• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • প্রধানমন্ত্রীর ফেসবুক আইডি নেই

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুক এবং টুইটারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদের কোনো অফিসিয়াল বা ব্যক্তিগত আইডি নেই। শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস  সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নামে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও সতর্ক করেছে আওয়ামী লীগ।
    বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের একটি ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ ও একটি ভেরিফাইড টুইটার আইডি (www.twitter.com/sajeebwayed) এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের একটি ফেসবুক আইডি (www.facebook.com/radwan.siddiq) চালু আছে, যা তারা নিজেরাই পরিচালনা করে থাকেন।
    এছাড়া শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদের নামে যেসব আইডি বা পেইজ আছে তাদের কোন অনুমোদন নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। ফেসবুকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইতিমধ্যেই সায়মা হোসেন ওয়াজেদের নামে একটি আইডি ভেরিফাই করার চেষ্টা করা হয়েছে, যা এখন ব্লক করে রেখেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এই ধরনের অননুমোদিত আইডি বা পেইজ থেকে সতর্ক থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কোন সদস্য যদি কোন আইডি বা পেইজ খুলে তাহলে তা গণমাধ্যমে জানানো হবে।।
    ‘আল্লাহর মেহমানরা’ মিনার পথে
    নজিরবিহীন নিরাপত্তা
    প্রাণোৎসারিত উদ্বেল-আবেগ ঘিরে রেখেছে তাদের। দেহ মনে তাদের অপার্থিব রোমাঞ্চ, কণ্ঠে তালবিয়া। কেউ গাড়িতে; কেউ চলছেন পদব্রজে। গন্তব্য-মিনা। রচিত হয়েছে এক অভাবনীয়; অসামান্য দৃশ্যপট। পবিত্র মক্কা হতে মিনা’র পথ লাখো মানুষের পদভারে মুখরিত। আকাশ বাতাস মন্দ্রিত করছে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হা’মদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়ালমুলক, লা-শারিকা লাক।’ (আমি হাজির। ও আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই; সব প্রশংসা আর নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার, তোমার কোনো অংশীদার নেই।) এই তাঁবু নগরী মিনা থেকেই সূচনা হবে মুসলমানদের অন্যতম ফরজ ইবাদত-পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।
    নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবী হতে আগত ২০ লাখের বেশি মুসলমান মসজিদুল হারামে (কাবা) শুক্রবার জোহরের সালাত আদায় করেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর হজযাত্রীরা নিজ নিজ আবাস এবং মসজিদুল হারাম থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনা’র উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজ পালনের সুচনা হয়, যা শেষ হবে ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর মেরে। অন্যান্য হাজিদের মতো বাংলাদেশের ১ লাখ ২৬ হাজার হাজিও রওনা হয়েছেন মিনার পথে। আগামীকাল ফজরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত মিনার পথে মুমিন মুসলমান বান্দাদের এ কাফেলা চলবে। মিনায় পৌঁছে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়সহ ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন তারা।
    ৯ জিলহজ মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য প্রত্যূষে তারা যাবেন মহানবীর বিদায় হজের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত আরাফাত ময়দানে। সেলাইবিহীন শুভ্র এক কাপড়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন। মূলত: ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এদিনের নাম-ইয়ামুল আরাফা। সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন।
    ১০ জিলহজ্ব মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে (জামারা) পাথর নিক্ষেপ, আল্ল­াহর উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি, মাথা ন্যাড়া করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত। অত:পর মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
    এদিকে মিনার মাঠে অসুস্থ বাংলাদেশি হাজিদের চিকিত্সা দিতে ধর্মমন্ত্রনালয়ের ব্যবস্থাপনায় ৪০ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
    সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাজিদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য মক্কায় পর্যাপ্ত জনবল, ওষুধ ও যন্ত্রপাতিসহ কয়েকটি হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া মিনা,আরফাতের ময়দান ও মুজদালিফায অনেকগুলো হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
    এদিকে আবর নিউজ গতকাল জানিয়েছে, হজযাত্রীদের সুচারুভাবে হজ পালনের সুবিধার জন্য কয়েকটি সৌদি মন্ত্রণালয় সমন্বয় সাধন করছে। হজ্জ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের সাহায্য করার জন্য একটি বিশেষ সেল স্থাপন করেছে। স্থল সামরিক বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল ইব্রাহীম আল আসিক জানান,সৌদি রাজকীয় বাহিনীর কড়া নজরদারী বাড়ানো হয়েছেন।
    পাসপোর্ট দফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সুলাইমান বিন আব্দুল আজিজ আল-ইয়াহিয়া গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সারাবিশ্ব থেকে এপর্যন্ত ১৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬২৯ জন হজযাত্রীকে আমরা সৌদি আরবে স্বাগত জানিয়েছি। তারা এসছেন আমাদের আকাশ, স্থল এবং সমুদ্র পথে।