• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধ: টোকিও-ম্যানিলার সমালোচনায় চীন

    দক্ষিণ চীন সাগরে ম্যানিলা ও টোকিওর নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ উপস্থিতির কঠোর সমালোচনা করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে চীনে আক্রমণ করার জন্য যৌথ আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরাম গঠন করেছে জাপান ও ফিলিপাইন।
    এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি অভিযোগ করেন চীন সাগরে চলাচলে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হবে না এমন প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও চীন নৌযান চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ ও সমুদ্রপথ দখলের চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র চীন সাগরে চীনের কোন বিধিনিষেধ মেনে নেবে না বলেও জানান কেরি।
    বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে কেরি অভিযোগ করে বলেন, চীনের সামরিক নির্মাণ বিশেষ করে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রের সামরিকীকরণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
    এর আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের নীতি নিয়ে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলেছেন এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাতে সমর্থন যুগিয়েছেন।
    ওই অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে ফোরাম গঠনের কথা উল্লেখ করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বিবৃতিতে বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্থিতিশীল রয়েছে এবং বড় ধরনের সংঘাতের কোন আশংকা নেই। চীন এমন কোন কিছু প্রত্যাশা করে না যাতে বিভক্তি ছড়ায় ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

    বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কায় ভারত-নেপাল

    ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কায় আছে ভারত ও নেপাল। প্রতিদিন দেশ দুইটিতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে। শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন তথ্যে দেখা গেছে গত এপ্রিল মাসে নেপালে যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, সেটির সব চাপ এখনো মুক্ত হয়নি। পশ্চিমাঞ্চলে যেকোনো সময় কম্পনটি জেগে উঠতে পারে।
    গবেষণাটি  সম্প্রতি ‘ন্যাচার জিওসায়েন্স’ ও ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো এখন ব্যাপক নজরদারি করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন লেখক।
    ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেন-ফিলিপ অ্যাভাউক বলেছেন, এই অঞ্চলে নজর রাখা দরকার। যদি আজই ভূমিকম্প হয়, তাহলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে। জনবসতির ঘনত্বের কারণে এটি শুধু নেপালের পশ্চিমাঞ্চল নয়, ভারতের উত্তরাঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।
    চলতি বছরের এপ্রিলে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় নয় হাজার মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হন। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন অসংখ্য মানুষ।
    ভূগর্ভস্থ সংঘর্ষ এলাকায় এই ভূমিকম্পটি হয়। ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট ইউরেশিয়া প্লেটে চাপ দিচ্ছে। প্রতি বছর দুই সেন্টিমিটার পরিমাণে সেখানকার অবস্থান পাল্টে যাচ্ছে।
    কয়েক দশক ধরে এটি চ্যুতি লাইনের চাপের সৃষ্টি করে। এই চ্যুতিটি মেইন হিমালয়ান থ্রাস্ট বলে পরিচিত। এটি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে অবস্থিত।  এই এলাকায় দুই প্লেটের সীমানা সংঘর্ষের কারণে আটকে আছে। আর এটি সেখানে গতিহীন শক্তি উত্পন্ন করছে। ফলে একটি বড় ধরণের ভূমিকম্প হতে পারে। গত ২৫ এপ্রিল নেপালে যে ভূমিকম্প হয়েছে তা এই দমিত চাপের একটি অংশ মুক্ত হওয়ার ফল।