জাপানি বিজ্ঞানীরা শুক্র গ্রহের তাপমাত্রা বৈচিত্রের রহস্য সমাধান করতে চলেছেন
জে এ এক্স এ শুক্র গ্রহের মেরুর উপরে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কেন গ্রহের আশপাশের এলাকার চেয়ে বেশি সেই রহস্যের সমধান করতে চলেছেন।
ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক জার্নাল নেচার কমিউনিকেশনস এ ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ তাদের এই নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি’র গবেষকরা বলেছেন তাপমাত্রার এই বৈচিত্রের কারণ সম্ভবত: বিপুল বায়ু স্রোত বিষুবরেখা থেকে উত্তর ও দক্ষিণে বহমান।
গবেষকরা আশা করছেন এপ্রিল থেকে যখন জে এ এক্স এ’র নভোযান আকাৎসুকি শুক্র গ্রহের উপর পূর্ণমাত্রায় সমীক্ষা শুরু করবে তখন এ বিষয়ে বিশদ জানা সম্ভব হবে।
“পর্যবেক্ষণের সঠিকতার পরিমান বাড়িয়ে পৃথিবীর এবং শুক্র গ্রহের বায়ুমন্ডলে কেন পার্থক্য তা উদঘাটনের প্রত্যাশা করছি আমরা” জে এ এক্স এ’র গবেষক দলের হিরোকি আনদো বলেন।
গ্রহের ১২০ কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলীয় আন্দোলন থেকে গবেষক দলের কম্পউটার সিমুলেশন থেকে দেখা যায় সেখানে ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় বিষুবরেখা থেকে বিপুল পরিমান বায়ুর স্রোত উত্তর ও দক্ষিণে গমন করে।
দুই মেরুর উপর বায়ুমন্ডলের এই স্রোত শক্তিশালী অধ:স্রোতের সৃষ্টি করে। যেহেতু স্রোত নিম্নমুখী তাই বায়ুমন্ডল সংকুচিত হয়ে পড়ে ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় -বিজ্ঞানীরা জানান।
পৃথিবী এবং শুক্র গ্রহের মধ্যে বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতির পার্থক্য ব্যপক। শুক্র গ্রহের বায়ুমন্ডলের বেশিরভাগ কার্বন ডাইঅক্সাইড দিয়ে গঠিত এবং গ্রহে উচ্চ গতির বাতাস প্রবাহিত হয়।
উল্লেখ্য ১৯৭০ সালে একটি নভোযান গ্রহটির মেরুর ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার উচ্চতা হতে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে, মেরুর উপরের তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রি পাওয়া যায় যা আশেপাশের এলাকা থেকে ২০ ডিগ্রি বেশি।