• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • নিয়ানডারথাল জিনের ধারকরাই বেশি করোনার ঝুঁকিতে

    করোনা ভাইরাসে ৫ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আবার করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে সাড়ে ৬৫ লাখের বেশি মানুষ। মূলত গুরুতর অসুস্থদের ক্ষেত্রে এই মৃত্যুর হার বেশি পরিলক্ষিত হলেও দেখা গেছে—অনেক সময় গুরুতর অসুস্থ কেউ হয়তো ঠিকই সুস্থ হয়ে গেছে, কিন্তু তেমন কোনো অসুস্থতা না থাকলেও কেউ একজন মারা গেছে।

    এই মৃত্যুর পেছনে আর কী কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জার্মানি ও সুইডেনের একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, আজ থেকে ৬০ হাজার বছর আগের একটি জিনের উত্তরসূরিরাই বেশি মারা যাচ্ছে! তবে এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো চূড়ান্ত কোনো প্রমাণ পাননি যে এই জিনের কারণেই মানুষের বেশি মৃত্যু হচ্ছে।

    ইতালি ও স্পেনের হাসপাতালে ভর্তি ৩ হাজার ১৯৯ জন রোগীর ওপর করা এই গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ৬০ হাজার বছর আগের নিয়ানডারথালেনসিস প্রজাতির একধরনের মানুষের জিনের ধারক-বাহক রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আর এই জিনের ধারক-বাহকেরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

    গবেষকদের মতে, নিয়ানডারথালেনসিস প্রজাতির মানুষের উত্তরসূরিরা তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে বেশি রোগে আক্রান্ত হয়। এই জিনের কারণে তাদের রোগের প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাই তারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। দেখা গেছে, এদের সাধারণত অন্যদের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি ভেন্টিলেটর ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়েছে। মূলত গবেষণায় মানুষের ডিএনএ নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়েই তারা ঐ বিশেষ প্রজাতির মানুষের ডিএনএর সঙ্গে মিল খুঁজে পান।

    অধ্যাপক হুগো জেবার্গ ও ড. সিভানতে পাবো নামের দুই জন বিজ্ঞানী এই রহস্য উন্মোচন করেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার জাতিসত্তার মধ্যে এই জিন বেশি রয়েছে। বলা যায়, গড়ে এক-তৃতীয়াংশ মানুষই নিনদারথ্যাল জিন বহন করে চলেছেন। আশ্চর্যের বিষয়, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশিদের মধ্যেই নাকি (৬৩ শতাংশ) নিয়ানডারথালদের জিনের বৈশিষ্ট্য বেশি বিদ্যমান। ভারত-পাকিস্তান-নেপাল-শ্রীলঙ্কানদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মানুষ এই জিনের ধারক। অন্যদিকে ইউরোপে ৮ শতাংশ মানুষের মধ্যে রয়েছে এই জিনের বৈশিষ্ট্য।

    অধ্যাপক হুগো জেবার্গ ও ড. সিভানতে পাবো তাদের গবেষণায় বলেছেন, নিয়ানডারথাল জিনের ক্রম বিশ্লেষণ করে তারা দেখতে পেয়েছেন, সেখানে থাকা ৩ নম্বর ক্রোমোজোমটি করোনা ভাইরাসে সার্স-কোভ-২ সংক্রমণের পর বেশি ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৪০ হাজার বছর থেকে ৬০ হাজার বছর আগের এই সময়টাতে নিয়ানডারথালের প্রায় সমগোত্রীয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে মানুষের ধারায় যুক্ত হয়। আকার-আকৃতিতে অনেকটাই মানুষের সঙ্গে এদের মিল থাকলেও এরা মানুষের চেয়ে বেশি পেশিবহুল ছিল। —ডেইলি মেইল

    জাপানে পারিবারিক ব্যয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ হ্রাস

    জাপানে পারিবারিক ব্যয় মে মাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণে কমে গেছে, কেননা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহতভাবে ভোক্তাদের বাড়িতে থাকতে বাধ্য করেছে।

    অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, গড়ে দুই বা ততোধিক সদস্য থাকা পরিবারগুলোর ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার ইয়েন বা প্রায় ২ হাজার ৩৫০ মার্কিন ডলারের একটু উপরে।

    এক বছর আগের থেকে এই ব্যয় কমে যায় ১৬.২ শতাংশ। এটি হচ্ছে পর পর দ্বিতীয় মাস যেখানে দুই অংকের সংখ্যার হ্রাস পরিলক্ষিত হল এবং ২০০১ সালে তুলনামূলক পরিসংখ্যান রাখা শুরু করার পর থেকে সবচেয়ে বেশি হ্রাস।

    পারিবারিক ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি এমনকি কোভিড-১৯’এর আগেও ঋণাত্মক হয়েছে। এই প্রবণতা শুরু হয় অক্টোবরে যখন ভোগ্যপণ্য কর বাড়ানো হয়েছিল। মে মাস হচ্ছে পর পর ৮ মাস এ ধরনের পতন পরিলক্ষিত হওয়া মাস।

    ভোক্তারা এখন বিনোদনের দিকে তেমন নজর দিচ্ছেন না, বিশেষ করে হোটেলে থাকা এবং ভ্রমণের পাশাপাশি চলচ্চিত্র-থিয়েটারে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পতন পরিলক্ষিত হয়।

    কিছু কিছু শিল্পে প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়। লোকজন দীর্ঘসময় ধরে বাড়িতে থাকাকালীন নিজেদের বিনোদনের জন্য ভিডিও-গেমসের উপর বেশি ব্যয় করেন।

    মুদিখানার সামগ্রীর ক্রয়ও বাড়ে, কেননা ভোক্তারা রেস্তোরাঁ থেকে দূরে ছিলেন।