• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • কোরবানীর উপর বিধি জারির উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

    পরিবেশ দূষণের অজুহাত তুলে পবিত্র ঈদুল আযহায় মুসলমানদের ঘরে ঘরে পাড়া-মহল্লায় কোরবানী দেওয়ার চিরাচরিত ইসলামী ঐতিহ্য বন্ধ করে এর পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট জায়গায় পশু কোরবানি দেওয়া এবং নিবন্ধিত লোকের মাধ্যমে পশু জবাইয়ের বিধি জারির সরকারী উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এটাকে দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে ইসলামী সংস্কৃতি ও চেতনাবোধ মুছে ফেলার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি হতাশা প্রকাশা করে বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে দেশে একদিকে নগ্নপনা, বেহায়াপনাসহ ক্ষতিকর সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানো হচ্ছে, অন্যদিকে ইসলামী সংস্কৃতিকে হেয় প্রতিপন্ন ও সংকোচনের অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, কোরবানী নিয়ে ছলচাতুরী ও ষড়যন্ত্র জনগণ বরদাস্ত করবে না।

    হেফাজত আমীরের প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদ স্বাক্ষরিত গতকাল (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদপত্রে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, শুধু পাড়া-মহল্লা থেকে কোরবানীর সংস্কৃতিকে সরিয়ে দেওয়া নয়, যানজটের অজুহাত খাড়া করে পশুর হাটে নিয়ন্ত্রণ আরোপের মাধ্যমে কোরবানী দাতাদের জন্য পশু ক্রয়েও সংকট তৈরীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, কোরবানীর দিন জনসাধারণকে পশুবর্জ্য সুনির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন পশু বর্জ্য অপসারণে কোরবানীর দিন বাড়তি জনবল নিয়োগ দিতে পারত। অথচ সিটি কর্পোরেশনকে রাস্তা মেরামত, নালা-নর্দমা পরিষ্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের চেয়েও কোরবানীর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সংকোচনের কাজে বেশী উৎসাহী দেখা যাচ্ছে। তিনি সরকারের প্রতি শত শত বছর ধরে চালু থাকা ইসলামী নিদর্শন পবিত্র কুরবানীর ঐতিহ্যবিরোধী এই উদ্যোগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে সরকার বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ জনগণের অন্তরে মারাত্মক ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া তৈরী হতে পারে।

    বিবৃতিতে হেফাজত আমীর আরো বলেন, একদিকে শহুরে ধনিক শ্রেণীর পান্তা-ইলিশের ক্ষতিকর সংস্কৃতির প্রসার ঘটানোর নানা উদ্যোগ নিয়ে দেশের ৮০-৯০ ভাগ গরীব ও আর্থিক সামর্থহীন জনগণকে উপহাস ও অসহায়ত্বের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়াসকে এগিয়ে নিতে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে পবিত্র কোরবানীকে উপলক্ষ্য করে বেকার পরিবারে গরু-ছাগল পালন, কোরবানীর পশু বেচা-বিক্রির সাথে গরীব মানুষের সম্পৃক্ততা, ঈদের দিন গরীব-মজদুরদের উচ্চ বেতনে কামলা খাটা থেকে শুরু করে কোরবানীর গোস্ত বিলি-বণ্টন, কোরবানীর পশুর চামড়া বিক্রির মূল্য দানসহ সবক্ষেত্রেই গরীবদের জন্য উপকারি সার্বজনীন মুসলিম সংস্কৃতির পবিত্র কোরবানীকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত ও সংকোচিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে গরীবদের স্বার্থে আঘাত হানার আয়োজন চলছে। ইতোমধ্যেই নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ কোরবানী নিয়ে সরকারের এমন উদ্যোগে কোরবানী দাতাদের নানা সমস্যার মুখোমুখী হওয়ার পাশাপাশি গরীবরাই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া উদ্ভুত সমস্যার কারণে ভবিষ্যতে অনেকেই কোরবানীর প্রতি উৎসাহ হারাতে পারেন বলেও মত প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকারের কাজ কি শুধু ধনী মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা?

    পরিবেশ দূষণের প্রসঙ্গ টেনে হেফাজত আমীর বলেন, পরিবেশ দুষন! রাজপথ মাসের পনের দিন মল-মূত্র ও ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত পানিতে ডুবে একাকার হয়ে থাকলেও সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর তৎপরতা দেখা যায় না। অথচ গরীবদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের বহিঃপ্রকাশের এই মহান সংস্কৃতির দিনেই তারা পরিবেশ দূষণকে বড় করে দেখাতে চায়। তিনি বলেন, আমাদের দেশের জনগণের ঘনত্ব, অবকাঠামো, নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, যাতায়াত, পরিবহণ ব্যবস্থার যে হাল, তাতে সুনির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানী দেওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ কোনভাবেই নিশ্চিত করা যাবে না।

    হেফাজত আমীর বলেন, পবিত্র কোরবানীর মাধ্যমে গভীর আত্মত্যাগের পাশাপাশি মুসলমানদের ধনী-গরীব, ফকীর-মিসকীনদের মধ্যে যে গভীর সহমর্মিতাবোধ, আত্মীয়তার মজবুত বন্ধন ও ঐক্যের সংস্কৃতির চর্চা হয়, তাতে ইসলাম বিদ্বেষী চক্র চরম অস্বস্তিতে ভোগে থাকেন। এ কারণে বহু পূর্ব থেকেই তারা নানাভাবে পবিত্র কুরবানীর বিরুদ্ধে গভীর অপপ্রচার ও চক্রান্তে লিপ্ত। মাত্র কয়েক বছর আগে দেব নারায়ণ নামে এক ইসলাম বিদ্বেষী পবিত্র কোরবানীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছিল। তদুপরি প্রতিবেশী বৃহৎ দেশটি যেভাবে বাংলাদেশে গরু রফতানী নিয়ে কঠোরতা আরোপ ও বাংলাদেশে গরুর গোস্তের মূল্য বৃদ্ধিতে ওই দেশের মন্ত্রীর গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ, সবই একি সূত্রে গাঁথা বলেই মনে হচ্ছে। যে দেশটি বাংলাদেশে গরু রফতানী করতে চায় না, অথচ পত্রিকায় দেখা যায়, তারাই বিশ্বে গরুর গোস্ত রফতানীতে এক নম্বর স্থানে রয়েছে।

    হেফাজত আমীর পবিত্র কোরবানী ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির উপকারীতা প্রসঙ্গে বলেন, কোরবানীর পশু জবাইকে কেন্দ্র করে বাড়ীতে বাড়ীতে, পাড়া-মহল্লায় শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষসহ ধনী-গরীব মিলে সর্বস্তরের মুসলমানদের মধ্যে এক ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যপূর্ণ আবেগময় ধর্মীয় উৎসব বিরাজ করে থাকে। যারা মাসে, ছয় মাসে একবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাল খাবারের আয়োজন করতে পারে না, এমন সব গরীবদের মাঝে বাড়িতে বাড়িতে অকাতরে কোরবানীর গোস্ত বিতরণ করা হয়ে থাকে। এই সংস্কৃতি শিশু-কিশোররা দেখে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মীতার ইসলামী আদর্শের সাথে পরিচিত হতে পারে। মাদ্রাসার গরীব ছাত্র বা প্রতিবেশী গরীবদের মাঝে কোরবানীর পশুর চামড়া বিনামূল্যে বা চামড়া বিক্রয়ের টাকা বিতরণ করার সহমর্মীতার সংস্কৃতি দেখে সকলেই অভিভূত হয়। গরীব-মিসকীন ছাড়াও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে কোরবানীর গোস্ত বিতরণের মাধ্যমে আত্মীয়তার সম্পর্ক আরো গভীর হওয়ার সংস্কৃতির চর্চা হয়। এ ধরণের অগণতি কল্যাণকর প্রথা পবিত্র কোরবানীর মাধ্যমে জনসমাজে চালু রয়েছে।

    তিনি বলেন, আমার জোরালো সন্দেহ, পরিবেশ দূষণের অভিযোগ ও পরিচ্ছন্নতার লেবেল সেঁটে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদি চক্র এবং প্রতিবেশী দেশের ব্রাহ্মণ্যবাদি চক্রের সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রে প্ররোচিত হয়ে ক্ষমতাসীন মহলের কেউ কেউ এমন পদক্ষেপে উদ্বুদ্ধ হয়ে থাকতে পারেন। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য, পবিত্র কোরবানী উদ্যাপনে ক্রমান্বয়ে বাজার সংকট, পশু সংকট, গরু জবাইয়ে সমস্যা তৈরী, গরীবদের মাঝে গোস্ত বিলির প্রথা বিলোপ, গরীব মাদ্রাসা ছাত্র ও ছিন্নমূল প্রতিবেশীদের হক কোরবানীর পশুর চামড়া দখলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে মানুষকে কোরবানীর প্রতি নিরুৎসাহিত করা এবং নির্ধারিত জায়গা ঠিক করে দিয়ে শিশু-কিশোরদেরকে পবিত্র কোরবানীর চিরাচরিত সংস্কৃতি চর্চা ও আনন্দ থেকে দূরে রেখে ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনকে সমাজ থেকে বিলোপ বা গুরুত্বহীন করে দেওয়া। পাশাপাশি ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নাস্তিক্যবাদিদের তল্পিবাহক বিভিন্ন মিডিয়ায় পশুপ্রেম ও পশু-বধের অপপ্রচার চালিয়ে নতুন প্রজন্মকে কুরবানীর প্রতি ভীতশ্রদ্ধ ও নিরুৎসাহিত করা। অথচ এই পশুপ্রেম ও পশুবধের বন্দনা যারা তুলেন, দেখা যায় একদিনের জন্যও বীফ, মাটন ও চিকেন ছাড়া তাদের ডিশ কল্পনা করা যায় না।

    তিনি বলেন, ইসলামী সংস্কৃতির বিশেষত্ব হচ্ছে, সকল আনন্দে ধনী-গরীব, ফকীর-মিসকীন, আত্মীয়-স্বজনসহ সকলকে শামিল করে নেওয়া। পবিত্র কুরবানীকে কেন্দ্র করে এই একটা দিন দেশের সকল মুসলমানের পাতিলে একই রান্না হয়, ধনী-গরীব সকল শিশুদের মাঝে আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। এর চেয়ে সুন্দর ও সহমর্মীতাপূর্ণ সংস্কৃতি জগতের কোন মতবাদে কেউ কি দেখাতে পারবেন?

    জাপানে নার্সিং হোম গুলোতে বৃদ্ধদের উপর নির্যাতনের ঘটনা রেকর্ড সংখ্যক বেড়েছে

    জাপানের বৃদ্ধদের নার্সিং হোম গুলোতে ২০১৪ সালে ৩০০টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১২ সালের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন। সরকারের এই তথ্য থেকে ক্রমবর্ধমান প্রবীণ সমাজে আরেকটি মাথা ব্যাথার ইঙ্গিত মিলছে।

    স্বজনদের নির্যাতন সহ সবমিলে প্রবীণদের উপর নির্যাতনের ঘটনা দাঁড়িয়েছে ১৬,০৩৯টিতে, আগের বছর যা ছিলো ১৫,৯৫২টি। নির্যাতনের ফলে নিহত হয়েছেন ২৫ জন, আগের বছরের চেয়ে মৃত্যুর ঘটনাও বেড়েছে ৪ জন।

    সরকার ৫ লক্ষ প্রবীণদের আবাসনের জন্যে স্থান অনুসন্ধান করছেন যাতে চাকুরি ছেড়ে পরিবারের সেবায় নিয়োজিত হওয়া মানুষের সংখ্যা হ্রাস পায়।

    জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম এবং কল্যাণ মন্ত্রণালয় নার্সিং কেয়ারে নিয়োজিত অনাভিজ্ঞ তরুণদের আরো সম্প্রসারিত প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছেন।

    এক জরিপে দেখা গেছে নার্সিং হোমে নির্যাতনকারীদের ২২ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নীচে।

    পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার ক্ষেত্রে ৪০.৩% নির্যাতনকারীরা হলেন পূত্র, ১৯.৬% স্বামী, এবং ১৭.১% হলেন কন্যা।

    হিমায়িত ডিম্বানু থেকে সন্তানের জন্ম দিলেন চল্লিশোর্ধ্ব মহিলা

    চল্লিশোর্ধ্ব এক জাপানি মহিলা তার হিমায়িত ডিম্বানু ব্যবহার করে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, বিশেষজ্ঞরা নারীদের স্বাস্থ্যের জন্যে খুব একটা উপযুক্ত নয় বলে এ ব্যবস্থাকে সুপারিশ করেন না।

    ধারণা করা হচ্ছে জাপানে এই প্রথম জাপানে সুস্বাস্থ্যের অধিকারীনী এক মহিলা সংরক্ষিত ডিম্বানু ব্যবহার করে গর্ভধারণ করলেন। জাপানে ইতিপূর্বে এ রকম কিছু গর্ভধারণের ঘটনা রয়েছে যেখানে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী হিমায়িত ডিম্বানু ব্যবহার করে সন্তান জন্ম দিয়েছেন, পরবর্তীতে তেজস্ক্রিয় চিকিৎসার ঝুঁকি থাকার কারণে তাদেরকে সন্তান ধারণের অনুমতি দেয়া হয়।

    গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাপান সোসাইটি অফ অবস্টেট্রিক্স এন্ড গাইনেকোলজি’র একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল জানায় তরুণী এবং সুস্থ নারীদেরকে ডিম্বানু হিমায়িত করে সংরক্ষণ না করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, কেননা এতে মহিলাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে সাথে গর্ভধারণের হারও হ্রাস পেতে পারে।

    উ. কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণ পরিকল্পনায় দ. কোরিয়া ও জাপানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

    দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বুধবার বলেছে, উত্তর কোরিয়া তার পরিকল্পনা অনুযায়ী রকেট উৎক্ষেপণের দিকে অগ্রসর হলে তার জন্যে তাকে চরম মূল্য দিতে হবে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই উত্তর কোরিয়া চতুর্থ পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে।
    এই পরিকল্পনা বাতিল করার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সিউল সরকার জানিয়েছে, এটা জাতিসংঘ প্রস্তাবের গুরুতর লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘সরাসরি চ্যালেঞ্জের’ সামিল। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি-র।  উত্তর কোরিয়া আগামী সপ্তাহে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে।
    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে এই ঘটনাকে ‘গুরুতর উসকানি’ হিসেবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করতে যাচ্ছে।
    উত্তর কোরিয়া ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে এই উৎক্ষেপণের ঘোষণা দেয়ার একদিন পর দেশটিকে এভাবে সতর্ক করা হল। দেশটি এই কর্মসূচির মধ্যমে কক্ষপথে একটি পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইট স্থাপন করতে যাচ্ছে।

    কফি পান করতে পারবেন নিশ্চিন্তে

    যাদের অনিয়মিত হার্ট বিট হয় তাদের কফি বা ক্যাফেইন সমৃদ্ধ ড্রিংক পান না করা ভালো— এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞগণ। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় বিশেষজ্ঞগণ কফি পানের সঙ্গে হার্ট বিট বা হৃদস্পন্দন বাড়ার কোনো সংশ্রব খুঁজে পাননি। বিশেষজ্ঞগণ এক বছর ধরে ১ হাজার ৩৮৮ জন লোকের ওপর গবেষণা পরিচালনা করেন; যারা প্রতিদিন কফি, চা, চকলেট খেতেন। পাশাপাশি এদের শরীরে ২৪ ঘণ্টার জন্য হল্টার মনিটর লাগিয়ে রাখা হতো যাতে হার্টের স্পন্দন সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়।
    গবেষকগণ বলছেন, যাদের গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাদের অন্তত শতকরা ৬০ ভাগ প্রতিদিন একাধিক ক্যাফেইনসমৃদ্ধ খাবার খেতেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো যারা নিয়মিত কফি পান করেন এবং যারা কফি বা ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার আহার করেন না তাদের মধ্যে হল্টার মনিটর রিপোর্টে বা ইলেক্ট্রকার্ডিওগ্রাফি রিপোর্টে কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। আর এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে।
    এ ব্যাপারে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক গবেষণার সিনিয়র অথার ড. গ্রেগরি এম মারকিউস উল্লেখ করেছেন গবেষণায় এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি যা অধিক ক্যাফেইন পানে হার্ট বিট বাড়তে পারে। তবে ড. মারকিউস এটাও বলেন যে, অনেক রোগীর ক্ষেত্রে ক্যাফেইন পান অতিরিক্ত হার্ট বিটের কারণ হতে পারে। তবে এমন যদি হয় তাহলে তাদের অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নেয়া ভালো এই কারণে যে, তারা সত্যিটা বুঝতে পারবেন। তবে তিনি মনে করেন অ্যারিদমিয়া বা অনিয়মিত হার্ট বিট জীবন হরণকারী কোনো রোগ নয়। তবে কয়েক দশক ধরে কফি পান নিয়ে যে নেতিবাচক গবেষণা তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা একটি মাত্র গবেষণায় বদলে যাবে তা মনে হয় না। তাই যাদের হার্ট বিটের সমস্যা আছে অথচ কফি পান করতে চান তাদের অবশ্যই হূদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

    টোকিওর জনসংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে

    ২০১৫ সালে টোকিও ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলোতে জনসংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে, সরকারের এক তথ্যে এ কথা জানা যায়।

    রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী তিনটি প্রিফেকচার -সাইতামা, চিবা এবং কানাগাওয়া’তে স্থানান্তরিত হয়ে চলে আসা মানুষ সংখ্যা এসব অঞ্চল ছেড়ে যাওয়া মানুষের তুলনায় বেড়ে গেছে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৩৫৭ জন।

    বৃহত্তর টোকিও এলাকাতে চলে আসা মানুষের সংখ্যা টানা ২০ বছরের মতো বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত রয়েছে। ২০১৫ সালের চিত্র ২০১৪ সালের তুলনায় ৯,৯৪৯ জন বেশি।

    অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রেক্ষাপটে টোকিও এলাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব বাড়ছে, মন্ত্রণালয় জানায়।

    রাজধানীর ২৩টি ওয়ার্ডে সব মিলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৮,৯১৭ জন।

    কিয়োতো, ওসাকা, হিয়োগো এবং নারা প্রিফেকচারে জনসংখ্যা কমে গেছে ৯,৩৫৪ জন, গিফু, আইচি এবং মিয়ে প্রিফেকচারে জনসংখ্যা কমে গেছে ১,০৯০ জন।

    দেশের ৪৭টি প্রিফেকচারের মধ্যে টোকিও, সাইতামা, কানাগাওয়া, চিবা, আইচি, ফুকুওকা, ওসাকা এবং ওকিনাওয়া প্রিফেকচারে স্থানান্তরিত হয়ে আসা মানুষের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। অপর দিকে ৩৯টি প্রিফেকচার ছেড়ে মানুষের চলে যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে।

    ব্যক্তি ও কর্মের ভালো-মন্দ  

    ইসলাম আমাদের দ্বীন। জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামই আমাদের আদর্শ ও আলোকবর্তিকা। ইসলাম আমাদের কর্ম ও আচরণকে পরিশুদ্ধ করে এবং চিন্তা ও মস্তিষ্ককে আলোকিত করে। ইসলাম মানুষকে দান করে ঐ ‘ফুরকান’ (পার্থক্য নিরূপণকারী) যার মাধ্যমে সত্য-মিথ্যা, সরলতা-বক্রতার পার্থক্য নিরুপিত হয় এবং সকল বস্তু ও বিষয়ের স্ব স্ব পরিচয় ও অবস্থান নির্ধারিত হয়। সম্প্রতি কোনো কোনো প্রচারমাধ্যমে ভালো-মন্দ ও ভালো-মন্দের মাপকাঠি নিয়ে একটি চতুরতাপূর্ণ আলোচনার অবতারণা ঘটানো হয়েছে। ‘ভালো মেয়ে,… মেয়ে এবং কে তা নির্ধারণ করবে। এই শিরোনামে ইতিমধ্যে তারা একটি আলোচনা সম্পন্ন করেছে। একারণে বিষয়টি নিয়ে কিছু চিন্তা-ভাবনা পাঠকের সাথে ভাগাভাগি করার তাড়না বোধ করছি। শিরোনামের কথাটি ভালোভাবে বোঝার জন্য কয়েকটি বিষয়ের পার্থক্য ও বিধান স্পষ্টভাবে বোঝা প্রয়োজন :

    এক. কট‚ক্তি ও মূল্যায়ন এক কথা নয়।

    ব্যক্তি বা কর্মের মূল্যায়ন এক বিষয় আর কারো প্রতি কট‚ক্তি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। যদিও অনেক ক্ষেত্রে এ দুয়ের শব্দ-বাক্য এক হয়ে থাকে। একারণে খুব মনোযোগের সাথে লক্ষ্য না করলে কারো কাছে কট‚ক্তিকে মূল্যায়ন কিংবা মূল্যায়নকে কট‚ক্তি বলে মনে হতে পারে।

    ‘ভালো-খারাপ’ শব্দ দুটি প্রয়োগের বিচারে সাধারণ দুটি শব্দ। এরা যেমন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তেমনি কট‚ক্তির ক্ষেত্রেও হয়। সুতরাং কোনো ব্যক্তি বা বিষয় সম্পর্কে এই দুই শব্দের প্রয়োগ শুদ্ধ কি অশুদ্ধ, ন্যায় কি অন্যায় তা নিরূপণ করতে হলে প্রথমেই নিরূপণ করতে হবে শব্দ-দুটির প্রয়োগ কোন প্রকারের অন্তর্ভুক্ত- সিদ্ধান্ত ও মূল্যায়ন, না কট‚ক্তি ও পীড়ন।

    ইসলামে কট‚ক্তি ও পীড়নের বিধান

    এ বিষয়ে সূরায়ে হুজুরাতের ১১ ও ১২ নম্বর আয়াত খুবই প্রাসঙ্গিক। আমি শুধু এই দুই আয়াতের তরজমা তুলে দিচ্ছি :

    ‘হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী থেকে উত্তম হতে পারে। এবং কোনো নারী যেন অপর কোনো নারীকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিনী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। ঈমানের পর ফিস্ক বিশেষণে ভুষিত হওয়া কত মন্দ। যারা তাওবা করে না তারাই যালেম।

    ‘হে মুমিনগণ! তোমরা অনেক ধারণা পরিহার কর। নিশ্চয়ই কিছু ধারণা পাপ। এবং তোমরা  (গোপন বিষয়) অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না। তোমাদের কেউ কি আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পসন্দ করবে? তোমরা তো একে ঘৃণ্যই মনে কর। আল্লাহকে ভয় কর; আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।’

    এখানে যে বিষয়গুলো খুব পরিষ্কারভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা নিম্নরূপ :

    ১. কাউকে উপহাস করা, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা।

    ২. কাউকে মন্দ উপাধী বা বিশেষণে ভ‚ষিত করা। কুরআন মাজীদে পরিষ্কার ভাষায় একে ফাসেকী কাজ বলা হয়েছে।

    ৩. ধারণার অনুসরণ করা। শুধু ধারণার ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া, কোনো কথা বলা বা কোনো আচরণ করা।

    ৪. কারো দোষ বা দুর্বলতা অন্বেষণ করা।

    ৫. কারো গীবত করা বা পশ্চাতে নিন্দা করা।

    হাদীস শরীফের সুস্পষ্ট ভাষ্য অনুযায়ী গীবত হচ্ছে কারো বাস্তব দোষ চর্চা করা। যে দোষ কারো মধ্যে নেই তা কারো প্রতি আরোপ করা তুহমত বা মিথ্যা অপবাদ, যা গীবতের চেয়েও মারাত্মক।

    তো সূরা হুজুরাতের ১১ ও ১২ নম্বর আয়াতে উপরের সবগুলো কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সাধারণভাবে। নারী-পুরুষ সবার জন্য তা নিষেধ এবং সবার ক্ষেত্রে নিষেধ। এক্ষেত্রে নারী ও পুরুষে যেমন কোনো পার্থক্য নেই তেমনি নারীতে নারীতেও কোনো পার্থক্য নেই। কট‚ক্তি ও পীড়ন সবার জন্য হারাম। সবার ক্ষেত্রে হারাম। একটি সভ্য-সুন্দর, শান্তিপূর্ণ সমাজের জন্য বিধানের এই সাম্য সবার আগে প্রয়োজন, যা কুরআনী বিধান চৌদ্দশ বছর আগেই নিশ্চিত করেছে। বর্তমান সমাজ যেহেতু কুরআনী শিক্ষা ও বিধান থেকে দূরে এজন্য এ সমাজে উপহাস, তাচ্ছিল্য, কট‚ক্তি, মিথ্যা অপবাদ, পরনিন্দা ইত্যাদির ব্যাপক চর্চা ও বিস্তার রয়েছে। এসকল অন্যায় শুধু নারীর প্রতিই করা হয় না পুরুষের প্রতিও হয়ে থাকে। এবং শুধু একশ্রেণির নারীর প্রতিই হয় না সব শ্রেণির নারীর প্রতিই হয়ে থাকে। এখানে আমি দ্বীনদার ইসলামী বিধানের অনুসারী পুরুষের কথা বিশেষভাবে বলব, এই সমাজে তারা কত উপহাস, তাচ্ছিল্য, মিথ্যা অপবাদ ও পীড়নের শিকার! দ্বীনদার, পর্দানশীন নারীগণও নানা কট‚ক্তি ও তাচ্ছিল্যের শিকার- জঙ্গি, গোঁড়া, মৌলবাদী, কট্টরপন্থী- আরও কত উপাধী তাদের শুনে যেতে হয় শুধু হিজাব-নিকাব ধারণের কারণে। সুতরাং শুধু ভার্সিটি বা হলে থাকলেই মেয়েদের সম্পর্কে কট‚ক্তি করা হয় বিষয়টা এমন নয়। হিজাব-নিকাব ধারণ করলেও এবং সমাজের গলিত গড্ডালিকায় ভেসে না গেলেও কট‚ক্তি করা হয়। সুতরাং সমাজকে সভ্য সুন্দর করতে হলে সমাজ-চিন্তকদের পক্ষপাতদুষ্ট বা একদেশদর্শী চিন্তা-ধারা পরিহার করতে হবে এবং সাধারণভাবে সবধরনের অন্যায়-পীড়নের মানসিকতা থেকেই সমাজ-সদস্যদের মুক্ত হতে হবে। এক্ষেত্রে নারী-পুরুষে বা নারীতে-নারীতে পার্থক্য বা বৈষম্যের কোনো অবকাশ নেই।

    সূরায়ে হুজুরাতের উপরোক্ত আয়াতগুলোতে এবং কুরআন-সুন্নাহর আরো বহু জায়গায় এই শিক্ষা ও বিধান পরিষ্কারভাবে রয়েছে। এরই চর্চা ও প্রতিষ্ঠা এখন বড় প্রয়োজন।

    দুই.

    ভালো-খারাপ শব্দ দুটি মন্তব্য ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রধান শর্ত, মন্তব্যটি জ্ঞানভিত্তিক হওয়া এবং বাস্তবসম্মত ও ন্যায়ানুগ হওয়া। জ্ঞানভিত্তিক না হলে তা হয় মনগড়া বা ধারণাপ্রসূত মন্তব্য আর বাস্তবসম্মত ও ন্যায়ানুগ না হলে তা হয় অন্যায় ও অবাস্তব মন্তব্য। মূল্যায়নের শব্দে বা শিরোনামে হলেও এগুলো আসলে উপহাস, পীড়ন, অবিচার ও সত্যের অপলাপ যে সম্পর্কে ইতিপূর্বে কিছু আলোচনা করা হয়েছে।

    মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও কিছু সাধারণ কথা মনে রাখা দরকার যার মধ্য থেকে দুটি কথা এখানে আলোচনা করছি।

    প্রথম কথা : কর্মের মূল্যায়ন ও ব্যক্তির মূল্যায়ন এক নয়।

    এক হচ্ছে কোনো একটি বিশেষ কর্ম বা অবস্থার মূল্যায়ন, আরেক হচ্ছে সমগ্র ব্যক্তিটির মূল্যায়ন।  ব্যক্তির কোনো একটি কাজ অগ্রহণযোগ্য হলেই ব্যক্তিটিকে অগ্রহণযোগ্য বলা বৈধ হয়ে যায় না। অর্থাৎ ‘কাজটি ভালো নয়’ আর ‘ব্যক্তিটি ভালো নয়’- এই দুটি এক কথা নয়। এমন খুব হতে পারে যে, ‘কাজটি ভালো নয়’ বলা গেলেও ঐ কারণে ‘ব্যক্তিটি ভালো নয়’ বলা যায় না।

    এ প্রসঙ্গে অনেক উদ্ধৃতিই দেয়া যায়। এই মুহূর্তে আমি শুধু একজন মনীষীর উদ্ধৃতি এখানে তুলে ধরছি।

    ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে ইদরীস আশ শাফেয়ী রাহ. বলেন, এমন কে আছে যার আনুগত্যের সাথে কিছু না কিছু অবাধ্যতা নেই- সুতরাং

    إذا كان الأغلب الطاعة فهو المعدل وإذا كان الأغلب المعصية فهو المجرح.

    সুতরাং যার (কর্ম ও জীবনে) আনুগত্যের প্রাধান্য তিনি ‘বিশ্বস্ত’ আর যার জীবন ও কর্মে নাফরমানীর প্রাধান্য সে ‘অবিশ্বস্ত’। -আল কিফায়াহ ফী ইলমির রিওয়ায়াহ ৭৯ আসসুনানুল কুবরা বাইহাকী ১০

    ইমাম শাফেয়ী রাহ. যদিও একথা একটি বিশেষ শাস্ত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলেছেন কিন্তু এর অন্তনির্হিত বাণী ও যুক্তিটি সাধারণ। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে সাধারণ ও সামগ্রিক মূল্যায়ন হয় তার গোটা কর্ম ও জীবনের ভিত্তিতে। সেখানে ভালোর প্রাধান্য হলে ব্যক্তিটি ভালো যদিও তার কিছু দোষ-ত্রুটি রয়েছে। আর সেখানে মন্দের প্রাধান্য হলে ব্যক্তিটি মন্দ যদিও তার কিছু গুণ ও বিশিষ্টতা রয়েছে।

    তাহলে বিশেষ কোনো কর্ম, আচরণ বা অবস্থাকে ‘ভালো’ বা ‘মন্দ’ বলা এক কথা আর কোনো ব্যক্তিকে ‘ভালো’ বা ‘মন্দ’ উপাধীতে আখ্যায়িত করা সম্পূর্ণ আলাদা কথা।

    তবে হ্যাঁ, এখানে আরেকটি দিকও রয়েছে। আর তা হচ্ছে, ভাষার ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রেই ‘সাধারণ’ শব্দ প্রয়োগ করে ‘বিশেষ’ অর্থ গ্রহণ করা হয়। যেমন ভালো-মন্দ শব্দ দুটি সাধারণ হলেও কারো প্রয়োগে এর অর্থ হতে পারে ‘সচ্চরিত্র’ ‘দুশ্চরিত্র’। আগেই বলা হয়েছে নিশ্চিতভাবে কারো সচ্চরিত্র বা দুশ্চরিত্র হওয়া জানা না থাকলে এ শব্দের প্রয়োগ মিথ্যা। আর জানা থাকলেও তা প্রয়োগ করা যাবে কিনা, গেলে কোন ক্ষেত্রে করা যাবে, কী কী শর্তে করা যাবে সেটাও এক আলাদা প্রশ্ন।

    তো ভালো-খারাপ শব্দ দুটি যে অর্থেই প্রয়োগ করা হোক প্রয়োগটি ‘মূল্যায়ন’ হওয়ার জন্য যথার্থ জ্ঞান ভিত্তিক হওয়া জরুরি। অন্যথায় তা কট‚ক্তি ও অন্যায় বলেই সাব্যস্ত হবে।

    দ্বিতীয় কথা : কর্ম ও বিশ্বাস ব্যক্তি থেকে আলাদাও নয়

    তাহলে ব্যক্তির মূল্যায়ন ও কর্মের মূল্যায়ন এক কথা নয়। এবং বিশেষ কোনো একটি কর্ম ভালো না হওয়ার কারণেই সমগ্র ব্যক্তিটিকে ‘ভালো নয়’ বলে দেওয়া ন্যায়সংগত নয়। তবে একই সাথে এ-ও তো অনস্বীকার্য যে, ব্যক্তির ভালো ও মন্দ অবশেষে কর্মের ভালো ও মন্দের দ্বারাই নির্ধারিত হয়। একটি বিশেষ কর্ম যদিও ব্যক্তির সবটা নয় কিন্তু তা ব্যক্তি থেকে আলাদাও নয়। সুতরাং ‘এ তো একটিমাত্র কর্ম’- একথা বলে অবহেলারও অবকাশ নেই।

    অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পোষাকের বিষয়ে বলা হয়, ‘পোষাক দ্বারা ব্যক্তির ভালো-মন্দ নির্ধারিত হয় না।’ খাঁটি কথা। কিন্তু ‘পোষাক’ কি ব্যক্তির কর্ম ও জীবনের অংশ নয়? ব্যক্তির চিন্তা ও কর্ম, বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সাথে পোষাকের কি কোনোই সম্পর্ক নেই? তাহলে শুধু পোষাক দ্বারা ব্যক্তির ভালো-মন্দ নির্ধারিত হয় না- একথা যেমন সত্য তেমনি পোষাককে ভালো-মন্দ থেকে একেবারে আলাদাও করা যায় না- একথাও সত্য। বিশেষ পোষাকের প্রতি বিশেষ শ্রেণির মানুষের অনুরাগ-বিরাগও এক বাস্তব ব্যাপার। সুতরাং ‘পোষাকে কী আসে যায়’ এমনটা বলার অবকাশ নেই। পোষাকে আসলে অনেক কিছুই আসে যায়। আর একারণেই পোষাক নিয়ে এত তর্ক-বিতর্ক এবং বিশেষ ধরনের পোষাকের প্রতিষ্ঠা বা প্রতিরোধ নিয়ে সকল পক্ষের এত মাথা ব্যাথা!

    পরিবেশ ও প্রতিবেশ সম্পর্কেও কারো মনে হতে পারে, এতে কী আসে যায়। নিজে ভালো তো জগৎ ভালো। কিন্তু সত্যিই কি তাই? সঙ্গ ও পরিবেশ কি ব্যক্তির চিন্তা ও কর্ম-গঠনে কোনোই ভ‚মিকা রাখে না? পরিবেশের অনুক‚লতা ও প্রতিক‚লতার কি কোনোই প্রভাব নেই মানবের কর্ম ও চিন্তার ক্ষেত্রে? ভালো-মন্দই শুধু নয়, ভালো-মন্দ বিচারের মানদণ্ডও তো গঠিত ও পরিবর্তিত হয় সঙ্গ ও পরিবেশের কারণে।

    সুতরাং জীবনের খণ্ড খণ্ড নানা অনুষঙ্গ, আমরা হয়তো আলাদাভাবে প্রত্যেকটি সম্পর্কেই বলব, এটি ব্যক্তির ভালো-মন্দের নির্ধারক নয়, কিন্তু কথাটিকে ভুলভাবে বুঝলে বা ভুল ব্যাখ্যা করলে তো চলবে না। ভালো-মন্দের নির্ধারক নয় মানে একমাত্র নির্ধারক নয়। ভালো-মন্দ গঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে এর কোনোই ভ‚মিকা নেই- তা নয়।

    এই খণ্ডগুলোর কোনোটিরই যদি ভালো-মন্দ নির্ধারণে ভ‚মিকা না থাকে তাহলে ভালো-মন্দ নির্ধারিত হয় আসলে কীসের দ্বারা? এই খণ্ডগুলোর সমষ্টিই যখন ভালো-মন্দের নির্ধারক তখন খণ্ডগুলোর কোনো ভূমিকাই নেই একথা কীভাবে যুক্তিসঙ্গত হয়?

    এটা একটা কৌশল যে, ইসলামের যে বিধান কেউ মানতে চায় না সে ঐ বিধানটি ইসলামের বিধান-সমগ্রের অংশবিশেষ হওয়ার ‘সুবিধা’ গ্রহণে প্রয়াসী হয়। তাই বলতে শোনা যায়, ‘লেবাসেই কি ইসলাম?’ ‘দাড়িতেই কি ইসলাম?’ হক কথা। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথম প্রশ্ন হল, কেউ কি বলেছে, দাড়ি-টুপিই সমগ্র ইসলাম? নিঃসন্দেহে দাড়ি-টুপি সমগ্র ইসলাম নয়। কিন্তু ইসলামের অংশও কি নয়? সমগ্র ইসলাম তো ‘সমগ্র’ হয়েছে এই একটি একটি অংশ নিয়েই। তো এই সবগুলো অংশের বাইরে আলাদা করে ‘সমগ্র ইসলাম’ কোথায় পাওয়া যাবে শুনি!

    একইভাবে ইসলামের যে বিধানের বিপরীত বিষয়টি কেউ সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাদেরও অপকৌশল, বিষয়টি কর্ম ও জীবনের অংশবিশেষ হওয়ার অন্যায় সুবিধা গ্রহণ। সুতরাং প্রশ্ন, ‘পর্দা না মানাটাই কি ভালো-মন্দের নির্ধারক?’ না, পর্দা না মানাটাই ভালো-মন্দের নির্ধারক নয়, তবে হ্যাঁ, পর্দা না-মানাটাও ভালো-মন্দের নির্ধারক। কারণ যে কর্মসমগ্র ব্যক্তির ভালো-মন্দ নির্ধারণ করে এটি তারই অংশবিশেষ।

    তিন.

    নারী-প্রসঙ্গে ইসলামের যে বিধানগুলো কট‚ক্তি ও মিথ্যাচারের লক্ষ্য, পর্দা-বিধান ও পরিবার-ব্যবস্থা তার অন্যতম। পর্দার কুরআনী বিধানকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নারীর প্রতি বৈষম্য, অবরোধ ইত্যাদি নানা ভাষায় উপস্থিত করা হয়। এখানে শুধু এটুকু বলা প্রাসঙ্গিক যে, এটি পর্দা-বিধানের সঠিক মূল্যায়ন নয়; বরং মিথ্যাচার ও অপব্যাখ্যা। এই অপব্যাখ্যার এক কারণ, পর্দাহীনতার সংস্কৃতির প্রতি বিশেষ পক্ষপাত, আরেক কারণ পর্দা-বিধান সম্পর্কে সঠিক ও সম্পূর্ণ ধারণার অভাব। পর্দা-বিধান সম্পর্কে মৌলিক দুটি বিষয় লক্ষ্য করলে এই অপব্যাখ্যা বোঝা সহজ হতে পারে।

    এক. ইসলামে পর্দার বিধান শুধু নারীর প্রতি নয়; নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রতি। দুই. এই বিধানের উদ্দেশ্য, নারী ও পুরুষ উভয়ের হৃদয় ও চরিত্রের পবিত্রতা।

    পর্দা-বিধানের বিভিন্ন অংশ কুরআন মাজীদের বিভিন্ন আয়াতে এসেছে। এ আয়াতগুলোতে শুধু নারীকে সম্বোধন করা হয়নি, নারী-পুরুষ উভয়কেই সম্বোধন করা হয়েছে।

    সূরাতুন নূরে ইরশাদ হয়েছে-

    (তরজমা) মুমিন (পুরুষ)দের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে; এটা তাদের জন্য উত্তম। আল্লাহ তাআলা তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে সম্যক অবগত।

    মুমিন(নারী)দের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ থাকে তা ছাড়া তাদের আভরণ প্রদর্শন না করে। তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে…। সূরাতুন নূর (২৪) : ৩০-৩১

    সূরাতুল আহযাবে ইরশাদ হয়েছে- তোমরা (পুরুষেরা) তাঁহার (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর) স্ত্রীদের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাবে। এই বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র। -সূরা আহযাব (৩৩) : ৫৩

    এখানেও পর্দার বিষয়ে পুরুষকে সম্বোধন করা হয়েছে। আর পর্দার বিধানের উদ্দেশ্যও স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, এটি নারী-পুরুষ উভয়ের হৃদয়ের পবিত্রতার উপায়।

    তো যারা পর্দা-বিধানের বিরুদ্ধে বলতে চান তারা পরিষ্কার ভাষায় একথা বলে দিলেই সততা রক্ষা হয় যে, হৃদয় ও চরিত্রের পবিত্রতা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। এটা রক্ষা না হলেও তেমন কিছু যায় আসে না। ইচ্ছাপূরণ ও প্রবৃত্তিপরায়ণতাই জীবনে মুখ্য ব্যাপার। কিন্তু এ না বলে চরিত্র ও হৃদয়ের পবিত্রতার উদ্দেশ্যে যে বিধান দেওয়া হয়েছে এবং জীবন ও জগতের অসংখ্য ঘটনা ও ঘটনাধারা যার যথার্থতার জীবন্ত সাক্ষী সে সম্পর্কে একথা বলা যে, এই বিধান নারীকে অবরুদ্ধ ও অবদমিত করার জন্য- এ নিঃসন্দেহে কপটতা ও প্রতারণা। তো পর্দা বিধানের দুটি মৌলিক দিক, অর্থাৎ পর্দার বিধান শুধু নারীর জন্য নয়, নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য আর এই বিধানের উদ্দেশ্য নারী ও পুরুষ উভয়ের হৃদয় ও চরিত্রের পবিত্রতা বিধান, মনে রাখলে ঐ মিথ্যাচারের স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, নারী ও পুরুষের সৃষ্টিগত ও প্রকৃতিগত পার্থক্যের কারণেই পর্দা-বিধানের প্রায়োগিক কিছু ক্ষেত্রে পার্থক্য হয়েছে। সেখানেও উদ্দেশ্য নারীর সুরক্ষা ও পবিত্রতা।

    সূরা আহযাবেই নারীকে এই বিধান দেওয়া হয়েছে যে, ‘আর তোমরা (নারীরা) স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন যুগের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না। তোমরা সালাত কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের অনুগত থাকবে। হে নবী-পরিবার! আল্লাহ তো শুধু চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে। -সূরা আহযাব (৩৩) : ৩৩

    এখানেও পর্দা-বিধানের উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে উল্লেখিত হয়েছে। আসলে নারী-মুক্তি, নারীর মর্যাদা – এগুলো বাহানামাত্র। নারী পর্দার মাঝেও আপন কর্মে ও মর্যাদায় ভাস্বর থাকতে পারেন, এখনও যার উদাহরণ একেবারে কম নয়। অন্যদিকে পর্দাহীনতার মাঝেও এবং পর্দাহীনতার কারণেও নানাবিধ দমন-পীড়ন, লাঞ্ছনার শিকার হতে পারেন, যার প্রমাণ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর প্রয়োজন নেই। এটি এখন সমাজ-জীবনের এক প্রাত্যহিকতা।

    ইসলামী আদর্শে চারিত্রিক ও মানসিক পবিত্রতা এক অতি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। ব্যক্তি-জীবনে ও সমাজ-জীবনে এর অনুশীলন ও প্রতিষ্ঠা ইসলামের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। পক্ষান্তরে পশ্চিমা ভোগবাদী জীবন-দর্শনে স্বেচ্ছাচার ও প্রবৃত্তি-পরায়ণতাই মুখ্য। নৈতিকতা, পবিত্রতা, পরিণামের শুভ-অশুভ, কল্যাণ-অকল্যাণ সবই গৌণ। কে না জানে এখানে নৈতিকতা গৌণ বিত্ত ও প্রতিষ্ঠার কাছে। পবিত্রতা গৌণ ভোগ ও লালসাপূরণের কাছে আর পরিণামের ভালো-মন্দ গৌণ তাৎক্ষণিক ইচ্ছাপূরণের কাছে। সুতরাং আসল প্রশ্ন নারীর অবরুদ্ধতা ও মুক্তির নয়, নারী-পুরুষের চারিত্রিক সুস্থতার মুখ্যতা ও গৌণতার। আর এ তো একান্তই শঠতা ও কপটতা যে, স্বেচ্ছাচার ও প্রবৃত্তিপরায়ণতার শিরোনাম হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘ব্যক্তি-স্বাধীনতা’।

    একই কথা পারিবারিক বন্ধনের ক্ষেত্রেও। ইসলামের পরিবার-ব্যবস্থায় নারী-পুরুষ পরস্পরের প্রতিপক্ষও নয়, শোষক ও শোষিতও নয়; বরং একে অন্যের সহযাত্রী ও পরিপূরক । পারিবারিক বন্ধনের উদ্দেশ্য, পরষ্পরের স্বাভাবিক কামনা-বাসনা পূরণের এবং আবেগ-অনুভ‚তি প্রকাশের একটি মানবোচিত শৃঙ্খলা ও শালীনতাপূর্ণ ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যত বংশধরের পরিচয় ও সম্বন্ধ রক্ষা, যা মানুষকে স্বভাবগতভাবেই দায়িত্বশীল ও ¯েœহশীল করে এবং যার প্রভাবে ভাবী সমাজের শৈশবের জন্য মমতা ও দায়িত্বশীলতার এবং আশ্রয় ও আপনত্বের এক সুশীতল বাতাবরণ তৈরি হয়, যার ছায়ায় ধীরে ধীরে অঙ্কুরিত ও বিকশিত হয় সততা ও সত্যবাদিতা, সাহস ও সংযম এবং শৃঙ্খলা ও কর্মমুখিতা। এই নির্মাণ ও কল্যাণের পথে নারী-পুরুষ একে অন্যের সহযাত্রী- তাই এদের মাঝে অতি প্রয়োজন বিশ্বাস ও বিশ্বস্ততার, আনুগত্য ও নির্ভরশীলতার এবং সুরক্ষা ও অভিভাবকত্বের এক স্থায়ী ও অটুট বন্ধন। পক্ষান্তরে পশ্চিমা পুঁজিবাদ ও ভোগবাদে অবাধ ইচ্ছাপূরণের কাছে এবং নারী-পুরুষের সকল কর্মশক্তিকে পণ্যে পরিণত করার অন্যায় ব্যবস্থার কাছে শৃঙ্খলা, সংযম, বংশ-পরিচয় কোনো কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এমনকি সমাজ ও মানবতার চরম ক্ষয় ও অবক্ষয়ও গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুতরাং পারিবারিক বন্ধন মমতা, দায়িত্বশীলতা এবং নীতি ও সংযমের বন্ধন নয়, অবাধ ইচ্ছাপূরণের পথে এবং নারী-পুরুষের সকল কর্মশক্তিকে ‘ডলারে’ রূপান্তরিত করার পথে এক বিরক্তিকর ‘বাধা’। এ হচ্ছে একদিক। আরেক দিক হচ্ছে, ভোগবাদী পশ্চিম স্বভাব-প্রকৃতির সাথে মল্লযুদ্ধে আজ চরম পর্যুদস্ত। পক্ষান্তরে মুসলিম-সমাজ শত দুর্বলতা সত্তে¡ও পারিবারিক বন্ধনের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপদ ও মহিমান্বিত। এই সমাজকে চ‚ড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত ও অধীনস্ত করতে হলে পারিবারিক বন্ধনটি চুরমার করে দেওয়ার অতিপ্রয়োজন। সুতরাং পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটির দুই প্রধান স্তম্ভ -স্বামী ও স্ত্রীকে একে অপরের প্রতিপক্ষ করে তোলার এবং অন্যায় অহমিকা, অবাস্তব ভাবাবেগ ও পরষ্পরের প্রতি তাচ্ছিল্য ও অশ্রদ্ধার বিস্তার ঘটানোর নানা প্রয়াস। ফলে একই ছাদের নীচে জীবন যাপন করেও দুজন পূর্ণাঙ্গ নারী ও পুরুষ পূর্ণ বিকশিত নারীত্ব ও পুরুষত্বের অধিকারী হয়েও একে অপরের প্রতি বিরক্ত ও বীতশ্রদ্ধ। অথচ এই নারীর নারীত্বই পরম উপভোগ্য অন্য পুরুষের কাছে এবং এই পুরুষটিই পরম প্রার্থনীয় অন্য নারীর কাছে!

    এবং একটি পরিবারের মহিমাপূর্ণ যাবতীয় অনুষঙ্গ- প্রেম, ভালবাসা, সেবা-সহমর্মিতা, আনুগত্য ও অভিভাবকত্ব এগুলোর আদান-প্রদান যখন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তখন তা স্বার্থবাদ ও পুরুষতান্ত্রিকতা, পক্ষান্তরে এসবেরই আদান-প্রদান যখন পরপুরুষ ও পরনারীর মাঝে তখনই তা ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও নারীমুক্তি!!

    সুতরাং উপাদানের পরিবর্তন নয়, মর্যাদা বা অবস্থানেরও পরিবর্তন নয়, শুধু পাত্র ও পদ্ধতির পরিবর্তনেই স্বার্থবাদ ও পুরুষতান্ত্রিকতা থেকে ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও নারী-মুক্তিতে উত্তরণ!! তাহলে বাস্তব অর্থে পুরুষতান্ত্রিকতা বা নারী-মুক্তি মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য হচ্ছে ভোগ ও স্বেচ্ছাচারের অবাধ স্বাধীনতা। অতএব পরিবার একটি দায়িত্ব ও ভালবাসার ‘বন্ধন’ নয়, ইচ্ছাপূরণ ও প্রবৃত্তিপরায়ণতার পথে এক উৎকট ‘বাধা’। আর একারণেই ‘পুরুষতান্ত্রিকতা’র জোর সমালোচনা এবং ‘নারী-মুক্তি’র জোরালো আহ্বান।

    চার.

    ‘স্বামীর সেবা’ কথাটি এখন এক দাহ্য পদার্থ। যা শ্রবণমাত্র হৃদয় ও মস্তিষ্কে দহন ও ক্ষরণের সূচনা ঘটে যায়। তবে এই আগুনে শব্দটি ব্যবহার করছি একথা বলার জন্য যে, ‘স্বামীর সেবা’র যে রূপ ও ধারণা আমাদের সমাজে প্রচলিত তার সবটাই ‘ইসলামী’ নয়। এর অনেক কিছুই ‘তুর্কিস্তানী’ ও ‘হিন্দুস্তানী’। এই যে ‘স্বামী’ শব্দটি এর অর্থ ‘খাঁটি’ বাঙ্গলা অভিধানে দেখছি, পতি, ভর্তা, প্রভু, মনিব; অধিপতি, মালিক (গৃহস্বামী, ভ‚স্বামী); … বি. স্বামিত্ব-মালিকানা (স্বত্ব-স্বামিত্ব) -সংসদ বাঙ্গলা অভিধান

    এটি বাংলা ভাষার সুপ্রাচীন ও সুপ্রচলিত শব্দ। আরবী ভাষায় এবং কুরআন-সুন্নাহর ব্যবহারে স্বামী-স্ত্রী অর্থে যে শব্দটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত তা হচ্ছে, زوج (যাওজ)। এর অর্থ এক জোড়া বস্তুর একটি বা যুগলের একজন। ‘জোড়া’ বা ‘যুগলে’র প্রত্যেকে একে অপরের ‘যাওজ’। তাহলে দেখা যাচ্ছে, কুরআন-সুন্নাহর শব্দে প্রভুত্ব ও মালিকানা নয়, সঙ্গী ও পরিপূরক হওয়ার অর্থই প্রকাশিত। পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক সম্বন্ধের যে ইসলামী ধারণা তাতেও উপরোক্ত ভাবই প্রকাশিত।

    ইসলামে পরিবার একটি প্রতিষ্ঠান। আর যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই একজন আমীর বা কর্তা আবশ্যক, নতুবা ঐ প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা থাকে না। পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটির আমীর বা কর্তা হচ্ছেন পুরুষ। যার কর্তব্য, পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষণের ভার বহন করা এবং তাদের সুপথে পরিচালনার দায়িত্ব পালন করা। পক্ষান্তরে পরিবারের সদস্যদের কর্তব্য, আমীরের আনুগত্য করা এবং তার প্রতি বিশ্বস্ত ও ওফাদার থাকা। এই পারস্পরিক সম্বন্ধে অসম্মান-অমর্যাদার কিছু নেই, নতুবা জগতের কেউই মর্যাদাবান নয়। কারণ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জগতের সকল মানুষই একক্ষেত্রে আমীর বা কর্তা, অন্য ক্ষেত্রে মামুর বা অধীনস্ত। ইসলামে এই আমীর-মামুরের দর্শন, শুধু স্বামী-স্ত্রী বা নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে নয়, জীবনের সকল ক্ষেত্রে। যেখানেই দুজন মানুষের সামষ্টিক কর্ম সেখানেই রয়েছে আমীর ও মামুরের শিক্ষা। ইসলামের শৃঙ্খলাপ্রিয়তার এ এক উদাহরণ।

    তো পারিবারিক জীবনের ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে সেবার চেয়ে বড় কথা বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য। আর সেবা তো মানব-জীবনের এক সাধারণ ও মহিমান্বিত বিষয়। এখানে ছোট-বড়, নারী-পুরুষের কোনো স্তরভেদ নেই। ছোট যেমন বড়র সেবা করতে পারে তেমনি বড়ও পারেন ছোটর সেবা করতে। এতে কারোরই মর্যাদাহানী ঘটে না। ছোটর সেবা ছোটকে করে প্রিয়পাত্র ও নিকটতর আর বড়র সেবা বড়কে করে মহিমান্বিত ও সমুন্নত।

    মা সন্তানকে তার প্রিয় খাবারটি রেধে খাওয়ান। এর কোনো তুলনা কি পৃথিবীতে আছে? আদরের ছোট বোনের হাতের রান্না যে অন্তত একবার খায়নি তার ইহ-জীবনের কমসে কম চার আনাই মিছে। আর দাদী-নানীর হাতে বানানো গরম গরম ভাপা পিঠের স্মৃতি তো মনে থাকে নিজে দাদু-নানু হওয়া পর্যন্ত! তো এই নশ্বর পৃথিবীতে অর্থপূর্ণ ও মহিমাপূর্ণ যে কয়টি জিনিস রয়েছে তার একটি হচ্ছে  ‘সেবা’। এই অপার্থিব সমুজ্জল জিনিসটি চরম পার্থিবতায় পর্যবসিত হয়ে পড়ে যেসকল কারণে তার দুটো এখানে উল্লেখ করছি : এক. যখন তা জোরপূর্বক আদায়ের চেষ্টা করা হয়। আর দুই. যখন এই খাঁটি বেহেশতী জিনিসটির অপব্যাখ্যা করা হয়।

    এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমাদের মাঝে এমন পুরুষের কোনো অভাব নেই যারা স্ত্রীর কাছ থেকে ‘স্বামীর সেবা’ জোর করে আদায় করতে চায়। হায়, ঐ মূর্খের জানা নেই, তখন এই  ‘সেবা’ আর ভালোবাসার লাল গোলাবটি থাকে না নিতান্তই জীবিকার তাগিদে গাঁথা গাঁদা ফুলের মালা হয়ে যায়। একইভাবে এমন হীন প্রবৃত্তির পুরুষ ও হীনম্মন্যতাগ্রস্ত নারীর সংখ্যাও কম নয় যারা ঐ খাঁটি বেহেশতী গোলাবটিকেও ‘শাহবাগী গাঁদা ফুল’ মনে করে নিজের হীনতা ও রিক্ততার পরিচয়টি নিজের অজান্তেই প্রকাশ করে ফেলে।

    পাঁচ.

    মূল প্রসঙ্গ থেকে কিছুটা দূরে সরে এসেছি। কথা হচ্ছিল, বিশেষ কোনো কর্ম দ্বারাই সমগ্র ব্যক্তির মূল্যায়ন যদিও সঠিক নয় কিন্তু অবশেষে কর্ম ও বিশ্বাস দ্বারাই ব্যক্তির ভালো-মন্দ নির্ধারিত হয়। এখন এ প্রশ্ন আসে যে, কর্মের ভালো-মন্দ তাহলে নির্ধারিত হয় কীসের দ্বারা? অর্থাৎ কোন কাজ ভালো বা করণীয় আর কোন কাজ মন্দ বা বর্জনীয় তা নির্ধারণের মানদণ্ড কী? এটাই আসলে মূল প্রশ্ন। এরই জন্য আসলে এত কিছু। এই প্রশ্নের উত্তরে যদি বলা হয়, মানবই নির্ধারণ করবে তার করণীয় ও বর্জনীয় তাহলে তা শুনতে যতই মধুর শোনাক একে তো সেটা বাস্তবসম্মত হবে না দ্বিতীয়ত এতে কোনো বিবাদের মিমাংসা হবে না। মানব-বুদ্ধি খুব সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে করণীয়-বর্জনীয় নির্ধারণ করতে পারে। তবে এর জন্যও প্রয়োজন হয় অনেক কিছুর সহযোগিতা। তবে মানব-বুদ্ধি খুব পরিষ্কারভাবে এই সিদ্ধান্ত দেয় যে, সকল করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ মানবকে খুব অল্পই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। এই বিশ্ব জগতের খুবই ক্ষুদ্র এক সৃষ্টি মানব। কে তার স্রষ্টা, কী তাঁর পরিচয় আর কীভাবে ও কী উদ্দেশ্যে মানবের ও বিশ্বজগতের সৃজন-বর্ধন আর সে হিসেবে তার করণীয় কী আর কীভাবেই বা তা সম্পন্ন হবে- এ সকল বিষয়ে মানব-বুদ্ধি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দানে অক্ষম। তদ্রূপ কী তার পরিণাম, কোথায় তার গন্তব্য এবং সে হিসেবে কী তার করণীয় তা-ও মানবীয় জ্ঞানের ঊর্ধ্বে। জ্ঞানের স্বল্পতা, দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা ও নানাবিধ মানবীয় দুর্বলতা সত্তে¡ও যদি করণীয়-বর্জনীয় নির্ধারণের ভার এককভাবে মানবের ইচ্ছার উপরই অর্পণ করা হয় তাহলে চিন্তা ও কর্মের যে অরাজকতা সৃষ্টি হবে তার যথার্থ-প্রতিনিধিত্ব হচ্ছে এই বাক্যের মধ্য দিয়ে যে, ‘ভালো ও মন্দ একান্তই আপেক্ষিক ব্যাপার’। অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে ভালো ও মন্দ বলতে আসলে কিছু নেই! মানবের চিন্তা ও বুদ্ধির অক্ষমতার এর চেয়ে বড় স্বীকারোক্তি আর কী হতে পারে?

    একারণে মানবের প্রতি মানব-স্রষ্টার সবচেয়ে বড় দান হচ্ছে, ঈমান। ঈমান বলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানবের প্রভু। তিনিই স্রষ্টা এবং তাঁরই কাছে মানুষের জবাবদিহিতা। সুতরাং তিনিই নির্ধারণকারী মানবের করণীয় ও বর্জনীয়। ঈমানদারের কাছে তাই দ্বীন ও শরীয়তই হচ্ছে করণীয়-বর্জনীয় এবং ভালো ও মন্দের মাপকাঠি। এ আমাদের ঈমানের দুর্বলতা যে, বস্তুবাদী, ইন্দ্রিয়পূজারী  গেষ্ঠী মুমিনের সমাজে ভালো-মন্দের মাপকাঠি নিয়েও প্রশ্ন তোলার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রয়াস পায়। বলাবাহুল্য, আমাদের ঈমান ও বিশ্বাস যত দুর্বল হবে এ জাতীয় ফিৎনা ততই শক্তি সঞ্চয় করবে। একারণে আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য, নিজ নিজ ঈমানের বিষয়ে সতর্ক হওয়া এবং ঈমানকে শক্তিশালী করার সযত্ন প্রয়াস গ্রহণ করা।

    ছয়.

    ভালো ও মন্দ নিয়ে বা ভালো-মন্দের মাপকাঠি নিয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রপাগাণ্ডা, আলোচনা ও প্রচার আসলে কেন? এটা এই জন্য যে, সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক আগ্রাসনের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে মন্দ চিহ্নিত করার এবং তা থেকে বেঁচে থাকার যে সকল উপায় দান করেছেন তার একটি হচ্ছে, বিবেকের বিচার। ব্যক্তির বিবেক ও সমাজের বিবেক। এ দুটো জিনিস মানুষকে মন্দ থেকে বিরত থাকতে সহায়তা করে। একটি হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কত সুন্দরভাবে বলেছেন-

    الْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي صَدْرِكَ، وَكَرِهْتَ أَنْ يَطَّلِعَ عَلَيْهِ النَّاسُ

    ‘পাপ ঐ জিনিস যা তোমার অন্তরে বেধে আর মানুষ তা জানুক তা তুমি অপছন্দ কর।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৫৩

    তাহলে বিবেকের দংশন ও সমাজের শাসন হচ্ছে এমন এক প্রয়োজনীয় বিষয় যা পাপের পথে এক বড় প্রতিবন্ধক। সুতরাং পাপের বিস্তার যদি ঘটাতে হয় তাহলে এক জরুরি কাজ, বিবেকের দংশন বিদায় করা ও সমাজের শাসন প্রতিহত করা। পক্ষান্তরে পাপের বিস্তার রোধের জন্য প্রয়োজন বিবেককে জাগ্রত করা, এবং তাকওয়া ও খোদাভীতি শক্তিশালী করা আর সমাজে আমর বিল মারূফ ও নাহী আনিল মুনকারের বিস্তার ঘটানো।

    একারণে ইসলামের শত্রæপক্ষের এক সুচিন্তিত কর্ম-প্রয়াস এই যে, নানা সংবেদনশীল বিষয়কে অনুষঙ্গ বানিয়ে ব্যক্তির চিন্তা ও বিবেককে ভোগবাদী সমাজ-ব্যবস্থার অনুক‚ল করা এবং সমাজের ঈমানী শাসনকে দুর্বল করা। এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভালো ও মন্দের মাপকাঠি বদল। মস্তিষ্ক যখন মন্দকেই ভালো মনে করবে তখন এই মন্দের কারণে তার মনে ধিক্কার ও অনুশোচনা জাগবে না। তেমনি সমাজের চোখেও যখন তা ‘মন্দ’ নয় তখন লোকলজ্জার পর্দাও থাকবে না। একারণে মুসলিমসমাজে আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ক্ষেত্রে মারূফ ও মুনকার তথা ভালো ও মন্দের ইসলামী ধারণা পরিবর্তনের প্রয়াস শত্রু-পক্ষের কর্ম ও তৎপরতার এক বড় ক্ষেত্র।

    এই অপতৎপরতার সঠিক ও স্থায়ী জবাব হবে, সর্বস্তরে ঈমানী চেতনা, দ্বীনের প্রতি সমর্পন এবং ইসলামের মারূফ ও মুনকার সম্পর্কে সচেতনতার বিস্তার ঘটানো, সঠিক পন্থায় আমর বিল মারূফ ও নাহি আনিল মুনকারে তৎপর হওয়া এবং ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে দাওয়াতী মেহনত জোরদার করা।

    ব্যক্তি ও সমাজে ইসলামের ‘মারূফ’ ও ‘মুনকার’ সম্পর্কে সচেতনতা ও সমর্পণ সৃষ্টির জোরদার প্রয়াস এখন সময়ের বড় প্রয়োজন।

    কৃতজ্ঞতা : এ লেখাটির প্রেরণা আমাদের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ ভাই। মাসিক আলকাউসারের নির্বাহী সম্পাদক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে সিহহত ও আফিয়াতের সাথে দাওয়াতের অঙ্গনে অনেক ভূমিকা রাখার তাওফীক দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।

    নিজস্ব প্রযুক্তির রাডারকে ফাঁকি দেয়া স্টেলথ বিমানের পর্দান্মোচন করলো জাপান

    জাপান প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত রাডারের চোখকে ফাঁকি দিতে সক্ষম স্টেলথ বিমানের পর্দান্মোচন করেছে। এ অঞ্চলে চীনের সামরিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জাপান তার গোয়েন্দা কার্যক্রমকে সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

    পরীক্ষামূলক এক্স-২ ফেব্রুয়ারিতেই তার প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন স্টেলথ প্রযুক্তির পরীক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে বিমানটির নক্সা তৈরি করা হয়েছে যা ২০২৮ সাল থেকে পরবর্তী প্রজন্মের জঙ্গী বিমান বহরের সাথে যুক্ত হতে পারে এবং বর্তমানে ব্যবহৃত এফ-২ বিমান গুলোকে প্রতিস্থাপিত করতে পারে।

    লাল-সাদা বিমানটির দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার এবং পাখার বিস্তার ৯ মিটার। প্রদর্শনীকালে বিমানটি আইচি প্রিফেকচারের তোইয়োইয়ামা’তে নাগোয়া বিমানবন্দরেরর একটি হ্যাঙ্গারে রাখা ছিলো।

    মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃত্বে নির্মিত বিমানটিতে রয়েছে রাডার ফাঁকি দেয়ার বিভিন্ন প্রযুক্তি, যার মধ্যে রয়েছে লুকিয়ে থাকার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম বিশেষ ধরনের কোটিং দিয়ে বিমানকে আচ্ছাদন এবং এর গতিশীলতা।

    “আমি এখনই এর বিস্তারিত বলতে পারছি না, কিন্তু আমরা এর প্রযুক্তিকে অত্যন্ত উচ্চমানের বলে স্বীকৃতি দিচ্ছি” বলেন তাকাহিরো ইয়োশিদা, তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিগ্রহণ, প্রযুক্তি ও লজিস্টিক এজেন্সি বিভাগের প্রকল্প কর্মকর্তা।

    ২০০৯ সালে ৪০০০ কোটি ইয়েন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

    জিকা ভাইরাস নিয়ে গবেষণায় ওবামার তাগাদা

    জিকা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা উদ্ভাবনে তাগাদা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ভাইরাসটির দ্বারা সৃষ্ট রোগের চিকিৎসা, প্রতিষেধক ও পরীক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে গবেষণা কার্যক্রমে গতি আনার আহ্বান জানান তিনি।
    উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ২০টিরও বেশি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। অপেক্ষাকৃত ছোট মাথা নিয়ে শিশু জন্মের জন্য ভাইরাসটিকে দায়ী করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশের সরকার নারীদের এখনই গর্ভধারণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। ভাইরাসটির বাহক মশা নিয়ন্ত্রণে এমনকি সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ব্রাজিল।
    স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের পরিভাষায় শিশুদের এই অবস্থাকে  ‘মাইক্রোসেফালি’ বলা হয় । মাইক্রোসেফালির সঙ্গে জিকা ভাইরাসের সম্পর্ক খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ শতাংশ মানুষ বাস করে এমন এলাকায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
    মঙ্গলবার ওবামাকে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয়ে অবগত করান দেশটির শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
    হোয়াইট হাউজ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জিকা সনাক্তকরণ ও প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে গবেষণা কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রেসিডেন্ট জোর দিয়েছেন। ভাইরাসটি সম্পর্কে জনগণ যেন পর্যাপ্ত তথ্য পায় ও এর সংক্রমণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে সে নির্দেশও দেন ওবামা।
    সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে জানায়, চিলি ও কানাডা বাদে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সব দেশেই এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

    জাপানে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট

    বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নির্মাণ করছে জাপান, চীবা প্রিফেকচারের ইয়ামাকুরা বাঁধে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ভাসমান অবস্থায় থাকবে।

    কিয়োসেরা টিসিএল এবং সেঞ্চুরি টোকিও লিজিং কর্পোরেশন যৌথ ভাবে এই পবলিক এন্টারপ্রাইজ সংস্থাটির কাজ শুরু করছে।

    নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে এতো বিশাল আকারের প্রথম কোনো ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। তারা ইতিমধ্যেই অবশ্য হনশু দ্বীপের কোবে শহরে একই ধরনের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে।

    পানির উপর এ ধরনের সৌর বিদ্যৎ কেন্দ্র নির্মাণ মাটির উপর মূল্যবান জমির ব্যবহার কমাতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

    পুরো নির্মাণ কাজ শেষ হলে নতুন ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র বছরে ১৬,১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে

    সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি টোকিও থেকে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, এতে রয়েছে ৫১ হাজার সৌর প্যানেল রয়েছে। পুরো প্যানেলটির আয়োতন ১ লক্ষ ৮০ হাজার বর্গমিটার।

    বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে ৪,৯৭০টি সাধারণ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হবে এবং প্রতি বছর বায়ু মন্ডলে ৮,১৭০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গমণ ঠেকাবে।

    আরও নিরাপদ স্কাইপে

    Posted by admin on January 26
    Posted in Uncategorized 

    আরও নিরাপদ স্কাইপে

    এখন থেকে আরও নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে ভিডিও চ্যাট সফটওয়্যার স্কাইপে। এতে আইপি অ্যাড্রেস লুকানোর ব্যবস্থা এনেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
    স্কাইপের মাধ্যমে কিছু ব্যবহারকারী অন্যের আইপি অ্যাড্রেস জানার চেষ্টা করে থাকে। এতে সাইবার অপরাধের মাত্রা বাড়ছে বলে সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইপি অ্যাড্রেস লুকানোর ব্যবস্থা চালু করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। ডিফল্ট সেটিংস হিসেবেই এটি ব্যবহার করা যাবে।
    এ ব্যাপারে স্কাইপে টিমের পক্ষ থেকে এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, স্কাইপে থেকে আইপি অ্যাড্রেস লুকানো যাবে। সফটওয়্যারটির হালনাগাদ সংস্করণে এ সুবিধা মিলবে। এতে স্কাইপে থেকে আইপি অ্যাড্রেসে নজরদারি কমবে।
    হ্যাক রিড ডটকমের এক খবরে বলা হয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় স্কাইপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে (বাই ডিফল্ট) আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে ফেলবে। এতে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা আরও বাড়বে। ডেস্কটপ ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উভয় প্ল্যাটফর্মেই এ সুবিধা মিলবে।
    দেরিতে হলেও মাইক্রোসফটের নেয়া এ পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

    জাপানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবাষিকী পালিত

    জাপান বি এন পি’র উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮০-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে টোকিওর ওজি হোকতোপিয়া হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বি এন পি জাপান শাখার সহ সভাপতি আলমগীর হোসেন মিঠুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাপান বি এন পির সাধারন সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা, উপদেষ্টা কাজী এনামুল হক, কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন. সদস্য জসীমউদ্দীন । জাপান শাখা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল আলম রিপন। জাপান শাখা সেছছাসেবক দলের সভাপতি হায়দার হোসেন, সহ-সভাপতি রবিউল আলম সাব্বির, যুগ্নম সম্পাদক ওমর ফারুক রিপন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সোহাগ। জাপান শাখা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী সাদেকুল হায়দার বাবলু, সাধারন সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান জুয়েল,সদস্য শফিকুল ইসলাম,শাকিল মাহমুদ বাঁধন, মোহাম্মদ সুমন,সামিউল ইসলাম সহ প্রমুখ। আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন জাপান বি এন পি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নূর খান রনি।

    আলোচনা সভায় বিভিন্ন বক্তাগণ শহীদ জিয়াউর রহমানের কমময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন। তারা শহীদ জিয়ার প্রণীত ১৯-দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করার উপর জোর দেন।
    সাধারন সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা তার ব্যক্ততায় যে কোন পরিস্হিতে জাপান বি এন পির সকল নেতাকর্মীরদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।
    সভাপতির বও্তায় আলমগীর হোসেন মিঠু , বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরূদ্ধে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে আন্দোলন করছেন সেই আন্দোলনে তিনি সবাইকে শামিল হওয়ার আহবান জানান।
    আলোচনা সভার শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ১ম মুতূ্বাষিকী স্বরনে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
    আলোচনা সভায় জাপান বি এন পি ও এর অংগসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্হিত ছিল।

    মেদহীন পেট পাওয়ার সহজ উপায়

    বর্তমানে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অনেকেই সচেতন হয়েছেন উঠছেন। একই সঙ্গে খাদ্যাভাস বা পর্যাপ্ত কায়িক পরিশ্রম করার সময় কারণে অনেকে পেটেরমেদ সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে কয়েকটি উপায় রয়েছে যা মেনে চললে ডায়েট ও কঠোর শরীরচর্চা ছাড়াই মেদহীন পেট পেতে পারেন।
    সোজা হয়ে দাঁড়ানো:
    ফ্ল্যাট পেট পেতে দুইপাডের পাতা মিশিয়ে একেবারে সোজা হেয় দাাঁগান। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওজন ঝরাতে এটি বিশেষ কার্যকরী।
    বজ্রাসন:
    বজ্রাসনের মতো করে বসুন। এক্ষেত্রে হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের গোড়ালি উপর বসুন। হাত দুইটি থাইয়ের উপর হাত রাখুন। এরপর ৩০ সেকেন্ড করে শ্বাস চেপে পেট ভিতরে রাখুন। তারপরে তা ছেড়ে দিন। এভাবে দিনে মাত্র ১০ মিনিট অভ্যাস করলেই উপকার পাবেন।
    পর্যাপ্ত ঘুম:
    পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে কিনা তা প্রত্যেকেরই খেয়াল রাখা প্রয়োজন। দিনের অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। গবেষণায় প্রমাণিত, ফ্ল্যাট পেট পেতে চাইলে পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন।
    প্রচুর পানি পান:
    সোডা জাতীয় পানীয়ে আসক্ত না হয়ে পানিকে বেছে নিন। কার্বোনেটেড পানীয় বা সোডা মিশ্রিত পানীয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। যা পেটে চর্বি জমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই এগুলি এড়িয়ে চলুন।
    চুয়িং গামকে না:
    চুয়িং গাম খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করুন। এর ফলে প্রত্যেকবার মুখ দিয়ে অনেক বাতাস ভিতরে প্রবেশ করে পেটকে ফুলিয়ে রাখে।
    সাপ্লিমেন্ট:
    প্রতিদিনকার খাবারে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ক্যালশিয়ামের সাপ্লিমেন্ট যোগ করুন। এতে ফ্ল্যাট পেট পেতে বিশেষ সুবিধা হবে।

    পশ্চিম মধ্য জাপানে ধেয়ে আসছে শৈত্য প্রবাহ, তুষার ঝড়

    পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম, ও মধ্য জাপানের দিকে ধেয়ে আসছে একটি শৈত্য প্রবাহ সঙ্গে করে আনছে প্রবল ঝোড়ো আবহাওয়া। দেশের দীর্ঘাঞ্চল ভারী তুষারপাতের ও দমকা হাওয়ার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছে, শনিবার জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।

    দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সোমবার পর্যন্ত বাজায় থাকতে পারে, সাথে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকাতে তাপমাত্রা গড় মৌসুমি তাপমাত্রার চেয়ে ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেতে পারে, খারাপ আবহাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যহত হতে পারে, ঠান্ডায় পানির পাইপে বরফ জমে যেতে পারে, ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    রোববার সকাল ৬ টা পর্যন্ত হোক্কাইদো এবং চুগোকু অঞ্চলে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হয়ে পারে, তোহোকু, তোকাই, কিনকি এবং উত্তর কিউশু অঞ্চলে ৩০ সেন্টিমিটার এবং কানতো কোশিন, শিকোকু ও দক্ষিণ কিউশু অঞ্চলে ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে।

    টোকিও মেট্রোপলিটান এলাকায় সোমবার ভারী তুষারপাত হতে পারে, সেখানে ২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে।

    আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন পরিস্থিতিত অনেকটা ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১১ সালের ১ জানুয়ারির মতো। সে সময় তোত্তোরি প্রিফেকচারে হিমবাহের নীচে চাপা পড়ে ৪ জন প্রাণ হারান। তুষার ঢাকা পথে ১ হাজার গাড়ি আটকা পড়ে।

    একটি ভুল মাসআলা : কাপড় পাক করার সময় বিসমিল্লাহ না বললে কি কাপড় পাক হয় না!

    কিছু মানুষের ধারণা, নাপাক কাপড় পাক করার সময় যদি বিসমিল্লাহ বলা না হয়, তাহলে কাপড় যতই ধোওয়া হোক পাক হবে না। এটি একটি ভুল ধারণা, এর কোনো ভিত্তি নেই।

    নাপাক কাপড় পাক করার জন্য ভালো করে তিনবার ধুতে হবে এবং প্রত্যেকবার কাপড়ের পানি নিংড়িয়ে নিতে হবে। নাপাকী যদি দৃশ্যমান হয় তাহলে কাপড় থেকে সে নাপাকী কোনোভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং তিনবার ভালোভাবে নিংড়িয়ে ধুতে হবে। এভাবে ধোওয়ার দ্বারাই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। এর সাথে বিসমিল্লাহ বলা না বলার কোনো সম্পর্ক নেই।

    তবে কাপড় পাক করা একটি নেক আমল। এর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হলে তা তো ভালই। কিন্তু বিসমিল্লাহ বলা ছাড়া কাপড় পাক হবে না এটা ভুল মাসআলাহ।