• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছর হত্যা প্রমাণে মৃত্যুদন্ড

    সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের বিধান রেখে বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
    নতুন আইন অনুযায়ী, বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে পকউ গুাংতর আহত বা নিহত হলে দন্ডবিধির ৩০৪ (খ) ধারায় মামলা দায়ের হবে। সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড দেওয়া হবে। তবে তদন্তে যদি দেখা যায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে চালক বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন, তাহলে দন্ডবিধি ৩০২ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। অর্থাৎ সাজা হবে মৃত্যুদন্ড। তবে এটা তদন্ত সাপেক্ষে এবং তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধারা নির্ধারণ করবে। এসব বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর খসড়া চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
    গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে সম্পূরক এজেন্ডা হিসেবে এ অইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এমন এক সময়ে সরকার এ আইনের খসড়া অনুমোদন করল, যখন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য দায়ী চালকের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন করছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
    বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, মোটরযান দুর্ঘটনায় আহত বা প্রাণহানি হলে পেনাল কোড অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, পেনাল কোডে যা কিছু থাকুক না কেন অবহেলাজনিত কারণে গুরুতরভাবে আহত বা প্রাণহানি হলে পাঁচ বছরের কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চালকদের কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের পাস হতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কেউ গাড়ি চালাতে পারবেন না। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য বয়স হতে হবে ১৮ বছর। পেশাদার হলে বয়স হতে হবে ২১ বছর। প্রস্তাবিত আইনে চালকের ভুলের জন্য ১২টি পয়েন্ট রাখা হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে সঙ্গে এসব পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট এভাবে শূন্য হয়ে গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।
    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইনে যানবাহনের চালক, হেলপারসহ পরিবহনসংশ্বিলষ্ট শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা হবে। এটি গেজেট বা প্রজ্ঞাপনে নেই। শ্রম আইন ২০০৬-এর সঙ্গে মিল করে কর্মঘণ্টা সরকার ঠিক করবে। আইনের নতুন ধারায় মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সংখ্যা, সীমানা নির্ধারণ, মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ, গতিসীমা, শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
    তিনি বলেন, নতুন আইনে দুর্ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সহায়তা তহবিল থাকবে। সেটা পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড থাকবে। সরকার, চালক সমিতি, মালিক সমিতি মিলে এই বোর্ড গঠন করা হবে। নতুন আইনে বেশকিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে : গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না, সিটবেল্ট বাঁধতে হবে, নারীদের আসনে অন্য কেউ বসতে পারবে না। ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ সংশোধন, পরিমার্জন ও সংশোধন করে ২০১৩ সালে সরকার নতুন আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়।
    মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, নতুন আইনানুযায়ী, গাড়ি চালানোর সময় কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ডের বিধান রয়েছে আইনে। সড়কের ফুটপাতের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের মোটরযান চালাচল করতে পারবে না। যদি করে, তবে তিন মাসের কারাদন্ড বা ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
    তিনি বলেন, আগে গাড়ি চালকদের লেখাপড়ার বিষয়ে কিছু না থাকলেও নতুন আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। কন্ডাক্টর বা চালকের সহযোগীকে কমপক্ষে লেখা ও পড়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। যদি কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায়, তবে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। কেউ এই অপরাধ করলে, তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে। এক্ষেত্রে বর্তমানে ৩ মাসের কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। চালকের সহকারীর লাইসেন্স লাগবে। কন্ডাক্টারের লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের কারাদন্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করলে আগে শাস্তি ছিল সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা। আইনে মূল শাস্তি কারাদন্ড আগের মতোই আছে, জরিমানা ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।
    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ফিটনেস না থাকা মোটরযান চালালে আগে শাস্তি সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদন্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা রয়েছে। সেখানে এখন শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা। এ শাস্তি পাবে মূলত গাড়ির মালিক। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দন্ডবিধিতে যে শাস্তি রয়েছে, সেই শাস্তি প্রযোজ্য হবে।
    সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্তে দুর্ঘটনা যদি উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে প্রমাণিত হলে তা দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় (হত্যা, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড) যাবে। আর চালকের কারণে প্রাণহানি হয়ে থাকলে ৩০৪ (বি) ধারা অনুযায়ী সাজা দেয়া হবে। তদন্ত কর্মকর্তাই ঠিক করবেন- অপরাধ কোন ধারায় যাবে।
    গত বছরের ২৭ মার্চ নতুন আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আইন মন্ত্রণালয় থেকে সড়ক পরিবহনে পাঠানো আইনটির খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা। এখন আইনটি পাস করতে সংসদে তোলা হবে।

    জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো আজ ঢাকায় আসছেন

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো। এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু-সহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মিয়ানমার সফর শেষে বাংলাদেশে আসছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলবেন তারা।
    সূত্র জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী গত ১৩ থেকে ১৬ মে টোকিও সফর করেন। সে সময় জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। সে অনুযায়ী  এ সফর হচ্ছে। এর আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো ঢাকায় এসেছিলেন। সে সময় জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা দেবে দেশটি। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য জাপান রকার মানবিক সহায়তা হিসেবে ২ কোটি ৩৬ লাখ ডলারও দিয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ফেরাতে জাপান বাংলাদেশের পাশে রয়েছে বলেও জানিয়েছে। তার সফরের আগে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
    কূটনৈতিক সূত্র জানায়, জাপান আগামী ২০২৫ সালের জন্য ওয়ার্ল্ড এক্সপোর আয়োজন করতে চায়। এ কারণে বাংলাদেশের সমর্থন পেতে চায় দেশটি। এছাড়া আগামী ২০২৩-২৪ মেয়াদে জাতিসংঘের  নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হতে চায় জাপান। এটা নিয়েও জাপান বাংলাদেশের সহযোগিতা ও সমর্থন চেয়ে আসছে। ঢাকা সফরের সময় জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
    বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী ও বিশ্বস্ত বন্ধু  জাপান। ঢাকা-টোকিওর মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্কও রয়েছে। জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও  জোরদার হবে বলে আশা করছে উভয়পক্ষ।
    এদিকে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড দুই দিনের সফরে বুধবার ঢাকা আসছেন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কমনওয়েলথভুক্ত তিন দেশ সফরের অংশ হিসেবে তিনি শ্রীলঙ্কা ও ব্রুনাই’তেও যাবেন। প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বাংলাদেশ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।