• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বিরল রোগে ‘নেকড়ে মানব’

    ভারতের কিশোর ললিত পটিদরের কোনো শারীরিক প্রতিবন্ধকতা না থাকলেও তার মুখ ও শরীর জুড়ে রয়েছে অজস্র পশম। ১৩ বছর বয়সের এই কিশোরের জন্য এটি একটি কঠিন অভিজ্ঞতা। সমবয়সীদের অনেকেই তাকে ‘বানর’ বলে। তবে, বন্ধুরা তাকে সবসময় দেখে রাখে বলেই সে বাসার বাইরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
    গত ৮ ফেব্রুয়ারি, ডেইলি মিররের এক বিশেষ প্রতিবেদনে ললিতের বিষয়টি উঠে আসলে তাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় ভারতজুড়ে। তার এ ভিন্নতার পেছনে রয়েছে হাইপারট্রাইকোসিস নামক এক রোগের ভূমিকা। এই ধরনের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অনেকটাই নেকড়ের মত লাগে।
    ললিতের মা পার্বতী বাই বলেন, ‘ললিত যখন জন্ম নেয়, সেসময় খুব অবাক হয়েছিলাম। এরপরই হাসপাতালের স্থানীয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের দেখাই, তখন জানতে পারি এই রোগের কোনো সমাধান নাই।’
    ললিতের স্কুলে প্রধান শিক্ষক বাবুলাল মাকোয়ানা বলেন, ‘অন্য কোনো ছাত্রের তুলনায় পড়াশোনা ও খেলাধুলায় মোটেও পিছিয়ে নেই ললিত। দুইবছর আগে যখন ললিত স্কুলে ভর্তি হয়, তখন অনেকেই তাকে দেখে অস্বাভাবিক আচরণ করলেও ক্রমেই সবাই তাকে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে। এমন, পুরো স্কুল ও বন্ধুদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় ললিত।’
    তবে শরীরে পশমের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া বাদে আর তেমন কোনো সমস্যা নেই ললিতের। দিব্যি খেলছে, স্কুলে যাচ্ছে, সবই করছে। ললিত নিজেই বলে, ‘মাঝে মাঝে মনে হয়, কেনো আমি সবার চেয়ে আলাদা, এমন না হলে কেউ আমাকে বিরক্ত করতো না।’
    তবে, এখন বিষয়টায় অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্য বলেও জানায় ললিত। ললিত তার নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে বলে, ‘আমি চাই, খুব বড় পুলিশ অফিসার হতে। তাহলে মা-বাবা, দাদিকে দেখাশোনা করতে পারবো।’ সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

    জাপানের শিযুওকায় চেরি উৎসব শুরু

    মধ্য জাপানের শিযুওকা জেলায় বার্ষিক একটি চেরি প্রস্ফুটন উৎসব শুরু হয়েছে।

    আজ কাওয়াযু শহরে এই আয়োজন শুরু হয়।

    শহরটিতে প্রায় ৮ হাজারের মত নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে আগে ফোটা চেরি ফুলের গাছ রয়েছে।
    এক্ষেত্রে, সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানটি হচ্ছে কাওয়াযু নদীর তীর ঘেঁষে লাগানো সারি সারি চেরি গাছ সমৃদ্ধ একটি পথ।

    নাগানো থেকে বেড়াতে আসা এক পরিবার গোলাপী রঙের ফুলের প্রশংসা করে জানায়, এত আগে চেরি ফোটা অবলোকনে তারা বিস্মিত।

    আয়োজকরা বলছেন, আগামী প্রায় দশদিনের মধ্যেই চেরি গাছগুলোতে ফুলের পূর্ণ প্রস্ফুটন ঘটবে। আগামী মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকা এই আয়োজনে ১০ লক্ষের মত দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন।

    গীবত : ভাইয়ের গোশত খাওয়া

    কোরআন ও হাদিসে ‘গীবত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ কোনো লোকের অনুপস্থিতিতে তার দোষের কথা প্রকাশ করা, তার বদনাম ও তার নিন্দা, সমালোচনার মাধ্যমে তার সুনাম খর্ব করা, লোকসমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা ইত্যাদি।
    তবে মহানবী (সা.) গীবতের যে অর্থ করেছেন তা জানা থাকা উচিত। তিনি এক হাদিসে (গীবত/পরনিন্দা) ও ‘বোহতান’ (অপবাদ) এর মধ্যে পার্থক্য প্রসঙ্গে বলেছেন, হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কি জান, গীবত কি? সাহাবাগণ বললেন, ‘আল্লাহ ও তার রাসূল ভালো জানেন।’
    তিনি বললেন, ‘গীবত হচ্ছে এই যে, তুমি নিজের ভ্রাতার কথা এমনভাবে উল্লেখ করো যে, যা সে পছন্দ করে না।’ অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘বলুন, আমি যে কথাটি বলছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থেকে থাকে?’ তিনি বললেন, ‘এটাই তো গীবত, যা তুমি বলছো। তার মধ্যে তা থাকলেই গীবত। আর যদি যে কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে তা না থাকে তা হলে তুমি তার ওপর অপবাদ (বোহতান) আরোপ করেছ।’ (মেশকাত)।
    গীবত ও বোহতান সম্পর্কে হুজুর (সা.)-এর এ অর্থের পর আর কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। কোরআনের সূরা ‘হুমাযাহ’ এর প্রথম আয়াতেই গীবতকারীর কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে পশ্চাতে ও সম্মুখে লোকের নিন্দা করে।’
    গীবত বা পরনিন্দাকে সূরা ‘হুজুরাত’ এ অতি ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘হে মোমেনগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হতে দূরে থাকো, কারণ অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভ্রাতার গোশত খেতে চাইবে। বস্তুত: তোমরা তো এটাকে ঘৃণ্যই মনে করো। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ তাওবা গ্রহণকারী পরম দয়ালু।’ (আয়াত-১২)
    এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হুজুর (সা.) বলেছেন; ‘শবে মেরাজে এমন এক জাতির কাছে আমি গমন করি যাদের নখ ছিল তামার এবং তারা তা দ্বারা নিজেদের চেহারা ও বুক খামচাচ্ছিল। আমি জিবরাইলকে (আ.) জিজ্ঞাসা করি, এরা কারা? তিনি বললেন, ‘এরা সে সব লোক যারা লোকেদের গোশত খেত এবং তাদের ইজ্জত আব্রæ হরণ করত।’ (আবু দাউদ) এরা লোকদের গীবত করত বলে এ শাস্তি।’
    একবার ভীষণ দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবাদেরকে বললেন, ‘তোমরা জানো এটা কি?’ তিনি নিজেই বললেন, ‘এটি ওইসব লোকের দুর্গন্ধ যারা মুসলমানদের গীবত করত।’ (আদাবুল মোফরাদ)
    হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘দুই ব্যক্তি জোহর অথবা আছরের নামাজ আদায় করে এবং তারা দুই জনই রোজা রেখেছিল। রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাজ শেষ করার পর তাদেরকে বললেন, ‘তোমরা পুনরায় অজু করো এবং আবার নামাজ পড়ো এবং রোজা পূরণ করো। তবে তা অপর কোনো সময় কাজা হিসেবে আদায় করবে।’ তারা উভয়ই বলল, ‘হুজুর! এর কারণ কি?’ তিনি বললেন, ‘তোমরা অমুক ব্যক্তির গীবত করেছিলে।’ (মেশকাত)
    রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘গীবত, জেনা (ব্যভিচার) অপেক্ষা গুরুতর পাপ।’ সাহাবাগণ আরজ করলেন, ‘হুজুর! গীবত জেনা অপেক্ষা গুরুতর কিভাবে’ হুজুর বললেন, ‘মানুষ জেনা করার পর তওবা করলে আল্লাহ তা কবুল করেন।’
    অপর এক বর্ণনায় আছে, মানুষ তওবা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করেন না, যতক্ষণ না যার গীবত করা হয়েছে সে ক্ষমা করে দেবে। হজরত আনাস (রা.) এর বর্ণনায় আছে, হুজুর (সা.) বলেছেন, ‘জেনাকারীর জন্য তওবার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু গীবতকারীর জন্য তওবার সুযোগও নেই।’ (মেশকাত)
    রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘গীবতের একটি কাফ্ফারা এই যে, তুমি যার গীবত করেছ তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! তুমি আমার ও তার মাগফিরাত করো।’ (মেশকাত)
    হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মৃত ব্যক্তিদেরকে মন্দ বলো না, কেননা তারা নিজেদের আমলগুলো পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।’(বোখারি)
    অনেক মুসলমান মুসলমানের গীবতচর্চায় লিপ্ত থাকে। কোরআন ও হাদিসের শিক্ষার কথা স্মরণে রাখলে এবং সেই মোতাবেক আমল করলে গীবতচর্চা হতে আত্মরক্ষা করা যেতে পারে।

    জাপানের জাতীয় ঋণের পরিমান রেকর্ড পর্যায়ে উন্নীত

    জাপানের জাতীয় ঋণের পরিমাণ, আর্থিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সরকারের চেষ্টা চালানো সত্ত্বেও এক নতুন উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

    অর্থমন্ত্রনালয়, গতবছর শেষ নাগাদ সরকারের ঋণের পরিমাণ এই প্রথমবারের মত ১ হাজার ১ লাখ কোটি ইয়েন বা প্রায় ১০ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানায়।

    এ সংখ্যার অর্থ হচ্ছে, জাপানের প্রত্যেক বাসিন্দার মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৭৯ হাজার মার্কিন ডলার।

    ক্রমবর্ধমান বয়োবৃদ্ধ জনসংখ্যার জন্য সামাজিক বীমা ব্যয় নির্বাহ করতে সরকারের বন্ড ছাড়ার ফলস্বরূপ এই বিশাল পরিমাণ ঋণের সৃষ্টি হয়। অন্যান্য ঋণ এবং স্বল্পমেয়াদী বন্ডও এই ঋণের একাংশ।

    এপ্রিল মাসে আরম্ভ হতে যাওয়া আগামী অর্থবছরে আরও বন্ড ছাড়ার বিষয় নির্ধারিত রয়েছে। সরকারের প্রণীত বাজেট বিলে, রাজস্ব আয়ের ঘাটতি মেটাতে প্রায় ২৯ হাজার ৬শ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বন্ড ছাড়ার বিষয় উল্লেখিত রয়েছে।

    সাপ্পোরো’তে স্নো ফেস্টিভাল আরম্ভ

    জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইদোর সাপ্পোরো শহরে বার্ষিক স্নো ফেস্টিভাল আরম্ভ হয়েছে। তুষার ও বরফের স্থাপত্যকর্ম দেখতে দর্শনার্থীরা সেখানে ভিড় করছেন।

    এ বছর উৎসবের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। শহরের তিনটি স্থানজুড়ে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওদোরি পার্কের মূল উৎসবস্থলে ট্রাম্পেট বাজিয়ে তুষার উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।

    পার্কে বরফের স্থাপত্যের মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে ঐতিহাসিক ঘড়ি দালান এবং লাল ইটের স্থানীয় সরকার ভবনের মত শহরের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ চিহ্নগুলোকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছে বৃহদাকারের কয়েকটি ঘোড়া। গত সেপ্টেম্বরে হোক্কাইদোতে আঘাত হানা বড় ধরনের একটি ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের আশার ব্যক্ত করতে এই স্থাপত্য তৈরি করা হয়েছে।

    দর্শনার্থীরা এরকম পাঁচটি বৃহদাকারের স্থাপত্যকর্ম উপভোগ করতে পারেন যেগুলোর উচ্চতা ১০ মিটারেরও বেশি। উৎসবস্থলগুলোতে দু’শোর মত তুষার ও বরফের স্থাপত্যকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।

    ব্যবসায়ীক কাজে শহরটিতে ভ্রমণ করা ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জানান, স্থাপত্যকর্মগুলো তার মনে দাগ কেটেছে এবং তিনি প্রত্যাশা করছেন যে ভূমিকম্প উপদ্রুত এলাকার দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে।

    তুষার উৎসব ১১ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আয়োজকরা বলছেন এই উৎসবে তারা পঁচিশ লক্ষ দর্শনার্থীর প্রত্যাশা করছেন।

    জাপানের উত্তরাঞ্চলে ভারী তুষারপাতের পূর্বাভাষ

    জাপানের আবহাওয়া কর্মকর্তারা দেশের উত্তরাঞ্চলে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত প্রবল বাতাস ও ভারী তুষারপাত অব্যাহত থাকবে ব’লে পূর্বাভাষ করেছেন।

    আবহাওয়া এজেন্সি জানায়, উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি শৈত্যপ্রবাহ শক্তি আহরণ করার মধ্যে জাপান সাগরের ওপরে দ্রুত গড়ে উঠছে দুটি নিম্নচাপ।

    তোহোকু অঞ্চলে সোমবার গভীর রাত এবং হোক্কাইদো জেলায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তুষারঝঞ্ঝা অব্যাহত থাকার পূর্বাভাষ রয়েছে।

    হোক্কাইদোতে ঘন্টাপ্রতি ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত এবং তোহোকু অঞ্চলে ঘন্টাপ্রতি ৭২ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে দমকা ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাবে, যার গতি মাঝে মাঝে বৃদ্ধি পেয়ে ঘন্টাপ্রতি ১শো ২৬ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

    হোক্কাইদো এবং তোহোকু অঞ্চলে ঢেউয়ের উচ্চতা ৫ মিটার পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে ব’লে কর্মকর্তারা হুঁশিয়ার ক’রে দিয়েছেন।

    প্রবল বাতাস, উত্তাল সমুদ্র এবং উঁচু ঢেউয়ের ফলে পরিবহণে কিছু কিছু বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক ক’রে দিয়েছেন তারা। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত যা খবর, প্রধানত হোক্কাইদো’র উত্তরাঞ্চলে চারটি এক্সপ্রেস সহ প্রায় ৬০টি ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

    জাপানি চলচ্চিত্র “মিরাই”র এন্নি পুরষ্কার লাভ

    শনিবার লস এঞ্জেলসে জাপানি পরিচালক মামোরু হোসোদার চলচ্চিত্র “মিরাই” স্বতন্ত্র নির্মাতাদের তৈরি সেরা এনিমেশন চলচ্চিত্রের জন্য “এন্নি” পুরষ্কার লাভ করেছে।

    এই পুরষ্কারকে এনিমেশন চলচ্চিত্রের অস্কার বলে গণ্য করা হয়।

    “মিরাই” চলচ্চিত্রে নিজের ছোট বোনকে নিয়ে ভবিষ্যৎ কাল থেকে যাত্রা শুরু করা ৪ বছরের একটি ছেলে শিশুর সময় পরিভ্রমণের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা তাকে পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্বের বিষয়ে শিক্ষা দেয়।

    ২০১৭ সালে স্টুডিও জিবলি’র “দি রেড টার্টল” চলচ্চিত্রের পর “মিরাই”ই হল এই পুরষ্কারে ভূষিত হওয়া প্রথম জাপানি চলচ্চিত্র।

    এছাড়া, সেরা এনিমেশন চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমী পুরষ্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছে “মিরাই”। এ মাসের ২৪ তারিখ অস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

    রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা

    বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির প্রায় তিন বছর পর ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

    এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মামলার করার জন্য নিউইয়র্ক যান। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ, একই ইউনিটের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রব এবং একাউন্ট এন্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।

    ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়া পেমেন্ট অর্ডারের বিপরীতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়।

    ২০১৬ সালে ওই ঘটনায় সুইফটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হ্যাকড করে পাঁচটি বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলংকায় যাওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এখনও ফেরত আসেনি ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডলার। ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ হ্যাকাররা তুলে নেয়। রিজার্ভ চুরির আলোচিত এই ঘটনা তদন্তে সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির প্রতিবেদন পরবর্তীতে আর প্রকাশ করা হয়নি।

    এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আরসিবিসির সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোকে সম্প্রতি সর্বোচ্চ ৫৬ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানার আদেশ দিয়েছে ফিলিপাইনের আদালত।

    টোকিও এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ

    টোকিওর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নতুন এক রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।

    কর্মকর্তারা বলছেন, রবিবার থেকে এই সপ্তাহে জাপানি রাজধানীর ৪১৫টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে গড়ে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৪.১৮-এ যা এর এক সপ্তাহ আগের থেকে ১০ এরও বেশি বেশি।

    ১৯৯৯ সালে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে এই গড় সংখ্যা হচ্ছে সর্বোচ্চ এবং গত বছরের জানুয়ারি মাসে করা এর আগের রেকর্ড ৫৪.১ থেকে উপরে।

    কর্মকর্তারা এও বলেন, এর মধ্যে ৭০% H1N1 স্ট্রেইনের যা এক দশক আগে নতুন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণ হিসেবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

    টোকিওর আশপাশের জেলাগুলোতেও রেকর্ড সংখ্যক রোগীর খবর পাওয়া যায়।

    টোকিওর উত্তরের সাইতামা জেলায় প্রতি হাসপাতালে গড় রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৪.০৯-এ এবং টোকিওর পূর্বের চিবা জেলায় দাঁড়ায় ৭৩-এ।
    তোচিগি জেলার একটি হাসপাতালে গড় রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৭ এবং কানাগাওয়া জেলার অন্য এক হাসপাতালে এই সংখ্যা ছিল ৬৭.৯৪। এইসব সংখ্যা ২০ বছরের মধ্যে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি করেছে ফেসবুক!

    ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ফেসবুকে ১০০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যা ফেসবুকের মোট গ্রাহকের ৫০শতাংশ। এমন দাবি করেছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের সহপাঠী অ্যারন গ্রিনস্প্যান।

    সম্প্রতি অ্যারন গ্রিনস্প্যান ‘রিয়েলিটি চেক’ নামে ৭০ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। ওই রিপোর্টে তিনি বলেছেন, ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে যে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় গ্রাহকদের, তা এতদিন পরিষ্কার করে জানায়নি ফেসবুক।

    তিনি ওই রিপোর্টে আরো জানান, ‘ফেসবুকের যত প্রোফাইল রয়েছে তার ৫০ শতাংশই ভুয়া। ওইসব নকল প্রোফাইলের মাধ্যমে ফেসবুকের অনেক গ্রাহকই প্রতারিত হয়েছে, নকল খবর ছড়িয়েছে, বিভিন্ন দেশের প্রশাসনও এর ফাঁদে পড়েছে।’

    তবে গ্রিনস্প্যানের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ফেসবুক জানায়, অ্যারন গ্রিনস্প্যান দাবি মিথ্যা।

    ফেসবুক আরো জানায়, মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যা গ্রিনস্প্যানের হিসাবের অনেক কম। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ একটি প্রতিবেদনও লেখেন।

    সেখানে মার্ক জানান, ‘ফেসবুকে এখনও কিছু খারাপ কনটেন্ট রয়েছে। তবে এর জন্য দায়ী কিছু মানুষ এবং ফেসবুকের আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স সিস্টেমের গোলযোগ। আমাদের সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।’

    গ্রিনস্প্যান একজন ফেসবুক সমালোচক বলেই পরিচিত। এর আগে তিনি নিজেকে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা বলে দাবি করেছিলেন। মার্ক জাকারবার্গের বন্ধু গ্রিনস্প্যান ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একই স্কুলে একসঙ্গে পড়তেন।

    গ্রিনস্প্যানের দাবি, ২০০৪ সালে হার্ভার্ডে থাকাকালীন তিনি প্রথম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট চালু করেন। পরে সেটারই নকল করে মার্ক ফেসবুক নিয়ে আসেন।

    জাপানের কাছে এইজিস ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেছে মার্কিন প্রশাসন

    প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রশাসন জাপানের কাছে প্রায় ২১৫ কোটি ডলার মূল্যে নতুন ভূমি ভিত্তিক এইজিস ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন করেছে।

    প্রশাসন মঙ্গলবার জানায়, তারা জাপানের কাছে দু’টি এইজিস অ্যাশর ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রি অনুমোদনের বিষয়টি কংগ্রেসকে অবহিত করেছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানকে শক্তিশালী ও কার্যকর আত্মরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করাটা মির্কিন জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    এতে বলা হয়, উল্লেখিত ব্যবস্থার প্রস্তাবিত বিক্রয়ের ফলে অঞ্চলটিতে মৌলিক সামরিক ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন হবে না।

    জাপান উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আকিতা’র শহরগুলোতে অবস্থিত আত্মরক্ষা বাহিনী’র প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোতে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ামাগুচি জেলার হাগিতে এই ব্যবস্থা স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

    এই বিক্রির জন্য চূড়ান্তভাবে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।

    গত নভেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন জাপানের কাছে ৫৬ কোটি ১০ লাখ ডলারে ১৩টি নতুন প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এসএম-থ্রি ব্লক টুএসহ ২১টি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করে।

    বদলে যাচ্ছে জি-মেইল, নজর রাখুন আপনার অ্যাকাউন্টে

    নতুন বছরের শুরুতেই ই-মেইল সার্ভিসে তিনটি নতুন ফিচার নিয়ে এলো গুগল। সম্প্রতি কোম্পানিটি জানিয়েছে, শিগগিরই তিনটি নতুন ফিচার পৌঁছে যাবে গ্রাহকের কাছে।

    এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুগল নতুন ফিচারে ই-মেইল কম্পোজ করার সময় অনডু/রিডু করা যাবে। ‘ই-মেইল কম্পোজ করার সময় আনডু করা যাবে। আনডু করলে প্রয়োজন রিডু। তাই আনডুর সাথে রিডু অপশানও যোগ করেছি আমরা।

    ইমেল কম্পোজ করার সময় ফর্ম্যাটিংয়ে যে কোন লেখাকে বোল্ড, ইটালিক বা আন্ডারলাইন করা গেলেও জিমেল এ এতদিন কোন লেখা স্ট্রাইকথ্রু করার অপশান ছিল না। নতুন ফিচারে ইমেলের মধ্যে যে কোন লেখা স্ট্রাইকথ্রু করা যাবে।

    এছাড়াও জিমেল থেকে যে কোন মেসেজ ডাউনলোড করা যাবে। ই-মেইল ফর্ম্যাটে সেভ হবে ফাইল। অ্যাটাচমেন্ট হিসাবে মেসেজগুলি ডাউনলোড করা যাবে।

    গত বছর অগাস্ট মাসে জি-মেইলকে আরো সুরক্ষিত করতে নতুন কনফিডেনশিয়াল মোড নিয়ে এসেছিলো গুগল। যেমন: আপনি ই-মেইল মারফত আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য পাঠাতে চান। কনফিডেনশিয়াল মোড অন থাকলে সেই ইমেল নিজে থেকেই কিছুদিন পরে যাঁকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইনবক্স থেকে ডিলিট হয়ে যাবে।

    এর সাথেই যাকে পাঠালেন তিনি এই ইমেল কখনই ফরওয়ার্ড করতে পারবেন না। এইভাবে আপনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্য লোকের হাতে চলে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন।

    টেনিসের নারী এককের র‍্যাংকিং-এর শীর্ষে উঠলেন নাওমি ওসাকা

    টেনিসের নারী এসোসিয়েশন বা ডব্লিউটিএ জানিয়েছে যে জাপানের টেনিস খেলোয়াড় নাওমি ওসাকা শনিবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয়ের পর নারী এককের র‍্যাংকিং-এ বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় হয়েছেন। তিনি এশিয়ার প্রথম এককের খেলোয়াড় হিসেবে টেনিস র‍্যাংকিং-এর শীর্ষে উঠলেন।

    ডব্লিউটিএ সোমবার তাদের সর্বশেষ র‍্যাংকিং প্রকাশ করেছে।

    অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বে ১২১তম

    সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বাধীনতার প্রশ্নে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২১তম। ২০১৯ সালের জন্য প্রস্তুত করা সূচকে বাংলাদেশের প্রাপ্ত নম্বর ৫৫.৬। গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে সাত ধাপ। নম্বর বেড়েছে বেড়েছে শূন্য দশমিক পাঁচ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের জানিয়েছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর গড় নম্বর (৬০.৬) ও বৈশ্বিক গড় নম্বর (৬০.৮)। যার অর্থ, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা এখনও ‘প্রায় না থাকার সমান’ (মোস্টলি আনফ্রি)। তবে বাংলাদেশে মজুরি বৃদ্ধির তুলনায় বেড়েছে উৎপাদনশীলতা। ব্যবসা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ আগের চেয়ে কিছুটা সরল হয়েছে। বিনিয়োগে আমলাতান্ত্রিক বাধা অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ১৯৭৩ সালে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন প্রতিবছর ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক’ প্রকাশ করে থাকে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মাত্রা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আইনের শাসন, সরকারি আয়-ব্যয়ের পরিমাণ, নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নগত দক্ষতা এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলোকে ভিত্তি করে নম্বর হিসেব করা হয়। সংস্থাটির প্রণীত ২০১৯ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২১তম। ভারতের অবস্থান ১২৯তম। পাকিস্তানের ১৩১তম। নেপাল আছে ১৩৬তম অবস্থানে। শ্রীলঙ্কার ১১৫তম। চীনের অবস্থান তালিকায় ১০০তম। প্রথম তিনে আছে যথাক্রমে হংকং, সিঙ্গাপুর ও নিউ জিল্যান্ড। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৪৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।
    ‘আইনের শাসন’ বিভাগের ‘সম্পত্তির মালিকানা’ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা শাখায় বাংলাদেশ ৩৬.১, ‘বিচার বিভাগের কার্যকারিতা’ শাখায় ৩৪.৫ ও ‘সরকারের নিষ্ঠা’ বিভাগে ২৪.৪ পয়েন্ট পেয়েছে। এ বিভাগের সবগুলো শাখায় বাংলাদেশ উন্নতি করলেও হেরিটেজ ফাউন্ডেশন লিখেছে, বাংলাদেশে সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত আইনগুলো সেকেলে। ভূমি নিয়ে বিরোধ খুব সাধারণ ঘটনা। বিচার বিভাগ শ্লথ এবং স্বাধীনতার অভাব রয়েছে। চুক্তি কার্যকর এবং মতবিরোধ নিরসনের প্রক্রিয়া অপর্যাপ্ত। দুর্নীতির মহামারি, অপরাধ প্রবণতা, দুর্বল আইনের শাসন এবং রাজনৈতিক মেরুকরণ সরকারের জবাবদিহিতাকে খর্ব করেছে। বড় আকারের দুর্নীতি খুবই সাধারণ ঘটনা। সম্প্রতি এমন দুইটি ঘটনায় নাম জড়িয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রধান বিচারপতির।
    ‘সরকারের আকার’ বিভাগে ‘করের বোঝা’ শাখায় বাংলাদেশ ৭২.৭, ‘সরকারি ব্যয়’ শাখায় ৯৪.৫ ও ‘রাজস্ব সক্ষমতা’ বিভাগে ৭৭.৬ পয়েন্ট পেয়েছে। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন লিখেছে, বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে সর্বোচ্চ কর হার ২৫ শতাংশ এবং কর্পোরেট কর হার ৪৫ শতাংশ। এছাড়াও আছে মূল্য সংযোজন কর। কর থেকে আসা আয়ের প্রমাণ মোট দেশজ আয়ের ৮.৮ শতাংশের সমান। গত তিন বছরে সরকারি ব্যয় বেড়েছে জিডিপির ১৩.৬ শতাংশ। বাজেট ঘাটতির গড় হয়েছে জিডিপির ৩.৬ শতাংশ। সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে জিডিপির ৩২.৪ শতাংশে।
    ‘নীতিনির্ধাণের কার্যকারিতা’ বিভাগের ‘ব্যাবসার স্বাধীনতা’ শাখায় বাংলাদেশ ৫০.৯, ‘শ্রমের স্বাধীনতা’ শাখায় ৬৮.২ ‘মুদ্রানীতি’ শাখায় ৬৯.৯ পয়েন্ট পেয়েছে। শ্রমের স্বাধীনতা শাখায় বাংলাদেশর নম্বর বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি। হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মতে, বাংলাদেশে ব্যবসা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ আগের চেয়ে কিছুটা সরল হলেও এখনও প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ। বেসরকারি খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা অনুপস্থিত। শ্রম বাজার এখনও অসংগঠিত। তবে উৎপাদনশীলতা মজুরির চেয়ে খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে । সরকার খাদ্য, বিদ্যুৎ ও কৃষিতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।
    মুক্ত বাজার বিভাগের বাণিজ্য স্বাধীনতা শাখায় বাংলাদেশ ৬৩.৩, বিনিয়োগ স্বাধীনতা শাখায় ৪৫ এবং আর্থিক স্বাধীনতা শাখায় ৩০ পয়েন্ট পেয়েছে। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন লিখেছে, সরকার বিনিয়োগ তরান্বিত করতে আমলাতান্ত্রিক বাধা অপসারণের পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিবর্তনের গতি খুব কম। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি এবং রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ এখনও আর্থিক খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়ে গেছে। প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশিদের ৫৪ শতাংশেরই ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বাণিজ্য স্বাধীনতা বিভাগে বাংলাদেশ আগের চেয়ে এগিয়েছে; বিনিয়োগ স্বাধীনতায় পিছিয়েছে।

    নাওমি ওসাকা আনন্দিত এবং বিস্মিত

    জাপানি টেনিস খেলোয়াড় নাওমি ওসাকা, অস্ট্রেলিয়া ওপেনে মহিলাদের সিঙ্গেলসে বিজয় অর্জন নিয়ে আনন্দিত হলেও বিস্মিত বলে জানিয়েছেন।

    চেক প্রজাতন্ত্রের পেট্রা কুভিতোভাকে পরাজিত করে পরপর ২য় গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ের একদিন পর ওসাকা আজ মেলবোর্নে, সাংবাদিকদের কাছে উক্ত মন্তব্য করেন।

    এই বিজয়ের মাধ্যমে ওসাকা, মহিলাদের সিঙ্গেলসের বিশ্ব র‍্যাংকিংএ শীর্ষ স্থান দখল করেন।

    ওসাকা, বিশ্বের প্রথম স্থান অধিকারী মহিলা টেনিস খেলোয়াড়ের অধিকারী হওয়ার অর্থ তাঁর কাছে এক বিশাল অর্জন বলে উল্লেখ করেন। তিনি, শৈশব থেকে এটি তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ছিল বলে জানান।

    ওসাকা, নিজের বর্তমান আবাস যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর আগামী মাসে কাতারে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।