জাপানি নাগরিক এবং ক্যান্সার

জাপানে ১৯৮১ সাল থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা হচ্ছে সর্বোচ্চ। জাপানের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে ৩ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আর তা হচ্ছে সেই বছরে মোট মৃতের সংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।

কিছু উপাত্ত অনুযায়ী, প্রতি ১ লক্ষ জনে ক্যান্সারে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে জাপানে প্রায় ৬ গুণ বেশি। এইসব উপাত্ত থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার সংখ্যা ইউরোপ ও আমেরিকায় হ্রাস পেলেও জাপানে বেড়ে চলেছে। এর সম্ভাব্য একটি কারণ হচ্ছে জাপানের প্রবীণ সংখ্যাধিক্য সমাজ। জাপানের জাতীয় ক্যান্সার কেন্দ্র থেকে পাওয়া উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, প্রবীণ ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেশি। ৭০ থেকে ৭৪ বছর বয়সী প্রবীণদের মধ্যে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ৫০ থেকে ৫৪ বছর বয়সী লোকের মধ্যকার ক্যান্সার রোগীর সংখ্যার প্রায় চার গুণ।

অন্যান্য সম্ভাব্য কারণের মধ্যে খাদ্য তালিকায় আরও বেশি পাশ্চাত্য-ধাঁচের খাবারের মত জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং ক্যান্সার পরীক্ষা-নিরীক্ষার নিম্ন পরামর্শ হার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জাপানি লোকজনের মধ্যে প্রায় ৪০% ক্যান্সারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে থাকেন।

জাপান সরকার এই বিষয়ে পরিবর্তন আনার জন্য বিভিন্ন প্রচারাভিযান চালু করছে। এইসব প্রচারাভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে পরামর্শ হার বাড়িয়ে ৫০% করা।