২০১৫ ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) জানায়, সমসাময়িক সব রেকর্ড ভেঙেছে গত বছরের তাপমাত্রা। বায়ুমন্ডলে কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা এবং অন্যান্য মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
Posted by admin on January 22
Posted in Uncategorized
২০১৫ ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) জানায়, সমসাময়িক সব রেকর্ড ভেঙেছে গত বছরের তাপমাত্রা। বায়ুমন্ডলে কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা এবং অন্যান্য মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
Posted by admin on January 20
Posted in Uncategorized
সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে আসছে ডোমেইন নীতিমালা
Posted by admin on January 20
Posted in Uncategorized
চলে গেলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ
Posted by admin on January 19
Posted in Uncategorized
জলোচ্ছ্বাস, ঝোড়ো আবহাওয়ায় জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
পশ্চিম ও উত্তর জাপানের বাসিন্দারা তীব্র শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ভারী তুষারের সাথে কনকনে প্রবল ঠান্ডা হাওয়া বয়ে চলেছে বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে।
আবহাওয়া বিভাগ বলেছে একটি লঘু চাপ তীব্র বাতাস বয়ে এনেছে জাপানি উপদ্বীপের উপর।
উত্তর জাপানের শহর নেমুরো এবং জাপান সাগরের তীরে অবস্থিত কানাজাওয়া শহরের উপর দিয়ে ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের ঝাপটা বয়ে যায়।
উত্তর জাপানের হোক্কাইদো এবং তোহোকু অঞ্চলে ২৪ ঘন্টায় ৭০ সেন্টিমিটারের মতো তুষারপাত হয়।
বুধবার পর্যন্ত তুষার ও ঝোড়ো আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে কারণ লঘু চাপটি হোক্কাইদো’র নিকট এসে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো অঞ্চলে আরো তুষার-ঝড়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জলোচ্ছ্বাস ও উঁচু সমুদ্রতরঙ্গের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে।
মঙ্গলবার উত্তর জাপানের হোক্কাইদো’র হাকোদাতে বন্দরে সমুদ্রের ঢেউ বাঁধ উপচে যায়, কনক্রিটের দেয়াল ভেঙে ফেলে এবং মাছ ধরার নৌকো গুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
নাকাহামা শহরে ভেসে আসা কাঠ এবং ময়লা-আবর্জনা শরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শহরের এক প্রবীণ দম্পতি জানিয়েছেন শহরে তাদের ৬০ বছরের জীবনে কোনো দিন এমন দৃশ্য দেখেননি।
পশ্চিম জাপানের এহিমে প্রিফেকচারে একটি ফেরি’র সাথে ইয়াওয়াতাহামা বন্দরে পার্ক করে রাখা একটি ক্রেনের সংঘর্ষ ঘটে।
মঙ্গলবার বিকেলে ফেরিটি মাত্র যাত্রার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলো। এ সময় তীব্র বাতাসের ধাক্কা ফেরিটিকে প্রায় ১০০ মিটার সামনে বিপরীত দিকের ঘাটে নিয়ে যায়, ফেরির দ্বিতীয় তলায় ক্রেনটি ঢুকে পড়ে।
ফেরিটিতে এ সময়ে ৩৩ জন যাত্রী এবং ক্রু ছিলেন, এ ছাড়াও ১৭টি যানবাহনও ছিলো।
জাপানের উপকূল রক্ষীরা বলেছেন ঘটনায় কেউ আহত হননি।
Posted by admin on January 16
Posted in Uncategorized
টক দইয়ের যতো গুণ
Posted by admin on January 16
Posted in Uncategorized
জাপানে ফ্লু মৌসুম শুরুঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
জাপানের শ্রম, স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ মন্ত্রণালয় জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু হয়েছে বলে শুক্রবার সরকারি ভাবে ঘোষণা দিয়েছে, তারা জনসাধারণকে এ জন্যে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায় জানুয়ারির ৪ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত দেশের ৫ হাজার মেডিকাল সেন্টারে ৯,৯৬৪ জন ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, হাসপাতাল গুলোর হিসেবে প্রতিটি হাসপাতালে গড়ে ২.০২ জন করে গিয়েছেন।
আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ওকিনাওয়াতে, এরপরেই রয়েছে আকিতা, নিইগাতা, হোক্কাইদো এবং চিবা প্রিফেকচার -মন্ত্রণালয় জানায়।
আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার অতিক্রম করার পরেই কর্মকর্তারা পুরো দমে ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু হয়েছে বলে জানান।
এটি হচ্ছে জাপানের টানা ৯ম ফ্লু মৌসুম। মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মৌসুম অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Posted by admin on January 15
Posted in Uncategorized
হোক্কাইদোতে ৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পঃ সুনামির সতর্কতা নেই
বৃহস্পতিবার হোক্কাইদো’র উপকূলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে কিন্তু কোনো সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।
প্রাথমিক ভাবে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৭ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হোক্কাইদো দ্বীপের দক্ষিণ কোনায় উরাকাওয়া শহরের নিকট দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে। উৎপত্তি স্থলের গভীরতা ছিলো সাগর পৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিক ভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
মধ্যাহ্ন ভোজের সময় আকস্মিক ভূমিকম্পে আবাসিক বাসিন্দাদের অনেকেই চমকে ওঠেন।
হোক্কাইদো’র এক বাসিন্দা হারু মাৎসুতাকেয়া (৪৫) বলেন, “ভূমিকম্পটি সত্যিই খুব শক্তিশালী ছিলো, এর স্থায়ীত্ব ছিলো প্রায় ৪০ সেকেন্ড”।
সেখানে অবস্থিত দু’টি পারমাণবিক চুল্লীতে কোনো প্রভাব পড়েনি বলে পরমাণু নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন।
তোহোকু বুলেট ট্রেন সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকে। হোক্কাইদো’র স্থানীয় কিছু ট্রেন চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকে।
Posted by admin on January 12
Posted in Uncategorized
মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ
গত ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীর বাগমারায় কাদিয়ানীদের উপাসনালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে, এ ঘটনায় বোমা হামলাকারী নিজে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন। এর আগে গত মুহাররম মাসে ঢাকার হোসনি দালান এবং বগুড়ার একটি গ্রামে শিয়াদের একটি ধর্মীয়স্থানে হামলার ঘটনায় কিছু লোক হতাহত হয়েছে। এজাতীয় হামলা এদেশে সম্ভবত এগুলোই প্রথম। ধরন, প্রেক্ষাপট ও পরবর্তী পরিস্থিতি-প্রতিক্রিয়ার কারণে এ হামলার প্রসঙ্গগুলো কিছু আলোচনার দাবি রাখে। সে হিসেবে এ আলোচনায় আমরা তিনটি প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু আলোকপাতের চেষ্টা করব। প্রথম, মূল হামলার প্রসঙ্গ। দ্বিতীয়, যেসব সম্প্রদায়ের উপর হামলা করা হয়েছে তাদের পরিচিতি প্রসঙ্গ। তৃতীয়, এসব হামলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও জনসাধারণের করণীয় প্রসঙ্গ।
হামলা প্রসঙ্গে কথা
প্রথমত হামলার মূল প্রসঙ্গটি নিয়ে আমাদের প্রধান কথা হচ্ছে, কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা ইসলামের কোনো বিচ্যুত অথবা বের হয়ে যাওয়া উপদলের ধর্মীয় কেন্দ্র অথবা উপাসনালয়ে হামলা করা কোনোভাবেই শরীয়তসিদ্ধ কাজ নয়। কোনো মুসলমানের জন্যই এটা ইসলাম নির্দেশিত অথবা অনুমোদিত কোনো কাজ নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের হামলা নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ বিষয়ে দ্বিতীয় যে কথাটি প্রণিধানযোগ্য সেটি হচ্ছে, ইসলামের মূল জামাআত আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ। এই মূল জামাআতের বাইরে অতীতেও কোনো কোনো গ্রুপ ও উপদল সৃষ্টি হয়েছে। এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। ইসলামী খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত থাকলে এজাতীয় ক্ষেত্রে করণীয় হলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বুঝানো এবং তাদেরকে সঠিক পথে আনতে সম্ভাব্য সব উপায় কাজে লাগানো। এরকমভাবে বর্তমানে হক্কানী আলেমদেরও দায়িত্ব, এদেরকে তাদের বিচ্যুতি থেকে হেদায়েতের চেষ্টা করা। বিশেষত সাধারণ মুসলমানদেরকে এ-জাতীয় বিভ্রান্ত ও বিচ্যুত উপদলের হাত থেকে আলেমগণ ওয়ায নসীহত, লেখালেখি এবং স্বীকৃত শান্তিপূর্ণ মাধ্যমগুলোর সাহায্যে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন। এটা আলেমদের বিশেষ দায়িত্ব। কিন্তু কোনো ব্যক্তির জন্য এ ধরনের কোনো বিভ্রান্ত উপদলের ধর্মীয় স্থানে হামলা করার কোনো বিধান শরীয়তে নেই। সুতরাং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এ-জাতীয় হামলার বিষয়টি খুবই স্পষ্ট।
তৃতীয় কথা হচ্ছে, সাম্প্রতিককালে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কজন পাদ্রীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। সেক্ষেত্রেও আমরা একই কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কেন্দ্র, উপাসনালয় ও ব্যক্তির উপর হামলা করার অনুমতি ইসলামী শরীয়তে নেই। এ প্রসঙ্গে এ বিষয়টিও মনোযোগ দাবি করে যে দেশের বিভিন্ন এলাকা, গির্জা ও পাদ্রীদের পক্ষ থেকে দরিদ্র মুসলিমদের মাঝে আর্থিক প্রলোভন দিয়ে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা এবং এ সম্পর্কে আশু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এ বিষয়টি অনাস্থা ও উত্তেজনার কারণ সব সময়ই জিইয়ে রাখতে পারে।
হামলা প্রসঙ্গে এবার চতুর্থ যে বিষয়টি উল্লেখ করা দরকার মনে হয়েছে সেটি হচ্ছে এ হামলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও পেছনের কারণগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা। হামলাগুলো আসলে কারা করছে- এ প্রশ্নটির উত্তর এবং এর পেছনে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না- সেটিও তলিয়ে দেখা দরকার। কারণ, এদেশে এ-জাতীয় উপদলগত বিভ্রান্তি দূর করার ক্ষেত্রে আলেম ও দাঈ সমাজ শন্তিপূর্ণ উপায়ে দ্বীনী ওয়ায-নসীহত করার ধারা বহুদিন ধরে চালু রেখেছেন। এর জন্য কখনো কোনো উত্তেজনা ও সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়নি। আলেম ও দাঈ সমাজও কখনো সেরকম কোনো কিছুর উস্কানি কিংবা প্রশ্রয়ও দেননি। শান্তিপূর্ণ উপায়ে সতর্কীকরণ ও হক বিষয়টি উপস্থাপনের কাজ তারা করে গেছেন ও করে যাচ্ছেন। এ-জাতীয় হামলা ও মারামারির ঘটনা এদেশে নজিরবিহীন। তাই এর পেছনে অন্য কোনো মহলের ষড়যন্ত্রমূলক কোনো অভিলাষ কাজ করছে কি না- সেটা গভীরভাবে যাচাই করে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে কোনো কোনো মুসলিম দেশে পেছন থেকে এ-জাতীয় সংঘাত উস্কে দিয়ে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর করার নজিরও আমাদের সামনে রয়েছে। তাই এ বিষয়টিতে রাষ্ট্রসহ সব মহলের পরিপূর্ণ সতর্কতা দরকার।
কাদিয়ানী পরিচিতি
এবার মূল আলোচনার দ্বিতীয় প্রসঙ্গটিতে আমরা যেতে পারি। যেসব সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়েছে তাদের কিছু পরিচিতি তুলে ধরছি। দেখা যাচ্ছে, কাদিয়ানী ও শিয়াদের উপাসনালয়ে হামলার পর অনেকে তাদের সম্পর্কে জানতেও চাচ্ছেন। তাদের পরিচিতিও এ দেশে অনেকের কাছে স্পষ্ট নেই। তাই তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি সাধারণ মুসলমানদের জন্য পেশ করা দরকার। অতি সম্প্রতি যাদের ওপর হামলা হেেছ তারা কাদিয়ানী সম্প্রদায়। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এদের মূল কেন্দ্র। এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ার পর তাদের নেতারা ইংল্যান্ডে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্যে তাদের ধর্মীয় মতাদর্শের প্রচার করে থাকে। তারা নিজেদের ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ বলে দাবি করে থাকে। কিন্তু সাধারণ মুসলমানদের কাছে এরা ‘কাদিয়ানী’ নামেই পরিচিত। এ সম্প্রদায়টি কাদিয়ানের মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে তাদের নবী ও অনুসৃত ধর্মীয় নেতা মনে করে থাকে। এবং তার দেয়া বিধান মেনেই এরা জীবন যাপন করে। খতমে নবুওত সম্পর্কিত ইসলামের শাশ্বত ও অপরিহার্য বিধানকে এরা অস্বীকার করে। তাই সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বহু রাষ্ট্রে আইন করে তাদেরকে অ-মুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও দুনিয়াতে মুসলমানদের যত বড় বড় ইসলামী গবেষণাকেন্দ্র বা ফোরাম রয়েছে- যেমন ওআইসি ফিকাহ একাডেমী, রাবেতা ফিকাহ একাডেমী, দেওবন্দ,আলআযহার-এমন সব জায়গার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা ইসলাম থেকে খারিজ। অ-মুসলিম সম্প্রদায় বলে চিহ্নিত ও ঘোষিত হয়েছে। বহু দেশেই আইন করে তাদেরকে মুসলিম পরিচয় দেওয়া, তাদের ধর্মীয় স্থানকে মসজিদ হিসেবে প্রচার করা এবং কুরআন শরীফকে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে প্রচার করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই পরিভাষাগুলো তারা ব্যবহার করতে পারবে না। যেন সাধারণ মুসলমানরা তাদের দ্বারা কোনো রকম ধোঁকার মধ্যে না পড়ে। মাসিক আলকাউসারের বিভিন্ন সংখ্যায় বিভিন্ন সময় কাদিয়ানীদের স্বরূপ তুল ধরে বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই আজ আমরা ওই বিষয়টিতে দীর্ঘ আলোচনায় যেতে চাই না। সতর্কতার জন্য আমরা বলব যেসব অঞ্চলে কাদিয়ানীরা তাদের ধর্মপ্রচার ও ধর্মান্তরের কাজ করছে সেসব অঞ্চলের দাঈ ও আলেম-উলামাদের কাজ হচ্ছে, কাদিয়ানী বিষয়ে উলামায়ে কেরামের বইপত্র সংগ্রহ করে পড়া ও সাধারণের মাঝে সেসব আলোচনা তুলে ধরা। কাদিয়ানীদের ধর্মীয় পরিচিতি সম্পর্কে মুসলমানদের অবহিত করতে থাকা।
শিয়া সম্প্রদায়েরর পরিচিতি
দ্বিতীয় যে সম্প্রদায়টি হামলার শিকার হয়েছে- তারা হচ্ছে শিয়া। কাদিয়ানীদের সম্পর্কে অনেকের কিছু ধারণা থাকলেও শিয়াদের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য ও পরিচিতি সম্পর্কে অনেক মুসলমানের ধারণা স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ শিয়া-সুন্নী মতভেদকে একটি মাযহাবী মতভেদের মতো মনে করে থাকে। তাই শিয়াদের কিছু বৈশিষ্ট্যগত পরিচিতি এখানে তুলে ধরছি। প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে শিয়ারা বহু দল-উপদলে বিভক্ত। তবে বর্তমানে শিয়া রাষ্ট্র-ইরান এবং বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের শিয়াদের প্রায় সকলেই ইমামিয়া ইছনা আশারিয়া শিয়া। ইরানের প্রয়াত ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনী এবং তার পরবর্তী ধর্মীয় নেতাগণ এই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। নিচে তাদের আকীদা-বিশ্বাসের মোটা কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করছি।
১. ইমামতের বিশ্বাস : শিয়ারা ১২ জন ব্যক্তিত্বকে ইমাম হিসেবে বিশ্বাস করে থাকে। এবং তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ইমামরাই ধর্মীয় বিশ্বাসের মূল ব্যক্তিত্ব। তারা বিশ্বাস করে : (ক) তাদের ইমামগণের মর্তবা ক্ষেত্র বিশেষে নবী ও ফেরেশতাদের চেয়ে বেশি। (খ) তাদের ইমামগণের শিক্ষা ছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুওতও পূর্ণ হয় না। (গ) তাদের ইমামগণের কথা রাসূলের কথার মতই বিশ্বাসযোগ্য ও অবশ্য-পালনীয়।
২. খেলাফত সংক্রান্ত বিশ্বাস : শিয়ারা মনে করে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর খলীফা হওয়ার হক্বদার ছিলেন হযরত আলী রা.। কিন্তু আবু বকর রা. ও হযরত উমর রা. জুলুম করে খেলাফতকে আত্মসাৎ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ) এবং বহু শিয়া-আলেমের বিশ্বাস হলো, হযরত আবু বকর রা. ও হযরত উমর রা. ইসলাম থেকেও খারিজ হয়ে গিয়েছিলেন।
৩. কুরআন শরীফ সংক্রান্ত বিশ্বাস : শিয়ারা মনে করে বর্তমানে আমাদের হাতে যে কুরআন শরীফ রয়েছে তা অসম্পূর্ণ ও বিকৃত। কুরআনের কিছু সূরা ও আয়াত প্রথম দুই খলীফা কর্তৃক সরিয়ে ফেলা হয়েছে ও বিকৃত করা হয়েছে। এবং তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী ওই আয়াতগুলোতে হযরত আলী রা. ও শিয়াদের পরবর্তী ইমামদের সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে।
৪. হযরত আলী রা. সম্পর্কে বিশ্বাস : শিয়াদের বিশ্বাস, হযরত আলী রা.-এর মর্তবা সকল নবী ও রাসূল থেকেও অধিক।
৫. হযরত হোসাইন রা. সম্পর্কে বিশ্বাস : শিয়াদের বিশ্বাস অনুযায়ী, হযরত হোসাইন রা.-এর কবর যিয়ারত করলে ওই ব্যক্তির পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। হযরত হোসাইন রা.-এর কবর যিয়ারত করা হজ্বের সময় ওকুফে আরাফার চেয়েও ফযীলতপূর্ণ। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী কারবালা মক্কা থেকেও উত্তম স্থান।
৬. হযরত আয়েশা রা. ও উম্মুল মুমিনীনগণ প্রসঙ্গ : শিয়ারা বিশ্বাস করে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণ বিশেষত হযরত আয়েশা রা. ও হাফসা রা. ইসলাম ও আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তাদের ইমাম মাহদী এসে হযরত আয়েশা রা-এর বিরুদ্ধে হদ কায়েম করবেন।
৭. সাহাবায়ে কেরাম প্রসঙ্গ : শিয়া আলেমগণের মতে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর তাঁর সাহাবীদের অল্প কয়েকজন ছাড়া বাকি সকলেই মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলেন। হযরত আলী রা.-কে প্রথমেই সরাসরি খলীফা না বানিয়ে হযরত আবু বকর রা. ও হযরত উমর রা.-কে খলীফা বানানো ও তাঁদের মান্য করায় বেশির ভাগ সাহাবী ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে গেছেন।
৮. মাহদী প্রসঙ্গ : শিয়ারা একজন ইমাম মাহদীকে বিশ্বাস করে। তার নাম মুহাম্মাদ ইবনুল হোসাইন আসকারী। শিয়াদের ১২তম ইমাম। তারা তাকে আল ‘হুজ্জাহ’ ও ‘আল কায়েম’ বলেও ডাকে। তাদের বিশ্বাস হচ্ছে মুহাম্মাদ ইবনুল হোসাইন আল আসকারীর জন্ম ২৫৬ হিজরীতে। এরপর তিনি ২৬৫ হিজরীতে একটি গুহায় আত্মগোপন করেন। শেষ যামানায় তিনি সেই গুহা থেকে বের হয়ে এসে শিয়াদের সহযোগিতা করবেন। শিয়াদের বিরুদ্ধে যত দল ও গোষ্ঠী আছে সবার ওপর প্রতিশোধ নেবেন। উল্লেখ্য যে শিয়াদের কথিত ইমাম মাহদীর সাথে মুসলমানরা যে অনাগত মাহদীর প্রতি বিশ্বাস রাখেন- তার কোনো মিল নেই।
৯. তাক্বিয়্যা প্রসঙ্গ : শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাসগুলোর একটি হচ্ছে তাক্বিয়্যা। এই তাক্বিয়্যা দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য থাকে, ধর্মীয় স্বার্থে কোনো কিছুকে অন্যদের থেকে গোপন করা এবং মিথ্যা কথা বলা। মিথ্যা পরিচয় দেওয়া। এ ভিত্তিতেই তারা তাদের অনেক কিছু অন্যদের থেকে, মুসলমানদের থেকে এবং তাদেরও সাধারণ স্তরের অনুসারীদের থেকে আড়াল করে রাখে।
উপরে খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে শিয়াদের আকীদা-বিশ্বাসের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করা হলো। শিয়াদের ধর্মীয় মৌলিক কিতাব উসূলুল কাফী ও তাদের বড় বড় আলেমদের লিখিত গ্রন্থাবলিতে এ সমস্ত আকীদা-বিশ্বাসের কথা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ রয়েছে। উপরোক্ত বিষয়গুলো দেখলেই যে কোনো মুসলমানের পক্ষে শিয়াদের বিশ্বাসগত ও ধর্মীয় অবস্থান সম্পর্কে বুঝতে তেমন কিছু বাকি থাকবে না। এাখানে প্রসঙ্গত: আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা দরকার তা হচ্ছে, আমাদের গণমাধ্যমগুলো শিয়াদের ধর্মীয়স্থানকে ‘মসজিদ’বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। অথচ শিয়ারা নিজেরাই এ নাম ব্যবহার না করে তাদের ইবাদতের জায়গাকে ‘ইমাম বারেগাহ’(এ দেশে বলে ইমাম বাড়া) বলে থাকে।
আমাদের করণীয়
মূল আলোচনার তৃতীয় প্রসঙ্গটি হলো এ জাতীয় হামলার ব্যাপারে করণীয় বিষয় সাব্যস্ত করা। এ ব্যাপারে প্রথমেই জনসাধারণ পর্যায়ের মুসলমানদের করণীয় নিয়ে কথা বলা যায়। সাধারণ মুসলমানদের জন্য কয়েকটি করণীয় হতে পারে। (ক) নিজেদের ঈমান-আকীদা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জন করা এবং সচেতন হওয়া। (খ) আলেম-উলামাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলা। এবং দ্বীনী বিষয়ে আলেমদের পথনির্দেশনা অনুসরণ করা। (গ) ইসলামের নামে কেউ নতুন কোনো বিশ্বাস, ধারণা কিংবা কর্মপন্থার দাওয়াত নিয়ে আসলেই তাতে বিভ্রান্ত না হওয়া। এর ভালোমন্দ যাচাইয়ে হক্কানী আলেম সমাজের সাহায্য গ্রহণ করা। (ঘ) কোনো বিভ্রান্ত ও পথচ্যুত গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোনো রকম উস্কানিমূলক আচরণ না করা। এবং কেউ কোনো উস্কানি দিলেও কোনোভাবেই আইন হাতে তুলে নেওয়ার মতো আচরণ না করা।
এ ব্যাপারে আলেমদের কাজ মূলত আলেমসমাজ করে যাচ্ছেন। সেটি হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে দালিলিকভাবে আলোচনা-লেখা ওয়াজ-নসীহতের মাধ্যমে বিভ্রান্ত গোষ্ঠীগুলো সম্পর্কে বোঝানোর মধ্য দিয়ে মুসলমান জনসাধরণকে তাদের ঈমান-আকীদা হেফাযতে সাহায্য করা। নতুন প্রেক্ষাপটে অবশ্যই এ কাজগুলো করে যেতে হবে। সঙ্গে আরো সতর্কতা ও মনোযোগ রাখতে হবে। মূলত এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্বটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে হক্বের বিকাশ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় এবং কারো জানমালেরও যেন ক্ষতি না হয়- রাষ্ট্রকে সেসব দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। সে জন্যই রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসেবে যে কয়টি বিষয় উল্লেখ করা যায় তা হচ্ছে, (ক) সকলের জানমালের হেফাযতের সুব্যবস্থা করা। (খ) এ-সমস্ত হামলার সাথে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি এর পেছনে অন্য ষড়যন্ত্র থাকলে তাও খতিয়ে দেখা। বিশেষত কোনো বিভ্রান্ত উপদল ও গোষ্ঠী তাদের বিভিন্ন প্রলোভন ও প্রচারণার মাধ্যমে মুসলমানদের মৌলিক ও সঠিক একমাত্র জামাত-আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত-এর সাধারণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করছে কি না- সেটাও সতর্ক পর্যবেক্ষণে রাখা এবং সচেতন থাকা। তাদের কার্যক্রমকে তাদের সম্প্রদায় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে বাধ্য করা। (গ) কাদিয়ানী ও শিয়াদের উপাসনালয়ে এসব জীবনঘাতী হামলার পেছনে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না সেটা দ্রæত বের করার চেষ্টা করা। এসব ঘটনায় ঢালাওভাবে মুসলমানদের কোনো গোষ্ঠীকে কেবল আকীদাগত ও ধর্মীয় বিরোধের কারণে অভিযুক্ত না করা উচিত। অস্পষ্ট ধারণা ও অনুমানের ভিত্তিতে দ্বীনদার ধর্মপ্রাণ শ্রেণিকে অকারণ পেরেশান ও হয়রানি না করা। কারণ এই হয়রানির ঘটনায় উত্তেজনা-অস্থিরতা নতুন মাত্রা লাভ করে। এতে সমস্যার কোনো সমাধান তো হয়ই না, উল্টো অপরাধী ও ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বিঘেœ তাদের কাজ করে যেতে পারে।
সবশেষে আমরা আবারো বলব, শিয়া-কাদিয়ানীদের সাথে আক্বীদা-বিশ্বাসের জায়গায় সাধারণ মুসলমানের কোনো সম্পর্ক নেই। ধর্মীয়ভাবে একাত্ম হয়ে তাদের প্রতি মমত্ব পোষণ ও প্রকাশের সুযোগ নেই। কিন্তু তাদের ধর্মীয় স্থানসহ কোনো কিছুর ওপর হামলা ও আঘাতের বিষয়টি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। তাদেরকে মারা, আঘাত করা সব বিবেচনাতেই অপরাধ ও শাস্তিযোগ্য। আবার তাদেরকে সত্যের ওপর আছে মনে করাও ঈমানের জন্য ক্ষতিকর। দাওয়াতী ও ইসলাহী পদ্ধতিতে তাদের বিচ্যুতির বিষয়ে সতর্কীকরণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কোনোভাবেই এসব বিভ্রান্তির সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করার অবকাশ কোনো মুসলমানের নেই।
Posted by admin on January 12
Posted in Uncategorized
বিশ্বে সুখী মানুষের সংখ্যা কমেছে
Posted by admin on January 10
Posted in Uncategorized
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানে দীর্ঘ কারাবাস শেষে সদ্য স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু।
Posted by admin on January 10
Posted in Uncategorized
বিশ্ব ইজতেমায় মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাত
মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৫১তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা সা’দ মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর আগে তিনি হেদয়াতি বয়ান করেন। আরবি ও উর্দু ভাষায় মোনাজাত করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে হাত তুলেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বিপদ-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন তারা। এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে তুরাগ তীর মুখরিত করে দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় আকুতি জানান মুসল্লিরা। এদিকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আজ ভোর থেকেই শীত উপেক্ষা করে লাখো মুসল্লি মহাসড়কে পায়ে হেঁটে ও ট্রেনে করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসে সমবেত হয়েছেন। বিপুল সংখ্যক নারী মুসল্লিরাও মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমার আশেপাশের সড়কে সকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছেন। বিশ্ব ইজতেমায় আসা এক বিদেশীসহ আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে গত রাতে। এর আগে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। এক ব্রিফিং এ গাজীপুরে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ জানান, মুসল্লিদের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে আজ দ্বিগুণ সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা মুসল্লিদের ঘরে ফেরা পর্যন্ত এখানে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য বিনা ভাড়ায় প্রায় অর্ধশত শাটল বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Posted by admin on January 8
Posted in Uncategorized
রাশিয়ার আকাশে তিন সূর্য!
Posted by admin on January 8
Posted in Uncategorized
আইপিএস কোষের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শুরু করছে জাপানি টিম
জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টিম হৃদরোগের চিকিৎসায় আইপিএস কোষের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে কিনিক্যাল টেস্টের পরিকল্পনা করেছেন। ক্লিনিক্যাল টেস্ট হলো মানুষের উপর কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা।
গবেষক দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ইয়োশিকি সাওয়া।
গবেষকদের লক্ষ্য আইপিএস কোষ দিয়ে হৃৎপিন্ডের পেশীর পাত তৈরি করা যেটি পরে তীব্র হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর হৃদপিন্ডে প্রতিস্থাপিত করা হবে।
গবেষক দলটি সরকারের কাছে পরীক্ষা শুরু করার জন্যে এপ্রিল মাসের মধ্যে আবেদন করবে। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে তারা প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার শুরু করতে চান।
কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্থান থেকে গবেষক দল প্রত্যাখ্যান-প্রতিরোধী বিশেষ ধরনের আইপিএস কোষ সংগ্রহ করেছেন।
তাদের আবেদন অনুমোদিত হলে গবেষক দলটি কয়েক জন রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করবেন। তারা আশা করছেন আইপিএস থেকে প্রস্তুতকৃত পেশীর পাত আগামী ৪ বছরের মধ্যেই বাস্তব ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠবে।
তারা প্রাণীর উপর পেশী প্রতিস্থাপনের পরীক্ষা চালিয়ে ইতিমধ্যেই কার্ডিয়াক কার্যকারিতাকে উন্নত করার ঘটনা দেখতে পেয়েছেন।
গবেষকরা বলছেন তারা নিরাপত্তা ও পেশী পাতের কার্যকারীরতার উপর তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রাখবেন।
Posted by admin on January 6
Posted in Uncategorized
দুই বিদেশি দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার করছে টোকিও পুলিশ
টোকিও পুলিশ সৌদি আরব ও ইরান দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। দেশ দু’টি সম্প্রতি তীব্র কুটনৈতিক বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ বলেছে তারা টোকিও’র মিনাতো ওয়ার্ডে অবস্থিত দু’টি দেশের দূতাবাসে টহল বাড়িয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা কোম্পানি গুলো তাদের স্বাভাবিক সেবা অব্যাহত রাখবে।
এছাড়া পুলিশ টোকিও’র সৌদি আরব’র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ভাষা স্কুল সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।
Posted by admin on January 6
Posted in Uncategorized
জামায়াতের হরতাল বৃহস্পতিবার