বিরল রোগে ‘নেকড়ে মানব’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি, ডেইলি মিররের এক বিশেষ প্রতিবেদনে ললিতের বিষয়টি উঠে আসলে তাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় ভারতজুড়ে। তার এ ভিন্নতার পেছনে রয়েছে হাইপারট্রাইকোসিস নামক এক রোগের ভূমিকা। এই ধরনের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অনেকটাই নেকড়ের মত লাগে।
ললিতের মা পার্বতী বাই বলেন, ‘ললিত যখন জন্ম নেয়, সেসময় খুব অবাক হয়েছিলাম। এরপরই হাসপাতালের স্থানীয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের দেখাই, তখন জানতে পারি এই রোগের কোনো সমাধান নাই।’
ললিতের স্কুলে প্রধান শিক্ষক বাবুলাল মাকোয়ানা বলেন, ‘অন্য কোনো ছাত্রের তুলনায় পড়াশোনা ও খেলাধুলায় মোটেও পিছিয়ে নেই ললিত। দুইবছর আগে যখন ললিত স্কুলে ভর্তি হয়, তখন অনেকেই তাকে দেখে অস্বাভাবিক আচরণ করলেও ক্রমেই সবাই তাকে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে। এমন, পুরো স্কুল ও বন্ধুদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় ললিত।’
তবে শরীরে পশমের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া বাদে আর তেমন কোনো সমস্যা নেই ললিতের। দিব্যি খেলছে, স্কুলে যাচ্ছে, সবই করছে। ললিত নিজেই বলে, ‘মাঝে মাঝে মনে হয়, কেনো আমি সবার চেয়ে আলাদা, এমন না হলে কেউ আমাকে বিরক্ত করতো না।’
তবে, এখন বিষয়টায় অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্য বলেও জানায় ললিত। ললিত তার নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে বলে, ‘আমি চাই, খুব বড় পুলিশ অফিসার হতে। তাহলে মা-বাবা, দাদিকে দেখাশোনা করতে পারবো।’ সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।