• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • মহাসমুদ্রে বিলীন হবে ওয়াশিংটন ডিসি!
    মহাসমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্ট এবং ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের পরিচালিত এক নতুন গবেষণার ফলাফলে এ দাবি করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    গবেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীসহ চেসাপিক বে অঞ্চলের ভূমি দ্রুতই ডুবে যাচ্ছে। উষ্ণ জলবায়ুর কারণে চেসাপিক বে’র সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাচ্ছে।

    তারা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির এই হার ইস্ট কোস্টের যে কোনো অঞ্চলের থেকে অনেক বেশি। এ হারে পানি বাড়তে থাকলে আগামী ১০০ বছরে ওাশিংটন ডিসি ৬ ইঞ্চি বার তার চেয়ে পানির নিচে তলিয়ে যাবে। অধিক হারে বরফ গলার কারণে পানির উচ্চতা বাড়ছে।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ওই অঞ্চলে বন্যা বাড়বে।

    ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্টের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গবেষণা পরিচালনাকারীদের প্রধান বেন ডে জং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব ঠেকাতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। বিশ্বের এই অঞ্চলে ছয় ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি প্রকৃতপক্ষেই একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

    জাপানি মহিলারা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী

    দীর্ঘতম গড় আয়ুর ক্ষেত্রে জাপানের নারীরা তৃতীয় বছরের মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন। আয়ুর ক্ষেত্রে জাপানের পুরুষরা বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

    জাপানে স্বাস্থ্য, শ্রম এবং ওয়েলফেয়ার মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানান জাপানি নারীদের গড় আয়ু দাঁড়িয়েছে ৮৬.৮৩ বছর। জাপানি পুরুষদের গড় আয়ু ৮০.৫ বছর।

    পুরুষ ও নারীর উভয় ক্ষেত্রেই আগের বছরের চেয়ে গড় আয়ু বেড়ে গেছে যথাক্রমে ০.২২ এবং ০.২৯ শতাংশ হারে।

    লিঙ্গ ব্যবধানের গড় আগের বছরের চেয়ে কমেছে ০.০৭ শতাংশ।

    মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন জাপানিরা বেশি দিন বাঁচার পেছনে কারণ গুলো হলো ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় ব্যাপক উন্নতি। এসব রোগে আক্রান্ত হয়েই বেশির ভাগ মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকেন।

    ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে জাপান প্রবাসীদের সম্বর্ধনা

    মহান একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা, প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী বাংলাদেশ লোক সংগীত পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করলেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

    গত ২৬ জুলাই ২০১৫ রোববার, টোকিওর আকাবানে বিভিন্ন হলে দলমত নির্বিশেষে সকল প্রবাসীরা সমবেত হয়ে এই শিল্পীকে সম্বর্ধনা দিলেন।

    কাজী ইনসানুল হকের সভাপতিত্বে এই নাগরিক সম্বর্ধনায় শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উত্তরণ’র পক্ষে জাহিদ চৌধুরি, স্বরলিপি’র পক্ষে নাসিরুল হাকিম, বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরামের পক্ষে বাকের মাহমুদ, সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষে সুনীল দে মুঞ্জিগঞ্জ বিক্রমপুর সোসাইটির পক্ষে মোল্লা ওয়াহিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার পক্ষে ছালেহ মোঃ আরিফ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখার পক্ষে কাজী এনামুল হক, বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ১ম সচিব বেবী রাণী কর্মকার, সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষে তনুশ্রী গোলদার। এ ছাড়াও, মুক্তিযোদ্ধা অজিত বড়ুয়া, কাজী মাহফুজুল হক লাল প্রমুখ এই বীর কন্ঠযোদ্ধার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা জানান। মুকুল মুস্তাফিজ ও বাকের মাহমুদ তাকে উৎসর্গিত কবিতা পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন নারমিন হক এবং দ্বীপ্তি রাজবংশীর হাতে ফুলের তোড়া দেন মনি হাকিম।
    মুন্সী খ আজাদ তার শুভেচ্ছা বক্তব্য সহ ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর পরিচিতি বাংলা ও জাপানি ভাষায় পড়ে শোনান। জাপান প্রবাসীদের পক্ষ থেকে শিল্পীকে ক্রেস্ট প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি কাজী ইনসানুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা। বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরামের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেন জুয়েল আহসান কামরুল।

    সম্বর্ধনা অংশ উপস্থাপনা করেন সুখেন ব্রম্ম। সম্বর্ধনা শেষে আবেগ ঘন বক্তব্যে ইন্দ্রমোহন রাজবংশী জাপান প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন- আপনারা সম্মিলিত ভাবে আমাকে যে সম্মান জানালেন -তা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া- আমি আজীবন তা পরম মমতায় ধারণ করবো। দোয়া করবেন আমি যে মরমী গান সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি তা যেন শেষ করে যেতে পারি।

    উত্তরণ কালচারাল গ্রুপ জাপান’র সহযোগিতায় শিল্পী দম্পতি গান, গানের সাথে সাথে নানান কথাবার্তা, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের নানান ঘটনা বর্ণনা করেন। দর্শকরা প্রাণ ভরে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। বাংলাদেশের পরম বন্ধু বেশ ক’জন জাপানি দর্শকও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
    কম্পিউটার গ্রাফিক্সে ছিলেন কমল বড়ুয়া। এ ছাড়াও অন্যান্যরা সহযোগিতা করেন।

    অ্যাঞ্জেল নিয়ে তোলপাড়!

    ঠাকুরমার ঝুলি বা নিদেনপক্ষে আরব্য রজনীতে এমনটা হলে আমরা কেউই আশ্চর্য হতাম না। কিন্তু বাস্তবে যদি শোনেন, আকাশ থেকে একজন বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেল মাটিতে পড়ে গিয়েছে এবং তাঁকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে তাহলে তা এক কথায় হেসে উড়িয়ে দেবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তবে যতই হাসাহাসি করুন না কেন, সমপ্রতি ইন্টারনেটে একটি ছবি তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন   বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেল অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। তাকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। পক্ককেশ ওই বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেলকে দেখতে সাধারণ মানুষের মতোই। তবে শুধু একটাই ফারাক রয়েছে। তার পিঠে এক জোড়া ডানা রয়েছে। তবে বয়সের কারণে ডানা দুটোতে পালক কিংবা পশম নেই বললেই চলে। অ্যাঞ্জেল চোখ বন্ধ করে শুয়ে রয়েছে শান্তিতে।

    ছবিটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার পর কোটি কোটি মানুষ তা দেখছে। এটি এতই ‘জীবন্ত’ যে অনেকেই তাকে সত্যি সত্যি অ্যাঞ্জেল বলে বিশ্বাস করে মন্তব্য করেছে। কিন্তু বিষয়টি সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সাংবাদিকরা তুলে এনেছেন আসল ঘটনা। তারা বলছেন, এটি আসলে কোনো অ্যাঞ্জেল নয়। একটি ভাস্কর্য। অসাধারণ এবং ‘প্রায় জীবন্ত’ এই ভাস্কর্য তৈরী করেছেন দুই চিনা শিল্পী। তাদের নাম সুন ইউয়ান এবং পেং ইউ। চীনের রাজধানী বেজিংয়ে রাখা এই অ্যাঞ্জেলকে যারা সরাসরি দেখেছে তারাও একে আসল মনে করে বিভ্রান্ত হয়েছেন। দুই শিল্পী এই সাড়া জাগানো ভাস্কর্যের নাম দিয়েছেন ‘দ্য ফলেন অ্যাঞ্জেল’।

    বিধ্বস্ত বিমানের রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানকে খুঁজছে পুলিশ

    গত রোববার বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানকে খুঁজছে পুলিশ। বিমানটি পশ্চিম টোকিওর একটি বাড়ির উপর বিধ্বস্ত হলে ৩ জন নিহত হন।

    আবাসিক এলাকাটিতে দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ও এক আরোহী নিহত হন এবং বাড়ির ৩৪ বছর বয়স্ক এক নারী নিহত হন, এ ছাড়াও ৫ জন আহত হন।

    প্রায় এক ডজন তদন্তকারী মঙ্গলবার চোফু বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। এখানেই বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সহ অপর দু’টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, পুলিশের সন্দেহ তারা কোনো ভাবে দুর্ঘ্টনার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে।

    কোথাও কোনো অনিয়্ম হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে তারা বিমানের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড জব্দ করেন।

    ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিমানের ইঞ্জিন এবং ডানার ভগ্নাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

    পাইপার পিএ ৪৬ বিমানটি উড্ডয়নের এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে পাইলট সহ ৫ জন আরোহী ছিলেন। বিমানটি অত্যন্ত নীচু দিয়ে অপর্যাপ্ত গতিতে উড়ছিলো।

    তদন্তকারীরা বলেছেন ৩৬ বছর বয়স্ক পাইলট তাইশি কাওয়ামুরা রেডিওতে বিমানের কোনো ধরনের সমস্যার কথা জানাননি।

    আপিল বিভাগেও সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি বহাল

    একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করে।
    এই বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

    ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের ২৮ দিনের মাথায় আপিল করেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। চলতি বছর ১৬ জুন থেকে মোট ১৩ দিন দুই পক্ষের যুক্তি শোনে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। শুনানি শেষে আদালত ২৯ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করে।

     

    এর আগে ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যার ৩ নম্বর, সুলতানপুর বণিকপাড়ায় গণহত্যার ৫ নম্বর, উনসত্তরপাড়ায় গণহত্যার ৬, ও তত্কালীন আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মোজাফফর আহমেদকে অপহরণের পর হত্যার ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেকটিতে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এই চারটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

    এছাড়াও পাঁচটি অভিযোগে তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৭ নম্বর অভিযোগ সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যার মামলায় তাকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। আপিল বিভাগ তাকে এ অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে। আর বাকি চারটি অভিযোগে দেয়া কারা দণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। গহিরা গ্রামে হিন্দু অধ্যুষিত পাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ২ নম্বর, জগত্মল্লপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ৪ নম্বর এবং রাউজান পৌরসভা এলাকার সতীশ চন্দ্র পালিত হত্যার ৭ নম্বর অভিযোগের প্রত্যেকটিতে সালাহউদ্দিন কাদেরকে ২০ বছর করে ৬০ বছর এবং নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজ ও ওয়াহেদ ওরফে ঝুনু পাগলাকে অপহরণ ও নির্যাতনের ১৭ এবং মো. সালেহউদ্দিনকে অপহরণ ও নির্যাতনের ১৮ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর করে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।

    সাড়ে ৫ লাখ বছরের পুরনো মানুষের দাঁতের সন্ধান ফ্রান্সে

    ফ্রান্সের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের একটি দাঁত পেয়েছে দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি গ্রুপ। মঙ্গলবার এটিকে খুঁজে পান তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পাঁচ লাখ ৬০ হাজার বছরের পুরনো।
    এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকরা একে বড় ধরনের আবিষ্কার বলে বর্ণনা করেছেন।
    ফসিলতত্ত্ববিদ এমিলি ভায়ালেট বলেন, মাটি খননের সময়ে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের একটি দাঁত পাওয়া গেছে। তবে এটি নারী নাকি পুরুষের তা জানা যায়নি। সময় নির্ধারণের বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে আমরা জানতে পেরেছি এটি আনুমানিক ৫ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার বছরের পুরনো।

    সালাউদ্দিন কাদেরের চূড়ান্ত রায় কাল

    মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপিলের চূড়ান্ত রায় বুধবার ঘোষণা করা হবে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
    গত ৭ জুলাই আপিলের শুনানি শেষে ২৯ জুলাই রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। এদিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
    এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময়ের অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করেছে। অথচ ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার জন্য চলে যান। পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পাকিস্তান এয়ারওয়েজের টিকেটও রয়েছে এবং সেখানে পড়ালেখা-সংক্রান্ত সনদও রয়েছে। ১৯৭১ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দেশে ছিলেন না। এসব কিছু আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি।’
    অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আপিল বিভাগেও আমরা যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছি। আশা করি, তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকবে। আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকার বিষয়ে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। একাত্তরে তিনি যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’

    মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২৩ অভিযোগের মধ্যে ১৭টিতে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে নয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। আটটি অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেয়া হয়।

    ইসলামের বিজয় অত্যাসন্ন আপনি কি প্রস্তুত  

    আমাদের প্রত্যেকের জীবন থেকে চলে গেল আরেকটি আনন্দালোকের মধুর সময়। সেই রজব শাবান থেকে মহামহিমান্বিত রমজান, শবেকদর ও পবিত্র ঈদুল ফিতর। কী রহমত, বরকত, ক্ষমা-করুণা, নাজাত ও মাগফিরাতের ঢেউ। কী আবেগ উচ্ছ্বাস আনন্দাশ্রু আর হৃদয়নিংড়ানো নিবেদনের মওসুম। কেমন ছায়া, কেমন মায়া, কী শীতলতা, কত অনুকম্পার ভরা বর্ষা। শবে মিরাজ, নিসফে শাবান, শবে বরাত, সিয়াম ও কিয়াম, তিলওয়াত, তারাবীহ, সাহরি, ইফতার, সাদাকা ও ইতেকাফ পালন করে, তাকবীরের উদ্দীপনায় প্রেমপুণ্য পরিচয় ও পরিপূরণের ঈদ। হে আল্লাহ তুমি আমাদের মঙ্গলে পূর্ণ করে দাও, রজব ও শাবানকে ভরে দাও, বরকত ও ঋদ্ধিতে। আমাদের হায়াত দারাজ করে পৌঁছে দাও, পবিত্র মাস রমজানের দ্বারপ্রান্তে। এ দোয়াটি নবী করিম (সা.)-এর। বলেছেন, রমজানের শেষ দশকে খোঁজো কদরের রাত। এ রাতের নাগাল যে পাবে তার অতীত গোনাহ মাফ। হাজার মাসের সেরা এ রাত মুক্তির পয়গাম। সামনে আসছে হজ ও কোরবানী। এরপর মহররম। আশুরার পর সৌভাগ্যের পরম বার্তাবহ রবিউল আউয়াল। আবার একটু দম নিয়েই বছরের চাকা ঘুরে গিয়ে স্পর্শ করবে নতুন রজব শাবান। আরেকটি রমজান। জানা নেই, কারা কারা পাবে সে নতুন বাঁকা চাঁদ। জীবনের ডায়েরির পাতায় আরেকটি রমজান।গত পাঁচ বছর ধরে, কী এক কুদরত দেখে চলেছি আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর আশিসধন্য পবিত্র স্বদেশ বাংলাদেশে। জুন, জুলাই ও আগস্টের ভ্যাপসা গরম, তাপদাহ, খররোদ্র আর বিদঘুটে আবহাওয়ায় যেই রমজান আসে শুরু হয় ছায়া ঢাকা শীতল আবহে স্বস্তির মরুদ্যান। একটি মাস যেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ। আবার ঈদ শেষে যেই সেই। রমজান শরীফে বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস যে রহমত ও স্বস্তিতে ভরে যায়, এটি প্রত্যক্ষ করে কোটি কোটি মানুষ আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর দিকে ঝুঁকে পড়ে। নামাজির সংখ্যা শতগুণ বৃদ্ধি পায়, বাড়ে রোজাদার ও পরহেজগারের পরিমাণ। উপচে পড়ে লাখো মসজিদ। তারাবীহ, জুমা ও কিয়ামুল্লাইলে নামে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার ঢল। দোয়া, মোনাজাত, জিকির, তওবা, প্রার্থনা, ফরিয়াদ, কান্না ও রোনাজারির বেহেশতি আবহ সৌরভে ভরে দেয় বাংলার আকাশ-বাতাস। কী অপূর্ব এ বাংলা, কত গভীর এর আস্থা ও বিশ্বাস। কত ব্যাপক এখানে ঈমান, আমল ও ইহসান। কী কঠিন মায়ার চাদর বিছিয়েছেন আল্লাহ এ দেশের মানুষের অন্তরে। কতই না শক্ত তাদের বাঁধন প্রিয় নবীজির (সা.) ভালোবাসার ডোরে।বাংলাদেশের সাথে আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) মহান আনুগত্যের সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেই মনে পড়ে আমাদের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কথা। তিনিই তো বলেছেন, এ কোন মধুর শরাব দিলে আল আরাবী সাকী। নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হলো আঁখি। …আল কোরআনে সবক দিলে শবে কদর রাতে। নর-নারী, বাদশাহ-ফকির সেই জামাতে হলো শামিল। যা ছিল নজরানা দিল রাঙা পায়ে রাখি। এ কোন মধুর…। ইসলাম ও ঈমানের বন্ধন, কোরআন সুন্নাহ, রমজান ও শবে কদরের মায়া আর এলো খুশীর ঈদের ছায়া যে এই বাংলায় দেড়হাজার বছর ধরেই বিস্তৃত তা কাজী নজরুল ইসলামের মত সুন্দর করে আর কে বলতে পারবে? শুধু বাংলায় বাংলাভাষায়ই নয়, দুনিয়ার প্রতিটি প্রান্তে সকল জীবন্তভাষায় ইসলামের শানে রচিত কবিতা ও সংগীত আমরা খুঁজে দেখেছি, নজরুল ইসলামের মত হৃদয়, মায়া, অশ্রু ও নিবেদন, তাঁর মত ভাব, ভাষা, ছন্দ ও সুর সহজে চোখে পড়ে না। বাংলাদেশ বিশ্ব ও আশপাশের প্রায় তিরিশ কোটি বাংলাভাষীর ঈদ প্রাণ খুঁজে পায় না যদি না গীত ও শ্রুত হয় কবি কাজীর গান, ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ। তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ। তোর সোনা দানা বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ। দে জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙ্গাইতে নিদ। তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ। কী অসাধারণ দার্শনিক ও দিক-নির্দেশক এর বাণী। কত অনন্য এর ভাব, ভাষা, গীত ও ছন্দ।২০১৫-এর ঈদ যদিও ছিল অনেক দুঃখ কষ্ট ও জমাটবাধা শোকের পাটাতনে স্থাপিত তথাপি অন্ধকার দিগন্ত ফুঁড়ে বের হওয়া আলোর ফোয়ারা দেখে আশায় জাগ্রত হয় মুমিন হৃদয়। মেঘ দেখে ভয় পাওয়া উম্মতে মুহাম্মদী আবার আড়ালে তার সূর্যের হাসিও দেখে। বিগত কয়েক বছরে সারাবিশ্বে কাফির মুশরিক ও নাস্তিক বেঈমানদের হাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিহত হয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ মুসলমান। এ কষ্ট কি বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়ে বাজে না? ফিলিস্তিন, লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, চীন, ফিলিপাইনসহ সাত মহাদেশের কোন জমিনটি এমন আছে যেখানে উম্মতে মুহাম্মদীর পূর্ণ নিরাপত্তা স্বীকৃত। লাখো শহীদ, লাখো শরণার্থী, লাখো এতিম বিধবা সন্তানহারার কষ্ট জমাট বাধা এই ঈদে মুক্তি ও বিজয়ের কোন ঐশী আলোকচ্ছটা কি দেখতে পাওয়া যাবে? দিকে দিকে দেশে দেশে নয়া কারবালার পশ্চাদপটে কি ভেসে ওঠে কোন নতুন জিন্দেগীর দিশা? ইসলাম তো কারবালার পরই নতুন জীবন ফিরে পায়।এবার বিশ্বের ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ মক্কাশরীফে গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। মসজিদে নববীতে ১৫ হাজার আর মসজিদুল হারামে প্রায় ১২ লাখ মানুষ ইতেকাফ পালন করেন। ২৭ রমজান রাতে মক্কায় ইবাদত বন্দেগীতে কাটান ৫০ লাখ মানুষ। এবার সউদী বাদশাহ স্বয়ং কাবা সংলগ্ন স্থানে ইতেকাফে শরিক হন। এর আগে তিনি পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করতে মদীনা শরীফ যান। উন্নত প্রযুক্তিতে এবছরই প্রথম কাবাশরীফের অসাধারণ সব ছবি বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয়। আকাশ থেকে কাবার ছাদ আর পূর্ণ তাওয়াফ ও কিয়ামুল্লাইলের ছবি ধারন করা হয়। যেসব দেখে ইসলাম গ্রহণ করে বিশ্বব্যাপী শত সহস্র মানুষ। আমেরিকায় খতম তারাবির জামাত হয় তিন হাজার। আড়াইশ’ হাফেজ ছিলেন বাংলাদেশী। অসংখ্য হাফেজ আমেরিকার মাদরাসায় পড়ে কোরআন মুখস্থ করেছেন। ইউরোপে খতম তারাবির কোন সীমাসংখ্যা নেই। জাপানে বাংলাদেশী হাফেজরা তারাবিহ পড়াতে গিয়েছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে অসংখ্য ইমাম এখন বাংলাদেশী কুয়েত-কাতারে হাজার খানেক ইমাম বাংলাদেশী। এবার ঈদুল ফিতরের জামাত দেখে বোঝা মুশকিল ছিল, একি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনার জামাত না কি কোন আরব রাজধানীর? এসব জামাত ছিল মস্কোয়, লন্ডনে, ইটালি, জার্মানী, চীন, নিউইয়র্ক আর ওয়াশিংটনে। মক্কা, মদীনা, রাবাত, কায়রো, আম্মান, বাগদাদ, বাকু, করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ, দিল্লী, আহমদাবাদ, বাংলোর, বোম্বে, কলকাতা, ঢাকা, কুয়ালালামপুর ও জাকার্তা কোথাও কোন ছন্দপতন নেই। একই নামাজ, একই তাকবীর ধ্বনি, একই দুরূদ, একই মোনাজাত। বার্মিংহামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যপ্রাচ্যে থেকে সংগ্রহ করে নেয়া কিছু পান্ডুলিপি ও পূরাকীর্তি দীর্ঘ বছর পড়েছিল। এক গবেষক এসব ঘেটে বের করেছেন পবিত্র কোরআনের সর্বপ্রাচীন কিছু অংশ। তাদের কার্বন টেস্টে ধরা পড়েছে এ কাগজগুলোর বয়স কমপক্ষে ১৩৭০ বছর। বিজ্ঞানীদের মতে, এসব হযরত নবী করিম (সা.)-এর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এমন কোন ব্যক্তির হাতের লেখা। প্রক্রিয়াজাত হরিণের চামড়ায় হিজাজি লিপিতে তৈরি এ পান্ডুলিপি নুকতা ও যের, যবর, পেশ সংযুক্ত হওয়ার আগেকার। নবী করিম (সা.)-এর নিকট এ অংশটি নাজিল হয় অন্তত ১৪৪০ বছর আগে। বিজ্ঞানীদের আন্দাজ ১৩৭০ হলেও এর বয়স আরো বেশী হওয়ার সম্ভাবনার কথা তারাই বলেছেন। ঈদের পর জুমার রাতে ইন্টারনেটে পাওয়া পবিত্র মহাগ্রন্থের এ পাতাটি খুব মনযোগ দিয়ে দেখে বুঝতে পারি এটি সূরা তোয়াহার প্রথম দিককার ১৩টি আয়াত। আর সূরা মারইয়ামের শেষাংশ। দেখে আমার শরীর কেঁপে ওঠে। বিগলিত অন্তরে অশ্রুর ধারায় চলে যাই ইতিহাসের সে পবিত্র প্রাঙ্গণে। বলা তো যায় না, হয়ত এ পাতাটি হাতে পেয়েই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন হযরত ওমর (রা.)। ইতিহাস তো তাই বলে। তিনি তো নবী করিম (সা.) কে হত্যার উদ্দেশ্যে খোলা তরবারি হাতে বের হয়েছিলেন। যাচ্ছিলেন রাসূল (সা.) এর ঠিকানায়। পথে তাকে একজন প্রশ্ন করেছিলেন, কোথায় চললে হে ক্ষিপ্ত কোরেশ যুবক। জবাবে বলেছিলেন, দেবদেবীর বিরোধিতাকারী মুহাম্মদকে হত্যা করতে। সেই লোক তখন বলেছিলেন, মুহাম্মাদকে পরে হত্যা কর। আগে খবর নিয়ে দেখ তোমার পরিবারের কী অবস্থা। তোমার বোন ফাতিমা ও ভগ্নিপতি সাঈদ নাঈম ইসলাম গ্রহণ করেছে। হযরত ওমর ঘুরে দাঁড়ালেন। গেলেন বোনের বাড়িতে। শুনলেন ওরা যেন ভেতরে কী পাঠ করছে। দরোজা ধাক্কা দিলেন। হুংকার শুনে বোন ভগ্নিপতি কোরআনের পাতটি লুকিয়ে দরোজা খুলে দিলে ওমর অতর্কিত তাদের দু’জনকেই বেদম মারপিট শুরু করেন। ওমরের বোন ফাতিমা তখন তার স্বামীকে ঠেলে ঘর থেকে বের করে তার প্রাণ রক্ষা করেন। নিজে ক্ষিপ্ত বাঘিনীর মত বড়ভাই ওমরকে বললেন, জীবনে বহুবার তুমি আমাকে মেরেছ। তোমার চাপে বহুবিষয়ে আমরা মতও পাল্টেছি। কিন্তু এবার আমরা এমন এক মহাসত্যের সন্ধান পেয়েছি, জীবন গেলেও এ থেকে আমরা সরে যাব না। ভাইজান, তোমার হাতে যদি আমার মৃত্যুও হয় তবুও আমি হযরতকে ত্যাগ করব না। ইসলাম হাতে পেয়ে আবার কুফুরিতে ফিরে যাওয়ার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল। রক্তাক্ত-আহত বোন ফাতিমার মুখে এত দৃঢ় উচ্চারণ শুনে ওমর ভড়কে গেলেন। বললেন, আচ্ছা তোরা কী যেন তিলাওয়াত করছিলি। দে, ওটা আমাকে দে। বোন বললেন, এ হচ্ছে সদ্য নাজিল হওয়া কিছু আয়াত। কেবল পবিত্র মানুষেরাই এটি স্পর্শ করতে পারে। তুমি মুশরিক, তুমি এটি স্পর্শ করতে পার না। তখন ওমর বললেন, তাহলে আমাকে কী করতে হবে? ফাতিমা বললেন, তুমি গিয়ে গোসল করে প্রস্তুত হয়ে এসো। ওমর তাই করলেন। ভেজা চুল, স্নিগ্ধ দেহলতা, আপাত শান্ত ধীর সুস্থ ওমর। খাত্তাবপুত্র কোরেশী কূটনীতিক বীরকেশরী ওমর। নবী করীম (সা.) যে দু’জন লোকের হেদায়েত প্রাপ্তির বিষয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেছেন। আবু জাহেল ও ওমর। এদের একজনের অন্তরে এখন আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়েত কার্যকর হতে যাচ্ছে। বোন ফাতিমা বললেন, দেখ, ভাইজান, তুমি আমার সাথে যে আচরণই কর না কেন, কথা দাও কোরআনের এ পাতাটি তুমি নষ্ট করবে না। এর অবমাননা করবে না। ওমর ওয়াদা করলেন এবং বোনের কাছ থেকে লুক্কায়িত পৃষ্ঠাটি হাতে নিলেন। চোখ পড়ল ঐশী বাণী পাক কোরআনের এ জীবন্ত আয়াতগুলোর ওপর। পরম করুণাময় মহামহিম আল্লাহর নামে। তোয়াহা, কোরআন আমি আপনাকে বিপন্ন করার জন্য অবতীর্ণ করিনি হে মুহাম্মদ (সা.)। এ আমি নাজিল করেছি যারা আমাকে ভয় করে তাদের জন্য উপদেশ স্বরূপ। আমি তো পরম করুণাময়। আরশে অধিষ্ঠিত। আকাশ ও ভূম-লে যা কিছু আছে সবই আমার। একে একে আরো ক’টি আয়াত পড়ে স্থানুর মত হয়ে গেলেন ওমর। কাঁপছেন তিনি। এ কার কথা? কে এই করুণাময়। কে আমায় স্পর্শ করে বিগলিত করে ফেললেন তার বাণীর সুরে। বললেন, আমায় তোরা হযরতের কাছে নিয়ে চল। গেলেন, তাকে দেখে রাসূলের সহচরেরা সতর্ক হয়ে ওঠলেন। নগ্ন কৃপান হাতে ক্ষিপ্ত ওমরকে তারা বাধা দেবেন বলে ওঠে দাঁড়ালেন। হযরত (সা.) বললেন, আসতে দাও। ওকে তোমরা বাধা দিও না। ওমর এলেন। একনজর দেখলেন ত্রিভূবনের সুদর্শনতম নূরানী মুখবয়ব। উদ্যত কৃপান সঁপে দিলেন তার পদতলে। বললেন, আমাকে গ্রহণ করুন হে মহান। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। হযরত মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। হযরত তার বুকে হাত রেখে তাকে আশ্বস্ত করলেন। ওমর বললেন, গতকাল পর্যন্ত আমিই ছিলাম বড় বাধা। এখন আর কোন বাধা নেই। এখন থেকে আর গোপনে নয়, কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ পড়বেন আপনি। আমরা সঙ্গী হব। কাবায় ছুটে গিয়ে ঘোষণা দিলেন, এতদিন যত অন্যায়-অত্যাচার হয়েছে সবকিছুর অবসান চাই। খাত্তাবের পুত্র ওমর ইসলাম গ্রহণ করেছে। কেউ যদি তার পুত্রকন্যাকে এতিম আর স্ত্রীকে বিধবা বানাতে চায়, সেই আমার সামনে এসে দাঁড়াক। এ দিন থেকেই ইসলাম ও মুসলমানের জীবনে দৃশ্যমান অনেক পরিবর্তন এলো।জানি না কেন জানি আমার মনে হয় এটি কি সেই সূরা তোয়াহা। একি সেই লুকোনো পৃষ্ঠা। ওমর (রা.) যা নষ্ট না করার ওয়াদা করেছিলেন। মহান আল্লাহ কি দেড়হাজার বছর ধরে এটি হেফাজত করে রেখেছেন? বাগদাদের খলিফাদের পর আধুনিক সময়ে এটিই কি ইউরোপে চলে এলো? এত বছর পর হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সাথে শত বৈরিতা, নিন্দা, কৌতূক আর ঔদ্ধত্যে লিপ্ত ইউরোপের নেতৃবর্গ আর দুর্জন শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের কাছে নতুন কোন ইশারা নিয়েই কি এসেছে এই সূরা তোয়াহা। আল্লাহ ভাল জানেন। তবে হযরত ওমরের চিঠি নীলনদে বন্যা আনার মতই তার স্মৃতিধন্য পৃষ্ঠা যে ইউরোপে হেদায়েতের প্লাবন আনবে না তা-ইবা কে বলতে পারে। ঈদ উপলক্ষে ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথ দ্বিতীয় হঠাৎ প্রোগ্রাম করলেন মসজিদে যাবেন। প্রথমবারের মত রাজকীয় রীতি ভঙ্গ করে তিনি খালি পা হলেন। পবিত্রতা অর্জন করে বিনম্র শ্রদ্ধায় আনত নয়ন ও বিগলিত মন রাণী মাথায় টেনে দিলেন দীর্ঘ ওড়না। ঢুকলেন গিয়ে মসজিদে। চেহারায় তার অপূর্ব বিনয় ও ভক্তি। ছবি প্রচারিত হলে গোটা মুসলিম জাহানে নেমে আসে তার ইহ-পরকালীন পরম সাফল্যের জন্য হৃদয়নিংড়ানো দোয়া। মধ্যপ্রাচ্যের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উপচে পড়ে কল্যাণ কামনার প্রার্থনা আর হেদায়েতের মোনাজাতে। পৃথিবীর সব মানুষের অন্তরের মালিক যিনি তার পরিকল্পনা কারো জানা নেই। তিনি যা চান তাই করেন।  দু’চারজন থেকে শুরু হয়ে আজ প্রায় ২০০ কোটি মুসলমান। একটি থেকে শুরু করে আজ ৬০টি রাজধানী মুসলমানের। মক্কার পর কুফা, বাগদাদ, দামেস্ক দিল্লি যেমন ইসলামের জন্য ওয়াশিংটন, লন্ডন, সিডনি, প্যারিস, রোমও তেমন। প্রকৃতির মতই এর গতি। শান্তি ও ভালোবাসা এর শক্তি। মহান আল্লাহ বলেছেন, অবিশ্বাসীরা আমার নূরের প্রদীপকে ফুঁ দিয়ে নেভাতে চায়। আমি কিন্তু আমার আলোর জ্যোতিকে পূর্ণরূপেই প্রজ্বলিত করব। ওরা যতই অপছন্দ করুক। আমি আমার রাসূলকে পাঠিয়েছি সকল মত ও পথের উপর ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য। এটাই বাস্তবায়িত হবে। মুশরিকরা যতই অপছন্দ করুক।আল্লাহর রাসূল (সা.) কে নিয়ে যারা কূটক্তি ও বিষোদগার করছে তারা পরাজিত হবেই। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তারা শাস্তি পাবেই। যারা মানবপ্রকৃতি বিরোধী বিকৃত জীবনাচার আইন করে চালু করছে তারা বিলুপ্ত হবেই। গোটা ইউরোপ দ্রুতই ইসলাম গ্রহণ করবে। শত বিপর্যয়ের মুখেও বিশ্বব্যাপী ইসলামের জাগরণ এর আধ্যাত্মিক মহাশক্তি বলেই সংঘটিত হবে। ইসলাম তার অন্তর্নিহিত শক্তিতেই প্রতিষ্ঠিত হবে। ইনশাআল্লাহ এ সর্বপ্লাবী বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে। আপনি তৈরি তো!

    পশ্চিম টোকিওতে বিমান দুর্ঘটনায় জন নিহত

    পশ্চিম টোকিওতে একটি ছোট বিমান দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৫ জন।

    রোববার সকাল ১১টার দিকে বিমানটি চোফুর একটি আবাসিক এলাকাতে বিধ্বস্ত হয়, আহত বিমানের ৫ আরোহীর ভেতর পাইলটও রয়েছেন।

    টোকিও দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন ভূমিতে ৩টি বাড়ি ও ২টি গাড়িও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এ ছাড়াও অন্য দু’টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    টোকিও পুলিশ বলেছে বিমানের ২ জন নিহত হন। বিধ্বস্ত একটি বাড়ির ভেতর থাকা এক মহিলা নিহত হয়েছেন এবং অপর দু’জন আহত হন। তাদের আঘাত কতোটা গুরুতর সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

    বিরল রেকর্ড মুস্তাফিজের বৃষ্টি কেড়ে নিল বাংলাদেশের স্বপ্ন 

    চতুর্থ দিনেই তৈরি হয়েছিল চিত্রনাট্য, প্রথম তিন দিন দারুণ কিছুর সম্ভাবনা দেখানো ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৭৮ এবং তৃতীয় দিন শেষে ১৭ রানে বাংলাদেশের লিডের পরও যে বেরসিক বৃষ্টি বাধিয়েছে বাগড়া। এমন সম্ভাবনা দেখানো ম্যাচের  পরিণতি যে ধাবিত হচ্ছে ড্র-এ। চতুর্থ দিনের পুরোটা খেলাহীন কেটে যাওয়ায় সে পূর্বাভাসই দিয়েছিল চট্টগ্রাম টেস্টে। ম্যাচের চতুর্থ দিনে গড়ায়নি একটিও বল, পঞ্চম দিনের কাহিনীও এক। চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়েছে ম্যাচ রেফারী ক্রিস ব্রডকে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে, পীচ কাভার খোলা যেখানে সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে দেরি করে লাভ কি? কাঁটায় কাঁটায় দুপুর ১২টায় তাই ৫ম দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় ড্র-এ নিষ্পত্তি হলো চট্টগ্রাম টেস্ট। লাকি ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী  স্টেডিয়ামে টানা ৪টি টেস্টের একটিতেও ব্যর্থ হতে হয়নি। নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকার বিপক্ষে ড্র গর্বের ড্র-এর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়, সর্বশেষ সাফল্যটি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে  ড্র। ৯৩তম টেস্টে ৭ জয়ের পাশে ১৪তম ড্র এটি। বৃষ্টি বিঘিœত টেস্টে ড্র’র এটি ৮ম দৃষ্টান্ত। তবে  এক সময় বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে হাসাতো বাংলাদেশকে। এখন কাঁদায় বৃষ্টি। ইতোপূর্বে বৃষ্টি বিঘিœত ৭টি টেস্টের মধ্যে কেবল  ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে কর্তৃত্ব নিয়ে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিডে দারুণ কিছুর সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিন খেলাহীন চট্টগ্রাম টেস্টে বৃষ্টি বাধায় অবশিষ্ট তিন দিনের পুরোটা হয়নি খেলা। চতুর্থ ইনিংসে ২২৬’র চ্যালেঞ্জের মাঝপথেই ড্র’র প্রস্তাব দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ বছর পর সেই জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামেই দারুণ কিছুর সম্ভাবনার অপমৃত্যু ডেকে এনেছে বৃষ্টি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে নিজেদের সর্বোচ্চ ৭৮ রানের লিড,  মুস্তাফিজুর (৪/৩৭), জুবায়েরের (৩/৫৩) বোলিংয়ে প্রথম দিনেই টেস্টের নাম্বার ওয়ানদের অল আউটে বাধ্য করা ম্যাচে যেখানে তৃতীয় দিন শেষে ১৭ রানের লিডে নাটকীয় কিছুর আভাস, উইকেট থেকে স্পিনাররা যেভাবে পেয়েছে তৃতীয় দিন টার্নÑতাতে সাকিব, তাইজুল, জুবায়ের, মাহামুদুল্লা যখন রাঙাচ্ছে চোখ প্রোটিয়াদের, তখন চট্টগ্রাম টেস্টের সব উত্তেজনাই যে কেড়ে নিল বৃষ্টি! প্রথম তিন দিনে ৫২ ওভার ম্যাচহীন থাকার হিসেবটা শেষ ২ দিনে মেলানোর সুযোগটাও যে দিল না বাংলাদেশকে বৃষ্টি। তবে বাংলাদেশের স্বপ্ন বৃষ্টি কেড়ে নিলেও বৃষ্টি বিঘিœত এই ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড কিন্তু দেখেছে বিশ্ব। দুই ভার্সনের ক্রিকেটে অভিষেকে ম্যান অব দ্য ম্যাচের কৃতিত্ব নেই কারো। ওয়ানডে অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ মুস্তাফিজুর টেস্ট অভিষেকেও এমন কৃতিত্বে নতুন ইতিহাস করেছেন রচনা। ২ বছর আগে এই ভেন্যু থেকেই সোহাগ গাজীর বিস্ময় অল রাউন্ড দ্যুতিতে দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব বিশ্বরেকর্ড। সেঞ্চুরির পাশে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেটের সেই রেকর্ডে এখনো একা সোহাগ গাজী। মুস্তাফিজুরের রেকর্ডটিও এলো সেই ভেন্যু থেকে। তবে ড্রেসিংরুমের সামনে  পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নেয়ার দৃশ্যটি যে দেখতে পারলো না দর্শক। বাংলাদেশের এই ১৯ বছরের তরুণের কৃতিত্বে হাততালিও যে দিতে পারল না কেউ। এমন দৃশ্য দেখার অন্তরায়ও বৃষ্টি ! টেস্ট অভিষেকে ম্যান অব দ্য ম্যাচে এক ভেন্যু থেকে দ্বিতীয় বাংলাদেশীকেও যে দেখালো জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাঁ হাতি স্পিনার  ইলিয়াস সানির (৬/৯৪) কৃতিত্বের ৪ বছর পর টেস্ট অভিষেকে মুস্তাফিজুর বিস্ময়ে (৪/৩৭) আর একজন অভিষিক্ত ম্যান অব দ্য ম্যাচকে যে দেখল বিশ্ব। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্ট অভিষেকে ৪ কীর্তিমানের ম্যাচ সেরার তালিকায় জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লু (২০০১এ বুলাওয়ে টেস্ট) এবং আশরাফুলের (২০০১এ কলোম্বো টেস্ট) পর ইলিয়াস সানি এবং মুস্তাফিজুরের নাম হয়েছে যুক্ত। তবে প্রথম ২ জনের কৃতিত্বের ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ, শেষ ২ জনের কৃতিত্বপূর্ণ ঘটনায় ড্র’Ñএবং ২টিই আবার বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে !

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুল ফুটলো জাপানে

    পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো ও বড় প্রজাতির ফুল ফুটেছে জাপানের টোকিওর একটি পার্কে।
    টোকিওর জিন্দাই বোটানিকাল গার্ডেনে প্রস্ফূটিত টাইটান আরুম নামে এই বিশালাকার ফুলটি দেখতে ভিড় জমছে লোকদের।
    বিবিসি’র খবরে প্রকাশ করা হয়েছে, পাঁচ বছরে প্রথমবারের মতো ফুটেছে এই ফুল।
    প্রায় দুই মিটার বা সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম টাইটান আরুম। কদাচিত এটি ফোটে।
    ফোটার পর ফুলটি দেখার জন্য আগ্রহী শত শত দর্শনার্থীর কথা ভেবে জিন্দাই বোটানিকাল কর্তৃপক্ষ প্রদর্শনীর সময় বাড়িয়েছে।
    জাপানের কিয়োডো সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়, এই ফুল প্রস্ফূটিত অবস্থায় এক-দুই দিনের বেশি থাকেনা।
    ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ হল এই ফুলের প্রজাতির আদি নিবাস।
    সুমাত্রায় সমুদ্রপৃষ্ঠের ৪০০ থেকে ১২০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের ধাপে জন্মায় এই ফুলের গাছ। এটি এখন বিলুপ্তির পথে।

    অলিম্পিক প্রস্তুতির কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন আবে

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের প্রতি ২০২০ টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমস’র প্রস্তুতির জন্যে কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

    শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স বৈঠকে মিলিত হয়।

    প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এখন থেকে ঠিক ৫ বছর পর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।

    আবে আশা প্রকাশ করে বলেন অলিম্পিক গেমটি বিশ্বের সকল মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার ভাগ করে নেয়ার একটি অনুষ্ঠানে পরিণত হবে। তিনি বলেন, জাপান ২০১১র বিপর্যয় যে পুরোপুরি ভাবে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে সেটিও বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার সুযোগ এটি।

    তিনি যথাসময়ে যাতে নতুন জাতীয় স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয় তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রীদেরকে নির্দেশ দেন।

    টাস্ক ফোর্স সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং সাইবার হামলা ঠেকানো সহ সার্বিক একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করবে।

    প্রধান দুই দলের চালচিত্র হতাশায় ডুবছে বিএনপি 

    বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী বলে অভিহিত করেন অনেকে। ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও এই এলাকার গুরুত্ব সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কর্মকা-ের ওপর নির্ভর করে নগরীর সার্বিক পরিস্থিতি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই দুই প্রধান দলের বন্দরনগরীর রাজনীতির হালচাল কেমন এবং অদূর ভবিষ্যতে তা কোন দিকে গড়াতে পারে এ সব বিষয় তুলে ধরেছেন রফিকুল ইসলাম সেলিম। হতাশায় ডুবছে বিএনপিচট্টগ্রাম মহানগরীতে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থাও এখন খুবই নাজুক। বড় নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, বিরোধে কর্মীরাও বিভক্ত। সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে জুলুম-নির্যাতন আর মামলা-হামলার শিকার হয়ে বিপর্যস্ত দলের নেতাকর্মীরা। ৫ জানুয়ারীর একতরফা নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে চট্টগ্রাম অচল হলেও তার সুফল পায়নি বিএনপি। বরং মামলা, হুলিয়া আর জেল-জুলম জুটেছে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভাগ্যে। গেল ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টানা তিন মাসের আন্দোলনেও এখানকার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জীবনবাজি রেখে মাঠে ছিলেন। ফল হিসাবে মামলা আর হুলিয়ার সংখ্যাই শুধু বেড়েছে। কারাবন্দি হতে হয়েছে শত শত নেতাকর্মীকে। একদিনেই তিনশ’ নেতাকর্মীকে কারাবন্দি করে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে সরকার। মামলা হুলিয়া নিয়ে শত শত নেতাকর্মী কারাগারে কিংবা আদালতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের অভিযোগ দলের নেতাদের কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা। নেতাদের কেউ কেউ এসব মজলুম কর্মীদের সাথে দেখাও করছেন না। সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে এই দলটি। এরপরও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলের পক্ষে আছেন। তারা কখনো মাঠ ছেড়ে যাননি। এই চরম দুঃসময়েও নেতাদের মধ্যে বিরোধ বিভক্তি প্রকট। আন্দোলনের সময়ে চট্টগ্রামের অনেক বড় বড় নেতাকে রাস্তায় দেখা যায়নি। তাদের কেউ ঢাকায় বসে কীভাবে আন্দোলন ভ-ুল করে দেওয়া যায় সে অপকৌশল গ্রহণ করেন। আন্দোলনে সব নেতা এক কাতারে মাঠে নামতে পারলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো বলেও মনে করেন কর্মীরা। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বড় নেতাদের প্রতি অবিশ্বাস ও অনাস্থাও প্রকট। নগর বিএনপির সাংগঠনিক কাঠোমোও এখন নড়বড়ে। বিগত ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ৫ সদস্যের নগর কমিটি গঠন করে দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। ওই কমিটির সহ-সভাপতি দস্তগীর চৌধুরী মারা গেছেন। এখন ৪ সদস্যের কমিটি দিয়ে চলছে নগর বিএনপি। বেশ কয়েকবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। কাউন্সিলের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরোধে ওই কাউন্সিল প- হয়। সেই থেকে ওই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ লেগেই আছে। মেয়র নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনজুর আলমের পক্ষে দুই নেতা একসাথে মাঠে নামলেও নির্বাচনের পর ফের তারা দুই মেরুতে। কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও আবদুল্লাহ আল নোমান নগরীতে বিএনপির অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। এসব অনুষ্ঠানে নগর বিএনপির কোনো নেতাকে দেখা যায় না। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথেও নগর সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সম্পর্ক শীতল। ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে দুই নেতার অনুসারীদের বিরোধ প্রকাশ পায়। দলের অপর কেন্দ্রীয় নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, গোলাম আকবর খোন্দকার, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমও নগর বিএনপিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। তাদের অনুসরারীর সংখ্যাও কম নয়। তবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান এখানকার রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে গরহাজির। নেতাকর্মীরাও তাকে খুঁজে পান না। কর্মীদের অভিযোগ দলের সুসময়ে যেসব নেতা শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন দুঃসময়ে তারা এখন নিজেদের আড়ালে রেখেছেন। তৃণমূলের কর্মীরা বলছেন, বিএনপির সাংগঠনিক ভিত অতীতে কখনো তেমন মজবুত ছিল না। এই দলের প্রাণশক্তি হলো কর্মী-সমর্থক তথা জনগণ। নেতারা এককাতারে এসে জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারলে জনতা তাদের পেছনে কাতারবন্দি হবে। আর তখনই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।

    ফযীলতপূর্ণ দিবস-রজনী : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা

    একটি মসজিদে ‘ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ’ শিরোনামে একটি তালিকা নজরে পড়ল। তাতে কিছু আছে ইসলামে স্বীকৃত মহিমান্বিত দিবস-রজনী, আবার কিছু আছে আবিষ্কৃত রসম-রেওয়াজ এবং ইসলামী ইতিহাস বিষয়ে না জানার ভুল। সমাজের বিভিন্ন মহলে এসব দিবস-রজনী বিশেষভাবে পালিত হতেও দেখা যায়। কোনো কোনো দিবস এমন আছে, যেগুলোতে সরকারী ছুটি থাকে অথচ ইসলামে সে সকল দিবস স্বীকৃত নয়। আর এসব দিবস-রজনী বিভিন্ন অনির্ভরযোগ্য পুস্তক-পুস্তিকায়ও দেখা যায়। তাই তালিকাটির উপর একটি পর্যালোচনা সংগত মনে হল। এ পর্যালোচনায় তালিকার ভুলগুলোও যেমন উল্লেখ করা হয়েছে তেমনি ইসলামে স্বীকৃত দিবস-রজনী বিষয়ে প্রয়োজনীয় কিছু কথাও আলোচনা করা হয়েছে। যাতে স্বীকৃত বিষয়েও কেউ ভুলের শিকার না হন। প্রথমে তালিকাটি উল্লেখ করছি।

    ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ

    (যেমনটা ঐ তালিকায় দেওয়া হয়েছে)

    ১. ১ লা মুহাররম : হিজরী নববর্ষ

    ২. ৯ ই মুহাররম : আশুরার রোযা

    ৩. ১০ ই মুহাররম : আশুরা

    ৪. সফরের শেষ বুধবার : আখেরী চাহার শোম্বাহ

    ৫. ১২ই রবিউল আউয়াল : নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্ম ও ওফাত দিবস

    ৬. রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার  : লায়লাতুর রাগায়েব

    ৭. ১৫ই রজব : শবে এস্তেফতাহ

    ৮. ২৭ শে রজব : লাইলাতুল মিরাজ

    ৯. ১৫ই শাবান : লাইলাতুল বরাত

    ১০. ২১, ২৩, ২৫,২৭ ও ২৯ শে রমযান : লাইলাতুল কদর

    ১১. ১লা শাওয়াল : ঈদ-উল-ফিত্র

    ১২. ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ যিলহজ্ব : আইয়ামে তাশরীক

    ১৩. ৯ই যিলহজ্ব : ইয়াওমুল আরাফা হজ্ব দিবস

    ১৪. ১০ই যিলহজ্ব : ঈদ-উল-আযহা

    ১৫. প্রতি মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখ : আইয়ামে বীজ (রোযা রাখা সুন্নত)

    এই তালিকার শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল, ‘ইসলামী ফযীলতপূর্ণ দিবস-রজনী’। কারণ প্রতিটি দিনই পবিত্র, কোনো দিনই অপবিত্র বা অশুভ নয়। হাঁ, দিনসমূহের মধ্যে ঐ দিনগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতপূর্ণ, কুরআন হাদীসে যেগুলোর বিশেষ ফযীলত উল্লেখিত হয়েছে। সুতরাং পবিত্র না বলে ফযীলতপূর্ণ বলা উচিত। নিচে এই তালিকার উপর সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা পেশ করা হল ।

    ১. ১ লা মুহাররম : হিজরী নববর্ষ

    প্রথম কথা হল, ১লা মুহাররম হিজরী বর্ষের প্রথম দিন। কিন্তু এটা ‘ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ’ বা ‘ইসলামী ফযীলতপূর্ণ দিবস-রজনী’ শিরোনামে আসবে কিনা সেটা ভাববার বিষয়। ইসলামী ফযীলতপূর্ণ দিবস হতে হলে কুরআন-সুন্নাহয় তার আলাদা ফযীলত উল্লেখ থাকতে হবে।  এছাড়া এখানে হিজরী নববর্ষ শব্দ থেকে কেউ বুঝতে পারে যে, অন্যান্য জাতি যেমন নববর্ষ উদযাপন করে, হিজরী নববর্ষও মুসলমানদের জন্য সে রকম উদযাপনের দিবস। অথচ ইসলামে নববর্ষ, বর্ষপূর্তি কিংবা জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার কোনো বিধান নেই।   তবে চান্দ্রমাস ও বছরের সাথে যেহেতু  রোযা, হজ্ব, ঈদুল ফিত্র, ঈদুল আযহা ও যাকাতসহ বহু ইবাদাত ও শরয়ী বিধিবিধান সম্পৃক্ত এ জন্য এর হেফাযত ও চর্চা রাখা ফরযে কেফায়া। এবং এ ব্যাপারে শিথিলতা প্রদর্শন করা জাতীয় আত্মমর্যাদাবোধ হ্রাস বা বিলুপ্তিরই নামান্তর।

    ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর দাদা তাঁর পিতাকে পারস্যের নওরোযের দিন (নববর্ষের দিন) আলী রা.-এর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং কিছু হাদিয়াও পেশ করেছিলেন। (হাদিয়াটি ছিল নওরোয উপলক্ষে ফলে) আলী রা. বললেন, ‘‘নওরোযুনা কুল্লা ইয়াওম’’ মুমিনের প্রতিটি দিনই তো নববর্ষ। (আখবারু আবি হানিফা,সয়মারী) অর্থাৎ মুমিন প্রতিদিনই তার আমলের হিসাব নিকাশ করবে এবং নব উদ্যমে আখেরাতের পাথেয় সংগ্রহ করবে।

    ২-৩. ৯ ই মুহাররম : আশুরার রোযা, ১০ ই মুহাররম : আশুরা

    এই উপস্থাপন থেকে মনে হয় যে, ৯ই মুহাররম আশুরার রোজা আর ১০ই

    মুহাররম শুধুই আশুরা;এই দিনে রোজার কোনো বিষয় নেই। আসলে আশুরার রোযা তো মূলত ১০ই মুহাররমের রোযা। কারণ সেদিনই হল আশুরা। তবে ইহুদীদের সাদৃশ্য থেকে বাঁচার জন্য হাদীসে আশুরার দিনসহ তার আগে বা পরে একদিন মিলিয়ে দুইটি রোজা রাখার কথা এসেছে। (দ্র. সহীহ মুসলিম ১/৩৫৯; মুসনাদে আহমাদ ১/২৪১)

    উল্লেখ্য, ১০ ই মুহাররমের গুরুত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকে নানা ভিত্তিহীন কথা বলে থাকেন। যেমন, এ দিনে হযরত ইউসুফ আ. জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। হযরত ইয়াকুব আ. চোখের জ্যোতি ফিরে পেয়েছেন। অনেকে বলে, এ দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। হযরত ইউনুস আ. মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। হযরত ইদরীস আ.কে আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে ইত্যাদি। এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। -আল আসারুল মারফুআ, আবদুল হাই লখনবী ৬৪-১০০; মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ ফী আয়্যামিস সানাহ ২৫৩-২৫৭

    এ দিনের একটি সহীহ ঘটনা হল, আল্লাহ তায়ালা তাঁর কুদরতে বনী ইসরাইলের জন্য সমুদ্রে রাস্তা বের করে দিয়েছেন এবং তাদেরকে নিরাপদে পার করে দিয়েছেন। আর একই রাস্তা দিয়ে ফেরাউন ও তার অনুসারীদের ডুবিয়ে মেরেছেন।-সহীহ বুখারী ১/৪৮১

    আর এ মাসের একটি ঘটনা শাহাদাতে হুসাইন রা.। বলাবাহুল্য, উম্মতের জন্য এই শোক সহজ নয় । কিন্তু একে কেন্দ্র করে তাজিয়া, শোকর‌্যালি, শোকগাঁথা পাঠ, বুক চাপড়ানো, হায় হোসেন হায় হোসেন করা -এগুলো সবই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত হোসাইন রা. ও আহলে বাইতের আদর্শের পরিপন্থী।

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই যারা মুখ চাপড়ায়, কাপড় ছিড়ে এবং জাহেলী যুগের কথাবার্তা বলে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৩; সহীহ বুখারী, হাদীস ১২৯৭; মুসনাদে আহমাদ, হা.৪৩৬১

    ৪. সফরের শেষ বুধবার : আখেরী চাহার শোম্বাহ

    বহু মানুষ সফর মাসের শেষ

    বুধবারকে একটি বিশেষ দিবস গণ্য করে এবং এতে বিশেষ আমল আছে বলে মনে করে। ‘মকসুদুল মোমিনীন’ ও ‘বার চান্দের ফযীলত’ এবং এ জাতীয় যেসব অনির্ভরযোগ্য পুস্তক-পুস্তিকা এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে প্রচলিত, তাতে এই বিষয়টি রয়েছে।

    (মকছুদুল মুমিনীন, বার চান্দের ফযীলত জাতীয় অনির্ভরযোগ্য বইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী) সফর মাসের শেষ

    বুধবারকে আখেরী চাহার শোম্বাহ বলে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের শেষ দিকে একবার এক ইহুদীর যাদুর কারণে ভীষণ অসুস্থ হন এবং এই দিনে একটু সুস্থতা বোধ করেন এবং গোসল করেন ও মসজিদে জামাতে শরিক হন। খুশি হয়ে হযরত ওসমান রা. তাঁর নিজ খামারের ৭০টি উট জবাই করে গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। খুশিতে আত্মহারা সাহাবীগণ আনন্দ প্রকাশ ও শুকরিয়া আদায় করেছিলেন রোযা রেখে, নফল নামায পড়ে এবং হামদ-নাত গেয়ে। সুতরাং এটা মুসলমানদের খুশির দিন এবং তা উদযাপনের একটি দিবস।

    এ ছাড়াও এ জাতীয় বইগুলোতে এ দিনের বিভিন্ন করণীয় উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন যেমনটি ভিত্তিহীন উপরোক্ত বিবরণ। কারণ-

    ১. হাদীস বিশারদ ও ইতিহাসবিদ কারো মতেই সুস্থতার তারিখ সফরের আখেরী চাহার শোম্বা ছিল না। (দ্র. ফাতহুল বারী ১০/২৩৭ : আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া ২/১৫৪; শরহুয যুরকানী ৯/৪৪৬-৪৪৭)

    ২. জাদুর ঘটনা হাদীস ও সীরাত-গ্রন্থসমূহে বিস্তারিতভাবে এসেছে। কিন্তু কোথাও জামাতে শরীক হতে না পারা ও জাদুর প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার পর গোসলের কথা নেই।

    ৩. রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত হয়েছে সোমবারে। এর চার-পাঁচদিন পূর্বে তাঁর সুস্থতার জন্য যে সাত কুঁয়া থেকে সাত মশক পানি আনা হয়েছিল এবং সুস্থতার জন্য তার দেহ মোবারককে ধৌত করা হয়েছিল তা কি বুধবারের ঘটনা না বৃহস্পতিবারের? ইবনে হাজার ও ইবনে কাছীর একে বৃহস্পতিবারের ঘটনা বলেছেন। (দ্র. ফাতহুল বারী ৭/৭৪৮, কিতাবুল মাগাযী ৪৪৪২; আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪/১৯৩; সীরাতুন নবী, শিবলী নুমানী ২/১১৩)

    ৪. যদি বুধবারের ঘটনা হয়ে থাকে তবে সফর মাসের শেষ বুধবার কীভাবে হচ্ছে? রসমের পৃষ্ঠপোষকতাকারীগণ সকলে ইন্তেকালের তারিখ বারো রবিউল আওয়াল বলে থাকেন। সোমবার যদি বারো রবিউল আওয়াল হয়ে থাকে তাহলে এর পূর্বের বুধবার তো সফর নয়, রবিউল আওয়ালেই হচ্ছে।

    ৫. রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অনেক মুসিবত এসেছে। আল্লাহ তাআলা তাঁকে নাজাত দিয়েছেন। তায়েফ ও অহুদে আহত হয়েছেন, আল্লাহ তাকে সুস্থ করেছেন। একবার ঘোড়া থেকে পড়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছেন, যার কারণে মসজিদে যেতে পারেননি, আল্লাহ তাঁকে সুস্থ করেছেন। তাঁর সুস্থতা লাভের এই সব আনন্দের স্মৃতিগুলোতে কি দিবস উদ্যাপনের কোনো নিয়ম আছে? তাহলে আখেরী চাহার শোম্বাহ, যার কোনো ভিত্তি নেই, তা কীভাবে উদযাপনের বিষয় হতে পারে?

    আলকাউসার মার্চ ২০০৮ সংখ্যায় ‘প্রচলিত ভুল’ পাতায় ‘আখেরী চাহার শোম্বাহ কি উদযাপনের দিবস’  শিরোনামে এ বিষয়ে আরো   বিস্তারিত  লেখা হয়েছে।

    ৫. ১২ই রবিউল আউয়াল : নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্ম ও ওফাত দিবস

    ইতিহাস ও সিরাতের কিতাবের উপর যাদের নযর আছে তারা জানেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও ওফাতের তারিখ কোনোটিই নিশ্চিতভাবে ১২ রবিউল আওয়াল বলা ঠিক নয়। অনেক গবেষকই জন্মতারিখ ৯ই রবিউল আউয়াল সোমবার ও ওফাতের তারিখ ২ রবিউল আউয়াল সোমবার-কে তারজীহ দিয়েছেন (সবচেয়ে সহীহ বলেছেন)। (দ্র. ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার আসকালানী খ. ৮ পৃ.৭৬৩ কিতাবুল মাগাযী,বাব ৮৩; রাহমাতাল লিল আলামীন, কাজী মুহাম্মাদ সুলাইমান সালমান মানসুরপুরী খ.১ পৃ.৩৫; আসাহহুস সিয়ার পৃ.৫৫০-৫৫২; মাকালাতুল কাউছারী পৃ. ৩৬২-৩৭০;আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া খ. ৪ পৃ. ২২৭-২৩০

    সে যাই হোক ইসলামে জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করার কোনো অনুমতি নেই। কোনো সাহাবী, তাবেয়ী, ইমাম, উলামায়ে উম্মাহ কেউ এমনটি করেন নি; বরং করাকে বিদআত বলেছেন। সুতরাং তা পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার রসম-রেওয়াজ ও বিদআত থেকে হেফাজত করুন। এগুলোর পিছনে না পড়ে পুরোপুরি সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন।

    ৬. রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার  : লায়লাতুর রাগায়েব

    এটা একটা আবিস্কৃত রজনী। শরীয়তে এর কোনো  ভিত্তি নেই। এ বিষয়ে প্রথম কথা হল, এখানে বৃহস্পতিবারকে লাইলাতুর রাগায়েব বলা হয়েছে। অথচ ‘লাইলাতুন’ অর্থ রাত। ফলে একটি ভুল বিষয় বলতে গিয়ে আরেকটি ভুল করেছেন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত-এর স্থলে সরাসরি বৃহস্পতিবার বলে দিয়েছেন। আর যে ভিত্তিহীন বর্ণনার আলোকে তা আবিষ্কার করা হয়েছে তা এই-

    ১. যারা রজব মাসে রোযা রাখে তাদের গুনামাফীর জন্য ফেরেশতাকুল রজবের প্রথম জুমআর রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দুআয় মগ্ন থাকেন।

    ২. যে ব্যক্তি রজবের প্রথম বৃহস্পতিবার রোযা রাখে অতপর মাগরিব ও ইশার মাঝখানে দু’ রাকাত করে (বিশেষ পদ্ধতিতে) বার রাকাত নামায আদায় করে তার সকল প্রয়োজন  পূরণ করা হয় এবং তার সকল গোনাহ মাফ করা হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা, বালুকণা, পাহাড়ের ওজন এবং বৃক্ষের পাতার সমপরিমাণ হয়। আর কিয়ামতের দিন সে তার পরিবারের সাতশ গোনাহগার জাহান্নামের উপযোগী মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

    এ দুই বানোয়াট রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে প্রয়োজন পূরণের কথিত এ রাতের নাম রাখা হয়েছে ‘লাইলাতুর রাগায়েব’ আর বিশেষ পদ্ধতির নামাযের নাম রাখা হয়েছে ‘সালাতুর রাগায়েব’।

    ইবনে রজব হাম্বলী রহ. বলেছেন, সালাতুর রাগায়েব ও এর ফযীলত সম্পর্কিত হাদীস বানোয়াট ও মিথ্যা। আবু ইসমাইল আনসারী, আবু বকর সামআনী, আবুল ফযল ইবনে নাসির, ইবনুল জাওযী সকলেই এ সংক্রান্ত রেওয়ায়াতকে ভিত্তিহীন বলেছেন।-লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃ. ১৭১; মা সাবাতা বিস্সুন্নাহ ফী আইয়ামিস সানাহ,পৃ. ১৮০

    ৭. ১৫ই রজব : শবে এস্তেফতাহ

    ‘শবে এস্তেফতাহ’ অর্থ নতুন করে শুরু করার রজনী। ‘শব’ অর্থ রাত আর ‘এস্তেফতাহ’ অর্থ নতুন করে শুরু করা।

    এখানেও ১৫ রজব বলতে ১৫ এর দিবস উদ্দেশ্য নয়; বরং রাত। অর্থাৎ ১৪ই রজব দিবাগত রাত।

    একটি জাল বর্ণনার উপর ভিত্তি করে এ রাতের আবিষ্কার। বর্ণনাটি হল, ‘এ রাতে চার রাকাত নামায বিশেষ নিয়মে আদায় করে নির্দিষ্ট পরিমাণ দুরূদ, তাসবীহ-তাহমীদ ও তাহলীল আদায় করলে আল্লাহর পক্ষ হতে তার নিকট এক হাজার ফেরেশতা পাঠানো হয়। যারা ঐ ব্যক্তির জন্য নেকী লিখতে থাকেন এবং ঐ রাত পর্যন্ত যত গুনাহ সে করেছে সব মাফ করে দেন। অবশেষে তার কাঁধে হাত রেখে একজন ফেরেশতা বলেন, তুমি নতুন করে আমল শুরু কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন …।’

    গুনাহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে নতুন করে আমল শুরু করার এই বানোয়াট বর্ণনার কারণেই সম্ভবত এই রাতের নাম রাখা হয়েছে   ‘শবে ইস্তেফতাহ’।

    উল্লেখিত বর্ণনা ছাড়াও এ রাত সম্পর্কে এ ধরনের আরো ভিত্তিহীন বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু আসল কথা হল, শরীয়তে ‘শবে ইস্তেফতাহ’ নামে বিশেষ কোনো রাতের অস্তিত্বই নেই। ইবনে রজব হাম্বলী রহ. বলেন, রজব মাসের বিশেষ পদ্ধতির নামাযের কোনো বর্ণনাই প্রমাণিত নয়।-লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃ. ১৭১

    ৮. ২৭ শে রজব : লাইলাতুল মিরাজ

    এ রাতকে লাইলাতুল মিরাজ বা শবে মিরাজ বলা হয়ে থাকে। কোনো কোনো পুস্তক-পুস্তিকায় স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে এবং সাধারণ জনগণের মাঝে তা প্রসিদ্ধ যে, মিরাজের ঘটনা রজব মাসের ২৭ তারিখে সংঘটিত হয়েছিল। এ কথাটি শুধু ইতিহাসের একটি বর্ণনার ভিত্তিতে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যার সনদ সহীহ নয়। অন্যথায় এটি কোনো নির্ভরযোগ্য ইতিহাস দ্বারাও প্রমাণিত নয়, হাদীস শরীফ কিংবা কোনো সাহাবীর উক্তি দ্বারা তো নয়ই। নির্ভরযোগ্য সূত্রে শুধু এটুকুই পাওয়া যায় যে, মিরাজের ঘটনা হিজরতের এক বা দেড় বছর আগে সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু মাস, দিন, তারিখের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোনো দলীল নেই।

    অনেক আলেম বলেছেন, মিরাজের রাত নিঃসন্দেহে একটি বরকতময় রাত ছিল কিন্তু এই রাতে যেহেতু বিশেষ কোনো আমল বা ইবাদত উম্মতের জন্য বিধিবদ্ধ হয়নি তাই  এর দিন-তারিখ সুনির্দিষ্টভাবে সংরক্ষিত থাকেনি। -আলমাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ ও শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যাহ ৮/১৮-১৯; আলবিদায়া ওয়াননিহায়া, ইমাম ইবনে কাছীর ২/৪৭১; লাতাইফুল মাআরিফ, ইমাম ইবনে রজব ১৩৪; ইসলাহি খুতুবাত, আল্লামা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী ১/৪৬-৪৮

    রজব মাস যেহেতু কুরআনে বর্ণিত চার সম্মানিত মাসের একটি সুতরাং এর পুরোটাই বরকতময়। তাই এ মাসের সবকটি দিন ও সবকটি রাতেই ইবাদাত বন্দেগীর ব্যাপারে যত্নবান হওয়া উচিৎ। কিন্তু এর ২৭ তারিখ যেহেতু শবে মিরাজ হিসেবে প্রমাণিত নয় তাই এ রাতকে বিশেষ ইবাদাতের জন্য নির্দিষ্ট না করা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট রসম রেওয়াজও ত্যাগ করা উচিত।

    ৯. ১৫ই শাবান : লাইলাতুল বরাত

    ১৫ই শাবান অর্থাৎ ১৪ই শাবান দিবাগত রাত। হাদীস শরীফে এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান’ বলা হয়েছে। এর ব্যাপারে সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান  হল, এ রাতের ফযীলত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সম্মিলিত কোনো রূপ না দিয়ে এবং এই রাত উদযাপনের বিশেষ কোনো পন্থা উদ্ভাবন না করে বেশি ইবাদত করাও নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণিত। এই রাতকে অন্য সব সাধারণ রাতের মত মনে করা এবং এ রাতের ফযীলতের ব্যাপারে যত হাদীস এসেছে তার সবগুলোকে ‘মওযূ’ বা ‘যয়ীফ’ মনে করা যেমন ভুল তেমনি এ রাতকে শবে কদরের মত বা তার চেয়েও বেশি ফযীলতপূর্ণ মনে করাও একটি ভিত্তিহীন ধারণা। বাড়াবাড়ি ছাড়াছাড়ি কোনটিই উচিত নয়। যতটুকু ফযীলত প্রমাণিত এ রাতকে ততটুকুই গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং এ কেন্দ্রিক সকল রসম-রেওয়াজ পরিহার করা উচিত।

    এ রাত ও তার আমল সম্পর্কে হাদীসের নির্ভরযোগ্য বর্ণনা নিম্নরূপ :

    ১.

    عن مالك بن يخامر عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميعخلقه إلا لمشرك أو مشاحن، رواه ابن حبان وغيره ورجاله ثقات وإسناده متصل على مذهب مسلم الذي هو مذهب الجمهور فيالمعنعن ولم يجزم الذهبي بأن مكحولا لم يلق مالك بن يخامر كما زعم وإنما قاله على سبيل الحسبان، راجع : سير أعلام البلاء.

    মুআয ইবনে জাবাল রা. বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে মাফ করে দেন।’’- সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৫৬৬৫

    এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ হচ্ছে যে, এ রাতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাতের দ্বার ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত হয়। কিন্তু শিরকী কাজকর্মে লিপ্ত ব্যক্তি এবং অন্যের ব্যাপারে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষ এই ব্যাপক রহমত ও সাধারণ ক্ষমা থেকেও বঞ্চিত থাকে।

    হাদীসটির সনদ সহীহ। এজন্যই ইমাম ইবনে হিববান একে ‘কিতাবুস সহীহ’এ বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ হাদীসটিকে পারিভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘হাসান’ বলেছেন; কিন্তু হাসান হাদীস সহীহ তথা নির্ভরযোগ্য হাদীসেরই একটি প্রকার।

    ইমাম মুনযিরী, ইবনে রজব, নূরুদ্দীন হাইসামী, কাসতাল্লানী, যুরকানী এবং অন্যান্য হাদীস বিশারদ এই হাদীসটিকে আমলযোগ্য বলেছেন। দেখুন, আততারগীব ওয়াততারহীব ২/১১৮, ৩/৪৫৯; লাতায়েফুল মাআরিফ ১৫১; মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/৬৫; শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যা ১০/৫৬১

    বর্তমান সময়ের প্রসিদ্ধ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী রাহ. ‘‘সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা’’ ৩/১৩৫-১৩৯-এ এই হাদীসের সমর্থনে আরো আটটি হাদীস উল্লেখ করার পর লেখেন-

    وجملة القول أن الحديث يمجموع هذه الطريق صحيح بلا ريب والصحة تثبت بأقل منها عددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كماهو الشأن في هذا الحديث.

    ‘‘এ সব রেওয়ায়াতের মাধ্যমে সমষ্টিগতভাবে এই হাদীসটি নিঃসন্দেহে সহীহ প্রমাণিত হয়।’’ এরপর শায়খ আলবানী রাহ. ওই সব লোকের বক্তব্য খন্ডন করেন যারা কোনো ধরনের খোঁজখবর ছাড়াই বলে দেন যে, শবে বরাতের ব্যাপারে কোনো সহীহ হাদীস নেই।

    ২. ‘‘হযরত আলা ইবনুল হারিস রাহ. থেকে বর্ণিত, আয়েশা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাযে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হল তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা অথবা বলেছেন, ও হুমাইরা, তোমার কি এই আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশংকা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জান এটা কোন্ রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন ইরশাদ করলেন-

    هذه ليلة النصف من شعبان إن الله عز وجل يطلع على عباده في ليلة النصف من شعبان فيغفر للمستغفرين ويرحم المسترحمينويؤخر أهل الحقد كما هم.

    ‘‘এটা হল অর্ধ-শাবানের রাত। (শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত।) আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’’-শুয়াবুল ঈমান, বাইহাকী ৩/৩৮২-৩৮৩

    ইমাম বাইহাকী রাহ. এই হাদীসটি বর্ণনার পর এর সনদের ব্যাপারে বলেছেন-

    هذا مرسل جيد

    এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়, এ রাতে দীর্ঘ নফল নামায পড়া, যাতে সেজদাও দীর্ঘ হবে, শরীয়তের দৃষ্টিতে কাম্য। তবে মনে রাখতে হবে যে, অনেক অনির্ভরযোগ্য ওযীফার বই-পুস্তকে নামাযের যে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন লেখা আছে অর্থাৎ এত রাকাআত হতে হবে, প্রতি রাকাআতে এই সূরা এতবার পড়তে হবে-এগুলো ঠিক নয়, হাদীস শরীফে এসব নেই; এগুলো মানুষের মনগড়া পন্থা। সঠিক পদ্ধতি হল, নফল নামাযের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী দুই রাকাআত করে যত রাকাআত সম্ভব হয় এবং যে সূরা দিয়ে সম্ভব হয় পড়তে থাকা। কুরআন কারীম তেলওয়াত করা। দরূদ শরীফ পড়া। ইসতেগফার করা। দুআ করা এবং কিছুটা ঘুমানোর প্রয়োজন হলে ঘুমানো। এমন যেন না হয় যে, সারা রাতের দীর্ঘ ইবাদতের ক্লান্তিতে ফজরের নামায জামাআতের সাথে পড়া সম্ভব হল না।

    ১০. ২১, ২৩, ২৫,২৭ ও ২৯ শে রমজান : লাইলাতুল কদর

    এখানে বলা উচিত, ২১ থেকে ৩০ এর রাত পর্যন্ত শবে কদর অন্বেষণ ও ইতিকাফ।

    অনেকের মনে এই ভুল ধারণা রয়েছে যে, সাতাশের রাতই হচ্ছে শবে কদর। এই ধারণা ঠিক নয়। সহীহ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লাইলাতুল কদর কোন রাত তা জানানো হয়েছিল। তিনি তা সাহাবীদেরকে জানানোর জন্য আসছিলেন, কিন্তু ঘটনাক্রমে সেখানে দুই ব্যক্তি ঝগড়া করছিল। তাদের ওই ঝগড়ার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থেকে সে রাতের ইলম উঠিয়ে নেওয়া হয়। এ কথাগুলো সাহাবীদেরকে জানানোর পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- হতে পারে, এতেই তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে। এখন তোমরা এ রাত (অর্থাৎ তার বরকত ও ফযীলত) রমযানের শেষ দশকে অন্বেষণ কর। সহীহ বুখারী হাদীস নং ২০২০, সহীহ মুসলিম ১১৬৫/২০৯

    অন্য হাদীসে বিশেষভাবে বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর  তালাশ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৫

    তাই সাতাশের রাতকেই সুনির্দিষ্টভাবে লাইলাতুল কদর বলা উচিত নয়। খুব বেশি হলে এটুকু বলা যায় যে, এ রাতে লাইলাতুল কদর হওয়ার অধিক সম্ভবনা রয়েছে।

    রমাযানের শেষ দশকের ফযীলতই সবচেয়ে বেশি। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৭১

    ১১. ১লা শাওয়াল : ঈদ-উল-ফিত্র

    ১২. ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ যিলহজ্ব : আইয়ামে তাশরীক

    এটি ঠিক যে, ৯ই যিলহজ্ব ফজর থেকে ১৩ই যিলহজ্ব আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরয নামাযের সালাম ফিরানোর পর প্রত্যেক বালেগ নর নারীর উপর একবার তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। তাকবীরে তাশরীক হল,

    الله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله والله أكبر الله أكبر ولله الحمد

    তবে এই সবগুলো দিনকে পরিভাষায় ‘আইয়ামুত তাশরীক’ বলে না। পরিভাষায় নয় যিলহজ্বকে ইয়াওমু আরাফা-১০ যিলহজ্বকে ইয়াওমুন নাহর এবং ১১, ১২ ও ১৩ যিলহজ্বকে আইয়ামুত তাশরীক বলে। (দ্র. উমদাতুল কারী শরহু সহীহিল বুখারী খ. ৬ পৃ. ২৮৯; রদ্দুল মুহতার, খ. ৬ পৃ. ৩১৬; আলমিসবাহুল মনীর, পৃ. ১৬২; আলমাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ, কুয়েত, খ. ৭ পৃ. ৩২০)

    ১৩. ৯ই যিলহজ্ব : ইয়াওমুল আরাফা হজ্ব দিবস

    আরবী ব্যাকরণের হিসেবে ‘ইয়াওমুল আরাফা’ বলা ঠিক নয়। বলতে হবে, ইয়াওমু আরাফা। আর এর সাথে ইয়াওমু আরাফা (৯ই যিলহজ্বের) রোযার কথা বলে দিলে ভালো। হাদীস শরীফে এসেছে, আরাফার দিনের (৯ই যিলহজ্ব) রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর নিকট আশাবাদী যে, তিনি এর দ্বারা বিগত এক বছর ও আগামী এক বছরের গুনাহ মিটিয়ে দিবেন। -সহীহ মুসলিম হাদীস ১১৬২

    ১৪. ১০ই যিলহজ্ব : ঈদ-উল-আযহা

    ১৫. প্রতি মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখ : আইয়ামে বীজ (রোযা রাখা সুন্নত) অর্থাৎ প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ।

    উপরোক্ত তালিকায় সমাজে প্রসিদ্ধ সহীহ বা ভুল দিবস-রজনীর অধিকাংশ এসে গেছে। এর বাইরেও কিছু আছে যা এই তালিকায় আসেনি। যেমন-

    * আশারায়ে যিলহজ্ব (যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশদিন)।

    আল কুরআনুল কারীমে সূরা ফাজর-এর শুরুতে আল্লাহ তায়ালা এই দশ রাতের শপথ করেছেন (তাফসীরে ইবনে কাছির ৪/৫৩৫) হাদীস শরীফে এসেছে- আল্লাহর নিকট যিলহজ্বের দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কোন দিনের আমল নেই…। – সহীহ বুখারী, হাদীস: ৯৬৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ২৪৩৮

    * ইয়াওমুল জুমুআ (প্রতি সপ্তাহের জুমার দিন)

    আল কুরআনুল কারীমে জুমার দিনের আলোচনা এসেছে এবং ‘সূরা জুমুআ’ নামে একটি আলদা সূরাও রয়েছে। জুমআর দিনের ফযীলত ও আমল সম্পর্কে বহু হাদীস এসেছে।

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমুআর দিন সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। -সহীহ মুসলিম ১/২৮২; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১০৮৪

    *এ ছাড়াও সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবারের ফযীলত ও রোযার কথা হাদীস শরীফে এসেছে।

    রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল পেশ করা হয়। সুতরাং আমি চাই যে, আমার আমল পেশ করার মুহূর্তে যেন আমি রোযা অবস্থায় থাকি। -জামে তিরমিযী, হাদীস.৭৪৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস.৭৬৩৯

    আরেক হাদীসে আয়েশা রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। – জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৪৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৭৩৮

    আর এ তালিকার বাইরে কিছু ভুল দিবস-রজনী বিভিন্ন পুস্তিকায় পাওয়া যায়। যেমন-

    * ফাতিহায়ে ইয়াযদহম (রবিউস সানীর ১১ তারিখ)

    ‘ইয়াযদাহম’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘একাদশ’। আর ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম অর্থ রবীউস সানীর এগারো তারিখে কৃত ফাতেহা বা ইসালে ছওয়াব মাহফিল। বলা হয়ে থাকে, এ তারিখে শায়খ আবদুল কাদের জীলানী রহ.-এর ইন্তেকাল হয়েছিল। এজন্য তাঁর ওফাতদিবস পালন করার উদ্দেশ্যে এই রসমের সূচনা করা হয়। ওই আল্লাহর বান্দারা চিন্তা করেনি যে, ইসলামে না জন্মদিবস পালন করা হয়, না মৃত্যুদিবস। না শায়খ জীলানী রহ. তাঁর কোনো শায়খের জন্মদিবস বা মৃত্যুদিবস পালন করেছেন, না তার কোনো খলীফা বা শাগরিদ তা পালন করেছেন।

    এদিকে মজার বিষয় এই যে, গিয়ারভীর এই রসম এ তারিখে এ জন্যই পালন করা হয় যে, এটা শায়খ জীলানীর ওফাতদিবস। আল্লাহর কী শান, এই ভিত্তিহীন রেওয়াজের উদযাপন দিবসের জন্যও একটি ভিত্তিহীন তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।

    আমরা তারীখ ও রিজালের অনেক গ্রন্থে শায়খ জীলানীর জীবনালোচনা পড়েছি। কোথাও এগারো রবীউস সানীর কথা নেই। আট, নয় বা দশ রবীউস সানী ৫৬১ হিজরীর কথা উল্লেখিত হয়েছে।

    -(দেখুন : সিয়ারু আলামিন নুবালা,  যাহাবী ১৫/১৮৯; আলমুনতাযাম, ইবনুল জাওযী : ১৮/১৭৩; যায়লু তবাকাতিল হানাবিলা, ইবনে রজব ১/২৫১; আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮/৩৯৫; শাযারাতুয যাহাব, ইবনুল ইমাদ ৪/২০২; তারীখুল ইসলাম, যাহাবী ৩৯/৬০)

    মোটকথা, এ তারিখ যদি সহীহও হতো তবুও তো জন্মদিবস-মৃত্যুদিবস পালন করার কোনো অনুমতি ইসলামে নেই।

    * ফাতিহায়ে দোয়াযদহম (রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখ)

    দোয়াযদহম অর্থ দ্বাদশ। ফাতিহায়ে দোয়াদহম অর্থ রবীউল আউয়ালের ১২ তারিখে কৃত ফাতেহা বা ইসালে ছওয়াব মাহফিল। এটা আরো গর্হিত বেদআত।

    উপরের আলোচনায় দুই ধরনের দিবস-রজনীর কথা এসেছে : এক. শরীয়তের দলীল দ্বারা যেগুলোর আলাদা ফযীলত ও বিশেষত্ব প্রমাণিত। দুই. যেগুলোর আলাদা বিশেষত্বের ধারণা ভুল ও নবউদ্ভাবিত। নীচে দুইটি আলাদা তালিকায় তা উপস্থাপিত হল :

    সঠিক দিবস-রজনী

    ১. ইয়াওমু আরাফা (৯ই যিলহজ্ব,রোযা রাখা সুন্নত)

    ২. ঈদুল-আযহা (১০ই যিলহজ্ব)

    ৩. আইয়ামে বীজ (প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখ,রোযা রাখা সুন্নত)

    ৪. লাইলাতুল বারাআত বা লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান (১৫ই শাবান)

    ৫. লাইলাতুল কদর অন্বেষণ ও ইতিকাফ  (রমযানের শেষ দশক)

    ৬. ঈদুল-ফিত্র (১লা শাওয়াল)

    ৭. আইয়ামে তাশরীক (১১, ১২ ও ১৩ যিলহজ্ব)

    ৮. আশুরা (১০ ই মুহাররম; ৯-১০/১০-১১) তারিখে রোযা রাখা সুন্নত)

    ৯. আশারায়ে যিলহজ্ব (যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশদিন)

    ১০. ইয়াওমুল জুমুআ (প্রতি সপ্তাহের জুমার দিন)

    ১১. সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার (রোযা রাখা সুন্নত)

    ভুল দিবস-রজনী

    ১. আখেরী চাহার শোম্বাহ (সফরের শেষ বুধবার)

    ২. লায়লাতুর রাগায়েব (রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার)

    ৩. শবে এস্তেফতাহ (১৫ই রজব)

    ৪. লাইলাতুল মিরাজ (২৭ শে রজব)

    ৫. ফাতিহায়ে ইয়াযদহম (রবিউস সানীর ১১ তারিখ)

    ৬. ফাতিহায়ে দোয়াযদহম (রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখ)

    ৭. ১২ই রবিউল আউয়াল।