছে তারা ‘আংশিক স্বাধীন’ ক্যাটাগরিতে পড়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৮৫ লাখ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের হার দেখানো হয়েছে ১০ শতাংশ। গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের প্রসার বাড়লেও এর ব্যবহারে স্বাধীনতা টানা পাঁচ বছর ধরে কমেছে।