মাই নাম্বার সিস্টেম চালু হওয়ার আগেই সতর্কবার্তা
জাপান সরকার বিতর্কিত মাই নাম্বার সিস্টেম’র পক্ষে আরো দক্ষ, সাম্যবাদী সমাজ বলে যতই ভেঁপু বাজান না কেন কার্ডটি আবাসিক বাড়ি গুলোতে পাঠানোর পূর্বেই ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে গুরুতর সংশয় দেখা দিয়েছে।
শুধু এটিই উদ্বেগের বিষয় নয়। জটিল প্রকল্পে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর কর্মীদের আইডি নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে এবং খন্ডকালীন কর্মীরা -তাদের উপর পরিবারের নির্ভরশীলদের কথা উল্লেখ করতে পারবেন না।
এর সাথে রয়েছে পদ্ধতির অধীনে কর রেয়াত প্রস্তাবনা কতটুকু সঠিক ভাবে কাজ করবে, শংকা রয়েছে যে ছবি সহ আইডি কার্ড যদি হারিয়ে যায় তখন কী হবে এবং পৌরসভা গুলো এতো মানুষের আবেদন ঠিকমত ব্যবস্থাপনা করতে কতটুকু সক্ষম হবে।
সোমবার থেকে দেশের সকল জাপানি এবং বিদেশিরা চিঠির মাধ্যমে তাদের সারা জীবনের জন্যে একটি নম্বর ১২ ডিজিটের একটি নম্বর পাবেন।
সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে নাগরিকরা মধ্য অক্টোবরে প্রাথমিক একটি কাগজের আইডি কার্ড পাবেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে পুরোদমে কার্ডটি চালু হবে। প্রাথমিক কার্ডটি ছবি সহ মাই নাম্বার কার্ডে পরিবর্তিত হবে যে কার্ডে থাকবে একটি ডেটা চিপ -যার জন্যে সরকার জোরালো ভাবে সুপারিশ করছেন।
বলা হচ্ছে এই পদ্ধতি লাল ফিতার দৌরাত্ব দূর করে প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে প্রত্যেকের সামাজিক কল্যাণ এবং ব্যক্তিগত করের তথ্য আইডি কার্ডের ভেতর রাখবে।
সরকার বলছে এটি মানুষের আয়কে আরো সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে পারবে, কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ কিম্বা অবৈধ ভাবে সামাজিক কল্যাণ গ্রহীতার সংখ্যা কমে যাবে। মাই নাম্বারের ক্ষেত্রে ট্যাক্স রিটার্ন বা সামাজিক কল্যাণ সুবিধা গ্রহণের ফাইল থাকার প্রয়োজন পড়বে, যার ভেতর থাকবে পেনশন কিম্বা পৌরসভা থেকে সন্তানের ভাতা গ্রহণের তথ্য।
তবে কিছুদিন আগে সরকারের পেনশনের তথ্য বেরিয়ে পড়ার মতো সাইবার হামলার ঘটনা গুলো সরকারের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে জনসাধারণ আস্থা নষ্ট করেছে।
পৌরসভা গুলো রেজিস্ট্রি চিঠিতে প্রায় ৫ কোটি ৫০ লক্ষ পরিবারের কাছে মাই নাম্বার পাঠাবে।
২০১৭ সাল থেকে মাই নাম্বার স্বাস্থ্যবীমার কাজ করবে এবং ২০১৮ সাল থেকে তা স্বেচ্ছার ভিত্তিতে ব্যাংক একাউন্টেও ব্যবহার করা সম্ভব হবে। ২০২১ সাল থেকে কর সংগ্রহের জন্যে ব্যাংকের সাথে কার্ডের সংযোগ থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে।