• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপানে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রায় ৫শ কোম্পানি দেউলিয়া

    জাপানি বাণিজ্য নিয়ে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম একটি কোম্পানির দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর থেকে এই সংখ্যা প্রায় ৫০০’তে গিয়ে পৌঁছেছে।

    এ সংক্রান্ত গবেষণা নিয়ে কাজ করা কোম্পানি তেইকোকু ডাটাব্যাংক জানায়, গত শুক্রবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ৪৮৯-এ গিয়ে পৌঁছায়। এই সংখ্যার মধ্যে সেইসব কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যেগুলো দেউলিয়া সুরক্ষার জন্য আবেদন করেছে বা পরিচালনা বন্ধ হয়ে পড়ার পর বৈধ তরলীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

    এর মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে রেস্তোরাঁ খাতের। এর পরে রয়েছে আবাসিক স্থাপনাগুলো এবং পোষাকের খুচরা বিক্রেতারা।

    পৃথকভাবে টোকিও শোকো রিসার্চ ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আকারের ব্যবসা নিয়ে জুলাই থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এক সমীক্ষা চালায়।

    ৮.৫% উত্তরদাতা জানায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের দ্রুত অবসান না হলে, তারা হয়তো বাণিজ্য বন্ধ করে দেবে।

    সারা দেশ জুড়ে প্রায় ৩৬ লক্ষ ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আকারের কোম্পানি রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। এর অর্থ হচ্ছে, এগুলোর মধ্যে ৩ লক্ষেরও বেশি কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

    তাইফুন হাইশেনের প্রভাবে তীব্র বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিতে জাপানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    তাইফুন হাইশেন জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের দ্বীপ কিউশু অতিক্রম করে গেলেও দেশটির কর্তৃপক্ষসমূহ লোকজনকে সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছে।

    ঝড়টি জাপানের কিউশু এবং চুগোকু অঞ্চলে জোরালো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টি বয়ে আনে। এটির কারণে দেশের অন্যান্য বেশকিছু অঞ্চলেও ভারী বৃষ্টিপাত ঘটে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ ভূমিধ্বস, নদীর পানি ফুলে ওঠা এবং নিম্নাঞ্চলে প্লাবনের ব্যাপারে সতর্ক করে দিচ্ছে।

    কিউশু’তে অন্ততপক্ষে ৪৬ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মিয়াযাকি জেলার কর্তৃপক্ষসমূহ বলছে, একটি ভূমিধ্বসের কারণে কয়েকটি দালান অদূরের নদীগর্ভে ভেসে যাওয়ার কারণে চার ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন।

    কিছু খামারও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। নাগাসাকি জেলায় দমকা হাওয়ার কারণে অনেক গ্রীনহাউস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, তাদের ফসলগুলো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

    তাইফুনের কারণে প্রধানত কিউশু’তে ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়িঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরিষেবা কোম্পানিগুলো বলছে, যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালুর কাজ শুরু করা হবে।

    সোমবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ ছয়টি জেলার প্রায় ৮ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আদেশের অধীনে ছিলেন।

    ঘুর্ণিঝড়টি যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সোমবার প্রায় ৫শ ৮০টি অভ্যন্তরীণ বিমান যাত্রা বাতিল করা হয়। এগুলোর মধ্যে শিকোকু ও চুগোকুর পাশাপাশি কিউশু অঞ্চলের মধ্যে আসা-যাওয়া করা বিমান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    কিউশুর সকল শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের পাশাপাশি হাকাতা ও হিরোশিমার মধ্যে চলাচল করা সানিয়ো শিনকানসেন বুলেট ট্রেনগুলোর যাত্রাও বাতিল করা হয়েছে।