কান্নারও উপায় নেই, তাপমাত্রা যখন মাইনাস ৬৭ ডিগ্রি


Posted by admin on January 18
Posted in Uncategorized
কান্নারও উপায় নেই, তাপমাত্রা যখন মাইনাস ৬৭ ডিগ্রি
Posted by admin on January 16
Posted in Uncategorized
এবার সংবাদ বিশ্লেষণ। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে পূর্ব ইওরোপ সফরে গিয়ে রোববার বুলগেরিয়ায় শীর্ষ বৈঠক করেছেন। এর পর সার্বিয়া ও রুমানিয়া সফরে দু দেশের প্রধানমন্ত্রীদের সাথে তাঁর শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে যথাক্রমে সোমবার ও মঙ্গলবার। জাপান ও পূর্ব ইওরোপীয় দেশসমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা’র সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সাথে যোগ দিচ্ছেন পূর্ব ইওরোপীয় অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ, কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ ইকোনমিকস্’এর অধ্যাপক মাসাহিকো ইওশিই।
“বুলগেরিয়া ও রুমানিয়া ইওরোপীয় ইউনিয়ান ই ইউ’তে যোগ দিয়েছে ২০০৭ সালের ১লা জানুয়ারি। সার্বিয়া এখনও প্রার্থী, দেশটি এখনও ই ইউ’তে যোগ দিতে পারেনি। গণতন্ত্রায়ন, বিচার বিভাগের সংস্কার ও দুর্নীতি-বিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্বের কারণে বুলগেরিয়া ও রুমানিয়া, ই ইউ’র সদস্য দেশসমূহের মধ্যে লোকজনের অবাধ চলাচলে অনুমতি প্রদানকারী শেনগেন চুক্তির শরিক এখনও হতে পারেনি। এর অর্থ, দেশদুটিকে ই ইউ’র অন্য সদস্য দেশেরা ইউনিয়ানের পুরোদস্তুর সদস্য হিসেবে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি।
তবে জানুয়ারির শুরু থেকে বুলগেরিয়া ই ইউ পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। দেশটি এই দায়িত্ব পালন করবে জুন মাসের শেষ দিক পর্যন্ত। একই দায়িত্ব রুমানিয়া’র পালন করার কথা আগামী বছরের প্রথমার্ধে। এই পরিষদটি ই ইউ’র সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত। এর সভাপতি’র দায়িত্ব হচ্ছে আলোচনাকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়া এবং আলোচ্যসূচির সমন্বয়সাধন করা। সাধারণত প্রত্যেক সভাপতি দেশ আলোচনায় নেতৃত্ব দেওয়ার সময় নিজস্ব অভিনব বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদর্শনের চেষ্টা করে। বর্তমান সভাপতি বুলগেরিয়া সদস্য দেশসমূহকে, ইওরোপীয় ইউনিয়ানের ভবিষ্যত এবং ইউনিয়ানের মুদ্রা ইওরো’র স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা ছাড়াও, রুমানিয়া, বুলগেরিয়া, সাবেক যুগোস্লাভিয়ান দেশসমূহ এবং আলবেনিয়া সহ দক্ষিণপূর্ব ইওরোপীয় দেশসমূহ হিসেবে অভিহিত দেশগুলির সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিও আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে আহ্বান জানাচ্ছে। ই ইউ’র নতুন সদস্য বুলগেরিয়া ই ইউ পরিষদের সভাপতি’র দায়িত্বে আসীন হয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের প্রভাব বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এরকম সময়ে প্রধানমন্ত্রী আবে’র বুলগেরিয়া সফরকে আমি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ব’লে মনে করছি।
তাছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বুলগেরিয়া, রুমানিয়া এবং সার্বিয়া ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীরের পতন ঘটার পর থেকে মোটর গাড়ি শিল্পকে কেন্দ্র ক’রে ই ইউ’র উৎপাদন ঘাঁটি হিসেবে নিজেদের ভূমিকা ও গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করছে। এসব দেশে কম মজুরিতে বেশ সুদক্ষ কর্মী পাওয়া যায় অনেক। জাপানী মোটর গাড়ি ও অন্যান্য শিল্পের এসব দেশের বাজারে জায়গা ক’রে নিতে পারার ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। এই তিনটি দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের সাথে, যেখানে একটি জাপানি মোটর গাড়ি নির্মাতার কারখানা আছে। মোটর গাড়ির যন্ত্রাংশ উৎপাদনের মত ক্ষেত্রে জাপানের সাথে পূর্ব ইওরোপীয় দেশসমূহের সম্পর্ক জোরদার হয়ে উঠতে পারে। রুমানিয়া ও বুলগেরিয়া যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ভাল প্রসার ঘটেছে, সেখানকার কর্মীশক্তিকে কাজে লাগানোর নেটওয়ার্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও সহযোগিতার সম্ভাবনা আছে”।
সংবাদ বিশ্লেষণ শেষ হোল । জাপান ও পূর্ব ইওরোপীয় দেশসমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা’র সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করলেন পূর্ব ইওরোপীয় অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ, কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ ইকোনমিকস্’এর অধ্যাপক মাসাহিকো ইওশিই।
Posted by admin on January 15
Posted in Uncategorized
ঝড়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে উড়ে গেল ভবন!
Posted by admin on January 15
Posted in Uncategorized
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবেলায় পারষ্পরিক সহযোগিতার ব্যাপারে একমত হয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে এবং তার লিথুয়ানীয় প্রতিপক্ষ।
তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্র সফরের তৃতীয় ধাপে শনিবার মি: আবে লিথুয়ানিয়া এসে পৌঁছান।
লিথুয়ানিয়ার প্রধানমন্ত্রী সউলাস স্কুয়াভনেলিসের সংগে এক বৈঠকে মি: আবে তাকে এই মর্মে সতর্ক করেন যে উত্তর কোরিয়া এমন ধরণের ব্যালিষ্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে যা লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস পর্যন্ত পৌঁছুতে সক্ষম। তিনি উত্তর কোরিয়ার এই সক্ষমতাকে পুরো ইউরোপের জন্যই হুমকি রূপে বর্ণনা করেন।
প্রত্যুত্তরে মি: স্কুয়াভনেলিস বলেন, ঐতিহাসিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে লিথুয়ানিয়া জাপানের সাথে কৌশলগত মৈত্রী গড়ে তুলতে চায়।
বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ বৃদ্ধি করার বিষয়ে দু’নেতাই সম্মত হন। এছাড়াও অর্থনীতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবার মত বিষয়ে পারষ্পরিক সহযোগিতা প্রসারের ইচ্ছাও তারা এসময় ব্যক্ত করেন।
এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মি: আবে জোর দিয়ে বলেন, শান্তি এবং সমৃদ্ধির ভিত্তি হওয়া উচিত স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের মত মৌলিক মূল্যবোধগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পাশাপাশি বিশ্বকে মুক্ত এবং অবাধ রাখার মধ্য দিয়ে।
মি: আবে বলেন, উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ আরও বৃদ্ধি করে নেয়াসহ উত্তর কোরিয়ায় জাপানি নাগরিক অপহরণের বিষয়ে লিথুয়ানীয় নেতার সংগে তার অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
পিয়াং ইয়াং এর প্রতি জাপানের অবস্থানকে এসময় পরিপূর্ণভাবে সমর্থন করেন মি: স্কুয়াভনেলিস। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি এবং নিরাপত্তার প্রতি হুমকি কিংবা উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোন কার্যক্রম হতে বিরত থেকেই পরমাণু কর্মসূচির উন্নয়ন ঘটানো উচিত।
Posted by admin on January 14
Posted in Uncategorized
মহাকাশে ৩.৫ ইঞ্চি উচ্চতা বৃদ্ধি, ভুল তথ্যের জন্য জাপানি নভোচারীর দুঃখপ্রকাশ
Posted by admin on January 14
Posted in Uncategorized
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারোও কোওনো, রোহিঙ্গা মুসলমানদের দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের প্রস্তুতি প্রত্যক্ষ করতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চল সফর করেছেন।
মিঃ কোওনো, ভিন্ন কোন দেশের প্রথম মন্ত্রী হিসেবে আজ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে চড়ে রাখাইন রাজ্যে গিয়ে পৌঁছান।
গতবছর রোহিঙ্গা জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
প্রায় ১ হাজার রোহিঙ্গার বসবাস থাকা গ্রামটিতে মিঃ কোওনোর কাছে মিয়ানমারের সরকারী কর্মকর্তারা, সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেয়া বাড়িঘরগুলোর পুনর্নির্মাণ প্রচেষ্টার বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন।
তিনি, গ্রামবাসীদের কাছে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সম্পর্কে শোনেন।
এরপর মিঃ কোওনো, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত থাকা এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি, রোহিঙ্গা শরনার্থীদের দেশে ফেরার সময় ব্যবহার করতে যাওয়া নদীর উপর স্থাপিত একটি সেতু এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার একটি সরকারী স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
সাংবাদিকদের কাছে মিঃ কোওনো, অধিকাংশ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি, পরিস্থিতি খুবই মারাত্মক এবং প্রত্যাবর্তনকারী শরণার্থীদের জীবনযাত্রার পুনর্গঠনে সহায়তা করতে অনেক কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি, বিভক্ত সমাজগুলোর পুনর্মিলনে সহায়তা করতে জাপান সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করবে বলে জানান।
Posted by admin on January 10
Posted in Uncategorized
মহাকাশে গিয়ে ৯ সেন্টিমিটার উচ্চতা বাড়ল নভোচারীর
Posted by admin on January 6
Posted in Uncategorized
১ বছরের ছোট-বড় যমজ ভাই-বোন!
Posted by admin on January 6
Posted in Uncategorized
শিশুর ডিএনএ থেকে জানা গেল প্রথম আমেরিকানদের ইতিহাস
Posted by admin on January 4
Posted in Uncategorized
ঢাকায় দু’টি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ : এখনো অনুমতি পায়নি বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশের প্রস্তুতি ৫ জানুয়ারি। ২০১৪ সালে এই দিনে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখনো দেশ-বিদেশে চলছে বিতর্ক। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে প্রতিবছর দেশের বড় দুই দল দিবসটি পালন করে বিপরীত মেরু থেকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিবসটি পালন করে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ হিসেবে। আর মাঠের বিরোধী দল বিএনপি দিবসটি পালন করে ‘গণতন্ত্র হত্যা’। ২০১৫ সালে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বাধা দেয়ায় টানা ৯২দিন হরতাল-অবরোধ হয়েছে।
সেই ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন। ওইদিন নিজ নিজ দলীয় কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বিএনপির বর্জন ও বিরোধীতার মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ১৫৩ আসনে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। যে আসনগুলোতে ভোট হয়েছে সেখানেও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সামান্যই। সংবিধান রক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে দলটি। অন্যদিকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। ওই নির্বাচনে গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে উল্লেখ করে দিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তারা। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকেই ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক অঙ্গন। দিনটিতে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। কখনো একই স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা, কখনো বা পাশাপাশি স্থানে সমাবেশ করতে চাইলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীসহ সারাদেশেই। দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষেরাও।
বিগত দিনগুলোর মতো এবারও একই দিনকে পৃথক দিবস হিসেবে পালন করতে মাঠে নামছে দল দুটি। গতবার একই স্থানে কর্মসূচি পালন করতে চাইলেও এবার পৃথক পৃথকভাবে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলের নেতারা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে চাইলেও সেখানে অনুমতি পাচ্ছে না বিএনপি। ইতোমধ্যে সেখানে ইসলামিক ইউনাইটেড পার্টিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তবে আশা ছাড়ছেনা বিএনপি। গতকাল পর্যন্তও বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। কোন কারণে সোহরওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে না দিলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। সেখানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চিঠিও দেয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে।
অন্যদিকে ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবসে রাজধানীতে দুটি স্থানে সমাবেশ পালন করবে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর সমাবেশ করবে বনানী খেলার মাঠে। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে। এই সমাবেশেও প্রধান অতিথি থাকবেন ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র নেতারা এ জনসভায় বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন মহানগর দক্ষিণের নেতারা।
বিএনপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করতে চায় তারা। সমাবেশের জন্য ২ জানুয়ারি গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপির আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য চাওয়ায় ইসলামিক ইউনাইটেড পার্টিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বিএনপি এটিকে সরকারের হীন পরিকল্পনার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই উল্লেখ করেছে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপিকে ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করার জন্য এখনো অনুমতি দেয়নি পুলিশ। গণমাধ্যম সুত্রে জানতে পারলাম সেখানে ৫ জানুয়ারি একটি অখ্যাত ও অজানা একটি দলকে নাকি অনেক আগেই জনসভার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে যে দলটি জনগণের ভোটে বার বার ক্ষমতায় থেকেছে, যে দলটি বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ব করে, সে দলটির আবেদনকে পাশ কাটিয়ে অনেক আগেই অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ যে কথা বলছে সেটি সরকারের হীন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ। এটি সরকারের হিংসাপরায়ণ নীতির একটি অংশ। তবে কোন কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ না পেলে নয়াপল্টনেও সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি আমরা। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পেলে সেখানে সমাবেশ করবে। তা না হলেও নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি আছে। এই সমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন বলে তারা জানান। এজন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হিসেবে নয়াপল্টনের সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রিজভী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই-সরকার বিএনপি’র গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানাবে। সমাবেশের অনুমতি দিয়ে বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ করে দিবে। যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেয়া হয় তাহলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী ৫ জানুয়ারি সমাবেশের অনুমতি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
Posted by admin on January 4
Posted in Uncategorized
২০২০ সালের অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিকের প্রস্তুতি জোরদার করে নিচ্ছে টোকিও পৌরসরকার।
অলিম্পিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের মাত্র দুই বছর সময় হাতে থাকায় টোকিও সরকার কয়েকটি নতুন স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে দেয়ার পরিকল্পনা করছে।
একই সাথে বিদ্যমান স্থাপনাগুলোকে সংস্কারের পরিকল্পনা করছে তারা। এর মধ্যে শিবুইয়া ওয়ার্ডের একটি জিমখানা অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। টেবিল টেনিস খেলার স্থান হিসাবে একে ব্যবহার করা হবে। কোতো ওয়ার্ডের একটি সাঁতার কেন্দ্রও এতে অর্ন্তভুক্ত যেখানে ওয়াটার পোলো ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন যে জুলাই মাস থেকে জিমখানাটি বন্ধ রাখা হবে। নভেম্বর মাসের শেষ নাগাদ সাঁতার কেন্দ্রটি বন্ধ করা হবে যাতে করে সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেয়া যায়।
অলিম্পিক ক্রীড়া স্থানে পৌঁছানোর জন্য দুই নম্বর রিং রোডটি হবে প্রধান এক প্রবেশ রাস্তা। তবে সুকিজি মাছের বাজার স্থানান্তরকরণে বিলম্ব হওয়ায় নির্মাণ সময়সূচী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন যে ক্রীড়া চলাকালীন ক্রীড়াবিদদের পরিবহন এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের মোতায়েনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হবে।
Posted by admin on January 2
Posted in Uncategorized
নতুন বছর উপলক্ষ্যে মধ্য টোকিওর একটি শিনতো মন্দিরে ২০১৮ সালকে ঘিরে শুভ কামনার জন্য অসংখ্য প্রার্থনাকারীর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মধ্যরাতে ঘড়ির কাটা স্পর্শ করার আগেই এসব প্রার্থনাকারী মেইজি জিংগু মন্দিরে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করতে থাকেন।
নতুন বছরের আগমনী ঘণ্টা বেজে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই পুণ্যার্থীরা বেড়া দেয়া নির্ধারিত স্থানে অর্থকরী নিবেদন এবং প্রার্থনা করেন।
পরিদর্শনকারীরা সেখান থেকে বিভিন্ন মাঙ্গলিক সামগ্রী কিনে আনতে পারেন এবং ভাগ্য লেখা চিরকুট দেখতে পারেন।
মেইজি জিংগু মন্দিরের কর্মকর্তারা বলেন, নতুন বছরের প্রথম ৩ দিনে ৩০ লাখ পুণ্যার্থীর আগমন ঘটবে বলে তারা ধারণা করছেন। এই সংখ্যা নতুন বছরের সময় জাপানের অন্যান্য যে কোন শিনতো বা বৌদ্ধ মন্দিরে যাওয়া পুণ্যার্থী সংখ্যার চেয়ে বেশি বলে মনে করা হয়।
Posted by admin on January 2
Posted in Uncategorized
হযরত আলী রা.
হযরত উসমান রা.-এর শাহাদতের পর সাহাবীগণ হযরত আলী রা.-কে খলীফা নিযুক্ত করেন। সে সময় মদীনায় বিদ্রোহীদের একচ্ছত্র প্রভাব ছিল। তাদের প্রতিহত করার কেউ ছিল না। এরাও হযরত আলী রা.-এর সাথে যোগ দেয়। কিন্তু তাদেরকে বের করে দেওয়ার শক্তি তাঁর ছিল না। ফলে তিনি তাদের ব্যাপারে নীরব থাকলেন।
খেলাফত লাভের পর হযরত আলী রা. কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হলেন। লোকেরা তাঁর কাছে হযরত উসমান রা.-এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করত। হযরত আলী রা.-এরও এমনটি ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বিদ্রোহীরা চারপাশে এমনভাবে ছড়িয়ে ছিল যে, তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা তো দূরের কথা, মুখে কিছু বলাও কঠিন ছিল। তাই তিনি তাদেরকে বোঝাতে লাগলেন, একটু অপেক্ষা কর। অবস্থার একটু পরিবর্তন হলেই বিদ্রোহীদের দেখে নেওয়া হবে। কিন্তু কিছু মানুষ আলী রা.-এর অপারগতা বুঝল না বা বুঝতেই চাইল না। ফলে তাদের পিড়াপিড়ি ধীরে ধীরে বাড়তেই লাগল। আর হত্যাকারীরা যেহেতু আলী রা.-এর দলে যোগ দিয়েছে এজন্য কেউ কেউ এই ধারণা করতে লাগল যে, আলী রা. কিসাসের ব্যাপারে টালবাহানা করছেন। তারা মক্কায় গিয়ে হযরত আয়েশা রা.-কে বলল, হযরত উসমান রা.-কে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ কেউ তার হত্যার প্রতিশোধ নিচ্ছে না। এ কথা শুনে হযরত আয়েশা রা. বড়ই কষ্ট পেলেন এবং হযরত তালহা ও যুবায়ের রা.-কে সাথে নিয়ে নিজেই হযরত উসমান রা.-এর হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রওনা হয়ে গেলেন।
হযরত আলী রা. পরস্পরে ঝগড়া-বিবাদ পছন্দ করতেন না। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে আর কীইবা করার ছিল। একদিকে হত্যকারীরা ছিল তার আয়ত্তের বাইরে। অন্যদিকে হযরত আয়েশা রা. ও অন্যরা হত্যাকারীদের প্রতিশোধ নিতে উৎসাহী ছিলেন।
মোটকথা, উভয়পক্ষের সৈন্যরা বসরার দিকে অগ্রসর হল। বসরা ছিল আরবের সবচেয়ে বড় সেনাছাউনি। উভয় পক্ষ মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথমে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হল। যেহেতু উভয় পক্ষেরই নিয়ত সঠিক ছিল এজন্য দ্রুতই বিষয়টির সুরাহা হয়ে গেল। উভয় পক্ষের লোকেরা রাতের বেলা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ল। কিন্তু সাবায়ীরা মুসলমানদের ঐক্য ও সমঝোতা কীভাবে মেনে নিতে পারে? তাছাড়া তাদের বড় আশঙ্কা ছিল যে, যদি পরস্পর সমঝোতা হয়ে যায় তবে তাদের ক্ষতি হয়ে যাবে। এজন্য তারা সিদ্ধান্ত নিল কোনোক্রমেই যেন সমঝোতা পূর্ণতা না পায়। তাই রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ল তখন সাবায়ীরা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিল যে, তাদের কিছু লোক হযরত আলী, হযরত যুবায়ের, হযরত তালহা, হযরত আয়েশা রা.-এর তাঁবুর আশপাশে অবস্থান নিবে। আর বাকিরা উভয় পক্ষের লোকদের উপর আক্রমণ করবে। যখন চারদিকে শোরগোল শুরু হবে আর হযরত আলী রা. অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন তাকে বলা হবে যে, হযরত আয়েশা রা.-এর সৈন্যরা হামলা করেছে। তেমনিভাবে যখন হযরত আয়েশা রা. কিংবা হযরত তালহা ও যুবায়ের রা. জানতে চাইবেন তখন বলা হবে, হযরত আলী রা.-এর সৈন্যরা আক্রমণ করেছে। এভাবে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যাবে।
জঙ্গে জামাল
সাবায়ীদের বৈঠকে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হওয়ায় তারা সবাই বেশ সন্তুষ্ট হয় এবং ভোর হওয়ার আগেই তারা উভয় দলের উপর আক্রমণ করে বসে। আলী রা. জানতে চাইলে তারা বলে, হযরত আয়েশা রা.-এর লোকেরা আক্রমণ চালিয়েছে। আর হযরত আয়েশা রা. জানতে চাইলে বলে, হযরত আলী রা.-এর লোকেরা আক্রমণ করেছে। যার ফলাফল এই দাঁড়াল যে, উভয় পক্ষের লোকেরা ক্রোধান্বিত হল এবং সকাল হওয়ার সাথে সাথেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হল। সারাদিন উভয় পক্ষের মাঝে তুমুল লড়াই চলল। অবশেষে যখন শামের নিকটে হযরত আয়েশা রা.-এর উষ্ট্রী মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল তখন সংঘর্ষ শেষ হল। কিন্তু এতক্ষণে প্রায় দশ হাজার মানুষের প্রাণ ঝরে গেল। হযরত তালহা রা. ও হযরত যুবায়ের রা.ও শাহাদত বরণ করলেন।
আমর ইবনে জুরমুযান হযরত যুবায়ের রা.-এর মাথা কেটে আলী রা.-এর সামনে রাখল। সে ভেবেছিল, হয়ত এ কারণে তাকে অনেক পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত করা হবে। কিন্তু হযরত আলী রা. তা দেখেই কেঁদে উঠলেন এবং বললেন, যুবায়ের-এর হত্যাকারীকে জাহান্নামের সুসংবাদ দিয়ে দাও।
সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর হযরত আলী রা. হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট উপস্থিত হলেন এবং পরস্পরে মীমাংসা করে নিলেন। এরপর হযরত আয়েশা রা. মদীনা অভিমুখে রওনা হলেন। বিদায়ের সময় হযরত আলী রা. নিজে কয়েক মাইল পর্যন্ত সাথে গেলেন এবং হযরত হাসান ও হযরত হুসাইন রা.-কে নিরাপত্তার জন্য হযরত আয়েশা রা.-এর সাথে মদীনায় পাঠিয়ে দিলেন।
টীকা : উটের আরবী শব্দ হল জামাল। এ কারণে এই যুদ্ধকে জঙ্গে জামাল বলা হয়।
(অনুবাদ : আবদুল্লাহ ফাহাদ)