• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ সুবিধাভোগী দেশের তালিকা থেকে জাপানের নাম প্রত্যাহার

    দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে যে, তারা অগ্রাধিকারমূলক রপ্তানি প্রক্রিয়ার সুবিধাভোগী দেশের তালিকা থেকে জাপানের নাম প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করেছে।

    দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী সুং ইউন-মো সোমবার বলেন, মন্ত্রণালয় জাপানকে একটি নতুন অবস্থানে রাখবে যাদের জন্য আরও কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ প্রযোজ্য হবে।

    এই পরিকল্পনার অধীনে, জাপানের নাম স’উলের আস্থাভাজন বাণিজ্য অংশীদারের ২৯টি দেশের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।

    বিভিন্ন কোম্পানিকে জাপানে পণ্য চালানের জন্য আরও বেশি দলিলাদি পেশ করতে হবে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রক্রিয়ার সময় দীর্ঘায়িত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সুং বলেন, তা্দের একটি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর সূচনা করা দরকার, কেননা প্রায়ই রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের মৌলিক নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করা এবং অনুপযুক্ত ব্যবস্থা পরিচালনা করা একটি দেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা কঠিন।

    সুং এও বলেন, আগামী ২০ দিন ধরে সাধারণ জনগণের মতামত সংগ্রহ করার পরে সেপ্টেম্বর মাসে মন্ত্রণালয়ের এই নতুন শ্রেণীবিভাগ চালু করার কথা।

    সুং আরও বলেন, জনগণের মতামত সংগ্রহের পাশাপাশি টোকিও যদি অনুরোধ জানায় তাহলে, স’উল আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

    আগস্টের ২ তারিখে জাপান সরকার সহজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াভুক্ত দেশের তালিকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করে।

    একইদিনে স’উল ঘোষণা করে, তারা তাদের নিজস্ব আস্থাভাজন বাণিজ্য অংশীদারদের তালিকা থেকে জাপানের নামও বাদ দিয়ে দেবে।

    ২০২০ অলিম্পিক গেমসের উন্মুক্ত পানিতে সাঁতার ইভেন্টের এক পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    ২০২০ টোকিও অলিম্পিক গেমসের আয়োজক কমিটি পানির তাপমাত্রা, গুণাগুণ এবং সাধারণ পরিচালনা বিষয়গুলো নিশ্চিত করার জন্য উন্মুক্ত পানিতে সাঁতার ইভেন্টের এক পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

    রোববার টোকিওর উপকূলীয় এলাকার ওদাইবা ম্যারিন পার্কে আয়োজিত অলিম্পিক প্রতিযোগিতার অর্ধেক দূরত্ব ৫ কিলোমিটারের এক কোর্সে সারা বিশ্ব থেকে ৩৪ জন পুরুষ ও নারী সাঁতারু অংশ নেন।

    এই ইভেন্টের পুরুষ ও নারী উভয় প্রতিযোগিতাই সকাল ৭টার দিকে শুরু হয়। পুরুষদের প্রতিযোগিতা সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে পানির তাপমাত্রা আন্তর্জাতিক সাঁতার সমিতি নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যাওয়ার এক সম্ভাবনা থেকে খেলাটির সময় এগিয়ে নেয়া হয়।

    কমিটির কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রতিযোগিতার জন্য পানির তাপমাত্রা নির্ধারণের মানদণ্ড হচ্ছে, খেলা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া। তারা বলেন, এবারের খেলায় রোববার পানির তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই ২৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, তাই তারা অলিম্পিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উভয় সাঁতারের খেলার সময় সকাল ৭টার আগে এগিয়ে আনার কথা বিবেচনা করবেন।

    তাওয়াফ অবস্থার ভ্রান্তিসমূহ-১

    মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া

    তাওয়াফ করা হজের অন্যতম রুকন। অনেকেই এই তাওয়াফ করার সময় কিছু ভুলভ্রান্তি করে থাকে। এই নিবন্ধে আমরা তাওয়াফ বিষয়ক কিছু ভুল নিয়ে আলোচনা করতে চেষ্টা করব।

    তাওয়াফে নির্দিষ্ট দোয়াকে জরুরি মনে করা : তাওয়াফের প্রতি চক্করের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নির্দিষ্ট দোয়া পড়াকে জরুরি মনে করে। ফলে নির্দিষ্ট ঐ দোয়া শেষ হয়ে গেলে অন্য দোয়া পড়ে না। নির্দিষ্ট দোয়াটি নিজের মুখস্থ না থাকলে অন্যের সাহায্য নেয়। এ ধারণা ভুল। তাওয়াফ অবস্থায় নির্দিষ্ট দোয়া পড়া জরুরি নয়। রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদের মাঝে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনিয়া হাসানাহ… ’ এই দোয়া পড়া উত্তম। এটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এ ছাড়া পুরো তাওয়াফে মাছূর দোয়া তথা কুরআন-হাদিস বা সাহাবায়ে কেরাম থেকে বর্ণিত যে কোনো দোয়াই পড়া যেতে পারে। এমনিভাবে অন্য যে কোনো ভালো অর্থবোধক দোয়াও পড়া যেতে পারে। দোয়া আরবীতে করাও জরুরি নয়। নিজের ভাষায় করা যেতে পারে।

    জামাতবদ্ধ হয়ে তাওয়াফ করা : অনেকে জামাতবদ্ধ হয়ে তাওয়াফ করে এবং জামাতের মধ্যে একজন মুখস্থ বা দেখে দেখে উঁচু আওয়াজে দোয়া পড়ে আর তার সঙ্গে পুরো জামাত সমস্বরে দোয়া পড়তে থাকে। এ নিয়মে একাধিক আপত্তিকর বিষয় রয়েছে- (ক) সমস্বরে দলবদ্ধভাবে দোয়া পড়ার কারণে অন্যদের একাগ্রতা বিঘিœত হয়। (খ) এভাবে দোয়া পড়া-পড়ানোর রেওয়াজ সালাফ থেকে প্রমাণিত নেই। এ জন্যও তা ত্যাগ করা দরকার। (গ) আরো একটি বড় ক্ষতি হলো, দলবদ্ধভাবে চলার কারণে মাতাফে ভিড় সৃষ্টি হয়। অন্যদের ওপর অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। এতে অন্যদের ভীষণ কষ্ট হয়। অপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা খারাপ।

    যদি সকলেই নিজে নিজে চলত এবং দেখে দেখে দোয়া না পড়ত, যা মুখস্থ আছে তা-ই পড়ত তাহলে মাতাফে হঠাৎ যে চাপ সৃষ্টি হয় তা অনেক কমে যেত এবং সকলেই একাগ্রতার সঙ্গে আল্লাহ তায়ালার ধ্যানে নিমগ্ন থেকে দোয়া ও তাওয়াফ করতে পারত। – ইলাউস সুনান ১০/৮২।

    পুরো তাওয়াফে রমল করা : অনেককে দেখা যায়, তাওয়াফের ৭ চক্করেই রমল করে থাকে। আবার কেউ কেউ নফল তাওয়াফেও রমল করে। মনে করে, রমল সকল তাওয়াফে এবং তাওয়াফের সব চক্করেই করতে হয়। অথচ এটি ভুল। রমল শুধু ওই তাওয়াফেই করতে হয়, যে তাওয়াফের পর সায়ী আছে। আর এই তাওয়াফেরও সব চক্করে নয়, শুধু প্রথম তিন চক্করে।

    অন্যকে কষ্ট দিয়ে রমল করা : রমল করা সুন্নত। মাতাফে কোনো কোনো সময় অস্বাভাবিক ভিড় হয়। বিশেষ করে হজের আগে দু-এক দিন এবং যিলহজের ১০-১১ তারিখে। তখন মাতাফে চলাই মুশকিল হয়। সামান্য নড়াচড়ার প্রভাব পড়ে অনেক দূর পর্যন্ত। কিন্তু আশ্চর্য হলো, ওই কঠিন ভিড়েও কাউকে কাউকে রমল করতে দেখা যায়। এতে নিজেরও প্রচুর কষ্ট হয়। বিশাল জনসমুদ্রকেও কষ্ট দেয়া হয়। তাদের অবস্থা দেখে মনে হয়, রমলটা তাওয়াফের ফরজ অংশ। এজন্যই বুযুর্গগণ বলেন, ‘যথাযথ হজ করতে হলে সামান্য ইলম যথেষ্ট নয়; বরং প্রচুর ইলম এবং তার সঙ্গে অনেক বেশি আকলের প্রয়োজন।’ রমল ছাড়াও তাওয়াফ আদায় হয়ে যায়। তাই প্রচন্ড ভিড়ে অন্যকে কষ্ট দিয়ে রমল করা যাবে না; বরং তখন স্বাভাবিকভাবে চলবে। চলতে চলতে কখনো সামান্য ফাঁকা পেলে এবং অন্যের কষ্ট না হলে স্বাভাবিক গতিতে রমলের চেষ্টা করবে। -সহিহ মুসলিম ১/৪১০।

    মহিলাদের রমল : রমল শুধু পুরুষের জন্য। এ বিধানটি মহিলাদের জন্য নয়। কিন্তু কখনো কখনো মহিলাদেরকেও তা করতে দেখা যায়। এটি ভুল। – মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদিস : ১৩১১০।

    জাপানের এমিরিটাস সম্রাজ্ঞীর স্তন ক্যানসারের অস্ত্রপচার হবে

    জাপানের রাজ পরিবার সংক্রান্ত এজেন্সি জানিয়েছে এমিরিটাস সম্রাজ্ঞী মিচিকো’র অপেক্ষাকৃত প্রাথমিক পর্যায়ের স্তন ক্যানসার ধরা পড়েছে।

    তাঁর অস্ত্রপচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এজেন্সির কর্মকর্তারা।

    আসামা পর্বতে অগ্ন্যুৎপাতের পর সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান

    মধ্য জাপানের আসামা পর্বতে গতরাতের হালকা অগ্ন্যুৎপাতের পর পর্বত থেকে দূরে থাকার আহ্বান লোকজনের প্রতি জানানো হচ্ছে।

    নাগানো ও গুন্মা জেলার মাঝ বরাবর অবস্থিত সেই পাহাড়ে রাত দশটার অল্প পরের অগ্ন্যুৎপাতের পর আবহাওয়া এজেন্সি ৫ মাত্রার সতর্কতা স্কেলে আগ্নেয়গিরির সতর্কতা মাত্রা এক থেকে তিনে উন্নীত করে নিয়েছে। এর পর থেকে নতুন আর কোন অগ্ন্যুৎপাত দেখা যায়নি।

    এজেন্সির কর্মকর্তারা বলেছেন জ্বালামুখ থেকে বের হয়ে আসা ধুঁয়া পাহাড়ের ১,৮০০ মিটার উচ্চতায় উঠে যায় এবং বড় আকারের পাথর জ্বালামুখ থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত দূরে উড়ে যায়।

    গতকাল রাতের অগ্ন্যুৎপাত জ্বালামুখের নিচে আগ্নেয়গিরি-জনিত কম্পনের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার মুখে ঘটে। গত মাসে দিনে ৫০টির মত কম্পনের তুলনায় চলতি মাসে প্রতিদিন প্রায় দশটি করে কম্পন লক্ষ্য করা গেছে।

    এজেন্সির কর্মকর্তারা বলছেন অগ্ন্যুৎপাতের পর থেকে আগ্নেয়গিরির কম্পনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সকাল দশটা পর্যন্ত ২৫টি কম্পন লক্ষ্য করা যায়। তবে কর্মকর্তারা বলছেন নতুন ম্যাগমা তৈরি হওয়ার আভাস দেয়া উপরিভাগের কোনরকম চলাচল লক্ষ্য করা যায়নি।

    জাপান জুড়ে তীব্র দাবদাহ অব্যাহত

    জাপানের কান্তো অঞ্চলের কিছু অংশে তাপমাত্রা প্রায় ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওঠার মধ্যে দিয়ে আজ জাপানের বেশিরভাগ অংশেই পারদ বেশ উঁচু অবস্থানে ছিল।
    এই অঞ্চলের অনেক স্থানেই আবহাওয়া চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ ছিল।

    গুনমা জেলার মায়েবাশি এবং ইসেসাকি শহরে তাপমাত্রা ৩৮.৯ ডিগ্রী এবং তোচিগি জেলার সানো শহরে ৩৮.৭ ডিগ্রী পর্যন্ত ওঠে।
    আগামীকাল আরও গরম আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দেয়া হয়েছে।

    জাপানের আবহাওয়া এজেন্সি বলছে, গতকাল পর্যন্ত গত দু’সপ্তাহে দিনের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দেশজুড়ে যে কোন বছরের গড় তাপমাত্রা হতে ১.৫ থেকে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি।

    গত সপ্তাহে জাপান জুড়ে ১৮ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত 

    জাপানের অগ্নি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সির কর্মকর্তারা বলছেন, গত রবিবার শেষ হওয়া সপ্তাহটিতে অতি উচ্চ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকার কারণে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় দেশজুড়ে ১৮ হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

    এজেন্সি জানাচ্ছে যে গতমাসের ২৯ তারিখ থেকে চলতি মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩শ ৪৭ ব্যক্তি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এটি এর পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তির বয়স ৬৫ বা তার চাইতে বেশি।

    এজেন্সি কর্মকর্তারা বলছেন, আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং ৭শ ২৯ জন মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় দীর্ঘসময় ধরে তাদের হাসপাতালে অবস্থানের প্রয়োজন হয়।

    কর্মকর্তারা আরও বলছেন যে টোকিও’তে ১ হাজার ৮শ ৫৭ জন, মধ্য জাপানের আইচি জেলায় ১ হাজার ৩শ ৪২ জন এবং পশ্চিম জাপানের ওসাকা জেলায় মোট ১ হাজার ২শ ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে জাপানের অনেক অংশে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।

    আণবিক বোমা হামলার ৭৪ বছর পূর্তিতে হিরোশিমায় স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন

    জাপানের শহর হিরোশিমায় বিশ্বের প্রথমবারের মত আণবিক বোমা হামলার ৭৪তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

    আজ হিরোশিমা শান্তি স্মৃতি উদ্যানে সকাল ৮টায় এক স্মারক অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে ও ৯২টি দেশের প্রতিনিধি’সহ প্রায় ৫০ হাজার লোক এতে অংশ নেন।

    সেখানকার একটি স্মৃতিস্তম্ভে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৬ জন নিহত ব্যক্তির নামের একটি তালিকা স্থাপন করা হয়েছে। ঐ তালিকায় গত ১২ মাসে নিহতদের নামও অন্তর্ভুক্ত আছে।

    স্মারক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আজ সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে অর্থাৎ ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট আণবিক বোমা ফেলার মুহূর্তটিতে এক মৌন প্রার্থনায় মিলিত হন।

    উল্লেখ্য, একটি পরমাণু অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব অর্জনের সম্ভাবনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যেই এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হল।

    তিন দশক আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি মাইলফলক পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি গত শুক্রবার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। মাঝারি পাল্লার পরমাণু অস্ত্র চুক্তি বা আইএনএফ ছিল পরমাণু মুক্তকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

    হিরোশিমার মেয়র কাযুমি মাতসুই ঐ অনুষ্ঠানে একটি শান্তি ঘোষণা পাঠ করেন। এতে তিনি হিবাকুশা নামে পরিচিত আণবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনের কথায় কর্ণপাতের জন্য জাপান সরকারের কাছে আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, তারা দেখতে চাইছেন জাপান যেন পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করা একটি জাতিসংঘ চুক্তিতে অংশগ্রহণ করে।

    নারী ব্রিটিশ ওপেন জিতে নিলেন ২০ বছর বয়সী জাপানি খেলোয়াড় শিবুনো

    জাপানের লড়াকু গলফার হিনাকো শিবুনো নির্দিষ্ট সীমার চাইতে ১৮ টি শট কম খেলে নারী বিভাগে ব্রিটিশ ওপেন জিতে নিয়েছেন। ২০ বছর বয়সী শিবুনো গলফে এমন সম্মানজনক পদক জিতে নেয়া দ্বিতীয় জাপানি এবং ৪২ বছরের মধ্যে প্রথম।

    এটি ছিল তার প্রথম বিদেশী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ। তিনি এই মৌসুমে দেশে দুটি ট্যুর প্রতিযোগিতাও জিতে নিয়েছেন।

    চূড়ান্ত রাউন্ডে যাওয়ার সময় তিনি রোববার পারের চেয়ে ১৪ শট কম খেলেছেন এবং রানার আপের চেয়ে দুই শট এগিয়ে থেকে শীর্ষে ছিলেন।

    সামনের নয়টি হোলের ক্ষেত্রে তিনি তৃতীয় স্থানে চলে গেলেও দশম, বারতম, তেরতম এবং পনেরতম হোলের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা লিজেটে সালাসের সাথে একই অবস্থানে থাকেন। সালাসকে হারাতে শিবুনো পুনরায় এক শটে আঠারতম হোলে বল ফেলেন।

    এ ধরণের কৃতিত্ব দেখানো একমাত্র জাপানি গলফার ছিলেন হিসাকো হিগুচি, যিনি ১৯৭৭ সালে ইউএস এলপিজিএ চ্যাম্পিয়নশীপ জিতেন।

    জেতার পর শিবুনো বলেন তার অনুভূতি তিনি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেননা। তিনি বলেন তার এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।

    শিবুনো বলেন তার মনে হয়েছিল যে তিনি যেন জাপানেই খেলছেন কারণ তিনি শুনতে পেয়েছিলেন কেউ জাপানি ভাষায় কথা বলছিল। তিনি বলেন প্রথমার্ধে তিনি কিছুটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন কিন্তু নয় হোল পার করাসহ আঠারোতম হোলে বল ফেলে তিনি কিছুটা নিশ্চিন্ত হন। শিবুনো বলেন এই এক বলেই তিনি জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।

    হজ্বের মওসুম : আল্লাহর হুকুমের সামনে যেন সমর্পিত হই

    শাওয়াল মাসের আগমনের মাধ্যমে ‘আশহুরে হজ্ব’ বা হজ্বের মাসসমূহের সূচনা হয়েছে। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে- ‘اَلْحَجُّ اَشْهُرٌ مَّعْلُوْمٰتٌ’ ‘হজ্ব হচ্ছে নির্দিষ্ট মাস কয়েক।’ অর্থাৎ এই মাসগুলো হজ্বের মওসুম। এই সময় হজ্বের ইহরাম করা যায়। আর হজ্বের নির্ধারিত কাজসমূহ সম্পন্ন হয় যিলহজ্বের সেই দিনগুলোতে।

    হজ্ব ইসলামের অন্যতম রোকন। হাদীস শরীফে তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্যদান তথা ঈমানের পর যে চার ফরয ইবাদতকে ইসলামের ভিত্তি বলা হয়েছে হজ্ব তার অন্যতম। কাজেই হজ্বের গুরুত্ব উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

    কুরআন মাজীদে সামর্থ্যবানদের উপর হজ্ব ফরয হওয়ার বিধান এসেছে খুবই তাকীদের সাথে । ইরশাদ হয়েছে-

    وَ لِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا،  وَ مَنْ كَفَرَ فَاِنَّ اللهَ غَنِیٌ عَنِ الْعٰلَمِیْنَ.

    মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্ব করা তার অবশ্যকর্তব্য। আর যে এই নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করবে তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের প্রতি সামান্যও মুখাপেক্ষী নন। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭

    সূরা বাকারার এই স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন বাণী থেকেই হজ্বের গুরুত্ব বোঝা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের বিষয়ে শিথিলতা ও অবহেলার ভয়াবহতাও। কাজেই  সামর্থ্যবান মুমিন নারী-পুরুষের কর্তব্য, এই গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদতটি আদায় করে ফেলা। এ ব্যাপারে অযথা কালক্ষেপণ না করা।

    শয়তান নানাভাবে মানুষকে এই ইবাদত আদায়ের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত করতে চায়। মানুষের মনে নানা রকম ওয়াসওয়াসা দেয়। শয়তানের ওয়াসওয়াসা হয়ে থাকে মানুষের অবস্থা-অনুসারে। একেক শ্রেণিকে একেকভাবে একেক যুক্তিতে বিভ্রান্ত করে। কারো মনে এই ওয়াসওয়াসা দেয় যে, এত অর্থ ব্যয় করে হজ্বে গিয়ে কী লাভ? এই অর্থ যদি সমাজের অসহায়-দুঃখীদের পেছনে খরচ করা হয় তাহলে তাদের দুঃখ মোচনের কত বড় ব্যবস্থাই না হয়?! অথচ এই কুমন্ত্রণা মদ-সিনেমা, নাচ-গান-কনসার্ট ইত্যাদি স্বভাব-চরিত্র বিধ্বংসী অপকর্মসমূহের ক্ষেত্রে শয়তান দেয় না; বরং ঐসকল ক্ষেত্রে অর্থ-ব্যয়কে নানা অপযুক্তিতে উৎসাহিত করে। কে না বুঝবেন যে, কোনো ফরয কাজ বন্ধ রেখে নফল কাজ যুক্তিসঙ্গত নয়। বিশেষত যখন নফল কাজটি ফরয কাজ বন্ধ করার উপর নির্ভরশীলও নয়। পক্ষান্তরে অন্যায় ও গর্হিত কাজ তো এমনিতেই বন্ধ করতে হবে। সেখানে ঐ কাজ বন্ধ করে সে অর্থ যদি সদকা করা হয় তাহলে তা আরো ভালো। কিন্তু শয়তান আল্লাহর বান্দাকে এভাবে সরল চিন্তার পরিবর্তে উল্টো ও বক্র চিন্তার সবক দিয়ে থাকে। হজ্ব-কুরবানীর ক্ষেত্রে নফল দান-সদকার প্রসঙ্গ সামনে নিয়ে আসে, কিন্তু গুনাহের পথে ব্যয়ের ক্ষেত্রে নীরব থাকে।

    এখানে আরেকটি প্রশ্নও বিবেচনা করা যায়। আর তা হচ্ছে, হজ্বের মত মহান ইবাদতের তাওফীক না-হওয়া ইসলাম-বিমুখ লোকও সমাজে অনেক আছে। হজ্বের মওসুমে তারা প্রত্যেকে গরীব-দুঃখীর পিছনে কত লক্ষ টাকা করে খরচ করেন শুনি! ওরা যে ওয়াসওয়াসাটা দ্বীনদার মুসলিমদের দিয়ে থাকেন সেটা যে কত বড় কপটতা তার দৃষ্টান্ত তো তারা নিজেরাই।

    যাদের মনে ইসলামের বিধি-বিধানের প্রতি উপেক্ষার মনোভাব রয়েছে তারা শয়তানের এইসব কুমন্ত্রণায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এটা তাদের দুর্ভাগ্যের ব্যাপার। ইসলামের বিধানের ব্যাপারে উপেক্ষা ও অনীহার ভাব মনে এলে ‘আউযুবিল্লাহ’ পড়ে আল্লাহর আশ্রয় নিতে হবে।

    একশ্রেণির মানুষ এমনও আছেন, যারা ইসলামের বিধি-বিধানের ব্যাপারে আনুগত্যশীল। তাদেরকে শয়তান অন্যভাবে মন্ত্রণা দেয়। তাদেরকে বলে যে, হজ্ব করা যত গুরুত্বপূর্ণ, হজ্ব রক্ষা করা তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই এখন যুবক বয়সে হজ্ব না করাই শ্রেয়। এখন তো তুমি হজ্ব করে এসে পাক্কা মুসল্লী হতে পারবে না; কাজেই এখন নয়, অপারগ বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার আগে হজ্ব করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না?!

    অথচ কে না বুঝবেন যে, এক দায়িত্ব পালন করতে না পারার আশঙ্কায় আরেক দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার কোনো মানে হয় না। হজ্ব রক্ষা করতে না পারার আশঙ্কায় হজ্ব না করাটা তো এরকমই একটা কাজ। আমাদের চিন্তা করতে হবে এভাবে যে, আমার যখন হজ্ব আদায়ের সামর্থ্য আছে আমি তা আদায় করে ফেলি। এই ফরয দায়িত্ব থেকে দায়মুক্ত হয়ে যাই। এরপর অন্যান্য ফরয-ওয়াজিব বিধান পালনের ক্ষেত্রেও আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব। যতটুকুই সফল হই তা আমার প্রাপ্তি, কিন্তু হজ্বের ফরয বিধান তো পালিত হয়ে গেল।

    এভাবে চিন্তা করলে বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। এমনও তো হতে পারে, আল্লাহর এই বিধানটি পালনের বরকতে অন্যান্য বিধান পালনেরও তাওফীক হয়ে যাবে।

    মানুষ কি ভালো কাজ নিজের শক্তিতে করতে পারে? সে তা করে আল্লাহর তাওফীকে। কাজেই আল্লাহ তাআলা তাওফীক দিলে আমি হজ্ব রক্ষাও করতে পারব।

    সারকথা হচ্ছে, ইবাদত আদায়ের ক্ষেত্রে নানা প্রকারের ওয়াসওয়াসা মনে আসতে পারে, কিন্তু মুমিনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সে এইসকল ওয়াসওয়াসাকে দু’পায়ে দলে আল্লাহ তাআলার ইবাদত ও আনুগত্যের দিকে এগিয়ে যায়। আল্লাহর হুকুমের উপর কোনো যুক্তিকেই সে প্রাধান্য দেয় না; বরং সে যুক্তিসমূহকে বিচার করে আল্লাহর হুকুমের মানদণ্ডে। যে যুক্তি আল্লাহর হুকুম পালনে সহায়ক হয় সে সেই যুক্তিকে সুযুক্তি আর যা এর বিপরীত তাকে কুযুক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে।

    মুমিনের চেতনার ভুবন জুড়ে এই বিশ্বাস জাগ্রত থাকে যে, আল্লাহ তাআলাই মানুষের সৃষ্টিকর্তা। অর্থ-বিত্তসহ জীবন যাপনের সকল উপায়-উপকরণেরও সৃষ্টিকর্তা। পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু মানুষের জন্য তিনিই সৃষ্টি করেছেন। কাজেই মানুষের জীবন ও সম্পদ তাঁর আদেশে ব্যয় হওয়াই সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত। তাঁর আদেশ পালনে অর্থ ব্যয় কিছুতেই অপচয় নয়; বরং অর্থ-ব্যয়ের এটিই সবচেয়ে যথার্থ ও যুক্তিসঙ্গত খাত।

    আশহুরে হজ্বের শুরুতে আল্লাহ তাআলা আমাদের ঈমানকে উজ্জীবিত করে দিন, আল্লাহমুখী চিন্তার তাওফীক দিন এবং তাঁর বিধানসমূহ শিরোধার্য করার ও আন্তরিকভাবে পালন করার তাওফীক দান করুন- আমীন।

    জাপানে তাপদাহে ৭ জনের মৃত্যু

    জাপানে প্রচণ্ড তাপদাহে ৫টি জেলায় মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ন্যূনতম ৭ জনে।

    মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ জন উত্তরের জেলা হোক্কাইদো’র। এই জেলাটিতে দেশের অন্যান্য অংশের চেয়ে সাধারণত শীতল আবহাওয়া বিরাজ করে।

    এই ৩ জনের মধ্যে ৬০-এর কোঠার এক পুরুষকে মিকাসা শহরে মধ্যরাতের পর পরই তার বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে তাকে তাপদাহে মৃত বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে।

    নোবোরিবেৎসু শহরের ৬০-এর কোঠার এক নারীকে খুব সকালের দিকে পরিবারের অন্য এক সদস্য টয়লেটে অজ্ঞান অবস্থায় খুঁজে পান। যে ডাক্তার তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি জানান, তার শরীরের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। তাদের ধারণা তিনি তাপদাহে মৃত্যুবরণ করেন।

    বিহোরো শহরে, ৮০-এর কোঠার এক নারীকে তার বাড়িতে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে তাপদাহে তার মৃত্যু হয় বলে সন্দেহ করছেন এখানকার ডাক্তাররা।

    মধ্য জাপানের তোইয়ামা জেলায়, ১১ মাসের একটি মেয়ে শিশুকে পার্ক করে রাখা একটি গাড়ির মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ তাপদাহে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে সন্দেহ করছে।

    জাপানের কাছ থেকে ৫ গুণ খরচ চায় যুক্তরাষ্ট্র

    জাপানে যেসব মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে, তাদের জন্য টোকিওকে পাঁচগুণ খরচ বাড়ানোর চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, মার্কিন সেনাদের পেছনে জাপান যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে না। ফলে মার্কিন সেনারা এক রকমের অন্যায্য ভার বহন করছে। জাপানের সঙ্গে কয়েক দশক আগে সই হওয়া সামরিক চুক্তিকেও অন্যায্য বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। গত মাসে তিনি জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে চুক্তিটি সংশোধন করার প্রস্তাব দেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, দেখুন- যদি কেউ জাপানে হামলা চালায় তা হলে আমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব কিন্তু আমাদের ওপর কেউ আক্রমণ করলে জাপান যুদ্ধ করবে না- এটি অন্যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মসমর্পণ করার পর টোকিও এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি সামরিক চুক্তি হয়, যার আওতায় আমেরিকা জাপানে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলে এবং যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার একেবারে গভীর অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ পায়। আসাহি শিম্বুন।

    শেষ বেলায় টোকিও শেয়ার বাজারে সীমিত মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা

    আজ দিনের শুরুতে টোকিও শেয়ার বাজারে দরপতন ঘটলেও শেষ পর্যন্ত দর কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে লেনদেন শেষ হয়।

    ২শ ২৫টি নির্বাচিত শেয়ারের নিক্কেই গড় সূচক গতকালের শেষ বেলার মূল্য থেকে ১৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ২১ হাজার ৫শ ৪০ পয়েন্টে দিন শেষ করে।

    বাজারের ক্রীড়নকরা বলছে, বাজার খোলার অব্যবহিত পরে ঐ সূচক ২শ পয়েন্টেরও বেশি নেমে গেলেও ইয়েনের অবস্থান দুর্বল হওয়ার মাঝে বিনিয়োগকারীরা পুনরায় শেয়ার কেন নেন।

    তাদের ভাষ্যানুযায়ী, দশ বছরের মধ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের প্রথম হ্রাস মার্কিন অর্থনীতি এবং আর্থিক নীতিতে কি প্রভাব রাখে, তার উপর লক্ষ্য রেখে অনেক বিনিয়োগকারীই আজ বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক বা দ্বিধান্বিত অবস্থানে ছিল।