• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • ২০২০ সালের মধ্যে জাপানে ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার একতৃতীয়াংশ হ্রাস করা হবে

    ২০২০ সালের দেশে অ‌্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বর্তমানের অন্ততঃ এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস করতে জাপান সরকার মঙ্গলবার একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, অ‌্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত বছর বিশ্বব্যাপী অ‌্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হ্রাসে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে, পরিকল্পনা অনুসারে সদস্য দেশ গুলোকে দুই বছরের মধ্যে অ‌্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হ্রাসে জাতীয় ভাবে পরিকল্পনা প্রণয়নের অনুরোধ জানানো হয়।

    অ‌্যাটিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৩ সালে ছিলো ৭ লক্ষের মতো। ধারণা করা হচ্ছে কোনো ব্যবস্থা না নিলে এ ভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে এই সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

    কর্ম পরিকল্পনা অনুসারে জাপান সরকার যথাযথ ভাবে অ‌্যাটিবায়োটিক ব্যবহারের উপর একটি গাইডলাইন তৈরি করবে, বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে জনগনের উপলব্ধি এবং বয়স্কদের সেবায় অ‌্যাটিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহারের উপর গবেষণা পরিচালনা করা হবে।

    অ‌্যাটিবায়োটিকের ব্যবহার হ্রাসের মাধ্যমে সরকার ব্যাপক ভাবে অ‌্যাটিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া কমিয়ে ফেলতে চান, এসব ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে রয়েছে- স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, টেফিলোকাস অরেউস এবং এস্কারিশিয়া কোলাই বা ইকোলাই।

    জাপানে সাহিত্য সভা বিদায় সম্বর্ধনা

    বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম ,জাপান আয়োজিত দ্বি মাসিক সাহিত্য সভার এবারের আয়োজনটি ছিল গেল রোববার,৩ এপ্রিল.২০১৬ শিবূইয়ার কুরিৎসু কিনরো ফুকুশি কাইকান হলে।দুপুর একটা থেকে শূরু অনুস্ঠানের প্রথম পর্বটি ছিল সাহিত্য সভা। ফোরামের উপদেষ্টা মনজুরুল হকের উপস্হিতিতে জুয়েল আহসান কামরুলের সভাপতিত্বে মোতালেব শাহ আই্য়ুবের চমৎকার ব্যান্জনাময় উপস্হাপনায় স্বরচিত লেখা পাঠ,কবিতা আবৃতি,সাহিত্য আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন মনজুরুল হক,প্রবির বিকাশ সরকার,কাজী ইনসানুল হক,জুয়েল আহসান কামরুল,মোতালেব শাহ আইয়ুব,মাইনুল শাওন,কমল বড়ুয়া,মইনুল ইসলাম মিল্টন,মোহাম্মদ হারুন,এম এ শাহীন,মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন,হোসাইন মুনির,সংগিতা রাজবংশী দাস,আরশাদ উল্লাহ,মোতাহের হোসেন,ছালেহ মোহাম্মদ আরিফ,সর্বানু দাস,দেলওয়ার হোসেন,কামরুল ইসলাম লিপূ,নাজনীন রহমান,সুবর্না নন্দী,লাকী ইসলাম,মিসেস দেলওয়ার ,মিসেস ঘোষ,আবদুর রাজ্জাক প্রমূখ।
    অনুষ্ঠানের শুরতে সদ্যপ্রয়াত কবি রফিক আজাদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
    এবারের বই মেলায় প্রকাশিত জাপান প্রবাসী লেখকদের বইগুলো প্রদর্শনের ব্যবস্হা ছিল।উপস্হাপক ফোরামের পক্ষ থেকে লেখকদের অভিনন্দন জানান।ছোট্ট আনুসুয়া ও বাংলা কবিতা ও জাপানী গান গেয়ে সবার বাহবা পান।
    অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের প্রথম সচিব,জাপান দুতাবাস থেকে বাংলাদেশ মন্ত্রনালয়ে বদলি হওযা কমিউনিটির সবার প্রিয় বেবীরানী কর্মকারকে ফোরামের পক্ষ থেকে ফূল দিয়ে বিদায় সম্বর্ধনা জানানো হয়।সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরকৃত সম্মাননা ,উপস্হিত সবার মতামত সম্বলিত স্মারক শূভেচ্ছা কার্ড সহ সুভেনির দেয়া হয়।
    উপস্হিত সবাই সরকারী দায়িত্বে একনিষ্ট সদাহাস্য,বিনয়ী ও বেবীরানীকে বিদায় জানাতে নিজেদের সাময়িক কষ্টের কথা জানান ও তার উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করেন।বেবীরানী কর্মকারও জাপান প্রবাসী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ও বাকী জীবনে মানুষের কল্যানে ভূমিকা রাখার অভিপ্রায় ব্যাক্ত করেন।
    ফোরাম সভাপতি সভায় আসা সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

    একটি ভুল মাসআলা

    Posted by admin on April 4
    Posted in Uncategorized 

    একটি ভুল মাসআলা : স্বামী কি মৃত স্ত্রীকে দেখতে পারবে না?

    কারো কারো ধারণা, স্বামীর জন্য তার মৃত স্ত্রীর চেহারা দেখা জায়েয নেই। তেমনি কেউ কেউ মনে করে, স্ত্রীর জন্যও তার মৃত স্বামীর চেহারা দেখা জায়েয নেই। তাদের এ ধারণা ভুল। মৃত স্ত্রীর চেহারা যেমন স্বামী দেখতে পারবে, তেমনি স্ত্রিও তার মৃত স্বামীর চেহারা দেখতে পারবে।

    একটি ভুল ধারণা : রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কি রোযা ভেঙে যায়?

    কেউ কেউ মনে করেন, রোযা অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে রোযা ভেঙে যাবে। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। স্বপ্নদোষের কারণে রোযা ভাঙে না।

    একটি বর্ণনায় এসেছে, তিনটি বস্তু রোযা ভঙ্গের কারণ নয়; বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ। (মুসনাদে বাযযার, হাদীস ৫২৮৭; নসবুর রায়াহ ২/৪৪৭; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৭০; জামে তিরমিযী, হাদীস ৭১৯; সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪)

    সুতরাং রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভেঙে যায়- এ ধারণা ঠিক নয়।

    চীনের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই জাপানের যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ভিড়লো ফিলিপাইনে

    জাপানের দু’টি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি সাবমেরিন ফিলিপাইনের একটি বন্দরে রোববার নোঙর করেছে, সন্নিকটেই রয়েছে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত সমুদ্র এলাকা যেখানে বেইজিং ঘন ঘন তার শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে যা নিয়ে বিশ্ব উদ্বিগ্ন।

    জলপথে বিরোধের তীব্র উত্তেজনায় ম্যানিলা টোকিও’র সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চাইছে, তার জলপথের প্রায় গোটা অংশটাই চীন দাবি করে বসেছে।

    জাপানি সাবমেরিন ওইয়াশিও এবং ডেস্ট্রয়ার জেএস আরিয়াকে এবং জেএস সেতোগিরি নিয়মিত সফরে সুবিক বন্দরে রোববার নোঙর করে। বন্দরটি সাবেক মার্কিন নৌঘাঁটি এবং চীন থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে।

    “সফরটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং প্রতিবেশী নৌবাহিনীর মধ্যে নৌসহযোগিতার প্রসারে নিবেদিত” ফিলিপাইন নৌবাহিনীর কমান্ডার লুয়েড লিনকুনা বলেন।

    শুক্র গ্রহের ছবি

    Posted by admin on April 2
    Posted in Uncategorized 

    শুক্র গ্রহের ছবি

    জাপানের ছোট্ট মহাকাশ যান আকাৎসুকি প্রায় ব্যর্থ হয়ে পড়া মিশন থেকে পুনরায় গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্যয়বহুল আকাৎসুকি অবশেষে বিজ্ঞানীদের ফল দিতে শুরু করেছে। শুক্র গ্রহ থেকে ছবি আসা শুরু হয়েছে এবং আগামীতে আরো পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    জাক্সা’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসাতো নাকামুরা প্রকল্পের সাথে জড়িতদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন নভোযানটি এখন কোনো রকম সমস্যা ছাড়াই কাজ করছে। জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি’র কর্মকর্তারা আকাৎসুকি নভোযানের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। নভোযানটি ৬ বছর আগে ২০১০ সালে উৎক্ষেপণ করা হয় শুক্রগ্রহের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ করতে। কিন্তু অভিযানের মাঝ পথে নভোযানটির প্রধান ইঞ্জিন ভেঙে যায় এবং পরবর্তী ৫ বছর আকাৎসুকি সূর্যের চারিদিকে ঘুরে ঘুরে অতিক্রম করে। কিন্তু প্রকৌশলীরা হাল ছেড়ে দেননি। তারা গত বছরের ডিসেম্বরে আকাৎসুকি’কে তার কক্ষপথে স্থাপন করার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা চালান। এ সময়ে থ্রাস্টার ব্যবহার করে কক্ষপথে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।

    পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহকে প্রদক্ষিণ করা জাপানের প্রথম উপগ্রহ হলো আকাৎসুকি। মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই আকাৎসুকি মহাকাশ থেকে চমৎকৃত ছবি পাঠানো শুরু করেছে। তার তোলা একটি ছবিতে শুক্রগ্রহের বুকে কালো কালো ছোপ দেখা যাচ্ছে। এসব কালো ছোপের একটি দক্ষিণ গোলার্ধের একটি পাহাড় বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ৪ হাজার মিটার উঁচুতে কয়েক হাজার মিটার বিস্তৃত কালো দাগ।

    অপর একটি ছবি তোলা হয়েছে উপগ্রহটির অবলোহিত ক্যামেরার মাধ্যমে। সেখানে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত একটি নাইট্রিক এসিডের মেঘপুঞ্জ। এটি ২০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আকাৎসুকির মূল উদ্দেশ্য এগুলো কী এবং কেমন করে তৈরি হলো।

    শুক্রগ্রহকে প্রায়ই পৃথিবীর বোন হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। গ্রহ দু’টির আকার এবং বয়স প্রায়ই একই। গ্রহটির উপর গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিশ্বউষ্ণায়ন সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা সম্ভব হবে।

    শুক্রগ্রহের বায়ুমন্ডলের প্রায় পুরোটাই জুড়ে রয়েছে কার্বন ডাইঅক্সাইড। এর ফলে ভূত্বকের তাপমাত্রা ৪৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রা পর্যন্ত পৌঁছুতে পারে।

    আকাৎসুকির মিশন এখনো ঢের বাকী। বিজ্ঞানীরা অপেক্ষায় আছেন মহাকাশযানটি এরপর কিসের ছবি পাঠায় তা দেখার জন্যে।

    মহান স্বাধীনতা দিবস, উদযাপন করলো আওয়ামী লীগ, জাপান শাখা

    গত রোববার ২৭ মার্চ বিকেলে টোকিওর তাবাতা শিনকিউশিৎসু কাইকানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখা মহান স্বাধীনতা দিবস ও ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভার সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ।

    খন্দকার আসলাম হীরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্যদের মধ্যেমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সনত বড়ুয়া। বক্তৃতা পর্বে অংশগ্রহণ করেন -আব্দুর রাজ্জাক, জহিরুল হক, কামরুল ইসলাম লিপু, চৌধুরি রহমান লিটন, শাহ আলম, হারুনুর রশিদ, আতোয়ার হোসেন, জাকির জোয়ার্দার।মাসুদুইর রহমান, সোহেল রানা, রাসেদ মাজিদ, মুক্তা চৌধুরি, শহহিদুর এরহমান হিরু, মোতালেব শাহ প্রিন্স, খোকন কুমার নন্দী, সলিমুল্লাহ কাজল, মোল্লা ওয়াহিদুর রহমান প্রমুখ।

    আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাজী ইনসানুল হক, জুয়েল এম কিউ।

    বক্তারা ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিনের আলোকে দিন গুলোর বিশেষ তাৎপর্যের উপর আলোচনা করেন।

    জাপান সফররত হংকং আওয়ামী লীগের জনাব আবেদিন। অনুষ্ঠানে তিনিও বক্তব্য রাখেন। তিনি হংকং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাপান প্রবাসীদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

    সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানান।

    ফুকুশিমা প্ল্যান্টের মাটি জমাট বাঁধানো শুরু করেছে টেপকো

    পারমাণবিক দুর্ঘটনার শিকার ফুকুশিমা দাইইচি পারমাণবিক চুল্লীর পরিচালনাকারী সংস্থা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অনুমোদন পেয়ে চুল্লীর চারপাশের মাটি জমাট বাঁধানো শুধু করেছে। টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি বা টেপকো বরফের দেয়াল তৈরি করে ভূগর্ভস্থ পানিকে ৪টি পারমাণবিক চুল্লীর দিকে প্রবাহিত হওয়া থেকে প্রতিহত করবে ফলে জলাধারে তেজস্ক্রিয় পানি ধরে রাখার পরিমাণ হ্রাস পাবে।

    ইউটিলিটি গত বুধবার নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি অথরিটি বা এনআরএ’র কাছ থেকে মাটি হিমায়িত করার অনুমতি পায়। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকেই মাটি জমানোর কাজ শুরু হতে পারে। ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহের কারণে প্ল্যান্টে তেজস্ক্রিয় দূষিত পানির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে।

    মাটি জমানোর কাজ সম্পন্ন হলে, অন্যান্য সব ব্যবস্থা মিলে প্রতিদিন জমিয়ে রাখা ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ ৪০০ টন থেকে কমে ৫০ টনে নেমে আসবে। মাটি জমাট বাঁধানোর কাজ শুরু হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যেই তা ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ ঠেকাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    দু’বছর কাজ করার পর গত মাসে টেপকো ভূগর্ভস্থ মাটি জমাট বাঁধানোর সিস্টেমটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে।

    মাসতুরাতের উদ্দেশ্যে তিনটি কথা

    প্রথম কথা : আল্লাহ তাআলা মাকে সন্তানের মাদরাসা বানিয়েছেন। মায়ের কোল সন্তানের মাদরাসা। তাবলীগের বড় মুরুব্বী হাজী আব্দুল মুকীত রাহ.-এর জামাতা প্রফেসর ড. আনওয়ারুল করীম সাহেব একবার হযরতজী এনামুল হাসান ছাহেব রাহ.-কে জিজ্ঞেস করলেন, হুযুর! এখন এত মাদরাসা, দ্বীনী তালীমের এত সুযোগ-সুবিধা, এরপরও নতুন প্রজন্ম খারাপ কেন, ওদের মধ্যে ভালো কম কেন? সাহাবায়ে কেরামের যামানায়, তাবেঈ-তাবে তাবেঈর যামানায় তো এত মাদরাসা ছিল না, তবু সেই যামানার সবাই ভাল, সব ছেলে ভাল। এখন কেন খারাপ? এত মাদরাসা সত্ত্বেও কেন ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ভালোর সংখ্যা কম?  সম্ভবত হযরতজী বললেন, আরে! তখন মাদরাসা ছিল বেশী এখন মাদরাসা কম! এখন তো তুমি ছয়/সাত বছর বয়সে সন্তানকে মাদরাসায় পাঠাও, ভর্তি করাও। সে এক মাদরাসায় পড়ে, যতক্ষণ মাদরাসায় থাকে ততক্ষণ শুধু মাদরাসা। আর আগে সন্তান যেদিন ভূমিষ্ঠ হত সেদিন থেকে প্রতিটি মুহূর্তই হতো তার মাদরাসা, প্রতিটি কোলই ছিল তার একেকটি মাদরাসা। মায়ের কোলে আছে তো মাদরাসায় আছে। বোনের কোলে আছে তো আরেক মাদরাসায় আছে। ভাই কোলে নিয়েছে তো সে মাদরাসাতেই আছে। তখন সন্তান দুনিয়াতে আসার পর যার কোলে যাক যে দিকে তাকাক, যার হাতে যাক যে দিকে বের হোক- সবখানে মাদরাসা আর মাদরাসা। অর্থাৎ সে যেখানেই যাবে যার কাছেই থাকবে সে দ্বীনদার পাবে, দ্বীনী পরিবেশ পাবে। যে বোনের কোলে আছে, সে বোন মিথ্যা বলে না, কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে না। ভায়ের কোলে গেল তো ভাই-ও ভদ্র ছেলে, নামাযী, কারো গীবত-শেকায়েত করে না। বাবা এসেছেন, তার কোলে গেল, তিনিও ভাল, তার কামাই হালাল, দুনিয়ার পিছে পড়ে নামায ছাড়েন না। ধন-সম্পদ গড়ার জন্য হারামে লিপ্ত হন না। তার মানে, সন্তান যার কোলে যাচ্ছে যার কাছে যাচ্ছে মাদরাসায় যাচ্ছে! আর এখন? কোথায় সেই মাদরাসা?

    সন্তান যেখানে যাবে যার কোলে থাকবে, সেখানেই যদি আগের মত মাদরাসা হতো, তাহলে তো ভাল ছিল। কিন্তু তা যদি না হয়, অন্তত প্রত্যেক সন্তানের প্রথম কোলটি যেন হয় মাদরাসা। যিনি এ সন্তানকে ধারণ করছেন, বহন করছেন দশ মাস দশ দিন, তাঁর আখলাক যদি ভাল হয়, তাঁর মধ্যে যদি দ্বীন-ঈমান থাকে, নামায থাকে কুরআন থাকে, ভাল ব্যবহার থাকে, তবে সন্তানের উপর এর প্রভাব পড়বেই পড়বে। প্রত্যেক নারীকে বুঝতে হবে, আপনার ব্যক্তি-সত্তাই আপনার সন্তানের মাদরাসা। আপনিই আপনার সন্তানের প্রথম মাদরাসা। আপনি ভাল সন্তান ভাল, আপনি খারাপ সন্তান খারাপ। হয়ত বলবেন, মা অনে-ক ভাল, সন্তান খারাপ- এমনও তো দেখা যায়! আসলে এমনটা খুব কম হয়। হলেও পরে ঠিক হয়ে যায়। আরেক কথা হল, মা যে অনেক ভাল, আমরা তাঁর বাহ্যিক অবস্থা দেখে সুধারণা করছি। কিন্তু মার তো নিজের হিসাব নিজে নেওয়া দরকার, আমি কতটুকু ভাল। নিশ্চই আমার কোনো ত্রুটি আছে, মানুষ জানে না, কিন্তু আল্লাহ জানেন। আমাকে আমার সেই ত্রুটি সংশোধন করতে হবে।

    আমরা ছেলে-মেয়েদের শাসন করি কথা দিয়ে, হাত দিয়ে। বেশি ভাল হলে হয়ত হাত ব্যবহার করি না, শুধু কথা দিয়ে শাসন করি। কিন্তু সন্তানের শাসন-পদ্ধতি কি শুধু হাত আর মুখ ব্যবহার? বকাঝকা করা আর লাঠি হাতে নেওয়া? আসলে এভাবে শাসন হয় না। মূলত সন্তান শাসনের প্রথম কথা হল আমি ভাল হওয়া, এক নম্বরে আমি ভাল হওয়া। আমার আমল-আখলাক, আমার আচার-ব্যবহার, চিন্তা-চেতনা ভাল হওয়া। বাপের রোজগার হালাল হওয়া। এ হল সন্তান শাসনের মৌলিক কথা। মা-বোনদের প্রতি নসীহত, আপনারা স্মরণ রাখবেন, আপনারা হলেন সন্তানের প্রথম মাদরাসা। প্রথম থেকেই মাদরাসা। আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন সন্তান আপনার কাছ থেকে শিখতে থাকবে। কাজেই আপনারা আপনাদের যতœ নিন।

    দ্বিতীয় কথা : সময়ের অপচয়। এটা গুনাহ, স্বতন্ত্র গুনাহ। যদিও আমাদের সকল কাজ সময়ের সাথে বাঁধা। আমরা সময়ের উর্ধ্বে উঠে কোনো কাজ করতে পারি না। কিন্তু যদি সময়ের উর্ধ্বে উঠে কোনো গুনাহের কাজ করা যেত তবে কি ঐ গুনাহর কাজ গুনাহ হতো না? অবশ্যই হত। বোঝা গেল, গুনাহের কাজ এমনিতেই গুনাহ আর সময়ের অপচয় আলাদা গুনাহ। সময়কে কোনো কাজে না লাগানো বা হেলায় নষ্ট করা ভিন্ন একটা গুনাহ। সকল শ্রেণীর মানুষ এখন এই গুনাহে লিপ্ত। সময়-অপচয়-রোগে আমরা সবাই আক্রান্ত। আমাকে ক্ষমা করবেন, আমার ধারণা, মহিলাদের মধ্যে এ সমস্যাটা বেশি।

    তাদের সময় বিভিন্নভাবে অপচয় হয়। একটা হল সাংসারিক কাজ। বলতে পারেন, এটা তো বড় কঠিন কথা, কাজের মধ্যে থাকলে আবার সময়ের অপচয় হয় কীভাবে! আমি বলি, ফজর থেকে মাগরিব পর্যন্ত কাজ? গ্রামের মহিলাদের সারাদিন কাজ আর কাজ। সারাদিন কেন কাজ? কোথায় আপনার একটু আরাম-বিশ্রাম, তালিম-তিলাওয়াত, নফল নামায, যিকির-আযকার? আসলে আমরা কাজ অনেক করি বটে, কিন্তু সুশৃঙ্খলভাবে করি না। রুটিন মোতাবেক করি না। অনেক সময় কাজ ফেলেও রাখি, সময় মতো করি না। ফলে আমাদের সময়ে বরকত হয় না। অপচয় হয়ে যায় বহু সময়। এজন্য প্রত্যেক ঘরে মহিলারা সময়সূচি বানিয়ে নিবেন। রুটিন মাফিক কাজ করলে দেখবেন অনেক সময় বেঁচে যাবে। আপনি রুটিনে তালিম-তেলওয়াতের জন্য সময় বরাদ্দ রাখুন। নফল নামাযের জন্য সময় বের করুন। আরাম-বিশ্রামের জন্য সময় খালি করুন। ঠিকমতো বিশ্রাম না নেওয়ার কারণে মহিলাদের শারীরিক কত সমস্যা হয়। আপনি ঠিক করুন, ঠিক কতটা থেকে কতটার মধ্যে নাশতা প্রস্তুত করবেন, বাচ্চাদেরকে মাদরাসায় কখন পাঠাবেন। দুপুরের রান্না কখন শুরু করবেন কখন শেষ করবেন। আপনার কাজ যদি সময় মতো হয়, গোছালো হয়, অলসতা না করে যদি সব কাজ সময় মতো করে ফেলতে পারেন, তাহলে আপনি ইবাদত-বন্দেগী ও দ্বীনী কাজের জন্য অনেক সময় বের করতে পারবেন। আর না হয় কাজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে  যাবে এবং পুরোটা দিন শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু আপনি একটু আরাম-বিশ্রামেরও সময় পাবেন না।

    আপনি লক্ষ্য রাখুন, যেন কম থেকে কম সময়ে বাচ্চাদের খাওয়া-গোসল ইত্যাদি হয়ে যায়, সেভাবে ওদের গড়ে তুলুন। স্বামীরা স্ত্রীদের সময় বাঁচনোর প্রতি লক্ষ রাখুন। নিজের খাওয়ার বর্তনটা স্ত্রীর ধোওয়ার জন্য রেখে না দিয়ে নিজেই ধুয়ে ফেলুন। দস্তরখান বিছানো-গুটানোর ক্ষেত্রে স্ত্রীকে সহায়তা করুন। সময় হলে ঘরের অন্যান্য কাজে অংশ নিয়ে স্ত্রীর কাজ এগিয়ে দিন। এটা পুরুষের দায়িত্ব। পুরুষের উদ্দেশ্যে যখন কথা বলবো তখন এ-বিষয়ে আরও বলা যাবে। আজ তো মহিলাদের উদ্দেশ্যে বলছি। সুতরাং ঘরওয়ালি হিসাবে যে কাজের দায়িত্ব আপনি নিজের কাঁধে নিয়েছেন, যে কাজ আপনি করবেনই, সে কাজ সময় মতো করুন। উদ্যমের সাথে করুন। তাহলে আপনি দ্বীন শেখার জন্য সময় বের করতে পারবেন। ইবাদত-বন্দেগীতে অগ্রসর হতে পারবেন।

    ছোটকালে আমি আমার মার সঙ্গে রান্না ঘরে যেতাম। একদিন তিনি আউয়াল ওয়াক্তে যোহর পড়ে রান্না করতে এলেন। কী কারণে যেন আগুন ধরতে দেরি হচ্ছিল। লক্ষ্য করলাম, তিনি দোয়া পড়ছেন আর কেঁদে কেঁদে বলছেন, আহারে! নামাযের সময় বুঝি যায়! নামাযের সময় বুঝি যায়! আমি বললাম, এই না আপনি যোহর পড়ে এলেন, নামাযের সময় তাহলে যায় কোথায়? বললেন, ‘আসরের সময় চলে যায়!’ অর্থাৎ এই যে আগুন জ্বলছে না, রান্না শুরুই হচ্ছে না, দেরি হয়ে যাচ্ছে, রান্নার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তো আমি আসরের নামায আওয়াল ওয়াক্তে পড়তে পারবো না। চিন্তা করুন, এইমাত্র যোহর পড়ে এলেন, কিন্তু আগুন জ্বলতে একটু দেরি হচ্ছে বলে এখনই তাঁর আসরের সময় চলে যাচ্ছে!

    আমরা সাধারণত দশটা উনষাট মিনিট হয়ে গেলেও এগারটা বাজেনি মনে করি। কিন্তু আমার আম্মা ঘড়ির কাঁটা দশটা পার হলেই বলতেন এগারটা বেজে গেছে। আসলেও তাই। দশটার পরের মিনিটগুলো এগারটার মিনিট দশটার নয়। আর এগারটা বাজার পর যে মিনিট সেটা তো এগারটার নয়, বারটার মিনিট!

    তৃতীয় কথা : স্বামীর সাথে ভাল আচরণ। স্বামী যারা, তাদেরকে আদর্শ স্বামী হওয়ার জন্য যা জানা দরকার, প্রশিক্ষণ নেওয়া দরকার, তা তো আমরা নিইনি। স্বীকার করছি, আমরা আদর্শ স্বামী হতে পারিনি। আদর্শ স্বামীর গুণাবলী আমরা শিখিনি। ইসলাম কিন্তু খুব শিখিয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব ক্ষেত্রেই আমাদের জন্য আদর্শ। তাঁর আদর্শই তো আদর্শ। কিন্তু নবীজীর সীরাত থেকে আমরা আদর্শ স্বামীর সেই গুণাবলী হাসিল করতে পারিনি। আমরা ভাল স্বামী নই, আমরা ‘আসামী’। এখন যেহেতু নারীদের উদ্দেশ্যে কথা বলছি সে জন্য ঐ প্রসঙ্গে আর যাচ্ছি না। মা-বোনদের বলছি, আমরা যেন আমাদের আচরণ সুন্দর করি। আচরণ সুন্দর করার অনেক দিক আছে। সব তো আর এক মজলিশে বলা সম্ভব নয়। বলার দরকারও নেই। আপনারা মনিতেই জানেন। আমি শুধু সওয়াব হাসিলের জন্য একটি কথা তুলে ধরছি। যে কথা হাদীসেও এসেছে।

    ‘কখনও, কোন সময়, সব সময়’ এই শব্দগুলো বিরক্তির সময় আমরা ব্যবহার করি। স্বামীর আচরণ একটু খারাপ লাগলেই বলে উঠি, তুমি ‘সব সময়’ আমার সাথে এমন কর। এখানে ‘সব সময়’ শব্দটা অপাত্রে ব্যবহার হয়েছে। আসলেই কি সব সময় আপনার স্বামী আপনার সাথে এমন করে? স্বামীরা বাহিরে বাহিরে থাকে। স্ত্রীদেরকে সময় কম দেয়। স্ত্রী এক দিন সময় চাইলেন। স্বামী ব্যস্ততা দেখালেন আর অমনি স্ত্রী বলে উঠলেন, ‘কখনও তোমার কাছে একটু সময় পাই না! কোনো দিন তুমি আমাকে সময় দাও না।’ এই যে পাইকারি বলা, ‘সব সময় তুমি এরকম কর, কখনও তোমার কাছে একটু ভাল ব্যবহার পাই না, কোনো সময় তোমার কাছে একটা জিনিস চাইলে পাই না।’- এই ভাষাগুলো ঠিক না। হাদীসে এসেছে, গড়পড়তা নারীদের অভ্যাস হল, একটুতেই তারা স্বামীদের সব অনুগ্রহ ভুলে যায় এবং বলে উঠে,

    مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَط ‘তোমার কাছে কখনও ভাল ব্যবহার দেখলাম না!’ আহারে! কিচ্ছুই দেখেননি? এটা কীভাবে হয়! কিছু না কিছু দেখেছেন, অবশ্যই দেখেছেন! তাহলে এরকম করে বলার কী দরকার। এমন কথা স্ত্রী বললে স্বামীর মনে আঘাত লাগে, তিনি বড় কষ্ট পান। স্বামী বললেও স্ত্রীর মন ভেঙ্গে যায়, তিনি ভীষণ আঘাত পান।

    উর্দুতে এজাতীয় একটি শব্দ হল হামেশা। মুফতি রফী উসমানী সাহেব হুযুরের বয়ানেও কথাটা আছে। একদিন তরকারিতে লবণ একটু কম হল, আপনি ক্ষেপে গিয়ে বলে উঠলেন, ‘সব সময় তরকারিতে লবণ কম হয়, রান্না একটা দিনও খাওয়ার মত হয় না।’ ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন… একটা দিনও কি তরকারি খাওয়ার মত হয় না? আরে ভাই আপনি বলতে পারেন, সব সময় তো স্বাদ হয়! আজ বুঝি লবণটা কম হয়ে গেছে! আর এটাই বা বলার কী দরকার। ওরা কি খাওয়ার সময় বিষয়টা বুঝবে না? হাফেজ্জী হুযুর রাহ.-এর ঘটনা শুনেছি, লবণ মোটেই দেয়া হয়নি এমন তরকারি হুযুর বিনাবাক্যে খেয়ে মাদরাসায় চলে গেলেন, কিছুই বলেননি। অন্যরা খেতে বসে তো আশ্চর্য! হুযুর তো কিছুই বললেন না। হুযুর তো কিছুই বললেন না! -আমাদেরকেও এমন হতে হবে। এ জাতীয় কথা পরিহার করতে হবে। আমরা বরং প্রশংসা করব, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব। তাহলে স্ত্রীরা আমাদের কাছে শিখবে। স্ত্রীরা করলে স্বামীরা শিখবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে শেখার তাওফীক দান করুন। আমীন।

    আরেকটি কথা আরজ করছি। আগের যামানার মহিলা আর এ যামানার মহিলাদের মাঝে বিশেষ একটি পার্থক্য আছে। ‘রিসালাতুল মুস্তারশিদীন’ কিতাবে আমি পড়েছি। ইহইয়াউ উলূমিদ্দীনসহ আরও অনেক কিতাবে কথাটা আছে। আগে যখন স্বামীরা রোজগারের জন্য ঘর থেকে বের হতেন, তখন স্ত্রীরা বলত, نَصْبِرُ عَلَى الْجُوعِ وَلَا نَصْبِرُ عَلَى النَّارِ আপনি আমাদের জন্য কামাই করতে যাচ্ছেন, সংসার চালানোর জন্য রোজগার করতে বের হচ্ছেন, আমরা আপনাকে আস্বস্ত করছি যে, আমরা দারিদ্র্যের উপর সবর করতে রাজী, ক্ষুধার কষ্ট সইতে প্রস্তুত, আজ এটা নেই কাল ওটা নেই, অভাব-অনটন চলছেই চলছে…এর উপর আমরা ধৈর্য ধরব। কিন্তু জাহান্নামের আগুন সহ্য করতে পারব না। সুতরাং হালালভাবে যা পাবেন কেবল ততটুকু আনবেন, হারাম কিছু আনার চেষ্টা করবেন না। আমরা না খেয়ে কম খেয়ে থাকতে পারব কিন্তু দোযখের আগুন সইতে পারব না। এই ছিল আগের কালের মহিলাদের ভাষা। আর এই যামানার মহিলারা স্বামীর হাতে লম্বা তালিকা ধরিয়ে দিয়ে বলে, এগুলো আমার চাই। তালিকা দেখে স্বামী বেচারা বিমর্ষ হয়ে পড়ে। স্ত্রীকে অনুনয় করে বলে, আমি এত কিছু কীভাবে আনব, আমার আয় তো তোমার সামনে? তুমি তো জান আমার কত আয়! স্ত্রীর এক কথা; তোমার কত আয় আমার তা জানার দরকার নেই। এই জিনিসগুলো আমার চাই, এগুলো ছাড়া দিন চলবে না। এই যুগে এমন মহিলা অনেক। কিন্তু আগে এমন ছিল না। কম হোক আপত্তি নেই, কিন্তু হারাম তারা সহ্য করতেন না। আল্লাহ তাআলা সকল মহিলাদেরকে এমন হওয়ার তাওফীক দান করুন। পুরুষদেরও আগের পুরুষদের মত নেককার হওয়ার তাওফীক দিন। আমীন।

    وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين.

    [মুসাজ্জিলা থেকে বয়ানটি পত্রস্থ করেছেন মাহমুদ হাসান মাসরূর। জাযাহুল্লাহু খাইরান]

    সন্তানের নাম রাখা : অবহেলা কাম্য নয়

    আবু আহমাদ

    সন্তানের সুন্দর ও অর্থপূর্ণ নাম রাখা- এটা বাবা-মা’র দায়িত্ব। সকলেই তার সন্তানের জন্য পছন্দসই নাম খোঁজেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে পসন্দসই ও ‘আনকমন’ নাম খোঁজ করতে গিয়ে।‘আনকমন’ নাম রাখতে গিয়ে অনেকেই এমন নাম নির্বাচন করেন, যা হয় অর্থহীন বা এমন শব্দ যা কোনো নাম হতে পারে না। কোনো একটি শব্দ কুরআন মাজীদে পেয়েছেন এবং পছন্দ হয়েছে তো সেটা সন্তানের নাম রেখে দিয়েছেন।

    কিছুদিন আগে এক ভাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘ফাবি’ নামের অর্থ কী? প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি যে‘ফাবি’ শব্দটা কোত্থেকে এল। পরে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, সূরা আররাহমান-এর

    فَبِأَيِّ آلاءِ رَبِّكُما تُكَذِّبانِ

    এই আয়াতের প্রথম দুই অক্ষর ‘ফাবি’ থেকে রাখা হয়েছে। এটি সূরা আররাহমানে বারবার এসেছে,তার কাছে ভালো লেগেছে, সন্তানের নাম রেখে দিয়েছেন।

    আমি তো শুনে অবাক। বলে কী! বিচ্ছিন্ন দুটি অক্ষর দিয়ে রাখা নামের এখন কী অর্থ হবে?কোনোই অর্থ নেই। সুতরাং নাম রাখার আগে কোনো আলেম থেকে জেনে নেওয়া; আমি যে নাম রাখতে চাচ্ছি সেটি কোনো নাম হতে পারে কি না এবং এটি অর্থবহ ইসলামী নাম কি না।

    সন্তানের নাম সুন্দর ও অর্থবহ হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে কোনো সাহাবীর নাম যদি অসুন্দর হত নবীজী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সুন্দর নাম রাখতেন। হাদীসে এসেছে,এক সাহাবিয়্যার নাম ছিল ‘আছিয়া’ যার অর্থ অবাধ্য-নাফরমান। তখন নবীজী তার নাম রাখলেন ‘জামীলা’ যার অর্থ ‘সুন্দর’। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২১৩৯) সুতরাং এ বিষয়ে আমরা সচেতন হব।

    আযানের সময় বক্তৃতা বন্ধ রাখলেন মোদী

    পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি- বিজেপির পক্ষে প্রচারণা করতে এসে আযানের শব্দ শুনে বক্তৃতা বন্ধ রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তৃতার সময় মোদী যখন তৃণমূল ও বামফ্রন্টের সমালোচনা করছিলেন ঠিক তখনই কিচ্ছুক্ষণের জন্য বক্তৃতা বন্ধ রাখেন তিনি।
    ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরের বিএনআর ময়দানে এ ঘটনা ঘটে। আজান চলাকালে জনসভায় উপস্থিত লোকজন তাকে বক্তৃতা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানালেও হাত উঠিয়ে তাদের শান্ত থাকতে বলেন মোদী।
    এসময় তিনি বলেন, ‘ক্ষমা করবেন। আমার কারণে কারো প্রার্থনায় কোনো সমস্যা হওয়া উচিত নয়, তাই আমি কয়েক মিনিট অপেক্ষা করছি।’
    বিজেপিবিরোধী অনেক নেতারই দাবি, রাজ্যে মুসলমান সংখ্যালঘুদের ভোটে ভাগ বসাতেই মোদীর এই নীরবতা। সাম্প্রদায়িকতার দায়ে অভিযুক্ত এই দলটিকে দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সাধারণত এড়িয়ে চলে। তবে গত জাতীয় নির্বাচনে চিরাচরিত হিন্দুত্ববাদকে বাদ দিয়ে উন্নয়নের স্লোগান তুলে ক্ষমতায় আসে বিজেপি।

    আমাজন ডটকমে বাংলাদেশের তানভীর

    ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবেন। যখন স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করেছেন, তখনো এদেশে কম্পিউটার বিরাট অরাধ্য বস্তু। প্রথম কম্পিউটারের স্পর্শ পান বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখান থেকেই তার কম্পিউটারের প্রতি ভালোবাসার সূচনা।
    সম্প্রতি, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস আমাজন ডটকমে যোগ দিয়েছেন সৈয়দ তানভীর মোনাওয়ার। সুনামগঞ্জের ছেলে তিনি। নতুন কর্মস্থলে তার পদবি সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার।
    ধাপে ধাপে যোগ্যতা ও মেধার পরীক্ষা দিয়ে আসতে হয়েছে এ পর্যন্ত। অনেকটা যেন লিটমাস পেপারে অম্ল-ক্ষারের পরীক্ষা। তানভীর পড়ালেখাতেও বরাবরই মেধাবী ছিলেন। ১৯৯৩ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে স্টার মার্কস, ১৯৯৫ সালে ইস্পাহানি ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে কুমিল্লা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন। অবশ্য শুধু ভালো পড়াশোনা ছাড়াও তিনি কবিতা লিখতেন, গান শুনতেন ও গল্পের বইয়ে ডুবে থাকতেন। উচ্চমাধ্যমিকের পরে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে। কিন্তু, কবিমন নিয়ে মানিয়ে নিতে পারেননি পদার্থবিজ্ঞানের কাটখোট্টা বইপত্রের সঙ্গে।
    শেষমেশ একবছর পর পুরোনো ইচ্ছাতেই ফিরে যান, কম্পিউটার সায়েন্সে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কম্পিউটারের জগতেই ব্যস্ত থেকেছেন। স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটা বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি হয়, পরে তাদের মাধ্যমেই চলে যান জাপানে। সেখানে থেকেই নিজের যোগ্যতাকে ঝালাই করেছেন। চাকরির পাশাপাশি সেখান থেকেই এমবিএ করেছেন যুক্তরাজ্যের লিচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। চাকরিবদল করে জাপানের শীর্ষস্থানীয় কিছু প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন। ব্যাংকিং আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবেও কাজ করেছেন।
    আমাজনে যোগ দেওয়ার আগে সর্বশেষ কাজ করেছেন জাপানের টেক জায়ান্ট রাকুটেনে, বিশ্বের বহুল ব্যবহূত ইন্সট্যান্ট ম্যাসেঞ্জার ‘ভাইবার’ এই প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন। মূলত তিনি সফটওয়্যার প্রকৌশলী হলেও বেশিরভাগ সময়ই কাজ করেছেন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল হিসেবে। এই বিষয়ে নিজে একটি বইও লিখেছেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগত ব্লগে প্রায়শই গল্প-কবিতা লিখেন।
    তানভীরের ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা হলো কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা। এছাড়া, বড় কোনো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হতে চান তিনি। দেশে ইলিমেন্টারি স্কুল খোলার স্বপ্নও দেখেন তিনি। তানভীরের ভাষায়, সব শিক্ষাকে পূর্ণতা দেয় নৈতিক শিক্ষা। সেই শিক্ষা না থাকলে সবই বৃথা।

    রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে কঠোর আন্দোলন – আল্লামা আহমদ শফী   

    রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী ও মহাসচিব হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী বলেছেন, যারা আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে চায় তারা স্বাধীনতা ও জনগণের শক্র। পৃথক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় নাস্তিক্যবাদিদের ফাঁদে পা না দিয়ে এ ধরনের কর্মকা- থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। ২৮ বছর আগের পুরনো একটি রিট মামলাকে সচল করে বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ থাকবে কী থাকবে না; এই বিষয়ে শুনানির জন্যে হাইকোর্টের গ্রহণ করা রিট মামলা বাতিলের দাবি এবং দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ নানা পর্যায়ে ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের আহ্বানে গত ২৫ মার্চ শুক্রবার বাদ জুমা দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ব্যাপকহারে শরিক হয়ে কর্মসূচিকে সফল করায় দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ ও শোকরিয়াও জ্ঞাপন করেন সংগঠনটির আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী এবং মহাসচিব আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী। গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নাস্তিক্যবাদি ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হতে দিবে না। যারাই ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, তারাই এক সময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার দেশের এমন কোনো শহর ছিল না, যেখানে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়নি। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নাস্তিক্যবাদি চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মিছিলে সেদিন রাজপথে তৌহিদী জনতার ঐক্যের ঢল নেমেছিল। সেদিন কোটি কোটি মুসলমি জনতা ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী চক্রসহ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের জন্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সকল মহলের কাছে এই কঠিন বার্তা পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে যে, দেশবাসী ইসলামের স্বার্থে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ এবং ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো চক্রান্তই তারা সফল হতে দিবে না। হেফাজত আমির বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল নিয়ে চক্রান্ত বন্ধ না হলে প্রয়োজনে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনের মাধ্যমে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বিবৃতিতে হেফাজত আমির দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রতিকূলতার মোকাবেলায় আমাদের এই ঐক্যবদ্ধ অবস্থানকে আরো দৃঢ় করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হয়ে উচ্ছেদ হয়ে যাবে। অপর এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনাইদ বাবুনগরী গত শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে সারাদেশে প্রতিবাদের গণজোয়ারে শামিল হওয়ায় দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি এবং শাসক মহলসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার পক্ষে দেশবাসীর ঐকবদ্ধ দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান দিতে সক্ষম হয়েছি। জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয় এবং যারা চায় না এদেশের সকল ধর্মমতের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে সুখে-শান্তিতে সুন্দরভাবে বসবাস করুন, তারাই আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করে দেশে গোলযোগ তৈরি করতে চায়। এই ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের শক্র, দেশের গণমানুষেরও শক্র এবং এরা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশে ৯২ ভাগ মুসলমান যেমন স্বাধীন ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার নিয়ে বসবাস করবে, তেমনি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকল অমুসলিমও তাদের পূর্ণ ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার নিয়ে বসবাস করবেন। আমরা চাই মুসলমানদের পাশাপাশি অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীও যেন এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করে। যারা সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম মুছে দিতে চায়, তারা মূলত এদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধাতে চায়।

    মন্ত্রী হচ্ছে সু চি!

    মিয়ানমারের ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়লাভের পর পার্টি প্রধান অং সান সু চিকে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। দুই সন্তান বিদেশি নাগরিক হওয়ায় মিয়ানমারের সংবিধানের ধারা অনুযায়ী দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি সু চি। তিনি মন্ত্রিসভার পদ গ্রহণ করবেন না এমন ধারণাই ব্যাপকভাবে করা হচ্ছিল।
    কিন্তু মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট এনএলডি দলীয় থিন কিয়াও পার্লামেন্টে মন্ত্রী হিসেবে যে ১৮ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন, তার মধ্যে সু চি-র নামও আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
    বিবিসির ইয়াঙ্গুন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সু চির অধীনে পররাষ্ট্র, জ্বালানি, শিক্ষা এবং প্রেসিডেন্ট দফতরের মন্ত্রণালয় থাকবে। প্রস্তাবিত নতুন মন্ত্রিসভায় আর কোনো নারী সদস্য নেই বলে জানিয়েছে তিনি।
    নতুন প্রেসিডেন্ট কিয়াও সু চি-র ঘনিষ্ঠ মিত্র। কিয়াও প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে সু চি বেশ কয়েকবার বলেছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট ‘তার অধীনে’ থাকবে এবং সরকারি কোনো পদে না থেকেও তিনিই সরকার পরিচালনা করবেন।

    প্রস্তাবিত মন্ত্রিসভার ঘোষণা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। কারণ সরকারের বাইরে থেকেই সু চি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

    তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখলো আইসিসি

    রিভিউয়ের পরেও তাসকিন আহমেদের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে আইসিসি। নিজের অ্যাকশনের পুনঃপরীক্ষার পরে অ্যাকশন ‘সংশোধন’ এর পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন এই ফাস্ট বোলার।
    এর আগে  জানা গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আপিলের সুবাদে আইসিসি তার সিদ্ধান্ত আজ সকাল বেলায় প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত কিছু সূত্র জানিয়ে ছিল ইত্তেফাককে। গতকালই আইসিসির টেকনিক্যাল কমিটি, জুডিশিয়াল কমিশন এবং বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে শুনানিতে অংশ নিতে ব্যাঙ্গালুরুতে যান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানে অনুষ্ঠিত শুনানি শেষে পাপনকে আইসিসি তার মনোভাব জানালেও সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেনি। বুধবার সকালে আইসিসি জানিয়েছে আইসিসির জুডিশিয়াল কমিশনার রিভিউয়ের পরে পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে।
    গত ৯ মার্চ ধর্মশালায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের দুই বোলার আরফাত সানি ও তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক বলে রায় দেন ম্যাচের কর্মকর্তারা। তাদের রিপোর্টের পর আরাফাত সানি ১২ মার্চ ও তাসকিন ১৫ মার্চ নিকটস্থ চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরিতে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। ১৯ মার্চ আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে বাংলাদেশের দুই বোলার আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদকে সব ধরনের বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করেছে তারা। আইসিসি বলেছে, চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় আরাফাত সানির প্রায় সব ডেলিভারি বৈধ সীমার ওপরে বলে দেখা গেছে। তাসকিনের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ডেলিভারি অবৈধ বলে জানিয়েছে আইসিসি।

    স্কুলে হাজির দশ ফুটি কুমির!

    শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ঢোকার আগ মুহূর্তে দেখল স্কুলের সামনে বসে আছে বিশাল এক কুমির। এই দৃশ্য দেখে যে যেদিকে পারল দৌড়াতে শুরু করল।
    খবর পেয়ে স্কুলের বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকরাও সন্তানদের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটে এল। এত লোক দেখে কুমিরটিও এদিক সেদিক দৌঁড়াতে শুরু করল। স্কুল কর্তৃপক্ষ উপায় না দেখে চিড়িয়াখানায় ফোন করে। সেখান থেকে লোক এসে কুমির ধরে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি শুক্রবার ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার লেকল্যান্ডের একটি স্কুলে। কুমিরটি ধরার পর দেখা গেছে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট। অভিভাবকরা ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কুমিরটির ছবি প্রকাশ করেছে।