Posted by admin on November 11
Posted in Uncategorized
পৃথিবীর আছে দুই গুপ্ত চাঁদ
এতদিন মানুষ জানতো পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহটির নাম ‘চাঁদ’। বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, চাঁদ সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। হিসেব মতে, চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ মাত্র। এতদিন চাঁদ সম্পর্কে মানুষের জানা এসব তথ্যের বাইরে আরো দুটি গুপ্ত চাঁদের কথা জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা! ১৯৬০ সালে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ব্যাপক ধুলো-মেঘের যে বলয়টির সন্ধান পেয়েছিলেন এখন সেটিকেই বলছেন পৃথিবীর অন্য প্রাকৃতিক উপগ্রহ বা চাঁদ। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদ ছাড়াও পৃথিবীর আছে আরো দুটি গুপ্ত চাঁদ।
দীর্ঘদিনের জল্পনা আর বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, চাঁদের বাইরে পৃথিবীর আরো দুটি গুপ্ত চাঁদ আছে। পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা এই গুপ্ত চাঁদগুলো পুরোপুরি ধুলো-মেঘের তৈরি। এই চাঁদগুলোও পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে গড়ে চার লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পৃথিবী থেকে ‘পুরনো চাঁদের’ দূরত্বও একই রকম, ৩ লাখ ৮৪ হাজার কিলোমিটার প্রায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অনেক আগে থেকেই ধারণা করতেন যে, পৃথিবীর কক্ষপথে হয়তো চাঁদের মতো আরো প্রাকৃতিক উপগ্রহ থাকতে পারে। কিন্তু ১৯৬১ সালে পোলিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী কাজিমিয়ার্জ করডেলস্কি সেই ধারণাকে আরো জোরালো করেন।
হাঙ্গেরির ইয়োতভোস লোরন্ড ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী জুটিত স্লিজ বালোগ বলেন, প্রতিটা করডেলস্কি ধুলার মেঘবলয় যাকে চাঁদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে, তারা ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি কৌনিক অবস্থান তৈরি করে। এই গুপ্ত চাঁদে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে খুবই অনুজ্জ্বল আলোকচ্ছটা প্রকাশ করে। ছায়াপথের আলোতে এই ধুলো-মেঘের চাঁদকে খুঁজে পাওয়াটা কষ্টকর। এই কারণে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ক্যামেরায় বিশেষ এক ধরনের পোলারাইজড ফিল্টার ব্যবহার করছেন। চাঁদ সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের সর্বশেষ এই তথ্য যদি পুরোপুরি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে ভবিষ্যতে হয়তো এই ধরনের আরো অনেক চাঁদের সন্ধান মিলবে পৃথিবীর কক্ষপথে।-ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক