• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • ২০১৫ ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর

    বিজ্ঞানীরা আগেই আভাস দিয়েছিলেন ২০১৫ সাল স্মরণকালের উষ্ণতম হতে পারে। এবার সেটিই সত্যি হলো। স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জাতীয় মহাসাগর ও বায়ুমন্ডলীয় প্রশাসন বা এনওএএ) এই তথ্য  জানিয়েছে।
    এনওএএ জানিয়েছে, ১৮৮০ সালের পর যেকোনো দিক থেকে ২০১৫ উষ্ণতম বছর। এমনকি বছরটিতে গড় তাপমাত্রাও যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি। গত বছর বিশ্বে ভূমি ও সমুদ্রপৃষ্ঠে গড় তাপমাত্রা ছিল ১ দশমিক ৬২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এটা বিংশ শতাব্দীর গড় তাপমাত্রার চেয়ে বেশি।
    সংস্থাটি বলেছে, ২০১৪ সালের চেয়ে ২০১৫ সালে তাপমাত্রা দশমিক ২৯ ফারেনহাইট বেশি ছিল।

    যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) জানায়, সমসাময়িক সব রেকর্ড ভেঙেছে গত বছরের তাপমাত্রা। বায়ুমন্ডলে কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা এবং অন্যান্য মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

    সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে আসছে ডোমেইন নীতিমালা

    ডোমেইন ব্যবহারের নীতিমালা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে ও ইন্টারনেট ব্যবহারে শৃঙ্খলা আনতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
    ইতোমধ্যে ভারতের ডোমেইন নীতিমালা অনুসরণ করে ১২ পৃষ্ঠার একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ডোমেইন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। খসড়ায় ডোমেইন নিবন্ধন পদ্ধতি, ডোমেইনের বিক্রয় মূল্য, ব্যবহারের শর্তাবলীসহ বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে।
    এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, দেশীয় ডোমেইন ব্যবহারের নীতিমালা হলে এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আসবে। সাইবার সন্ত্রাস ও হয়রানি বন্ধে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে পর্নোগ্রাফি সমৃদ্ধ সাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। ডোমেইন নিবন্ধন পদ্ধতিও সহজ হবে।
    এই খসড়ার ওপর খাত সংশ্লিষ্টদের মতামত নেয়া হবে। এজন্য সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বসবে টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সর্বসাধারণের মতামত নিতে এটি ওয়েব সাইটে দেয়া হবে। সবার পরামর্শ অনুসারে খসড়া চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।

    চলে গেলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ

    পৃথিবীর সবচেয়ে বয়সী পুরুষ ১১২ বছর বয়সে মারা গেছেন। ইয়াসুতারো কোইদে নামের এই ব্যক্তি জাপানের নাগরিক ছিলেন।
    জাপানের নাগোয়া শহরের বাসিন্দা এই ব্যক্তিকে গত বছরের আগস্টে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কর্মকর্তারা জানান, ইয়াসুতারো হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন তিনি। রেকর্ডে নাম অন্তুর্ভুক্ত হওয়ার সময় নিজের দীর্ঘ আয়ুর কারণ বলেছিলেন, তিনি কখনো ধুমপান ও মদে আসক্ত হননি। আনন্দের নামে নিজের শরীরের উপর বাড়াবাড়ি কোনো অত্যাচার কখনো করেননি বলে উল্লেখ করেন।
    উল্লেখ্য, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বয়সী জীবিত ব্যক্তি এখন ১১৬ বছর বয়সী মার্কিন নারী সুসান্নাহ মুশাট জোন্স। গত বছর জাপানের মিসাও ওকাওয়া ১১৭ বছর বয়সে মারা যাওয়ার পরে তিনি এই রেকর্ডের মালিক হন। গিনেজ রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয়ু পেয়েছিলেন ফরাসি নাগরিক জঁ কালমেন্ট। ১২২ বছর ও ১৬৪ দিন পৃথিবীর হাওয়া বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়ার পরে ১৯৯৭ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি।

    জলোচ্ছ্বাস, ঝোড়ো আবহাওয়ায় জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    পশ্চিম ও উত্তর জাপানের বাসিন্দারা তীব্র শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ভারী তুষারের সাথে কনকনে প্রবল ঠান্ডা হাওয়া বয়ে চলেছে বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে।

    আবহাওয়া বিভাগ বলেছে একটি লঘু চাপ তীব্র বাতাস বয়ে এনেছে জাপানি উপদ্বীপের উপর।

    উত্তর জাপানের শহর নেমুরো এবং জাপান সাগরের তীরে অবস্থিত কানাজাওয়া শহরের উপর দিয়ে ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের ঝাপটা বয়ে যায়।

    উত্তর জাপানের হোক্কাইদো এবং তোহোকু অঞ্চলে ২৪ ঘন্টায় ৭০ সেন্টিমিটারের মতো তুষারপাত হয়।

    বুধবার পর্যন্ত তুষার ও ঝোড়ো আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে কারণ লঘু চাপটি হোক্কাইদো’র নিকট এসে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো অঞ্চলে আরো তুষার-ঝড়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

    আবহাওয়া বিভাগ জলোচ্ছ্বাস ও উঁচু সমুদ্রতরঙ্গের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে।

    মঙ্গলবার উত্তর জাপানের হোক্কাইদো’র হাকোদাতে বন্দরে সমুদ্রের ঢেউ বাঁধ উপচে যায়, কনক্রিটের দেয়াল ভেঙে ফেলে এবং মাছ ধরার নৌকো গুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

    নাকাহামা শহরে ভেসে আসা কাঠ এবং ময়লা-আবর্জনা শরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শহরের এক প্রবীণ দম্পতি জানিয়েছেন শহরে তাদের ৬০ বছরের জীবনে কোনো দিন এমন দৃশ্য দেখেননি।

    পশ্চিম জাপানের এহিমে প্রিফেকচারে একটি ফেরি’র সাথে ইয়াওয়াতাহামা বন্দরে পার্ক করে রাখা একটি ক্রেনের সংঘর্ষ ঘটে।

    মঙ্গলবার বিকেলে ফেরিটি মাত্র যাত্রার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলো। এ সময় তীব্র বাতাসের ধাক্কা ফেরিটিকে প্রায় ১০০ মিটার সামনে বিপরীত দিকের ঘাটে নিয়ে যায়, ফেরির দ্বিতীয় তলায় ক্রেনটি ঢুকে পড়ে।

    ফেরিটিতে এ সময়ে ৩৩ জন যাত্রী এবং ক্রু ছিলেন, এ ছাড়াও ১৭টি যানবাহনও ছিলো।

    জাপানের উপকূল রক্ষীরা বলেছেন ঘটনায় কেউ আহত হননি।

    টক দইয়ের যতো গুণ

    Posted by admin on January 16
    Posted in Uncategorized 

    টক দইয়ের যতো গুণ

    দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে টই দই অত্যন্ত পুষ্টিকর। এতে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ইত্যাদি। বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে এই খাবারটি বেশ জনপ্রিয়। স্বাস্থ্যগুণের পাশাপাশি রূপচর্চায়ও রয়েছে এর নানাবিধ ব্যবহার। চলুন জেনে নেয়া যাক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও রূপচর্চায় টক দইয়ের ব্যবহার।
    * টক দই ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরের মেদ জড়াতে এটি বেশ কার্যকরী।
    * দইয়ের ব্যাকটেরিয়াগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ব্যাকটেরিয়া কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
    * একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন ২ কাপ করে দই খায়, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।
    * দই কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে।
    * ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও দইয়ের জুড়ি নেই। টক দই, বেসন ও মধু মিশিয়ে নিন ভালো করে। মুখসহ পুরো শরীরের ত্বকে ব্যবহার করুন। আধা ঘণ্টা পর ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রং হবে আরো উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
    * শুষ্ক ও রুক্ষ প্রকৃতির চুলে মেহেদি লাগালে চুল আরো রুক্ষ হয়ে ওঠে। মেহেদি ব্যবহার করার সময় এর সাথে মিশিয়ে নিন মেহেদির অর্ধেক পরিমাণে টক দই। এটি চুলে লাগালে রুক্ষতা দূর হয়ে চুল হবে কোমল।
    * একটি পুরো ডিম ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এর সঙ্গে আধা কাপ টক দই ও ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের ঘনত্ব বাড়বে।

    জাপানে ফ্লু মৌসুম শুরুঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

    জাপানের শ্রম, স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ মন্ত্রণালয় জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু হয়েছে বলে শুক্রবার সরকারি ভাবে ঘোষণা দিয়েছে, তারা জনসাধারণকে এ জন্যে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

    মন্ত্রণালয় জানায় জানুয়ারির ৪ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত দেশের ৫ হাজার মেডিকাল সেন্টারে ৯,৯৬৪ জন ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, হাসপাতাল গুলোর হিসেবে প্রতিটি হাসপাতালে গড়ে ২.০২ জন করে গিয়েছেন।

    আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ওকিনাওয়াতে, এরপরেই রয়েছে আকিতা, নিইগাতা, হোক্কাইদো এবং চিবা প্রিফেকচার -মন্ত্রণালয় জানায়।

    আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার অতিক্রম করার পরেই কর্মকর্তারা পুরো দমে ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু হয়েছে বলে জানান।

    এটি হচ্ছে জাপানের টানা ৯ম ফ্লু মৌসুম। মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মৌসুম অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    হোক্কাইদোতে ৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পঃ সুনামির সতর্কতা নেই

    বৃহস্পতিবার হোক্কাইদো’র উপকূলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে কিন্তু কোনো সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

    প্রাথমিক ভাবে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৭ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হোক্কাইদো দ্বীপের দক্ষিণ কোনায় উরাকাওয়া শহরের নিকট দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে। উৎপত্তি স্থলের গভীরতা ছিলো সাগর পৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার গভীরে।

    ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিক ভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

    মধ্যাহ্ন ভোজের সময় আকস্মিক ভূমিকম্পে আবাসিক বাসিন্দাদের অনেকেই চমকে ওঠেন।

    হোক্কাইদো’র এক বাসিন্দা হারু মাৎসুতাকেয়া (৪৫) বলেন, “ভূমিকম্পটি সত্যিই খুব শক্তিশালী ছিলো, এর স্থায়ীত্ব ছিলো প্রায় ৪০ সেকেন্ড”।

    সেখানে অবস্থিত দু’টি পারমাণবিক চুল্লীতে কোনো প্রভাব পড়েনি বলে পরমাণু নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন।

    তোহোকু বুলেট ট্রেন সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকে। হোক্কাইদো’র স্থানীয় কিছু ট্রেন চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকে।

    বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে হামলা প্রসঙ্গ

    মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ

    গত ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীর বাগমারায় কাদিয়ানীদের উপাসনালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে, এ ঘটনায় বোমা হামলাকারী নিজে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন। এর আগে গত মুহাররম মাসে ঢাকার হোসনি দালান এবং বগুড়ার একটি গ্রামে শিয়াদের একটি ধর্মীয়স্থানে হামলার ঘটনায় কিছু লোক হতাহত হয়েছে। এজাতীয় হামলা এদেশে সম্ভবত এগুলোই প্রথম। ধরন, প্রেক্ষাপট ও পরবর্তী পরিস্থিতি-প্রতিক্রিয়ার কারণে এ হামলার প্রসঙ্গগুলো কিছু আলোচনার দাবি রাখে। সে হিসেবে এ আলোচনায় আমরা তিনটি প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু আলোকপাতের চেষ্টা করব। প্রথম, মূল হামলার প্রসঙ্গ। দ্বিতীয়, যেসব সম্প্রদায়ের উপর হামলা করা হয়েছে তাদের পরিচিতি প্রসঙ্গ। তৃতীয়, এসব হামলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও জনসাধারণের করণীয় প্রসঙ্গ।

    হামলা প্রসঙ্গে কথা

    প্রথমত হামলার মূল প্রসঙ্গটি নিয়ে আমাদের প্রধান কথা হচ্ছে, কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা ইসলামের কোনো বিচ্যুত অথবা বের হয়ে যাওয়া উপদলের ধর্মীয় কেন্দ্র অথবা উপাসনালয়ে হামলা করা কোনোভাবেই শরীয়তসিদ্ধ কাজ নয়। কোনো মুসলমানের জন্যই এটা ইসলাম নির্দেশিত অথবা অনুমোদিত কোনো কাজ নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের হামলা নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    এ বিষয়ে দ্বিতীয় যে কথাটি প্রণিধানযোগ্য সেটি হচ্ছে, ইসলামের মূল জামাআত আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ। এই মূল জামাআতের বাইরে অতীতেও কোনো কোনো গ্রুপ ও উপদল সৃষ্টি হয়েছে। এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। ইসলামী খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত থাকলে এজাতীয় ক্ষেত্রে করণীয় হলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বুঝানো এবং তাদেরকে সঠিক পথে আনতে সম্ভাব্য সব উপায় কাজে লাগানো। এরকমভাবে বর্তমানে হক্কানী আলেমদেরও দায়িত্ব, এদেরকে তাদের বিচ্যুতি থেকে হেদায়েতের চেষ্টা করা। বিশেষত সাধারণ মুসলমানদেরকে এ-জাতীয় বিভ্রান্ত ও বিচ্যুত উপদলের হাত থেকে আলেমগণ ওয়ায নসীহত, লেখালেখি এবং স্বীকৃত শান্তিপূর্ণ মাধ্যমগুলোর সাহায্যে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন। এটা আলেমদের বিশেষ দায়িত্ব। কিন্তু কোনো ব্যক্তির জন্য এ ধরনের কোনো বিভ্রান্ত উপদলের ধর্মীয় স্থানে হামলা করার কোনো বিধান শরীয়তে নেই। সুতরাং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এ-জাতীয় হামলার বিষয়টি খুবই স্পষ্ট।

    তৃতীয় কথা হচ্ছে, সাম্প্রতিককালে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কজন পাদ্রীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। সেক্ষেত্রেও আমরা একই কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কেন্দ্র, উপাসনালয় ও ব্যক্তির উপর হামলা করার অনুমতি ইসলামী শরীয়তে নেই। এ প্রসঙ্গে এ বিষয়টিও মনোযোগ দাবি করে যে দেশের বিভিন্ন এলাকা, গির্জা ও পাদ্রীদের পক্ষ থেকে দরিদ্র মুসলিমদের মাঝে আর্থিক প্রলোভন দিয়ে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা এবং এ সম্পর্কে আশু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এ বিষয়টি অনাস্থা ও উত্তেজনার কারণ সব সময়ই জিইয়ে রাখতে পারে।

    হামলা প্রসঙ্গে এবার চতুর্থ যে বিষয়টি উল্লেখ করা দরকার মনে হয়েছে সেটি হচ্ছে এ হামলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও পেছনের কারণগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা। হামলাগুলো আসলে কারা করছে- এ প্রশ্নটির উত্তর এবং এর পেছনে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না- সেটিও তলিয়ে দেখা দরকার। কারণ, এদেশে এ-জাতীয় উপদলগত বিভ্রান্তি দূর করার ক্ষেত্রে আলেম ও দাঈ সমাজ শন্তিপূর্ণ উপায়ে দ্বীনী ওয়ায-নসীহত করার ধারা বহুদিন ধরে চালু রেখেছেন। এর জন্য কখনো কোনো উত্তেজনা ও সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়নি। আলেম ও দাঈ সমাজও কখনো সেরকম কোনো কিছুর উস্কানি কিংবা প্রশ্রয়ও দেননি। শান্তিপূর্ণ উপায়ে সতর্কীকরণ ও হক বিষয়টি উপস্থাপনের কাজ তারা করে গেছেন ও করে যাচ্ছেন। এ-জাতীয় হামলা ও মারামারির ঘটনা এদেশে নজিরবিহীন। তাই এর পেছনে অন্য কোনো মহলের ষড়যন্ত্রমূলক কোনো অভিলাষ কাজ করছে কি না- সেটা গভীরভাবে যাচাই করে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে কোনো কোনো মুসলিম দেশে পেছন থেকে এ-জাতীয় সংঘাত উস্কে দিয়ে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর করার নজিরও আমাদের সামনে রয়েছে। তাই এ বিষয়টিতে রাষ্ট্রসহ সব মহলের পরিপূর্ণ সতর্কতা দরকার।

    কাদিয়ানী পরিচিতি

    এবার মূল আলোচনার দ্বিতীয় প্রসঙ্গটিতে আমরা যেতে পারি। যেসব সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়েছে তাদের কিছু পরিচিতি তুলে ধরছি। দেখা যাচ্ছে, কাদিয়ানী ও শিয়াদের উপাসনালয়ে হামলার পর অনেকে তাদের সম্পর্কে জানতেও চাচ্ছেন। তাদের পরিচিতিও এ দেশে অনেকের কাছে স্পষ্ট নেই। তাই তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি সাধারণ মুসলমানদের জন্য পেশ করা দরকার। অতি সম্প্রতি যাদের ওপর হামলা হেেছ তারা কাদিয়ানী সম্প্রদায়। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এদের মূল কেন্দ্র। এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ার পর তাদের নেতারা ইংল্যান্ডে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্যে তাদের ধর্মীয় মতাদর্শের প্রচার করে থাকে। তারা নিজেদের ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ বলে দাবি করে থাকে। কিন্তু সাধারণ মুসলমানদের কাছে এরা ‘কাদিয়ানী’ নামেই পরিচিত। এ সম্প্রদায়টি কাদিয়ানের মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে তাদের নবী ও অনুসৃত ধর্মীয় নেতা মনে করে থাকে। এবং তার দেয়া বিধান মেনেই এরা জীবন যাপন করে। খতমে নবুওত সম্পর্কিত ইসলামের শাশ্বত ও অপরিহার্য বিধানকে এরা অস্বীকার করে। তাই সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বহু রাষ্ট্রে আইন করে তাদেরকে অ-মুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও দুনিয়াতে মুসলমানদের যত বড় বড় ইসলামী গবেষণাকেন্দ্র বা ফোরাম রয়েছে- যেমন ওআইসি ফিকাহ একাডেমী, রাবেতা ফিকাহ একাডেমী, দেওবন্দ,আলআযহার-এমন সব জায়গার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা ইসলাম থেকে খারিজ। অ-মুসলিম সম্প্রদায় বলে চিহ্নিত ও ঘোষিত হয়েছে। বহু দেশেই আইন করে তাদেরকে মুসলিম পরিচয় দেওয়া, তাদের ধর্মীয় স্থানকে মসজিদ হিসেবে প্রচার করা এবং কুরআন শরীফকে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে প্রচার করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই পরিভাষাগুলো তারা ব্যবহার করতে পারবে না। যেন সাধারণ মুসলমানরা তাদের দ্বারা কোনো রকম ধোঁকার মধ্যে না পড়ে। মাসিক আলকাউসারের বিভিন্ন সংখ্যায় বিভিন্ন সময় কাদিয়ানীদের স্বরূপ তুল ধরে বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই আজ আমরা ওই বিষয়টিতে দীর্ঘ আলোচনায় যেতে চাই না। সতর্কতার জন্য আমরা বলব যেসব অঞ্চলে কাদিয়ানীরা তাদের ধর্মপ্রচার ও ধর্মান্তরের কাজ করছে সেসব অঞ্চলের দাঈ ও আলেম-উলামাদের কাজ হচ্ছে, কাদিয়ানী বিষয়ে উলামায়ে কেরামের বইপত্র সংগ্রহ করে পড়া ও সাধারণের মাঝে সেসব আলোচনা তুলে ধরা। কাদিয়ানীদের ধর্মীয় পরিচিতি সম্পর্কে মুসলমানদের অবহিত করতে থাকা।

    শিয়া সম্প্রদায়েরর পরিচিতি

    দ্বিতীয় যে সম্প্রদায়টি হামলার শিকার হয়েছে- তারা হচ্ছে শিয়া। কাদিয়ানীদের সম্পর্কে অনেকের কিছু ধারণা থাকলেও শিয়াদের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য ও পরিচিতি সম্পর্কে অনেক মুসলমানের ধারণা স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ শিয়া-সুন্নী মতভেদকে একটি মাযহাবী মতভেদের মতো মনে করে থাকে। তাই শিয়াদের কিছু বৈশিষ্ট্যগত পরিচিতি এখানে তুলে ধরছি। প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে শিয়ারা বহু দল-উপদলে বিভক্ত। তবে বর্তমানে শিয়া রাষ্ট্র-ইরান এবং বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের শিয়াদের প্রায় সকলেই ইমামিয়া ইছনা আশারিয়া শিয়া। ইরানের প্রয়াত ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনী এবং তার পরবর্তী ধর্মীয় নেতাগণ এই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। নিচে তাদের আকীদা-বিশ্বাসের মোটা কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করছি।

    ১. ইমামতের বিশ্বাস : শিয়ারা ১২ জন ব্যক্তিত্বকে ইমাম হিসেবে বিশ্বাস করে থাকে। এবং তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ইমামরাই ধর্মীয় বিশ্বাসের মূল ব্যক্তিত্ব। তারা বিশ্বাস করে : (ক) তাদের ইমামগণের মর্তবা ক্ষেত্র বিশেষে নবী ও ফেরেশতাদের চেয়ে বেশি। (খ) তাদের ইমামগণের শিক্ষা ছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুওতও পূর্ণ হয় না। (গ) তাদের ইমামগণের কথা রাসূলের কথার মতই বিশ্বাসযোগ্য ও অবশ্য-পালনীয়।

    ২. খেলাফত সংক্রান্ত বিশ্বাস :  শিয়ারা মনে করে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর খলীফা হওয়ার হক্বদার ছিলেন হযরত আলী রা.। কিন্তু আবু বকর রা. ও হযরত উমর রা. জুলুম করে খেলাফতকে আত্মসাৎ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ) এবং বহু শিয়া-আলেমের বিশ্বাস হলো, হযরত আবু বকর রা. ও হযরত উমর রা. ইসলাম থেকেও খারিজ হয়ে গিয়েছিলেন।

    ৩. কুরআন শরীফ সংক্রান্ত বিশ্বাস : শিয়ারা মনে করে বর্তমানে আমাদের হাতে যে কুরআন শরীফ রয়েছে তা অসম্পূর্ণ ও বিকৃত। কুরআনের কিছু সূরা ও আয়াত প্রথম দুই খলীফা কর্তৃক সরিয়ে ফেলা হয়েছে ও বিকৃত করা হয়েছে। এবং তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী ওই আয়াতগুলোতে হযরত আলী রা. ও শিয়াদের পরবর্তী ইমামদের সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে।

    ৪. হযরত আলী রা. সম্পর্কে বিশ্বাস : শিয়াদের বিশ্বাস, হযরত আলী রা.-এর মর্তবা সকল নবী ও রাসূল থেকেও অধিক।

    ৫. হযরত হোসাইন রা. সম্পর্কে বিশ্বাস : শিয়াদের বিশ্বাস অনুযায়ী, হযরত হোসাইন রা.-এর কবর যিয়ারত করলে ওই ব্যক্তির পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। হযরত হোসাইন রা.-এর কবর যিয়ারত করা হজ্বের সময় ওকুফে আরাফার চেয়েও ফযীলতপূর্ণ। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী কারবালা মক্কা থেকেও উত্তম স্থান।

    ৬. হযরত আয়েশা রা. ও উম্মুল মুমিনীনগণ প্রসঙ্গ : শিয়ারা বিশ্বাস করে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণ বিশেষত হযরত আয়েশা রা. ও হাফসা রা. ইসলাম ও আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তাদের ইমাম মাহদী এসে হযরত আয়েশা রা-এর বিরুদ্ধে হদ কায়েম করবেন।

    ৭. সাহাবায়ে কেরাম প্রসঙ্গ : শিয়া আলেমগণের মতে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর তাঁর সাহাবীদের অল্প কয়েকজন ছাড়া বাকি সকলেই মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলেন। হযরত আলী রা.-কে প্রথমেই সরাসরি খলীফা না বানিয়ে হযরত আবু বকর রা. ও হযরত উমর রা.-কে খলীফা বানানো ও তাঁদের মান্য করায় বেশির ভাগ সাহাবী ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে গেছেন।

    ৮. মাহদী প্রসঙ্গ : শিয়ারা একজন ইমাম মাহদীকে বিশ্বাস করে। তার নাম মুহাম্মাদ ইবনুল হোসাইন আসকারী। শিয়াদের ১২তম ইমাম। তারা তাকে আল ‘হুজ্জাহ’ ও ‘আল কায়েম’ বলেও ডাকে। তাদের বিশ্বাস হচ্ছে মুহাম্মাদ ইবনুল হোসাইন আল আসকারীর জন্ম ২৫৬ হিজরীতে। এরপর তিনি ২৬৫ হিজরীতে একটি গুহায় আত্মগোপন করেন। শেষ যামানায় তিনি সেই গুহা থেকে বের হয়ে এসে শিয়াদের সহযোগিতা করবেন। শিয়াদের বিরুদ্ধে যত দল ও গোষ্ঠী আছে সবার ওপর প্রতিশোধ নেবেন। উল্লেখ্য যে শিয়াদের কথিত ইমাম মাহদীর সাথে মুসলমানরা যে অনাগত মাহদীর প্রতি বিশ্বাস রাখেন- তার কোনো মিল নেই।

    ৯. তাক্বিয়্যা প্রসঙ্গ : শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাসগুলোর একটি হচ্ছে তাক্বিয়্যা। এই তাক্বিয়্যা দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য থাকে, ধর্মীয় স্বার্থে কোনো কিছুকে অন্যদের থেকে গোপন করা এবং মিথ্যা কথা বলা। মিথ্যা পরিচয় দেওয়া। এ ভিত্তিতেই তারা তাদের অনেক কিছু অন্যদের থেকে, মুসলমানদের থেকে এবং তাদেরও সাধারণ স্তরের অনুসারীদের থেকে আড়াল করে রাখে।

    উপরে খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে শিয়াদের আকীদা-বিশ্বাসের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করা হলো। শিয়াদের ধর্মীয় মৌলিক কিতাব উসূলুল কাফী ও তাদের বড় বড় আলেমদের লিখিত গ্রন্থাবলিতে এ সমস্ত আকীদা-বিশ্বাসের কথা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ রয়েছে। উপরোক্ত বিষয়গুলো দেখলেই যে কোনো মুসলমানের পক্ষে শিয়াদের বিশ্বাসগত ও ধর্মীয় অবস্থান সম্পর্কে বুঝতে তেমন কিছু বাকি থাকবে না। এাখানে প্রসঙ্গত: আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা দরকার তা হচ্ছে, আমাদের গণমাধ্যমগুলো শিয়াদের ধর্মীয়স্থানকে ‘মসজিদ’বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। অথচ শিয়ারা নিজেরাই এ নাম ব্যবহার না করে তাদের ইবাদতের জায়গাকে ‘ইমাম বারেগাহ’(এ দেশে বলে ইমাম বাড়া) বলে থাকে।

    আমাদের করণীয়

    মূল আলোচনার তৃতীয় প্রসঙ্গটি হলো এ জাতীয় হামলার ব্যাপারে করণীয় বিষয় সাব্যস্ত করা। এ ব্যাপারে প্রথমেই জনসাধারণ পর্যায়ের মুসলমানদের করণীয় নিয়ে কথা বলা যায়। সাধারণ মুসলমানদের জন্য কয়েকটি করণীয় হতে পারে। (ক) নিজেদের ঈমান-আকীদা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জন করা এবং সচেতন হওয়া। (খ) আলেম-উলামাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলা। এবং দ্বীনী বিষয়ে আলেমদের পথনির্দেশনা অনুসরণ করা। (গ) ইসলামের নামে কেউ নতুন কোনো বিশ্বাস, ধারণা কিংবা কর্মপন্থার দাওয়াত নিয়ে আসলেই তাতে বিভ্রান্ত না হওয়া। এর ভালোমন্দ যাচাইয়ে হক্কানী আলেম সমাজের সাহায্য গ্রহণ করা। (ঘ) কোনো বিভ্রান্ত ও পথচ্যুত গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোনো রকম উস্কানিমূলক আচরণ না করা। এবং কেউ কোনো উস্কানি দিলেও কোনোভাবেই আইন হাতে তুলে নেওয়ার মতো আচরণ না করা।

    এ ব্যাপারে আলেমদের কাজ মূলত আলেমসমাজ করে যাচ্ছেন। সেটি হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে দালিলিকভাবে আলোচনা-লেখা ওয়াজ-নসীহতের মাধ্যমে বিভ্রান্ত গোষ্ঠীগুলো সম্পর্কে বোঝানোর মধ্য দিয়ে মুসলমান জনসাধরণকে তাদের ঈমান-আকীদা হেফাযতে সাহায্য করা। নতুন প্রেক্ষাপটে অবশ্যই এ কাজগুলো করে যেতে হবে। সঙ্গে আরো সতর্কতা ও মনোযোগ রাখতে হবে। মূলত এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্বটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে হক্বের বিকাশ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় এবং কারো জানমালেরও যেন ক্ষতি না হয়- রাষ্ট্রকে সেসব দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। সে জন্যই রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসেবে যে কয়টি বিষয় উল্লেখ করা যায় তা হচ্ছে, (ক) সকলের জানমালের হেফাযতের সুব্যবস্থা করা। (খ) এ-সমস্ত হামলার সাথে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি এর পেছনে অন্য ষড়যন্ত্র থাকলে তাও খতিয়ে দেখা। বিশেষত কোনো বিভ্রান্ত উপদল ও গোষ্ঠী তাদের বিভিন্ন প্রলোভন ও প্রচারণার মাধ্যমে মুসলমানদের মৌলিক ও সঠিক একমাত্র জামাত-আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত-এর সাধারণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করছে কি না- সেটাও সতর্ক পর্যবেক্ষণে রাখা এবং সচেতন থাকা। তাদের কার্যক্রমকে তাদের সম্প্রদায় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে বাধ্য করা। (গ) কাদিয়ানী ও শিয়াদের উপাসনালয়ে এসব জীবনঘাতী হামলার পেছনে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না সেটা দ্রæত বের করার চেষ্টা করা। এসব ঘটনায় ঢালাওভাবে মুসলমানদের কোনো গোষ্ঠীকে কেবল আকীদাগত ও ধর্মীয় বিরোধের কারণে অভিযুক্ত না করা উচিত। অস্পষ্ট ধারণা ও অনুমানের ভিত্তিতে দ্বীনদার ধর্মপ্রাণ শ্রেণিকে অকারণ পেরেশান ও হয়রানি না করা। কারণ এই হয়রানির ঘটনায় উত্তেজনা-অস্থিরতা নতুন মাত্রা লাভ করে। এতে সমস্যার কোনো সমাধান তো হয়ই না, উল্টো অপরাধী ও ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বিঘেœ তাদের কাজ করে যেতে পারে।

    সবশেষে আমরা আবারো বলব, শিয়া-কাদিয়ানীদের সাথে আক্বীদা-বিশ্বাসের জায়গায় সাধারণ মুসলমানের কোনো সম্পর্ক নেই। ধর্মীয়ভাবে একাত্ম হয়ে তাদের প্রতি মমত্ব পোষণ ও প্রকাশের সুযোগ নেই। কিন্তু তাদের ধর্মীয় স্থানসহ কোনো কিছুর ওপর হামলা ও আঘাতের বিষয়টি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। তাদেরকে মারা, আঘাত করা সব বিবেচনাতেই অপরাধ ও শাস্তিযোগ্য। আবার তাদেরকে সত্যের ওপর আছে মনে করাও ঈমানের জন্য ক্ষতিকর। দাওয়াতী ও ইসলাহী পদ্ধতিতে তাদের বিচ্যুতির বিষয়ে সতর্কীকরণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কোনোভাবেই এসব বিভ্রান্তির সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করার অবকাশ কোনো মুসলমানের নেই।

    বিশ্বে সুখী মানুষের সংখ্যা কমেছে

    মাত্র এক বছরের ব্যবধানে বিশ্বে সুখী মানুষ কমেছে চার শতাংশ। ২০১৪ সালে যেখানে ৭০ শতাংশ মানুষ নিজেকে সুখী বলে দাবি করেছেন সেখানে তার এক বছর পর ৬৬ শতাংশ মানুষ সুখী বলে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন। তবে সুখের এই আকালের মধ্যেও কলম্বিয়ার মানুষদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ সুখী জীবন যাপন করেন। আর বাংলাদেশিদের মধ্যে সুখী ৬২ শতাংশ।
    কলম্বিয়ার পরই ৮২ শতাংশ সুখী মানুষ নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফিজি ও সৌদি আরব।
    সুইজারল্যান্ডের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইন্ডিপেনডেন্ট নেটওয়ার্ক অব মার্কেট রিসার্চ এবং যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গালাপ ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী মানুষদের মধ্যে এই সুখ মাপার সমীক্ষাটি চালিয়েছেন।
    যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে সুখী মানুষ সবচেয়ে কম। সেখানে সুখী মানুষের হার হিসাব করলে হয় ঋণাত্মকে ১২ শতাংশ। তবে পশ্চিমা বিশ্বের কোনো দেশই এই তালিকার শীর্ষ ১০ এর মধ্যে যায়গা করে নিতে পারেনি।

    বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

    আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানে দীর্ঘ কারাবাস শেষে সদ্য স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু।

    বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু নিজেই তার এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন, ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই দিনটি অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন-‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়ন শুরু করে। লাখ লাখ নিরীহ বাঙালি জনগণের ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা চালায় তারা। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার মাধ্যমে তিনি সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ লড়াই শুরু করার ডাক দেন।
    স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালী কারাগারে আটক রাখেন। এ কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে কাটে বঙ্গবন্ধুর নয় মাস ১৪ দিনের কঠিন কারাজীবন। কারাগারে বন্দী করা হলেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই চলে মুক্তিযুদ্ধ। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বিজয়ের লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দেয়। ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডন-দিল্লী হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। সেদিন বাংলাদেশে ছিল এক উত্সবের আমেজ। পুরো দেশের মানুষই যেন জড়ো হয়েছিল তেজগাঁওস্থ ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায়। বঙ্গবন্ধু বিজয়ের বেশে নামলেন বিমান থেকে। পা রাখলেন লাখো শহীদের রক্তস্নাত স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে। গোটা জাতি সেদিন হর্ষধ্বনি দিয়ে তেজোদীপ্ত ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে তাদের প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানায়।
    কর্মসূচি: দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং আগামীকাল ১১ জানুয়ারি সোমবার দুপুর আড়াইটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    বিশ্ব ইজতেমায় মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাত

    মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৫১তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা সা’দ মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর আগে তিনি হেদয়াতি বয়ান করেন। আরবি ও উর্দু ভাষায় মোনাজাত করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে হাত তুলেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বিপদ-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন তারা। এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে তুরাগ তীর মুখরিত করে দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় আকুতি জানান মুসল্লিরা। এদিকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আজ ভোর থেকেই শীত উপেক্ষা করে লাখো মুসল্লি মহাসড়কে পায়ে হেঁটে ও ট্রেনে করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসে সমবেত হয়েছেন। বিপুল সংখ্যক নারী মুসল্লিরাও মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমার আশেপাশের সড়কে সকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছেন। বিশ্ব ইজতেমায় আসা এক বিদেশীসহ আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে গত রাতে। এর আগে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। এক ব্রিফিং এ গাজীপুরে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ জানান, মুসল্লিদের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে আজ দ্বিগুণ সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা মুসল্লিদের ঘরে ফেরা পর্যন্ত এখানে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য বিনা ভাড়ায় প্রায় অর্ধশত শাটল বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    রাশিয়ার আকাশে তিন সূর্য!

    রাশিয়ার আকাশে দেখা গেছে তিন সূর্য! বিস্ময়কর হলেও এমনি চিত্র উপভোগ করেছেন সেন্ট পিটার্সবার্গবাসী। আর বিরল এই দৃশ্য ধরা পড়েছে স্থানীয় এক ব্যক্তির ক্যামেরায়।
    বায়ুমণ্ডলে জমে থাকা শিশির কণাগুলো বরফে জমাট বেধে থাকায় সেগুলোতে সূর্যের আলোর প্রতিফলন হলে দু’দিকে আরো দু’টি সূর্যের ছবি ভেসে ওঠে। ফ্যান্টম সান্স বা মক সান্স নামের পরিচিত এ অবস্থার বৈজ্ঞানিক নাম পারহেলিয়া।
    তবে সূর্যের এই বিরল দৃশ্য শীতকালের হিমেল প্রবাহ ছাড়া দেখা যায় না। সেন্ট পিটার্সবার্গে সম্প্রতি প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

    আইপিএস কোষের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শুরু করছে জাপানি টিম

    জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টিম হৃদরোগের চিকিৎসায় আইপিএস কোষের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে কিনিক্যাল টেস্টের পরিকল্পনা করেছেন। ক্লিনিক্যাল টেস্ট হলো মানুষের উপর কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা।

    গবেষক দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ইয়োশিকি সাওয়া।

    গবেষকদের লক্ষ্য আইপিএস কোষ দিয়ে হৃৎপিন্ডের পেশীর পাত তৈরি করা যেটি পরে তীব্র হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর হৃদপিন্ডে প্রতিস্থাপিত করা হবে।

    গবেষক দলটি সরকারের কাছে পরীক্ষা শুরু করার জন্যে এপ্রিল মাসের মধ্যে আবেদন করবে। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে তারা প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার শুরু করতে চান।

    কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্থান থেকে গবেষক দল প্রত্যাখ্যান-প্রতিরোধী বিশেষ ধরনের আইপিএস কোষ সংগ্রহ করেছেন।

    তাদের আবেদন অনুমোদিত হলে গবেষক দলটি কয়েক জন রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করবেন। তারা আশা করছেন আইপিএস থেকে প্রস্তুতকৃত পেশীর পাত আগামী ৪ বছরের মধ্যেই বাস্তব ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠবে।

    তারা প্রাণীর উপর পেশী প্রতিস্থাপনের পরীক্ষা চালিয়ে ইতিমধ্যেই কার্ডিয়াক কার্যকারিতাকে উন্নত করার ঘটনা দেখতে পেয়েছেন।

    গবেষকরা বলছেন তারা নিরাপত্তা ও পেশী পাতের কার্যকারীরতার উপর তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রাখবেন।

    দুই বিদেশি দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার করছে টোকিও পুলিশ

    টোকিও পুলিশ সৌদি আরব ও ইরান দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। দেশ দু’টি সম্প্রতি তীব্র কুটনৈতিক বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে।

    পুলিশ বলেছে তারা টোকিও’র মিনাতো ওয়ার্ডে অবস্থিত দু’টি দেশের দূতাবাসে টহল বাড়িয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা কোম্পানি গুলো তাদের স্বাভাবিক সেবা অব্যাহত রাখবে।

    এছাড়া পুলিশ টোকিও’র সৌদি আরব’র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ভাষা স্কুল সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।

    জামায়াতের হরতাল বৃহস্পতিবার

    মতিউর রহমান নিজামীর আপিলের রায়ে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
    এ রায়কে ‘নিজামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে হরতাল ডেকেছে জামায়াত।
    বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
    বিবৃতিতে বলা হয়, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে ঠাণ্ডা মাথায় সরকারের নির্ধারিত ছকে হত্যা করে সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে এক ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চায়। সরকারের জুলুম, নির্যাতন ও মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আমরা আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
    এতে আরো বলা হয়, ‘ঘোষিত কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা এবং কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ ও পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তথা দেশের আপামর জনতার প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।