জাপানের কোওনোতোরি মহাকাশ যান
মনুষ্যবিহীন মালবাহী মহাকাশ যান কোওনোতোরি জাপান তৈরি করেছে এবং ভূমণ্ডলের ৪০০ কিলোমিটার ঊর্ধ্বে পরিক্রমণরত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সরবরাহ নিয়ে যাওয়ার জন্য এটা নির্মাণ করা হয়। সিলিন্ডার আকৃতির নভোযানটির দৈর্ঘ্য ১০ মিটার, ব্যাস ৪.৪ মিটার এবং আকারে এটা বড় একটি বাসের মত।
সর্বশেষ কোওনোতোরি ৭ মডেলের মহাকাশ যান ৬ টনের বেশী মালামাল বহনে সক্ষম, যে পরিমাণ হচ্ছে বিশ্বের অন্য মহাকাশ যানগুলোর চাইতে বেশি। জাপানের তৈরি একটি এইচ-টু বি রকেটে করে পানি, খাদ্য ও কাপড়-চোপড়ের মত দৈনন্দিন সরবরাহ ও সেই সাথে বৈজ্ঞানিক গবেষণার যন্ত্রপাতি নিয়ে মহাকাশের পথে এটাকে উৎক্ষেপণ করা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের একটি জাপানি গবেষণাগারে সরবরাহ পাঠানো ও সেই সাথে মহাকাশ স্টেশনের পুনঃ সরবরাহে সাহায্য করায় দেশের করা আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণ করতে বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে জাপান মালবাহী নভোযান নির্মাণ শুরু করে। কোওনোতোরি সিরিজের প্রথম নভোযানটি ২০০৯ সালে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং এরপর থেকে জাপান এরকম ৭টি নভোযানের সব কয়টি সাফল্যের সাথে উৎক্ষেপণ করেছে।
কোওনোতোরিতে মানব ক্রু না থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এটা ভিড়বে বলে মানব-বাহী প্রতিপক্ষের সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান পূরণ করার মত করে এর নকশা করা হয়। জাপানের মহাকাশ এজেন্সি জাকসা বিভিন্ন সামগ্রী পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার ক্যাপসুল নিয়ে পরবর্তী গবেষণা চালানো সহ কোওনোতোরি পরিচালনা করা এবং এটা আরও উন্নত করে নেয়া অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা করছে। জাপান সরকারের বিবেচনা করে দেখা ২০২০ সালের মত দ্রুত এক সময়ে আন্তর্জাতিক চন্দ্রাভিযানে অংশ নেয়ার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে মনুষ্যবাহী মহাকাশ যান তৈরির অপেক্ষায় এজেন্সি আছে।