• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপানে ভারী বৃষ্টিপাতে মৃতের সংখ্যা ৭২ ছুঁয়েছে

    জাপানে ভারী বৃষ্টিপাতে ৭২ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে যার মধ্যে ৬৪টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে কুমামোতো জেলায়। আর সোমবার দুপুর পর্যন্ত দেশ জুড়ে আরও ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

    করোনাভাইরাসের হুমকির কারণে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অনেক অধিবাসীদের নিজেদেরই তাদের সবকিছু পরিষ্কার করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে, শুধুমাত্র স্বল্পসংখ্যক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীর দেখা মিলছে এবং সংক্রমণের ভীতি থেকে বাইরের কাউকেও ঐসব এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

    পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত লোকজনকে কর্তৃপক্ষ আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকতে সতর্ক করে দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভূমিতে পানি জমে থাকায় এবং নদীর তীর সমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমনকি সামান্য পরিমাণ বৃষ্টিও বিপর্যয়ের সৃষ্টি করতে পারে।
    আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দেয়া কর্মকর্তারা বলছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত আরও বৃষ্টি হতে পারে।

    জাপানের কিছু অংশে ভারী বর্ষণ অব্যাহত আছে

    মৌসুমি একটি বৃষ্টিপাত বলয় পশ্চিম ও পূর্ব জাপানের অংশ বিশেষের উপর হুমকি হয়ে ঝুলে থাকা অবস্থায় জাপানের কিছু অংশে প্রচণ্ড বর্ষণ অব্যাহত আছে।

    জাপানের আবহাওয়া এজেন্সি কাদার ধ্বস নামার সম্ভাবনা ও বন্যা দেখা দেয়া নিয়ে এলাকাবাসীদের সতর্ক করে দিচ্ছে।

    পশ্চিম থেকে পূর্ব জাপান বরাবর বিস্তৃত এলাকা জুড়ে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাত আঘাত হানা প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় স্থানীয় বর্ষণ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাত নিয়ে আসতে পারে।

    ভারী বৃষ্টিপাত অন্তত পক্ষে রবিবার পর্যন্ত বজায় থাকবে। কর্মকর্তারা কাদার ধ্বস নামা ও নদীর পানি উপচে পড়া ছাড়াও বজ্রপাত আঘাত হানা এবং টর্নেডো সহ দমকা হাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

    কিউশু’র অংশ বিশেষ এবং গিফু ও নাগানো জেলার মত ইতিমধ্যে মুষলধারার বর্ষণে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে আরও ক্ষয়ক্ষতির খুবই উচ্চ মাত্রার ঝুঁকি বজায় আছে। আবহাওয়া কর্মকর্তারা অন্ধকার হয়ে আসার পূর্বে আগে থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়া এবং নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিয়ে রাখার অনুরোধ জনগণের প্রতি জানাচ্ছেন।

    করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্ক: গবেষণা

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের অসংখ্য মানুষ। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন অনেকেই। তবে গবেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

    বিবিসি জানায়, করোনা ভাইরাসের কারণে মস্তিষ্কের বড় ধরনের অসুখ হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ডাক্তাররা হয়তো এই রোগ শনাক্তই করতে পারছেন না।

    যুক্তরাজ্যে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন বা ইউসিএলের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ৪৩ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে স্নায়ুজনিত গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে ব্যথা, মানসিক বৈকল্য এবং মানসিক বিকারজনিত প্রলাপ।

    ওই গবেষণায় দেখা গেছে, এসব রোগীর মস্তিষ্ক হয় ঠিক মতো কাজ করেনি, স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন অথবা মস্তিষ্কে অন্যান্য ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

    ইউসিএল-এর ইন্সটিটিউট অফ নিউরোলজির ড. মাইকেল জান্ডি বলেছেন, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির পর ১৯২০ ও ১৯৩০ এর দশকে এনসেফালাইটিস লেথারজিকার মতো যেসব মানসিক সমস্যা হয়েছিল সেরকম কিছু করোনা ভাইরাস মহামারির পরেও হবে কিনা সেটা দেখার বিষয়।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রত্যাহারের নোটিশ দিল যুক্তরাষ্ট্র

    মার্কিন সরকার জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে যে আগামী বছরের জুলাই মাসে দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে যাবে।

    যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মঙ্গলবার এনএইচকে’কে বলেছেন যে প্রত্যাহার সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে জানানো হয়েছে। আগামী বছর ৬ জুলাই প্রত্যাহারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

    আংশিকভাবে চীন থেকে ভ্রমণের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সমালোচনামূলক প্রতিক্রিয়া দেখানোয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে “চীন কেন্দ্রিক” বলে অভিযুক্ত করেছেন। মে মাসে ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে তার দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছে। তিনি আভাস দিয়েছেন যে ওয়াশিংটন সংস্থাকে দেয়া তহবিল বন্ধ রাখবে এবং অন্য উদ্দেশ্যে সেই অর্থ খরচ করবে।

    যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ লক্ষের কাছাকাছি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সনাক্ত করা হয়, ট্রাম্প যেটাকে “চায়না ভাইরাস” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পরিকল্পিত এই প্রত্যাহার মহামারী সামাল দেয়ায় তার সমালোচনাকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করার লক্ষ্যে নেয়া হতে পারে।

    বার্ষিক ৩৭ কোটি ডলারের বেশি পরিমাণ অর্থ দেয়ার মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবচেয়ে বড় তহবিল যোগানো দেশ। আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহার নোটিশ সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় চালানো বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।

    গিফু, নাগানো জেলায় অব্যাহত সতর্কতার আহ্বান

    কিউশু দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল প্লাবিত করা ভারী বর্ষণ এখন জাপানের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে বিস্তৃত হয়েছে। আবহাওয়া এজেন্সি গিফু ও নাগানো জেলার জন্য জারি করা প্রচণ্ড বর্ষণের জরুরি সতর্কতা সাধারণ সতর্কতার পর্যায়ে নামিয়ে আনলেও স্থানীয় নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকায় এলাকাবাসীদের পরিস্থিতির উপর অব্যাহত নজর রাখতে বলছে।

    সেইসব অঞ্চলকে এরকম বৃষ্টিপাতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে যা গত কয়েক দশকে দেখা যায়নি। কর্মকর্তারা বলছেন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সেখানে ইতিমধ্যে জুলাই মাসের গড়কে ছাড়িয়ে গেছে।

    গিফু জেলায় হিদা নদীর পানি উপচে পড়ে গেরো শহরকে প্লাবিত করলে স্থানীয় এলাকাগুলো নিমজ্জিত হয়ে যায়। বৃষ্টিপাত একই সাথে ভূমিধ্বস শুরু করে দিলে গাছপালা তা ভাসিয়ে নেয় এবং বাড়িঘর মাটিচাপা দেয়। তাকাইয়ামা শহরের অধিবাসীরা বলছেন কাছাকাছি জায়গার একটি ঢাল থেকে আসা কাদা তাদের ঘরের ভেতরে ঢুকে গেছে।

    সারা জেলা জুড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ ও পরামর্শ কার্যকর রয়েছে।

    সারা দেশ জুড়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকা অবস্থায় প্রতিবেশী নাগানো জেলাতেও নদী উপচে পড়ছে।

    শিমোজো গ্রামে অধিবাসীদের বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিসো শহরের কর্মকর্তারা বলছেন সড়ক পথ কাদায় ডুবে যাওয়ার বেশ কিছু খবর তারা পেয়েছেন।

    জেলার বেশ কয়েকটি পৌর এলাকার অধিবাসীদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

    নিয়ানডারথাল জিনের ধারকরাই বেশি করোনার ঝুঁকিতে

    করোনা ভাইরাসে ৫ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আবার করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে সাড়ে ৬৫ লাখের বেশি মানুষ। মূলত গুরুতর অসুস্থদের ক্ষেত্রে এই মৃত্যুর হার বেশি পরিলক্ষিত হলেও দেখা গেছে—অনেক সময় গুরুতর অসুস্থ কেউ হয়তো ঠিকই সুস্থ হয়ে গেছে, কিন্তু তেমন কোনো অসুস্থতা না থাকলেও কেউ একজন মারা গেছে।

    এই মৃত্যুর পেছনে আর কী কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জার্মানি ও সুইডেনের একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, আজ থেকে ৬০ হাজার বছর আগের একটি জিনের উত্তরসূরিরাই বেশি মারা যাচ্ছে! তবে এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো চূড়ান্ত কোনো প্রমাণ পাননি যে এই জিনের কারণেই মানুষের বেশি মৃত্যু হচ্ছে।

    ইতালি ও স্পেনের হাসপাতালে ভর্তি ৩ হাজার ১৯৯ জন রোগীর ওপর করা এই গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ৬০ হাজার বছর আগের নিয়ানডারথালেনসিস প্রজাতির একধরনের মানুষের জিনের ধারক-বাহক রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আর এই জিনের ধারক-বাহকেরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

    গবেষকদের মতে, নিয়ানডারথালেনসিস প্রজাতির মানুষের উত্তরসূরিরা তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে বেশি রোগে আক্রান্ত হয়। এই জিনের কারণে তাদের রোগের প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাই তারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। দেখা গেছে, এদের সাধারণত অন্যদের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি ভেন্টিলেটর ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়েছে। মূলত গবেষণায় মানুষের ডিএনএ নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়েই তারা ঐ বিশেষ প্রজাতির মানুষের ডিএনএর সঙ্গে মিল খুঁজে পান।

    অধ্যাপক হুগো জেবার্গ ও ড. সিভানতে পাবো নামের দুই জন বিজ্ঞানী এই রহস্য উন্মোচন করেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার জাতিসত্তার মধ্যে এই জিন বেশি রয়েছে। বলা যায়, গড়ে এক-তৃতীয়াংশ মানুষই নিনদারথ্যাল জিন বহন করে চলেছেন। আশ্চর্যের বিষয়, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশিদের মধ্যেই নাকি (৬৩ শতাংশ) নিয়ানডারথালদের জিনের বৈশিষ্ট্য বেশি বিদ্যমান। ভারত-পাকিস্তান-নেপাল-শ্রীলঙ্কানদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মানুষ এই জিনের ধারক। অন্যদিকে ইউরোপে ৮ শতাংশ মানুষের মধ্যে রয়েছে এই জিনের বৈশিষ্ট্য।

    অধ্যাপক হুগো জেবার্গ ও ড. সিভানতে পাবো তাদের গবেষণায় বলেছেন, নিয়ানডারথাল জিনের ক্রম বিশ্লেষণ করে তারা দেখতে পেয়েছেন, সেখানে থাকা ৩ নম্বর ক্রোমোজোমটি করোনা ভাইরাসে সার্স-কোভ-২ সংক্রমণের পর বেশি ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৪০ হাজার বছর থেকে ৬০ হাজার বছর আগের এই সময়টাতে নিয়ানডারথালের প্রায় সমগোত্রীয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে মানুষের ধারায় যুক্ত হয়। আকার-আকৃতিতে অনেকটাই মানুষের সঙ্গে এদের মিল থাকলেও এরা মানুষের চেয়ে বেশি পেশিবহুল ছিল। —ডেইলি মেইল

    জাপানে পারিবারিক ব্যয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ হ্রাস

    জাপানে পারিবারিক ব্যয় মে মাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণে কমে গেছে, কেননা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহতভাবে ভোক্তাদের বাড়িতে থাকতে বাধ্য করেছে।

    অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, গড়ে দুই বা ততোধিক সদস্য থাকা পরিবারগুলোর ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার ইয়েন বা প্রায় ২ হাজার ৩৫০ মার্কিন ডলারের একটু উপরে।

    এক বছর আগের থেকে এই ব্যয় কমে যায় ১৬.২ শতাংশ। এটি হচ্ছে পর পর দ্বিতীয় মাস যেখানে দুই অংকের সংখ্যার হ্রাস পরিলক্ষিত হল এবং ২০০১ সালে তুলনামূলক পরিসংখ্যান রাখা শুরু করার পর থেকে সবচেয়ে বেশি হ্রাস।

    পারিবারিক ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি এমনকি কোভিড-১৯’এর আগেও ঋণাত্মক হয়েছে। এই প্রবণতা শুরু হয় অক্টোবরে যখন ভোগ্যপণ্য কর বাড়ানো হয়েছিল। মে মাস হচ্ছে পর পর ৮ মাস এ ধরনের পতন পরিলক্ষিত হওয়া মাস।

    ভোক্তারা এখন বিনোদনের দিকে তেমন নজর দিচ্ছেন না, বিশেষ করে হোটেলে থাকা এবং ভ্রমণের পাশাপাশি চলচ্চিত্র-থিয়েটারে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পতন পরিলক্ষিত হয়।

    কিছু কিছু শিল্পে প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়। লোকজন দীর্ঘসময় ধরে বাড়িতে থাকাকালীন নিজেদের বিনোদনের জন্য ভিডিও-গেমসের উপর বেশি ব্যয় করেন।

    মুদিখানার সামগ্রীর ক্রয়ও বাড়ে, কেননা ভোক্তারা রেস্তোরাঁ থেকে দূরে ছিলেন।

    জরুরি অবস্থা ঘোষণার কোন প্রয়োজন নেইঃ জাপানের প্রধানমন্ত্রী

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকলেও পুনরায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার কোন প্রয়োজন নেই।

    আবে গতকাল দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ সামাল দেয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী কাতো কাতসুনোবুর সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলেন।

    এই বৈঠকে টানা তিন দিন ধরে টোকিও’তে ঘটা শতাধিক নিশ্চিত সংক্রমণ’সহ সারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আবে’কে অবহিত করা হয়।

    কর্মকর্তারা বলেন যে নতুন সংক্রমিত ব্যক্তিদের অনেকেই অপেক্ষাকৃত তরুণ।

    তারা এই বিষয়ে সম্মত হন যে আপাতত আরেকটি জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রয়োজন না থাকলেও পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার।

    চীনে এবার প্লেগের হানা, আরেক মহামারির শঙ্কা

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত বিশ্ব। গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসের উৎপত্তি ঘটে। সম্পতি দেশটির বিজ্ঞানীরা নতুন এক ভাইরাসে মহামারি শঙ্কার কথা জানান। এরমধ্যে এবার দেশটিতে বুবোনিক প্লেগ রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার দেশটির বায়ান্নুর অঞ্চলের একটি হাসপাতালে সন্দেহজনক প্লেগে আক্রান্ত হওয়া ঘটনা সামনে এসেছে। এনিয়ে ওই অঞ্চলে ‘প্লেগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের স্তরের তৃতীয় সতর্কতা’ ঘোষণা করা হয়েছে।

    দেশটির স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানান, এই নির্দেশিকা পুরো বছর জুড়ে জারি থাকবে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে এ শহরে প্লেগ মহামারির আকার নেওয়ার মতো আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে আত্মসুরক্ষায় তৎপর এবং সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিষয়ে কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তা স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসে জানাতে হবে।

    এর আগে গত ১ জুলাই দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম মঙ্গোলিয়ার খোভদ প্রদেশে সম্প্রতি দুই বাবোনিক প্লেগ রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বয়স ২৭ বছর এবং অন্য জনের বয়স ১৭ বছর। তারা সম্পর্কে দুই ভাই।

    ওই প্রদেশেরই দু’টি আলাদা হাসপাতালে দু’জনের চিকিৎসা চলছে। তাদের সংস্পর্শে আসা ১৪৬ জনকে চিহ্নিত করে আইসোলেট করা হয়েছে। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।

    জানা যায়, ওই দুই ভাই মারমোটের মাংস খেয়ে বুবোনিক প্লেগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে মারমোটের মাংস না খাওয়ার জন্য দেশটির প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বুবোনিক প্লেগ একটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির এতে মৃত্যু হতে পারে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, সিসিটিএন, মিরর।

    করোনা: বাতাসে ভেসে থাকার তথ্য গোপন, ডব্লিউএইচওকে চ্যালেঞ্জ

    করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একেক সময় একেক রকম ব্যাখ্যা নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এরই মধ্যে এই স্বাস্থ্যটিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ২৩৯ জন গবেষক।

    তারা বলছেন, করোনা ভাইরাস যে বাতাসে ভেসে থাকার মাধ্যমে ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করছে তা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো সতর্কতা জারি করতে পারেনি।

    লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন কেবল মাত্র দুই ধরনের সংক্রমণের মাধ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

    একটি হলো আশপাশের সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে শ্বাস প্রশ্বাসের ফোঁটা বা ড্রপলেটের মাধ্যমে অন্যের শরীরে ভাইরাস ঢুকে যাওয়া। অপরটি হচ্ছে কোনো কিছুর দূষিত পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করার মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়া।

    তবে বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দেখিয়ে বলছেন, এসব কারণ ছাড়াও তৃতীয় আরেকটি মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু সেটাকে উপেক্ষা করছে ডব্লিউএইচও।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অতি ক্ষুদ্র কণা বা অ্যারোসোল কণা দীর্ঘ সময় ধরে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। এমনকি এসব কণা ছয় ফুট পর্যন্ত ভেসে থাকে। ফলে যে সব জায়গায় বাতাস কম বা আবদ্ধ, সে সব স্থানগুলো বিপজ্জনক করে তোলে করোনা ভাইরাস। এসব জায়গায় ১ দশমিক ৮ মিটার দূরত্ব রেখেও কোনও লাভ হয় না। যেমন- ঘর, যাত্রীবাহী বাস, অন্যান্য যানবাহন ইত্যাদি।

    অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ভাইরাস সংক্রমণের এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তারা শুধু বলছে এটি কেবল ইনটিউবেশনের মতো চিকিৎসা কার্যক্রমের সময় ছড়াতে পারে।

    অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক লিডিয়া মোরাওস্কা বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাস বাতাসে ভেসে থাকার বিষয়টি আমরা শতভাগ নিশ্চিত।’

    বাতাসে ভাইরাস ভেসে থাকার বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় তিনি জাতিসংঘের সংস্থাটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি খোলা চিঠি লিখেন।

    যেখানে ৩২টি দেশের মোট ২৩৯ জন গবেষক স্বাক্ষর করেছেন। যা পরের সপ্তাহে একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।

    এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ জোসে জিমনেজ বলেন, ‘অ্যারোসোল সংক্রমণ মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য নয়, আর ভাইরাস যে পরিবর্তন হয়েছে এমনটিও নয়। আমরা মনে করি ভাইরাসটি এইভাবেই (বাতাসে) সংক্রামিত হয়েছে। সুতরাং বিষয়টি জেনে পদক্ষেপ নিয়ে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি।’

    কুমামোতো জেলায় বন্যায় ২০ জনের প্রাণহানি

    দক্ষিণ পশ্চিম জাপানের কুমামোতো জেলায়, প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও কাদা ধ্বসে মৃতের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছেছে। কর্তৃপক্ষ, ১৪ জনের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্বের কোন গুরুতর লক্ষণ নেই এবং ১৪ ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায়।

    গতকালের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে অনেকগুলো আবাসিক এলাকা প্লাবিত হয়ে গেলেও বর্তমানে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এসেছে।

    দুটি নদীর ১১টি স্থান প্লাবিত হয়ে গেছে।

    আজ হিতোইয়োশি শহর, ৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করায় জেলাটিতে মৃতের মোট সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছেছে।

    কর্তৃপক্ষগুলো, আত্মরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা কয়েকজন বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাটি থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে সারা রাত ধরে কাজ করেন বলে জানায়।

    উল্লেখ্য, বন্যা ও কাদা ধ্বসে সাগারা গ্রামসহ জেলার প্রায় ৩০টি শহর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

    যুক্তরাজ্যের বর্ষসেরা চিকিৎসক বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফারজানা, বিলবোর্ডে ছবি টানিয়ে সম্মান  

    যুক্তরাজ্যের বর্ষসেরা চিকিৎসক (জিপি অব দ্য ইয়ার) মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফারজানা হুসেইন। এজন্য তার প্রতি সম্মান জানাতে ছবি টানানো হয়েছে পিকাডেলী বিলবোর্ডে।

    যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ‘জেনারেল প্র‍্যাকটিস’ এর জন্য এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

    জানা যায়, পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যামে বসবাসকারী ফারজানা হুসেইন গত ১৮ বছর ধরে স্থানীয় পর্যায়ে এই খেতাব পেয়ে আসছিলেন। এবার তিনি জাতীয় পর্যায়ে ‘জিপি’ মনোনীত হলেন।

    ফারজানা হুসেইন গত ৩ বছরে তিনি নিউহ্যামের স্থানীয় চিকিৎসা কমিটিতে ছিলেন। সেইসঙ্গে নিউহ্যামের ‘জেনাারেল প্র‍্যাকটিস ফেডারেশন’ এর বোর্ড ডিরেক্টর।

    যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণার ফল

    রূপান্তরিত করোনা দ্রুত ছড়ালেও মানুষ বেশি অসুস্থ হচ্ছে না

    করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন একটি ‘ধরন’ ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। রূপান্তরিত এই ভাইরাসটি বেশিসংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করতে সক্ষম। তবে সংক্রমিত ব্যক্তিকে বেশি অসুস্থ করতে পারছে না। এক বৈশ্বিক গবেষণায় এর শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে।

    গতকাল শুক্রবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলা ইনস্টিটিউট ফর ইমিউনোলজি এবং করোনা ভাইরাস ইমিউনোথেরাপি কনসোর্টিয়ামের এক গবেষণায় করোনা ভাইরাসের রূপান্তর এবং সংক্রমণ নিয়ে নতুন এই তথ্য উঠে এসেছে। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সেলে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষক দলটি শুধু করোনার জেনেটিক সিকোয়েন্সই পরীক্ষা করেনি বরং তারা ল্যাবে মানুষ, প্রাণী এবং কোষে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছে। যাতে দেখা যায়, ভাইরাসটির রূপান্তরিত ধরনটি আরো বেশি সংক্রামক হয়ে উঠেছে।

    গবেষণার সঙ্গে যুক্ত লা জোলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এরিকা ওলম্যান সাফায়ার বলেন, নতুন ভাইরাসটি নিজেকে অভিযোজিত করতে পারে। এটি এখন মানুষকে সংক্রমিত করার প্রবল শক্তি রাখে। ভ্যাকসিন দ্বারা ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না, এখন গবেষকরা সেটি পরীক্ষা করে দেখছেন।

    যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা সংক্রান্ত নতুন নিয়মের নেতিবাচক প্রভাব ৩শো’র বেশি জাপানি কোম্পানির ওপর

    এক সমীক্ষায় জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের শেষ অব্দি কিছু কিছু কর্ম ভিসা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে, এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে ৩শোরও বেশি জাপানি কোম্পনির ওপর।

    জাপান বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থা বা জেটরো ২৬শে জুন থেকে ১লা জুলাই পর্যন্ত এই সমীক্ষাটি পরিচালনা করে।

    ২২শে জুন মার্কিন সরকার ঘোষণা করে যে করোনাভাইরাস মহামারীর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের লোকজনের জন্য চাকরি সুরক্ষিত রাখতে কিছু কিছু খাতের বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার জন্য কর্ম ভিসা দেওয়া সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হবে।

    যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা পরিচালনা করে, এমন জাপানি কোম্পানির মধ্যে সমীক্ষাটি গ্রহণ করে জেট্রো এবং এদের মধ্যে ৯শো ৬১টি কোম্পানি প্রশ্নের উত্তর দেয়।

    ৩০৮টি কোম্পানি বা উত্তরদাতাদের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগের বেশি কোম্পানি জানায় যে তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কলকারখানা ও অফিসের জন্য কর্মী যোগাড় করতে সমস্যার মুখোমুখি হবে। সমীক্ষায় জানা যায়, ভিসা নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হবেন মোট ১ হাজার ৪শো ৬ জন কর্মী।

    উত্তরদাতা কোম্পানির মধ্যে ৩৫ শতাংশের ওপর কোম্পানি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ১৩ শতাংশ কোম্পানি জানায় যে তাদের ওপর এর প্রভাব হবে গুরুতর।

    উত্তরদাতা কিছু কোম্পানি বলে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সম্পর্কিত নতুন নিয়মের ফলে তাদের কর্মী সংক্রান্ত পরিকল্পনা ব্যাহত হচ্ছে এবং তাদের হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড কমিয়ে ফেলতে হবে।

    জাপানের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাষ

    জাপানের আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলেছেন, শনিবার দেশের প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহকারে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং তার ফলে কাদাধ্বসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা আছে।

    আবহাওয়া এজেন্সি জানায়, উষ্ণ এবং আর্দ্র বাতাসের বলয় নিম্ন চাপের সঙ্গে মিলে, প্রধানত দেশের পশ্চিমাংশে অস্থিতিশীল বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

    কিয়ুশুর দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার সকালে প্রবল বৃষ্টি হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘন্টায় কাগোশিমা জেলার তারুমিযু শহরে প্রায় ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

    কর্মকর্তারা এই বলে সতর্ক ক’রে দেন যে, উষ্ণ এবং আর্দ্র বাতাসের বলয়ের প্রভাবে পশ্চিম জাপান ও মধ্য জাপানের তোকাই অঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঘন্টাপ্রতি ৫০ মিলিমিটারেরও বেশি পরিমাণের ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    কর্মকর্তারা এই বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন যে কিয়ুশু, তোকাই এবং কান্তো-কোশিন অঞ্চলে চলতি সপ্তাহে আরও আগে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে এসব জায়গায় কাদাধ্বস নামার আশংকা আছে।

    নদী ফুলেফেঁপে ওঠায় নিচু এলাকায় বন্যা দেখা দেওয়া, বজ্রপাত এবং টর্নেডো সহ প্রবল বাতাস সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক থাকতেও আহ্বান জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা।