• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • একটি জাহেলী কথা

    Posted by admin on January 25
    Posted in Uncategorized 

    একটি জাহেলী কথা

    নামায না পড়লে কী হয়েছে, ঈমান ঠিক আছে!

    কোনো মুমিন নামায তরক করতে পারে না। নামায পরিত্যাগ করা কবীরা গুনাহ। কিছু মানুষ নিজের এ অন্যায় ঢাকতে একটি বাক্যের আশ্রয় নেয়- নামায না পড়লে কী হয়েছে, ঈমান ঠিক আছে!

    এটি একটি জাহেলী বাক্য; শয়তানের বানানো বাক্য, যা দ্বারা সে মুমিনকে ধোঁকায় ফেলে রাখে। কোনো মুমিন এমন কথা বলতে পারে না। যার ঈমান ঠিক আছে সে কি নামায তরক করতে পারে?

    ঈমানের প্রধান আলামতই তো হল নামায। নামাযই ঈমান-কুফরের পার্থক্যরেখা। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

    بَيْنَ الرّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكُ الصّلَاةِ

    ব্যক্তি ও শিরক-কুফরের মাঝের পার্থক্যরেখা হল, নামায। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮২

    জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা.-কে জিজ্ঞাসা করা হল-

    مَا كَانَ يُفَرِّقُ بَيْنَ الْكُفْرِ وَالْإِيمَانِ عِنْدَكُمْ مِنَ الْأَعْمَالِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ؟ قَالَ: الصّلَاةُ.

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের  যুগে আপনাদের কাছে কোন্ জিনিস ঈমান ও কুফরের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী ছিল? তিনি বললেন, নামায। -শারহু উসূলি ই‘তিকাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামাআহ, বর্ণনা ১৫৩৮

    সুতরাং আমরা নামাযের প্রতি যত্নবান হব; কখনো নামায পরিত্যাগ করব না এবং এজাতীয় শয়তানী ধোঁকার বাক্য মুখে আনব না।

    সূত্র: আল-কাউসার পত্রিকা

    অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে নাওমি ওসাকা

    প্রথম জাপানি টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে নাওমি ওসাকা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সিঙ্গেলসের ফাইনালে উঠেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন হচ্ছে টেনিসের চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতার একটি।

    মহিলা সিঙ্গেলসের সেমি ফাইনালে ওসাকা আজ চেক প্রজাতন্ত্রের কারোলিনা প্লিস্কোভাকে তিন সেটে পরাজিত করেন।

    শনিবার ওসাকা তাঁর পরপর দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলবেন। গত বছর তিনি ইউ এস ওপেনে মহিলাদের সিঙ্গেলসে বিজয়ী হন।

    ফুকুশিমা পরমাণু দুর্ঘটনায় এক কিশোরীর উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা

    ২০১১ সালের ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু দুর্ঘটনার কারণে ১১ বছরের এক কিশোরী সম্ভবত অতি উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে এসেছিল।

    জাপানের তেজস্ক্রিয়তা বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় ইন্সটিটিউট বলছে, ঐ পরমাণু দুর্ঘটনার দু’মাস পরের এক বৈঠকে তারা এই সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারে।

    তবে ইন্সটিটিউটটি বলছে, প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তারা তখন বিষয়টি প্রকাশ করেনি।

    দুর্ঘটনার অব্যবহিত পরই মেয়েটির শরীরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল। জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিন মেয়েটি বাইরে খেলা করছিল।

    একজন কর্মকর্তা তখন ঐ কিশোরীর থাইরয়েড গ্রন্থিতে প্রায় ১০০ মিলিসিয়েভার্টস “একুইভ্যালেন্ট ডোজ” বা সমমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা সনাক্ত করেন।

    উল্লেখ্য, এই “একুইভ্যালেন্ট ডোজ” হচ্ছে শরীরের কোন বিশেষ অঙ্গ ঠিক কি পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে এসেছে, সেটি নির্ণয় করার একটি প্রচলিত পরিমাপক।

    বলা হয়ে থাকে, একটি পরমাণু দুর্ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয় আয়োডিন শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    দুর্ঘটনার আগে প্রণীত নির্দেশিকায় উল্লেখ ছিল যে ১০০ মিলিসিয়েভার্টস বা তার চাইতে বেশি তেজস্ক্রিয়তা গ্রহণ করা ব্যক্তিদের আয়োডিন ট্যাবলেট সেবন করতে দেয়া উচিত যাতে তাদের থাইরয়েড গ্রন্থিতে সেই তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে না পারে।

    জাপানে ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে ‘বোন’

    জাপান মানেই সুসজ্জিত ভবনে ভরা আলো–ঝলমল নগর আর কর্মব্যস্ত সবার ছুটে চলা। অথচ এই নগরেই গড়ে উঠেছে বিচিত্র পেশা—‘ভাড়াটে বোন’ সরবরাহ। অর্থের বিনিময়ে বোন হিসেবে কাজ করেন তারা।
    ‘ভাড়াটে বোন’ পেশা গড়ে উঠার যা জানা যায়, তা বেশ ভয়াবহ। অনেকটা আলোর নিচে অন্ধকারের মতো ঘটনা। হিকিকোমোরি নামের একটি সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে জাপানের তরুণ প্রজন্ম। এতে আক্রান্ত তরুণ-তরুণী সমাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। তারা ঘরবন্দী হয়ে যান। মা-বাবা বা আপনজনদের সঙ্গ এড়িয়ে চলেন। বরং কিছু জানতে চাইলে বিরক্ত হন, কখনো বা সহিংস আচরণ করেন। হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত হতে পারেন যে–কেউ। তবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বয়সী অল্প কিছু মেয়ের মধ্যেও এমনটা দেখা যায়। হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত সন্তান থাকাটা সমাজের চোখে লজ্জাজনক। তাই পরিবার তাদের কথা গোপন রাখে। কীভাবে এ থেকে মুক্তি পাবে, সেই চিন্তায় অস্থির থাকে। জাপানে তরুণ প্রজন্মের প্রায় পাঁচ লাখ এই সমস্যায় আক্রান্ত। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হয়।
    বিবিসির সাংবাদিক কথা বলেন কেনতা নামের হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত এক তরুণের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ে আমি মেয়েদের সঙ্গে বেশি মিশতাম। এ জন্য সবাই আমাকে খ্যাপাত। বলত, তুমি ছেলে না মেয়ে? আমার ভীষণ খারাপ লাগত। আমি খুবই অসুখী বোধ করতাম। নিঃসঙ্গ বোধ করতাম। সারাক্ষণ কাঁদতাম। মা-বাবাকে দোষারোপ করতাম। নিজের ওপর রাগ হতো, সমাজের ওপর রাগ হতো। এমন পরিস্থিতি পর্যন্ত হয়েছে যে, বাবা-মা পুলিশ ডেকেছে। মুক্তি পেতে আমি ওষুধ খাচ্ছিলাম। আমি সারা রাত ভিডিও গেম খেলে, সারা দিন ঘুমাতাম।’
    কেনতার মতো মানুষকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছে নিউ স্টার্ট নামের একটি সংগঠন। তারাই ভাড়ায় বোন সরবরাহ করার ধারণা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। তাদের এই উদ্যোগ যে কাজে লাগছে, সেই প্রমাণও মিলেছে। নিউ স্টার্টের হয়ে ভাড়ায় কাজ করেন, এমন এক বোন আয়াকো। এই বিশেষায়িত দলে আছেন তার মতো আরও অনেক নারী। হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত তরুণদের সহায়তা করার জন্য এই তরুণীদের ভাড়ায় নেওয়া হয়। তাদের মূল কাজ ওই তরুণদের নিজের ঘরের বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়া। সমাজে আবার মিশে যেতে সহায়তা করা।
    তরুণেরা কেন হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, এর কোনো কারণ জানা যায়নি। এর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেই। সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাও নেই। তবে নিঃসঙ্গতা থেকে এমনটা হতে পারে ধরে নিয়েই কাজ শুরু করে নিউ স্টার্ট। চেষ্টা করে তরুণদের নতুন পথে নিয়ে যেতে, তাদের সামনে নতুন জগৎ মেলে ধরতে।
    যে তরুণীরা হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সারাতে কাজ করেন, তারা কেউই চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী নন। একেবারেই সাধারণ যোগ্যতার। তবে তাদের আয় শুনলে কপালে চোখ উঠে যেতে বাধ্য। মাসে এক লাখ ইয়েনের বেশি আয় তাদের। আয়াকো নামের ভাড়াটে বোন বললেন, ‘আমি কোনো কৌশল জানি না। আমি শুধু তাদের সঙ্গে তাদের মতো করে মেশার চেষ্টা করি।’ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি এ পেশায় আছেন। আয়াকোর সাহচর্যে বদলে যেতে শুরু করে কেনতা। ছয় মাস ধরে কেনতার ভাড়াটে বোন হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কেনতা এখন বাড়ির বাইরে বের হন। কেনতা বলেন, ‘আমি আমার ভাড়ায় আনা বোনকে দেখে খুশি হই। গল্পগুজব করি। দুজনে মিলে বাইরে খাওয়াদাওয়া করতে যাই। তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেন। আমার নিজেকে আর একা মনে হয় না। ভালো লাগতে শুরু করে। তিনি আমাকে প্রেরণা দেন। নিজের ওপর বিশ্বাস ফিরে আসছে আমার।’
    এভাবে ভাইবোনের মতো থাকতে থাকতে অনেক সময় উভয়ের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে সেটা সব সময় নয়। আয়াকোর ভাষ্য, তাঁদের সাহচর্য পেয়ে সবাই যে খুব খুশি হয় বা তাদের সঙ্গে প্রাণ খুলে মজা করে, এমনটা সব সময় হয় না। তবে কেনতার মতো অনেকেই তাদের ভালোভাবে মেনে নেন। কেনতাও বললেন, ‘আমি যখন আর তাকে দেখব না, তখন খুব খারাপ লাগবে। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আনন্দও আমার মধ্যে তখন প্রবলভাবে কাজ করবে। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’ আয়াকো জানালেন, তিনি রোগীদের সঙ্গে ভণিতা করেন না। কারণ, সেটা তারা বুঝে ফেলে। তার ভাষায়, ‘আমি যা, যেমন, সেটাই তাদের সামনে তুলে ধরি। সেভাবেই কাজ করি।’ তবে এ পেশায় টিকতে হলে ধৈর্যের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য তার।
    ঠিক কী কারণে হিকিকোমোরি হয়, তার কারণ বেশ জটিল। মনোবিজ্ঞানী তামাকি সাইতো বলেন, জাপানে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ১০ হাজারের কম। অথচ হিকিকোমোরিতে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লাখ। অনেকে ভাবেন, হিকিকোমোরিতে আক্রান্তরা অলস। আবার কেউ কেউ ভাবেন, তারা বিপজ্জনক কিংবা তারা ভয়াবহ অপরাধী হতে যাচ্ছে। আসলে বিষয়টা এমন না।
    ভাড়ায় বোন সরবরাহের পাশাপাশি ভাড়ায় থাকার ব্যবস্থাও আছে নিউ স্টার্টের। আছে খণ্ডকালীন কাজের ব্যবস্থাও। তবে সেগুলো জনসেবামূলক কাজ। এখানে যারা আসেন, তারা ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। ভিডিও গেম খেলা নিষিদ্ধ। শুধু টিভি দেখতে পারেন, তাও সবাই মিলে এক জায়গায় বসে। দেড় যুগের বেশি সময় ধরে এখানে প্রায় দুই হাজার লোক থেকেছেন। ৮০ শতাংশের বেশি এক বছরের মতো এখানে থেকে স্বাভাবিক হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মিশে গেছেন মূল স্রোতে। সূত্র: বিবিসি।

    ১১৩ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির মৃত্যু

    আজ ১শ ১৩ বছর বয়সী একজন জাপানি পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন।
    গত বছরের এপ্রিল মাসে গিনিস বিশ্ব রেকর্ড মাসাযো নোনাকা’কে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির স্বীকৃতি দিয়েছিল।

    জাপানের উত্তরের দ্বীপ হোক্কাইদোর অধিবাসী নোনাকা ১৯০৫ সালের জুলাই মাসে জন্মগ্রহণ করেন।

    আজ সকালে নোনাকার পরিবারের সদস্যরা তার শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধের বিষয়টি লক্ষ্য করেন। এরপর চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরিবারের মতে, দৃশ্যত, গতকাল তিনি সুস্থই ছিলেন।
    নাতনি ইউকো নিজের পরিবারকে একটি সুখী জীবন কাটাতে সুযোগ দেয়ার জন্য নোনাকা’কে ধন্যবাদ জানান।
    তিনি বলেন, নোনাকা’র অভাব অনুভব করলেও তার মধ্যে একারণে কোন দু:খবোধ নেই যে জীবনের শেষ মুহূর্তে নিজ বাড়িতে অবস্থান করে মর্যাদার সাথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।

    যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম গ্রহণকারী নারী সাংবাদিক গ্রেপ্তার

    যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত শুক্রবার ইরানি টেলিভিশনের এক নারী সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একটি মামলায় সাক্ষ্য প্রদানের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি ওই অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন বলে খবরে বলা হয়েছে। এএফপি।

    ইরানি বংশোদ্ভুত সাংবাদিক মার্জিয়া হাশেমি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইরানের ইংলিশভাষী চ্যানেল প্রেস টিভির উপস্থাপিকা।

    এছাড়া হাশেমি একজন ইরানিকে বিয়ে করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতি এবং মুসলিম ও আফ্রিকান আমেরিকানদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের সমালোচনা করে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন। তার এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দুদেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে।

    ওয়াশিংটনে এক শুনানীতে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার প্রধান বিচারক বেরিল হোয়েল রায়ে বলেন, হাশেমিকে ওয়াশিংটনের একটি মামলার হুলিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    রায়ে তার আগের নাম মেলানি ফ্রাঙ্কলিন উল্লেখ করা হয়। ‘যুক্তরাষ্ট্রের ফৌজদারী আইন লংঘনের’ একটি মামলায় গ্র্যান্ড জুরির সামনে সাক্ষ্য দেয়া শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

    রায়ে আরো বলা হয়, ‘ফ্রাঙ্কলিনের পক্ষে একজন এটর্নী নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তাকে কোন অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়নি।’

    প্রেস টিভি জানিয়েছে, হাশেমিকে রবিবার সেন্ট লুইস বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সেখানে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন।

    এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ বুধবার বলেন, ‘মার্জিয়া হাশেমির গ্রেপ্তার একটি অগ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক আচরণ এবং মার্কিন কর্তৃপক্ষের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে পদদলিত করার প্রমাণ।’

    জাপানের রাডারের নতুন প্রমাণ

    জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রনালয়, গতমাসে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর একটি জাহাজের গোলা নিয়ন্ত্রণ রাডার জাপানের একটি প্রহরা বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করার দাবিকে সমর্থন করা নতুন প্রমাণ প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে।

    মন্ত্রণালয়, গোলা নিয়ন্ত্রণ রাডার শনাক্তকরণের সময় একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শব্দ শোনা যায় বলে জানায়।

    মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, আত্মরক্ষা নৌবাহিনীর বিমানে ধারণকৃত অব্যাহত উঁচু শব্দ থেকে গোলা নিয়ন্ত্রণ রাডারের রেডিও সংকেত শনাক্তকরণের আভাষ পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন।

    উক্ত ঘটনা নিয়ে মত বিনিময় করতে গত সোমবার দুদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এক বৈঠকে মিলিত হন।

    জাপান, উভয় দেশের রেডিও তরঙ্গের উপাত্ত উপস্থাপনের প্রস্তাব দিলেও দক্ষিণ কোরিয়া রাজি হয়নি। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন মুখপাত্র, প্রস্তাবটিকে অত্যন্ত অপমানজনক বলে অভিহিত করেন।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রনালয়, নতুন প্রমাণের মাধ্যমে গোপনীয় সামরিক উপাত্ত শনাক্তকরণের বিষয়ে জাপানের অবস্থানের বৈধতা দেবে বলে উল্লেখ করে।

    মন্ত্রণালয় দ্রুত হলে আগামী সপ্তাহে, উক্ত প্রমাণ জনসমক্ষে প্রকাশের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

    জাপান-দ: কোরিয়া বরফ গলাতে সংলাপ প্রয়োজন: কান

    দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কান গিয়োন-হোয়া বলেছেন, জাপানের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলাতে সংলাপ প্রয়োজন। তবে জাপানের আলোচনার অনুরোধে তাদের সরকার সম্মত হবে কিনা সেটা তিনি স্পষ্ট করেননি।

    যুদ্ধকালীন শ্রম এবং জাপানের নৌ-আত্মরক্ষা বাহিনীর টহল বিমানের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌ-বাহিনীর জাহাজের গোলা-নিয়ন্ত্রণ রাডার তাক করা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে।

    কান বুধবার সউলে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এসব সমস্যার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবেন। তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকের ন্যায় সুযোগসমূহের মাধ্যমে তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ভবিষ্যত-মুখী করে এগিয়ে নিতে চান।

    যেসব কোরীয় নাগরিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি কোম্পানিগুলো তাদেরকে কারখানায় শ্রম দিতে বাধ্য করেছে বলে দাবি করেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ আদালত তাদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে আদেশ দিয়েছে। পরে এক নিম্ন আদালত সেদেশে বিদ্যমান সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেয়। কান বলেন, তার সরকার বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এবং ভুক্তভোগীদের স্বস্তি প্রদান ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষায় কী করণীয় সেটা বিবেচনা করছে।

    জাপান সরকার বলছে, ১৯৬৫ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সময় এ সম্পর্কিত দাবি সম্পূর্ণরূপে ও চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

    সরকার সম্পদ ও দাবি নিষ্পত্তির বিষয়ে ১৯৬৫ সালের চুক্তির ভিত্তিতে আলোচনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

    বয়ো:প্রাপ্তি দিবস উদ্‌যাপিত

    পশ্চিম জাপানের একদল তরুণ দেশটির সবচেয়ে উঁচু ভবনে সিঁড়ি বেয়ে উঠে বয়ো:প্রাপ্তিতে পদার্পনের আচার অনুষ্ঠান পালন করেছে।

    সোমবার বয়ো:প্রাপ্তি দিবসে জাতীয় ছুটির দিনে যেসব নাগরিকের বয়স ২০ বছর হয়েছে তাদের সম্মান জানানো হয়। জাপানে বয়ো:প্রাপ্তির আইনগত বয়স হল ২০ বছর। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাপানজুড়ে দিনটিকে পালন করা হয়।

    ওসাকা শহরে দিবসটি পালন উপলক্ষে ২০ বছর বয়সী একদল তরুণ “চলুন বয়ো:প্রাপ্তিতে পদার্পন করি” মন্ত্র নিয়ে ৩০০ মিটার উঁচু আবেনো হারুকাস ভবনে আরোহণ করে।

    ১০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী কিমোনো বা নতুন স্যুট পড়ে এবং সাদা কাপড়ে তাদের ভবিষ্যতের প্রত্যাশা লিখে নিয়ে এক হাজার ছয়শো’ ৩৭ ধাপ সিঁড়ি পাড়ি দেয়। ৬০ তলা ভবনে আরোহণ তাদের প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে।

    আজ প্রথম অফিস করলেন প্রধানমন্ত্রী

    চতুর্থবারের মতো সরকারপ্রধান হিসেবে শপথগ্রহণের পর আজ রোববার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে নিজ কার্যালয়ে প্রথম অফিস করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

    এ সময় শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা।

    পরে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ মাল্টিপারপাস হলে তার দফতরের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবির সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর চা চক্রে মিলিত হন।
    এর আগে সকালে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

    চাকুরী সংক্রান্ত ভুল পরিসংখ্যান নিয়ে সংসদে বিতর্ক

    জাপানের সংসদের নিম্ন ও উচ্চ পরিষদের শ্রম কমিটি, চাকুরী সম্পর্কে ভুল পরিসংখ্যানের বিষয়ে এ মাসের শেষের দিকে বৈঠকে মিলিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য যে, বহু বছর ধরে শ্রম মন্ত্রণালয় তার মাসিক শ্রম জরীপ গ্রহণের সময় ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করে এসেছে বলে স্বীকার করেছে।

    এসব জরীপে, বেতন এবং কাজের সময় সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের, কমপক্ষে ৫০০ জন কর্মী রয়েছে এমন সবগুলো বৃহৎ কোম্পানিতে জরীপ চালানোর কথা থাকলেও মন্ত্রণালয় টোকিওর এধরণের মাত্র এক তৃতীয়াংশ কোম্পানির উপর জরীপ চালিয়েছে।

    এই ভুল তথ্যের ফলে, বেকার ভাতা এবং দুর্ঘটনা সম্পর্কিত ক্ষতিপূরণ সঠিক পরিমাণের চেয়ে কম দেওয়া হয়।

    ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের সংসদ বিষয়ক প্রধান হিরোশি মোরিয়ামা বলেন যে, এ ধরণের ঘটনা যাতে আর কখনোই না ঘটে তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

    এই ঘটনা যাতে বাজেট বিতর্ক এবং আসন্ন উচ্চ পরিষদ নির্বাচনের উপর প্রভাব না ফেলে ক্ষমতাসীন জোট তার আগেই বিষয়টির সমাধান করতে চায় বলে মনে হয়।

    বিরোধী সাংবিধানিক ডেমোক্রেটিক পার্টি”র সহসভাপতি আকিরা নাগাৎসুমা বলেন যে, তাঁর দল বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে। তিনি, এই কেলেঙ্কারি জাপানের উপর আস্থার ভিতকে নাড়িয়ে দিতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

    জি20’র সাফল্যের জন্য জাপান ও নেদারল্যান্ড একসাথে কাজ করবে

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে বলেছেন যে, জাপান এবং নেদারল্যান্ড জুন মাসে ওসাকা’য় অনুষ্ঠিতব্য জি20’র শীর্ষ বৈঠকের জন্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

    আবে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তে’র সাথে বুধবার রটরডম’এ বৈঠক করেন।

    বৈঠকে, আবে বলেন, নেদারল্যান্ড হচ্ছে জাপানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার এবং দেশ দু’টি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের মত অভিন্ন সার্বজনীন মূল্যবোধ পোষণ করে। তিনি এও বলেন, জাপান ওসাকার জি20 শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য নেদারল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানায়।

    তিনি আরও বলেন, দেশ দু’টি জি20 শীর্ষ বৈঠকের সফলতা নিশ্চিত করার জন্য বৈশ্বিক সমস্যাগুলো সামাল দিতে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার ব্যাপারে সম্মত হয়।

    এইসব বিষয়ের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও সামুদ্রিক দুষণের কারণ প্লাস্টিক বর্জ্য সমস্যা সামাল দেয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    আবে এবং রুত্তে আগামী মাসে কার্যকর হতে যাওয়া জাপান-ইইউ বাণিজ্য চুক্তির সাথে সাথে দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ককে জোরদার করতেও সম্মত হন।

    উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে, আবে বলেন, দেশ দু’টি উত্তর কোরিয়ার ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র এবং সব ধরনের পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সম্পূর্ণ, যাচাইযোগ্য এবং অপরিবর্তীয় নিস্ক্রিয়করণ অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালানোর কথা নিশ্চিত করেন।

    তিনি এও বলেন, উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবসমূহের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে তাদের মধ্যে মতৈক্য অর্জিত হয়।

    দাঁড়িয়ে পানি পান মৃত্যুরও কারণ হতে পারে

    উবায়দুর রহমান খান নদভী

    আমেরিকার এক শহরে জনৈক পাকিস্তানি ট্যাক্সি চালক একটি কফি শপে ঢুকলেন। নিজে এক বোতল ঠান্ডা পানি নিয়ে এক পাশে গিয়ে বসে, প্রথমে ছোট ছোট তিন ঢোক তিন নিঃশ্বাসে পান করলেন। এরপর বাকী পানিটুকু শেষ করে যখন লোকটি বের হয়ে যাচ্ছেন, তখন আরেক ভদ্রলোক দৌঁড়ে এসে তার হাত ধরলেন। বললেন, এক্সকিউজ মি, আপনি কি আমাকে ৫ মিনিট সময় দিবেন? আমার কিছু কথা বলার ছিল। ড্রাইভার লোকটি বললেন, বসে বলব না চলতে চলতে বলব। পার্কিংয়ে আমার গাড়ি রাখা আছে। তখন ভদ্রলোক বললেন, চলুন আপনার সাথে যেতে যেতেই কথাগুলো বলা যাক। ভদ্রলোক যা বললেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। তিনি নিজের পরিচয় দিলেন, আমেরিকার প্রখ্যাত এক বিজ্ঞানী তিনি। ট্যাক্সিতে বসে তিনি পাকিস্তানি এই চালককে প্রশ্ন করলেন, আপনি একটু আগে যেভাবে পানি পান করলেন, এটা কি আপনার অভ্যাস না হঠাৎ করেই এমনটি হয়েছে। যেখানে আমেরিকায় আমরা যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে শুধু পানি কেন পুরো লাঞ্চ বা ডিনার করে ফেলি, আপনি সেখানে এক বোতল পানি এক জায়গায় বসে থেমে থেমে নিঃশ্বাস নিয়ে পান করলেন, এর পেছনে কারণ কি? বিজ্ঞান যেখানে বলে, পরিশ্রান্ত মানুষ দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। পানির প্রেসারে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তার হার্ট, কিডনি, লিভার ইত্যাদি। নিজের জীবনের দৈনন্দিন এ অভ্যাসটি এই বিজ্ঞানীর চোখে এত বিস্ময়কর কেন ঠেকলো তা এই ড্রাইভার বুঝতে পারছিলেন না। তিনি সরল ভাষায় উত্তর দিলেন, আমি একজন মুসলমান। আমাদের ধর্মে এভাবেই পানি খাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। আমি ছেলে বেলা থেকে এভাবেই পানি খেতে শিখেছি। আমার পরিবারের ছোট বড় সকলেই এভাবে পানি পান করে। বিজ্ঞানী তখন বললেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের পানি পানের সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করছি। আমার জ্ঞানের সাথে আপনার আজকের এ পানি পানের দৃশ্য এমনভাবে মিলে গেছে যে, আমি আপনাকে না ধরে পারলাম না। আপনি আমাকে একটু লম্বা সময় দিন। দূরে কোনোদিকে লংড্রাইভে চলুন। আমি আপনার পেমেন্ট দিব, কথা বলার জন্য আলাদা সম্মানিও দেব। তথাপি আমি চাই, আমার গবেষণার একজন রোলমডেলের সাথে আমার দীর্ঘ আলোচনায় আমার গবেষণা পূর্ণতা লাভ করুক। বিজ্ঞানী এরপর জানতে চাইলেন, এভাবে পানি পান করা আপনি শিখেছেন কার কাছে? এটি কি কোনো সংস্থা বা গবেষকের ফর্মুলা। তখন ড্রাইভার সহজ সরলভাবে জবাবে বললেন, এটি আমাদের নবী (সা.) এর সুন্নত। তার এ নির্দেশনা মত পৃথিবীর সব অনুগত মুসলমান পানি পান করে থাকেন। শুধু তাই না, আমাদের জীবনে প্রতিটি কাজের এমন একটি সুন্দর নকশা আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এঁকে দিয়ে গিয়েছেন। যাকে সুন্নত বলে, আমরা তারই অনুসরণ করি। তখন এ বিজ্ঞানী ট্যাক্সি চালককে তখনকার মতো বিদায় দিয়ে বললেন, আমাকে আরও সময় দিতে হবে। আপনার ঠিকানা ও যোগাযোগের সবকিছু আমাকে দিন। আপনাদের প্রফেটের সুন্নত সম্পর্কে যারা বেশি জানেন তেমন জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিন। সেদিনের মতো এভাবেই তারা দু’জন আলাদা হয়ে যান। ক’য়েকটি সাক্ষাতের পর এই বিজ্ঞানী ইসলামিক সেন্টারের ইমাম সাহেবের হাতে ইসলামগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামের সত্যতা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আলোচিত ট্যাক্সি চালকের পানি পান করা থেকে প্রথম ধারণা লাভ করেন। পরে তিনি বলেছেন, দাঁড়িয়ে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খুব তৃষ্ণার সময় একশ্বাসে অনেক পানি খাওয়া আরও ক্ষতিকর। পানি পানের বহু থিওরি আমি জমা করেছি, কিন্তু সাধারণ একজন ট্যাক্সি চালক যেভাবে বসে ধীরে ধীরে ছোট ছোট তিন ঢোক পানি তিন নিশ্বাসে পান করলো, এ ছিল আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আমি বুঝতে চেষ্টা করেছিলাম এ ঘটনাটি কি ইচ্ছাকৃত না কাকতালীয়। যখন চালক ব্যক্তিটি আমাকে সব বুঝিয়ে বললেন, তখন আমার সামনে জ্ঞানের দরজা খুলে গেল। আমি সেই মহামানবের সকল সুন্নত সম্পর্কে শ্রদ্ধাভরে জানার সুযোগ পেলাম। যা দেড় হাজার বছর আগে একটি অনুন্নত পরিবেশে থেকেও ইসলামের নবী (সা.) শিক্ষা দিয়ে গেছেন। যার মধ্যকার বিজ্ঞান সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্ব দিনে দিনে বিশ্বের মানুষ আরও বেশি করে বুঝতে পারছে। মানুষ যখন প্রথম এক ঢোক পানি খায়, এরপর নিঃশ্বাস নেয় তখন পানির পরপরই তার দেহে অক্সিজেন প্রবেশ করে। এরপর তিনবার যখন এ কাজটি করে তখন তার মস্তিষ্ক ও রক্তের শিরা-উপশিরা যথেষ্ট অক্সিজেন লাভ করে, ফুসফুস আরাম পায়, খাদ্য ও শ্বাসনালী নিজেদের সেরা পারফর্ম করে, পাকস্থলী ধীরে ধীরে সে পানিগুলো রিসিভ করে। বিভিন্ন নালী ও শিরা পানিটাকে ফিল্টারিং করে, পানিতে কোনো জীবাণু বা ময়লা থাকলে উপকারী জীবাণুরা সেগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে এর তীব্র গতি পাকস্থলীকে যেভাবে আঘাত করে, তার কুপ্রভাব কিডনী পর্যন্ত পৌঁছে যায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি এমনকি মূত্রথলিতেও চাপ সৃষ্টি করে। আর তৃষ্ণার্থ বা ক্লান্ত মানুষ এক নিঃশ্বাসে অনেক পানি খেলে এতে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা, রক্তচাপ, মস্তিষ্কের কমান্ড ইত্যাদি সবক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। বিষম খেয়ে বা খাদ্যনালীতে আটকে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটাও অসম্ভব নয়। শুধু এ বিজ্ঞানী নয়, দুনিয়ার আরও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মুসলমানদের পানি পানের সুন্নত পদ্ধতিকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিচ্ছে, স্বাগত জানাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরির জন্য জাপানী ও ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ছোট ছোট ঢোক নিয়ে শ্বাস ছেড়ে ছেড়ে দীর্ঘ সময়ে পানি পান করার পদ্ধতি প্রয়োগ করে ভালো ফল লাভ করেছে। পাশ্চাত্যের ইসলামগ্রহণের যে প্রবণতা দিনদিনই বাড়ছে এতে বড় বড় ঘটনাতো বটেই সাধারণ মুসলমানদের জীবনরীতি দেখেও অসংখ্য মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৩২শ’ মানুষ ইসলামগ্রহণ করে। তাদের এ পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে পানি পান, খাদ্যগ্রহণ, পারিবারিক শান্তি, বিবাহিত জীবনের পবিত্রতা, সন্তানদের মায়া-মমতা, এমনকি রোগীর সেবা, মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা ও ইসলামী পদ্ধতির জানাজা দাফন-কাফন। আল্লাহ মানুষের হেদায়াতের জন্য যে কোনো বিষয়কে উসিলা বানাতে পারেন। মহানবী (সা.)-এর সুন্নত তো ইসলামের সর্বপেক্ষা বড় সম্পদ। এটি কল্যাণের আকর, সাফল্যের ভান্ডার, আর বিজ্ঞানের সমারোহ।

    মন্ত্রী হচ্ছেন যারা

    Posted by admin on January 7
    Posted in Uncategorized 

    মন্ত্রী হচ্ছেন যারা

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর টানা তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। সোমবার শপথ নেবে নতুন মন্ত্রিসভা।

    ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। বাদ পড়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা। এবার শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী থাকছেন ৩ জন। বিগত মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী, ৯ প্রতিমন্ত্রী ও ২ উপমন্ত্রী এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শরিক দলের কেউ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি।

    পূর্ণ মন্ত্রীদের নামের তালিকা:

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

    ১. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়: আ ক মোজাম্মেল হক

    ২. সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়: ওবায়দুল কাদের

    ৩. কৃষি মন্ত্রণালয় : মো. আব্দুর রাজ্জাক

    ৪. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: আসাদুজ্জামান খান কামাল

    ৫. তথ্য মন্ত্রণালয়: মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ

    ৬. আইন বিচার ও সংসদ বিষয় মন্ত্রণালয়: আনিসুল হক

    ৭. অর্থ মন্ত্রণালয় : আহম মুস্তফা কামাল

    ৮. স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় : মো. তাজুল ইসলাম

    ৯. শিক্ষা মন্ত্রণালয়: ডা. দীপু মনি

    ১০ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: এ. কে আব্দুল মোমেন

    ১১. পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়: এম এ মান্নান

    ১২. শিল্প মন্ত্রণালয়: নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন

    ১৩. বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়: গোলাম দস্তগির গাজী

    ১৪. স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়: জাহিদ মালিক

    ১৫. খাদ্য মন্ত্রণালয়: সাধন চন্দ্র মজুমদার

    ১৬. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: টিপু মুনসি

    ১৭. সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়: নুরুজ্জামান আহমেদ

    ১৮. গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়: শ ম রেজাউল করিম

    ১৯. পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়: মো. শাহাবুদ্দীন

    ২০. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়: বীর বাহাদুর উশেশিং

    ২১. ভূমি মন্ত্রণালয়: সাইফুজ্জামান চৌধুরী

    ২২. রেলপথ মন্ত্রণালয়: মো. নুরুল ইসলাম সুজন

    ২৩. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়: ইয়াফেস উসমান

    ২৪. ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়: মোস্তফা জব্বার

    প্রতিমন্ত্রীদের নামের তালিকা:

    কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প মন্ত্রণালয়), ইমরান আহমেদ (প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম মন্ত্রণালয়), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ—টেকনোক্র্যাট (ধর্ম)।

    উপমন্ত্রীদের নামের তালিকা:

    হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।

    জাপানে আংশিক সূর্য গ্রহণ

    জাপান জুড়ে আকাশ পর্যবেক্ষকরা, গত তিন বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মত আংশিক সূর্য গ্রহণ প্রত্যক্ষ করেছেন।

    আজ সকালে, সূর্য আংশিকভাবে চন্দ্রে ঢাকা পড়ে। ২০১৬ সালের মার্চ মাসের পর জাপানে এই প্রথমবারের মত আংশিক সূর্য গ্রহণ প্রত্যক্ষ করা হয়।

    উত্তরাঞ্চলীয় শহর সাপ্পোরোতে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে, সূর্যের প্রায় ৪০ শতাংশ ঢাকা পড়ে।

    টোকিওতে, সকাল ১০টা ৬ মিনিটে সূর্যের প্রায় ৩০ শতাংশ ঢাকা পড়ে।

    সূর্য গ্রহণ প্রত্যক্ষ করতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় লোকজন সমবেত হন।

    লোকজন, সুরক্ষামূলক চশমা লাগিয়ে সূর্য গ্রহণের দৃশ্য উপভোগ করেন।

    সাপ্পোরোর এক সমাবেশে অংশ নেয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জনৈক ছাত্র, ঢাকা পড়া সূর্যকে চন্দ্রের মত দেখায় বলে উল্লেখ করে। ছাত্রটি, প্রথমবারের মত এই দৃশ্য দেখেছে উল্লেখ করে এটির সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করে বিস্মিত হয় বলে জানায়।

    জাপানের জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষন কেন্দ্র, দেশের লোকজন আগামী ২৬শে ডিসেম্বর পুনরায় আংশিক সূর্য গ্রহণ প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হবেন বলে জানায়।