• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • রোহিঙ্গাদের কান্নার ঢেউ টেকনাফে

    আমার ছয় ছেলের মধ্যে তিন জনকে একসঙ্গে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আবুইয়া নামের এক নাতিকে চোখের সামনে গলাকেটে হত্যা করেছে তারা। এতে আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। কোনও উপায় না দেখে এক নাতির সহায়তায় এইখানে (নো-ম্যানস ল্যান্ডে) আসি। আশির দশকে মিয়ানমার জান্তা সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন দেখেছি। নব্বই দশকের বর্বরতাও দেখেছি। কিন্তু এবারের মতো এত ভয়াবহ বর্বরতা আগে কখনও দেখিনি। গত তিন দিন ধরে রাখাইন রাজ্যে যেভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে, এতে মনে হয় রাখাইন রাজ্য মরুভূমিতে পরিণত হবে।’ হাউমাউ করে কান্না জড়িত কণ্ঠে একথাগুলো বলেছেন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে জলপাইতলীর নো-ম্যানস ল্যান্ডে থাকা ৭০ বছর বয়সী রশিদ আহমদ। অন্যদিকে, ঢেঁকিবনিয়ার মিয়ারপাড়া গ্রামের একটি ফোরকানিয়া মাদরাসায় শিক্ষক জুনায়েদ আহমদকে আটক করে গত সোমবার তার সামনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মাদরাসাটি । অসহায় রোহিঙ্গা ববর্রময় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে জীবন নিয়ে কৌশলে পালিয়ে ধামনখালী সীমান্ত দিয়ে আসেন বাংলাদেশে । এটি বাংলাদেশের সীমান্তে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গার জীবনের করুন গল্প। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, এখনো চলছে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে সেনাবাহিনীর তান্ডব। প্রতিদিন জ্বলছে আগুন, ফাটছে বোমা, ঝরছে রক্ত, পোকামাকড়ের মতো মরছে মানুষ। যাকে যেভাবে পাচ্ছে হত্যা করা হচ্ছে নির্মমভাবে। চলছে গণধর্ষণ। হেলিক্প্টার থেকে শত শত রাউন্ড মর্টার ও গুলি বর্ষণও করা হচ্ছে। নিহতদের শোকে বাকরুদ্ধ আত্মীয়স্বজন। চারদিকে কান্নার শব্দ। স্বজনের লাশ পেছনে ফেলে রুদ্ধশ্বাসে পালাচ্ছে মানুষ। আবার পালাতে চেষ্টা করা হলে পিছন থেকে করা হচ্ছে গুলি। যারা গোলাগুলির শিকার হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই নারী ও মায়ের কোলের শিশু। মায়ের কোল থেকে শিশু ছুড়ে ফেলা হচ্ছে জ্বলন্ত আগুনে। পদদলিত করে দুই দিনের শিশু খুন করতে কুণ্ঠাবোধ করছে না তারা। এইসব রোহিঙ্গার বেঁচে থাকার স্বপ্ন দিন দিন ফুরিয়ে আসছে। নির্বিচারে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারীধর্ষণ, লুন্ঠনের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে সহায় সম্পত্তি ফেলে মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজছে সহায়হীন অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এ কারণে রাখাইন রাজ্য থেকে আজও পালিয়ে আসছে হাজার মানুষ। রোহিঙ্গারা বলছেন, যুদ্ধ নয় গণহত্যার নতুন অধ্যায় শুরু করেছে সে দেশের সরকারি বাহিনী। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে উগ্রপন্থী বৌদ্ধ ও রাখাইন স¤প্রদায়। এইসব বাহিনী এবারে একচেটিয়াভাবে রোহিঙ্গাদেরকে গণহত্যা করে রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধদের পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করছে উদ্যোগ নিয়েছে। হাজার বছরের রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাসকে ধুলোয় মুছে দিতে গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী কাজ করছে জাতিসঙ্ঘের আহ্বানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চালাচ্ছে নির্যাতন।
    আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য নিয়ে ডেস্ক রিপোর্ট
    শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে জানায়, আরাকান জুড়ে এখন যেন এক অগ্নিকুন্ড। খুন, ধর্ষণ ও ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ায় রোহিঙ্গারা না পারছে সেখানে প্রাণ বাঁচাতে আর না পারছে সীমান্তে বাধার কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে। রোহিঙ্গারা এখন উভয় সঙ্কটে। গত বৃহষ্পতিবার থেকে আরাকান জুড়ে গণহত্যা শুরু করেছে মিয়ানমার সেনা বাহিনী। এই সময়ের মধ্যে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা নারী-শিশু-পুরুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়াগেছে। শত শত ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে গোটা আরাকানকে করা হয়েছে এক বিরান ভূমি।
    ইতোমধ্যে এই বর্বরতা নাড়া দিয়েছে বিশ্ববিবেক। এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ, জাতিসঙ্ঘ এবং ইরান। দাবী জানানো হয়েছে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধের এবং তাদের আশ্রয় ও মানবিক সাহায্য দেয়ার। বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে সন্ত্রাস দমনে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছে। মিয়ানমার এই প্রস্তাব গ্রহণ করলে বহু রোহিঙ্গার জীবন রক্ষা হবে। কিন্তু মিয়ানমার সেই প্রস্তাব কখনো গ্রহণ করবে এমন কোন আলামত দেখা যাচ্ছেনা। এতে বুঝাযাচ্ছে মিয়ানমারের উদ্দেশ্য সন্ত্রাস দমনের নামে রোহিঙ্গা জাতিসত্বানিধন তথা রোহিঙ্গাদের আরাকানের মাটি থেকে উৎখাত করা। যৌথ অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থাকলে যেমন বেসামরিক মানুষ ও জান মালের ব্যাপক ধ্বংস সাধন সম্ভব হবেনা তেমনি রোহিঙ্গা গণহত্যার সাক্ষী থাকবে।
    গত কয়েকদিনে দশ সহস্রাধিক রোহিঙ্গা বিজিবির নজরদারী ফাকিঁ দিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বলে জানাগেছে। আরো কমপক্ষে বিশ হাজার রোহিঙ্গা নারী-–শিশু-পুরুষ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অর্ধাহারে অনাহারে খোলা আকাশের নীচে অপেক্ষা করছে। বিভিন্নভাবে আহত এসব রোহিঙ্গাদের মাঝে ব্যাপকভাবে খাদ্যাভাব ও ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে।
    এদিকে গুলিবিদ্ধ ৭জন রোহিঙ্গা এপর্যন্ত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। মিয়ানমারে এপর্যন্ত এক হাজারের অধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার সেনা-পুলিশ ও মগদের হাতে নিহত হবার খবর জাগেছেন।
    পশ্চিম ও উত্তর আরাকানের গ্রাম গুলো অগ্নি সংযোগ কালে পলিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের গুলি ও মটার শেল নিক্ষেপ করলে এসব গুলা বাংলাদেশ সীমান্তে আঘাত করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে করে বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সীমান্ত এলাকার সব স্কুল, মাদরাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার মসজিদ গুলোতেও মুসল্লি যাতায়াত কমেগেছে। মানুষের স্বাভাবিক যাতায়তে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানাগেছে।
    রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ যে কোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। নাফনদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে মিয়ানমার পুলিশ বিজিপি’র সদস্যরা টেকনাফ সেন্টমার্টিন যাতায়াতকারী নৌযান গুলোতে তল্লাশী করছে বলে জানিয়েছেন যাতায়াতকারীরা। এভাবে বাংলাদেশ ভূখন্ডে ঢুকে নৌযান গুলোতে বিজিপির তল্লাশী চালানোর মত ষ্পর্ধা দেখানো আতঙ্কজনক বলেই মনে করছেন সচেতনমহল। সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌপথে চলাচলকারী ১৮টি যাত্রীবাহী ট্রলার রয়েছে। ট্রলারগুলো প্রতি দিনই টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌপথে চলাচল করে। মাঝ পথে বিজিপির তল্লাশীর কারণে সেন্টমার্টিনদ্বীপের বাসিন্দাগণের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।
    উখিয়ার পালংখালী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোজাফফর আহমদ বলেন, নাফ নদী পার হয়ে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নদীর পারে অবস্থান করছে। ওপারে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছি। শুধু তাই নয় শোনা যাচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের কান্নার আওয়াজ। রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই থেমে থেমে গুলির শব্দ এবং আগুনের শিখাও দেখা যাচ্ছে।
    চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এক তরুণীসহ আরও ৫ জনকে। এরা সবাই সেনা অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ নিয়ে গত ৪ দিনে আহত ২১ রোহিঙ্গাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। সোমবার গভীর রাতে খালেদা আকতার (১৭) ও মামুনুর রশিদ (১৯) নামে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দীন জানান, খালেদা আকতার মংডুর তুমব্রু এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে। মামুনুর রশিদ ডাংশার নেমাই এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে।
    চিকিৎসকেরা জানান, এ দু’জনের শরীরে বুলেটের আঘাতের পাশাপাশি আগুনে পোড়ার চিহ্নও রয়েছে। তার আগে গুলিবিদ্ধ আরও ৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তারা হলো- মংডু থানার দিয়াতলী এলাকার মোঃ আলীর ছেলে জোনায়েদ (১৫), একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জয়নাত উল্লাহ ও হোসেন আহমদের ছেলে খালেদ হোসেন (২৭)। এরা সবাই গুলিবিদ্ধ। আহত ও তাদের স্বজনরা জানান, সেনাবাহিনীর অভিযানে রোহিঙ্গা বসতিতে নির্বিচারে গুলির পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করা হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন অনেকে।
    বৃহস্পতিবার রাতে রাখাইনে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার পর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ওই রাতের হামলার জের ধরে এ পর্যন্ত কয়েকশ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। সেনা অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাড়িঘর নির্বিচারে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্তের পাহাড়-জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। যারা বাংলাদেশে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছে তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও আহতদের পাঠানো হচ্ছে।
    হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতাল থেকে বরাদ্দকৃত ওষুধের বাইরে যেসব ওষুধ প্রয়োজন তা কিনতে পারছেনা হতভাগ্য রোহিঙ্গারা। এতে করে তাদের চিকিৎসাও বিঘিœত হচ্ছে। কয়েকজনকে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে কোন আত্মীয় স্বজন নেই। যাদের আত্মীয় স্বজন আছে তাদেরও ওষুধ কেনার মতো কোন টাকা-পয়সা নেই।
    গুলিবিদ্ধরা হলেন- মামুনুর রশিদ (২৭), সাকের (২৭), সাদেক (২০), জাহেদ (২০), নুরুল আলম (১৫), আবুল কাসেম (২০) ও নুরুল আমিনকে (২২)। রাত ২টার দিকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়। রোববার সকালে চমেকে আনা হয় আরও চার রোহিঙ্গাকে। তারা হলেন-জিয়াবুল (২৭), মো. ইলিয়াছ (২০), মো. তোহা (১৬) ও মোবারক হোসেন (২৫)। তারও আগে আনা হয় গুলিবিদ্ধ তিনজনকে। এর মধ্যে একজন মারা যান। আহতদের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে নিয়ে আসা হয়। তাদের কক্সবাজার জেলা পুলিশের পাহারায় রাখা হয়েছে।

    জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ৮ উইকেট:অস্ট্রেলিয়ার দরকার ১৫৬ রান
    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট জয়ের জন্য তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮ উইকেট, অস্ট্রেলিয়ার দরকার ১৫৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রানে অলআউট হয়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৬৫ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১০৯ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
    দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৮৮ রানে এগিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। তাই তৃতীয় দিনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। গুরুত্বপূর্ণ দিনের শুরুটা চমৎকারই করেছিলেন তামিম। দিনের প্রথম বলেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্সকে বাউন্ডারি মারেন তিনি। একই ওভারের চতুর্থ বলেও আরও একটি বাউন্ডারি আদায় করেন তামিম।
    ২টি বাউন্ডারিতে দিনের শুরুতেই চাঙ্গা ভাব তামিমের। তাই দিনের তৃতীয় বাউন্ডারি আদায় করতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি। নিজের মুখোমুখি হওয়া ১১তম বলে আরও একটি চার হাঁকান তামিম। এবারও বোলার কামিন্স। এই বাউন্ডারিতেই বাংলাদেশের লিড তিন অংকে পৌঁছায়।
    তামিমের ব্যাটিং-এ সাহসী হয়ে উঠেন অন্য প্রান্তে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে গতকাল শেষ বিকেলে খেলতে নামা তাইজুল। শূন্য রানে দিন শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার অফ-স্পিনার নাথান লিওকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খাতা খুলেন তাইজুল। তবে ঐ লিও’র শিকারের তালিকাতেই নিজের নাম তুলেন তাইজুল। ইনিংসের ২৮তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতেই তাইজুলকে লেগ বিফোরের জালে আটকে ফেলেন লিও। তাই নামের পাশে ৪ রান রেখে বিদায় নেন লিও।
    তাইজুলের বিদায়ের পর উইকেটে যোগ দেন ইমরুল কায়েস। প্রথম ইনিংসে ৬ বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে বিদায় নেয়া ইমরুল এবার রানের খাতা খুলতে সক্ষম হন। তবে ব্যর্থতার বেড়াজাল থেকে নিজেকে বের করে আনতে পারেননি। সর্তকতার সাথে খেলতে থাকা ইমরুল শেষ পর্যন্ত থেমে যান ব্যক্তিগত ২ রানে। লিও’র করা ৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিটি হঠাৎ লাফিয়ে উঠায় আর সামলাতে পারেননি ইমরুল। ডেভিড ওয়ার্নার তা সহজেই লুফে নিয়ে ইমরুলের বিদায় নিশ্চিত করেন।
    দলীয় ৬৭ রানে ও ইমরুলকে হারানোর পরের ওভারেই বাউন্ডারি দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৪তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। প্রথম ইনিংসেও ৭১ রান করেছিলেন তিনি। তাই এই নিয়ে ৫০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মত একই টেস্টের দুই ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করলেন তামিম। ফলে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে স্পর্শ করলেন তামিম। হাবিবুলও তার ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ছয়বার একই টেস্টের দুই ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন।
    ইমরুলকে হারিয়ে ক্রিজে তামিমের সঙ্গী হন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এমন অবস্থায় উইকেটে টিকে থাকার পণ করেন তামিম ও মুশফিকুর। তাই দলের স্কোর ৩ উইকেটে ১৩৩ রান রেখে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান তামিম ও মুশফিকুর। তামিম ৭৬ ও মুশির স্কোর ছিলো ২৫।
    চা-বিরতি থেকে ফিরেই প্যাভিলিয়নে যেতে হয় তামিমকে। কামিন্সের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামেন তামিম। অবশ্য ডিআরএস নিয়ে তামিমকে ফিরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৮টি চারে ১৫৫ বলে ৭৮ রান করেন তামিম।
    বন্ধু তামিমের বিদায়ে ক্রিজে যাবার সুযোগ হয় সাকিব আল হাসানের। প্রথম ইনিংসে ৮৪ রান করলেও, এবার ব্যর্থ সাকিব। ৫ রান করে লিও’র শিকার হন তিনি। ১৪৩ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবকে হারানোর পর দলের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন মুশফিকুর ও সাব্বির রহমান। দ্রুত উইকেটে আচরণ ও অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পরিকল্পনা বুঝে নেন তারা। ফলে বেড়ে চলছিলো বাংলাদেশের লিড।
    কিন্তু দলীয় ১৮৬ রানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মুশফিকুর। স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান সাব্বির উইকেট ছেড়ে লিও’র ডেলিভারি সপাটে চালিয়েছিলেন। সেই বলে আলতো ছোঁয়া দিয়ে মুশিকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন বোলার লিও। এসময় নন-স্ট্রাইকে ক্রিজের বাইরেই ছিলেন মুশফিকুর। এসময় তার রান ছিলো ৪১। ১১৪ বলের ইনিংসে ১টি করে চার ও ছক্কা মারেন মুশফিকুর।
    বাংলাদেশ দলপতির বিদায়ের পর ৮ বলের ব্যবধানে ফিরে যান সাব্বির ও নাসির হোসেন। সাব্বিরকে ২২ রানে লিও ও নাসিরকে শূন্য হাতে আউট করেন আগার। তাই ৮ উইকেটে ১৮৬ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশের দলীয় স্কোর ২শ’ ও লিড আড়াইশ নিয়ে যান দুই টেল-অ্যান্ডার ব্যাটসম্যান মেহেদি হাসান মিরাজ ও শফিউল ইসলাম।
    নবম উইকেটে ২৮ রান যোগ করেন মিরাজ ও শফিউল। দলীয় ২১৪ রানে শফিউলকে তুলে নিয়ে নবম উইকেট জুটি ভাঙ্গেন লিও। সেই সাথে দশমবারের মত ৫ বা ততোধিক উইকেট নেন লিও। এরপর বাংলাদেশের দশম উইকেটও তুলে নিয়েছেন লিও। ফলে ২২১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। তাই ম্যাচ জয়ের জন্য ২৬৫ রানের টার্গেট পায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরাজ ২৬ রানে ফিরলেও, শূন্য রানে অপরাজিত থেকে যান মুস্তাফিজুর রহমান। অস্ট্রেলিয়ার লিও ৮২ রানে ৬টি, আগার ২টি ও কামিন্স ১টি উইকেট নেন।
    জয়ের জন্য ২৬৫ রানের দেখে-শোনেই শুরু অস্ট্রেলিয়ার। অপরদিকে পরিকল্পনামাফিক শুরু বাংলাদেশও। উইকেটের দু’প্রান্ত দিয়েই স্পিনারদের দিয়ে শুরু করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর। অসিদের দুই ওপেনার সর্তক থাকায় সাফল্য পেতে সময় লাগে বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের প্রথম সাফল্য এনে দেন মিরাজ। সফরকারী ওপেনার ম্যাট রেনশকে ব্যক্তিগত ৫ রানে লেগ বিফোরে ফেলেন মিরাজ।
    পরের ওভারেই বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া সাকিব। সাকিবের করা ইনিংসের দশম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে সুইপ করেছিলেন অসি ব্যাটসম্যান উসমান খাজা। সেই শট উঠে যায় আকাশে। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ থেকে দৌঁড়ে এসে তা দক্ষতার সাথে তালুবন্দি করেন তাইজুল ইসলাম। ফলে ২ উইকেটে ২৮ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া।
    ১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারানোর চাপটা পরবর্তীতে ভালোভাবেই সামাল দেন ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন থেকে যান তারা। তৃতীয় উইকেটে ১২৪ বল মোকাবেলা করে ৮১ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার ও স্মিথ। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন ওয়ার্নার। ৯৬ বল মোকাবেলা করে ১১টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন এই বাঁ-হাতি। অন্যপ্রান্তে স্মিথের সংগ্রহে আছে ২৫ রান। বাংলাদেশের মিরাজ ও সাকিব ১টি করে উইকেট নেন।

    রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতন, থেমে থেমে গুলির শব্দ

    বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছেন কয়েকজন রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর ফের নির্মম অত্যাচার শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) থেকে। উগ্রপন্থা দমনের অজুহাতে প্রতিদিন বোমা মেরে গ্রামের পর গ্রাম ও সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে দেশটির সরকারি বাহিনী। জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আলকিন’ ও ‘আরসা’র সদস্য দাবি করে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এসব এলাকার তরুণদের। অভিযোগ পাওয়া গেছে, এসব তরুণদের হত্যা করা হচ্ছে।
    সোমবার (২৮ আগস্ট) সীমান্ত ফাঁড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা একাধিক রোহিঙ্গা ও রাখাইন রাজ্যের একাধিক সূত্র এসব বিষয় নিশ্চিত করেছে। এদিকে, সীমান্তবর্তী এলাকায় রবিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকেই থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ। সোমবার সকালে সরেজমিনে সীমান্ত এলাকায় গিয়েও শোনা গেছে গুলির শব্দ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও (দুপুর সাড়ে ১২টা) গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। সকালের তুলনায় এর পরিমাণ আরও বেশি।
    মিয়ানমার সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট পরিদর্শন করে দেখা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়ার উপজেলার রহমতেরবিল ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ ও মানুষের আর্তচিৎকার। সীমান্তের ওপারের আকাশে দেখা গেছে কালো ধোঁয়া। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, সে দেশের সেনাবাহিনী গণহারে তরুণদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। যাদের ধরতে পারছে না তাদের গুলি করা হচ্ছে। বাড়ি ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে নিঃস্ব করা হচ্ছে।
    সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, সীমান্তের ওপারে মঙ্গ শহর পর্যন্ত বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। তাদের অনেকেই মিয়ানমারের টেলিকম কোম্পানির পাশাপাশি বাংলাদেশের টেলিকম কোম্পানির সিম কার্ডও ব্যবহার করে থাকেন। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কয়েকজনের কাছে পাওয়া যায় সীমান্তের ওপারের কয়েকজনের বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর। সেই নম্বরগুলো ব্যবহার করেই এ প্রতিবেদক কথা বলেন তাদের সঙ্গে।
    রাখাইন রাজ্যের ঢেঁকিবনিয়ার চাকমাকাটা গ্রামে বসবাসকারী ইমাম হোসেন মোবাইল বলেন, ‘রবিবার খুব ভোরে সেনাবাহিনীর একটি দল গ্রামে প্রবেশ করে স্থানীয় আব্দুস সালামের ছেলে জহিরুল ইসলাম, আলী আহমদের ছেলে করিম উল্লাহ ও মিয়া হোসেনের ছেলে আব্দুর শুক্কুরকে আটক করে নিয়ে যায়। এসময় তারা পালিয়ে পাশের পাহাড়ে আশ্রয় নেন। তবে ওই তিন তরুণের ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। তারা সুযোগ পেলে হয়তো বাংলাদেশে পালিয়ে আসবে।’
    রাখাইন রাজ্যের ঢেঁকিবনিয়ার লারগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আবছারও মোবাইল ফোনে জানান, রবিবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের গ্রামে আসে। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর একটি দল রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। যেসব বাড়িতে মানুষ নেই, তাদের বাড়ি বোমা মেরে জ্বালিয়ে দিতে থাকে। যখন যাকে সামনে পাচ্ছে তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।’
    মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন এসব রোহিঙ্গাসোমবার সকালে উখিয়ার পালংখালী আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মৌলভী শফিউল্লাহ বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি ঢেঁকিবনিয়ার ফকিরপাড়ায়। গত দুই দিন ধরে সেখানে সেনাবাহিনী বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে তরুণকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।’ এমনকি প্রকাশ্যে অনেককে হত্যা করতে দেখা গেছে বলেও জানান তিনি।
    উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোজাফফর আহমদ বলেন, ‘সীমান্তের নাফ নদী সংলগ্ন চিংড়ি ঘের থাকায় সেখানে স্থানীয় লোকজনের যাতায়াত তেমন নেই। তবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী প্রায় হাজারখানেক রোহিঙ্গা নদীর পারে অবস্থান করছে। ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছি। শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের কান্নার আওয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।’
    মিয়ানমার সীমান্তের ধামনখালী গ্রামের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, রবিবার সন্ধ্যা থেকেই ওপারে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। গুলির শব্দ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর আগুনের শিখাও দেখতে পান তারা।
    এদিকে, রবিবার বিকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের কোনও সুযোগ নেই। এখন সীমান্ত সীল করে দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি জিরো পয়েন্ট ক্রস করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের সুমোচিত জবাব দেওয়া হবে।’

    জাপানের উপর দিয়ে উ. কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

    জাপানের উপর দিয়ে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানাচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর জাপানের উপর দিয়ে হোক্কাইডোর সৈকতে গিয়ে আছড়ে পড়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে একে ‘অভূতপূর্ব’ হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এর ফলে এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরো তীব্র রূপ ধারণ করবে।
    যদিও সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া একের পর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে, কিন্তু জাপানের উপর দিয়ে এই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো তারা। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি গুলি করে নামানোর কোনো চেষ্টা করেনি জাপান। এদিকে উত্তর কোরিয়ার এই কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা কমিশনে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র।
    দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের নিকটবর্তী একটি এলাকা থেকে মঙ্গলবার ভোরে পূর্বদিক লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের আকাশ অতিক্রম করে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে পড়েছে। তারা জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিল এবং অন্তত ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়েছে। বিবিসি।

    ৪৩ রানের লিড পেল বাংলাদেশ : সাকিব পেলেন ৫ উইকেট

    চা–বিরতির ঠিক পরপরই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হলেন প্যাট কামিন্স। ভাঙল অ্যাগারের সঙ্গে নবম উইকেটে তাঁর ৪৯ রানের জুটি। একটু পরে হ্যাজলউডের উইকেটও তাঁর । ১৬তম বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন সাকিব। তাতেই ২১৭ রানে অলআউট হলো অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ৪৩ রানের।
    এই সাকিবের বলেই মুশফিকুর রহিম যখন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে স্ট্যাম্পিঙয়ের ফাঁদে ফেলেছিলেন, তখন অস্ট্রেলিয়া ১৪৪/৮। বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১১৬ রানে। শেষ ২ উইকেট বাংলাদেশি বোলাররা কতক্ষণে তুলে নেবেন—ভাবনাটাও ছিল এমনই। কিন্তু প্যাট কামিন্স আর অ্যাশটন অ্যাগার সেই ভাবনাটারই মোড় ঘুরিয়ে দেন দুশ্চিন্তা আর হতাশার দিকে।
    অ্যাগার অবশ্য অপরাজিত আছেন ৩২ রানে। অ্যাগার ব্যাটিংটা যে ভালো পারেন, সেটি জানা ছিলই। অভিষেকেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৮ রানের একটা ইনিংস খেলে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তিন বছর বিরতি দিয়ে টেস্ট খেলতে নেমে দলের বিপর্যয়ের মধ্যে ব্যাটিং-প্রতিভাটা আবারও প্রমাণ করলেন তিনি।
    অ্যাগার–কামিন্স জুটি এত বড় হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। সাকিবের বলে কামিন্স খুব সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই ক্যাচ হাতে নিয়েও তা ফেলে দেন শফিউল। কামিন্সের রান তখন ১১। সেই ব্যর্থতার খেসারতটা এখন ভালোভাবেই দিচ্ছে বাংলাদেশ। শফিউল অবশ্য ক্যাচ ফেলার দুঃখটা ভোলার একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। তার বলেই কামিন্সের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাঁয় দিয়েছিলেন আম্পায়ার আলিম দার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি।
    হ্যান্ডসকম্বকে ফেরানোর পর তাইজুল।
    এর আগে মিরাজের বলে এলবিডব্লু হন ম্যাথু ওয়েড। ম্যাট রেনশ আর পিটার হ্যান্ডসকম্বের জুটিটা চোখ রাঙাচ্ছিল। ৬৯ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয়টা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু হ্যান্ডসকম্বকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ-শিবিরে স্বস্তি ফেরান তাইজুল। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে তাইজুলের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন হ্যান্ডসকম্ব। এর কিছুক্ষণ পরই সাকিব আল হাসানের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ হন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৫ রান করা রেনশ।
    ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ কাঁপতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিপদটা দ্বিতীয় দিন সকালে আরও বাড়ে অধিনায়ক স্মিথের ফেরায়। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে একটু এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৮ রানে আউট হন তিনি।
    বাংলাদেশের পক্ষে সফল স্পিনাররাই। মিরাজ ও সাকিব দুজনেই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। তাইজুল তুলে নিয়েছেন একটি।

    মক্কায় সমবেত হচ্ছেন ২০ লাখ হজযাত্রী

    পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ লাখ মুসলিম সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত হচ্ছেন। এবার শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের হজযাত্রীরাও সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সৌদি আরবে হজ পালন করছেন।
    ২০১৫ সালে মক্কায় পদদলিত হয়ে ইরানের অনেক হজযাত্রী নিহত হওয়ায় দেশটি কূটনৈতিক টানাপোড়নের কারণে ২০১৬ সালের হজে অংশ নিতে পারেনি। এছাড়া উপসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক সংকট এবং ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের কোণঠাসা হয়ে পড়ার মধ্যদিয়ে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
    ইন্দোনেশিয়া থেকে হজ পালনের উদ্দেশে আসা ৪৭ বছর বয়সী ইনি নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত, কারণ পবিত্র এ স্থানে আসা অনেক মানুষের স্বপ্ন।’ তিনি বলেন, হজ পালনের পর ‘আমরা যখন এই পবিত্র স্থান ছেড়ে চলে যাই তখন নিজেদের আরো ধার্মিক মনে হয়।’
    ইন্দোনেশিয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম দেশ। ফলে হজ পালনের জন্য এ দেশ থেকে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মুসলিম মক্কায় আসছেন। উল্লেখ্য, হজ হচ্ছে ইসলামের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের একটি। আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে এমন প্রত্যেক মুসলিমের জীবনে কমপক্ষে একবার হজ পালন করা অবশ্য কর্তব্য। এএফপি।

    হজ্ব-উমরার আমলসমূহ : মর্তবা ও ফযীলত

    মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ফাহাদ

    মুমিন বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহ এই যে, তিনি তাকে এমন কিছু ইবাদত দান করেছেন, যা দ্বারা বান্দা তার রূহানী তারাক্কী, কলবের সুকুন ও প্রশান্তি এবং দুনিয়া-আখিরাতের খায়র ও বরকত লাভ করে থাকে। এসবেরই একটি হল হজ্ব। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে বাইতুল্লাহর হজ্ব করার নির্দেশ দিয়েছেন যেন এর মাধ্যমে তারা গুনাহ থেকে পাকসাফ হয় এবং জান্নাতে উচ্চ মর্তবা ও মাকাম লাভ করে।

    আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহর পথের মুজাহিদ এবং হজ্ব ও উমরাকারী হল আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেন আর আল্লাহও তাদের প্রার্থনা কবুল করেন।-সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ২৮৯৩

    অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হজ্ব ও উমরাকারীরা হল আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেন আর আল্লাহও তাদের প্রার্থনা কবুল করেন।-মুসনাদে বাযযার/তারগীব হাদীস : ১৬৬১

    নিম্নে হজ্ব ও উমরার কিছু ফযীলত উল্লেখ করা হল। যেন এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ লাভে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহী হতে পারি।

    হজ্বের ফযীলত

    আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি হজ্ব করে এবং অশ্লীলতা ও কটুক্তি থেকে বিরত থাকে সে এমনভাবে প্রত্যাবর্তন করে যেমনটি তার মা তাকে প্রসব করেছিল। (সহীহ বুখারী,হাদীস : ১৫২১)

    অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন। জিজ্ঞাসা করা হল, এর পর কী? বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। বলা হল, এরপর? তিনি বললেন, মাবরূর হজ্ব।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৫১৯

    জাবির রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মাবরূর হজ্বের প্রতিদান কেবল জান্নাত। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, মাবরূর হজ্ব কী? ইরশাদ করলেন, খাবার খাওয়ানো ও সালামের প্রসার ঘটানো।-মুসনাদে আহমদ ৩/৩২৫

    আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা তিন ব্যক্তির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন : ১. যে ব্যক্তি আল্লাহর কোনো মসজিদের উদ্দেশে বের হয় ২. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করতে বের হয় ৩. যে ব্যক্তি হজ্বের উদ্দেশে বের হয়।-হিলয়াতুল আওলিয়া ৯/২৬২

    কষ্টসাধ্য অবস্থায় হজ্ব করার ফযীলত

    উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হজ্ব হল প্রত্যেক দুর্বলের জিহাদ।-সুনানে ইবনে মাজাহ,হাদীস : ২৯০২

    মহিলাদের হজ্ব করার ফযীলত

    উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। তাহলে আমরা (নারীরা) কি জিহাদ করব না? নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। তোমাদের জন্য উত্তম জিহাদ হল মাবরূর হজ্ব।-সহীহ বুখারী,হাদীস : ১৫০২

    উমরার ফযীলত

    হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এক উমরা অন্য উমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সকল কিছুর কাফফারা। আর মাবরূর হজ্বের একমাত্র প্রতিদান হল জান্নাত।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৭২৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৪৯

    হজ্বে খরচ করার ফযীলত

    ইবনে আওন ইবরাহীম ও আসওয়াদের সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তাঁরা বলেছেন, হযরত আয়েশা রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! লোকেরা তো দুইটি ইবাদত নিয়ে ফিরে যাচ্ছে। আর আমি শুধু একটি নিয়ে ফিরব? তখন তাঁকে বলা হল, অপেক্ষা কর। যখন তুমি পবিত্র হবে তখন তানঈমে যাবে এবং (উমরার) ইহরাম বাঁধবে। এরপর অমুক স্থানে যাও। অবশ্য এসবের প্রতিদান হবে তোমার ব্যয় ও কষ্ট অনুযায়ী।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৭৮৭

    অন্য বর্ণনায় তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উমরার সময় বললেন, তোমার ব্যয় অনুপাতে উমরার প্রতিদান দেওয়া হবে।-মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস : ১৭৭৭; তারগীব, হাদীস : ১৬৮১

    হজ্ব-সফরের ফযীলত

    হযরত ইবনে ওমর রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাআলা হজ্বকারীকে তার উটনীর প্রতি কদমে একটি নেকী লেখেন কিংবা একটি গুনাহ মুছে দেন। অথবা একটি মর্তবা বুলন্দ করে।-সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস : ১৮৮৭; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস : ৪১১৬

    হযরত উবাদা ইবনে ছামিত রা. থেকেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (দেখুন : আলমু’জামুল আওসাত, হাদীস : ২৩৪১)

    তালবিয়া পাঠের ফযীলত

    সাহল ইবনে সা’দ আসসায়েদী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি যখন তালবিয়া পাঠ করে তখন তার ডানে ও বামে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যা কিছু আছে যেমন, গাছপালা, মাটি, পাথর সকল কিছু তালবিয়া পাঠ করতে থাকে।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ৮২৮; ইবনে মাজাহ, হাদীস : ২৯২১

    হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো মুমিন যখন ইহরামের হালতে দিন কাটাবে তখন সূর্য তার সকল গুনাহ নিয়ে অস্ত যাবে। আর কোনো মুসলিম যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ্বের তালবিয়া পাঠ করবে তখন তার ডানে-বামে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সবকিছু তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে।-জমে তিরমিযী, হাদীস : ৮১০; তারগীব, হাদীস : ১৭০৩

    হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কেউ তালবিয়া পাঠ করবে তাকে সুসংবাদ দেওয়া হবে। এবং যে কেউ তাকবীর বলবে তাকে সুসংবাদ দেওয়া হবে। জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জান্নাতের সুসংবাদ? উত্তরে নবীজী বললেন, হ্যাঁ।-আলমু’জামুল আওসাত, তবারানী, হাদীস : ৭৭৭৫; তারগীব, হাদীস : ১৭০৭

    মক্কা মুকাররমার ফযীলত

    আবদুল্লাহ ইবনে আদী ইবনে হামরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ‘হাযওয়ারা’ নামক স্থানে ছিলেন তখন তাকে উটের উপর সওয়ার অবস্থায় বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহর শ্রেষ্ঠ যমীন। আর আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহর কসম! যদি আমাকে তোমার (বুক) থেকে চলে যেতে বাধ্য না করা হত তাহলে আমি কখনো যেতাম না।-সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৩১০৮

    আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ফতহে মক্কার দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করেন, নিশ্চয়ই আসমান-যমীন সৃষ্টির দিনই আল্লাহ এই যমীনকে হারাম/সম্মানিত করেছেন। সুতরাং কিয়ামত পর্যন্ত তা হারাম ও সম্মানিত। …।- সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৫৩

    মসজিদে হারামে নামায আদায়ের ফযীলত

    আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, শুধু তিনটি মসজিদের উদ্দেশে সফর করা যাবে : আমার এই মসজিদ (মসজিদে নববী), মসজিদে হারাম ও মসজিদে আকসা।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৯৭

    জাবির রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমার এই মসজিদে একটি নামায অন্য মসজিদে হাজার নামায থেকেও উত্তম। তবে মসজিদে হারাম ছাড়া। কেননা, মসজিদে হারামে একটি নামায অন্য মসজিদের এক লক্ষ নামাযের চেয়ে উত্তম।-মুসনাদে আহমদ ৩/৩৯৭

    বাইতুল্লাহর তাওয়াফের ফযীলত

    আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করে এবং দুই রাকাত নামায আদায় করে সে একটি গোলাম আযাদ করার ছওয়াব পাবে।   – ইবনে মাজাহ, হাদীস : ২৯৫৬

    আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, বাইতুল্লাহর তাওয়াফ হচ্ছে নামাযের মতো। তবে এতে তোমরা কথা বলতে পার। সুতরাং এ সময় যে কথা বলবে সে যেন শুধু উত্তম কথাই বলে।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ৯৬০

    হাজরে আসওয়াদে চুমু খাওয়ার ফযীলত

    হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘এই দুটি রোকন (হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামানী) স্পর্শ করা গুনাহসমূহকে মুছে দেয়।’-জামে তিরমিযী, হাদীস : ৯৫৯

    আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, এই পাথর কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উপসি’ত হবে যে, তার দুটি চোখ থাকবে, যা দ্বারা সে দেখবে এবং জিহ্বা থাকবে, যা দ্বারা সে কথা বলবে। সে ঐ ব্যক্তির পক্ষে সাক্ষ্য দিবে যে তাকে সঠিক পন্থায় ইসতিলাম করে।-ইবনে মাজাহ, হাদীস : ২৯৪৪

    সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈর ফযীলত

    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই সাফা-মারওয়া আল্লাহর দুটি নিদর্শন।… -সূরা বাকারা : ১২৮

    হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, … । আর সাফা-মারওয়ায় তোমার সাঈ করা। তা তো ৭০ জন দাস মুক্ত করার সমতুল্য।-বাযযার/কাশফুল আসতার, হাদীস : ১০৮২; ইবনে হিব্বান, হাদীস : ১৮৮৭

    আরাফায় উকূফের ফযীলত

    হযরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো দিনই এমন নেই, যেদিন আল্লাহ তাআলা আরাফার দিনের চেয়েও অধিক সংখ্যক বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। আর তিনি তাদের নিকটবর্তী হন। এরপর ফেরেশতাদের সাথে তাদেরকে নিয়ে গর্ব করে করে বলেন, কী চায় এরা?-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৪৮

    হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের সাথে আহলে আরাফাকে নিয়ে গর্ব করেন এবং বলেন, আমার এইসব বান্দাদের দেখ, কেমন উস্কোখুস্কো চুলে, ধুলিমলিন হয়ে আমার নিকট এসেছে।-মুসনাদে আহমদ ২/২২৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস : ৩৮৫২

    আরাফার দিনে দুআর ফযীলত

    হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আরাফা দিবসের শ্রেষ্ঠ দুআ এবং আমি ও পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছি তার সর্বশ্রেষ্ঠ দুআ হল, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিং কাদীর।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৫৮৫

    জামরায় রমীর ফযীলত

    হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তুমি জামরায় রমী করলে তা তোমার জন্য কিয়ামতের দিন নূর হবে।-বাযযযার; কাশফুল আসতার, হাদীস : ১১৪০

    হাদী নিয়ে যাওয়া ও কুরবানী করার ফযীলত

    হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল, উত্তম হজ্ব কী? তিনি বললেন, উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা ও পশু কুরবানী করা।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ৮২৭

    আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, … আর তুমি কুরবানী করলে তা তোমার প্রতিপালকের নিকট সঞ্চিত থাকবে।-বাযযার; কাশফুল আসতার, হাদীস : ১০৮২

    হজ্ব থেকে হালাল হওয়ার জন্য হলক ও চুল কাটার ফযীলত

    হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হে আল্লাহ! আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন। সাহাবায়ে কেরাম আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যারা চুল কাটবে তাদের? তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন। সাহাবায়ে কেরাম আবার আরয করলেন, যারা চুল কাটবে তাদের? তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন। সাহাবায়ে কেরাম তৃতীয়বার আরয করলে তিনি বললেন, আর যারা চুল কাটবে তাদেরকেও।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৭২৮

    হজ্বে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণকারীর ফযীলত

    আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। জনৈক মুহরিম ব্যক্তিকে তার সওয়ারী ভূপাতিত করলে তার মৃত্যু হয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা তাকে বড়ই পাতার পানি দ্বারা গোসল দাও এবং তার দুটি কাপড়েই তাকে কাফন পরাও। তবে তার মাথা ও চেহারা ঢেকো না। কেননা, কিয়ামত দিবসে সে তালবিয়া পাঠ করা অবস্থায় উত্থিত হবে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১২০৬

    ছোটদেরকে হজ্ব করানোর ফযীলত

    আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাওয়াহা নামক স্থানে (কিছু লোকের সাথে) মিলিত হলে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কারা? তারা বলল, মুসলিম। এরপর তারা জিজ্ঞাসা করল, আপনি কে? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল। তখন তাঁর নিকট একজন মহিলা (একটি ছোট বাচ্চার দিকে ইশারা করে) বলল, এর জন্য কি হজ্ব আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আর তোমার জন্য রয়েছে এর প্রতিদান।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৭৯৪

    হাজ্বীদেরকে পানি পান করানো ও তাদের খিদমতের ফযীলত

    আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পান করার স্থানে এসে পান করাতে বললেন। তখন আব্বাস রা. বললেন, হে ফযল! তোমার মায়ের নিকট গিয়ে তার কাছ থেকে পানীয় নিয়ে এস। এরপর তিনি বললেন, আমাকে পান করাও। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! লোকেরা এর ভিতরে হাত প্রবেশ করিয়ে থাকে। তিনি বললেন, আমাকে পান করাও। এরপর তিনি তা থেকে পান করলেন। অতপর তিনি যমযমের নিকট এলেন। লোকেরা সেখানে পান করাচ্ছিল ও কাজ করছিল। তিনি বললেন, তোমরা কাজ করতে থাক। কেননা, তোমরা নেক কাজই করছ। এরপর তিনি ইরশাদ করলেন, যদি তোমরা বিজয় লাভ না করতে তবে আমি নেমে আসতাম। আর রশি এর উপর রাখতাম। অর্থাৎ কাঁধের উপর। তিনি হাত দ্বারা কাঁধের দিকে ইশারা করলেন।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৬৩৪

    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হজ্বের পরিপূর্ণ ফযীলত, বরকত ও রহমত দান করুন। আমীন।

    খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখলেন ট্রাম্প ধমকও খেলেন

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখেছেন। সোমবারের সূর্যগ্রহণকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল উত্তেজনা ছিল। সপরিবারে তা দেখবেন বলে ঠিক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্ত্রী মেলানিয়া ও ছেলে ব্যারনকে নিয়ে হোয়াইট হাউসের বারান্দায় এসে দাঁড়ান। নীচে তখন সমর্থকদের ভিড়। তাদের উদ্দেশে হাত নেড়ে খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকান। সঙ্গে সঙ্গে ‘খবরদার, সূর্যের দিকে তাকাবেন না’ বলে পিছন থেকে চিত্কার করে ওঠেন সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকদের মধ্যে এক ব্যক্তি। সেই সময় তার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। তিনিও স্বামীর এই কান্ড-কারখানা দেখে তাকে মৃদু ভর্ত্সনা করেন। ধমকের পর হুঁশ ফেরে ট্রাম্পের। তার পকেটে যে চশমা রয়েছে, বের করে তা দেখিয়েও দেন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তিনি চশমা পরে নেন।

    তারপর সমর্থকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সূর্যগ্রহণ দেখেন। পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখার জন্য অবশ্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি তিনি। আংশিক গ্রহণ দেখেই ভিতরে চলে যান।

    তবে খালি চোখে ট্রাম্প সূর্যগ্রহণ দেখার চেষ্টা করেছিলেন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। প্রায় এক শতাব্দী পর পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহনের সাক্ষী থাকলো যুক্তরাষ্ট্র।

    নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই
    চলে গেলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক। সোমবার ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান এই অভিনেতা। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নায়করাজ।

    রাজ্জাক হাসপাতালের চিফ কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে হাসপাতালে আনার পর তাঁর স্পন্দন, রক্তচাপ কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

    রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলে থাকার সময়ে মঞ্চ নাটক দিয়ে অভিনয়ের শুরু। দেশভাগের পরে ১৯৬৪ সালে সেইসময়ের পূর্বপাকিস্তানে চলে আসেন সপরিবারে। টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। সিনেমায় অভিনয়ের আগে সহকারী পরিচালনা করেছিলেন আবদুল জব্বার খানের অধীনে।

    দমফাঁটানো হাসির সিনেমা ফেকু ওস্তাগড় লেন সিনেমায় ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার নজর কাড়েন। এরপর কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ক’টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। জহির রায়হান পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী বিপ্লবী সিনেমা ‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমায় ‘ফারুক’ চরিত্রটি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

     

    মহান এই অভিনেতার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।

     

    ওয়েটার বানর!

    Posted by admin on August 19
    Posted in Uncategorized 

    ওয়েটার বানর!

    ক্রেতা আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। তবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এবার জাপানের একটি বার মালিক অভিনব এক কৌশল অবলম্বন করেছে। বার কর্তৃপক্ষ ওয়েটার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বেশ কিছু বানরকে। তাতে ফলাফলও হাতেনাতে পাচ্ছেন কায়াবুকি বারের মালিক কাওরু ওটসুকা। ওয়েটার হিসেবে বানরদের নিয়োগ দেওয়ার পর ক্রেতাদের ভিড় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
    এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কাওরু ওটসুকা জানান, বেশ কিছু বছর আগে এক পরিচিত বন্ধুর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ   প্রাপ্ত বানর ফুকু-চানকে পান তিনি। সারাক্ষণই ফুকু-চানকে সঙ্গে রাখতেন তিনি। প্রথম দিকে ক্রেতাদের কোমল পানীয় কিংবা টিস্যুর মতো ছোটখাটো জিনিসপত্র পরিবেশন করতো ফুকু-চান। এক সময় মনে হলো ক্রেতাদের থেকে অর্ডার নেওয়া এবং ড্রিংক সরবরাহের জন্য ফুকু-চানকে কাজে লাগানো যায়। বেশ সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে লাগলো ফুকু-চান। এরপর আরো কয়েকটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বানর নিয়োগ দেন তিনি। এই বানরদের বাচ্চারাও নিয়মিত বারে আসে। তবে তারা শুধু ক্রেতাদের সঙ্গে ফটোসেশনেই অংশ নেয়। ক্রেতারাও বানর ওয়েটারদের সঙ্গে দারুণ সময় উপভোগ করেন।

    সূর্য ‘ছুঁতে’ যাচ্ছে নাসা!

    চাঁদে মানুষ পা রেখেছে। মঙ্গলে যান পাঠিয়েছে। কিন্তু সুর্যের ধারেকাছে যাবার কল্পনাও কেউ করতে পারেনি। কারণ সুর্যের তাপমাত্রা এত বেশি যে তা মুহুর্তের মধ্যে সবকিছু গলিয়ে দিতে পারে। কিন্তু আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসা এবার সুর্য ‘ছোঁয়ার’ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অর্থাত্ এবার নাসার অনুসন্ধান যান সুর্যের সম্ভাব্য সবচে কাছের পয়েন্ট পর্যন্ত পৌছে যাবে।

    সংস্থাটি জানিয়েছে, সুর্যের উপরিতলের তাপমাত্রা ১০ হাজার ডিগ্রী ফারেনহাইট (৫ হাজার ৫৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস)। অথচ এর সংলগ্ন অ্যাটমোস্ফিয়ারের (দ্য করোনা) তাপমাত্রা প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ ডিগ্রী সেলসিয়াস! তাপমাত্রার এই বৈপরীত্যের কারণ কি তার সঠিক ব্যাখ্যা এখনো মেলেনি। তাই সুর্যের পৃষ্ঠে পৌছাতে গেলে আগে করোনার এই তাপমাত্রা হজম করতে হবে। অর্থাত্ এমন জিনিস দিয়ে অনুসন্ধান যান বানাতে হবে যা করোনা অঞ্চলের সেই সাড়ে ১৯ লাখ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রা সহ্য করে টিকে থাকতে পারবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা সম্ভব নয়। মহাবিশ্বের কোনো পদার্থেরই এই তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতা নেই। একারণে এই অ্যাটমোস্ফিয়ারের বাইরে থেকেই সুর্যকে ‘ছোঁয়ার’ সাধ মেটাতে হবে। অর্থাত্ সুর্যের ৪০ লাখ মাইল দূরত্বের মধ্যে পৌছানো সম্ভব হবে নাসার অনুসন্ধান যানের পক্ষে। এর বেশি এগোলেই পুড়ে-গলে ‘ভস্ম’ হয়ে যাবে।  নাসার যানের নাম দেয়া হয়েছে পার্কার সোলার প্রোব। এই যানের ঢাল তৈরী করা হয়েছে কার্বন-কার্বন যৌগ নির্মিত বিশেষ ধাতব পদার্থ দিয়ে। এর ভেতর সুরক্ষিত থাকবে গবেষণার সব যন্ত্রপাতি। ৮ ফুট চওড়া এবং ৫ ইঞ্চি পুরু ধাতুর তৈরী এই যান ২ হাজার ৫০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (১ হাজার ৩৭১ ডিগ্রী সে.) পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করে অক্ষত থাকতে পারবে। একারণে এটি সুর্যের ৪০ লাখ মাইলের মধ্যে পৌছাতে পারবে।

    ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এই সৌর অনুসন্ধান যানটি যাত্রা শুরু করবে। ওই বছর ১ নভেম্বর এটি বুধের কক্ষপথ পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে যাবে। এরপর এটি সুর্যের সবচে কাছে অর্থাত্ সেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে যাবে ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর। -ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

    হজ্ব বিষয়ক ভুল-ভ্রান্তি

    হজ্বই একমাত্র ইবাদত, যার নিয়ত করার সময়ই আল্লাহ তাআলার নিকট সহজতা ও কবুলের দুআ করা হয়। অন্যান্য ইবাদত থেকে হজ্বের আমলটি যে কঠিন তা এ থেকেই স্পষ্ট। হজ্বের সঠিক মাসআলার জ্ঞান যেমন জরুরি, তেমনি তা আদায়ের কৌশল এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করণীয় বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ খেয়াল রাখাও জরুরি। হজ্বে যে সকল ভুল হতে দেখা যায় তা সাধারণত উদাসীনতার কারণেই হয়ে থাকে। তাই নিম্নে সচরাচর ঘটে থাকে এমন কিছু ভুল উল্লেখ করা হচ্ছে। যেন হাজ্বীগণ এ সকল ভুল-ভ্রান্তি- থেকে বেঁচে সুষ্ঠুরূপে হজ্ব আদায়ে সক্ষম হন। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করুন।

    ইহরামের দুই রাকাত নামাযের জন্য ইহরাম বিলম্বিত করা

    ইহরাম বাঁধার আগে দুই রাকাত নামায পড়ার নিয়ম আছে। তাই অনেককে দেখা যায়, এই দুই রাকাত নামাযের সুযোগ না পাওয়ার কারণে ইহরাম বিলম্বিত করতে থাকে। এমনকি এ নামায পড়তে না পারার কারণে কেউ কেউ ইহরাম ছাড়াই মীকাতে র ভেতরে পর্যন- চলে যায় অথচ ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নয়। তারা যেহেতু ইহরামের আগে দুই রাকাত নামায আদায়কে জরুরি মনে করে তাই তারা এমনটি করে থাকে। অথচ ইহরামের আগে নামায পড়া সকল মাযহাবেই মুস্তাহাব; জরুরি কিছু নয়। পক্ষান-রে ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা নাজায়েয। সুতরাং ইহরামের আগে নামাযের সুযোগ পেলে তো তা আদায় করা চাই, কিন্তু সুযোগ না পেলে সে কারণে ইহরাম বাঁধাকে বিলম্ব করবে না।-সহীহ মুসলিম ১/৩৭৬; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১২৯০০; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৯৮; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৫/৮১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৩; রদ্দুল মুহতার ২/৪৮১-৪৮২

    ইহরাম বাঁধার নিয়ম সংক্রান্ত- ভ্রান্তি-সমূহ

    অনেকে মনে করে থাকে যে, ইহরামের কাপড় পরে নামায পড়ার পর নিয়ত করলেই ইহরাম সম্পন্ন হয়ে যায়। এ ধারণা ভুল। এগুলো দ্বারা ইহরাম সম্পন্ন হয় না। নিয়ত আরবীতে করা হোক বা বাংলাতে, সশব্দে করা হোক বা মনে মনে এর দ্বারা ইহরাম সম্পন্ন হয় না; বরং নিয়তের পর তালবিয়া পড়লে ইহরাম পূর্ণ হয়। অতএব বোঝা গেল, ইহরাম সম্পন্ন হয় দুই বস’র সমন্বয়ে : ১. হজ্ব বা উমরার নিয়ত করা ও ২. তালবিয়া পড়া।-জামে তিরমিযী ১/১০২; গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৬৫; মানাকি মোল্লা আলী কারী পৃ. ৮৯

    মক্কাগামীদের জন্য জিদ্দায় ইহরাম বাঁধা

    কেউ কেউ আগে থেকেই ইহরাম বাঁধা ঝামেলা মনে করে এবং ভাবে যে, ইহরাম বেঁধে নিলেই তো ইহরামের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়ে যাবে। বিমান যেহেতু জিদ্দায় অবতরণ করবে তাই জিদ্দায় ইহরাম বাঁধার ইচ্ছায় ইহরামকে বিলম্বিত করে। অথচ মীকাতের বাইরের হাজ্বীদের জন্য ইহরাম ব্যতীত মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নেই। উপমহাদেশ থেকে গমনকারী হাজ্বীদের জন্য মীকাত হল কারনুল-মানাযিল ও যাতু ইরক যা অতিক্রম করেই জেদ্দায় যেতে হয়। যদি কেউ বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করে তবে তার জন্য পুনরায় মীকাতে ফিরে এসে ইহরাম বেঁধে যাওয়া জরুরি। যদি তা না করে তবে দম ওয়াজিব হবে। যেহেতু বিমানে থাকা অবস্থায় মীকাতের জায়গা নির্ধারণ করা কঠিন বা ঐ সময় ঘুমিয়ে পড়া, অন্যমনষ্ক থাকা ইত্যাদি হতে পারে। তাই বিমানে চড়ার আগে কিংবা বিমানে উঠেই ইহরাম বেঁধে নেওয়ার কথা বলা হয়।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৫৭০২; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৮৪; গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২১; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৫/৭৬; রদ্দুল মুহতার ২/৪৭৭

    সেলাইবিহীন কাপড় বা চপ্পলের জন্য ইহরাম বিলম্বে বাঁধা

    কেউ কেউ ইহরামের কাপড় না পরে বিমানে উঠে যায়। অথবা মদীনা থেকে গাড়িতে উঠে পড়ে। এরপর যখন গাড়ি বা বিমানের মধ্যে পরিধানের কাপড় বদলিয়ে ইহরামের কাপড় পরা কষ্টকর হয় কিংবা কাপড় লাগেজে থেকে যায়। তখন তারা সেলাইবিহীন কাপড় পরতে না পারার কারণে ইহরাম বিলম্বিত করতে থাকে। এমনকি ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করে ফেলে। ফলে দম ওয়াজিব হয়ে যায়। অথচ মীকাত অতিক্রমের আগে সেলাইযুক্ত কাপড়ের অবস্থায়ই যদি ইহরাম বেঁধে নিত এবং গাড়ি বা বিমান থেকে অবতরণের পরেই ইহরামের কাপড় পরে নিত তবে তার অন্যায়টা দম ওয়াজিব হওয়ার মতো বড় হত না। ইহরাম অবস্থায় এ কয়েক ঘণ্টা (১২ ঘণ্টার কম) সেলাই করা কাপড় পরে থাকার কারণে একটি পূর্ণ সদকা ফিতর আদায় করে দিলেই চলত।-জামে তিরমিযী ১/১৭১; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৩০০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪২; রদ্দুল মুহতার ২/৫৪৭

    ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করা যাবে না

    কেউ কেউ মনে করে, যে কাপড়ে ইহরাম বাঁধা হয়েছে সে কাপড় হালাল (ইহরাম শেষ) হওয়ার আগ পর্যন- বদলানো যাবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। ওই কাপড় নাপাক না হলেও বদলানো যাবে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৫০১০, ১৫০১১; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৯৮; গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৭১

    তাওয়াফের সময় ছাড়াও ইযতিবা করা

    অনেককে দেখা যায়, ইহরামের প্রথম থেকেই ইযতিবা (বাম কাঁধের উপর চাদর রেখে ডান বগলের নিচ দিয়ে নিয়ে পরিধান করা) করে থাকে এবং হালাল হওয়া পর্যন- এ অবস্থায় থাকাকে শরয়ী হুকুম মনে করে। এটি ভুল। এভাবে নামায পড়লে নামায মাকরূহ হবে। আবার কেউ কেউ তাওয়াফের সময় ইযতিবা করে এবং এ অবস্থায় সায়ীও করে থাকে এবং তাওয়াফের মতো সাঈতেও তা করা শরয়ী বিধান মনে করে। অথচ সাঈতে ইযতিবা’র বিধান নেই। এমনকি সকল তাওয়াফেও এটি সুন্নত নয়; বরং যে তাওয়াফের পর সাঈ করতে হয় শুধু সেই তাওয়াফেই ইযতিবা করতে হয়। সুতরাং নফল তাওয়াফে ইযতিবা নেই। কেননা নফল তাওয়াফের পর সাঈ নেই।-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৫; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ১২৯; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৫/২১৭

    বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ

    শোকার্ত মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার পাশাপাশি ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিভন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
    রাজধানী ছাড়াও সারাদেশে এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশের কুটনৈতিক মিশনগুলো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শোক দিবস পালন করে।

    জাপানে হালকা বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২

    জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের পার্বত্য নারা জেলায় সোমবার হালকা একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে দুজন আরোহী প্রাণ হারায়।
    দেশটির সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানায়। বিমানটি ফুকুশিমার উদ্দেশ্যে ওসাকার ইয়াউ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। এতে পাইলটসহ দু’আরোহী ছিল। বিমানটির ফ্লাইট রুট সম্পর্কে জানে এমন একজন একথা জানায়। তিনি আরো জানান, অজ্ঞাত কারণে বিমানটি ওসাকায় ফিরে আসে।
    ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, পাইলটের কল পাওয়ার আগ পর্যন্ত উড্ডয়নের পর থেকে বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে জানান, বিমানটি ইয়াউতো ফিরে যাচ্ছে। পরে নারা জেলার স্থানীয় পুলিশ ইয়ামাজু গ্রামে একটি হালকা বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর জানায়। স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক ও তদন্তকারী দল বিধ্বস্তের কারণ খতিয়ে দেখছে।

    বিদ্যুত্ ‘খেয়ে’ খিদে মেটান তিনি!

    নেশা মানুষের কত ধরনের হতে পারে! তামাক, সিগারেট, পান, মদ ইত্যাদি নেশার কথা সবাই শুনেছে। এমনকি চক, ইট, মাটি ইত্যাদি খাওয়া গা গুলানো নেশার কথাও অনেকের অজানা নয়। কিন্তু এবার সামনে এল এক অদ্ভুত নেশার কথা। ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরনগরের বাসিন্দা নরেশ কুমারের নেশা হচ্ছে ‘বিদ্যুত্ খাওয়া’। ৪২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি জ্বলন্ত বাল্বের সংযোগ-তারগুলো দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খেতে পছন্দ করে।  এভাবে নাকি তার শরীরে ‘এনার্জি কালেক্ট’ হয় এবং খিদে ভাব চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে ‘হিউম্যান লাইট বাল্ব’ বলেই ডাকে।

    নরেশ কুমারের দাবি, তিনি নিজেকে যেকোনও সময় সরাসরি ইলেকট্রিক লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে পারেন। সরাসরি শরীরে ২২০ ভোল্ট বিদ্যুত্ প্রবাহ সহ্য করতে পারেন। কোনওরকম শক লাগে না। বাড়িতে কোনও খাবার না থাকলে তিনি বিদ্যুত্ ‘খেয়ে’ থাকেন! ৩০ মিনিট ‘এনার্জি’ সংগ্রহের পর তিনি কয়েক ঘন্টার মধ্যে আর কোনও খিদে অনুভব করেন না।