জাপানে তাকেশিমা দিবস উদযাপন

জাপান সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাপান সাগরে অবস্থিত তাকেশিমা দ্বীপ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ভূখণ্ডগত বিরোধ নিরসনের লক্ষ্য অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ্য, দ্বীপপুঞ্জটি দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জাপান এগুলোর মালিকানা দাবী করছে।

মন্ত্রী পরিষদ দপ্তরের সংসদ বিষয়ক উপমন্ত্রী হিরোশি আন্দো, ১৯০৫ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি দ্বীপপুঞ্জটি শিমানে জেলায় সংযুক্তিকরণ দিবস উপলক্ষে গতকাল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার সময় উক্ত মন্তব্য করেন।

২০০৫ সালে শিমানে জেলা, ২২শে ফেব্রুয়ারিকে তাকেশিমা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করে প্রতিবছর একটি স্মৃতিরক্ষা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে।

চলতি বছর, যুদ্ধকালীন একটি শ্রম সমস্যাসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয়াদি নিয়ে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্কে অচলাবস্থা বিরাজমান থাকার মধ্যে জেলার প্রধান শহর মাৎসুয়েতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় ৪শ ৬০ জন লোক অংশগ্রহণ করেন।

ভূখণ্ডগত বিষয়ক দায়িত্বে নিয়োজিত আন্দো, তাকেশিমা রাষ্ট্রের মূল ভিত্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্যা হওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার বলে উল্লেখ করেন।

তিনি, এবিষয়ে দেশে বিদেশে জাপানের অবস্থান নিয়ে সঠিক বোঝাপড়া এগিয়ে নিতে স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও কঠোর পরিশ্রম করবেন বলে মন্তব্য করেন।

শিমানে জেলার গভর্নর জেমবে মিযোগুচিও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। তিনি, বাস্তবে দ্বীপপুঞ্জটির উপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে দক্ষিণ কোরিয়া তৎপরতা বৃদ্ধি করে চলেছে বলে জানান।

তিনি, সমস্যাটি সমাধানের লক্ষ্যে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের মধ্যকার আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি, আলোচনার টেবিলে সউলের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

জাপান সরকার, দ্বীপপুঞ্জটি জাপানী ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে অবস্থান বজায় রেখেছে। তারা, দক্ষিণ কোরিয়া অবৈধভাবে এগুলো দখল করে রেখেছে বলে জানায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উত্তরপূর্ব এশিয়া ব্যুরোর প্রধান কিম ইয়ং গিল, এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে সউলে অবস্থিত জাপানী দূতাবাসের একজন মিনিস্টার কোইচি মিযুশিমার কাছে প্রতিবাদ জানান।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত এক বিবৃতিতে, দ্বীপগুলোকে ঐতিহাসিক, ভৌগলিক এবং আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অভিহিত করে অবিলম্বে সবধরনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধ করতে জাপান সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।