শিশুদের ব্যবহারে স্মার্টফোনঃ কমে যাচ্ছে শিক্ষার গ্রেড

তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ধক্য ও ক্যান্সার বিভাগের অধ্যাপক রিউতা কাওয়াশিমা বলেছেন “যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে আমরা একটি গুরুতর সমস্যার মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। আজকের শিশুরা স্মার্টফোনের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে এবং তাদের দাসে পরিণত হচ্ছে -বলাটা মোটেই অতিরঞ্জিত হবে না”

শুকান শিনচো’তে লেখা এক প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে যে স্মার্টফোন শিশুদের কোমল মনের উন্নয়ন সহায়ক নয়।

শিশুরা তাদের মোবাইল ডিভাইস গুলোর উপর এতোটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, ওয়েব কনসালটিং এসোসিয়েশনের পরিচালক মাসাশি ইয়াসুকাওয়া বলেন “যখন এরা বড় হবে ক্লাসের পুনর্মিলনীতে তারা আর কারো সাথে কথা বলবে না”।

২০১৩ সালে রিক্কিইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফলে গুরুতর রকমের ফলাফল দেখা গেছে। যারা দৈনিক ৩০ মিনিট বা তার কম স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে তারা পরীক্ষায় গড়ে ৬০.৭% নম্বর পেয়েছে অপর দিকে যারা দৈনিক ৪ বা তারও বেশি ঘন্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের গড় নম্বর ৪৩.৬%।

১২৪টি প্রাইমারি স্কুলের ১৭ হাজার শিক্ষার্থী এবং ৬৩টি মাধ্যমিক স্কুলের ২৫ হাজার শিক্ষার্থী জরিপে অংশ নেয়।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের যে সব শিক্ষার্থীরা দৈনিক এক ঘন্টা বা তার কম স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেছে তারা গড়ে ৬৫র বেশি নম্বর পেয়েছে, অপরদিকে দৈনিক ৪ ঘন্টা বা তার বেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা ৫৫র কম নম্বর পেয়েছে।

জাপানি, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি সহ সব বিষয়েই স্মার্টফোন ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা ব্যবহার না করা শিক্ষার্থীদের পেছনে পড়ে গেছে।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে কাওয়াশিমা বলেন, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মস্তিস্কের উপর প্রভাব ফেলছে -এ কথাটিকে আর উড়িয়ে দেয়ার উপায় নেই।

সাংবাদিক তোশিমাসা ওতা বলেন “এখন হয়তো সময় এসেছে ভাববার যে আসলেই আমাদের স্মার্টফোনের প্রয়োজন রয়েছে কিনা”।