বাঁদরের কাহিনী
২০১৬ হলো বানরের বছর। জাপান হলো বিভিন্ন বুনো বানরের আবাসস্থল যা ম্যাকক নাম পরিচিত। এখন চলছে তাদের মিলন মৌসুম, কিন্তু বানরদের সম্পর্ক গুলো বোঝা বেশ জটিল।
ওইতা প্রিফেকচারের মাউন্ট তাকাসাকি বানরদের জন্যে বিশেষ ভাবে পরিচিত। দু’টি গ্রুপে সেখানে প্রায় ১.৫০০ বানর রয়েছে। দর্শনার্থীরা পার্কে এসে বানরদেরকে বিভিন্ন ধরনের খাবার দেন -সেই সুযোগে তাদেরকে দেখে নেন কাছ থেকে।
মাউন্ট তাকাসাকি’র অন্যতম প্রভাবশালী একটি বানর “জোরোমে”, বয়স তার ২৯, মানুষের হিসেবে ধরলে তার বয়স হয় ৯০ এর বেশি।
গ্রুপের প্রবীণতম বানর হিসেবে স়ে অন্যান্য বানরদের কাছ থেকে যথেষ্ট সম্মান পেয়ে থাকে। তবে গত ক’বছর ধরে জোরোমে মেয়ে বানরদের কাছ থেকে খুব একটা সাড়া পাচ্ছেনা, অর্থাৎ কিনা তরুণীরা তাকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেনা।
তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের দ্বিতীয় স্থানের বানর ওমুগি, বয়স তার ১৪, মানুষের সাথে তুলনায় বয়স দাঁড়ায় ৪০ এর মতো। তার মধ্যে রয়েছে পৌরুষদ্বীপ্ত একটা হ্যান্ডসাম ভাব। বিভিন্ন সময় তার রয়েছে উদ্ধত ভাব।
এই শীতকালে জোরোমে এবং ওমুগি একই তন্বী তরুণীর পিছে ঘুরছে। তরুণীটি হলো ১৪ বছরের মিলসা। মিলসা দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় তরুণী। জোরোমে মিলসার কাছাকাছি আসতে তার সর্বোত্তম চেষ্টা করেছে, অকারণ তার পিছে গাছে গাছে ঘুরেছে, ফল হয়নি দেখে অনন্যোপায় হয়ে তাকে চুমু দেওয়ারও চেষ্টা করেছে -কিন্তু তার এই শেষ চেষ্টাও কোনো ফল দেয়নি বেচারার জন্যে।
শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে কিনা দলের দ্বিতীয় বানর ওমুগী। মিলসা তার সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছে যুবক ওমুগিকে। জোরোমে হয়তো দলের নেতা কিন্তু ডেটিং সার্ভিসের জন্যে সে এখন বায়ো:বৃদ্ধ, আজকালকার তরুণীরা তাকে বর হিসেবে আর তেমন পছন্দ করছেনা।