• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • গত সপ্তাহে জাপান জুড়ে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে

    গত সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার কারণে জাপান জুড়ে ২ হাজারেরও বেশি লোকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এই সংখ্যা এর পূর্বের সপ্তাহের তুলনায় চারগুণ।

    অগ্নি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি এই তথ্য উন্মোচন করেছে যে চলতি মাসের ২৬ তারিখ শেষ হওয়া সপ্তাহটিতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মোট ২ হাজার ৫৩ জন। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু ঘটে।

    এজেন্সি বলছে, গত সপ্তাহে জাপান জুড়ে মৌসুমের সংগে সামঞ্জস্যহীন অতি গরম আবহাওয়া অব্যাহত থাকায় হাসপাতালে নেয়া মানুষের সংখ্যা হঠাৎ করেই বেশ বেড়ে যায়।

    টোকিও’র কাছে নির্বিচার ছুরিকাঘাতে দু’জন নিহত

    জাপানে, মঙ্গলবার টোকিও’র কাছে নির্বিচারভাবে চালানো ছুরির আঘাতে একটি শিশু ও একজন পুরুষ নিহত এবং অন্য ১৭ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানাচ্ছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী নিজেও নিজের ছুরির আঘাতে নিহত হন।

    সকাল ৮টার আগে এই হামলা সংঘটিত হয় যখন একদল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু কানাগাওয়া জেলার কাওয়াসাকি শহরের স্কুল বাসে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছিল।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দেখে বয়স ৫০-এর কোঠায় বলে মনে হওয়া এক ব্যক্তি দুই হাতে দু’টি ছুরি নিয়ে এই দলটির দিকে অগ্রসর হয় এবং তাদের উপর হামলা চালাতে শুরু করে।

    পুলিশ এবং অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা বলছেন, ১৭টি শিশু, একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে আহত হওয়ার কারণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    তাদের মধ্যে ১১ বছর বয়সী একটি বালিকা এবং ৩৯ বছর বয়সী একজন পুরুষ পরে মারা যান।

    পুলিশের ধারণা, সন্দেহভাজন ব্যক্তি কাওয়াসাকি শহরের বাসিন্দা। হামলাস্থলের কাছ থেকে পুলিশ তাকে আটক করে, তবে সে নিজেই নিজের গলায় ছুরি বসিয়ে দেয় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে। হাসপাতালে পরে তার মৃত্যু হয়।

     

    আজ শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান

    ম্যাচগুলো আনুষ্ঠানিক কিছু নয়। এই ম্যাচে পনেরো জন খেলোয়াড়ের সবাই ঘুরেফিরে খেলতে পারবেন। এমনকি এসব ম্যাচের রেকর্ডও সংরক্ষণ করা হবে না। তারপরও এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকের অনুশীলন ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে বাংলাদেশ।

    কার্ডিফে আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান অনুশীলন ম্যাচ। ২ জুন মূল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তার আগে আরো একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবেন মাশরাফিরা। ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৮ মে।

    আজকের খেলার ভেন্যুটা বাংলাদেশকে প্রেরণা জোগাতে পারে। এই কার্ডিফে বাংলাদেশের রয়েছে শতভাগ জয়ের রেকর্ড। এখানেই ২০০৫ সালে সে সময়ের বিশ্বসেরা দল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। সেটা ছিল তখনকার ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ব্যাপার। এরপর ২০১৭ সালে এই ভেন্যুতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্রুত কয়েকটা উইকেট হারানোর পর সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জোড়া সেঞ্চুরি ‘মহাকাব্য’ তৈরি করেছিল।

    এই কার্ডিফেই বাংলাদেশ খেলবে দুটি অনুশীলন ম্যাচ। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মূল টুর্নামেন্টেও একটি ম্যাচ খেলবে মাশরাফিরা এখানে। ফলে এই ম্যাচগুলোতে অন্তত স্মৃতি বাংলাদেশের পাশে থাকতে পারে।

    আজকের ম্যাচে ফলাফল কোনো দলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ না। যদিও প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় আজ পাকিস্তানের জয় পাওয়ার একটা তাড়া থাকবে। সেই সাথে তারা গত ১০ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে হারের স্মৃতিটাও ভুলতে চাইবে। বাংলাদেশের ওরকম কোনো তাড়া নেই।

    আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট জিতে ফুরফুরে মেজাজেই ইংল্যান্ডে গেছে তারা। ফলে এই দুটো অনুশীলন ম্যাচ বাংলাদেশের কাছে স্রেফ খেলোয়াড়দের সমন্বয়টা দেখে নেওয়ার সুযোগ। আজকের ম্যাচে বিশেষ করে নজরে থাকবেন রুবেল হোসেন ও সাব্বির রহমান রুম্মন।

    রুবেল ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পর আয়ারল্যান্ডে খেলার সুযোগ পাননি। তার বদলে নতুন বলে সাইফউদ্দিন বল করেছেন। মূল টুর্নামেন্টে তাকে চাইবে বাংলাদেশ। ফলে তার এই ম্যাচে পারফরম্যান্সের দিকে চোখ থাকবে ম্যানেজমেন্টের।

    পাশাপাশি সাব্বিরের জন্য এই দুটি ম্যাচ পরীক্ষা হতে পারে। তিনি জ্বলে উঠতে না পারলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মূল টুর্নামেন্টের একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি একটা জয় এলেও বাংলাদেশ নিশ্চয়ই খুশি হবে।

    রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান পৌঁছেছেন ট্রাম্প

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, চারদিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান এসে পৌঁছেছেন।

    আজ বিকেল পাঁচটা নাগাদ ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরের পর এটি হচ্ছে জাপানে ট্রাম্পের ২য় এবং রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে প্রথম জাপান সফর।

    আজ সন্ধ্যায় তিনি, টোকিওতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে জাপানী ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক সংবর্ধনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

    আগামীকাল আবে ও ট্রাম্প, প্রাতরাশ থেকে একসাথে সারাদিন কাটাবেন। তাঁরা, সকালে গলফ খেলতে চিবা জেলায় যাবেন এবং এরপর টোকিওতে অবস্থিত সুমোর আখড়া কোকুগিকানে গ্রীষ্মকালীন গ্র্যান্ড সুমো প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব প্রত্যক্ষ করবেন। এসময় তিনি, বিজয়ী কুস্তিগিরকে একটি বিশেষ ট্রফি প্রদান করবেন। এরপর তাঁরা সস্ত্রীক, টোকিওতে জাপানী ধরণের রেস্তোরাঁ ইযাকায়াতে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।

    সোমবার ট্রাম্প, ১লা মে সম্রাটের অভিষেক হওয়ার পর প্রথম বিদেশী রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সম্রাট নারুহিতো এবং সম্রাজ্ঞী মাসাকোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর তিনি, প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবেন। বৈঠকে দুই নেতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং চীন, উত্তর কোরিয়া এবং ইরানসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ট্রাম্প, বাণিজ্য আলোচনায় ছাড় দিতে চাপ দেন কিনা এখন সেদিকে সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায়, রাজপ্রাসাদে এক ভোজ সভা আয়োজনের কথা রয়েছে।

    আগামী মঙ্গলবার সফরের শেষদিন ট্রাম্প, জাপানের আত্মরক্ষা নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ কাগায় আরোহণ করে জাপানে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের পাশাপাশি জাপানী সেনাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।

    আবে, ট্রাম্পের এই সফরকে দ্বিপক্ষীয় আস্থাপূর্ন সম্পর্ক জোরদার এবং জাপান মার্কিন জোটের শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ হিসেবে গ্রহণের আশাবাদ পোষণ করছেন।

    দোয়া নিয়ে বিশ্বকাপে মাশরাফি

    ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে পরিবারকে সময় দিতে দেশে ফিরেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ঐতিহাসিক এই জয় নিয়ে দেশে ফিরে সেভাবে কিছুই বলেননি অধিনায়ক। ছুটি শেষে গতকালই বিশ্বকাপের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন এই স্বপ্ন সারথি। বিশ্বকাপ মিশনে যাওয়ার আগেও সেভাবে গণমাধ্যমে কিছু বললেন না ম্যাশ। শুধু দোয়া চেয়ে গেলেন দেশবাসীর কাছে।

    ‘একটা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নের তকমা গায়ে মাখার খুব প্রয়োজন’ কথাটি বার বার আক্ষেপের সুরে বলতেন মাশরাফি। বিশ্বকাপের ঠিক আগেই এমন শিরোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপে কতটা কাজে লাগবে সেই প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক বলেন প্রতিটা টুর্নামেন্টের শুরুটাই গুরুত্বপূণ। বিশ্বকাপেও ভালো শুরু করতে পারলে, ভালো কিছু হবে, ‘দুইটা আলাদা টুর্নামেন্ট। আশাকরি, সবার আত্মবিশ্বাস ভালো আছে। টুর্নামেন্ট যেহেতু আলাদা তাই ওখানেও শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো শুরু করতে পারলে, আশাকরি ভালো কিছু হবে ইনশা-আল্লাহ।’ ভালো করার জন্য বারবার দেশের মানুষের দোয়া চেয়েছেন তিনি। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিইয়ে চেষ্টা করবেন তারা, ‘সবাই দোয়া করবেন। চেষ্টা করব ভালো করার। বিশ্বকাপে যেন সবাই ভালো খেলে। ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে সবাই বেশ আত্মবিশ্বাসী, আপনারা দোয়া করবেন বাংলাদেশ দলের জন্যে। ভালো শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা পারলে আশা করি ভালো কিছুই হবে ইনশা আল্লাহ।’

    ১৫ জনের স্কোয়াডে থাকা ১৩ জনই ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে গত শনিবার আয়ারল্যান্ড থেকে লেস্টারে পৌঁছে গেছেন। সেখানে তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করেছে টাইগাররা। মাশরাফি ছুটি কাটাতে দেশে ফিরলেও তামিম ইকবাল পরিবারকে সময় দিতে দুবাইয়ে উড়াল দেন। ছুটি শেষ করে গতকালই পরিবারসহ দুবাই থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন ওপেনার তামিম। লন্ডন থেকে তিনিও কার্ডিফে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। লেস্টারের অনুশীলনে ছিলেন না বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে তিনি ফিরেছিলেন জ্যামাইকায়। ছুটি কাটিয়ে তিনিও দলের সঙ্গে যোগ দেবেন কার্ডিফে।

    ইংল্যান্ডের লেস্টারে ২৩ মে পর্যন্ত অবস্থান করবে টিম বাংলাদেশ। পরে ২৪ মে থেকে শুরু হবে আইসিসির সাপোর্টিং পিরিয়ড। তখন থেকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সকল দায়দায়িত্ব নেবে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। তার আগ পর্যন্ত লেস্টারে নিজেদের খরচেই অবস্থান করবে বাংলাদেশ।

    আজ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশের অধিনায়কদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মাশরাফি। অনুষ্ঠান শেষে লেস্টারে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। দলের সঙ্গে লেস্টারে যোগ দিয়ে ২৬ ও ২৮ মে কার্ডিফে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আইসিসির অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে যাবেন কার্ডিফে। ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে।

    হুয়াওয়েইয়ের স্মার্ট-ফোন বাজারজাত করা স্থগিত রাখবে জাপানের মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারীরা

    চীনের কোণঠাসা হয়ে পড়া হুয়াওয়েই টেকনোলোজিসকে জাপানে নতুন বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে। জাপানের মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী কোম্পানি কে ডি ডি আই এবং সফট-ব্যাংক বলছে হুয়াওয়েইয়ের নতুন পি-৩০ স্মার্ট-ফোনের বিক্রি তারা স্থগিত রাখবে। জাপানে চলতি মাসের পরবর্তী সময়ে এই যন্ত্র বাজারে ছাড়ার কথা ছিল।

    জাপানের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো একই সাথে সেই ফোনের জন্য অগ্রিম ক্রয়াদেশ নেয়াও বন্ধ করে দেবে। যে কারণ এরা দেখাচ্ছে তা হল, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সংঘাত চলতে থাকা অবস্থায় হুয়াওয়েই নির্ভরযোগ্যভাবে ফোনের সরবরাহ দিতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত করে নেয়া প্রয়োজন।

    জাপানের বিশাল আকারের টেলিযোগাযোগ কোম্পানি এন টি টি দোকোমোর কর্মকর্তারা বলছেন তারাও ফোনের অগ্রিম ক্রয়াদেশ স্থগিত রাখছেন।

    হুয়াওয়েইয়ের একজন কর্মকর্তা গতকাল বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ সত্ত্বেও জাপানে স্মার্ট-ফোন বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা বদল করে নেয়ার পরিকল্পনা কোম্পানির নেই।

    হুয়াওয়েই টেকনোলোজিস জাপান এই পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। কোম্পানি বলছে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি বিক্রির দোকানের মাধ্যমে জাপানে নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী নতুন মডেল বিক্রি করা হবে।

    হুয়াওয়েকে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম দেয়া বন্ধ করেছে গুগলঃ রয়টার্স

    রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গুগল তাদের তৈরি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম হুয়াওয়ের স্মার্টফোনকে দেয়া বন্ধ করেছে। গত সপ্তাহে, মার্কিন সরকার চীনা টেলিকম যন্ত্রাংশ তৈরিকারকদের সাথে অনুনোমোদিত ব্যবসা করা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে।

    রোববার সংবাদ সংস্থা আরও জানায় যে জিমেইল এবং গুগল প্লে অ্যাপ স্টোরসহ গুগলের মূল সেবাগুলো হুয়াওয়ের স্মার্টফোনের ভবিষ্যৎ মডেলের জন্য বন্ধ করে দেবে।

    এই চীনা কোম্পানিটি মার্কিন কোম্পানি অ্যাপলকে টপকে গেছে। আইফোন তৈরি করা কোম্পানিটি জাহাজে চালান পাঠানোর দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক। দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স প্রথম স্থান দখল করে আছে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন গুগলের এই সিদ্ধান্ত হুয়াওয়ের স্মার্টফোন ব্যবসার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

    জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি

    আবহাওয়া কর্মকর্তারা সোমবার শেষভাগ থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত জাপানের বিভিন্ন অংশে স্থানীয় অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য সতর্কতা জারি করেছেন।

    আবহাওয়া এজেন্সি জানিয়েছে, উষ্ম ও জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু এবং মেঘ জাপানের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে যা অস্থিতিশীল বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।

    কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত এই মেঘ পশ্চিম জাপান থেকে পূর্ব জাপানে বয়ে চলায় প্রধানত প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে।

    তারা জানান, সোমবার শেষভাগ পর্যন্ত শিকোকু এবং কিন্‌কি অঞ্চলে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তোকাই অঞ্চলে এবং মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুরবেলার কিছুটা পর পর্যন্ত কান্তো অঞ্চলে ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    তারা আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ে তোকাই’এ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হতে পারে দুইশো ৫০ মিলিমিটার, কান্তো-কোশিন’এ দুইশো মিলিমিটার, ইযু দ্বীপমালায় ১৮০ মিলিমিটার, কিন্‌কি’তে একশো ৫০ মিলিমিটার এবং শিকোকু’তে একশো ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

    কর্মকর্তারা ভূমিধ্বস, নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি এবং উঁচু ঢেউসহ বজ্রপাত ও টর্নেডোর সতর্কতা জারি করেছেন।

    উভয় কক্ষের নির্বাচনের বিষয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার আভাষ

    জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, একযোগে উভয় কক্ষের নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দলীয় সদস্যদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে আভাষ দিয়েছেন।

    আজ এলডিপির নীতি নির্ধারণী পরিষদের প্রধান ফুমিও কিশিদা, এক দিন আগে চীফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগার মন্তব্য নিয়ে কথা বলার সময় উক্ত আভাষ দেন।

    সুগা, সংসদের চলতি সাধারণ অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবের মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে সেটি জনগণের সমর্থন পেতে আবের জন্য সংসদের নিম্ন কক্ষ ভেঙ্গে দেয়ার কারণ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

    চলতি বছর গ্রীষ্মে পূর্ব নির্ধারিত উচ্চ কক্ষের নির্বাচনের সাথে আবে একযোগে উভয় কক্ষের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাতে পারেন বলে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে সুগা উক্ত মন্তব্য করেন।

    কিশিদা, সুগা একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করেছেন বলে জানান। কিশিদা, বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করছেন এবং তিনি পরিস্থিতির উপর ঘনিষ্ঠ নজর রেখে যাবেন বলে উল্লেখ করেন।

    তবে কিশিদা, রাজনীতির জগতে পরবর্তীতে কি ঘটতে পারে সেবিষয়ে কেউ কিছুই বলতে পারবে না বলে উল্লেখ করেন। তিনি, দলীয় সদস্যদের সব ধরণের সম্ভাবনার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন।

    কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার বিমুক্তি চিকিৎসা কেন্দ্র

    এনএইচকে জানতে পেরেছে যে, জাপানের কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্সার বিমুক্তি সংক্রান্ত একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এই গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান হবেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তাসুকু হোনজো।

    হোনজো হচ্ছেন কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক। তিনি, নেতিবাচক বিমুক্তি প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারী ক্যান্সার চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য গত বছর চিকিৎসা বিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন।

    ওয়াকিবহাল মহল জানায় যে, এই বিশ্ববিদ্যালয় আগামী শিক্ষাবর্ষে নয়া গবেষণা কেন্দ্রটি স্থাপনের লক্ষ্যে সরকারের কাছে বাজেটের জন্য অনুরোধ জানানোর পরিকল্পনা করছে।

    গবেষকরা, মৌলিক গবেষণা থেকে ওষুধ তৈরি পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রয়োগ এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের মত ব্যাপক তৎপরতা গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    নতুন কেন্দ্রটি আপাতত বিদ্যমান একটি স্থাপনায় কার্যক্রম চালাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি আগামী ৫ বছরের মধ্যে একটি নতুন ভবন নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এটি ক্যান্সার বিমুক্তি চিকিৎসার সমন্বিত গবেষণা এবং উন্নয়নের প্রথম কেন্দ্র হবে বলে জানায়।

    শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

    আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশে ফেরেন তাঁর এই জ্যেষ্ঠ কন্যা। ওই দিন শেখ হাসিনাকে বহনকারী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকার তৎকালীন কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে তাকে একনজর দেখার জন্য লাখো জনতার ঢল নামে। এ সময় সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী জনতার স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা বিমানবন্দর এলাকা

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। ১৯৮১ সালের ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঐতিহাসিক হোটেল ইডেনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়।

    দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে। রাষ্ট্রপতি সরকারের অব্যাহত সাফল্যসহ তাঁর (শেখ হাসিনা) নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।

    কর্মসূচি: দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশব্যাপী দোয়া, মিলাদ মাহফিল, র‌্যালি, আলোচনা সভা ইত্যাদি। এছাড়া আজ বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দিবসটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে দেশ ও জাতির কল্যাণে, আধুনিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনার সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।

    জাপানের পরবর্তী প্রজন্মের বুলেট ট্রেনের চলাচল সংবাদ মাধ্যমকে দেখানো হয়েছে

    জাপানের পরবর্তী প্রজন্মের শিনকানসেন বুলেট ট্রেন আজ পরীক্ষামূলকভাবে চালনা করে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিয়ে আসা হয়।

    পূর্ব জাপান রেল কোম্পানি ২০৩০ অর্থ বছরের এপ্রিল মাস থেকে শুরু করে সেই ট্রেনের সেবা চালুর লক্ষ্য ধরে নিয়েছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চালানোর পরিকল্পনা কোম্পানি করছে।

    আলফা-এক্স নামের পরবর্তী প্রজন্মের বুলেট ট্রেনের পরীক্ষামূলক একটি সংস্করণ গত শুক্রবার উত্তর-পূর্ব জাপান থেকে যাত্রা শুরু করে। আজ সকালে ট্রেনটির সেনদাই থেকে মোরিওকা স্টেশনে এসে পৌঁছানো দেখানোর জন্য সংবাদ মাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ট্রেনটিতে দশটি বগি ছিল।

    কোম্পানি বলছে এখন পর্যন্ত ট্রেনটি আজ সর্বোচ্চ গতিবেগ, ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে চালিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। এক্সেলারেশন ও ব্রেক ব্যবস্থা এবং সেই সাথে ভ্রমণ আরামদায়ক কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়।

    আগামী তিন বছর সময়ে কোম্পানি সেনদাই ও শিন-আওমোরির মধ্যে ট্রেনের পরীক্ষামূলক চালনা অব্যাহত রাখবে।

    ট্রফির লক্ষ্যে সাবধানী মাশরাফি

    বহুজাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা সবসময়ই আনন্দের একটি ব্যাপার। এই কাজটা করতে পেরে বাংলাদেশ দলের তাই উচ্ছ্বাসিত না হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু ‘ফাইনাল’ শব্দটা বাংলাদেশ দলকে কেবল আনন্দ নয়, একটি শঙ্কাও উপহার দেয়। বাংলাদেশের এই ফাইনালে ভালো অভিজ্ঞতা বলে যে কিছু নেই।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারিয়ে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ম্যাচে ৫ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই ফাইনালে চলে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম ফাইনাল; দুটি আছে টি-টোয়েন্টিতে। বাংলাদেশ হেরেছে সবকটি ফাইনাল। হারের ধরনও ছিল বেদনায় মাখা। তিনটি ফাইনালে শেষ বলে হেরেছে বাংলাদেশ, দুটিতে হেরেছে শেষের আগে ওভারে। বারবার তাই হাতছানি দিয়েও মিলিয়ে গেছে শিরোপা। এখনো পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জয় করতে পারেনি দল।

    ছয় ফাইনাল হারের পাঁচটিতেই দলে ছিলেন মাশরাফি; নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনটিতে। নাগালে পেয়েও হারিয়ে ফেলার হতাশা তিনি খুব ভালো জানেন। ফাইনালে উঠেও তাই রোমাঞ্চ এখনই ছুঁয়ে যাচ্ছে না বাংলাদেশ অধিনায়ককে।

    আরেকটা ফাইনালের আগে তাই উচ্ছসিত ঠিক হতে পারছেন না। বরং একটু সাবধানী প্রতিক্রিয়াই জানালেন। মাশরাফি ফাইনাল নিয়ে বলছিলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে আমার কোনো ফাইনাল কথা নেই। অনেক কথা হয়েছে আগে, অনেক অভিজ্ঞতা পেয়েছি। সেগুলো সুখকর ছিল না। এবারো যে কোনো কিছুই হতে পারে। আরেকবার সুযোগ এসেছে, আমরা আবারও চেষ্টা করব।’

    ফাইনালে ওঠার পথে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আরো একবার এই ব্যাটিং শক্তিধর দলটিকে অল্প রানে আটকে রেখেছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি সেই কৃতিত্ব তার সতীর্থদের দিয়ে বলছিলেন, ‘ওরা যেভাবে খেলছিল, তাতে আমার মনে হয়েছে, আমরা খুব ভালো বোলিং করেছি। আমরা বোলিংয়ে ভালো শুরু করতে পারিনি। কিন্তু সৌভাগ্যবশত ব্রেক থ্রুটা পেয়ে গেছি। মাঝের ওভারগুলোতে মুস্তাফিজুর খুব ভালো বল করেছে। সাকিব আর মিরাজ দারুণ বল করেছে। ফাইনালে উঠতে পারাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল। ছেলেরা এখন একটু হাফ ছাড়তে পারবে। কিন্তু এখনো দুই ম্যাচ বাকি আছে। আমরা দুই ম্যাচেই শক্ত লড়াইয়ের চেষ্টা করব। আর দেখা যাক, ফাইনালে শেষ পর্যন্ত কী হয়।’

    ফাইনাল নিয়ে আগাম কিছু বলতে চান না। এর মানে আবার এই নয় যে, মাশরাফি ট্রফিটার স্বপ্ন দেখছেন না। ভালোমতোই ট্রফির লক্ষ্যে আছেন তিনি। কেন এই ফাইনালটা জেতা দরকার, সেটা ব্যাখ্যা করে মাশরাফি বলছিলেন, ‘ট্রফি জিততে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে। আগে কখনো জিতিনি আমরা। তবে শুধু সেটিই নয়, বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা ইংল্যান্ড যেতে পারব।’

    ইউনেস্কো ওসাকা’র একগুচ্ছ সমাধিস্তূপকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে

    পশ্চিম জাপানের ওসাকা জেলার একগুচ্ছ প্রাচীন সমাধিস্তূপকে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সোমবার ইউনেস্কোর এক উপদেষ্টা পরিষদ এই সমাধিস্তূপ তালিকাভুক্ত হতে পারে বলে সুপারিশ করে।

    এই মোযু-ফুরুইচি সমাধিস্তূপের গুচ্ছে ৪৯টি সমাধিস্তূপ রয়েছে যেগুলো চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ অর্ধাংশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ অর্ধাংশের মধ্যে নির্মিত।

    এইসব সমাধিস্তূপের মধ্যে একটি সমাধি রয়েছে যেটি একজন সম্রাটের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এ ধরনের সমাধির মধ্যে বিশ্বে এটিই সবচেয়ে বড়। এর দৈর্ঘ্য ৪৮৬ মিটার।

    চলতি বছরের শেষ নাগাদ আযারবাইজানে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বৈঠকে এই নতুন তালিকা নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    বর্তমানে জাপানের রয়েছে ১৮টি বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পদ এবং ৪টি বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সম্পদ।

    ভয়ংকর স্বপ্নযাত্রা

    এ এক ভয়ংকর মৃত্যুপথযাত্রা! গহীন অরণ্য, গভীর সমুদ্র, তপ্ত মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ভয়ংকর স্বপ্নযাত্রায় পা রাখছে অনেক বেকার যুবক। এর মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছেন। ভয়ংকর এই স্বপ্নযাত্রায় সর্বস্ব বিক্রি করে দালালদের হাতে তুলে দিচ্ছেন টাকা-পয়সা শেষ সম্বল। কেউ কেউ অবৈধ পথে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারলেও অধিকাংশই হন ভাগ্যাহত। ভাগ্য সহায় হলে অনেকের জায়গা হয় কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। বাকিদের কারো কারো সলিল সমাধি হয় নৌকাডুবিতে। কেউ প্রাণ হারায় অনাহারে অর্ধাহারে, নানা রোগ-শোকে। তারপরেও জীবনবাজি রেখে মৃত্যুকে হাতে নিয়ে এক মরীচিকার পেছনে ছুটছে হাজার হাজার বাংলাদেশি তরুণ। তারা যেতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন উন্নত দেশে। তবে যে উন্নত জীবনের টানে তারা ধাবিত হয় সেসব দেশ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই নেশায় পাওয়া এই যুবকদের। তারা যা শোনেন তা সবই লোকমুখে এবং দালালদের কাছ থেকে।

    উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপ যেতে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় পাওয়া ট্রানজিট দেশ লিবিয়া। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথ আরো কঠিন। কিন্তু জীবনের সর্বস্ব বাজি রাখা এই বেকার তরুণরা উন্নত জীবনের জন্য মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে অবৈধ পথে পৌঁছাতে চায় স্বপ্নের দেশে। এ জন্য তাদের পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ কয়েক হাজার মাইল পথ। প্রথমে ঢাকা থেকে দুবাই। দুবাই থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ব্রাজিল। এরপর বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর, পানামা সিটি, মেক্সিকো হয়ে জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে, সমুদ্র পথ পেরিয়ে, পায়ে হেঁটে শেষ পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের স্যান সিদ্রো বর্ডার দিয়ে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। তবে অধিকাংশই সেখানে গিয়ে ধরা পড়ে। এই দীর্ঘ যাত্রার পর মার্কিন মুলুকের জেল থেকে শূন্য হাতে তাদের ফিরতে হয়। তবে যারা প্রাণে বেঁচে যান কেবল তারাই ফিরে আসে। অন্যদের পথেই মৃত্যু হয়।

    প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষ। কেউ যাচ্ছে বৈধ পথে, কেউবা অবৈধ উপায়ে। অবৈধ উপায়ে দালাল ধরে যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যায়। সম্প্রতি, লিবিয়া থেকে ইতালি যাবার পথে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরেছে ৬০ জন অভিবাসী। এর মধ্যে কমপক্ষে ৩৫ জনই বাংলাদেশি। এভাবে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশি নিহত হচ্ছে। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) তথ্য মতে, গত ১০ বছরে সমুদ্রপথে বিদেশ যেতে বাংলাদেশি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে ১০ হাজার। পাচার হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ। আর বিদেশি কারাগারে বাংলাদেশি বন্দি রয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশি।

    এদিকে, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য মতে, সামপ্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমুদ্র পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশি বিদেশে যায় ২০১৫ সালে। বছরটিতে বঙ্গোপসাগর রুট ব্যবহার করে অন্তত ৯৪ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী পাচার হয়।

    এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সি আর আবরার ইত্তেফাককে জানান, বিদেশে চাকরির আশায় সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে নিহত হবার দায় সরকার, দালাল এবং যারা যাচ্ছে তাদেরও আছে।

    বাংলাদেশে নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনগুলো বলছে, সাগরপথে মানবপাচারের ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শ্রমবাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার পথ সহজ করতে হবে। সেইসঙ্গে দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে রাষ্ট্রকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।

    বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার তথ্য থেকে জানা যায়, প্রতি মাসেই এক বা একাধিক ট্রিপে রাতের আঁধারে ট্রলারে বা নৌকায় চেপে টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজারের উপকূলীয় দ্বীপ থেকে মালয়েশিয়ার পথে রওনা হয় শত শত মানুষ। মানবপাচারকারীরা সারা দেশে ফাঁদ পেতে এজেন্টদের মাধ্যমে সংগ্রহ করছে বিদেশ গমনেচ্ছু এসব অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিদের। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশি নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে ট্রলারে তোলার আগে প্রতিজনের কাছ থেকে ৪০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয় পাচারকারী চক্র। এরপর সাগরের মাঝপথে বা থাইল্যান্ডের জঙ্গলে তাদের জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে জনপ্রতি আরো ২ থেকে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটছে।

    এদিকে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের প্রায় পৌনে এক লাখ অভিবাসী আছে। যাদের বৈধতা পরীক্ষা করে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ ব্যাপারে জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করছে। তারা প্রয়োজনে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে আগ্রহী বলেও জানা গেছে।