• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • গুহা থেকে উদ্ধারকৃত কিশোররা বাসায় ফিরবে বৃহস্পতিবার

    উদ্ধারকৃত ১২ জন থাই কিশোর ও তাদের কোচ হাসপাতাল থেকে আগামী সপ্তাহে ছাড়া পাবে বলে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী পিয়াসাকোল সাকোলসাতায়াডর্ন।
    পিয়াসাকোল বলেন, উদ্ধারকৃত কিশোরদের মধ্যে কয়েকজন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসার কারণে তারা সুস্থ হয়ে উঠছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
    বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী দলের সম্মিলিত চেষ্টায় গত সপ্তাহের মঙ্গলবার তাদের থাম লুয়াং গুহা থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইউরোনিউজ।
    বিশ্বকাপ কার ফয়সালা আজ : লুঝনিকিতে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া ফাইনাল
    কে হবে বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন? ফ্রান্স না ক্রোয়েশিয়া। ফুটবলপ্রেমীদের মুখে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে এই প্রশ্ন। কার হাতে উঠবে বিশ্বকাপ তার ফয়সালা হবে আজ রবিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর লুজনিকির মাঠে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে এই খেলা।
    ক্রোয়েশিয়া নতুন চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। ফ্রান্স চায় ৯৮ বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় ট্রফি। এই দুই দল আগেও মুখোমুখি হয়েছিল। ৯৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। সেখানে ফ্রান্স ২-১ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়েছিল। ডেবর সুকরদের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছিলেন দিদিয়ের দেশম, জিনেদিন জিদানরা। ৯৮ এর পর ২০১৮। পেরিয়ে গেছে আঠার বছর। বদলে গেছে অনেক কিছু। বদলে গেছে ফ্রান্স, বদলেছে ক্রোয়েশিয়াও।  ফ্রান্স এবং ক্রোয়েশিয়া নতুন শক্তি নিয়ে বেড়ে উঠেছে।
    ফুটবলের তামাম দুনিয়া দেখেছে যোগ্য দুই দলই বিশ্বকাপের মঞ্চে উঠেছে। দুই দলে শক্তিমান ফুটবলাররাই রয়েছেন উপরে নিচে সব জায়গায়। বিশ্বকাপ ফুটবলের বড় বড় দেশ, বড় তারকাদের বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে বিদায় করে দিয়েছেন তারা। আজ শ্রেষ্ঠত্ব দেখাবার পালা। ফরাসী সৌরভ ছড়াতে চায় ফ্রান্স। আর যুদ্ধে জেতার অভিজ্ঞতা নতুন নয়, এই বলে হুমকি দিয়েছে ক্রোয়েশিয়ানরা। অর্থাৎ, ক্রোয়েশিয়া রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
    ফ্রান্স আগেও বিশ্বকাপের স্বাদ পেলেও ফরাসীদের মধ্যে এক রকম উত্তেজনা আর ক্রোয়েটরা প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে বলে তাদের মধ্যে আরেক রকম উত্তেজনা। মস্কোতে খবর এসেছে ক্রোয়েশিয়ান মন্ত্রীরা খেলোয়াড়দের জার্সি গায়ে মন্ত্রী সভার মিটিংয়ে বসেছিলেন। তাদের মধ্যে বিজয় উল্লাস হয়েছে। প্রথমবার বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল বলে কথা। দেশটির প্রায় ৫০ লাখ মানুষ তাকিয়ে আছে আজকের ম্যাচের দিকে। উত্তেজনায় টগবগ করছে গোটা দেশ। ক্রোয়েটরা এখন কাজ ভুলে গিয়ে ফুটবলে মজেছে। মন্ত্রী প্রেসিডেন্ট সবাই ফইনালে থাকতে চান। সাক্ষী হতে চান এক নতুন ইতিহাসের।
    আর ফরাসীরা বলছে ৯৮তে তারা সহজেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়েছিল। এবারও তাই হবে। খেলোয়াড় এবং কোচ হিসাবে বিশ্বকাপ ফুটবলে ফ্রান্সের ফুটবলে ইতিহাস গড়তে চলেছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। যা আগে করেছিলেন জার্মানির বেকেন বাওয়ার এবং ব্রাজিলের মারিও জাগালো।
    ফুটবল পরিসংখ্যান বলছে প্রতি বিশ বছর পর পর নতুন দল চ্যাম্পিয়ন হয়। বিশ্বকাপের নতুন দল হিসাবে ব্রাজিল প্রথম ট্রফি জয় করেছিল ৫৮ বিশ্বকাপে। তার বিশ বছর পর আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়। ফ্রান্স যখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেটিও বিশ বছর পর। ক্রোয়েশিয়াও কি সে পথে পথ হাঁটতে যাচ্ছে? নাকি ফ্রান্স এসব কথা ভুল প্রমাণ করবে। সবকিছু নির্ভর করছে মাঠের যোদ্ধাদের উপর।
    কার কতোটা ষ্ট্যামিনা, কতোটা শক্তি, ধৈর্য্য আছে লজুনিকি স্টেডিয়ামে সেটার প্রমাণ দেয়ার পালা। দুই দলই কোনো খেলায় না হেরে এতো দূর এসেছে। ফরাসী ফুটবল দল এগিয়ে আছে। তাদের স্ট্যামিনা ভালো ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে। হিসাব বলছে ক্রোয়েশিয়াকে টানা তিনটি খেলায় ১২০ মিনিট লড়াই করতে হয়েছে। ডেনমার্ক, রাশিয়া এবং ইংল্যান্ডকে হারাতে ১২০ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করেছে তারা। যতটুকু বিশ্রাম পাওয়া দরকার তা হয়নি খেলোয়াড়দের।
    ফাইনালের মতো যুদ্ধে যাওয়ার ১০০ ভাগ রশদ নেই। মাঠে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন রাকিটিচ, রেবিচ, লুকা মর্ডিক, মানজুকিচ, ব্রোজবিকরা। ফ্রান্স যদি ফাইনাল খেলাটাকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারে তাহলে ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলাররা দৌড়ে টিকতে পারবে কিনা সেটা। ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ এটিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
    বলছেন, ‘অবসাদগ্রস্ত হবে না। অবসাদ কাটানোর জন্য যা কিছু দেয়া দরকার সেই টোটকা দেয়া হয়েছে। আজ ফ্রান্স জিতলে ট্রফি ফিরে পাবে। আর ক্রোয়েশিয়া জিতলে ফুটবলে রুপকথার ইতিহাস লেখা হবে।

    পশ্চিম জাপানে ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে একটি সংরক্ষিত তহবিল ব্যবহার করবে জাপান সরকার

    প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে বলেছেন, সম্প্রতি রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতে পশ্চিম জাপানের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্য সরকার সংরক্ষিত একটি তহবিল ব্যবহার করবে।

    আজ এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য গঠন করা সরকারের একটি জরুরি টাস্কফোর্সের তৃতীয় বৈঠকে অংশগ্রহণকালে এই মন্তব্য করেন মি: আবে।

    তিনি বলেন, দুর্যোগের কারণে অনেক লোককে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হয়েছে এবং গ্রীষ্মের খর-রোদ্দুর তীব্রতর হওয়ার প্রেক্ষাপটে তারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ছেন।

    মি: আবে বলেন, উপদ্রুত এলাকায় প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহের জন্য সংরক্ষিত তহবিলটি থেকে সরকার প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার ব্যবহার করবে।

    মি: আবে আরও বলেন, উপদ্রুত পৌরসভাগুলো থেকে কোন ধরণের অনুরোধের অপেক্ষা না করেই সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, পানি এবং অন্যান্য সামগ্রী পাঠিয়ে দেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন।

    ফাইনালে ফ্রান্স

    রেজাউর রহমান সোহাগ, রাশিয়া থেকে

    বেলজিয়ামের স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রেখেছে ফ্রান্স। গতকাল সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে রেড ডেভিলদের ১-০ গোলে হারায় লেস ব্লরা। আগামী রোববার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আজকের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের জয়ী দল।
    ১৯৯৮ বিশ্বজয়ীদের হয়ে এদিন একমাত্র গোলটি করেন স্যামুয়েল উমতিতি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অঁতোয়ান গ্রিজম্যানের কর্নারে পোস্টের কাছ থেকে হেডের মাধ্যমে গোলটি করেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার। এর আগে ২০০৬ বিশ্বকাপে সর্বশেষ ফাইনালে খেলেছিল ফরাসিরা। যে ম্যাচটি ইতিহাসে স্বরণীয় হয়ে আছে ‘জিদানের ঠুসো’র কারণে। ২০ বছর পর আবার তাদের সামনে সুযোগ বিশ্বমঞ্চে নিজেদের দু’বাহু তুলে ধরার।
    ব্রাজিলের মত দলকে হারিয়ে ১৯৮৬ সালের পর সেমিফাইনালে ওঠে আসে বেলজিয়াম। ‘কালো ঘোড়া’র তকমা নিয়ে আসর শুরু করে ডি ব্রæইনা-হ্যাজার্ড-লুকাকুদের থামতে হলো শেষ চারে এসে। বলের দখল রেখে প্রতিপক্ষের ডি বক্সে চাপ বাড়িয়েও জাল আবিষ্কার করতে পারেনি তারা। ফরাসিদের জমাট রক্ষণ তো ছিলই শেষ বাধা হিসেবে এক্সেল হুইসেল-টবি অ্যালডানওয়েল্ড-ডি ব্রউনাদের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে ছিলেন গোলরক্ষক হুগো লরিস।
    ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল নিয়ে গোছালো আক্রমণের চেষ্টা করে বেলজিয়াম। কিন্তু মুহূর্তের পাল্টা আক্রমণে ত্রাস ছড়ায় ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপের গতি বেলজিয়ান রক্ষণকে বার বার আঘাত করতে থাকে। কিন্তু জালের দেখা মিলছিল না। টুর্নামেন্ট জুড়েই গোল মিসের মহড়া দিতে থাকা অলিভার জিরুদের উপর থেকে আস্থা হারাননি কোচ দিদিয়ের দেশম। অবাক করা বিষয় হলো, ছয়টি ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের পোস্টে কোন শটই নিতে পারেননি আর্সেনাল স্ট্রাইকার। এতকিছুর পরও কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। ফরাসি নাম্বার নাইন সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে জয়ের ব্যবধান বাড়তে পারত। ৩৪তম মিনিটে এমবাপের ক্রসে ঠিকমত পা লাগাতে ব্যর্থ হন জিরুদ।
    দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ শুরু করে বেলজিয়াম। কিন্তু ৬৪ শতাংশ বলের দখল রেখেও কাজের কাজটিই করতে পারেনি তারা। উল্টো গোল পেয়ে যায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের কর্নারে স্লাইড হেড করেন উমতিতি। তা সামান্ন ফেলাইনির মাথায় লাগলেও লাগতে পারে। এটি ছিল হেড থেকে করা আসরের ৩২তম গোল। বিশ্বকাপের এক আসরে এর চেয়ে বেশি গোল হয়েছে একবারই, ২০০২ সালে (৩৫টি)। একই সঙ্গে হ্যারি কেইনের (৬ গোল) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলে সরাসরি অবদান রাখলেন গ্রিজম্যান (৩ গোল, ২ অ্যাসিস্ট)।
    পিছিয়ে পড়ার পর ফ্রান্সের রক্ষণকে চেপে ধরেন ডি ব্রুইনা, এডেন হ্যাজার্ড, মার্লন ফেলাইনিরা। কিন্তু কাঙ্খিত জাল আবিষ্কার করতে পারেনি তারা। স্বপ্নের ফাইনালেও পা রাখা হয়নি রবার্তো মার্টিনেজের দলের। গোল খাওয়ার পরও গোলরক্ষক কর্তোয়া দারুণভাবে ফরাসি আক্রমণের সামনে বাধা হয়ে না দাঁড়ালে ব্যবধান বাড়তে পারত।
    শনিবার একই মাঠে তৃতীয় স্থান নির্ধরণী ম্যাচে বেলজিয়ামের প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে পরাজিত দল।

    গোল্ডেন বল নয় শিরোপায় চোখ মড্রিচের

    রাশিয়া বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল নয়, শিরোপায় চোখ ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মড্রিচের। বিশ্বকাপের এবারের আসরে ইতোমধ্যে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। কোয়ার্টার ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে পুরো ১২০ মিনিট দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মাঠ। একটি গোল করার পাশাপাশি ম্যাচ সেরাও হয়েছে।
    সবাই তাকে চিনে মডফাদার হিসেবে। তিনিই লুকা মড্রিচ। পুরো দলের পাশাপাশি তার অসাধারণ নৈপূন্যে ক্রোয়েশিয়া ২০ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে। শেষ চারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত একটি ম্যাচের অপেক্ষায় রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা। শুধুমাত্র কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষেই জ্বলে উঠেননি মড্রিচ। পুরো টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সেরা পারফরমারদের তালিকায় সেরা তিনে নাম আছে তার। তাই বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জয়ে অনেকখানি এগিয়ে তিনি। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেললেও এখনই গোল্ডেন বল নিয়ে ভাবছেন না মড্রিচ। তিনি চান ক্রোয়েশিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ জিততে। মড্রিচ বলেন, ‘আমার পারফরমেন্স নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরাও ভাবছেন আমাকে নিয়ে। অনেকেই গোল্ডেন বল পাওয়ার ব্যাপারেও বলছেন। কিন্তু আমি এটা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই। আমার আসল লক্ষ্য ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়া।’
    শনিবার রাতে বিশ্বকাপের চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারায় স্বাগতিক রাশিয়াকে। এই জয়ে ১৯৯৮ সালের পর আবারো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ক্রোয়েশিয়া। দলকে সেমিতে তুলতে মূখ্য ভূমিকা রাখেন ৩২ বছর বয়সী মড্রিচ।
    রাশিয়া ম্যাচ শেষে গোল্ডেন বলের ব্যাপারে মড্রিচকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি গোল্ডেন বল নিয়ে ভাবছি না। আমার নিজের পারফরমেন্স নিয়েই আমার ভাবনা বেশি। পাশাপাশি দলের সাফল্যের দিকে নজর আমার। এখন আমার মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপ ট্রফি। এবার দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে চাই আমি।’
    দলের সতীর্থদের পারফরমেন্স মন জয় করেছে মড্রিচের। তিনি বলেন, ‘আমাদের আসল লক্ষ্য কি দলের সকলেই তা বুঝতে পারছে। আমরা এখানে এসেছি শিরোপা জিততে। সেই পথে ভালোভাবে টিকে থাকতে পেরে দারুণ লাগছে। আশা করি এমন পারফরমেন্স অব্যাহত থাকবে।’
    আগামী ১১ জুলাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়বে ক্রোয়েশিয়া। ওই ম্যাচটি এবারের আসরে ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের হবে বলে মনে করেন মড্রিচ। তার কথা, ‘আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সত্যি বলতে, ওই ম্যাচের ফল আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এবারের আসরে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের ম্যাচটি। এ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। এজন্য আমাদের সেরা পারফরমেন্স করতে হবে।’

    জাপানে প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮১

    জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে কুরাসিকি শহরে ভারি বর্ষণ ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১ জন। নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
    প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের সতর্কতা অনেক আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এ অঞ্চলে। আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারে সামরিক বাহিনী হেলিকপ্টার ও নৌকা ব্যবহার করছে।
    প্রবল বর্ষণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল ‘মবি স্মৃতি হাসপাতাল’। সেখান থেকে অনেক স্টাফ ও রোগীদের নৌকায় উদ্ধার করে জাপানের আত্মরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। এই শহরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, কমপক্ষে ১৭০ জন রোগী ও কর্মচারীকে উদ্ধার করা হয় হাসপাতাল থেকে।
    ৭৯ বছর বয়সী উদ্ধারকৃত এক রোগী বলেন, আমি উদ্ধারকারীদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। এক রাত পানি, বিদ্যুৎ ও খাবার ছাড়া ছিলাম, বেঁচে থাকার আশা বাদ দিয়েছিলাম। কিন্তু শেষমেশ আমি বেঁচে যাই।
    জাপানের কুরাসিকিতে ৫ লাখ মানুষের বসবাস। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ২৩৫০ জনকে উদ্ধার করে কর্মীরা। গত তিনদিনের বর্ষণে এর আগে নিহত হয়েছিল ৬০ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮১ জনে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

    জাপানে প্রবল বর্ষণ, আরো দুই জনের মৃত্যু

    জাপানে ভারী বর্ষণে ফুলে ওঠা নদী তীরে দুই ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে ২ লাখের বেশি লোককে অন্যত্র সড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। খবর এএফপি’র।
    পুলিশ জানায়, জাপানের মধ্যাঞ্চলীয় গিফু এলাকায় এক নারীর ও হিরোশিমা পশ্চিমাঞ্চলে ৫৯ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মরদহ পাওয়া গেছে। তাদের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।
    সরকারি গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, কিয়োটো অঞ্চলে নদীর তীরে আরো এক নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া গেছে।
    বৃহস্পতিবার হিয়োগো এলাকায় এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বন্যার পানি তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ভারী বৃষ্টির কারণে দেশটির বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
    বেশ কিছুসংখ্যক লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ শুক্রবার ২ লাখ ১০ হাজার ৮৫৩ জনকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তারা বেশিরভাগই জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দা।
    দেশটির আবহাওয়া বিভাগের রাইওটা কুরোরা জানান, জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি দেখা গিয়েছে। তিনি জানান, এ বৃষ্টিপাত আগামীকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
    এনএইচ কে’র খবর অনুযায়ী, কচি অঞ্চলের উমাজি গ্রামের ইয়ানাসয় ৭২ ঘন্টায় ১,১৩২ মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ জুলাই মাসে সাধারণত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়ে থাকে তার দ্বীগুণ। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের দরুন জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের বুলেট ট্রেনসমূহ চলাচল সাময়ীক স্থগিত রাখার পর শুক্রবার তা পুনরায় চালু করা হয়।

    ব্রাজিলের বিদায়, শেষ চারে বেলজিয়াম

    ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে শেষ চারে ওঠে গেছে বেলজিয়াম। শুক্রবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে বেলজিয়ানরা। শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্স উরুগুয়েকে হারিয়েছে। তাই এখন ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে লড়বে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম।
    মাত্র ১৩ মিনিটে ফার্নান্দো লুইজ রোজার আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। কর্নার থেকে আসা বল তার মাথায় লেগে চলে যায় নিজেদের পোস্টে। আর ৩১ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইন গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে ডি ব্রুয়েইন দুর্দান্তভাবে কাজে লাগান এই সুযোগকে। এই দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বেলজিয়াম বিরতিতে যায়।
    দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে। কিন্তু বেলজিয়াম রক্ষণ জোর দিয়ে খেলায় সেই গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না নেইমার-জেসুস-কুটিনহোরা। শেষ পর্যন্ত ৭৬ মিনিটে ব্রাজিলের পক্ষে রেনেটাও অগাস্টো এক গোল শোধ করতে সক্ষম হন। বাকি সময়ে দু’দল গোল না পাওয়ায় ২-১ গোলে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপ এখানেই শেষ করতে হয় ব্রাজিলকে।
    ২০১৪ বিশ্বকাপে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপের শেষ আটেই দলটির মূল তারকা নেইমারকে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে জিতলেও সেমিফাইনালে এক এক দুঃসপ্ন নিয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কাছে সেমিতে ৭-১ গোলে হেরেছিল দলটি।
    চলতি বিশ্বকাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই গ্রুপের গণ্ডি পেরোয় ব্রাজিল ও বেলজিয়াম। পরে শেষ ষেলোতে মেক্সিকোকে হারায় ব্রাজিল। আর তাদের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম জাপানকে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট পায়। সেই যাত্রায় বেলজিয়াম শেষ চারে পৌঁছলেও ব্রাজিলকে থামতে হলো এখানেই।

    জাপানে তান্ত্রিক নেতাসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

    আম শিনরিকিও তান্ত্রিক গোষ্ঠীর নেতা শোকো আশাহারাসহ ৭ জন বন্দীর মৃত্যুদণ্ড শুক্রবার গোপনে কার্যকর করেছে জাপান। জাপানের মুখ্য মন্ত্রী পরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা আশাহারার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর নিশ্চিত করেছেন। পরে দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় একই দিনে আরো ৬ বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য নিশ্চিত করে। এছাড়া ওই গোষ্ঠীর আরো ৬ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় আছে।
    ১৯৯৫ সালের টোকিওর রেলস্টেশনের আন্ডারগ্রাউন্ডে এক ভয়াবহ রাসায়নিক হামলার জন্য তাদের এই সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়। ‘দ্যা সারিন অ্যাটাক’ খ্যাত ওই ভয়াবহতম হামলায় ১৩ জন মারা যান। হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন।
    জানা যায়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে সব বন্দীই নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের শেষ সুযোগ পেয়েছে। বন্দীদের চূড়ান্ত আপিল নিষ্পত্তি হয় জানুয়ারি মাসে। এরপরই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো।
    এদিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছ হামলায় আহত জাপানিদের স্বজনেরা। হামলায় নিহত রেলকর্মীর স্ত্রী শিজুই তাকাহাশি বলেন, ‘তার যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো এটাই সঠিক।’
    তিনি আরো বলেন, ‘আমার স্বামীর পিতা মাতা ও আমার পিতা মাতা আজ মৃত। এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবরটা নিজ কানে না শুনে যাওয়ার জন্য তাদের আক্ষেপ থেকে গেছে।’
    ১৯৯৫ সালের টোকিওর রেল স্টেশনের আন্ডারগ্রাউন্ডে ভয়াবহ রাসায়নিক হামলায় নিহতকে ঘিরে স্বজনের আহাজারি।
    শোকো আশাহারা ও তার অনুসারীরা আরো কয়েকটি হত্যাকাণ্ড নিয়েও অভিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯৪ সালে উত্তর জাপানের একটি শহরে হামলার ঘটনায় ৮ জন মারা যান ও ৬০০ জন আহত হন। সে হামলারও মূল পরিকল্পনাকারী ছিল শোকা আশাহারা।
    আম শিনরিকিও
    আম শিনরিকিও মানে ‘সর্বোচ্চ সত্য’। ১৯৮০ সালে হিন্দু ও বুদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসীদের একটি আধ্যাত্মিক দলের হাতে এই গোষ্ঠী যাত্রা শুরু করে। শোকো আশাহারা গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা। তাকে চিজুও মাতসুমোতো নামেও ডাকা হয়। ১৯৮৯ সালে সরকারিভাবে তাদের ‘ধর্মীয়’ গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাপান। সে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী এই গোষ্ঠীর অনুসারীও বাড়তে থাকে। একসময় জাপানে ১০ হাজার মানুষ এই ধর্মের মতাদর্শী ছিল। রাশিয়াতে ছিল কমপক্ষে ৩০০০০ অনুসারী।

    সাম্বার ছন্দে মাতাবেন নেইমাররা!

    রাশিয়ার দৃষ্টিনন্দন কাজান শহরের অসাধারণ স্টেডিয়াম কাজান এরিনা। এই মাঠেই ফুটবল লড়াইয়ের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১২ টায় মাঠে নামবে সাম্বা কিং ব্রাজিল ও বেলজিয়াম। তবে ব্রাজিলের শৈল্পিক ফুটবলের বিপক্ষে ‘ফুটবল যুদ্ধে’র ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম। ব্রাজিলও জানিয়ে দিয়েছে তারা কাজানের মাঠে এক ইঞ্চিও ছাড় দেবে না। কাজানের পুরো মাঠের দখল চায় নেইমার এন্ড কোং। সাম্বা ছন্দে আজ দর্শক মাতাবেন তারা। কীভাবে মাঠের দখল বুঝে নিতে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছেন দলের ‘হেডমাষ্টার’ তিতে। এই কোচ সব জ্বালানি তৈরি করেছেন বেলজিয়ামকে উড়িয়ে দিতে। কোচ তিতে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বেলজিয়াম কেমন দল। ওরা সাপের মতো ফণা তুলতে পারে! তার প্রমাণও দিয়েছে জাপানের বিপক্ষে। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে সেই খেলায় বেলিজয়াম জিতেছিল ৩-২ গোলে। বেলজিয়াম ফুটবলের ৪৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দুই গোল হজম করে খেলায় ফিরে জিতেছে। কোচ তিতে বলেছেন, ‘আমি খেলাটা দেখেছি। বুঝতে পারি তারা কী করতে পারবে, আর কী পারবে না।’ এদিকে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আজ রাত আটটায় মাঠে নামছে উরুগুয়ে ও ফ্রান্স।

    ইতিহাস বলছে বেলজিয়াম সব সময় ব্রাজিলের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে। দুই দলের লড়াইয়ে সব সময়ে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল ২০০২ বিশ্বকাপ ফুটবলে, ব্রাজিল ২-০ গোলে হারিয়েছিল বেলজিয়ামকে। বেলজিয়ানদের ভুলে যাওয়ার কথা না। পেলের ফুটবল জীবনে যে কয়টি স্মরণীয় মূহুর্ত রয়েছে তার মধ্যে একটি ছিল বেলজিয়ামের বিপক্ষে ‘বাইসাইকেল কিক’ করে গোল করা।  ১৯৬৮ সালের সেই খেলায় পেলে হ্যাটট্টিক করেছিলেন। পেলেকে ভুলে যায়নি বেলজিয়াম। ভুলে যায়নি ব্রাজিল কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে মাঠের লড়াইয়ে।

    বিশ্বকাপের ইতিহাসে বেলজিয়ামের সেরা সাফল্য ৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থান। আর ২০১৪ বিশ্বকাপের মঞ্চে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত লড়াই করে বাড়ি ফিরতে হয়। সেবার বেলজিয়াম ০-১ গোলে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বিদায় নেয়। এবার তাদের বড় বাধা ব্রাজিল। ব্রাজিল গত আসরে সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে লজ্জার হার নিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। এবার সেই ফাইনালের টিকিট হাতে পেতে চায় ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।  হিসাব করলে দেখা যায় ৯৪ বিশ্বকাপ থেকে পরের সব আসরে কখনো কোয়ার্টার ফাইনাল হতে বাদ পড়েনি দলটি।

    কোচ তিতের ব্রাজিল জানিয়ে দিয়েছে এবার কেন তারা এই বিশ্বকাপ ফুটবলে ফেবারিট। গ্রুপ পর্বের খেলায় সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে একটি ড্র ছাড়া বাদবাকি যে কয়টি খেলা গেছে তার সবকটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে তিতের ছাত্ররা। কোষ্টারিকা, সার্বিয়াকে হারিয়েছে। মেক্সিকোর বিপক্ষে ব্রাজিল দুর্দান্ত ফুটবল খেলছে। সেই ধারাবাহিকতা আজও থাকবে। অবশ্য দলের মিডফিল্ডার ক্যাসিমিরো দুই হলুদ কার্ড পেয়ে আজ মাঠের বাইরে। তার জায়গায় বিকল্প ভেবে রেখেছেন কোচ তিতে। ইনজুরিতে থাকা মার্সেলোকে আজ মাঠে দেখা যেতে পারে।

    অন্যদিকে বেলজিয়ামের ৫ ডিফেন্ডার আছেন। যারা নেইমারকে আটকাতে মাকড়সার জাল বিছাবেন। জেন বার্টনগান, ভিনসেন্ট কোম্পানী, টবি আল্ডার উইল্ডরা নেইমারকে আটকাতে চাইবেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মুনিয়ের থমাস খেলবেন উপরে। এদের সব কিছু নেইমাইরকে ঘিরে। বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রমাণ হয়েছে তিতে বিশ্ব সেরা কোচ। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সঙ্গে ইউরোপীয়ান ধাঁচকে মেলাতে চেষ্টা করেছেন। তার পরিকল্পনা ভালোই এগুচ্ছে। এবার সেই টনিকটা ইউরোপীয়ান দল বেলজিয়ামের সঙ্গে কাজে লাগাবেন। ব্রাজিলের গত দুটি খেলায় অধিনায়ক ছিলেন ডিফেন্ডার থিয়েগো সিলভা। এবার তাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মিরানাডাকে। তিতের এটা এক ধরনের পরিকল্পনা। ম্যাচ বাই ম্যাচ দায়িত্ব দিচ্ছেন।

    বেলজিয়ামকে বলা হয় রেডডেভিলস। তারা গতকাল সকালে মস্কোতে অনুশীলন করে দুপুরে কাজানের বিমানে ওঠে। যাওয়ার সময় বলে গিয়েছে এটাই শেষ যাওয়া নয়। কাজান জয় করে তারা আবারও নতুন একটি শহরে যাবে। বেলজিয়াম ফুটবলের স্বর্ণ সময় যাচ্ছে এখন। তারা মাঠের লড়াইয়ে সেটা প্রমাণ করেছে। ব্রাজিল সেটা নষ্ট করতে পারবে কি-না তারও প্রমাণ হবে আজ।

    মোদ্দা কথা আজকে ব্রাজিল ও বেলজিয়ামের খেলায় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই দেখা যাবে। উত্তেজনার পারদ ছড়াবে। লেনিনের দেশের ফুটবল মাঠে কঠিন একটা লড়াই দেখার অপেক্ষায় এখন গোটা ফুটবল দুনিয়া।

    জাপানে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো কি সহজ হবে?

    এবার সংবাদ বিশ্লেষণ। জুন মাসের মাঝামাঝি জাপানের মন্ত্রিসভা চলতি বছরের মৌলিক অর্থনীতি ও বাজেট বিষয়ক নীতিমালা অনুমোদন করেছে। আরও বেশি সংখ্যক বিদেশি কর্মী গ্রহণ করার লক্ষ্যে এই নীতিমালায় জাপানে বসবাস সংক্রান্ত একটি নতুন নীতি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। জাপানে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো’র প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত কিছু সমস্যাদি’র ওপর আলোকপাত করছেন এন এইচ কে’র ঊর্ধ্বতন ভাষ্যকার রেইকো সাকুরাই।

    “এতদিন পর্যন্ত জাপানের নীতি ছিল বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের বেশি ক’রে গ্রহণ করা । তবে সেই ব্যবস্থায় আর কাজ হচ্ছে না। এখন জাপান সরকার, দেশে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। নতুন শর্তে বলা হয়েছে, বিদেশি কর্মীরা যদি অনায়াসে দৈনন্দিন জীবনের কাজ চালিয়ে নেওয়ার মত যথেষ্ট জাপানি ভাষা আয়ত্ত করতে পারেন এবং বিভিন্ন শিল্প জোট দ্বারা নির্ধারিত জাপানি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন, সেক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত জাপানে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। যারা বর্তমানের সরকার-পৃষ্টপোষিত ইনটার্নশিপ প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করতে পারবেন, তারা জাপানে থাকার মেয়াদ সর্বোচ্চ আরও ৫ বছর বাড়িয়ে নেওয়ার অনুমতি পাবেন।

    সরকার বলছে, এই কর্মীদের স্থায়ীভাবে জাপানে বসবাসের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়, এই কর্মীদের পরিবার নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি শিল্পখাতকে এর বাইরে রাখা হচ্ছে, যেখানে নতুন ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে। সরকার কৃষি, নার্সিং পরিষেবা, নির্মাণ খাত, হোটেল শিল্প এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্প যেখানে শ্রমিক ঘাটতি বিশেষ ভাবেই তীব্র, সেখানে কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

    কথা হচ্ছে, নতুন ব্যবস্থার অধীনে অ-জাপানি কর্মীরা জাপানে এসে কাজ করতে আগ্রহী হবেন কি না। এ ব্যাপারে জাপান তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন।

    এর কারণ, বিগত কয়েক বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া’য় কর্মীদের ন্যুনতম মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব দেশে কর্মীদের কর্ম পরিস্থিতিরও উন্নতি ঘটেছে।

    দক্ষিণ কোরিয়া, বিদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক কর্মী নেওয়ার জন্য ২০০৪ সালে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম প্রবর্তন করে। চীনেও বয়োবৃদ্ধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত। নার্সিং পরিষেবা ও কৃষি’র মত খাতে কর্মী ঘাটতি’র সমস্যা কেবল জাপানেরই রয়েছে, তা নয়।

    দক্ষ কর্মীশক্তি পাওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে ব’লেই মনে হয়। বিভিন্ন দেশ যেমন কর্মী গ্রহণের ব্যাপারে নিজস্ব শর্ত নির্ধারণ করছে, তেমনি কর্মীদেরও পছন্দ মত কর্মস্থল বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। চাকরির সন্ধানরত বিদেশি কর্মীরা জাপান’কে কাজ করার জন্য আকর্ষণীয় দেশ ব’লে মনে করবেন কি না, তারা জাপানে এসে কাজ করতে আগ্রহী হবেন কি না, সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন”।

    সংবাদ বিশ্লেষণ শেষ হোল । জাপানে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো’র প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত কিছু সমস্যাদি’র ওপর আলোকপাত করলেন এন এইচ কে’র ঊর্ধ্বতন ভাষ্যকার রেইকো সাকুরাই।

    বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল ব্রাজিলের

    জার্মানিকে ছাড়িয়ে যায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা

    আর্জেন্টিনার বিদায়

    দশ মিনিটের ছোট্ট এক ফরাসি টর্নেডো। তাতেই লন্ডভন্ড আর্জেন্টিনা রক্ষণ। লন্ডভন্ড সময়ের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ স্বপ্নও। এমবাপে-গ্রিজম্যানদের তোপে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে উড়ে গেছে আর্জেন্টিনা। জোড়া করেছেন কিলিয়ান এমবাপে।
    এ পর্যন্ত বিশ্বকাপের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচও হয়ত এটি। গোল আর পাল্টা গোলের ম্যাচে ৫৭ মিনিটে বেঞ্জামিন পাভার্দের গোলে ফ্রান্সের সমতায় ফেরা, এরপর চার মিনিটের এমবাপে ঝলক। ফাঁকা রক্ষণের সুযোগ নিয়ে পাল্টা আক্রমণে জোড়া গোলে স্কোরলাইন ৪-২ করে দেন ১৯ বছর বয়সী তারকা। বাকি সময়ে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক বনে যাওয়া ফরাসি রক্ষণের পাশে মেসি-ডি মারিয়াদের নিষ্প্রভ ঘুরে বেড়ানো। এর মাঝে মেসির দলকে সইতে হয়েছে পাল্টা আক্রমণের ঝটকাও। আর যোগ করা সময়ে মেসির ক্রস থেকে করা বদলি খেলোয়াড় আগুয়েরোর হারের ব্যবধানই কমানো গোল। ম্যাচজুড়ে ফরাসিদের পাল্টা আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে পাঁচজনকে দেখতে হয়েছে হলুদ কার্ড। আর্জেন্টিনার পোস্টে মোট চারটি শট নেয় ফ্রান্স, চারটিই সফল। এই ছিল গতকাল কাজান অ্যারেনার সংক্ষিপ্ত চিত্র।
    ১০৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও কোচ হিসেবে রেকর্ড ৮০তম ম্যাচে এবারই প্রথম আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হন দিদিয়ের দেশম। প্রথম সাক্ষাতেই ইতিহাস। ইতিহাসই তো, বিশ্বকাপে যে এই প্রথম আর্জেন্টিনাকে হারালো ফ্রান্স।
    স্ট্রাইকার ছাড়াই খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। ফল স্বরুপ বলের দখল রাখলেও ঘুমপাড়ানি ফুটবলে প্রথম ৪০ মিনিট প্রতিপক্ষের পোস্টে কোন শটই নিতে পারেননি মেসি-ডি মারিয়া-পাভনে গড়া হোর্হে সাম্পাওলির আক্রমণভাগ। বিশেষ করে একজন স্ট্রাইকারের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পায় আর্জেন্টিনা। হিগুয়েইন-আগুয়েরো তখন বেঞ্চে।
    পক্ষান্তরে পাল্টা আক্রমণে ত্রাস ছড়ান এমবাপে-গ্রিজম্যান-জিরুদরা। তেমনি এক ভয়ঙ্কর পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ১২তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় ফ্রান্স। বল নিয়ে দ্রæতগতিতে এগুচ্ছিলেন কিলিয়ান একমাপে। ডি বক্সে তাকে অবৈধভাবে বাধা দেন মার্কোস রোহো। এজন্য হলুদ কার্ডও দেখতে হয় রোহোকে। গোলের এমন সুযোগ হাতছাড়া করেননি অঁতোয়ান গ্রিজম্যান।
    ২০তম মিনিটে লম্বা পাসে বল পেয়ে একই রকম ভয়ঙ্করভাবে আর্জেন্টিনার ডি বক্সের দিকে এগুচ্ছিলেন এমবাপে। এ যাত্রায় হলুদ কার্ডের বিনিময়ে পিএসজি তারকাকে থামান তাগলিফিকো। ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেয়া পল পগবার ফ্রি-কিক ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। ৩৯তম মিনিটে গ্রিজম্যানের ক্রসে বেঞ্জামিন পাভার্দ মাথা লাগাতে পারলে ব্যবধান বাড়াতে পারত ফ্রান্স।
    এর দুই মিনিট পর সম্ভবত আসরের দর্শনীয় গোলটি করেন ডি মারিয়া। যে গোলে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। এভার বনেগার পাস ধরে ২৫ গজ দুর থেকে বাঁ-পায়ে নেয়া ডি মারিয়ার আচমকা শট ঠেকানোর কোন সুযোগই পাননি গোলরক্ষক হুগো লরিস। ডান কোনা ঘেঁসে বল আশ্রয় নেয় জালে। আকাশি-নীল গ্যালারীতে ওঠে উল্লাসের ঢেউ। যে উল্লাসের একজন ছিলেন দেশটির কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনা। ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যিনি এদিনও গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন প্রাণের দলকে সমর্থন দিতে। বিশ্বকাপে ৩২ বছর পর ডি বক্সের বাইরের শটে গোল খায় ফ্রান্স।
    দ্বিতীয়ার্ধের রোহোর বদলি নামেন ফেদেরিকো ফাজিও। বিরতির পর তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মেসির নেয়া শট গ্যাব্রিয়েল মার্কাদোর পা ছুঁয়ে জালে আশ্রয় নেয়। আকাশি-নীল গ্যালারীতে ওঠে উল্লাসের ঢেউ। দশ মিনিট না পেরুতেই সেই ঢেউ থামিয়ে দেন পাভার্দ। দুরপাল্লার বাঁকানো ভলিতে স্কোরবোর্ডে সমতা আনেন ২২ বছর বয়সী তরুণ ডিফেন্ডার। এর ছয় মিনিট পর কাজান অ্যারেনার আকাশী-সাদা দর্শকদের স্তব্ধ করে দেয়া এমবাপের সেই গোল। ভিড়ের মধ্য থেকে বল বের করে বাম প্রান্ত থেকে জোরালো শটে গোলরক্ষক আরমানিকে পরাস্থ করেন তিনি। চার মিনিট পর করেন বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় গোল।
    তাতেই শেষ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্বপ্ন। সেই সাথে জন্ম নেয় বেশ কয়েকটি প্রশ্নও। আন্তর্জাতিক ফুটবলে থাকছেন তো মেসি? আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে সাম্পাওলির ভবিষ্যৎ-ই বা কি?

    বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় জাপানের কয়েকটি জায়গা

    ইউনেস্কোর একটি কমিটি, জাপানের খ্রিষ্টানদের নির্যাতনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

    আজ বাহরাইনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে, বিশ্ব ঐতিহ্য বিষয়ক কমিটি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

    নাগাসাকি অঞ্চলের গোপন খ্রিষ্টান ধর্মীয় স্থানগুলোর ১২টি অংশ, জাপানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা নাগাসাকি ও কুমামোতোয় অবস্থিত।

    এগুলোর মধ্যে, হারা দুর্গের ধ্বংসাবশেষ, ওউরা গির্জা এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের উপস্থিতি থাকা গ্রামগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    এই জায়গাগুলো, সপ্তদশ ও উনবিংশ শতাব্দীতে খ্রিষ্টান ধর্ম পালন নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের গোপনে ধর্ম পালনের ইতিহাস প্রদর্শন করছে।

    সেসময় লোকজন, প্রচলিত জাপানী সমাজ এবং বিদ্যমান ধর্মগুলোর সঙ্গে সহাবস্থান করার পাশাপাশি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে খ্রিষ্টান ধর্মীয় বিশ্বাস হস্তান্তর করে এসেছে।

    উল্লেখ্য, বর্তমানে জাপানে ১৮টি সাংস্কৃতিক এবং ৪টি প্রাকৃতিক সম্পদসহ মোট ২২টি বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থান রয়েছে।