• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৮ লক্ষ অতিক্রম করেছে

    যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, শনিবার ইউটিসি সময় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ৯শ ৩৭ জন।

    যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮শ ১৭ জন। এরপর যথাক্রমে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৩শ ৫৮টি মৃত্যু নিয়ে ব্রাজিল, ৫৯ হাজার ৬শ ১০টি মৃত্যু নিয়ে মেক্সিকো, ৫৫ হাজার ৭শ ৯৪টি মৃত্যু নিয়ে ভারত এবং ৪১ হাজার ৫শ ৯টি মৃত্যু নিয়ে বৃটেনের অবস্থান।

    যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং ভারতে মৃত্যুর ঘটনা কোন কোন সময় দৈনিক ১ হাজারও ছাড়িয়ে গেছে।

    বিশেষজ্ঞদের টিকার অগ্রাধিকার অনুমোদন

    জাপান সরকারের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল, চিকিৎসা কর্মী, বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি এবং আগে থেকে রোগে আক্রান্ত লোকজনদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া বিষয়ক একটি পরিকল্পনা মূলত অনুমোদন করেছে।

    গতকাল অনুষ্ঠিত প্যানেলের এই বৈঠকে, করোনাভাইরাস মোকাবিলার দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতো কাৎসুনোবু অংশগ্রহণ করেন।

    সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি থাকায় চিকিৎসা কর্মীদের এবং সংক্রমিত হলে আগে থেকেই স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকা বয়োজ্যেষ্ঠ লোকজনের অবস্থা গুরুতর আকার ধারণ করার সম্ভাবনা থাকায় তাঁদের বাছাই করা হয়।

    বিশেষজ্ঞরা, জরুরি বিভাগের কর্মী, গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী, বয়োজ্যেষ্ঠদের সেবা দানকারী এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অগ্রাধিকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা সেবিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে একমত হন।

    টোকিওতে করোনাভাইরাসে ২৫৬টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা

    টোকিও মহানগর সরকার, আজ টোকিওতে করোনাভাইরাসে নতুন ২৫৬টি সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।

    এর মাধ্যমে দৈনিক হিসেবে পরপর ৩য় দিনের মত সংক্রমণের সংখ্যা ২শ ছাড়িয়ে গেল।

    সংক্রমিতদের ৬৪ শতাংশ বা ১৬৪ জনের বয়স ২০ এবং ৩০এর কোঠায়।

    আজ পর্যন্ত টোকিওতে সংক্রমণের মোট সংখ্যা ১৯ হাজার ১২১টিতে পৌঁছেছে।

    কর্মকর্তারা, টোকিওর সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মারাত্মক অবস্থা বিরাজমান থাকায় উচ্চ সতর্কতা বজায় রেখে চলার জন্য লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।

    মহানগর সরকারের কর্মকর্তারা, সর্বোচ্চ পূর্বসতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি টোকিওর বাইরে বা নিজেদের দেশের বাড়িতে ফিরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। তাঁরা, দলবদ্ধভাবে নৈশ ভোজে অংশ না নেয়ার জন্যও লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।

    শিশুদের মাধ্যমে নিরবে ছড়াচ্ছে করোনা: গবেষণা

    করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে শিশুদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই ভাইরাসটি নিরবে ছড়িয়ে পড়ছে বলে সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়েছে।

    গবেষকরা দাবি করছেন, শিশু কিংবা অল্প বয়স্কদের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। আর তাতেই মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্করা।

    জার্নাল অফ পেডিয়াট্রিক্স পত্রিকায় এই সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৯২ দুজনের ওপরেই সমীক্ষা চালানো হয়েছে যাদের বয়স ০ থেকে ২২।

    এই সমীক্ষার প্রধান গবেষক লয়েল ইয়ংকার বলেন, সংক্রমিত হওয়ার প্রথম দুদিন শিশুদের শরীরে ভাইরাস যে পরিমাণে থাকছে তা চমকে দেওয়ার মতো। ভাইরাসের উপস্থিতিতে এত বেশি পরিমাণ থাকবে তা আশা করা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করার জন্য অনেক প্রোটেকশনে নেওয়া হচ্ছে,, অথচ তার থেকে অনেক বেশি ভাইরাস আছে এমন একটি শিশু সুস্থ ভাবে চলাফেরা করছে, ফলে তার থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা অনেক বেশি।

    অদূর ভবিষ্যতের স্কুল, ডে কেয়ার সেন্টার খোলা যাবে কি না তার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চলছে। এই প্রসঙ্গে আরেক চিকিৎসক আলেসিও ফাসানো জানিয়েছেন, শিশুরা এই ভাইরাস থেকে অব্যাহতি পাচ্ছে না।

    তিনি আরো বলেন এই মহামারির সময়ে মূলত উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। তাই বয়স্করাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে উপসর্গ না থাকলেও শিশুদের মধ্যে করণা আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা এমন কিছু কম নয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

    ৩৩৯টি নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর দিয়েছে টোকিও

    টোকিও’র মেট্রোপলিটন সরকার বলছে বৃহস্পতিবার ৩৩৯টি নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ সরকার নিশ্চিত করেছে।

    গত শনিবারের পর এবারই প্রথম রাজধানীতে দৈনিক হিসাব ৩০০ ছাড়িয়ে যায়। শহরে ভাইরাসের পরীক্ষায় পজিটিভ সনাক্ত হওয়া লোকজনের মোট সংখ্যা এখন হচ্ছে ১৮,৬০৭।

    টোকিও’র পরিস্থিতি খুবই মারাত্মক থেকে যাওয়ায় উচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান কর্মকর্তারা নগরবাসীদের প্রতি জানাচ্ছেন। টোকিও’র বাইরে ভ্রমণ, দেশের বাড়িতে যাওয়া এবং দলবদ্ধভাবে নৈশভোজে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ লোকজনের প্রতি তারা করছেন।

    বছরের শেষদিকে বাজারে আসবে চীনের করোনা ভ্যাকসিন

    চলতি বছরের শেষদিকে চীনের তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি সিনোফার্মের চেয়ারম্যান লিউ জিংজেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদপত্রকে তিনি এমনটি বলেন।

    চীনের সিনোফার্ম কোম্পানির চেয়ারম্যান লিউ জিংজেন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদপত্রকে বলেছেন, ‘এই ভ্যাকসিনটির জন্য এক হাজার ইউয়ান বা ১৪০ ডলারের চেয়ে কম দাম হবে । ২৮ দিনের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ দেওয়া হবে।’’

    লিউ জিংজেন আরো বলেন, ‘করোনার প্রতিষেধক তৈরি হয়ে গেলে প্রথমেই দেশের বড় শহরগুলির শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের দেওয়া দরকার। আমাদের দেশের ১৪০ কোটি মানুষের সবাইকেই এটি গ্রহণ করতে হবে না।

    চীনের সরকারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে এখনও চরম উদ্বেগে চীনা প্রশাসন। ইতোমধ্যেই সে দেশের গবেষক ও প্রশাসনের একাধিক শীর্ষকর্তাকে ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। এপি

     

    মঙ্গলবার পশ্চিম জাপান জুড়ে তীব্র দাবদাহ

    মঙ্গলবারও পশ্চিম জাপানের অনেক অংশেই তাপমাত্রার তীব্র বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল এবং কিয়ুশু ও শিকোকু’র মূল দ্বীপে তা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছায়।

    জাপানের আবহাওয়া এজেন্সি বলছে, একটি উচ্চচাপের কেন্দ্র কিউশু’র পশ্চিমে অবস্থান করায় সেটি বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তীব্র করে তোলে।

    মঙ্গলবার বেলা ৩টার মধ্যে কিউশু ও শিকোকু এলাকার ১৮টি পর্যবেক্ষণের স্থানে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বা পূর্ববর্তী রেকর্ডের সমান তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়। কোচি জেলার শিমানতো এবং মিয়াযাকি জেলার মিয়াকোনোজো’তে তাপমাত্রা ৩৯.৪ ডিগ্রি ছোঁয়।

    এদিকে, জাপান জুড়ে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নেয়া লোকজনের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে।

    শুধুমাত্র টোকিওতে সোমবার পর্যন্ত ৯দিন ধরে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মোট ২৬ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।

    মৃতদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের বয়স ৭০ বা তার উপরে।

    জানা যাওয়া ২৬টি মৃত্যুর মধ্যে ২৫টি ঘটেছে বাড়ির অভ্যন্তরে। তাদের মধ্যে ২২ জনের হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র নেই বা তারা সেটি ব্যবহার করেননি।

    ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা প্রতিরোধের উপায় বাতলে দিলে ডব্লিউএইচও প্রধান

    ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা প্রতিরোধের উপায় বাতলে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধানম গেব্রিয়াসুস। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যদি বিভিন্ন দেশের সরকার জনগোষ্ঠীর ভেতর সংক্রমণ রোধে ব্যবস্থা নেয়।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, ভ্যাকসিন ছাড়া এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের মূল উপায় হলো: হাত ধোয়া, দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা। সেই সঙ্গে কঠোরভাবে পরীক্ষা করা, চিহ্নিত করা এবং আলাদা করে ফেলা।

    তিনি বলছেন, পুনরায় নিরাপদে স্কুল খোলার আগে সরকারকে জনগোষ্ঠীর ভেতর রোগটির সংক্রমণ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার সব ব্যবস্থা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

     

    বৈশ্বিক করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেল

    বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ২ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় জানাচ্ছে, মঙ্গলবার আন্তর্জাতিকমান সময় ৬টা পর্যন্ত বৈশ্বিকভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৮৯ হাজার ৬২৪-এ পৌঁছায়। মৃতের সংখ্যা পৌঁছায় ৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ২০৮-এ।

    যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ছিল ৫০ লক্ষের উপরে। দেশটি ১ লক্ষ ৬০ হাজার জনের মৃত্যুর খবরও দেয়।

    একবার কমে যাওয়া এবং সামাজিক বিধিনিষেধ শিথিল করার পর অস্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল এবং জাপানের মত দেশে সংক্রমণ আবার বাড়ছে।

    ভারত, কলোম্বিয়া’র মত অন্যান্য দেশে, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কোনরকম উল্লেখযোগ্য পতন ছাড়াই বেড়ে চলেছে। ভারতে এখন যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও দ্রুত গতিতে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আদহানোম ঘেব্রেইসাস সোমবার করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক বিস্তার নিয়ে সতর্কতা ব্যক্ত করেছেন।

    জাপানে, নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছায় ১ হাজার ৬৬-জনে। এর মধ্যে সোমবার ৫ জন মৃত্যুবরণ করেন।

    সোমবার ৮৩৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০ হাজার ৪৬১-তে।

    জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার পর্যন্ত মারাত্মক উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ১৬২ জন রোগীর চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হচ্ছে বা ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে।

    করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জোরদারের অঙ্গীকার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো, পুনরায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা পরিহারের জন্য বয়োজ্যেষ্ঠ ও অন্যান্য দুর্বল বা অরক্ষিত লোকজনদের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া প্রতিরোধ করতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

    আবে আজ নাগাসাকিতে এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত মন্তব্য করেন।

    তিনি, নতুন সংক্রমণের সংখ্যা উর্ধ্বমুখি হলেও হাসপাতালে ভর্তি ও গুরুতর অসুস্থ হওয়া লোকজনের সংখ্যা বেশি নয় বলে উল্লেখ করেন। আবার, বর্তমানে হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক শয্যাও রয়েছে।

    তিনি, এই মহামারী জাপানের অর্থনীতির উপর ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের চেয়েও বেশী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে উল্লেখ করেন।

    তিনি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দিতে গতকাল মন্ত্রী পরিষদ মোট ১ লক্ষ কোটি ইয়েন বা প্রায় ৯শ ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ থোক অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান।

    তিনি, এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সহায়তা প্রদানের বিষয় বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

    আবে, করোনাভাইরাসের উপস্থিতি থাকা এই জগতে ভ্রমণের নিরাপদ নতুন উপায় স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে গো টু ট্রাভেল অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান। উল্লেখ্য, এই অভিযানের আওতায় বিভিন্ন হোটেল ও পান্থশালার ব্যয় নির্বাহ করতে সরকার সহায়তা প্রদান করছে।

    আজ টোকিওতে করোনাভাইরাসের ৩শ ৩১টি নতুন সংক্রমণ

    টোকিও মহানগর সরকার বলছে, আজ বিকেল ৩টা নাগাদ করোনাভাইরাসের ৩শ ৩১টি নতুন সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

    তিনদিনের মধ্যে এবারই প্রথম জাপানের রাজধানীতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৪শ’র নিচে নামল। অন্যদিকে, এটি ৩শ’র বেশি সংক্রমণ থাকা টানা চতুর্থ দিন।

    টোকিওতে এখন সংক্রমণের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮শ ৬৭তে।

    এদিকে, পুরো জাপান জুড়ে আজ বিকেল ৪টা নাগাদ মোট ৬শ ৭টি নতুন সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৮ হাজার ৭শ ৮৫তে। আর, মোট মৃত্যুর সংখ্যা এখন ১ হাজার ৫৬।

    বাংলাদেশসহ চার দেশ থেকে জাপান প্রবেশে কড়াকড়ি 

    করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাংলাদেশসহ চারটি দেশ থেকে জাপান প্রবেশে কড়াকড়ি করা হয়েছে।

    জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকে এই চার দেশ থেকে জাপানে পুনঃপ্রবেশকারীদের করোনা মুক্ত সনদ ও পূর্বানুমতি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

    জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও পেরুর নাগরিকদের জাপানে প্রবেশের ক্ষেত্রে এই কড়া প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

    প্রতিবেদনে হলা হয়, স্থায়ী বাসিন্দা এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিসাধারী, পাশাপাশি স্থায়ী বাসিন্দার স্বামী বা স্ত্রী অথবা এই জাতীয় স্ট্যাটাসযুক্ত জাপানের নাগরিকরা কেবলমাত্র এই কড়াকড়ির আওতায় পড়বেন।

    সেক্ষেত্রে জাপানে প্রবেশের অনূর্ধ্ব ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে এবং পূর্বানুমতি থাকলেই এই চার দেশ থেকে জাপানে পুনঃপ্রবেশ করা যাবে।

    এর আগে বিদেশে নাগরিকদের জাপানে পুনঃপ্রবেশ জন্য এই নিয়ম ছিলো না। সূত্র: দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

    টোকিওতে ২৬৩টি নতুন সংক্রমণ সনাক্ত

    টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারের কর্মকর্তারা বুধবার করোনাভাইরাসের ২৬৩টি নতুন সংক্রমণ নিশ্চিত করেছেন।

    টোকিওতে দৈনিক হিসাব এ নিয়ে টানা নয়দিন ধরে ২০০’র উপরে বিরাজমান আছে।

    জাপানের রাজধানীতে সংক্রমণের মোট সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ১৪,২৮৫টিতে।

    মেট্রোপলিটন সরকার গত সোমবার যেসব প্রতিষ্ঠানে মদ পরিবেশন করা হয় ও সেই সাথে কারাওকে পার্লারের মত সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত রাত ১০টার মধ্যে সেবা বন্ধ করে দেয়ার অনুরোধ জানাতে শুরু করে।

    স্থানীয় সরকার একই সাথে লোকজনের প্রতি দলবদ্ধভাবে সমবেত হওয়া, মদ্যপানের জন্য বাইরে যাওয়া এবং কাছাকাছি অবস্থান করে আলাপ চলানো এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে।

    মহামারির মধ্যে অর্থনৈতিক ধস সহিংসতা আরও বাড়িয়ে দেবে: জাতিসংঘ

    জাতিসংঘের কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনা ভাইরাস মহামারি বিশ্বের রক্তাক্ত সংঘাতপূর্ণ এলাকায় মানবিক পরিস্থিতি আরও মারাত্মক পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হুমকি সহিংসতা আরও বাড়িয়ে দেবে।

    তারা বলেন, কোভিড ১৯ সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে, প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশগুলো অন্যদিকে দৃষ্টি দিয়েছে এবং নিজ দেশে মহামারি মোকাবিলায় তাদের অর্থ ব্যয় করছে, সংঘাত জর্জরিত ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলোতে রেমিটেন্স হ্রাস ইতোমধ্যেই নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে।

    নিউইয়র্ক ভিত্তিক এই সংস্থার বিশেষজ্ঞ রিচার্ড গোয়ান বলেছেন, “অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের এই বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে আরও বিশৃঙ্খলা ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে।

    জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গত মার্চ মাসে বিশ্বের যুদ্ধ ও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছিলেন, তা সত্ত্বেও ইয়েমেন, লিবিয়া ও সিরিয়ায় লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

    লকডাউনের বিধিনিষেধের কারণে দূত, শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং বেসরকারি সংস্থার লোকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, মধ্যস্থতার চেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে, ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া যাচ্ছে না।

    ২০১৫ সালের পরে হাজার হাজার বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ ইয়েমেনের অবস্থা ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে।

    করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের হৃদরোগের ঝুঁকি

    জার্মান গবেষকদের তথ্য

    কোভিড থেকে সেরে উঠেও রেহাই নেই। জার্মান চিকিৎসকেরা এক গবেষণা শেষে জানাচ্ছেন, সম্প্রতি সুস্থ হওয়া তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি রোগীর ক্ষেত্রে এমআরআইয়ের পরে হৃদযন্ত্রের পেশির সমস্যা ধরা পড়েছে।

    একটি জার্নালে প্রকাশিত পর্যবেক্ষণে ফ্রাংকফুর্টের ইউনিভার্সিটি হসপিটালের চিকিৎসক ভ্যালেন্তিনা জানিয়েছেন, কোভিড থেকে সেরে ওঠা (৪৫ থেকে ৫৩ বছর বয়সী) ১০০ জনের মধ্যে ৭৮ জনের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, তাদের হৃদপেশি কিংবা পেশির আবরণ ফুলে গিয়েছে। শতকরা ৩৬ জনের দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট ও ক্লান্তির সমস্যা, ৭১ জনের ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, করোনার প্রভাবে হৃদযন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ায় তা আর আগের মতো রক্ত পাম্প করতে পারছে না। তাই হার্ট ফেলিওরের আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে। ভ্যালেন্টিনার আশঙ্কা, হার্টের এই ধরনের অনিয়মিত ক্রিয়া ভবিষ্যতে স্থায়ী সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে।

    অন্য একটি জার্নালে গবেষকদের দাবি, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে যে ধরনের জিনগত পরিবর্তন সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, তা একই সঙ্গে চিন্তার ও স্বস্তির। চিন্তার কারণ এই যে, এই পরিবর্তনের ফলে ভাইরাসের বহিরাঙ্গে প্রোটিনের কাঁটার (স্পাইক প্রোটিন) সংখ্যা বেড়েছে। ফলে তার আক্রমণের ক্ষমতাও বেড়েছে। অতি দ্রুত মানুষের কোষের সঙ্গে এটি আটকে যেতে পারছে। মূলত এই কাঁটার সাহায্যেই কোষকে আক্রমণ করে করোনা ভাইরাস। কিন্তু স্পাইক প্রোটিন মানবশরীরের কোষের মধ্যে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তার রোগপ্রতিরোধ-ব্যবস্থাকেও সজাগ করে। তখন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। শরীরে তৈরি অ্যান্টিবডি বা বাইরে থেকে ঢোকানো প্রতিষেধক এই স্পাইক প্রোটিনকেই নিশানা করে। ফলে কাঁটার সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার অর্থ এই ভাইরাসেরই আরো বেশি করে অ্যান্টিবডির নিশানা হয়ে পড়া।