• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • ব্রেনকে রাখুন সুস্থ

    Posted by admin on August 31
    Posted in Uncategorized 

    ব্রেনকে রাখুন সুস্থ

    মানব শরীরের চালিকা শক্তি ব্রেন। সেই ব্রেন সুস্থ না থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে আপনার সকল কাজ। তাই আপনার ব্রেনের চাহিদা সম্পর্কে এবার মনোযোগ দিন। আপনার ব্রেনকে সুস্থ-স্বাভাবিক গতিতে চালানোর জন্য কিছু টিপস দিয়েছেন বিবিসি’র ফিচার বিভাগের লেখক ডেভিট রবসন। ইত্তেফাকের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলে তার সেই পরামর্শের অনুবাদ:

    আপনার ব্রেনের যোগ্যতা নিয়ে কখনই হতাশ হবেন না

    অনেক সময় নিজেদের দক্ষতা সম্পর্কে হতাশায় ভুগী আমরা। কিন্তু বিষয়টা মোটেও পছন্দ করে না আমাদের ব্রেন। সে সর্বদা আত্মবিশ্বাসী থাকতে পছন্দ করে। তাই যত বড় সমস্যাতেই থাকুন, কখনই নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না। কারণ আপনার ব্রেন সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সর্বদা আপনাকে সাহায্য করবে। নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না টরন তার এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, বয়স হবার সঙ্গে সঙ্গে নিজ ব্রেনের স্মরণশক্তি সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকে মানুষ। ফলে ব্রেনও আর মনে রাখারা প্রয়েজন মনে করে না অনেক কিছু! তাই আপনার ব্রেনের উপর ভরসা রাখুন।

    আপনার শ্রবণ ইন্দ্রিয়কে রক্ষা করুন

    ব্রেন কখনই একা থাকতে পছন্দ করে না। সে সর্বদা তার সঙ্গীদের সহায্য নিয়ে চলে। আর ব্রেনের সঙ্গীরা হলো আপনার ইন্দ্রিয়। তাই কখনই ইন্দ্রিয়দেরকে ব্রেন থেকে পৃথক করবেন না। আর আপনার ব্রেনের সবচাইতে পছন্দের সঙ্গী আপনার শ্রবণ ইন্দ্রিয়। তাই সর্বদা শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের বিশেষ যত্ন নিন। এই ইন্দ্রিয়ের দক্ষতার সঙ্গে জড়িত আপনার ব্রেনের দক্ষতা। গবেষণায় দেখা গেছে, শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জ্ঞান ও অনুধাবনের ক্ষমতা হ্রাস পায়।

    ভীন্ন ভাষা বা কোন বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখুন

    আপনার ব্রেনকে কখনই অলস রাখবেন না। বরং ব্রেনকে ব্যস্ত রাখতে নতুন ভাষা বা বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখুন। এতে বৃদ্ধি পাবে ব্রেনের কর্মক্ষমতা। গবেষণায় দেখা গেছে আমরা আমাদের অনুধাবন ও ইন্দ্রিয়গুলোকে সবচাইতে বেশি ব্যবহার করি নতুন ভাষা বা বাদ্যযন্ত্র শেখার সময়। আর সে কারণেই আপনার ব্রেন হয়ে ওঠে দক্ষ এবং তড়িৎ কার্যক্ষম।

    জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন

    আপনার ব্রেনের জন্য সবচাইতে বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে স্থূলতা। তাই সর্বদা এড়িয়ে চলুন জাঙ্ক ফুড। ব্যস্ত জীবনযাপনের কারণে বর্তমানে আমরা অনেকেই নির্ভর হয়ে যাচ্ছি ফাস্টফুডের ওপর। সেই সঙ্গে অফিসের কলিগ বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গ ঘরের বাইরে খাবার খেতে গেলে বেছে নিচ্ছি মোরগ পোলাও, তেহরি বা পিৎজা। সেই সঙ্গে রয়েছে আমাদের গ্যাজেটের (মোবাইল-ল্যাপটপ) আসক্তি। ফলে আমরা হয়ে যাচ্ছি স্থূলাকার। কিন্তু আমাদের রক্তনালীতে এমন চর্বি জমা হয়ে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়। ফলে ব্রেনভোগে তার পর্যাপ্ত নিউট্রেশন ও অক্সিজেনের অভাবে। মূলত সে কারণেই স্থূলাকার মানুষ অল্প কাজ করেই হাপিয়ে যান। তাই নিজের দেহ এবং ব্রেনের সুস্থতার জন্য ত্যাগ করুন জাঙ্ক ফুড খাবার অভ্যাস।

    নিজের দেহ গঠনে মনোযোগ দিন

    দেহ ছাড়া ব্রেন এবং ব্রেন ছাড়া দেহ। এরা একজন আরেকজনকে ছাড়া অসহায়। তাই ব্রেনকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই মনোযোগ দিন আপনার দেহ গঠনে। নিয়মিত খেলাধুলা করুন, ব্যায়াম করুন এবং দেহ গঠনের অন্যান্য নিয়মগুলো মেনে চলুন। আপনি দেহ গঠনে মনোযোগ দিলে আপনার দেহের সঙ্গে ব্রেনের সম্পর্কটাও হবে নিবিড়।

    নিজেকে ২১ বছর বয়সী তরুণ ভাবুন

    কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, বার্ধক্যকে বয়সের ফ্রেমে বেধে রাখা যায় না। সম্প্রতি ব্রিটেনের এক গবেষণায় মিলেছে তার প্রমাণ। সেখানে দেখা গেছে, যারা নিজেদের মনে তারণ্যকে লালন করে, তারা দীর্ঘায়ু লাভ করে। আর তার কারণ, তাদের ব্রেন কখনই অনুভবই করে না যে মৃত্যুর সময় হয়ে গেছে। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ৭০ বছর বয়সী যে সকল মানুষ সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এবং নিজেদেরকে তরুণদের মতই উচ্ছাসিত রাখেন, তারা বৃদ্ধ বয়সের অনুধাবনগত সমস্যায় কম ভোগেন। এমনকি তাদের ব্রেনও বেশ সক্রিয়তার সঙ্গে কাজ করে। গবেষণাটিতে দেখানো হয় এমন বৃদ্ধরা তার সমবয়সী বাকি বৃদ্ধদের থেকে ৭০ গুন বেশি সুস্থ থাকেন মানসিকভাবে।

    হজ্জ্বঃ হাদীস ও আছারের আলোকে

    ফাতাওয়া বিভাগ, মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়া – ঢাকা

    হজ্ব তিন প্রকার : তামাত্তু, কিরান ও ইফরাদ।

    মক্কার বাইরে অবস্থানকারী ব্যক্তিরা উপরোক্ত যেকোনো প্রকার হজ্ব করতে পারেন। এতে তাদের ফরয হজ্ব আদায় হবে। তবে উপরোক্ত তিন প্রকার হজ্বের মধ্যে সর্বোত্তম হল হজ্বে কিরান, এরপর হজ্বে তামাত্তু, এরপর হজ্বে ইফরাদ। নিচে প্রতিটির পরিচয় ও জরুরি মাসাইল উল্লেখ করা হল।

    এক. কিরান

    মীকাত অতিক্রমের পূর্বে উমরা ও হজ্বের ইহরাম বেঁধে একই ইহরামে উমরাহ ও হজ্ব উভয়টি আদায় করা। প্রথমে মক্কা মুকাররামা পৌঁছে উমরা করা অতঃপর এই ইহরাম দ্বারা হজ্বের সময়ে হজ্ব করা এবং কুরবানী দেওয়া।

    দুই. তামাত্তু হজ্ব

    হজ্বের মাসসমূহে মীকাত থেকে শুধু উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধা এবং মক্কা মুকাররামায় পৌঁছে উমরার কাজ সম্পন্ন করার পর চুল কেটে বা চেঁছে ইহরামমুক্ত হয়ে যাওয়া। অতঃপর এই সফরেই হজ্বের ইহরাম বেঁধে হজ্বের নির্ধারিত কাজগুলো সম্পন্ন করা এবং কুরবানী দেওয়া।

    তিন. ইফরাদ

    মীকাত থেকে শুধু হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধা এবং মক্কা মুকাররামা পৌঁছে উমরা না করা বরং (সুন্নত তাওয়াফ) তাওয়াফে কুদূম করে ইহরাম অবস্থায় হজ্বের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা। অতঃপর নির্ধারিত সময়ে হজ্বের আমলগুলো সম্পন্ন করা। উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা রা. বলেন, বিদায় হজ্বে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রওনা হলাম। আমাদের মধ্যে কেউ (তামাত্তুর নিয়তে প্রথমে) উমরার জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন, কেউ (কিরানের নিয়তে) হজ্ব ও উমরার জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন এবং কেউ (ইফরাদের নিয়তে) শুধু হজ্বের ইহরাম গ্রহণ করলেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্বে ইফরাদের জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন। যারা শুধু হজ্ব বা একত্রে হজ্ব-উমরার (কিরানের) ইহরাম গ্রহণ করেছিলেন তারা ১০ যিলহজ্বের পূর্ব পর্যন্ত- ইহরাম থেকে মুক্ত হননি।-সহীহ বুখারী ১/২১২

    ইহরামের নিয়ম

    ইহরামের মূল বিষয় হচ্ছে হজ্ব বা উমরার নিয়তে তালবিয়া পাঠ। এর দ্বারাই ইহরাম সম্পন্ন হয়ে যায়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মাথায় সিঁথি করা অবস্থায় ইহরামের তালবিয়া পাঠ করতে দেখেছি। তিনি বলেছেন, এই বাক্যগুলোর অতিরিক্ত কিছু বলেননি।-সহীহ মুসলিম ১/৩৭৬

    তবে ইহরাম গ্রহণের সুন্নত তরীকা হল মোচ, নখ এবং শরীরের পরিষ্কারযোগ্য লোম চেঁছে বা কেটে পরিষ্কার করবে। উত্তমরূপে গোসল করবে, গোসল সম্ভব না হলে ওযু করবে। পুরুষগণ দু’টি নতুন বা ধৌত সাদা চাদর নিবে। একটি লুঙ্গির মতো করে পরবে। অপরটি চাদর হিসাবে ব্যবহার করবে। পায়ের পাতার উপরের অংশ খোলা থাকে এমন চপ্পল বা স্যাণ্ডেল পরবে। মহিলাগণ স্বাভাবিক কাপড় পরবে। তাদের জন্য ইহরাম অবস্থায় জুতা-মোজা পরার অবকাশ রয়েছে। ইহরাম বাঁধার আগে খালি শরীরে আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মুস্তাহাব। শরীরের আতর বা ঘ্রাণ ইহরাম গ্রহণের পর বাকি থাকলেও অসুবিধা নেই। তবে ইহরামের কাপড়ে আতর বা সুগন্ধি লাগাবে না। কেননা ইহরামের কাপড়ে এমন আতর বা সুগন্ধি লাগানো নিষেধ, যার ঘ্রাণ ইহরামের পরও বাকি থাকে। মাকরূহ ওয়াক্ত না হলে ইহরাম বাঁধার আগে দুই রাকাত নফল নামায পড়বে। অতঃপর যে হজ্ব আদায়ের ইচ্ছা সে অনুযায়ী নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ করবে।

    নিচে ইহরামের প্রতিটি বিষয় দলীলসহ আলোচনা করা হল

    ১. মোচ, নখ এবং শরীরের পরিষ্কারযোগ্য লোম চেঁছে বা কেটে পরিষ্কার করা। যে ব্যক্তি হজ্বে যেতে চায় তার শরীরের ক্ষৌর কার্য সম্পর্কে বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত আতা রাহ.কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, এর অনুমতি আছে, এতে কোনো অসুবিধা নেই।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৪৯৯৮

    ২. ইহরামের উদ্দেশ্যে উত্তমরূপে গোসল করা। হযরত যায়েদ বিন ছাবেত রা. থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইহরামের জন্য পরিহিত পোশাক খুলতে এবং গোসল করতে দেখেছেন।-জামে তিরমিযী ১/১০২ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন ইহরাম বাঁধার ইচ্ছা করবে তখন তার জন্য গোসল করা সুন্নত।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৫৮৪৭ গোসল সম্ভব না হলে ওযু করে নেওয়া। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি উমরার জন্য অযু করলেন, গোসল করলেন না।- মাসআলা : ঋতুমতী মহিলার জন্য ইহরামের আগে গোসল করা মুস্তাহাব।-গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৬৯ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো নারী হায়েয বা নেফাস অবস্থায় মীকাতে পৌঁছলে গোসল করবে এবং ইহরাম গ্রহণ করবে। অতঃপর হজ্বের যাবতীয় কাজ করতে থাকবে। শুধু বাইতুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত।-সুনানে আবু দাউদ ১/২৪৩