• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপান বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল

    গত রোববার ১২ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় টোকিওর আরাকাওয়া কু’র ওগু ফুরিআইকান এ। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী এই মাহফিলে সমবেত হন এবং ইফতারে অংশ নেন। ইফতারির পূর্বে ইসলামি বয়ান, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। ইফতার শেষে তারাবির নামাজের জন্যে কিছুটা তড়িঘড়ি করে সবাইকে রাতের খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।

    আয়োজনক একটি রাজনৈতিক দল হলেও অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মিডিয়ার প্রায় সকলকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। বিষয়টি অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। একজন ভিন্ন দলের প্রবাসী বললেন, “আমরা এখানে সবাই প্রবাসী -সেটাই আমাদের প্রধানতম পরিচয়। রক্তের সাথে সম্পর্কহীন প্রবাসীরা ২০,২৫ এমনকি ৩০ বছর ধরে বসবাস করছে। ধর্ম, রাজনৈতিক বিদ্বেষ ভিন্ন হলেও সম্পর্কটা আত্মিক। ইফতার একটি ধর্মীয় আয়োজন। -এখানে রাজনীতি বিবেচ্য নয়।

    ক’দিন আগেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিএনপি ঘরনার এক-দু’জনের উপস্থিতি ছিলো। জাপান প্রবাসী হিসেবে এটি একটি ব্যতিক্রম। দলীয় রাজনীতি ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের এই যে উদারতা জাপান প্রবাসীরা তার উজ্জ্ব্ল দৃষ্টান্ত।

    একই দিনে চীবা প্রিফেকচারের অনুষ্ঠানের কথা উঠলেই বলা হয় সময় স্বল্পতার জন্যে বোধ হয় এমনটি হয়েছে। তবে দু’একজনের কাছে ভিন্ন মতামত শোনা গেছে। উল্লেখ্য প্রতি শনিবার ও রোববার টোকিও ও তার আশেপাশের প্রতিতটি মসজিদেই ধর্মীয় ঐতিহ্য মতো ইফতার ও তারাবির আয়োজন চলছে। জাপান আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জাপানের আরেকটি অংশের দাবিদারও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলো।

    বিএনপি জাপান শাখার সদস্য ও কর্মীরা প্রচুর পরিশ্রম করে এই আয়োজনটি করেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা দলমত নির্বিশেষে ইফতারে শরীক হওয়ার জন্যে প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    Untitled Post

    Posted by admin on July 13
    Posted in Uncategorized 

    ইউ টার্নে সিরিজে ফিরলো বাংলাদেশ

    দ.আফ্রিকা ঃ ১৬২/১০ (৪৬.০ ওভারে) বাংলাদেশ ঃ ১৬৭/৩ (২৮.৪ ওভারে) ফল ঃ বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ীশামীম চৌধুরী :  সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ থেমেছে ১৬০-এ, দ্বিতীয় ম্যাচে দ.আফ্রিকাকে থামিয়েছে ১৬২ তে! প্রথম ম্যাচে ৫৩ বল হাতে রেখে সফরকারীদের ৮ উইকেটে জয় দেখেছে বাংলাদেশ দল, দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সফরকারীদের বিপক্ষে বদলার ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৭ উইকেটে, ১৩৪ বল হাতে রেখে! সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ে উইনিং শটটি ছিল রুশোর বাউন্ডারি, রুশোকে জবাব দিতে গতকাল  ইমরান তাহিরকে স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে মেরেছেন সৌম্য ছক্কা! একেই বলে ইউটার্ন! এই একটি ইউটার্নে ২০১৭’র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও যে নিশ্চিত করতে পেরেছে বাংলাদেশ। হোমে টানা ৪র্থ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আবহও হয়েছে তৈরিÑমঞ্চটা এখন চট্টগ্রামে, চোখ এখন ১৫ জুলাই বাংলাদেশের লাকি ভেন্যুতে। শাসন করা তাকেই মানায়, সোহাগ করে যে, বাংলা এই প্রবচনটি যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যÑ বিসিবি বস সেই কাজটিই করেছিলেন গত পরশু। অনুশীলনের চেয়েও শাসনটা তার কাছে ছিল জরুরি, ক্রিকেটারদের ছন্দে ফেরাতে তার সতর্কবার্তা টনিকের মতো করেছে কাজ। দ.আফ্রিকার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের ২ ম্যাচে হেলায় হেলায় হাতছাড়া করেছে ম্যাচ বাংলাদেশ দল, সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ দলকেই দেখেছে দর্শক। সেই ছন্নছাড়া দলকে ছন্দে ফিরিয়ে আনতে টিম ম্যানেজমেন্টের বাইরে পরামর্শকের ভূমিকায় টেকনিক্যাল কমিটিÑ বাংলাদেশের ক্রিকেটে চার মুরব্বী স্থানীয় ক্রিকেট ব্যক্তির পরামর্শে একাদশে পরিবর্তনকে যদি কেউ হস্তক্ষেপ বলে গন্য করে, তাহলে এমন হস্তক্ষেপও দলের জন্য ভাল। বিসিবি সভাপতির সতর্কবার্তায় আড়মোড়া ভেঙে অন্য এক বাংলাদেশকে ঠিকই দেখেছে দর্শক ম্যাচের শুরু থেকে। ফিল্ডিংয়ে ফিরে পেয়েছে সুনাম। নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের উপর হস্তক্ষেপ করে তিন পেস বোলার তত্ত্বে ফিরিয়ে এনে মুস্তাফিজকে দিয়েছে সাহস। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে বিশ্বরেকর্ডের (৩ ম্যাচের সিরিজে ১৩ উইকেট)পর দ.আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে উইকেটহীন কাটানোর কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়নি। বাংলাদেশকে সিরিজে ফেরাতে কাটার মাস্টার ফিরেছেন ছন্দে (৩/৩৮)। তার প্রথম স্পেলে ডি কক ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বাধ্যতামূলক পাওয়ার প্লেতে রানের লাগাম (৩৮/১) টেনে ধরতে পেরেছে বাংলাদেশ সেখানেই। একাদশে ফেরা রুবেল নিজের দ্বিতীয় ওভারে হাশিম আমলার অফ স্ট্যাম্প শূন্যে পাঁচ চক্করে উড়িয়ে প্রোটিয়াদের মনোবলে দিয়েছেন ধাক্কা। সেই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি তারা। ইনিংসের মাঝপথে প্রোটিয়াদের স্বল্প স্কোরে বেঁধে ফেলতে নাসির, মাহামুদুল্লাহরা অধিনায়কের নির্দেশনা পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে। দ্বিতীয় জুটির ২৯ ছাড়া প্রোটিয়াদের উল্লেখ করার মতো পার্টনারশিপ শেষ ২টিতে, ২২ করে।  বোলার নাসিরে রূপান্তর হওয়া ছেলেটি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন গতকাল (৮-০-২৬-৩)। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন উইকেটের ইনিংসের তিনটিই ব্রেক থ্রু। ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই সফল নাসির। প্রকৃত অর্থে অফ স্পিন যাকে বলে, সেই ডেলিভারি দিয়েই সফল তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের ২টি এবং ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য তিন ইনিংস (৩১, ১৯ ও ৪৫) শেষে রুশো থেমেছেন (৪)। তাকে থামিয়েছেন নাসির দারুণ এক অফ স্পিনে, অফ স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়ে! টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ম্যাচ উইনিং নট আউট ৭৯ এবং ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের স্বস্তির জয়ে অবদান রাখা (৬৩ নট আউট) ডু প্লেসিসকে (৪১) মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে আসতে বাধ্য করেছেন নাসির । প্রথম স্পেলে ৭-০-২৩-২! ৪২ বলের মধ্যে ২৩টিই ডট। দ্বিতীয় স্পেলেও বিফল হননি। ১-০-৫-১, এই স্পেলে তার শিকার অ্যাবট।৪ বছর আগে চট্টগ্রামে তার ২-০-৩-২, এমন বোলিংয়ে হতভম্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬১তে অল আউট করে হেসেছে বাংলাদেশ। ৪ বছর পর তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে (৭-০-২৭-৩)  ৮ বছর আগে গায়ানার আবহ ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২শ’র নিচে স্কোর এটাই প্রথম দ.আফ্রিকার। এমন একটি দিনে মুস্তাফিজুরের ১০-১-৩৮-৩, রুবেলের ৯-২-৩৪-২ অবদানও কিন্তু কম নয়। জানেন এমন এক ম্যাচে ২৭০ বলের মধ্যে ১৭৫টিই ডট! দ.আফ্রিকাকে ১৬২ তে ফিরিয়েও কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য ছিল শংকা। ২শ’র নিচে প্রতিপক্ষদের গুটিয়ে ফেলার পরও অতীতে ৭ ম্যাচ হারের অতীত আছে বাংলাদেশের। যার মধ্যে গতবছর এই মিরপুরে শ্রীলংকাকে ১৮০ তে বেঁধে ১৩ রানে এবং ভারতকে ১০৫ রানে অল আউট করে ৪৭ রানে হার দুঃসহ স্মৃতি হয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠেছে কিছুটা সময়। অভিষেকে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেটে বিশ্বরেকর্ড করা রাবাদাকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে তামিমের প্লেড অন (৫) এবং সেই রাবাদার দ্বিতীয় ওভারে শর্ট বলে লিটনের বোল্ড আউটে (১৭) স্কোর শিটের চেহারা যখন ২৪/২, তখন শংকা পিছু নেয়াই যে স্বাভাবিক। তবে রাবাদাকে ফ্লিক শটে ওয়েলকাম বাউন্ডারিতে মাহামুদুল্লাহর ছন্দে ফেরা ইনিংসে পার্টনার সৌম্য’র বড় ইনিংস খেলার সুতীব্র বাসনায় তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩৮ বলে ১৩৫ রানের পার্টনারশিপে জয়কে উৎসবমুখর করতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। ক্যারিয়ারের ৩য় ফিফটিকে সৌম্য টেনে নিয়েছেন নট আউট ৮৮ পর্যন্ত। ১৩টি চার এবং ১টি ছক্কার মধ্যে মরিস, ডুমিনি এবং ইমরান তাহিরকে পর পর ২ বলে ২টি করে বাউন্ডারি আছে তার। আছে মরিসের নো বলে প্রাপ্ত ফ্রি হিটকে ওয়ান বাউন্স বাউন্ডারি শট! ১২১ তম ওয়ানডে ম্যাচে ১৩তম ফিফটিটি মাহামুদুল্লাহ উদযাপন করেছেন অ্যাবটের শর্ট বলে বাউন্ডারিতে। পরের বলে শর্ট মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে থেমেছেন রিয়াদ (৫০), তখন জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে বাংলাদেশ। প্যাডটা খুলতে হয়নি, জয়টা উদযাপনে অপেক্ষা মাত্র ৩ মিনিট। ৮ বছর আগে গায়ানা ফিরে পাওয়া জয়টির মহাত্ম অনেক। কারণ, ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে সেরা দলগুলোর মধ্যে ১৩৪ বল হাতে রেখে এমন জয়কে যে উপরেই রাখতে হচ্ছে।

    জাপান জুড়ে অব্যাহত প্রচন্ড গরমঃ সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বানঃ বিভিন্ন স্থানে মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত

    জাপানে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রচন্ড গরম অব্যাহত রয়েছে। অনেক স্থানে মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্থানে রোববার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। পশ্চিম হোক্কাইদো থেকে শুরু করে জাপান সাগর পর্যন্ত গরমের দাবদাহ চলছে।

    জাপানের আবহাওয়া বিভাগ সকলকে হিটস্ট্রোক থেকে সতর্ক থাকার উপদেশ দিয়েছে। তাইফুন ৯ এর প্রভাবে ব্যাপক ভাবে উচ্চচাপের বায়পূর্ণ অঞ্চল হতে ঘূর্ণায়মান বাতাসের প্রবাহ উত্তর এবং পূর্ব জাপানে বিস্তৃত হয়েছে। এর ফলে তোকাচি অঞ্চল এবং পূর্ব হোক্কাইদো ও জাপান সাগর সংলংগ্ন হনশু দ্বীপে তাপমাত্রা ব্যপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

    রোববার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো হোক্কাইদোর আশোরো এবং ওবিহিরো অঞ্চলে ৩৬.৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। গুনমা প্রিফেকচারের তাতেবাইয়াশি’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৬, ফুকুই শহরে ৩৫.৫, হিয়োগো প্রিফেকচারের তোইয়োওকা’তে ৩৫.১, ফুকুশিমা ৩৪ নাগোয়া শহরে ৩৩ ডিগ্রি ছিলো। রাজধানী টোকিও’র কেন্দ্রস্থলে তাপমাত্রা ছিলো ৩২ ডিগ্রি।

    জাপানের আবহাওয়া বিভাগ সকলকে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্যে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দিয়েছে, সব সময় ঠান্ডা স্থানে অবস্থান করা, প্রচুর পানি বা তারল গ্রহণ করে নিজেকে আর্দ্র রাখার উপদেশ দিয়েছে।

    এদিকে তাইফুন ৯ এর প্রভাবে ওকিনাওয়ার দক্ষিণ থেকে প্রবাহিত আর্দ্র উষ্ণ বাতাস চুগোকু-শিকোকু অঞ্চলে এসে অস্থিতিশীল বায়ুমন্ডলীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ফলে সে সব অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সোমবারও এ সকল স্থানে অনুরূপ অস্থিতিশীল বজায় থাকতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সকল স্থানে প্রবল বর্ষণ থেকে ভূমিধস, বন্যা ও নদী প্লাবন দেখা দিতে পারে।

    বিদায় রমযান, বিদায় ঈদ : কী পেলাম, কী হারালাম

    রমযান মাস পুরোটাই কল্যাণ ও বরকতের মাস। এই মাস আমাদের উপর মেঘমালার মতো সুশীতল ছায়া দান করছিল, এ মাসের রোযা তাকওয়ার অনুশীলন দান করছিল। মেহরাবগুলোতে হাফেয সাহেবদের সুমধুর তেলাওয়াতের ধ্বনি, যা মূলত মুমিনদের উদ্দেশ্যে রাহমানুর  রাহীমের আহবান, মস্তিষ্ককে সুশোভিত আর অন্তঃকরণকে আলোকিত করছিল, তেলাওয়াত, তাহাজ্জুদ, যিকির ও দুআ অন্তরকে আল্লাহর নৈকট্যের অনুভূতিতে সিক্ত এবং চোখ থেকে খোদাভীতির অশ্রু ঝরাচ্ছিল।

    দেখতে দেখতেই এই ধারাবাহিকতার পরিসমাপ্তি ঘটল। যেন ইবাদতের সেই বিশেষ রুখ পরিবর্তিত হল এবং ১ শাওয়ালে রোযা নয়, ইসলামী শিক্ষা মোতাবেক ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নির্দেশ এল এবং এরই মাধ্যমে বান্দা তার গোলামির পরিচয় তুলে ধরার নির্দেশ পেল।

    শাওয়ালের ২ তারিখ থেকে এক বছরের জন্য এই দুই নেয়ামত রমযান ও ঈদ আমাদের কাছ থেকে চলে গেল। যদি হায়াত পাই আর আল্লাহ তাআলার তাওফীক হয় তাহলে পুরো এক বছর পর আবার এই দু্ই নেয়ামত আমরা ফিরে পাব।

    এ পর্যায়ে একজন মুমিনের ভেবে দেখা উচিত যে, রমযান ও ঈদ থেকে সে কী পেল এর কী কী প্রভাব ও ক্রিয়া অন্তর ও মস্তিষ্কে, বোধ ও বিশ্বাসে, কর্ম ও চরিত্রে অবশিষ্ট রইল এবং রমযানের বিদায়ে কী কী খায়ের-বরকত সে হারাল।

    এটা বাস্তব যে, যে ব্যক্তি রমযানের হক যত বেশি আদায় করেছে, রমযানের আদবসমূহের প্রতি যত বেশি যত্নবান থেকেছে সে তার কর্মজীবনে রমযান ও ঈদের প্রভাব ও ক্রিয়া ততবেশি অনুভব করবে। আর যে ব্যক্তি ত্রুটি করেছে সে তার ত্রুটির মাত্রানুপাতে প্রভাব ও ক্রিয়াতেও ত্রুটি উপলব্ধি করবে।

    রমযানের সবচেয়ে বড় প্রভাব (যদি রোযা রাখা হয়ে থাকে এবং রোযাকে গুনাহমুক্ত রাখা হয়ে থাকে) তাকওয়া, যা বান্দাকে প্রতিমুহূর্তেই রাহনুমায়ি করে, কল্যাণের দিকে আহবান করে, কল্যাণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে এবং অকল্যাণের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে। অকল্যাণ থেকে বিরত থাকার তাগিদ সৃষ্টি করে। তাকওয়ায় পরিপূর্ণ অন্তর নসীহত দ্বারা দ্রুত প্রভাবিত হয় এবং সামান্য সতর্ক করার দ্বারা অমঙ্গলের পথ থেকে ফিরে আসে।

    আমরা যদি রমযান ও রোযার পুরো হক আদায় না করে থাকি তাহলে তাকওয়ার সেই বিশেষ স্তর আমাদের অর্জিত হয়নি। তবুও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। কেননা, প্রতিটি মুমিনের অন্তরে সামান্য পরিমাণে হলেও তাকওয়ার স্ফুলিঙ্গ অবশ্যই থাকে। আর রোযার মাধ্যমে তাতে কিছু না কিছু বৃদ্ধি অবশ্যই ঘটে থাকে। এখন যদি তা সযত্নে লালন করা হয় এবং সে মোতাবেক ধীরে ধীরে আমল করা হয় তাহলে এগুণ দৃঢ়তর এবং উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে থাকবে। গুণাবলি ও যোগ্যতাসমূহের এটাই সহজাত নিয়ম এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী সৎগুণাবলির ব্যাপারে একথা অধিক সত্য এবং অধিক প্রযোজ্য।

    আল্লাহ তাআলা হাদীসে কুদসীতে নিজেই ইরশাদ করেছেন, আমার বান্দা আমার প্রতি যেরূপ ধারণা রাখে আমি তার সাথে সেরূপ আচরণ করি এবং বান্দা যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তার সঙ্গী হই। যদি সে আমাকে একাকী স্মরণ করে আমিও তাকে একাকী স্মরণ করি। যদি সে আমাকে জামাতে সমবেতভাবে স্মরণ করে আমিও তাকে তাদের চেয়ে উত্তম জামাতে স্মরণ করি। যদি বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় তাহলে আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হই তাহলে আমি তার দিকে চার হাত অগ্রসর হই। আর যদি সে আমার দিকে হেঁটে আসে তাহলে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।-সহীহ মুসলিম ২/৩৪১

    এখন যদি অন্তরে কোনো নেক কাজের আগ্রহ সৃষ্টি হয় বা নেক কাজের দিকে অন্তর ধাবিত হয় তাহলে বুঝতে হবে এটি তাকওয়া ও খোদাভীতির প্রভাব। এর কদর করতে হবে এবং কালবিলম্ব না করে এই আগ্রহ মোতাবেক আমল করতে হবে। তেমনিভাবে কোনো গুনাহর ব্যাপারে যাতে আমরা দুর্ভাগ্যবশত লিপ্ত রয়েছি, যদি অন্তরে ঘৃণা সৃষ্টি হয়, তা পরিহার করার তাগাদা যদি অন্তরে উপলব্ধি হয় তাহলে বুঝতে হবে এটা অন্তর্নিহিত তাকওয়া ও খোদাভীতির প্রভাব। এর কদর করা এবং সাথে সাথেই সে গুনাহ পরিত্যাগ করত খাঁটি মনে তাওবা করে নেওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে কালবিলম্ব করা এজন্যও ভয়াবহ যে, দুর্বল তাকওয়ার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় না এবং বার বার অন্তরের এরূপ আগ্রহকে কদর না করলে তা আরো দুর্বল হয়ে যায়, যা একজন মুমিন বান্দার জন্যে খুবই দুভার্গ্যের বিষয়।

    মোটকথা, তাকওয়ার গুণ যার যতটুকুই অর্জিত হয়েছে তা রক্ষণাবেক্ষণ করা, সযত্নে তা লালন করা করে সেটি আরো শক্তিশালী করাই হবে রমযানের নেয়ামতের যথার্থ হক ও শোকর আদায়। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে  তাওফীক দান করুন। আমীন।

    আল্লাহর যেসব বান্দা রমযানের রোযাও রাখেনি এবং ঈদও ভিনজাতির মতো কেবল অনুষ্ঠান-সর্বস্বরূপেই পালন করেছে, রমযানের শেষ দশক, যা পুরো মাসের রূহ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় সময়, একেও যারা ঈদ-মার্কেটের পেছনে ক্ষয় করেছে, তাদের কাছে এখন রমযান ও ঈদের কিছু থেকে থাকলে আছে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক আর জুতো এবং বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু গিফট আর ঈদ কার্ড!

    তেমনি যারা রমযানে জিনিসপত্রের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রোযাদারদের থেকে অন্যায়ভাবে অধিক মুনাফা লুটে সম্পদের পাহাড় গড়েছে অথবা বিতাড়িত শয়তানের শৃঙ্খলিত থাকা সত্ত্বেও যারা এই মুবারক মাসে অন্যায়-অপরাধ, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ইত্যাদিতে লিপ্ত ছিল-এদের জন্য এখনও পথ খোলা রয়েছে। রাববুল আলামীন অসীম দয়ালু ও মেহেরবান। তাঁর দয়ার দুয়ার সব সময় বান্দার জন্য খোলা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিম্নোক্ত বাণীটি একটু হৃদয়ের কান দিয়ে শুনুন-আল্লাহ তাআলা রাতে তাঁর রহমতের হাত প্রসারিত করেন (বান্দার তাওবা কবুল করার জন্য উন্মুক্ত থাকেন) যাতে দিনের অপরাধী তওবা করে (কৃতকর্মের ব্যাপারে অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে) এবং আল্লাহ তাআলা দিনে তাঁর রহমতের হাত প্রসারিত করেন যাতে রাতের অপরাধী তওবা করে। যত দিন না সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হয় (কেয়ামতের আগ পর্যন্ত এ সুযোগ অবারিত)।-সহীহ মুসলিম ২/৩৫৮

    তাই কোনো রকম বিলম্ব না করে এই সূবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। খাঁটি মনে তওবা করে কল্যাণের পথে প্রত্যাবর্তন করা উচিত এবং আগামী রমযানের কল্যাণ ও বরকত লাভের জন্য নিজেকে প্রস্ত্তত করা উচিত।

    এ ব্যাপারে শেষ কথাটি হল, আমরা রমযান মাসে যেমন আল্লাহর বান্দা ছিলাম এখনও আল্লাহর বান্দা। তাই তখন যেমন গুনাহ পরিহারের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিতাম, নামাযের প্রতি খেয়াল রাখতাম, জামাতের সাথে নামায আদায়ের চেষ্টা করতাম সে ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত রাখা উচিত।

    গুনাহ যখনই করা হোক তা গুনাহ। তাই রমযান মাস চলে গেলে গুনাহর কাজে লিপ্ত হওয়া যায় এই মানসিকতা পরিহার করতে হবে। তাছাড়া নামায তো রোযার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ফরয এবং প্রতি দিনের আমল। ঈমান ও ইসলামের নিদর্শন। যে মুমিন অন্তত এটুকু চিন্তা করবে যে, নামাযের মাধ্যমে মাটি দ্বারা সৃজিত এই দুর্বল মানুষ তার সৃষ্টিকর্তা ও মালিকের দরবারে হাজিরা দিতে পারছে, তার প্রিয় প্রেমাষ্পদ রহমান ও রহীমের সঙ্গে কথোপকথনে সক্ষম হচ্ছে, তার পক্ষে নামাযের ব্যাপারে কোনো শিথিলতা প্রদর্শন করা সম্ভব হবে না; বরং অতি দুর্লভ অথচ সহজপ্রাপ্তি ভেবে মনেপ্রাণে নামাযের ব্যাপারে যত্নশীল হবে।

     

    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই বাস্তবতা উপলব্ধি করার তাওফীক দান করুন। নামাযের গুরুত্ব বোঝার এবং একে জানদার বানানোর প্রচেষ্টায় আমাদের নিয়োজিত রাখুন। আমীন ইয়া রাববাল আলামীন।

    ইওয়াতে প্রিফেকচারে . মাত্রার ভূমিকম্প

    শুক্রবার ভোরে ইওয়াতে প্রিফেকচারে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্প থেকে সুনামির কোনো ঝুঁকি নেই বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।

    দমকল বাহিনী জানিয়েছে প্রিফেকচারের রাজধানী মোরিওকা’তে ৭০ বছরের এক নারী ভূমিকম্পে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এবং ৬০ বছরের অপর এক মহিলা কাঁধে আঘাত পেয়েছেন। তাদের কারো আঘাতই তেমন গুরুতর নয়।

    ভোর ৩টা ৩২ মিনিটে উপকূলের নিকট মাটির ৮৮ কিলোমিটার গভীর থেকে ভূমিকম্প আঘাত হানে। ০ থেকে ৭ মাত্রার জাপানি স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৫ এর কিছু কম।

    বিদায় রমযান, বিদায় ঈদ

    রমযান মাস পুরোটাই কল্যাণ ও বরকতের মাস; এই মাস মেঘমালার মতো আল্লাহর বান্দাদেরকে শীতল ছায়া দান করছিল; মেহরাবগুলোতে হাফেয সাহেবদের সুমধুর তেলাওয়াত, যা মূলত মুমিনের উদ্দেশ্যে রাহমানুর রাহীমের আহবান, হৃদয় ও মস্তিষ্কে আলো দান করছিল; যিকির ও দুআ এবং তেলাওয়াত ও তাহাজ্জুদ, অন্তরকে আল্লাহর নৈকট্যের অনুভূতিতে সিক্ত করছিল এবং চোখ থেকে খোদাভীতির অশ্রু ঝরাচ্ছিল।

    দেখতে দেখতেই এই ধারাবাহিকতার সমাপ্তি ঘটল; যেন ইবাদতের এই বিশেষ রোখ পরিবর্তিত হল এবং পয়লা শাওয়ালে রোযার পরিবর্তে ইসলামী শিক্ষা মোতাবেক ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নির্দেশ এল এবং এরই মাধ্যমে বান্দা তার পরিচয় তুলে ধরার নির্দেশ পেল।

    শাওয়ালের ২ তারিখ থেকে এক বছরের জন্যে এই দুই নেয়ামত রমযান ও ঈদ আমাদের নিকট থেকে বিদায় নিল। যদি হায়াত পাই আর আল্লাহ তাআলার তাওফীক নসীব হয় তাহলে পুরো এক বছর পর আবার এই দুই নেয়ামত আমরা ফিরে পাব।

    এ পর্যায়ে একজন মুমিনের ভেবে দেখা উচিত, রমযান ও ঈদ থেকে তিনি কী আহরণ করলেন এবং এর কী প্রভাব তার হৃদয় ও মস্তিস্কে, বোধ ও বিশ্বাসে এবং কর্ম ও চরিত্রে অবশিষ্ট রইল। রমযান থেকে তিনি কী পেলেন এবং রমযানের বিদায়ে কী খায়ের-বরকত হারালেন।

    এটা বাস্তব সত্য যে, রমযানের হক যিনি যত বেশি আদায় করেছেন, রমযানের আদবসমূহের প্রন্তুি যিনি যত বেশি যত্নবান থেকেছেন তিনি তার কর্মজীবনে রমযান ও ঈদের প্রভাব তত বেশি অনুভব করবেন। পক্ষান্তরে যিনি যেমন ত্রুটি করেছেন ত্রুটির মাত্রানুপাতে প্রভাব ও ক্রিয়াতেও ত্রুটি উপলব্ধি করবেন।

    আমরা যদি রোযা ও রমযানের পুরা হক আদায় করে থাকি তাহলে রমযানের সবচেয়ে বড় প্রভাব (যদি রোযা রাখা হয়ে থাকে এবং রোযাকে গুনাহমুক্ত রাখা হয়ে থাকে) তাকওয়া; যা বান্দাকে প্রতি মুহূর্তে পথনির্দেশ দান করে; বান্দাকে কল্যাণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে এবং অকল্যাণের প্রতি বিরূপ করে। তাকওয়াপূর্ণ অন্তর নসীহত দ্বারা দ্রুত প্রভাবিত হয় এবং সামান্য সতর্ক করার দ্বারা অমঙ্গলের পথ থেকে ফিরে আসে।

    আর যদি রমযানের পুরা হক আদায় না করে থাকি তাহলে তাকওয়ার সেই বিশেষ স্তর আমাদের অর্জিত হয়নি। তবুও নিরাশ হওয়ার কিছুই নেই। কেননা প্রতিটি মুমিনের অন্তরে সামান্য পরিমাণে হলেও তাকওয়ার স্ফুলিঙ্গ অবশ্যই থাকে; আর রোযার মাধ্যমে তাতে কিছু না কিছু বৃদ্ধি অবশ্যই ঘটে থাকে। এখন যদি তা লালন করা যায় এবং সে মোতাবেক ধীরে ধীরে আমল করা যায় তাহলে এই বৈশিষ্ট্য দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর এবং উজ্ঝল থেকে উজ্ঝলতর হতে থাকবে। গুণাবলি ও যোগ্যতাসমূহের এটাই সহজাত নিয়ম। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী সৎগুণাবলির বিষয়ে এ কথা আরো বেশি সত্য।

    আল্লাহ তাআলা হাদীসে কুদসীতে ইরশাদ করেছেন, ‘‘বান্দা আমার প্রতি যেরূপ ধারণা রাখে আমি তার সাথে সেরূপ আচরণ করি এবং বান্দা যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তার সঙ্গী হই। যদি সে আমাকে একাকী স্মরণ করে আমিও তাকে একাকী স্মরণ করি। যদি সে আমাকে জামাতে সমবেতভাবে স্মরণ করে আমিও তাকে তাদের চেয়ে উত্তম জামাতে স্মরণ করি। যদি বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে চার হাত অগ্রসর হই। আর যদি সে আমার দিকে হেঁটে আসে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।’’-সহীহ মুসলিম ২/৩৪১

    এখন যদি অন্তরে কোনো নেক কাজের আগ্রহ সৃষ্টি হয় তাহলে বুঝতে হবে এটি তাকওয়া ও খোদাভীতির প্রভাব; এর কদর করতে হবে এবং বিলম্ব না করে এই আগ্রহ অনুযায়ী আমল করতে হবে। তেমনি কোনো গুনাহের বিষয়ে, যাতে আমরা দুর্ভাগ্যবশত লিপ্ত রয়েছি, অন্তরে যদি ঘৃণা সৃষ্টি হয় এবং তা পরিহার করার তাগাদা উপলব্ধি হয় তাহলে বুঝতে হবে এটা সেই অন্তনির্হিত তাকওয়া ও খোদাভীতির প্রভাব। এর কদর করা এবং সাথে সাথেই সে গুনাহ পরিত্যাগ করে খাঁটি মনে তওবা করে নেওয়া জরুরি। এব্যাপারে বিলম্ব করা এজন্যেও ভয়াবহ যে, দুর্বল তাকওয়ার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় না এবং বার বার অন্তরের এরূপ আগ্রহকে অবহেলা করলে তা আরো দুর্বল হয়ে যায়; যা একজন মুমিনের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়।

    মোটকথা তাকওয়ার গুণ যার যতটুকু অর্জিত হয়েছে তা সংরক্ষণ করা এবং সযত্ন পরিচর্যার মাধ্যমে আরো শক্তিশালী করাই হবে রমযানের নেয়ামতের যথার্থ শোকর আদায়। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন, আমীন।

    আল্লাহর যেসব বান্দা রমযানের রোযাও রাখেনি এবং ঈদও পালন করেছে ভিনজাতির মতই অনুষ্ঠান-সর্বস্বরূপে; এবং রমযানের শেষ দশক-যা পুরো মাসের রূহ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতপূর্ণ সময়, একেও যারা ঈদ-মার্কেটের পেছনে নষ্ট করেছে; তাদের কাছে রমযান এবং ঈদের চিহ্ন যদি কিছু থাকে তাহলে আছে নতুন ডিজাইনের পোশাক আর জুতো এবং বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে পাওয়া কিছু গিফ্ট আর ঈদ কার্ড !!

    তেমনি যারা রমযানে জিনিসপত্রের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রোযাদারদের থেকে অন্যায়ভাবে অধিক মুনাফা লুটে সম্পদের পাহাড় গড়েছে অথবা বিতাড়িত শয়তানের শৃঙ্খখলিত হওয়া সত্ত্বেও যারা এই মুবারক মাসে অন্যায়-অপরাধে ও দুর্নীতি-সন্ত্রাসে লিপ্ত ছিল- এদের সবার জন্যে এখনও পথ খোলা রয়েছে; আল্লাহ রাববুল আলামীন অসীম দয়ালু ও মেহেরবান। তাঁর দয়ার দুয়ার সব বান্দার জন্য খোলা। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্মোক্ত বাণী একটু হৃদয় দিয়ে শুনুন-

    ان الله عز وجل يبسط يده بالليل ليتوب مسيئ النهار ويبسط يده بالنهار ليتوب مسيئ الليل حتى تطلع الشمس من مغربها.

    ‘‘আল্লাহ তাআলা রাতে তাঁর রহমতের হাত প্রসারিত করেন (বান্দার তওবা কবুল করার জন্যে উন্মুক্ত থাকেন) যাতে দিনের অপরাধী তওবা করে (কৃতকর্মের ব্যাপারে অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে) এবং আল্লাহ দিনে তাঁর রহমতের হাত প্রসারিত করেন যাতে রাতের অপরাধী তওবা করে; যত দিন না সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হয়। (কেয়ামতের আগ পর্যন্ত এ সুযোগ অবারিত)।’’-সহীহ মুসলিম ২/৩৫৮

    তাই বিলম্ব না করে এই সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করা উচিত; খাঁটি মনে তওবা করে কল্যাণের দিকে প্রত্যাবর্তন করা উচিত এবং আগামী রমযানের কল্যাণ ও বরকত লাভের জন্যে নিজেকে প্রস্ত্তত করা উচিত।

    এ বিষয়ে শেষ কথা এই যে, রমযান মাসে আমরা যেমন আল্লাহর বান্দা ছিলাম এখনও আল্লাহর বান্দা। তাই তখন যেমন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার বিষয়ে গুরুত্ব দিতাম, নামাযের দিকে খেয়াল রাখতাম, জামাতের সাথে নামায আদায়ের চেষ্টা করতাম তা এখনও অব্যাহত রাখা উচিত।

    গুনাহ  যখনই করা হোক তা গুনাহ। তাই রমযান মাস চলে গেলে গুনাহর কাজে লিপ্ত হওয়া যায়-এই চিন্তা

    পরিহার করতে হবে। আর নামায তো রোযার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ফরয এবং প্রতিদিনের আমল। ঈমান ও ইসলামের নিদর্শন। যে মুমিন অন্তত এটুকু চিন্তা করবে যে, নামাযের মাধ্যমে মাটির মানুষ তার খালিক ও মালিকের দরবারে হাজিরা দিতে পারছে, তার প্রিয় রহমান ও রহীমের সঙ্গে কথোপকথনে সক্ষম হচ্ছে, তার তো নামাযের বিষয়ে শিথিলতা করা সম্ভব হবে না; বরং অতি দুর্লভ অথচ সহজপ্রাপ্তি ভেবে মনেপ্রাণে নামাযের বিষয়ে যত্নবান হবে।

    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই সত্য উপলব্ধি করার তাওফীক দান করুন নামাযের গুরুত্ব বোঝার এবং একে জানদার বানানোর চেষ্টায় আমাদেরকে নিয়োজিত রাখুন, আমীন।

    ছাড়া পেলেন টয়োটার সাবেক নির্বাহী জুলি হ্যাম্প

    টোকিওর প্রসিকিউটররা টয়োটা মোটর’র সাবেক নির্বাহী জুলি হ্যাম্প’র বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সন্দেহ করা হচ্ছিলো তিনি অবৈধ ভাবে নিষিদ্ধ ড্রাগ আমদানি করেছেন।

    গ্রেপ্তার করার প্রায় ৩ সপ্তাহ পর বুধবার তাকে মুক্তি দেয়া হয়। জুনের ১৮ তারিখ আন্তর্জাতিক ডাকের মাধ্যমে ৫৭টি বড়ি চোরাচালান করার সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    তদন্তকারীরা বলছেন বড়ি গুলোতে অক্সিকোডোন নামের এক ধরনের মাদক ছিলো।

    টোকিওর প্রসিকিউটররা হ্যাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে তিনি সেগুলো আনেননি কারণ তিনি হাঁটুর ব্যাথার জন্যে বড়ি গুলো কিনেছিলেন। এক সপ্তাহ আগে টয়োটা হ্যাম্পের পদত্যাগের কথা জানায়। ৫৫ বছর বয়সী আমেরিকান ছিলেন টয়োটার প্রথম মহিলা ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা।

    Untitled Post

    Posted by admin on July 7
    Posted in Uncategorized 

    সাকিবের ওপর নির্ভরশীল নয় বাংলাদেশ দল

    সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের স্পটলাইটটা এখন সৌম্য সরকারের দিকে। বিশ্বকাপ থেকে ব্যাটিংয়ে তার আগ্রাসী মেজাজটাই বাংলাদেশের চেহারা দিয়েছে বদলে। ১৩টি ওয়ানডে ইনিংসে গড়টাও তার ঈর্ষণীয়, ৪০.৫৮। অথচ, ওয়ানডের আক্রমণাত্মক টপ অর্ডার ক্যারিয়ারের প্রথম ২টি টি-২০তে মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। রাবাদার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে গত পরশু করেছেন মারাত্মক ভুল। ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে অপরিনামদর্র্শী শটে শুধু নিজেই আউট হননি, তার ওই আউটেই লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দ. আফ্রিকার কাছে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে (৫২ রানে) হেরে যাওয়ায় অপরাধবোধে তাড়িত এই বাঁহাতি ওপেনারÑ ‘সবাই বুঝছে, আমিও বুঝছি, আমার জন্য একটু খারাপই হচ্ছে। আমি থিতু হয়ে আউট হচ্ছি, এটা আমার চেয়ে দলের জন্যই বেশি খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমি অনেক কাজ ও পরিকল্পনা করছি।’  প্রথম ম্যাচে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারার মাশুল দিয়েছে বাংলাদেশ দল, তার জন্য অনুতপ্ত এই টপ অর্ডারÑ ‘সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল। পরিকল্পনা ছিল, প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ রান করে রাখলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। এই পরিকল্পনা নিয়েই চেজ করতে নেমেছিলাম। তবে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। শুরুতেই দুটি উইকেট হারিয়েছি। শুরুতে এই ধাক্কা খাওয়ার কারণে আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ফিল্ডিং, বোলিংয়ে সফল হয়েছে। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ব্যাটিং করতে পারলে হয়তোবা ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসতে পারতো।’ ১৪৯ রান চেজ করতে নেমে প্রোটিয়া অফ স্পিনার ডুমিনি এবং বাঁ হাতি স্পিনার ফাঙ্গিসো কেন ভয়ংকর হয়ে উঠবে? নিজেদের চেনাজানা স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেটে নিজেরাই উল্টো ফাঁদে পড়বে? এ প্রশ্ন সৌম্যর। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের মাঝপথে উইকেটে বাড়তি টার্ন পাওয়ায় পরিস্থিতিটা বদলে গেছে বলে মনে করছেন সৌম্যÑ ‘শুরুতে কিন্তু উইকেটে ততটা টার্ন ছিল না। যখন মুশফিক ভাই আউট হয়ে গেছে বা আমাদের একটু বেশি উইকেট পড়ে গেছে তখন আমরা পিছিয়ে গেছি। ঐ সময়ে উইকেটে একটু টার্ন বেশি ছিল। ব্যাটসম্যানরা চাপে থাকলে আর কন্ডিশন বোলারদের পক্ষে থাকলে এটা হতে পারে। ’ টি-২০তে টপ অর্ডারদের ভূমিকা একটু বেশি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর তা উপলব্ধি করছেন সৌম্যÑ ‘সাকিব ভাই শেষ করে এলে বা দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের কেউ একজন শেষ করে আসতে পারলে ভালো হতো। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা যদি বড় জুটি গড়ে দিয়ে আসতে পারতাম তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য ম্যাচটা হাতে নেয়া সহজ হতো।’ টি-২০তে বাংলাদেশের একমাত্র স্পেশালিস্ট ক্রিকেটার সাকিব। তবে আইপিএল, বিগ ব্যাশ এবং সিপিএল’র পারফর্মার সাকিবের উপর বাংলাদেশ দল এখন নির্ভরশীল, তা মানতে নারাজ সৌম্যÑ ‘টি-২০তে সাকিব ভাই অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সব জায়গাতেই খেলেন। তবে আমরা উনার ওপরই নির্ভরশীল তা কিন্তু নয়। এখন সবাই পারফর্ম করছে বলেই আমাদের ফল ভালো হচ্ছে। উনি ভালো খেললে দলের জন্য অনেক ভালো কিছু আসে, কেননা উনি সব দিক দিয়েই অনেক শক্তিশালী।’ আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেট খেলেছেন মাত্র ২টি। এই দু’ম্যাচেই সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটের রসায়নটা জেনে গেছেন সৌম্য সরকার। টি-২০ ক্রিকেটে স্কিলের সঙ্গে মানসিক শক্তিটাও যে জরুরি, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে না পেরে সেই তাগিদা অনুভব করছেন সৌম্যÑ ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলা মানসিক দিক থেকে অনেক কঠিন। গায়ের শক্তির চেয়ে মানসিক শক্তি দিয়ে অনেক বেশি খেলতে হয়। সব সময় হিসাব-নিকাশ করে খেলতে হয়। এটা যত বেশি খেলা যায় তত ভালো। আমাদের খেলা কম হচ্ছে, এটা বাড়ানো হলে আমাদের দলের জন্য ভালো হবে।’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হাতে গোনা টি-২০ খেলার সুযোগ, ঘরোয়া ক্রিকেটেও টি-২০’র চর্চা নেই তেমন। সংক্ষিপ্ততম ভার্সনের ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দলে আত্মপ্রকাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক টি-২০ খেলার দাবি সৌম্যরÑ ‘আমরা সব সময় খেলার ভেতরে থাকতে চাই, তা যে ফরম্যাটই হোক। টি-২০ হলেও ভালো। যদি আমরা এখানে আরও উন্নতি করতে চাই, আমাদের আরও টি-২০ খেলানো উচিত।’একটানা ক্রিকেটে থাকায় আজ টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। সকালে টিম মিটিং শেষ করেই ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেটারদের ছুটি দিয়েছেন। সাড়ে ১১টার পর হোটেল সোনারগাঁও থেকে যে যার মতো বেরিয়েছেন। ব্যতিক্রম কেবল মুশফিকুর রহিম ও লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন। দলের অন্যরা যখন বেরিয়েছেন ঘুরতে, তখন হোটেল থেকে বেরিয়ে জুবায়েরকে সঙ্গে নিয়ে মুশফিকুর গেছেন হোম অব ক্রিকেট শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। ইনডোরে জুবায়েরের বলে প্রায় ঘণ্টাখানেক ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন মুশফিক। জুবায়ের ছাড়াও অনুশীলনে নেট বোলার পেয়েছেন মুশফিকুর। সংবাদ সম্মেলনের জন্য সৌম্যকে প্রস্তুত রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

    ইউনেস্কো হ্যারিটেজ মর্যাদা পেলো মেইজি শিল্প বিপ্লব সাইট

    ইউনেস্কো’র একটি প্যানেল কয়েকটি শিল্প এলাকার সমন্বয়ে গঠিত একটি জাপানি শিল্প সাইটের গ্রুপকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

    রোববার জার্মান শহর বন এ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ৮টি প্রিফেকচারের ২৩টি সাইটকে এর ভেতর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    এসব সাইট গুলো জাপানের শিল্প বিপ্লবের গোড়ার দিককার স্থান। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর গোড়াতে মেইজি সময়ে জাপানের যে শিল্পয়োন্নয়্ন ঘটে এসব স্থান গুলো সেগুলোর সাক্ষী বহন করে চলেছে।

    প্যানেল স্বীকার করে সাইট গুলো একটি অ-পশ্চিমা দেশে পশ্চিম থেকে শিল্পায়নের প্রথম সফল বিস্তার। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সমন্বয় জটিল হয়ে ওঠায় চুড়ান্ত আলোচনা রোববার পর্যন্ত একদিনের জন্য স্থগিত করা হয়।

    দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা দাবি করেন কোরিয়ানদেরকে এসব সাইট গুলোকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আনা হয়েছিলো।

    দক্ষিণ কোরিয় সরকারের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদেরকে বলেন প্যানেলের চুড়ান্ত বৈঠকে তারা জাপানের সাথে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।

    হাশিমাঃ পরিত্যাক্ত এক দ্বীপের কথা

    দক্ষিণ জাপানের নাগাসাকি শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পরিত্যাক্ত দ্বীপ হাশিমা যা গুনকানজিমা (রণতরী দ্বীপ) নামেই পরিচিত -শিল্পন্নোত জাপানের ইতিহাস যেন সে তুলে ধরছে। দ্বীপটি এখন নাগাসাকি প্রিফেকচারের ৫০৫টি বসতিহীন দ্বীপের একটি। দ্বীপটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য পরিত্যাক্ত এবং নির্বিঘ্ন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কংক্রিট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন গুলো ও তার পার্শ্ববর্তী সমুদ্র প্রাচীর।

    দ্বীপটি সমুদ্রতলদেশীয় কয়লা খনির জন্যে এক সময় সুপরিচিত ছিলো, ১৮৮৭ সালে কয়লা খনির কাজ শুরু হয় -যা জাপানের শিল্পায়নের সময় পরিচালিত হতো। ১৯৫৯ সালে ৬.৩ হেক্টর (১৬ একর) দ্বীপটির জনসংখ্যা শিখরে ওঠে, এ সময় জনংখ্যা ছিলো ৫,২৫৯ জন। কয়লা খনিটি ১৯৭৪ সালে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং তার অল্প পরেই দ্বীপবাসীরা দ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে ও অনেক গুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তবে বাইরের ধসে পড়া দেয়ালের কোনো কোনো অংশকে আবার মেরামত করা হয়েছে।

    কিছু মানুষের আগ্রহে চলতি শতাব্দীতে দ্বীপটি আবার মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে উঠে আসে এবং ধীরে ধীরে তা পর্যটকদের কাছেও আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে। ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল পর্যটকদের জন্যে দ্বীপটি খুলে দেয়া হয়। এখন দ্বীপটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হওয়ার জন্যে ইউনেস্কোর বিবেচনায় রয়েছে।

    ১৮৮৭ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত কয়লা খনি থাকাকালীন দ্বীপটিতে মানববসতি ছিলো। দ্বীপটির প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রন ছিলো নাগাসাকির শহরের।

    জাপানের শিল্পোন্নয়নের সময় কয়লা খনির ব্যাপক চাহিদা ছিলো। ১৮৯০ সালে মিৎসুবিশি দ্বীপটি কিনে নেয় এবং তার প্রকল্পের কাজ শুরু করে। তাদের সমুদ্রতলদেশীয় খনি থেকে কয়লা আহরণের পরিকল্পনা ছিলো। খনির জন্যে শ্রমিক আনা হয় জাপানি উপনিবেশ গুলো থেকে। সেখানেই জাপানের সর্বপ্রথম সুউচ্চ কংক্রিট অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়, উচ্চতা ছিলো ৯তলা। এটি নির্মিত হয় ১৯১৬ সালে। কোম্পানির কর্মীরা এখানে থাকতেন। তাইফুন থেকে রক্ষা পেতে চারপাশে নির্মাণ করা হয় উঁচু প্রাচীর। ১৯৩০ এর দশকে অনেক চীনা ও কোরিয়ানকে বাধ্যতামূলক শ্রম দিতে এখানে আনা হয়েছিলো।

    ১৯৬০ এর দশকে পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ধীরে ধীরে জাপান থেকে কয়লার ব্যবহার কমতে থাকে। হাশিমা’রও একই অবস্থা। মিৎসুবিশি ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে কয়লা খনি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়, আজকে দ্বীপটি জনশূন্য। ৩৫ বছর পরিত্যাক্ত থাকার পর ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল আবার তাতে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়।

    Untitled Post

    Posted by admin on July 5
    Posted in Uncategorized 

    বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলবো আমরা’
    ‘বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলবো আমরা’
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে এখন আর অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি উজ্জ্বল করে তুলেছে ক্রিকেট দলের সোনার ছেলেরা।
    তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমাদের কেউ হারাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বিশ্ব সভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলব, মাথা নিচু করে নয়।
    শনিবার গণভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকাপে ভালো খেলায় এবং পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ এবং ক্রিকেট বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পুরস্কারের চেক তুলে দেন। এ সময় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ দেয়া একটি ব্যাট প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।
    ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের টাইগাররা সাবেক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে। তাদের নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে আর অবহেলা করার সুযোগ নেই। সেটা টাইগাররা ক্রিকেট বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে। এখন যারাই বাংলাদেশ সফরে আসবে তাদের হিসাব করে খেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। এখন আমরা তারই নমুনা দেখতে পাচ্ছি।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আর নিম্নে থাকবে না। ঊর্ধ্বে থাকবে। ক্রিকেটারদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছেলেদের আরও আন্তরিকতা নিয়ে খেলতে হবে, যাতে বাংলাদেশের মুখ আরও উজ্জ্বল হয়। তবে এ কথা বলে আমি খেলোয়াড়দের চাপে ফেলতে চাই না। খেলার মাঠে নিজেদের মধ্যে কোনো রকম চাপ রাখা যাবে না। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। একটু খারাপ খেললেই পত্র-পত্রিকাগুলো লিখতে শুরু করে। আমি সব সময় এর প্রতিবাদ করে আসছি। খেলায় হার-জিত আছে। সবচেয়ে বড় কথা, খেলার মাঠে কত ভালো নৈপুণ্য দেখানো যায়, কতটা ভালো খেলা উপহার দেয়া যায় সেটি বড় বিষয়।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৪ বছরের সংগ্রাম ও যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে, এটি মনে রাখতে হবে। তাহলে বাংলাদেশকে কেউ হারাতে পারবে না। আমাদের এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশ এই আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবে। ক্রিকেট আমাদের যে মর্যাদা দিয়েছে, তার জন্য আমরা গর্বিত। দেশে আরো উন্নত মানের স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও দুটি উন্নত মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ করব। একটি হবে কক্সবাজারে, আরেকটি পদ্মার পাড়ে। পদ্মার পাড়ে একটি আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স করব আমরা, সে মাস্টারপ্লান করতে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ এসবের বাস্তবায়ন করতে পারব। আমরা আর আর্থিকভাবে দুর্বল নই। শুধু ক্রিকেটই নয়, বাংলাদেশের সব খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
    প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার পর ক্রিকেটার, কোচ, স্টাফ, বিসিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। এরপর সবাই ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
    টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি দক্ষিণ অফ্রিকার সঙ্গে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে ও সিরিজে যেন বাংলাদেশ দল ভালো খেলতে পারে সেজন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় আমাদের অনুপ্রেরণা দেন, সাহায্য-সহযোগিতা করেন, এ জন্য আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। ধারাবাহিকভাবে আমরা যাতে ভালো খেলতে পারি সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
    বিচারপতি ও কূটনীতিকদের সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর ইফতার
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গণভবনে বিচারপতি, কূটনীতিক, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। ইফতার মাহফিলের শুরুতেই দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, শহীদ চার জাতীয় নেতা এবং ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

    গ্রীষ্মে ৭৮ লক্ষ মানুষ পর্যটনে যাচ্ছেন

    এ বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ গ্রীষ্মের ছুটিতে পর্যটনে যাচ্ছেন। বিগত ৪৫ বছরের ইতিহাসে এবারই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ জাপানে ও জাপানের বাইরে পর্যটনে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    দেশের অন্যতম বৃহৎ পর্যটন সংস্থা জেটিবি বলেছে জুলাইয়ের ১৫ থেকে অগাষ্টের ৩১ তারিখের মধ্যে ৭৮ লক্ষ মানুষ পর্যটনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে ০.১ শতাংশ।

    জেটিবি’র তথ্যানুসারে ৭৫ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ জাপানের ভেতরেই থাকছেন -যা গতবারের তুলনায় বেড়েছে ০.২ শতাংশ। মানুষের সবচেয়ে পছন্দের স্থান হচ্ছে হোকুরিকু অঞ্চল। এ বছর সেখানে নতুন শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের লাইনও চালু হয়েছে। এ ছাড়াও শীর্ষে রয়েছে ইসে-শিমা আগামী বছর যেখানে শিল্পোন্নত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    তবে বিদেশে পর্যটনে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এবার ১.৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ লক্ষে, এর মূল কারণ দুর্বল ইয়েন।

    Untitled Post

    Posted by admin on July 4
    Posted in Uncategorized 

    ইতিহাস গড়তে চায় বাংলাদেশ
    ইতিহাস গড়তে চায় বাংলাদেশ
    সময় ও সাফল্য মানুষকে কতোটা বদলে দিতে পারে তার একটা দারুণ উদাহরণ হলেন বাংলাদেশ কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে।
    প্রথম যখন এক বছর আগে ঢাকায় এলেন মুখে মাপা হাসি, কাটা কাটা কথা। প্রশ্ন শুনলেই বোঝার চেষ্টা করতেন, আক্রমণ হচ্ছে কি না। সেই হাতুরুসিংহে এখন সংবাদ সম্মেলনে এসে সমানে রসিকতা করেন, চাপা হাসি হাসেন আর বারবার বলে দেন, সময়টা এখন তাদের।
    দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শুরুর আগে প্রতিপক্ষ নিয়ে সর্বোচ্চ সম্মান দেখালেন। নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বললেন। তবে দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড আর ইতিহাসের প্রশ্ন আসতেই চোয়ালটা শক্ত করে ফেললেন, মুখ গম্ভীর করে বললেন, তিনি ইতিহাস বদলাতে এসেছেন; ইতিহাসের স্রোতে গা ভাসাতে আসেননি!
    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ যাবত্ বাংলাদেশের একমাত্র অর্জন সেই ২০০৭ বিশ্বকাপের একটি জয়। উড়ন্ত ফর্মে সেই দলটির মুখোমুখি হওয়ার আগে হাতুরুসিংহে পরিষ্কার বলে দিলেন নিজের এই দর্শনের কথা, ‘আমি ইতিহাসে বিশ্বাস করলে এখানে বসে থাকতে পারতাম না। আমি তাহলে জিততেই পারতাম না। আমি ইতিহাসে বিশ্বাস করি না। ইতিহাস ব্যাপারটাই তৈরি হয়েছে বদলানোর জন্য। আমরা সেটা কীভাবে করবো, সেটা হলো বিষয়। আমরা ইতিহাসের অংশ হতে চাই না, আমরা ইতিহাস গড়তে চাই। আমরা অতীতে বাস করি না, আমরা বর্তমানে বাস করি।’
    সেই বর্তমানটা যে শুধু ক্রিকেট দলের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য রোমাঞ্চকর, সেটাও বলে দিলেন জাতীয় দলের এই প্রধান কোচ, ‘আমার ধারণা, এটা পুরো বাংলাদেশের জন্যই রোমাঞ্চকর একটা সময় কাটছে। আমি মনে করি, জয় সবসময়ই ভালো অভিজ্ঞতা। তার ওপর আমরা যেভাবে জিতছি এবং খেলছি, সেটা বিশেষ রোমাঞ্চকর। এমন জয় তো আমাদের আগে খুব আসেনি, তাই অবশ্যই রোমাঞ্চকর।’
    যেহেতু সময়টা খুব রোমাঞ্চকর, তাই শিষ্যদের এটা উপভোগ করারই অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন কোচ। আর এই উপভোগে অন্তত কোনো অন্যায় দেখেন না হাতুরুসিংহে, ‘আমি এই জয় উদযাপনে এখনও পর্যন্ত এমন কিছু দেখিনি যাতে তাদের মনোসংযোগ নষ্ট হতে পারে। তারা পা মাটিতেই রাখছে। তবে এটাও সত্যি যে, জয় ব্যাপারটা উপভোগ করতে হয়। এদের অনেকেই এই ধরনের জয় এর আগে কখনো পায়নি। ফলে তাদের নজিরবিহীন এই আনন্দ করতে দিতে হবে। তাদের সব ধরনের অধিকার আছে উপভোগ করার এবং উপভোগ করতে যে আত্মবিশ্বাস চাই, সেটাও আছে।’
    এমনকি খেলোয়াড়রাও যাতে অতীত রেকর্ড নিয়ে মাথা না ঘামায়, সে জন্য নাকি কোচের চেষ্টার কমতি নেই, ‘খেলোয়াড়রা কী ভাবে, কী পড়ে; সেটা তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমি শুধু ওদের বলতে পারি, বর্তমান ও ভবিষ্যত্ নিয়ে ভাবতে। আমি সবসময় ওদের বলি, তারা কতোটা ভালো সেটা নিয়ে ভাবতে; আগে কী হয়েছে তা নিয়ে নয়।’
    যে বাংলাদেশ এক বছর আগেও হারছিলো, তারা কিভাবে এতো বদলে গেলো, এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বোলিং আক্রমণ নিয়ে কোচের কথা শুনলে বুঝবেন, বৈচিত্র্যই এই বদলের রূপকার, ‘আমাদের দলে এখন স্পিন ও পেসের দারুণ একটা মিশ্রণ আছে। ঐতিহ্যগতভাবেই বাংলাদেশ পরিচিতি ভালো ভালো স্পিনারদের জন্য। এখনও তার অভাব নেই। আমাদের এখানে অনেক ফাস্ট বোলার হয়তো নেই, তবে অনেক বৈচিত্র্যময় ফাস্ট বোলার আছে। কেউ লম্বা, কারো অনেক বৈচিত্র্য আছে, কেউ অনেক সুইং করাতে পারে। এটা আমাদের জন্য একটা সুবিধা। আমরা যে কোনো পথ নিতে পারি। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং ভালো, ব্যাটিং খুব ভালো। এখন তারা স্পিনও ভালো খেলছে। একটা পূর্ণাঙ্গ দল। ওদের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমরা আসলে আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলবো, ওদের দুর্বলতা অনুযায়ী নয়।’
    তবে এসব সামগ্রিক কথায় হারিয়ে যাচ্ছে না হাতুরুসিংহের লক্ষ্য। একটা লক্ষ্য ছিলো, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা; সেটা প্রায় পূরণ হয়েছে। এখন সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলার আগে সেই আসর মাথায় রাখছেন তিনি। তবে আগে সিরিজ চাই তার, ‘অবশ্যই বিশ্বকাপ আমাদের মাথায় আছে। আমরা আমাদের দলের কম্বিনেশন ও গেম প্ল্যান কী হতে পারে, সেটা নিয়েও ভাবছি। আমাদের ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে, ভাবছি। তবে আপাতত আমরা এই সিরিজেই মন দিচ্ছি।