পঞ্চকন্যার পান্তা ইলিশ ও বৈশাখী শুভেচ্ছা

জাকজমক ও পরম আতিথেয়তায় গেল রোববার টোকিওর কিতা কূর কামি নাকাজাতোস্থ তাকিনাগাওয়া কুমিন কাইকানে প্রবাসীরা ভিন্নধারার জমজমাট বৈশাখী আড্ডায় সমবেত হয়েছিলেন। বাঙালীর গভীরের সংস্কৃতির চিরন্তন রূপটি নানাভাবে ধরা পড়েছিল বর্নাঢ্য আয়োজনের মাঝে। রকমারী খাবার ,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,হাস্য কৌতূকের মাঝে ঘরোয়া খেলাধূলা,উপস্হাপনা আর ছিল আয়োজকদের সহৃদয় আন্তরিকতা দিয়ে আতিথীদের বরন।

মূলতঃ পাঁচজন বধূ এই বিশাল কর্মযজ্ঞের কান্ডারী। বাইশ রকমের ভর্তা, ভাত,ইলিশ ভাজা সহ নানা স্বাদের বাহারী মূখরোচক খাবার,বিকেলের নানা পদের নাস্তা তৈরী করেছেন এনারা। তিন শতাধিক অতিথি
আপ্যায়নের আয়োজন থাকলেও প্রায় চার শতাধিক অতিথি খেয়ে তৃপ্ত হয়ে ঘড়ে ফিরেছেন। আয়োজক আর অতিথির মধ্যে আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি ছিল প্রানবন্ত মনে হয়েছে যেন স্বদেশে,স্বজনদের সাথেই যেন বৈশাখী আনন্দে সবাই মাতোয়ারা।
ওরা পাঁচজন, সাদ্ধি আহমেদ, শাহনাজ পারভিন শীলা, শায়লা হোসেন আন্নি, সাহারা আক্তার মিলি ও আফসানা তানি, ওরা প্রমান করলেন কেবলমাত্র বধূবেশে প্রবাসে সংসার ধর্ম পালন ছাড়াও কাজ করে উপার্জনের পাশাপাশি প্রবাস কমিউনিটির নানান আয়োজনে ওরা ভুমিকা রাখতে পারেন।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা পঞ্চকন্যার প্রশংসায় অভিভুত হয়ে জানালেন, নারী হয়ে আমিও গর্বিত ওনাদের এই সাফল্যে। সহযেগিতায় ছিল ওদের জীবন সংগীরা।

ইস্ত্রীরা রান্না করেছেন,ওরা বাজার করা আর অতিথি আপ্যায়নের ঝামেলা সামাল দিয়েছেন।

উদ্যোক্তা পঞ্চযূগল সেজেছেনও যথাযথ। পূরুষরা সাদা সবূজ পাঞ্জাবী , মেয়েরা বৈশাখী সাজে,লাল সাদা শাড়ী, রেশমী চূড়ি,মাথায় ফুলের মালা,অবলিলায় বল্লেন,আমারা উদ্যোগ নিলেও অনেক ভাই ভাবী আমাদের পাশে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওযায় আয়োজনটি সফল হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী কমিউনিটির প্রায় সকলেই সদলবলে এসেছেন।রাজনৈতিক,সামাজিক সকল সংগঠন,মিডিয়া কর্মী,জাপানে নতূন আসা একঝাক নবাগতদেরও দেখা মিলেছে।

জাপান সফরে আসা কজন সরকারী কর্মকতা প্রবাসীদের এই সমাগম দেখে বিস্মিত হয়ে এই প্রতিবেদককে জানালেন,এতটা প্রানের উচ্ছাস তো এখন দেশেও চোখে পড়েনা।

আনুষ্ঠানের নাম বৈশাখী পান্তা ইলিশ হলেও পান্তার দেখা মেলেনি।মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় দেশে ইলিশ নিষিদ্ধ তাই বেশ কজন ইলিশ খান নি। তবে ভর্তার সম্ভার ছিল চোখে পড়ার মতো। ভর্তার নামগূলোও লেখা ছিল চমৎকারভাবে।অনুষ্ঠানটিকে “বৈশাখী ভর্তা ইলিশ” ও বলা যেতে পারে।

এসো হে বৈশাখ এসো এসো
তাপস নিশ্বাস বায়ে,
মুমুর্ষকে দাও উড়ায়ে

সাদ্ধি-শীলা-আন্নি-মিলি-তানি,পাঁচ কন্যা তোমাদের অভিবাদন।