• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • খালেদা জিয়ার কিছু হলে সমস্ত দায় সরকারের : মির্জা ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তার সঙ্গে দলটির সিনিয়র নেতারা ও আত্মীয় স্বজনকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর পেছনে সরকারের ভয়ঙ্কর কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে। আমরা তার বিনা সুচিকিৎসার কারণে অবনতিশীল শারীরিক অসুস্থতায় উদ্বিগ্ন। মিথ্যা মামলায় প্রতিহিংসার বিচারে বর্ষিয়ান একজন নেত্রীকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
    ফখরুল সরকারকে সাবধান করে দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে বা কোনো কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব শেখ হাসিনা সরকারের। বয়স্ক অসুস্থ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আর জেলে রাখবেন না।তাকে জামিন দিন।
    আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
    মির্জা ফখরুল বলেন, কারাগারে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা দিচ্ছে না সরকার। তার চিকিৎসা নিয়ে সরকার কূট-কৌশল করছে। তাকে নিয়মিত থেরাপি দেয়া দরকার। কিন্তু কারাগারে সেটা সম্ভব নয়। কারাগারে তাকে কোনো সুবিধাও দিচ্ছে না সরকার।
    তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকার কাউকে দেখা করতে দিচ্ছে না। দলের নেতারা ও আত্মীয় স্বজন কেউ দেখা করতে পারছে না। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সরকার কাউকে তার জন্য দেখা করতে দিচ্ছে না।
    তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য কারাগারে ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আমরা যে খবর পাচ্ছি, তাতে সারাদেশ জাতি উৎকন্ঠিত। গতকাল শুক্রবার তার পরিবারের সদস্যরা পূর্ব সিদ্ধান্তে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। তার আগের তারিখে বৃহস্পতিবার আমিসহ আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খানকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, অথচ সুস্পষ্টভাবে কোনো কারণ দেখানো হয়নি।
    জেলের ভেতর থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে মির্জা আব্বাসকে জানান যে, আজ সম্ভব হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রায় ১০ দিন যাবৎ পরিবারের সদস্যরা এবং দল দেশনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পায়নি। এতে করে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
    বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সংবাদপত্র সূত্রে জানতে পেরেছি যে, সরকার কর্তৃক গঠনকৃত একটি মেডিকেল টিম তাকে পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্রফেসর মালিহার রশীদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি মেডিকেল টিম তাকে দেখতে যান। আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে আরও জানতে পেরেছি যে, তিনি বেশ কিছু ব্যাধিতে আক্রান্ত, এর মধ্যে এক্যুইট রিউমেটিক আর্থারাইটিস তাকে বেশ কষ্ট দিচ্ছে। তারা অবিলম্বে তার পছন্দনীয় হাসপাতাল ইউনাইটেড হাসপাতালে তার চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করেছেন। বিশেষ করে কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা এবং এম আর আই পরীক্ষা তার জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। অথচ এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কোনো বক্তব্য আমাদের দেননি বা জাতির সামনে তুলে ধরেননি।
    তিনি বলেন, সরকারি ডাক্তারদের সুপারিশকৃত অর্থপেডিক বেডরুম তাকে সরবরাহ না করা, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে তার চিকিৎসা না করানো, দলের নেতারা ও পরিবারের সদস্যদের তার সঙ্গে দেখা না করতে দেয়া অত্যন্ত হীনউদ্দেশ্যমূলক। সরকারের মন্ত্রীদের এ বিষয়ে মন্তব্য এবং কটুক্তি সব শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

    উ. কোরিয়ার প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট নয় জাপান

    উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বন্ধের প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট হতে পারছে না জাপান। শনিবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইৎসুনোরি ওনোদেরা একথা জানিয়ে বলেছেন, টোকিও পিয়ংইয়ংয়ের ওপর সর্বোচ্চ চাপ অব্যাহত রাখবে। খবর এএফপি’র।
    ওয়াশিংটনে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হয়ে বসে থাকতে পারি না।’ ইৎসুনোরি বলেন, পিয়ংইয়ং পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো গণবিধ্বংসী মরণাস্ত্র চূড়ান্তভাবে পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত জাপান তাদের ওপর চাপ প্রয়োগের নীতি থেকে সরে আসবে না।
    উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন শনিবার এক ঘোষণায় বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়াকে স্বাগত জানানোর অংশ হিসেবে তার দেশ পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বন্ধ রাখবে। এএফপি।