• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • মুহররমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য   

    হিজরী সালের প্রথম চান্দ্রমাস মুহররম। বিভিন্ন বিচার ও প্রেক্ষিতে এই মাসটি বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। সংক্ষিপ্তাকারে তার কিছু বিবরণ প্রদান করা হচ্ছেÑপৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে তাঁর সৃষ্টি জগতে আল্লাহ তা’য়ালা অনেক কিছু সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু তাতে তাঁর সৃষ্টি পূর্ণ হয়নি। তাই আপন মনের ইচ্ছাতে তিনি সৃষ্টি করলেন এই পৃথিবী। তা এই মুহররম মাসে। এরপরও তৃপ্তি নেই স্রষ্টার মনে। কী যেন অতৃপ্তি রয়ে গেছে তাঁর সৃষ্টির জগতে। সেই অতৃপ্তকে দূরীভূত করলেন তিনি মানব জাতিকে সৃষ্টি করে। প্রথম মানব হযরত আদম (আ.)কে সৃষ্টি করলেন তিনি এই মুহররম মাসে। শুরু হলো হযরত আদম (আ.)-এর জান্নাতবাস। আর তা এই মুহররম মাসে।মুসলমানদের পুণ্যভূমি কাবাঘর। আর এটাই পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রথম গৃহ। তৈরি হয়েছিল হযরত আদম (আ.) কে সৃষ্টির আগেই। ফেরেশতাদের দ্বারা। তা এই মুহররম মাসে। হযরত নূহ (আ.)-এর জন্ম এই মুহররম মাসে। তাঁর সময়ে বিশ্বব্যাপী মহাপ্লাবনের সৃষ্টি হয় এই মাসেই। হযরত ইউনূস নবী (আ.)কে সামুদ্রিক মাছে গিলে খায়। এই অবস্থায় দীর্ঘদিন মাছের পেটে অবস্থান করার পর মুহররম মাসে তিনি মাছের পেট থেকে মুক্ত হন। মহান আল্লাহ তা’য়ালা হযরত আইউব নবী (আ.)কে দুঃসহ কুষ্ঠ রোগ দিয়ে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করেন। দীর্ঘদিন যাবত অবর্ণনীয় রোগ ভোগের পর এই মুহররম মাসে তিনি এই কঠিন রোগ থেকে মুক্ত হন। ধর্ম প্রচারের অপরাধে কাফেররা হযরত ইবরাহিম (আ.)কে জ্বলন্ত অগ্নিকু-ে নিক্ষিপ্ত করে। আল্লাহর অশেষ রহমতে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থাতে তিনি উক্ত অগ্নিকু- থেকে বের হয়ে আসেন। এই ঘটনাটি যখন ঘটে, সেটা ছিল মুহররম মাস। মাবুদ আল্লাহর কঠিন পরীক্ষাতে অবতীর্ণ হয়ে হযরত নবী সুলায়মান হন রাজ্যহারা, সম্পদহারা, সর্বহারা একবারে নিঃস্বজন। ঈমানী পরীক্ষাতে উত্তরণ শেষে এই মুহররম মাসে তিনি রাজ্য, সম্পদÑসবকিছু ফিরে পান। আপন ভুলে হযরত দাউদ (আ.) আল্লাহর রোষে পতিত হন। এজন্য তাঁকে দীর্ঘদিন অনেক দুর্দশা ভোগ করতে হয়। আপন ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে দুচোখের অশ্রুতে বুক ভাসিয়ে আল্লাহর কাছে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন। দীর্ঘদিন পর অবশেষে এই মুহররম মাসে রাহমানির রাহিম আল্লাহ মাবুদ এই মাসে তাঁকে ক্ষমা করে দেন। সাক্ষাতে আল্লাহ দীদার লাভের জন্য হযরত মূছা (আ.) তূর পাহাড়ের পাদদেশে যেয়ে নিরলস এবাদত-সাধনা করতে থাকেন। অবশেষে একদিন আল্লাহ পাক তাঁকে সাক্ষাৎ প্রদান করেন। তখন ছিল মহররম মাস। বাদশাহ ফেরাউন হযরত মূছা (আ.)কে নদীতে ডুবিয়ে মারতে চেষ্টা করে। কিন্তু আল্লাহ তা’য়ালা ফেরাউনের কুটিল চক্রান্ত থেকে মূছা (আ.)কে রক্ষা করেন। এ ঘটনাটাও ঘটেছিল এই মুহররম মাসে।হযরত ঈসা (আ.)-এর ধর্ম প্রচারে নাখোস হয় ইহুদীরা। এরফলে ঈসা (আ.)কে বিরাট ষড়যন্ত্রের স্বীকার হতে হয়। ভীষণ কষ্টের মধ্যে তাঁর দিন কাটতে থাকে। তাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঈসা (আ.)কে পৃথিবী থেকে উঠিয়ে তাঁর কাছে নিয়ে নেন। ওটি ছিল মুহররমের একটি দিন।মুসলমানদের রোজা রাখার প্রচলন হযরত আদম (আ.)-এর আমল থেকেই ছিল। কিন্তু ফরজ ছিল না। এক মুহররম মাসে মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশে মুসলমানদের জন্য রমজানের একমাস রোজা রাখা ফরজ ঘোষণা হয়। ইয়াজিদ বাহিনীর সাথে হযরত ইমাম হাসান-হোসেনের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে হযরত ইমাম হাসান- হোসেন শহীদ হন এই মহররম মাসে।ইসরাফিলের শিংগা ফুৎকারে একদিন পৃথিবী ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। সংঘটিত হবে কিয়ামত। মুহররম মাসেই এটি ঘটবে।

    থেমে যেতে পারে ক্লান্ত বিগ বেন

    সময়ের হিসাব বিরামহীনভাবে জানান দিতে দিতে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছে লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ঘড়ি বিগ বেন। ভেতরকার কলকব্জাগুলোও সামর্থ্য হারিয়েছে। ফলে এখনই যদি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া না হয় তবে চিরকালের জন্যই ঘুমের দেশে চলে যেতে পারে এই অতিকায় সময়যন্ত্র।
    কিন্তু এর মেরামতের খরচও নেহায়েত কম নয়, প্রায় ৪ কোটি পাউন্ড। রাজনীতিবিদরা ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই খরচ মেটানো না গেলে থেমে যেতে পারে বিগ বেনের ঘণ্টাধ্বনি। সর্বশেষ ৩১ বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল এর।
    ১৫৬ বছরের পুরনো এই ঘড়িটি শুধুমাত্র ঠিকঠাক রাখতেই ব্যয় হবে ৪০ লাখ পাউন্ড। অন্যান্য আনুষঙ্গিক সংস্কার মিলিয়ে সর্বমোট ব্যয় দাঁড়াবে আনুমানিক ৪ কোটি পাউন্ড। ঘড়িটি সংস্কারে ঠিক কত সময় লাগবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তা এক বছরও লাগতে পারে বলে জানা গেছে। এর আগে ১৯৭৬ সালে ঘড়িটি ২৬ দিনের জন্য বন্ধ ছিল। সপ্তাহে তিনবার ঘড়িটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।
    যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের কমন্স ফাইন্যান্স কমিটি তার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘড়িটি যে টাওয়ারে স্থাপিত তাতেও সংস্কার প্রয়োজন। টাওয়ারটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়াও টাওয়ার ভবনটির নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কিত উন্নয়ন প্রয়োজন।
    লন্ডনের গর্বের প্রতীকরূপে ১৮৫৮ সালে বিগ বেনকে স্থাপন করা হয়। একে এলিজাবেথ টাওয়ারও বলা হয়। এটি যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যের প্রতীক বহন করছে। বিগ বেনের টাওয়ারে ৩৩৪টি সিঁড়ি রয়েছে। রয়েছে লিফট। ৩১৫ ফুট উচ্চতার এই টাওয়ার বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। লন্ডন সফরে গিয়ে কেউ বিগ বেন দেখেননি- এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

    মসজিদে হারামের দুর্ঘটনা : আল্লাহ! আমাদের ক্ষমা করুন

    গত ১১ সেপ্টেম্বর মসজিদে হারামে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে এ দুর্ঘটনায় ১০৭ জন নিহত ও ২৩৮ জন আহত হয়েছেন। যারা মারা গেছেন আল্লাহ তাদের শাহাদাতের মাকাম দান করুন এবং মাগফিরাত নসীব করুন। আর যারা আহত হয়েছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁদের পূর্ণ সুস্থতা দান করুন। সকলের পরিবার-পরিজনকে সবরে জামীলের তাওফীক নসীব করুন। আর আমাদের সকলকে এই ঘটনা থেকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণের তাওফীক দান করুন।

    এই ঘটনা এবং এ ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহে মর্মান্তিক তবে এর চেয়েও বড় কথা হচ্ছে, এগুলো আমাদের জন্য অনেক বড় হুঁশিয়ারী। হায়! আমরা যদি তা উপলব্ধি করতে পারতাম।

    মসজিদে হারামে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার এক মূল্যায়ন হচ্ছে, যারা হতাহত হয়েছেন তাদের দিক থেকে। আরেক মূল্যায়ন, আমরা যারা আপাত দৃষ্টিতে এ থেকে মুক্ত রয়েছি তাদের দিক থেকে।

    যারা হতাহত হয়েছেন তাদের বিষয়ে আমরা আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাতের প্রত্যাশা করি। কারণ কুরআন মাজীদের ইরশাদ-

    (তরজমা) “… এবং কেউ আল্লাহ ও রাসূলের উদ্দেশ্যে নিজ গৃহ থেকে মুহাজির হয়ে বের হলে এবং তার মৃত্যু ঘটলে তার পুরস্কারের ভার আল্লাহর উপর। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” -সূরা নিসা (৪) :১০০

    আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি আরাফার ময়দানে উকুফরত ছিলেন। হঠাৎ সওয়ারী থেকে পড়ে তার ঘাড় ভেঙ্গে গেল। (এতে তিনি মৃত্যু বরণ করলেন) তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

    اغسلوه بماء وسدر، وكفنوه في ثوبين، ولا تمسوه طيبا، ولا تخمروا رأسه، ولا تحنطوه، فإن الله يبعثه يوم القيامة ملبيا.

    “তাকে পানি ও বড়ই পাতা দিয়ে গোসল দাও এবং দুই কাপড়ে কাফন দাও। ওকে সুগন্ধী দিও না, মাথা ঢেকো না। কারণ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় ওঠাবেন।”  -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮৫০

    আর আমাদের জন্য এ ঘটনার প্রথম শিক্ষা হচ্ছে, মৃত্যুর স্মরণ। যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় যে কারো মৃত্যু হতে পারে। সুতরাং মৃত্যুকে দূরে মনে করে গাফিল থাকার অবকাশ নেই। কুরআন মাজীদের ইরশাদ-

    أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِكْكُمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنْتُمْ فِي بُرُوجٍ مُشَيَّدَةٍ

    “তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই। এমনকি সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান করলেও।” -সূরা নিসা (৪) :৭৮

    দ্বিতীয় শিক্ষা, তাওবা-ইস্তিগফার ও আল্লাহর দিকে রুজু করা। কুরআন মাজীদের ইরশাদ-

    وَمَا أَرْسَلْنَا فِي قَرْيَةٍ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا أَخَذْنَا أَهْلَهَا بِالْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ لَعَلَّهُمْ يَضَّرَّعُونَ

    “আমি যে-কোনও জনপদে নবী পাঠিয়েছি, তার অধিবাসীদের অবশ্যই অর্থ-সংকট ও দুঃখ-কষ্টে আক্রান্ত করেছি, যাতে তারা বিনয় অবলম্বন করে” -সূরা আরাফ (৭) : ৯৪

    এসকল ঘটনায় সতর্ক না হওয়া এবং আল্লাহর দিকে রুজু না করা হচ্ছে ঐ নিন্দিত বৈশিষ্ট্য, কুরআন মাজীদে যাকে ‘হৃদয়ের কাঠিন্য’ ও ‘শয়তানের মন্ত্রণা-প্রসূত’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে-

    فَلَوْلَا إِذْ جَاءَهُمْ بَأْسُنَا تَضَرَّعُوا وَلَكِنْ قَسَتْ قُلُوبُهُمْ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

    “অতপর যখন তাদের কাছে আমার পক্ষ হতে সংকট এল তখন তারা কেন নম্রতা ও রোনাযারী অবলম্বন করল না। বরং তাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেল এবং তারা যা করছিল শয়তান তাদের বোঝাল যে, সেটাই উত্তম কাজ।” -সূরা আনআম (৬) : ৪৩

    এই ঘটনার পর একশ্রেণির ‘অসুস্থ’ মানুষের পক্ষ হতে যেসকল বিভ্রান্তিকর কথা আসছে, তা এই নিন্দিত প্রবণতার মধ্যেই পড়ে। যেমন, মসজিদে হারাম তো নিরাপদ জায়গা, এখানে এ দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল? যখন প্রয়োজন তাওবা-ইস্তিগফার এবং আপন কর্ম ও বিশ্বাসের মুহাসাবা ঐ সময় এজাতীয় তর্কে জড়িয়ে পড়া শয়তানের ওয়াসওয়াসা ছাড়া আর কিছুই না। এভাবে সময়ের মূল করণীয় থেকে শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করে।

    অথচ কুরআন-সুন্নাহর সাধারণ ধারণাও যার রয়েছে তার পক্ষেও এই সময় এধরনের অসার প্রশ্ন অতি পীড়াদায়ক হওয়ার কথা। অবশ্যই কা‘বা ও মসজিদে হারাম নিরাপদ স্থান। কিন্তু এর অর্থ মোটেও এই নয় যে, কোনো রকমের ব্যতিক্রমি ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্ঘটনাও ওখানে ঘটবে না। এমন কথা তো কুরআন-সুন্নাহর কোথাও বলা হয়নি। বহুবার কা‘বা ও মসজিদে হারাম বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে,পানির ঢলে, অগ্নিকাণ্ডে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সময় নাফরমান লোকেরা এই স্থানের নিরাপত্তার বিধান লঙ্ঘন করে এখানে রক্তপাত ঘটিয়েছে। আর এ ধরনের ঘটনা ইসলাম-পূর্ব যুগেও ঘটেছে, ইসলাম-পরবর্তী যুগেও ঘটেছে, কিন্তু কুরআন নাযিলের যুগের কোনো কাফেরও কুরআনের এই ঘোষণাকে ঐসকল ঘটনার সাথে সাংঘর্ষিক মনে করেনি। অথচ সাংঘর্ষিক যদি হত তাহলে খুব সহজেই তারা একে কুরআনের বিরুদ্ধে, আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে ব্যবহার করত।

    এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা অন্য ফুরসতে করা যাবে, আপাতত আমাদের নিবেদন শুধু এইটুকু যে, এই হৃদয়বিদারক ঘটনার সময় এজাতীয় কূটতর্কের অবতারণা- হয় জাহালত-অজ্ঞতা, না হয় ইলহাদ ও মুনাফিকি। এই সময় আল্লাহর দিকে রুজু না করে এজাতীয় অসার তর্কে লিপ্ত হওয়াও এক প্রকারের আযাব। যারা হতাহত হয়েছেন তাদের সম্পর্কে তো আমরা মাগফিরাতের প্রত্যাশা করি। কিন্তু যারা এই ঘটনাকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উপায় বানায় তাদের ব্যাপারে কঠিন শাস্তির আশঙ্কা করি। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন।

    তৃতীয় শিক্ষা এই যে, মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় কেন্দ্রে এই দুর্ঘটনা উম্মাহর জন্য অনেক বড় হুঁশিয়ারি। মুসলিমমাত্রই এই দুর্ঘনার দ্বারা আক্রান্ত। সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য, এই ঘটনার বার্তা উপলব্ধি করা এবং কুরআন-সুন্নাহর প্রকৃত অনুসারী হওয়া, বিশেষত হজ্ব-ওমরার সফরকে ছোট-বড় সব রকমের নাফরমানী থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা।

    এছাড়া এ ঘটনায় অনেক ইতিবাচক বিষয়ও রয়েছে। এত বড় দুর্ঘটনার পরও যেভাবে জুমায়, জামাতে মসজিদে হারাম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল তা এক অপূর্ব বিষয়। এভাবেই যুগে যুগে বহু রক্তক্ষয়ী দুর্ঘটনার পরও কা‘বা ও মসজিদে হারাম অভিমুখে মুমিনের মিছিল এক লমহার জন্যও  বন্ধ হয়নি। নিঃসন্দেহে এ এক নযীরবিহীন বিষয়।

    দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে, মক্কা-মদীনার খিদমতে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের আন্তরিকতা। এর দ্বারা হয়তো স্বজন-আপনজনের ক্ষত একেবারে শুকিয়ে যাবে না, কিন্তু একটি শীতল প্রলেপ তো অবশ্যই পড়বে। দুর্ঘটনা বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে, বিভিন্নভাবে ঘটছে, কিন্তু এই সেবা ও আন্তরিকতার নযীরও এই সময়ে খুব বেশি দেখা যায় না।

    শেষ কথা এই যে, আল্লাহ আমাদের অভিভাবক, তাঁরই ইচ্ছায় সব ঘটে। তিনি আমাদের বিভিন্নভাবে সতর্ক করেন, যেন আমরা মৃত্যুর আগেই তাঁর দিকে রুজু করি। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন।

    আরেকটি পারমাণবিক চুল্লি চালু করল জাপান

    আন্দোলনের মুখে বন্ধ করে দেয়া আরেকটি পারমাণবিক চুল্লি চালু করেছে জাপান। ২০১১ সালে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
    চুল্লিটির পরিচালনাকারী কোম্পানি ইউটিলিটি কিউশু ইলেকট্রিক পাওয়ার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০ টায় সেনদাইয়ে দুই নম্বর চুল্লিটি পুনরায় চালু করা হয়। একই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম চুল্লিটি গত আগস্টে চালু করা হয়। রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।
    চার বছর বন্ধ রাখার পর পুনরায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করল জাপান। আগামী নভেম্বরে চুল্লিটি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।এর মাধ্যমে সাশ্রয়ী কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ জ্বালানী উৎসের দিকে ফিরে গেলো দেশটি।
    ২০১১ সালে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে ফুকুশিমা কেন্দ্রের শীতলীকরণ ব্যবস্থা বিকল হয়ে গিয়ে পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল দেশটি। এর পরই পারমাণবিক বিদ্যুৎবিরোধী ব্যাপক আন্দোলনের মুখে ৫০টি পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার।

     ‘২০১৮ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১ বিলিয়ন ডলার আয় হবে’

    দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়াতে বেসিসকে সঙ্গে নিয়ে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) কাজ করা হবে জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০১৮ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ১ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হবে এবং জিডিপিতে ১ শতাংশ অবদান রাখা যাবে।
    বুধবার বিকেলে মন্ত্রীর কার্যালয়ে বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের নেতৃত্বে বেসিস প্রতিনিধিদলের এক বৈঠকে তিনি এসব কথা জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, মহাসচিব উত্তম কুমার পাল, যুগ্ম-মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ প্রমুখ।
    বৈঠকে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান জানান, বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তির পরবর্তী গন্তব্যস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিদেশে বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং, স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণ এবং দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি জনবল বৃদ্ধি ও তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বেসিস। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরো বেশি সম্পৃক্ত হলে দ্রুতই তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
    বৈঠকে পরিকল্পনা মন্ত্রী বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৫৭ মিলিয়ন জনগন বয়সে তরুণ। এই তরুণ জনগোষ্ঠিকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে পিপিপি মডেলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই নানা প্রকল্প গ্রহণের জন্য তিনি বেসিসের প্রতি আহ্বান জানান।

    জাপানি হত্যা: আসামি হীরা আবারো রিমান্ডে

    জাপানি নাগরিক কুনিয়ো হোশি হত্যা মামলার আসামি হুমায়ূন কবীর হীরাকে আবারো পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবু তালেব এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুনুর রশীদ মামুন জানান, হীরার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনেই দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড আবেদন করা হয়।
    এর আগে গত ৫ অক্টোবর হীরাকে প্রথম দফায় দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
    গত ৩ অক্টোবর কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন কুনিয়ো হোশি। তিনি জাকারিয়া বালা নামে এক ব্যক্তি বাসায় ভাড়া থাকতেন। হীরা জাকারিয়ার শ্যালক।

    কুনিওর দাফন সম্পন্ন

    Posted by admin on October 13
    Posted in Uncategorized 

    কুনিওর দাফন সম্পন্ন

    অবশেষে রংপুরের মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ওরফে গোলাম কিবরিয়া। সোমবার দিবাগত রাতে রংপুরের মন্সীপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু জানান, কুনিও হোশিকে দাফন করার জন্য সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নেয় স্থানীয় প্রশাসন।গত ৩ অক্টোবর নগরের উপকণ্ঠে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন কুনিও হোশি। এরপর থেকে তাঁর লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রাখা হয়। কিন্তু কুনিও হোশির স্বজনদের পক্ষ থেকেও তাঁর লাশ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়নি। আবার বাংলাদেশে দাফন করার ব্যাপারে জাপান সরকারের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে। তাই রংপুরের স্থানীয় প্রশাসনকে জাপান দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত চিঠি রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে পাঠানো হয়। কুনিও হোশি মুসলমান হয়েছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছে জাপান ও বাংলাদেশ সরকার। তাই তাঁকে মুসলিম রীতিতে দাফন করতে জাপান দূতাবাস আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মুসলমান হওয়ার সপক্ষে অঙ্গীকারনামায় কুনিওর নাম গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া।

    মাউন্ট ফুজিতে মৌসুমের প্রথম তুষারপাত

    মৌসুমের প্রথমবারের মতো মাউন্ট ফুজি’র মাথায় পড়েছে তুষারের সাদা টুপি।

    আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলেছেন জাপানের প্রতীক এই পাহাড়টিতে গত বছরের চেয়ে ৫ দিন আগে তুষারপাত হয়েছে কিন্তু গড় সময়ের চেয়ে ১১ দিন বিলম্বে তুষারপাত হলো।

    জাপানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের চারপাশ রোববার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিলো, কিন্তু বিকেলের দিকে মেঘ কেটে হয়ে গেলে ৮ম স্টেশনের উপরে তুষার ঢাকা অংশটি দৃশ্যমান হয়।

    কর্মকর্তারা বলেন রোববার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে প্রথমবারের মতো মাউন্ট ফুজি’র উপর তুষার দেখা যায়। তারা বলেন সকাল ৭টায় পাহাড় শৃঙ্গের তাপমাত্রা ছিলো -২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    পাহাড়ের পাদদেশে কাওয়াগুচি হ্রদ দেখতে আসা পর্যটকরা তুষার ঢাকা শৃঙ্গের ছবি তুলে নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি।

    সাইতামা প্রিফেকচার থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেন তিনি মাউন্ট ফুজির উপর তুষার দেখতে পেয়ে খুবই পুলকিত বোধ করছেন।

    ইসলামিক স্টেট এর কছে টয়োটার ট্রাকঃ তদন্ত সহযোগিতা করবে টয়োটা

    টয়োটা মোটর কর্পোরেশন বলেছে ইসলামিক স্টেট কীভাবে প্রচুর সংখ্যক টয়োটার স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যালস (এসইউভি) সংগ্রহ করলো তা তদন্তে তারা মার্কিন সরকারকে সহায়তা করবে।

    “মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ মধ্যপ্রাচ্যে অর্থ ও সরবরাহের সূত্র পথ নির্ণয় করতে যে আন্তর্জাতিক তদন্ত করছে -আমরা তাতে পুরোপুরি সহায়তা প্রদান করছি” টয়োটার মুখপাত্র আমান্ডা রাইস বলেন।

    বিভিন্ন প্রচারণা মূলক ভিডিও গুলোতে প্রায়ই দেখা যায় সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলো টয়োটার হিলাক্স পিকআপ এবং ল্যান্ড ক্রুজার এসইউভি নিয়ে চলাচল করছে। এরফলে আমেরিকা সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকান্ডের পদক্ষেপ হিসেবে কীভাবে গাড়ি গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে তা তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এবিসি নিউজ জানিয়েছে।

    জাপানে ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার যাত্রা শুরু হচ্ছে

    নোবেল শান্তি পূরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি একদল তরুণ জাপানি উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠিত সামাজিক ব্যবসা কোম্পানি তোমোনি কর্পোরেশনের পরিচালনা পরিষদের একটি সভায় অংশগ্রহণ করেন। তারা জাপানে ইউনূস সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করছে। এসব তরুণ উদ্যোক্তা বিশ্বব্যাপী ইউনূস সামাজিক ব্যবসা কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে জাপানে ও জাপানের বাইরে সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত। ড. ইউনূস সামাজিক ব্যবসা নেটওয়ার্কের সদর দপ্তর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অবস্থিত। আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বার্লিনে অনুষ্ঠেয় সামাজিক ব্যবসা শীর্ষ সম্মেলনে প্যারেন্ট কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে ইউনূস সামাজিক ব্যবসা জাপানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

    জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ও শীর্ষ কর্মকর্তারা ইউনূস সামাজিক ব্যবসা উগান্ডার সঙ্গে যৌথভাবে একটি কৃষি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো চূড়ান্ত করার জন্য প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে আসেন।

    উল্লেখ্য কলম্বিয়ায় আলু উত্পাদনে বিশেষায়িত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কোম্পানি কানাডার ম্যাককেইন ও ইউনূস সামাজিক ব্যবসা কলম্বিয়া অনুরূপ একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠা করেছে। গতকাল শনিবার ইউনূস সেন্টারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    জাপানি নাগরিক হত্যা : রাজশাহীতে দুই ব্যাংক কর্মকর্তা আটক ২

    রংপুরে জাপানের নাগরিক হোশি কোনিওকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাজশাহী থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে আটক করেছে রংপুর পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে নিজ অফিসে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাদের আটক করে পুলিশ। এরা হলেন, ব্যাংকের সেলস অ্যান্ড সার্ভিস অফিসার মো. সুলতান নাহিদ এবং ক্রেডিট কার্ড অফিসার এইচএম শাহরিয়ার। তারা রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়ায় ভাড়া থাকেন।

    তাদের উভয়ের পরিচয় ও ঠিকানা সম্পর্কে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদত হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।

    জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে ব্যাংকের কাজ শেষে ব্যাংকের অফিস থেকে রাস্তায় নামার পরপরই নাহিদ ও শাহরিয়ারকে আরএমপির গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় আটক করে নিয়ে যায় রংপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

    আরএমপির গোয়েন্দা কর্মকর্তা আজাহার আলী বলেন, জাপানি নাগরিক হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ব্র্যাক ব্যাংক রাজশাহী শাখার চার কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং নাহিদ ও শাহরিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার সকালে উভয়কে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    রংপুর গোয়েন্দা পুলিশ আরএমপির কর্মকর্তাদের জানায়, জাপানী নাগরিক হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাদের আটক করে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    জাপানের মন্ত্রীসভার জনসমর্থন বেড়েছে

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র মন্ত্রীসভার প্রতি জনসমর্থন বেড়ে ৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ইয়োমিউরি শিমবুন পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য জানা যায়। সেপ্টেম্বরের ১৯-২০ তারিখে পরিচালিত জরিপের চেয়ে বর্তমানে জনসমর্থন বেড়েছে ৫ শতাংশ।

    বুধবার মন্ত্রীসভার রদবদলের পর জরিপ পরিচালনা করা হয়। অননুমোদনের হার এই সময় কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ শতাংশে যা আগে ছিলো ৫১ শতাংশ।

    আগের জরিপটি সেপ্টেম্বরে জাতীয় নিরাপত্তা বিল গৃহীত হওয়ার পরপর পরিচালনা করা হয়েছিলো -যখন আবে’র জনসমর্থন উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হ্রাস পায়। সর্বশেষ জরিপে অনুমোদনের হার অননুমোদনকে সামান্য পরিমানে ছাড়িয়ে গেছে।

    ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা টিপিপি চুক্তিতে পৌঁছুনোতে সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন এবং ২৮ শতাংশ তার বিরোধীতা করেছেন। টিপিপি’র প্রতি জনসাধারণের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মন্ত্রীসভার সমর্থনের হার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    মন্ত্রীসভার সর্বশেষ রদবদলকে ৫০ শতাংশ উত্তরদাতা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন, ৩৪ শতাংশ সেটিকে নেতিবাচক বলে মনে করছেন।

    জাতীয় নিরাপত্তা চুক্তিকে এখন সমর্থন করছেন ৩৬ শতাংশ, আগে এই সমর্থনের হার ছিলো ৩১ শতাংশ, অসমর্থনের হারও কমে এসেছে, আগের ৫৮ শতাংশ থেকে বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশ।

    ১০ শতাংশ হারে বিক্রি কর বৃদ্ধির পর কর হ্রাস সিস্টেমকে ৬৭ শতাংশ সমর্থন করেছেন যা আগে ছিলো ৬৩ শতাংশ।

    ক্ষমতাসীন লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জনসমর্থন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে, আগের জরিপে তা ছিলো ৩৩ শতাংশ। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ জাপানের জনসমর্থন পূর্বের ১১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছ ১০ শতাংশে এবং ৩ শতাংশ কোমেইতো’কে সমর্থন দিয়েছেন।

    এলোমেলো ভাবে ডায়ালের মাধ্যমে ১,৯৫৬ জনের উপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। তাদের মধ্যে ১,০৮৬ জন জরিপে সাড়া দেন।

    থ্রিডি হৃদপিণ্ডে বেঁচে গেল শিশুর জীবন

    রোগ দুর্লভ। হৃদপিণ্ডে জটিল সমস্যার কারণে জীবনের প্রথম সাড়ে তিন বছরই শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা ও নিউমোনিয়ায় ভুগতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪ বছরের শিশু মিয়া গনজালেজের । বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা থেকে জানা যায়, তার হৃদযন্ত্রে গঠনগত সমস্যা রয়েছে যা খুবই দুর্লভ এবং এটি ‘ডাবল আর্টিক আর্ক’ নামে পরিচিত।
    রোগ দুর্লভ হওয়ায় এর চিকিৎসা করতেও অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছিল চিকিৎসকদের। আর তাই চিকিৎসার জন্য মিয়ামির নিকলৌস চিলড্রেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বেছে নিয়েছিলেন ভিন্ন পথ। চিকিৎসার জন্য সাহায্য নিলেন থ্রিডি প্রিন্টারের। থ্রিডি প্রিন্টারে তারা তৈরি করলেন মেয়েটির হৃদপিণ্ডের একটি রেপ্লিকা। তারপর তারা সেটি সূক্ষ্মভাবে পরীক্ষা করলেন এবং সমস্যাটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হলেন।
    শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের রেপ্লিকা তৈরির কাজটি বেশ জটিল। কারণ এক্ষেত্রে প্রথমেই দরকার হয় নির্দিষ্ট প্রত্যঙ্গের একটি এমআরআই রিপোর্ট যা পাঠিয়ে দেওয়া হয় কম্পিউটারে। সেখান থেকে থ্রিডি প্রিন্টার এটিকে বাস্তব রূপ দেয়।
    হাসপাতালটির একজন চিকিৎসক ডা. রেডমন্ড বার্ক স্কাই নিউজকে জানান, ‘আমি যখন অপারেশন করছিলাম, তখন আমার হাতে ছিল তার হৃদপিণ্ডের রেপ্লিকা। কিন্তু হাতের মধ্যে সিটি স্ক্যান বা এমআরআই রিপোর্ট নিয়ে তো কাজ করা সম্ভব হয় না।’

    থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি একটি হৃদপিণ্ডের কল্যাণে বেঁচে গেল ৪ বছরের শিশু মিয়া। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ সে। স্বাভাবিক কাজের বাইরে বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলাও করছে মিয়া।

    জাপানের নতুন মন্ত্রীসভার যাত্রা শুরু

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তার মন্ত্রীসভার রদবদল করেছেন। নতুন মন্ত্রীসভায় পুরোনো ৯ জন মন্ত্রী তাদের পদ ধরে রাখার পাশাপাশি আরো ৯ জন প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এবং ১ জন পুনরায় মন্ত্রী হয়েছেন। এবার মন্ত্রীসভায় স্থান করে নিয়েছেন ৩ নারী।

    সম্রাটের সাথে ইম্পেরিয়াল প্যালেস এ সম্রাটের সাথে সাক্ষাতের পর নতুন মন্ত্রীসভা বুধবার সন্ধ্যায় তার যাত্রা শুরু করে।

    একটি জাতি তৈরি করা যেখানে সবাই সমাজে একটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে -এ রকম একটি লক্ষ্যে নতুন একজন মন্ত্রীকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

    সাবেক ডেপুটি মন্ত্রীপরিষদ সচিব কাৎসুনোবু কাতো এই মন্ত্রী পদটি পেয়েছেন, এ ছাড়াও তিনি উত্তর কোরিয়ায় অপহৃত জাপানি এবং নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত মন্ত্রীর পদটি পান।

    আবে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী তারো আসো’র অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করেননি।

    প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি’কে মন্ত্রী পদে রেখেছেন। তিনি আভ্যান্তরিন বিষয়ক এবং যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবে।

    নতুন বিচারমন্ত্রী হয়েছেন মিৎসুহিদে ইওয়াকি, তিনি এর আগে এলডিপি’র উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তার পদে বহাল রয়েছেন।

    শিক্ষা, সাংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রীর পদটি দেয়া হয়েছে হিরোশি হাসে’কে। তিনি এর আগে শিক্ষা ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

    তামাইয়ো মারুকাওয়া পরিবেশ মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি উচ্চকক্ষের স্বাস্থ্য, কল্যাণ এবং শ্রম কমিটির চেয়ারপারসন ছিলেন।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গেন নাকাতানি এবং প্রধান মন্ত্রীপরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা তাদের স্বপদে বহাল রয়েছেন।

    নতুন মন্ত্রীসভার সদস্যদের গড় বয়স ৬০.১ বছর। আগের মন্ত্রীসভার গড় বয়সের চেয়ে এবারের মন্ত্রীসভার গড় বয়স ২.৩ বছর কম।

    একটি বানোয়াট কিসসা : শাদ্দাদের বেহেশত

    সমাজে ‘শাদ্দাদের বেহেশত’ শিরোনামে বিভিন্ন ধরনের কিসসা প্রচলিত আছে। কেউ কিসসা টি এভাবে বলেন ।

    শাদ্দাদ বিশাল রাজত্ব ও ধন-সম্পদের মালিক ছিল। তার কওমের নবী তাকে দাওয়াত দিলে সে বলে, ঈমানের বদলে কী মিলবে? নবী বললেন, জান্নাত। তখন সে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে নিজেই জান্নাত বানাতে শুরু করে ।

    ৩০০ বছর ধরে জান্নাত বানায়; তাতে বিভিন্ন ফলের গাছ লাগায়। প্রাসাদ বানায়, নহর খনন করে ইত্যাদি। এরপর সে যখন সৈন্য-সামন্ত নিয়ে তার বানানো বেহেশতের দিকে রওনা হয়। এক দিন এক রাতের রাস্তা বাকি থাকতেই আল্লাহ তাকে তার সৈন্য-সামন্তসহ ধ্বংস করে দেন।

    কেউ বলে, তার বানানো জান্নাত দেখতে যাওয়ার পথে একটি সুন্দর হরিণ দেখতে পায়। হরিণটি শিকার করতে গিয়ে সে একটু দূরে চলে যায়। এ মুহূর্তে মালাকুল মাউত হাযির হয় এবং তার রূহ কবয করে। সে তার বানানো জান্নাত নিজেও দেখতে পারে না।

    কেউ বলে, সে তার বানানো বেহেশতে প্রবেশ করার জন্য যখন এক পা দিল,তখন দ্বিতীয় পা রাখার আগেই মালাকুল মাউত তার রূহ কবয করে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি।

    কারো কারো মুখে এ-ও শোনা যায়, এরপর আল্লাহ তাআলা তার ঐ জান্নাত যমিনে ধ্বসিয়ে দেন; মাটির সাথে মিশিয়ে দেন। বালুর মধ্যে যে অংশ চিকচিক করে, তা শাদ্দাদের বানানো বেহেশতের ধ্বংসাবশেষ।

    এ ছাড়াও শাদ্দাদের বেহেশত কেন্দ্রিক আরো অনেক কথা সমাজে প্রচলিত আছে। তার বেহেশত কীভাবে বানালো, কতজন শ্রমিক লেগেছে, এর দেয়াল কিসের ছিল,ফটক কিসের ছিল, মেঝে কিসের ছিল, ইত্যাদি।

    শাদ্দাদের বেহেশত বানানোর কিসসা একেবারেই অবাস্তব ও কাল্পনিক; নির্ভরযোগ্য কোনো দলীল দ্বারা তা প্রমাণিত নয়। যারা এটি উল্লেখ করেছেন তারা ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে তা এনেছেন। এজন্যই ইমাম ইবনে কাসীর ও আল্লামা ইবনে খালদুনসহ আরো অনেকেই এ কিসসাকে অবাস্তব ও কাল্পনিক বলে অভিহিত করেছেন। তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৮০২-৮০৩; মুকাদ্দামাতু ইবনে খালদূন ১/১৭; আলইসরাঈলিয়্যাত ওয়াল মাওযূআত ফী কুতুবিত তাফসীর ২৮২-২৮৪