• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • যাদেরকে দেখে আশা জাগে মনে 

    এই মুহূর্তে যখন এই প্রতিবেদনটি লেখা হচ্ছে, অথবা যখন এটি পাঠকরা পড়বেন, ঠিক সেই সময়টিতেই বিশ্বের আনাচে-কানাচে ৮০ কোটি আদম সন্তান ভুখাপেট নিয়ে আহাজারি করছেন। কেউবা শুধু এক মুঠো খাবারের সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার দেয়া তথ্য এটি। সিরিয়ার মানুষ, ইরাকের মানুষ, লিবিয়ান তরুণ, ফিলিস্তিনী শিশু, আফ্রিকান নারী- ক্ষুধার্ত সবাই। গায়ে ছেঁড়া জামা। রোগবালাইয়ে কাবু হয়ে মৃত্যুপথযাত্রী। কোনো সুশ্রুষা নেই তাদের। শুধু এ কয়টি দেশ বা এলাকা নয়, বিশ্বের সর্বত্রই আছে দারিদ্র্য-ক্ষুধা-অনাহার-বঞ্চনা-আহাজারি। এই মানুষগুলো তাদেরই স্বগোত্রের ক্ষমতালোভী আর সম্পদলোভী কিছু মানুষ দ্বারা সৃষ্ট দুর্ঘটনা-দুর্যোগ-যুদ্ধবিগ্রহের শিকার হয়ে আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। এসব দেখে বিবেকবান মানুষের দীর্ঘশ্বাস নেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। হতাশা প্রকাশ ছাড়া আর কোনো ভাষা নেই এইসব দুর্ভাগা কোটি আদম সন্তানের কষ্ট লাঘবের। তবে এই হতাশার মধ্যেও কিছু মানুষ আশার আলো নিয়ে হাজির হন। নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন পাশে থাকা দুখী মানুষগুলোর কল্যাণ সাধনে। শুধু আমাদের চারপাশে নয়, সারা দুনিয়ায় ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সংখ্যায় অল্প হলেও এমন মানুষেরা ছিলেন সর্বকালে। বিশ্বব্যাপী ক্ষমতার দোর্দ- প্রতাপ, শক্তির মদমত্ততা, নিষ্ঠুরতার চরম পরাকাষ্ঠার মুখোমুখি মানব জাতি, দুঃখী মানুষের দারিদ্র্য-ক্ষুধা-অনাহার-বঞ্চনার মাঝে দীর্ঘশ্বাস নেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু দঃখী মানুষের কল্যাণ সাধনে যুগে যুগে কিছু মানুষের আবির্ভাব ঘটে থাকে। মানবতার কল্যাণে অকাতরে ঢেলে দেয় তাদের সহায় সম্বল। বর্তমান সময়ের এমনি কয়েকজন বিশ্বখ্যাত পরোপকারী মানুষের সাথে পরিচয় করিয়েছে দিয়েছে ব্রিটেনে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা। সেখান থেকেই বর্তমান বিশ্বের ২০ জন সেরা দানশীল ব্যক্তির তালিকা তুলে ধরা হল–

    বিল গেটস : বিল গেটস সবচেয়ে বেশি পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ব্যক্তি হিসেবে। তবে মাইক্রোসফটের মালিক এই মার্কিন প্রযুক্তিবিদ বর্তমানে তার বেশিরভাগ সময় ব্যয় করছেন সমাজকল্যাণে। তার প্রতিষ্ঠিত বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছেন গেটস। এখন পর্যন্ত তার দানের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন ডলার, যা তার মোট সম্পদের ৩২ শতাংশ।

    ওয়ারেন বাফেট : বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের চেয়ারম্যান এবং সিইও ওয়ারেন বাফেটের মোট সম্পদ ৬১ বিলিয়ন ডলার। যার ৩৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারই তিনি সমাজকল্যাণে ব্যয় করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাফেট ২০০৬ সালে ঘোষণা দেন যে, তার জীবদ্দশায়ই নিজের সম্পদের ৮৬ শতাংশ বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দান করবেন। জর্জ সরোস : সরোস ফান্ড ম্যানেজম্যান্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠাতা তিনি। হাঙ্গেরিতে জন্ম নেয়া এই মার্কিন নাগরিকের সম্পদের পরিমাণ ২৪ বিলিয়ন ডলার, যার ৩৩ শতাংশ বা ৮ বিলিয়ন ডলার মানুষের কল্যাণে ব্যয় করছেন সরোস। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং জরুরি ত্রাণসহ বিভিন্নভাবে ব্যয় হয়ে থাকে তার এসব দান।

    আজিম প্রেমজি : ভারতীয় এই বিলিয়নেয়ার বিশ্বের অন্যতম দানশীল ব্যক্তিদের একজন। নিজের মোট সম্পদের অর্ধেকই তিনি মানবকল্যাণে ব্যয় করছেন। আজিম প্রেমজির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭ বিলিয়ন ডলার। অলাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু দাতব্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রেমজির নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশনও রয়েছে। চার্লস ফ্রান্সিস ফিনী : দাতব্য কর্মকা-ে তার নেশার চাক ফিনী নামে সমধিক পরিচিত এই ব্যবসায়ীকে ‘জেমস বন্ড অব ফিলান্ত্রপি’ (দানশীলতার জেমস বন্ড) বলে ডাকা হয়। নিজের মোট সম্পদের পরিমাণ মাত্র দেড় বিলিয়ন ডলার। কিন্তু দান করেছেন ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি! মূলত তার ভবিষ্যত সম্ভাব্য সম্পদকে কত হবে হিসাব করে তাও মানবকল্যাণে লিখে দিয়েছেন। ফিনী আয়ারল্যান্ডে জন্ম নিলেও বর্তমানে আমেরিকান নাগরিক।

    সুলাইমান বিন আবদুল আজিজ আল রাজী : নিজের বর্তমান সম্পদের চেয়েও দশগুণ বেশি দান করে এক অর্থে বিশ্বের সবচেয়ে উদার এবং দানশীল ব্যক্তি হলেন সৌদি আরবের নাগরিক সুলাইমান বিন আবদুল আজিজ আল রাজী। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ বিলিয়ন ডলার। তার ভবিষ্যত সম্পদও ইতোমধ্যে দানের খাতায় লিখে দিয়েছেন সুলাইমান। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক আল-রাজী ব্যাংকসহ অসংখ্য বাণিজ্যিক এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সুলাইমানের বয়স বর্তমানে ৯৫ বছর। বাংলাদেশেও তার প্রতিষ্ঠিত বহু প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

    গর্ডন মুর : বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইনটেল’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুরের মোট সম্পদ সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার। গর্ডন এন্ড বেটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার, বা মোট সম্পদের ৭৭ শতাংশ দান করে দিয়েছেন এই মার্কিন ব্যবসায়ী।

    কার্লোস স্লিম : মেক্সিকান এই টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসায়ী হলেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের। নিজের ২৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ৪ শতাংশ দান করেছেন মানবকল্যাণে। বিশেষ করে বিশ্বের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে তার ১০০ মিলিয়ন ডলারের অলাভজনক বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য।

    এলি ব্রোড : প্রযুক্তি ব্যবসায়ী এলি ব্রোড নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত ব্রোড ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিজের সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ৪৫ শতাংশই দান করে দিয়েছেন। মূলত বিজ্ঞান ও শিল্পকলা বিষয়ক গবেষণায় সম্পদ ব্যয় করছেন এই আমেরিকান।

    জর্জ কাইজার : আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিওকে ফাইনান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাইজারও একজন মার্কিন নাগরিক। শিক্ষা ক্ষেত্রে তার দানশীলতার উদাহরণ অতুলনীয়। প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ৩৫ শতাংশ ব্যয় করেছেন বিভিন্ন দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য।

    মাইকেল ব্লুমবার্গ : রাজনীতি করার পাশাপাশি আমেরিকার একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী মাইকেল ব্লুমবার্গ। মিডিয়ায় রয়েছে তার বড় ধরনের বিনিয়োগ। মোট ৩৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ৮ শতাংশ দান করেছেন মানবতার কল্যাণে।

    পল অ্যালেন : তিনি মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ১৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন নিজের পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে।

    মার্ক জুকারবার্গ : বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ২০ দানশীল ব্যক্তির তালিকায় আপাতত ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার নাম ১৩ নম্বরে থাকলেও শিগগিরই তা একদম প্রথম দিকে উঠে আসার কথা। এতদিন তার মোট ৪৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ৪ শতাংশ মানবতার কল্যাণে ব্যয় করেছেন। তবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো বাবা হওয়ার পর সদ্যজাত কন্যাসন্তানের জন্য ‘বসবাসযোগ্য পৃথিবী’ নির্মাণের আশায় নিজের পুরো সম্পদের ৯৯ শতাংশ দান করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জুকাবার্গ দম্পতি।

    লি কা শিং : হংকংয়ের নাগরিক এই ব্যবসায়ী এশিয়ার অন্যমত সেরা ধনকুবের। ২৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক শিং নিজের সম্পদের ৫ শতাংশ ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণে ব্যয় করেছেন।

    জন হান্টসম্যান জুনিয়র : আমেরিকান ব্যবসায়ী হান্টসম্যানের মোট সম্পদ ৯৪০ মিলিয়ন ডলার। ক্যামিক্যাল পণ্য প্রস্তুতকারক হান্টসম্যান করপোরেশনের মালিক দান করেছে বর্তমান সব সম্পদসহ ভবিষ্যতে অর্জন করবেন এমন সম্পদও।

    টেড টার্নার : টার্নার ব্রোডকাস্টিং সিস্টেমের মালিক দান করেছেন নিজের মোট ২ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির ৫৭ শতাংশ।

    জেমস সিমন্স : আমেরিকান গণিতবিদ সিমন্সের সম্পদের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলার। দান করেছেন দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো।

    পিয়েরে অমিদিয়ার : ফ্রান্সে জন্ম নেয়া ইরানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক পিয়েরে অমিদিয়ার অনলাইন ভিত্তিক বেচাকেনার প্রতিষ্ঠান ই-বে’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। নিজের ৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ১৬ শতাংশ, বা এক বিলিয়ন দান করেছেন সমাজকল্যাণে।

    ডিটমার হপ : জার্মান প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হপ দান করেছেন নিজের ৬ বিলিয়ন থেকে এক বিলিয়ন ডলার। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট।

    ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয়তা আমেরিকার উপকূল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে

    ২০১১ সালে জাপানে পরমাণু দুর্ঘটনা থেকে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তা উত্তর আমেরিকার উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে তেজস্ক্রিয় দূষণের পরিমাণ বাড়ছে, যদিও তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা এখনো মানুষ বা সামুদ্রিক জীবজগতের জন্যে হুমকি সৃষ্টি করার চেয়ে অনেক কম মাত্রায় রয়েছে, বিশেষজ্ঞরা জানান।

    প্রশান্ত মহাসাগরের পানির শত শত নমুনায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক প্ল্যান্ট থেকে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তা দুর্ঘটনার ৪ বছর পরও অব্যাহত রয়েছে, উডস হোল ওস্যানোগ্রাফিক ইন্সটিটিউশন এর মেরিন রেডিওকেমিস্ট কেন বায়েসেলার বলেন।

    সাম্প্রতিক মাস গুলোতে ওয়াশিংটন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলের কয়েকশ’ কিলোমিটারের মধ্যেই সিজিয়াম-১৩৪ সনাক্ত করা হয়েছে, এ ছাড়া কানাডা’র ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের নিকটেও অনুরূপ তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে।

    বায়েসেলার এক ইমেইল এ বলেন “যদিও তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা সরকার অনুমোদিত মাত্রার অনেক নীচে রয়েছে, তেজস্ক্রিয়তার পরিমান পরিবর্তনের বিষয়টিকে প্রশান্ত মহাসাগর এলাকা জুড়ে আরো নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

     বিসিসিআইজের নবনিরবাচিত কমিটিকে অভিনন্দন

    বিসিসিআইজের নবনিরবাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে কানাগাওয়াবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশেষ ডিনার এর আয়োজন। নবনিরবাচিত সভাপতি জনাব সাকুরা সাবের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। আজ অন্যান্য দের মাজে বিসিসিআইজের সাধারন সম্পাদক সলিমুল্যা কাজল, সহ সভাপতি হাসিমতো মাসুদ, ইলিয়াস মুনসী, কোসাধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ, জয়েনট সেকরেটারী ড: জাকির হোসেন মাসুম, পাবলিকেশন সম্পাদক সাকাই পল। এবং অডিটর লুৎফর রহমান সরকার শিপার, কমিটির অন্যান দের  সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি খরশেদ আলাম মাইকেল, সম্মনিত সদস্য জনাব কাজী মাহফুজুল হক লাল, শাহিদুর রহমান খাঁন হিরু, নবিউল্লাহ আসিফ। ব্যক্তিগত কারনে এবং দেশের বাহিরে থাকায় অন্যান্যরা উপসথিত থাকতে পারেন নাই বলে দু:খ প্রকাশ করেছেন. আজকের অনুষ্ঠান টি সুন্দর ভাবে সমপন্ন করতে পেরে কানাগাওয়াবাসীকে সবারপক্ষ থেকে জনাব সাকুরা সাবের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।আগামী দিনে টোকিও সহ সকল অনচলে আরও অনুষ্ঠান করার ঘোষনা দেন। পাশাপাসি বিসিসিআইজে এর মাধ্যমে জাপান প্রবাসী খুদ্র এবং মাজারি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে আগামি দিনে এই ছেম্বার হবে সকল প্রবাসিদের প্রতিষ্ঠান।

    ফেইসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধে দেশ-বিদেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া    

    গত ১৮ নভেম্বর বুধবার দুপুরে সারা বাংলাদেশে অকস্মাৎ ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। ৭০ মিনিট ইন্টারনেট বন্ধ থাকে। তারপর ফেইসবুক, ভাইবার, হোয়াটস্ এ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারসহ সামাজিক যোগাযোগের ৭ টি বা ততোধিক মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ১৫ দিন ধরে এগুলো বন্ধ রয়েছে। এসব যোগাযোগ মাধ্যম কবে খোলা হবে সেটি নিয়ে এক ধরনের চোর-পুলিশ খেলা চলছে। টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এতদিন বলছিলেন যে, মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এবং তাদের জীবন রক্ষা করার জন্যই এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা সংকট কেটে গেলেই এসব বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হবে। এখন তিনি বলছেন যে, আমাদেরকে অর্থাৎ তার মন্ত্রণালয়কে খুলে দিতে বললেই তাৎক্ষণিকভাবে তারা এগুলো খুলে দেবেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন যে, সন্ত্রাসের সংকট এখনো কাটেনি। কেটে গেলেই এগুলো খুলে দেওয়া হবে। ফেইসবুকে চিঠি লেখা দুই মন্ত্রীর এই ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্যের মাঝে গত মঙ্গলবার পত্র-পত্রিকায় এই মর্মে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, সরকার নাকি ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেছেন। তারা নাকি তাদের সাথে বৈঠক করতে চান। সরকার ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে কেন বৈঠক করতে চান, কবে করতে চান, এ সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই খবর থেকে একটি বিষয় ধারণা করা যায় যে, ফেইসবুক বা ভাইবার খুলতে এখনো দেরী আছে। এদিকে পত্র-পত্রিকায় আরও খবর বেরিয়েছে যে, ফেইসবুক একাউন্ট খুলতে ন্যাশনাল আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। কেউ চাইলে আর প্রচলিত নিয়মে ফেইসবুক খুলতে পারবেন না। জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভুয়া একাউন্টধারীদের শনাক্ত করা এবং নতুন করে ভুয়া একাউন্ট খোলা ঠেকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রকল্প চালু হলে ফেইসবুকের কাছে ইমেইল আইডির সঙ্গে ন্যাশনাল আইডি কার্ড ভেরিফিকেশনের জন্য নতুন অপশন যোগ করার জন্য আমরা ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখব।’ চিঠিতে বাংলাদেশের পটভূমিতে ফেইসবুকের নানা অপব্যবহার ও নেতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পটভূমিতে অনেক কিছুই নেতিবাচক মনে করে না ফেইসবুক। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে কোনো বিষয়ে তাদের অভিযোগ জানালে মামলা করে আসতে বলা হয়। তাদের কাছে অভিযোগ জানালেও তারা আমলে নেয় না। ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের এই সামাজিক অবস্থাগুলো তুলে ধরা হবে।’ বিষয়টির গুরুত্ব বাড়াতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকেও এ ধরনের চিঠি সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে। মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে ইতোমধ্যেই এসব মাধ্যম বন্ধ করার পর ১৫ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন আবার চিঠি লেখা এবং বৈঠকের কথা বলা হচ্ছে। এসব সম্পন্ন করতে কতদিন লাগবে সেটি একমাত্র সরকারই জানেন। তবে এর ফলে জনমনে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সেটি কেবল বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এখন বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে প্রায় ১ কোটি প্রবাসীর বাস। প্রায় প্রতিটি ঘর থেকেই অন্তত ১ জন বিদেশে বাস করছেন। এরা টেলিফোনে, ই-মেইলে বা অন্যান্য মাধ্যমে জানাচ্ছেন যে, বিদেশে কি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। আর যাই হোক, সেই প্রতিক্রিয়া যে সরকারের অনুকূল নয় সেটি বুঝতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। অষ্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা, আমেরিকা প্রভৃতি দেশ থেকে বিদেশীরা তো দূরের কথা, বাংলাদেশীরাই বলছেন যে, এসব দেশে এই ধরনের ঘটনা কল্পনাই করা যায় না। দেশের অভ্যন্তরে মানুষ বলছেন যে, ইতোপূর্বে চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি, আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে। এখন আবার ৭ টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করা হলো। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে মত প্রকাশের বাহনগুলি স্তব্ধ হওয়া, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিচায়ক নয়। এরফলে দেশ একটি বিশেষ পদ্ধতির দিকে যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক প-িতরা মনে করেন। গোড়ার কথা গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ডেইলি স্টারের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরের শিরোনাম ছিল, ‘ওঘঞঊজঘঊঞ, গঙইওখঊ অচচঝ / ঝঁফফবহ ংযঁঃফড়হি ভড়ষষড়ংি াবৎফরপঃ.’ ‘ইন্টারনেট, মোবাইল এ্যাপ্স / রায়ের পর অকস্মাৎ বন্ধ’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সর্ব প্রথম সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। ফলে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসা ও চাকরি বাকরিসমূহ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৭৫ মিনিট ধরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পর সরকার ফেইসবুক এবং অনলাইন ম্যাসেজিং বন্ধ করে দেয়। একই সাথে হোয়াটস এ্যাপ এবং ভাইবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিজিটাল জগতের বিশেষজ্ঞ এবং উদ্যোক্তারা বলেন, তাদের অনলাইন সার্ভিস বন্ধ থাকার ফলে ডিজিটাল ব্যবসা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রভাব থাকবে দীর্ঘদিন। কম্পিউটার সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোস্তফা জব্বার বলেন, আধুনিক জীবন, ব্যবসা এবং অফিস-আদালতের লাইফ লাইন হলো ইন্টারনেট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইট সমূহ ব্লক করা সরকারি মেকানিজমের সর্বাত্মক ব্যর্থতাই প্রমাণ করে। আলোচ্য ইংরেজী পত্রিকাটির রিপোর্ট মোতাবেক সর্বোচ্চ আদালত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ পিটিশন খারিজ করার ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথেই ইন্টারনেট ব্লক করা হয়। ইতোপূর্বে বিটিআরসি বা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ সংস্থা ফেইসবুক, হোয়াটস এ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ট্যাংগো এবং ভাইবার বন্ধ করার জন্য সমস্ত মোবাইল কেরিয়ার, ইন্টারনেট গেটওয়ে এবং সার্ভিস প্রভাইডারদের নির্দেশ দেয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, অবাধে চ্যাট করার চেয়ে জনগণের নিরাপত্তা অনেক মূল্যবান। গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে বলেন যে, জঙ্গিদের গ্রেফতার এবং তাদের ক্রিমিনাল কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য হোয়াটস এ্যাপ এবং ভাইবার ব্লক করা হতে পারে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এ বছরের ১৮ জানুয়ারী ভাইবার, হোয়াটস এ্যাপ, ট্যাংগো এবং মাই পিপল লাইন ৪ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। বিডিআর ম্যাসাকারের পর সরকার ২০০৯ সালে ২৬০ দিনের জন্য ফেইসবুক এবং ইউটিউব বন্ধ করে দেয়। ডেইলি স্টারের রিপোর্ট মোতাবেক এসব ডিজিটাল সার্ভিস বন্ধ থাকার ফলে ই-কমার্স এবং অনলাইন ব্যাংকিং, আউট সোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং এবং কল সেন্টার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেইসবুক, ভাইবার, হোয়াটস এ্যাপ বন্ধ করার ফলে মোবাইল ডাটার ব্যবহার অনেক কমে গেছে। এছাড়া ব্যান্ড উইডথ ব্যবহার বিপুলভাবে কমে গেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট তথ্য সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করে ফেইসবুক। এমনকি অনেক ব্যবসা-বাণিজ্যের সংবাদ দিতে হয় ফেইসবুকের মাধ্যমে। যদিও সোয়া ঘন্টা পর ইন্টারনেট লাইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, কিন্তু তারপর দেখা যাচ্ছে যে ইন্টারনেট স্পীড বা গতি দারুণভাবে কমে গেছে। আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ের এক কর্ণধার জানান যে, ভাইবার এবং হোয়াটস এ্যাপ বন্ধ করার ফলে কতগুলো ওয়েব সাইটে ঢোকা যাচ্ছে না। ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, ফেইসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস এ্যাপ এবং ভাইবার ছাড়াও টুইটার, ট্যাংগো, আইএমওসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য এ্যাপেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থেই এগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন। ইন্টারনেট ও ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এ পর্যন্ত ৭ থেকে ৯ টি সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেইসবুক, ভাইবার, হোয়াটসএ্যাপ, ট্যাংগো, হ্যাঙ্গআউট, ইউস্টার্ন ডট টিভি, কমিউর, লাইন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনার যেমন জন্ম দিয়েছে, তেমনি প্রযুক্তিবিদরাও এ সিদ্ধান্তের প্রতি দ্বি-মত পোষণ করেছেন। প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারের যে লক্ষ্য তা পূরণ হবে না এবং কোনো সমাধানও আসবে না। এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে, একদিন না একদিন তো এসব যোগাযোগ মাধ্যম খুলতে হবে। তখন কি হবে? সরকার যে আশঙ্কায় এগুলো বন্ধ করেছে, তা কি নির্মূল হয়ে যাবে? সন্ত্রাসী বা জঙ্গি গোষ্ঠী কি এসব এ্যাপস ব্যবহার বন্ধ করে দেবে? এতে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হওয়া ছাড়া খুব একটা লাভ হচ্ছে না। কারণ, ফেইসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম সংখ্যাগরিষ্ঠ যেসব সাধারণ ব্যবহারকারী ব্যবহার করছে, তারা ইতোমধ্যে অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বিটিআরসি’র হিসাব মতে, দেশে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে শুধু ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। বাকিরা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করছে। এই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ তরুণ প্রজন্ম মনে করছে, এটা তাদের অবাধ তথ্য আদান-প্রদান ও মতামত প্রকাশের মতো মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। বিশ্বজুড়ে ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন আইএস তার বেশিরভাগ কার্যক্রম ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে যাচ্ছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর ও সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলো তো সেসব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করতে পারছে না বা বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। কারণ, তারা জানে, প্রযুক্তির এ যুগে তা বন্ধ করা সম্ভব নয়। এক পথ বন্ধ করলে অসংখ্য পথ বের হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া সরকারের ভাবমর্যাদা কোনোভাবেই উজ্জ্বল করছে না। প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন, প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। কোনো এ্যাপস বন্ধ করে নয়।

    ভারতে মুসলিমদের চেয়ে গরু বেশি নিরাপদ

    কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন ভারতে মুসলিমদের চেয়ে গরু বেশি নিরাপদ। ভারতের সাম্প্রতিক অসহিষ্ণুতার বিষয়ে লোকসভার এক বিতর্কে নিজের এক ‘বাংলাদেশী বন্ধু’ এর উক্তি দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার লোকসভায় এক বিতর্কে তিনি এই কথা বলেন।
    ভারতে চলমান অসহিষ্ণুতা বিষয়ক লোকসভার এক বিতর্কে কেরালা থেকে নির্বাচিত এই সদস্য বলেন, সরকারের অবশ্যই জানা উচিত তারা কখনো ভারতকে বিশ্বে তুলে ধরতে পারবে না যতক্ষণ দেশে এই ঘৃণার রাজনীতি চলতে থাকবে। ভারত কখনো নিজেকে বহুত্ববাদ, সহনশীলতা ও গান্ধীবাদের দেশ হিসেবে তুলে ধরতে পারবে না যতক্ষণ এখানে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ কাজ করবে। শশী থারুর নিজের এক ‘বাংলাদেশী বন্ধু’-এর বরাত দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ইসলামি মৌলবাদীরা ভারতে আক্রমণ করতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে কারণ এখানে এখন মুসলিমদের চেয়ে গরু বেশি নিরাপদ।
    নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বদলে গেছেন বলে মনে করেন শশী। ২০১৪ সালে বিহারে মোদীর নির্বাচনী সমাবেশে বোমা হামলা হওয়ার পরেও তিনি সাম্প্রদায়িক বিভক্তির রাজনীতি ব্যবহার করেননি। কিন্তু বর্তমান চরম অসহিষ্ণু পরিবেশেও তিনি চুপ রয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তিনি বদলে গেছেন। তিনি একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে ভাবেন না। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা রাজনৈতিক মেরুকরণ করছে কিন্তু তিনি নিশ্চুপ রয়েছেন।

    এলিয়ন খুঁজতে নাসার ‘কেমিক্যাল ল্যাপটপ’

    পৃথিবীর বাইরে এলিয়নদের উপস্থিতির খোঁজে সহায়তায় ‘কেমিক্যাল ল্যাপটপ’ এনেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এটি একটি পরিবহনযোগ্য রাসায়নিক ল্যাব যা নাসার ভবিষ্যত রোভারগুলোতে যুক্ত করা হবে।

    নাসার ভাষ্যমতে, জীবের অস্তিত্ব আছে এমন অণু সন্ধান করাই কেমিক্যাল ল্যাপটপের একমাত্র উদ্দেশ্য। বিশেষ করে আমিষ আর কোষঝিল্লির প্রধান উপাদান অ্যামাইনো এসিড আর ফ্যাটি এসিড খোঁজার জন্য বানানো হয়েছে এটি।

    মঙ্গল আর পৃথিবীর বাইরের অন্যান্য স্থানে পাওয়া নমুনাকে বিশ্লেষণের আগে পানিতে দ্রবীভূত করতে হবে। এই কেমিক্যাল ল্যাপটপটি অনেকটা এসপ্রেসো মেশিনের মতো, যা নমুনাগুলো উত্তপ্ত করে পানিতে দ্রবীভূত করে। সেখানে রঞ্জক পদার্থ আর অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থগুলো কোনো নমুনায় জীবের অণু পাওয়া গেলে তা শনাক্ত করতে পারবে। অ্যামাইনো এসিড ও ফ্যাটি এসিড শনাক্ত ছাড়াও তা কোনো জীব থেকে এসেছে কি না তাও নির্ণয় করা যাবে।

    নির্দিষ্ট এক অ্যামাইনো এসিড বাম বা ডানদিকধারী হয়ে থাকে। দুই ক্ষেত্রে শারীরিক গঠন সম্পূর্ণ এক হলেও, একটি আরেকটির আয়নার প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকে। পৃথিবীতে জীবের দেহে প্রায় সবক্ষেত্রেই এটি বামদিকধারী হয়। তবে, এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমও হতে পারে। তবে, সম্ভাব্য বিষয়টি হচ্ছে, জীবের ক্ষেত্রে দুটির মিশ্রণ থাকার সম্ভাবনা নেই। তাই, যদি ভিনগ্রহের অ্যামাইনো এসিডে দুইয়ের মিশ্রণ পাওয়া যায়, তবে তা জীবের নয় বলে ধরা যাবে। কেমিক্যাল ল্যাপটপে কিছু রঞ্জক পদার্থ রয়েছে যা শুধু বাম বা ডানদিকধারী এসিড নিয়ে কাজ করতে পারবে। এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন গবেষকরা। সূত্র: দ্য ভার্জ।

    ৮০ শতাংশ জাপানি মনে করেন প্যারিসের মতো হামলা জাপানেও ঘটতে পারে

    প্রায় ৮০ শতাংশ জাপানি এই ভেবে শংকিত যে প্যারিসের মত সন্ত্রাসী হামলা জাপানেও হওয়া সম্ভব, রোববার কিয়োদো নিউজের এক জরিপে এ কথা জানা যায়।

    জরিপে আরও দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র মন্ত্রীসভার প্রতি জনসমর্থন ৪৪.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৮.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে ৪০.৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন তারা মন্ত্রীসভাকে সমর্থন করতে পারছেন না, এই হারও আগের থেকে কমে গেছে। আগে অসমর্থনের হার ছিলো ৪১.২ শতাংশ।

    নভেম্বরের ১৩ তারিখ প্যারিস হামলা ইসলামিক স্টেট সংঘটিত করেছে বলে দাবি করা হয়। ৭৯.৭ উত্তরদাতা বলেছেন তাদের বিশ্বাস অনুরূপ ভয়ানক হামলা জাপানেও হতে পারে।

    ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন সি

    ভিটামিন সি পানিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন। শরীর ভিটামিন সি জমিয়ে রাখতে পারেনা। অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে তা প্রস্রাবের সাথে দেহ থেকে রেরিয়ে যায়।

    প্রতিদিন আমাদের এই ভিটামিন খাওয়া উচিত। টক জাতীয় ফলে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। আমলকী, আমড়া, পেয়ারা, জলপাই, লেবু,  বাতাবী লেবু, কমলা, টমেটো, আঙ্গুর, ইত্যাদি ফলে অনেক ভিটামিন সি থাকে।
    গবেষণায় দেখা গেছে এই ভিটামিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সুতরাং সবার এই ভিটামিন প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের বৃদ্ধি এবং ক্ষয়পূরণের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন জায়গা কেটে গেলে প্রচুর সি জাতীয় ভিটামিন গ্রহণ করা উচিত।
    কারণ এই ভিটামিন কোলাজেন তৈরী করে এবং ক্ষতস্থান দ্রুত মেরামত করে। দাঁত এবং অস্থির গঠনেও এর ভূমিকা রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধ ছাড়াও বিভিন্ন অসুখ বিসুখের হাত থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন সি এর জুড়ি নেই। যেমনঃ- ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, সুন্দর, সুস্থ মাড়ির জন্য এই ভিটামিন প্রয়োজন, রক্তের গ্লোকোজ নিয়ন্ত্রণ করে, পোড়া এবং ক্ষত দ্রুত আরোগ্যের জন্য ডাক্তারগণ ভিটামিন সি ব্যবহার করেন।
    এছাড়া অ্যাজমা, একজিমা ইত্যাদি অসুখেও ভিটামিন সি উপকার করে, অবসাদ রোগীদের জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহার করে সেগুলোর একটি পরিচিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মুখ শুকিয়ে যায়, এ অবস্থায় ভিটামিন সি ব্যবহার করা হয়, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে-এর ব্যবহার আছে। মহিলাদের এক্লামশিয়া রোগ প্রতিরোধ করে ভিটামিন সি এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য ভিটামিন সি ভালো কাজ করে।
    ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন সির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এটি মূলত এন্টি অক্সিডেন্ট। বিজ্ঞানী পাওলিং বলেছিলেন, প্রতিদিন আমাদের ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। আমাদের দেশে অনেকেই টক জাতীয় ফল খেতে চায়না। এটি একেবারেই ঠিক নয়। অনেকে কেটে গেলে ভিটামিন সি খেতে চায়না এই ভয়ে যে ক্ষতস্থান পেকে যাবে। এটা যে কত বড় ভুল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
    বরং কেটে বা পুড়ে গেলে আরো বেশী ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। তাহলে দ্রুত আরোগ্য সম্ভব। কার্সিনোজেন (যেসব পদার্থ ক্যান্সার তৈরী করে) এবং নাইট্রেট ইত্যাদি থেকে শরীরকে রক্ষা করার মধ্য দিয়েই ভিটামিন সি ক্যান্সার থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে। অনেক বিজ্ঞানীই একমত ভিটামিন সি ক্যান্সার থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে। তাই ভিটামিন সি কে ক্যান্সার প্রতিরোধক বলা যায়।
    কিন্তু  ক্যান্সার হয়ে গেলে ভিটামিন সি খেয়ে খুব একটা লাভ নেই। ক্যান্সারের মেটাস্টেসিস অর্থাত্ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়াকে ভিটামিন সি প্রতিরোধ করতে পারে।  ফলে সবারই ভিটামিন সি প্রচুর খাওয়া উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে ক্যান্সারের প্রকোপ অনেক কমে যাবে।
    ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
    রেজিষ্টার, মেডিসিন বিভাগ
    রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতাল

    জাপানে ফ্লুরেসেন্ট ইনক্যান্ডিসেন্ট বাতি নিষিদ্ধ হচ্ছে

    জাপান সরকার প্রতিপ্রভ বা আলোতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠা ফ্লুরেসেন্ট (টিউব লাইট) ও তাপোজ্জ্বল ইনক্যান্ডিসেন্ট (সাধারণ স্বচ্ছ লাইট) বাতি নিষিদ্ধ করে তার জ্বালানি নীতিকে আরো কঠোর করে তুলতে চাইছেন।

    সরকারের লক্ষ্য কার্বন ডাই অক্সাই নির্মণ সীমিত করতে আলো নির্গমণকারী ডায়ট বাতির আরো ব্যাপক প্রচলনের মাধ্যমে ফ্লুরেসেন্ট ও ইনক্যান্ডিসেন্ট বাতি বাজার থেকে তুলে নেয়া।

    শিল্প মন্ত্রণালয়ের মতে ২০১২ সালে জাপানে এলইডি বাতির ব্যবহার ছিলো ৯ শতাংশ, সরকারের ইচ্ছে তারা ২০৩০ সাল নাগাদ এই হার ১০০ শতাংশে উন্নীত করা।

    এলইডি বাতি অন্যান্য যে কোনো বাতির তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী এবং ইনক্যান্ডিসেন্ট বাতির তুলনায় এলইডি বাতিতে বিদ্যুৎ খরচ আট ভাগের এক ভাগ।

    তবে কিনতে গেলে এলইডি বাতি অধিক মূল্যবান। ৬০ ওয়াটের একটি ফ্লুরেসেন্ট বাতির দাম ৭০০ ইয়েন কিন্তু এলইডি বাতির দাম ২০০০ ইয়েনের কাছাকাছি।

    জাপানি নারীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য
    এক মাস পর কবরের সন্ধান, থানায় হত্যা মামলা
    রাজধানীতে হিরোই মিয়াতা নামে জাপানের এক নাগরিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে খোঁজ মিলছিল না ৬১ বছর বয়সী এ নারীর। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় জিডি হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাটির তদন্তে নামে। পরিচিত লোকদের বক্তব্য অনুযায়ী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়। তবে সেক্ষেত্রে পুলিশ, স্বজন বা সংশ্লিষ্ট কাউকে না জানিয়ে কেন তার দাফন করা হয়-সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। ময়নাতদন্তে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে আশা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
    পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার বিধান ত্রিপুরা বলেন, জাপানের ওই নাগরিককে হত্যার কোনো তথ্য-প্রমান এখনও পুলিশের কাছে নেই। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন-চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
    পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকায় ছিলেন হিরোই মিয়াতা। সর্বশেষ কয়েক বছর তিনি উত্তরা-৬ নম্বর সেক্টরের সিটি হোমস নামে একটি আবাসিক হোটেলে থাকতেন।
    পুলিশ জানায়, হিরোই মিয়াতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে গত ১৯ নভেম্বর জাপান দূতাবাসের এক কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানায় জিডি করেন। পুলিশকে জানানো হয়, জাপানে থাকা মিয়াতার মা দূতাবাসকে বলেছেন, সর্বশেষ ২৬ অক্টোবর মেয়ের সঙ্গে তার কথা হয়। এর পর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না। এর সূত্র ধরে তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ সিটি হোমস হোটেলে যায় ও মিয়াতার পরিচিতজনদের সঙ্গে কথা বলে। পোশাকের স্টক লট ব্যবসায় জড়িত দু’জন জানান, হোটেলে মিয়াতার অনেক টাকা বিল বাকি ছিল। হোটেল মালিক এ ব্যাপারে প্রায়ই তাগাদা দিতেন। এমন পরিস্থিতিতে আড়াই মাস আগে তারা মিয়াতাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সেখানে গত ২৭ অক্টোবর তিনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। পাশের একটি ওষুধের দোকানের কর্মীদের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে কিছু ওষুধ ও স্যালাইন খাওয়ানো হয়। তবে এতে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ২৯ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। ২০০৬ সালে মিয়াতার বাংলাদেশের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। এ কারণে তাকে কোনো হাসপাতালে নেয়ার সাহস করেননি বলেও জানান দুই ব্যবসায়ী। পরে বনানীর ১২ নম্বর সড়কের সিটি করপোরেশন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুর বিষয়টি তার মাকে জানানো হয়েছে।
    তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘটনাটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে গোপনীয়তা ও অন্যান্য কিছু কারণে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

    মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর বিচারিক হত্যার প্রতিবাদে জাপানে প্রতিবাদ সভা ও গায়েবানা জানাজা

    টোকিও,জাপানঃ প্রহসনের অবৈধ,সাজানো,ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল কতৃক জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারী জেনারেল,সাবেক সফল মন্ত্রী শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এর গোয়েবলসীয় কায়দায় নির্মম বিচারিক হত্যা তথা অন্যায় ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে সেভ হিউম্যানিটি ইন বাংলাদেশ,জাপানের উদ্যোগে “প্রতিবাদ সভা ও গায়েবানা জানাজা” আজ ২২নভেম্বর,রোববার,সময় সকাল ১১টায় জাপানের কশিগায়া কমিউনিটি হল এ অনুষ্টিত হয়।

    সেভ হিউম্যানিটি ইন বাংলাদেশ,জাপানের আহবায়ক জনাব আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে সাবেক ছাত্রনেতা ও আবৃত্তিকার আজিজুর রহমান শিমুলের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাপান কমিঊনিটির শীর্ষ নেতা জনাব হাফেজ আলাউদ্দিন,বিশিষ্ট গাড়ি ব্যবসায়ী ও কমিঊনিটি লিডার জনাব এটিএম মিছবাহুল কবির,ইসলামিক মিশন জাপানের সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুল মোমেন,ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন জাপানের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিকী সোহাগ, মনির হোসেন, প্রবাসে বাংলাদেশ ডটকম সম্পাদক আতিকুর রহমান, কমিঊনিটি লিডার সিরাজুল হক, এম ডি মাঈনুদ্দীন, ডাঃ মহিউদ্দিন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন,সারাদেশে সরকারী বাহিনীর ব্যাহত খুন,গুম,মিডিয়া ক্যু করে নিজের আজ্ঞাবহ ও লেজুড় বিচারক ও প্রসিকিশনকে দিয়ে একের পর এক নির্মম বিচারিক হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে, যার সর্বশেষ সংযোজন হল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারী জেনারেল,সাবেক সফল মন্ত্রী শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও প্রখ্যাত পার্লামেন্টারিয়ান এবং বি.এন.পির স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আজ বিপন্ন। বিডিয়ার ধ্বংস করে সীমান্ত অরক্ষিত রেখে বিজিবি ও র‍্যাব-পুলিশ দিয়ে নিরীহ জনতার উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষন ও খুন,গুম চালাচ্ছে। আওয়ামীলীগ কতিপয় মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবিকে দিয়ে সিন্ডিকেট করে ‘উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে সর্বত্র। বক্তাগন অবৈধ প্রহসনের ট্রাইব্যুনালে কথিত সাজানো মৃত্যুদন্ড কার্যকরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবৈধ সাজানো ট্রাইব্যুনাল এর পরবর্তী রায় সমুহ বাতিল ও দেশ প্রেমিক শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন। নইলে ফ্যাসিস্টদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে কঠোর ভাগ্যাবরণের অপেক্ষায় থাকার আহবান জানান। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে গায়েবানা জানাজা বায়তুল আমান জামে মসজিদে অনুষ্টিত হয়,এতে ইমা ম তি ক রেন প্রিন্সিপাল হাফেজ ছাবের আহমেদ।

    রিপোর্টঃ আতিকুর রহমান,টোকিও

    আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে -হুম্মাম কাদের চৌধুরী

    সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নির্দোষ দাবি করে তার পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, ‘আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, রাত ৮টায় বলা হয় এক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দেখা করতে। সরকার প্রাণভিক্ষা চেয়েছে বলে নাটক করছে। আমরা উনার সাথে কারাগারে দেখা করতে গেলে তিনি বলেছেন, কোনো ব্যক্তির কাছে আমি প্রাণভিক্ষা চাইব না। প্রাণভিক্ষা চাইলে আল্লাহর কাছে চাইব। গতকাল (রোববার) রাতে নগরীর গুডস হিল বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী এসব কথা বলেন। হুম্মাম কাদের বলেন, বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল তাকে রাঙ্গুনিয়ায় দাফনের। কিন্তু তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে দিল না সরকার। বাবা কয়েকদিন আগে ত্রুটিপূর্ণ বিচারের জন্য প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রেসিডেন্টের কাছে পিটিশন দিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের পিটিশন গ্রহণ করা হয়নি। হুম্মাম কাদের বলেন, আমরা বাংলাদেশের একটি বড় সম্পদ হারিয়েছি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মতো লোক আমরা ফিরে পাব না। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের দোয়া করবেন। সত্য ঘটনা একদিন বের হয়ে আসবে। তিনি নির্দোষ ছিলেন। মানুষ বলবে তাকে মার্ডার করা হয়েছে। তিনি সত্য ঘটনা বের করার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমার বাবাকে চট্টগ্রামবাসী যে সম্মান দিয়েছেন তা আজীবন মনে রাখব। হুম্মাম কাদের বলেন, আমরা যখন কারাগারে তার সাথে দেখা করতে যাই তখন তিনি হাসতে হাসতে বললেন, কি হলো, আজকে কি আমাকে মেরে ফেলবে। পরিবারকে দেখে তিনি খুশি হয়েছিলেন। আমাদের সাহস দিয়েছেন। প্রাণভিক্ষা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা মানুষ কি কারও কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারে। তোমরা কি বিশ্বাস কর। এ সরকার অনেক কাগজ বানাতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী বলেন, পাগলেও বিশ্বাস করবে না আমার স্বামী ক্ষমা চাইতে পারে। আমরা পরিবার ও দলের সিদ্ধান্তক্রমে  প্রেসিডেন্টের কাছে শুধু রি-ট্রায়ালের জন্য পিটিশন দিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা যখন তার সাথে দেখা করতে যাই তখন তিনি ছিলেন অবিচল এবং দৃঢ়চেতা। তার সাথে আমরা গল্প-গুজব করে হাসিমুখে বিদায় দিয়েছি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আমার বড় ভাইয়ের ঈমানি শক্তি ছিল প্রবল। তিনি শুধু স্ত্রীকে বলেছেন, আমাকে মাফ করে দিও। আমি রাজনীতি করতাম, তোমাকে সময় দিতে পারিনি। মৃত্যুর তিন ঘণ্টা আগেও তার মধ্যে ভয়ভীতি ছিল না। তিনি বলেছেন, আমি ভুল করিনি, অন্যায় করিনি, অপরাধ করিনি। এছাড়া তিনি কাফনের কাপড় এবং গোসলের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন। তিনি জেলারকে বলেছিলেন, তাকে রাঙ্গুনিয়া দাফনের জন্য। কিন্তু তার শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়নি। সরকার তাকে রাউজানে দাফন করতে বাধ্য করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ২ কন্যাসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয় ও বিএনপি নেতা। রাউজানে দাফন : জানাযায় উপস্থিতি কমাতে নানা অপকৌশল রাউজান থেকে এম বেলাল উদ্দিন জানান, কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বিপুল মানুষের অংশগ্রহণে রাউজানের গহিরায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল (রোববার) সকাল ৯টা ২২ মিনিটে বক্স আলী চৌধুরী বাড়ী জামে মসজিদের উত্তর পাশে খালি জায়গায় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ফটিকছড়ি বাবু নগর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শায়খুল উলামা হযরত মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। জানাযায় ১১ কাতার মানুষ অংশ নেয়। একেকটি কাতারে ৫০ জনেরও বেশি মুসল্লিকে দাঁড়াতে দেখা যায়। জানাযা শেষে স্থানীয় রীতি অনুযায়ী উপস্থিত মুসল্লীদের জিজ্ঞেস করা হয়, ‘এই লোকটি কেমন ছিলেন? সকলে এক বাক্যে বলে ওঠেন ওনি খুব ভালো লোক ছিলেন।’ এরকম ৩ বার উচ্চারণ করা হয়। এর পর খাটিয়া করে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে নেয়া হয়। তারপর ৯টা ২৮ মিনিটে যখন সালাউদ্দিন কাদেরের লাশ খাটিয়া থেকে নামিয়ে কবরে শোয়ানো হয় তখন আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা ডুকরে কেঁদে উঠেন। উচ্চস্বরে তকবির ধ্বনি ও কালেমা পাঠের মধ্যদিয়ে লাশ কবরে নামানো হয়। পুলিশের তাগাদার কারণে মাত্র ২৭ মিনিটের মধ্যে দাফনের কাজ সমাপ্ত হয়। তাদের পৈতৃক বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সালাউদ্দিন কাদেরের ছোটভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। ৯টা ৫৫ মিনিটে দাফন শেষে মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর দিনভর তার স্বজন, ভক্ত ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা নীরবে এসে কবর জেয়ারত করেন। কেউ দূর থেকে দোয়া-দরূদ পাঠ করেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নামাজে জানাযায় তার ছোট ভাই ফজলুল কাদের চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র শিল্পপতি আলহাজ জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরী ফায়াজসহ নিকট আত্মীয় ও পাড়া-প্রতিবেশীরা শরিক হন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী নামাজে জানাযায় উপস্থিত ছিলেন না। জানা যায়, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভাইয়ের জানাযায় আসতে পারেননি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠানকালে ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার কয়েকশ’ সাংবাদিককে অনেক দূরে ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। এদিকে লাশ দাফন ও জানাযাকে কেন্দ্র করে প্রায় সাড়ে তিনশ’ পুলিশ, ২ প্লাটুন বিজিবি ও ২ প্লাটুন র‌্যাব গহিরাসহ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন ছিল। নামাজে জানাযার আগে সকাল ৮টা থেকে গহিরা-মোবারখীল সড়ক ও গহিরা-অদুদিয়া সড়কে যান ও জনচলাচল একেবারে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সূত্র জানায়, নিরাপত্তার কারণে আগামীকালও গহিরায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ী এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। মানবতা বিরোধী অপরাধে দ-িত ফাঁসির আসামী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় শনিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে কার্যকর করা হয়। এর পর কারাগারের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে লাশবাহী এম্বুলেন্স যোগে সালাউদ্দিন কাদেরের লাশ নিয়ে রওনা হন রাউজানের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে লাশের গাড়ি পৌঁছে রাউজানের পৈতৃক বাড়িতে। এ সময় পথে পথে জনতা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। কোথাও কোথাও পুলিশ লোকজনকে ধাওয়া করে। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলেসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা কয়েকটি মাইক্রোযোগে সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে গহিরা চৌমহনীতে এসে পৌঁছান। লাশবাহী এম্বুলেন্সসহ প্রায় ৩০টি র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির গাড়ী কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গহিরা চৌমহনী অতিক্রম করে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুরান বাড়ীর সামনে লাশবাহী গাড়ীটি গিয়ে থামান। প্রশাসন সেখানে জানাযা আয়োজন করতে চাইলেও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলের বাধার কারণে তা হয়নি। ছেলে হুম্মাম কাদেরের ইচ্ছা অনুযায়ী লাশবাহী গাড়িটি সেখান থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর লাশের দায়িত্বে থাকা ঢাকার এক পুলিশ অফিসার’র কাছ থেকে লাশ গ্রহণ করে রিসিভ কপিতে স্বাক্ষর করেন ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। জানাযায় শরিক হতে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে। কিন্তু পুলিশের লুকোচুরির কারণে অনেকে জানাযায় শরিক হতে পারেননি। সকাল থেকে অসংখ্য মুসল্লি যখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ীতে নামাজে জানাযা পড়ার আগ্রহ নিয়ে ছুটে আসছিল, তাদেরকে পুলিশ জানাযা গহিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলে সে দিকে পাঠিয়ে দেয়। গহিরায় যখন কয়েকশ’ মানুষ একসাথে জড়ো হয় তখন তাদের বলা হয় জানাযা হবে বাড়ীতে। সে জন্য অনেকেই জানাযা নামাজে শরিক হতে পারেনি। রাউজানের গহিরা-চৌমুহনী-চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কে কয়েকশ’ পুলিশ এক ধরনের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে। সে বলয়ের মধ্যে গহিরা-মোবারখীল সড়ক ও গহিরা-অদুদিয়া সড়কে যান চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেয়া হয়। দেখা যায় পায়ে হেঁটেও কাউকে সড়কের দক্ষিণ দিকে আসতে দেয়া হয়নি। গহিরা চৌমহনীতে সকাল ৭টা থেকে দাফন শেষ হওয়া পর্যন্ত কোন যানবাহনকে অপেক্ষা করতে দেয়নি পুলিশ সদস্যরা। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চায়ের দোকান ছাড়া নিরাপত্তার কারণে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে খুলতে দেয়নি প্রশাসন। নামাজে জানাযা কিংবা দাফন অনুষ্ঠানে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দল বিএনপির কোন নেতাকে দেখা যায়নি। এমনকি যারা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিয়ে গর্ব করত এমন লোকও তার জানাযা কিংবা দাফনে আসেনি। দাফন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কয়েকশ’ মানুষ মোবারকখীল সড়ক থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ীতে ঢুকে পড়ে। তাদের মুখে ছিল হায় হায়। তাদের অনেকে উচ্চস্বরে বিলাপ করতে থাকে। রাউজানে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর লাশ আনা ও দাফন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে গতকাল তাদের এ ধরনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। সকাল থেকে গহিরা চৌমুহনীতে অবস্থান নেন রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খাঁন। তিনি জানান এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে কেউ যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে জন্য আমি এখানে অবস্থান নিয়েছি।

    অ্যান্টারটিকার ওজন স্তরে ৪র্থ বৃহৎ গহ্বর

    জাপানের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে অ‌্যান্টারটিকার উপরে থাকা ওজন স্তরে রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে ৪র্থ বৃহৎ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং আয়তনে তা অ‌্যান্টারটিকা মহাদেশের দ্বিগুন।

    ক্লোরোফ্লুরোকার্বন এবং অন্যান্য গ্যাসের কারণে প্রতি বছর অগাষ্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বায়ুমন্ডলের ওজন স্তরে এই গহ্বরের সৃষ্টি হয়। এসব গ্যাস ওজন স্তরের ক্ষয় সাধন করে।

    আবহাওয়া বিভাগ বলেছে মার্কিন উপগ্রহের উপাত্ত থেকে গর্তের আয়তন ২ কোটি ৭৮ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার বলে জানা গেছে।

    অগাষ্টে গর্তটির সৃষ্টি হয় এবং মধ্য-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ক্রমেই বড় হতে থাকে এবং এরপর তা পুনরায় ছোট হতে শুরু করে।

    কর্মকর্তারা বলেছেন ১৯৭৯ সাল থেকে ওজন স্তরের গর্তের রেকর্ড রাখা শুরু হয় এবং তা থেকে এ পর্যন্ত চলতি বছরের গর্তের আয়তন হচ্ছে ৪র্থ বৃহৎ, যা ১৯৯৮ সালের গর্তের সমান।

    আবহাওয়া কর্মকর্তারা এ বছর ওজন স্তরে গহ্বরের আয়তন বড় হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন অ‌্যান্টারটিকার উপর স্ট্র্যাটোসফিয়ারের কম তাপমাত্রাকে। তারা আরো বলেছেন, ঠান্ডা আবহাওয়া ওজন স্তরকে গ্রাস করেছে।

    জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বায়ুমন্ডলে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন এবং অন্যান্য গ্যাসের ঘনত্ব মাঝারি ধরনের হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু তারা বলেছেন ২০৫০ সালের পূর্বে অ‌্যান্টারটিকার আকাশে ওজন স্তর ১৯৮০ সালের মাত্রায় ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

    বায়ুমন্ডলের ওজন স্তর সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকে দিয়ে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষের ত্বক ও চোখকে রক্ষা করে।

    আবহাওয়া বিভাগের ওজোন স্তর পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের আৎসুইয়া কিনোশিতা বলেছেন যদিও ক্ষতিকর গ্যাস গুলোর মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে, তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে এখনো তা ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

    প্রতিক্রিয়াহীন বিএনপি

    একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
    এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত রয়েছে বিএনপি। দলের নেতারা সকলেই এই বিষয়ে সতর্ক। তারা বলছেন, এই সম্পর্কে কোন কিছু বলার থাকলে দলের পক্ষ থেকে পরে জানানো হবে।
    তবে রায় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে বিকেলের দিকে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসতে পারে দলে কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

    নতুন করে কাগজ তৈরি

    Posted by admin on November 19
    Posted in Uncategorized 

    নতুন করে কাগজ তৈরি

    জাপানের গবেষকরা কাগজ তৈরির নতুন এক কৌশল উদ্ভাবন করেছেন যে পদ্ধতিতে তৈরি কাগজ লোহার মতই মজবুত হয়ে উঠবে। এহিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেপার ইন্ডাস্ট্রি ইনোভেশন সেন্টার কাগজের নতুন রূপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

    সেলুলোজ ন্যানো ফাইবার (সিএনএফ) দিয়ে তৈরি এই কাগজের ক্ষেত্রে পাল্প আঁশকে আরো ছোট করে ফেলে ন্যানো মাত্রায় নামিয়ে আনা হয়। এভাবে তৈরি কাগজ অত্যন্ত শক্ত হয়ে ওঠে।

    সাধারণ ভাবে প্রস্তুতকৃত কাগজের ক্ষেত্রে আঁশ গুলো ঢিলাঢালা ভাবে যুক্ত থাকে ফলে তা সহজেই ছিঁড়ে যায়। কিন্তু তাদেরকে ন্যানো মাত্রায় নামিয়ে আনলে আঁশ গুলো দৃঢ় ভাবে একে অন্যের সাথে এঁটে থাকে। ফলে কাগজ হয়ে ওঠে লোহার মতো শক্ত।

    এহিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিরোমি উচিমুরা বলেন “এটি একটি সপ্নীল বস্তু, ভবিষ্যতে এর উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে কেননা এটি বিভিন্ন ধরনের পেট্রোলিয়াম ভিত্তিক পণ্যের স্থান দখল করে নেয়ার ক্ষমতা রাখে।”

    গবেষকরা এখন সিএনএফ’কে গাড়ি নির্মাণ খাতেও লাগানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন।

    কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিরোইউকি ইয়ানো প্লাস্টিক ন্যানো ফাইবার দিয়ে গাড়িকে শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করছেন। প্লাস্টিক ন্যানো ফাইবারে নির্মিত গাড়ির ওজন তুলনামূলক ভাবে কম হবে ফলে তা জ্বালানি সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে।

    তিনি এখন টায়ারে ন্যানো ফাইবার ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন। টায়ারে ব্যবহৃত রাবারে কার্বন ব্যবহারের মাধ্যকে শক্ত করা হয়। গবেষকরা দেখছেন ন্যানো ফাইবার ব্যবহারে রাবারের ওজন প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পায় অথচ তার ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ থাকে।

    ইয়ানো আগামী ৩ বছরের মধ্যে সিএনএফ ব্যবহার করে গাড়ি তৈরির কাজ করছেন।

    জাপানের তৃতীয় বৃহৎ কাগজ প্রস্তুতকারক সিএনএফ এর একটি বৈশিষ্টকে কাজে লাগিয়ে নতুন ধরনের কাগজ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে। কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরনের মোড়ক তৈরি করে থাকে। সিএনএফ’র মধ্যে দিয়ে অক্সিজেন চলাচল করতে পারেনা। পরীক্ষায় দেখা গেছে প্লাস্টিকের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন ভালোভাবেই চলাচল করতে পারে কিন্তু সিএনএফ’র ভেতর দিয়ে অক্সিজেন একেবারেই চলাচল করতে পারেনা। কোম্পানিটি খাবার ও ঔষধের জন্যে ন্যানো ফাইবার শিট দিয়ে তৈরি মোড়ক নির্মানের কথা বিবেচনা করছে।

    সেলুলোজ ন্যান্যো ফাইবার গাছ থেকে তৈরি। জাপানে আগামী দিনের শিল্প প্রযুক্তিতে সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে প্রস্তুত এই উপাদানের বড় ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে।