• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • তারেকের নাগরিকত্ব বাতিলের সুযোগ রয়েছে

    প্রচলিত আইন অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে সরকার। কিন্তু নাগরিকত্ব বাতিল করার আগে তারেক রহমানকে কারণ দর্শানো নোটিস দিতে হবে। নাগরিকত্ব বাতিল করা হলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হবে না বলে আইনমন্ত্রী বলেছেন।
    আইন অনুযায়ী অবশ্য তারেক রহমান নিজেও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাকে সরকারের নিকট লিখিত আবেদন করতে হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব বাতিল বা বর্জনের সুযোগ নেই।
    ১৯৫১ সালের দ্য সিটিজেনসিপ অ্যাক্ট-এর ১৬ (৬) ধারা অনুযায়ী উভয়পক্ষের এ সুযোগ রয়েছে। আইনের ১৬ (৪) উপ-ধারায় বলা আছে কেউ যদি একটানা দেশের বাইরে অন্য কোনো দেশে বসবাস করে তা যদি সরকারি কোনো কাজ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাজ না হয় তবে সরকার সেই ব্যক্তির নাগরিকত্ব রহিত বা বাতিল করতে পারে। আবার ওই ব্যক্তি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব বর্জন করতে পারেন। তবে সরকার যদি নাগরিকত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে চান সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারণ দর্শানো নোটিস দিতে হবে তথা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।
    যদি কেউ প্রতারণামূলকভাবে নাগরিকত্ব লাভ করে সে ক্ষেত্রে বিচারিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি কমিটির তত্ত্বাবধানে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উল্লেখ আছে আইনে।
    প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১৩টি দুর্নীতি মামলার অভিযোগে ওই বছরের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি সবকটি মামলা থেকে জামিন পান এবং অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান লন্ডনে চলে যান। অর্থাৎ তারেক রহমান টানা প্রায় ১০ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় সরকার এখন তার নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে।

    ইতিহাস সৃষ্টি করলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন

    উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। সামরিক সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন তিনি। কোরীয় যুদ্ধ-পরবর্তী ৬৫ বছরে এই প্রথম উত্তরের কোনো নেতার পা পড়ল দক্ষিণে।

    শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় (বাংলাদেশ সময় ৬.৩০) বিরল সফরে নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম। এরইমধ্যে দক্ষিণ কোরীয় নেতা মুন জায়ে ইন-এর সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছেন তিনি। স্থানীয় সময় তিনি দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল পানমুনজামে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। পরে দুই নেতা পানমুনজামের নিরপেক্ষ এলাকায় স্থাপিত বিশেষ মঞ্চে যান। সেখানে তাদের গার্ড অব অনার জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল। আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল সাড়ে দশটায় দক্ষিণ কোরিয়ার পিস হাউসে আলোচনায় বসেছেন তারা।

    ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ অবসানের ৬৫ বছর পর এবারই প্রথম কোনও উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রনায়ক আলোচনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছালেন। এর আগে দুই কোরিয়ার নেতারা দুইবার আলোচনায় বসলেও দুইবারই সেই আয়োজন হয়েছিল পিয়ংইয়ং এ। এবারের বৈঠকের পুরো পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছে।

    স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায় দুই কোরিয়ার নেতা সীমান্তে উপস্থিত হয়ে হাত মেলান। দক্ষিণ কোরিয়ায় কিম জং উন পা রাখার পর দুই নেতা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। এরপরই কিমের অনুরোধে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। পরে তারা অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হন।

    আনুষ্ঠানিতকা শেষে সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হওয়া আলোচনা চলবে মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির আগ পর্যন্ত। বিরতিতে দুই নেতা নিজেদের দেশে ফিরে যাবেন। নিজ দেশে মধ্যাহ্নবোজনের পর বিকেলের দুই নেতা দুই কোরিয়ার মাটি ও পানি ব্যবহার করে একটি পাইন গাছের চারা রোপণ করবেন। শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে এই চারা লাগানোর পর দ্বিতীয় দফা আলোচনায় বসবেন দুই নেতা। সম্ভাব্য চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আলোচনা। এরপর দুই নেতা দক্ষিণ কোরিয়ায় রাতের খাবারে অংশ নেওয়ার আগে একটি যৌথ বিবৃতি দেবেন।

    দক্ষিণ কোরিয়ার আয়োজিত এই রাতের খাবারের মেন্যু আগেই জানানো হয়েছে। খাবারে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পছন্দের খাবার সুইস পটেটো ডিশ রোসটো থাকবে। পড়াশোনার জন্য সুইজারল্যান্ডে থাকার সময়ে এই খাবার পছন্দ করতেন তিনি। এছাড়াও আয়োজনে থাকবে উত্তর কোরিয়ার বিখ্যাত ঠাণ্ডা নুডলস ও পানীয়।

    রাতের খাবারের পর নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আগে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এক সাথে বসে ‘স্প্রিং অব ওয়ান’ নামে একটি ভিডিওচিত্র দেখবেন।