• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে ডাব্লিওএইচওর সর্বোচ্চ সতর্কতা

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং এটির সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বৈশ্বিক ঝুঁকির মূল্যায়ন সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করে নিয়েছে।

    গতকাল ডাব্লিওএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানোম ঘেব্রেইয়েসুস সাংবাদিকদের, জাতিসংঘ সংস্থাটি বৈশ্বিক ঝুঁকির মূল্যায়ন ৪ মাত্রার মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করে নিয়েছে বলে জানান।

    টেড্রোস, সংক্রমণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের সংখ্যা অব্যাহত বৃদ্ধি পেয়ে চলার বিষয়টি পরিষ্কার উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করেন।

    ডাব্লিওএইচও, গত ২৩শে জানুয়ারি থেকে সংস্থার ঝুঁকি মূল্যায়ন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে এসেছে। এতে, চীনকে অত্যন্ত উঁচু এবং বৈশ্বিক ঝুঁকি উঁচু পর্যায়ে রাখা হয়েছে।

    ডাব্লিওএইচওর জরুরী স্বাস্থ্য কর্মসূচীর নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ানের কাছে, বিশ্ব মহামারির কত কাছাকাছি রয়েছে সেবিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

    উত্তরে রায়ান, এখনও সবাই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতিকে একটি মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা সঠিক হবে না বলে জানান।

    তিনি, মহামারী হচ্ছে একটি স্বাতন্ত্র্য পরিস্থিতি যাতে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ একটি ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনার মুখে রয়েছে বলে মনে করা হয় বলে ব্যাখ্যা করেন।

    তিনি, ঝুঁকির মাত্রা নির্ধারণের অর্থ লোকজনকে বিপদ সঙ্কেত বা ভীত সন্ত্রস্ত করা নয় বরং প্রত্যেক দেশকে সজাগ থাকার জন্য সতর্ক করে দেয়া বলে উল্লেখ করেন।

    কর্মকর্তাটি, ভাইরাসটি সম্ভবত পথিমধ্যে রয়েছে আর তাই নিজেদের নাগরিকের জন্য বিশ্বের দেশগুলোর সরকারের কর্তব্য রয়েছে বলে সতর্কতা উচ্চারণ করেন।

    জাতিসংঘ সংস্থাটি, এই ভাইরাসের আক্রমণে চীনের বাইরে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া ইরানে বিশেষজ্ঞদের একটি দল প্রেরণ করা হবে বলেও জানায়।

    দিল্লিতে হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা, মোদিকে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার দাবি

    দিল্লিতে মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন ও হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন মুসল্লীরা। আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সমমনা ইসলামী দলগুলোর ব্যানারে মসজিদের গেটে এই বিক্ষোভ হয়।

    বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের সাম্প্রদায়িক মোদী সরকার সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। মুসলমানমানদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের ওপরও নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে ভারতের মুসলমানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান বক্তারা। এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।

    এসময় মুসল্লিরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এরআগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মসজিদে বিপুল সংখ্যক মুসল্লীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। নামাজ শেষে তাদের অনেকে বিক্ষোভে যোগ দেন।

    আকিহাবারা মসজিদের ইমামের সাক্ষাৎকার

    করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ার মুখে টোকিওর কেন্দ্রস্থলের একটি মসজিদ শুক্রবারের জুম্মার নামাজ বাতিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    মসজিদ নুসানতারা আকিহাবারা টোকিও আজ ঘোষণা করেছে যে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত মুসলমানদের পবিত্র দিনের বিশেষ নামাজ মসজিদ স্থগিত রাখবে। ইন্দোনেশীয় সম্প্রদায় মসজিদের ব্যবস্থাপনা করছে এবং টোকিওর আকিহাবারা এলাকায় সেটি অবস্থিত।

    মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ আনোয়ার বলেছেন যে জাপান সরকার নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিরতি দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাওয়ায় তারা সেই বিশেষ নামাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    তিনি বলেছেন, “জাপানে আমরা বসবাস করায় জাপান সরকারের বিজ্ঞপ্তি আমাদের মেনে চলা উচিৎ, যদিও এটা হচ্ছে শুধুমাত্র বিজ্ঞপ্তি, নিষেধাজ্ঞা নয়। মসজিদের ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে ১০০জন পর্যন্ত। নামাজে শুধুমাত্র ইন্দোনেশীয়রাই নন, অন্যান্য বিভিন্ন দেশের লোকজনও যোগ দিয়ে থাকেন এবং নামাজ আদায় করতে এখানে আসেন বলে সাধারণত সার্জিকাল মাস্ক তারা পরেন না। এটা বন্ধ করার চেষ্টা আমরা করছি। একারণেই জাপান সরকারের বিজ্ঞপ্তি আমাদের মান্য করা উচিৎ।”

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নির্দেশিকা প্রকাশ

    জাপানের এক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনলাইন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে যাতে লোকজন কিভাবে নতুন করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে সেবিষয়ে ব্যখ্যা দেয়া হয়েছে।

    তোহোকু মেডিকেল এন্ড ফার্মাসিউটিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মিৎসুও কাকু নির্দেশিকা সংকলনকারী দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

    নির্দেশিকাটিতে কিভাবে ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করেছে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে লোকজন বাসায় কি করতে পারে সে সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য দেয়া হয়েছে।

    নির্দেশিকাটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবারের কারো উপসর্গ দেখা দিলে সেই পরিবারের সুনির্দিষ্ট এক সদস্যের তার পরিচর্যা করা উচিৎ।

    সুনির্দিষ্ট এই পরিচর্যাকারীর উচিৎ হবে হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পড়া, একটু পরপর হাত ধোওয়া এবং দিনের মধ্যে দু’বার নিজের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা।

    লোকজনকে এও পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে খাবারের জন্য নিজস্ব থালাবাটি ব্যবহার করতে হবে এবং সেগুলো ধোয়ার আগে পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে জীবাণুনাশকে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আর কাপড় ধোয়ার আগে সেগুলো দশ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে ৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানিতে চুবিয়ে রাখতে হবে।

    বাসার রুমগুলোতে প্রতি এক ঘন্টা বা দু’ঘন্টায় পাঁচ থেকে দশ মিনিটের জন্য বায়ু চলাচলের ব্যবস্থাও করতে হবে।

    জাপানে করোনাভাইরাসে নিশ্চিত সংক্রমণের সংখ্যা ৮শ ৫৩

    জাপানে নতুন করোনাভাইরাসে মোট নিশ্চিত সংক্রমণের সংখ্যা এখন ৮শ ৫৩তে উন্নীত হয়েছে।

    এর মধ্যে ১শ ৪৮ জন হয় জাপানে সংক্রমিত হয়েছেন অথবা চীন এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা ব্যক্তি।

    প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের যাত্রী এবং ক্রু’সদস্যদের মধ্যে ৬শ ৯১টি সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    এছাড়া, জাপান সরকারের ভাড়া করা বিমানে চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ব্যক্তিদের মধ্যে মোট ১৪ ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছিলেন।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় মৌলিক নীতি নির্ধারণ জাপানের

    নতুন করোনাভাইরাসের অভ্যন্তরীণ প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষার পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট একটি মৌলিক নীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার। গুরুতরভাবে অসুস্থদের জন্য চিকিৎসা স্থাপনায় যথেষ্ট সেবা নিশ্চিত করতে অপেক্ষাকৃত কম উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার জন্য বাড়িতে অবস্থানের আহ্বানও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।

    আজ নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে সরকার গঠিত টাস্কফোর্স প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠক করে।

    টাস্কফোর্স বলছে, বর্তমানে জাপানের অনেকগুলো এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে রোগী রয়েছে যাদের সংক্রমণের পথটি অস্পষ্ট। এছাড়া, কিছু এলাকায় ছোট আকারের গুচ্ছবদ্ধ রোগীর উপস্থিতির বিষয়টিও তারা উল্লেখ করে।

    ভাইরাসের বিস্তার রোধে জ্বর বা ঠাণ্ডাজনিত উপসর্গ দেখা দিলে কাজ বা স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত থেকে লোকজনকে বাড়িতে অবস্থানের আহ্বানও জানাচ্ছে টাস্কফোর্স। এছাড়া, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মীদের বাড়িতে থেকে কাজে উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে নমনীয় সময়সূচি অনুসরণের আহ্বানও জানাচ্ছে তারা।

    সংশ্লিষ্ট আয়োজকদের পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান আয়োজন পুরোপুরি বাতিলের পাশাপাশি পরিধি কমিয়ে আনার আহ্বান না জানিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কিনা, সেটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছে টাস্কফোর্স।

    তীব্র সংক্রমণ দেখা দেয়া অঞ্চলসমূহে রোগের স্বল্প উপসর্গ থাকা লোকজনকে নীতিগতভাবে বাড়িতে থেকে সুস্থ হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। ছোঁয়াচে রোগীর চিকিৎসায় বিশেষায়িত নয় এরকম চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষার সময়সূচি এবং চলাচলের এলাকা নির্ধারণের পর রোগী ভর্তি করার আহ্বান জানানো হবে।

     

    করোনা ভাইরাস: পুরো বিশ্বকে সতর্ক করলো ডাব্লিউএইচও

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও । সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস এখনও মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েনি তবে দেশগুলোকে এটি প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে।

    চীন ছাড়াও বিশ্বের ৩০ টি দেশের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০ জন মারা গেছেন । এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১২শ জন।

    গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয় ।

    করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা ২,৫৯২-এ দাঁড়িয়েছে

    চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চীনের মূল ভূখন্ডে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২,৫৯২-তে।

    ৪০৯ জনের মধ্যে নতুন সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং এ সংখ্যা ৭৭,১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।

    রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায় দেশের ৩১টি প্রদেশের মধ্যে ২৪টির কেন্দ্রশাসিত মিউনিসিপালিটি এবং স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলগুলো রোববার সংক্রমণের কোন খবর জানায়নি।

    স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক দল সপ্তাহান্ত জুড়ে সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশের উহান শহরে অনুসন্ধান চালিয়েছে এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছে।

    করোনাভাইরাস রোগীর সম্ভাব্য ব্যাপক বৃদ্ধি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ জাপানের প্রধানমন্ত্রীর

    নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যার একটি সম্ভাব্য ব্যাপক বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত হতে একটি সরকারি টাস্কফোর্সকে নির্দেশ দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে।

    আবে আজ টাস্কফোর্সকে বলেন যে দেশের নানা অঞ্চলে অজানা পথে সংক্রমণের খবর পাওয়া যাওয়ায় পরিস্থিতি এখন একটি জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

    তিনি বলেন, রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি কমানোর পাশাপাশি প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, সংক্রমিত ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়া রোধে একটি চিকিৎসা সেবা কাঠামো প্রতিষ্ঠার উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করার মাধ্যমে রোগীর সংখ্যার একটি সম্ভাব্য উল্লম্ফনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহের রয়েছে।

    আবে টাস্কফোর্স সদস্যদের বলেন যে একটি চিকিৎসা অনুসন্ধান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কিছু চিকিৎসা ইন্সটিটিউট ভাইরাস বহনকারীদের উপর ফ্লু-রোধক ঔষধ এভিগানের প্রয়োগ শুরু করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে অবরোহণ করা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ জোরদার করার জন্য সদস্যদের নির্দেশনা দেন।

    এছাড়া, তিনি ক্রু-সদস্যদের জাহাজ ত্যাগের জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করার আহ্বানও জানান।

    জাপানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে

    উত্তর জাপানের সাপ্পোরো শহরের কর্মকর্তারা বলছেন, একজন অধিবাসী নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।

    কর্মকর্তারা বলছেন, তার রোগের উপসর্গ দেখা দেয়ার আগের ১৪দিনে তিনি বিদেশে সফর যাননি এবং অন্যান্য কোন রোগীর সংস্পর্শেও আসেননি।

    আজ বিকেল ৭টা ২০ মিনিট পর্যন্ত জাপানে ৭শ ৮১ ব্যক্তি নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত হয়েছেন।

    তাদের মধ্যে ১শ ৩৩ ব্যক্তি হয় জাপানে সংক্রমিত হয়েছেন অথবা চীন থেকে আসা পর্যটক। ৬শ ৩৪ জন ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীর যাত্রী বা ক্রু-সদস্য। আর বাকী ১৪ জন হচ্ছেন জাপান সরকারের ভাড়া করা বিমানে চীনা শহর উহান থেকে ফিরে আসা ব্যক্তি।

    ফিতনার যুগ : ফিতনা থেকে বাঁচব কীভাবে?

    আমরা অনেক সময় বলি, বর্তমান যুগটি ফিতনার যুগ। কথাটা অবাস্তব নয়। ফিতনা যদিও সব যুগেই ছিল, কিন্তু নবী-যুগ থেকে দূরত্ব যত বাড়ছে ফিতনার অন্ধকারও ততই বাড়ছে। তাছাড়া বর্তমান যুগের ফিতনাসমূহের মুখোমুখীও যেহেতু তারাই হচ্ছি, যারা এ যুগের মানুষ; তাই স্বভাবতই সমকালীন ফিতনাসমূহই আমাদের মন-মস্তিষ্কে বেশি রেখাপাত করছে। ফিতনা কম হোক বা বেশি, সব যুগেই তা ছিল। কিয়ামতের আগে আরো যে কত ভয়াবহ ফিতনা প্রকাশিত হবে- তা হাদীস শরীফের মনোযোগী পাঠকের নিশ্চয়ই অজানা নয়। কাজেই ফিতনা ও তার বিস্তারে সন্ত্রস্ত না হয়ে প্রতিটি ফিতনাকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারা এবং তা থেকে বাঁচার সঠিক পথটি বুঝে নিতে পারাই হচ্ছে প্রথম কাজ। এ হলে ফিতনা থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়।

    উম্মতে মুসলিমার প্রতি আল্লাহ তাআলার অতি বড় দয়া যে, ফিতনা-ফাসাদের যুগেও সিরাতে মুসতাকীম কোনটি তা জানার ও বোঝার উপায় আছে। আল্লাহ তাআলা কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শিক্ষাকে নিখুঁতভাবে সংরক্ষণ করেছেন, যার দ্বারা হক-বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে যায়। যত রকমের ফিতনাই প্রকাশিত হোক- কুরআন-সুন্নাহ্য় আছে ঐ ফিতনার স্বরূপ ও তা থেকে মুক্তির যথার্থ পথনির্দেশ। তবে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কুরআন-সুন্নাহ থেকে মুক্তি ও সাফল্যের পথ পেতে হলে কুরআন-সুন্নাহ্র নির্দেশনার প্রতি আস্থা ও সমর্পন থাকতে হবে। মন-মস্তিষ্ককে উন্মুক্ত করতে হবে এবং সত্যিকারের মুখাপেক্ষিতা নিয়ে কুরআন-সুন্নাহ্র শরণাপন্ন হতে হবে। এ হলে আল্লাহ্র তাওফীকে সত্যকে বোঝা কঠিন হয় না। কঠিন সাধারণত তখনই হয় যখন এই সকল শর্ত পূরণে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া হয়।

    এই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ অর্থ-বিত্ত, ক্ষমতা-প্রতিপত্তি কিংবা জাগতিক বিদ্যা-বুদ্ধিজনিত অহংবোধ। এই অহংবোধের প্রকাশ কখনো কখনো দ্বীনী রুচি ও পন্থা-পদ্ধতির ক্ষেত্রেও ঘটে। দ্বীনী ইলমের ধারক-বাহকদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে তো ঘটেই। অথচ একথা যেমন স্পষ্ট যে, কুরআন-সুন্নাহ্ই হচ্ছে দ্বীনের বিশ্বাস, রুচি ও বিধি-বিধানের উৎস তেমনি এতেও কোনো সন্দেহ নেই যে, কুরআন-সুন্নাহ্র সঠিক ও যথার্থ জ্ঞান অর্জন করতে হবে আলিমদের নিকট থেকেই। কাজেই হক্কানী উলামা-সমাজের প্রতি অনাস্থা-অবজ্ঞার মনোভাব কুরআন-সুন্নাহ্র যথার্থ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অনেক বড় কারণ।

    এখানে যে বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, আলেম হওয়া মানে ফেরেশতা হওয়া নয়, মাসুম হওয়াও নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে স্বাভাবিক দ্বীনী প্রজ্ঞার অভাবে দু’ধরনের প্রান্তিক মনোভাবই লক্ষ্য করা যায় : মুসলিমসমাজে ক্ষেত্রবিশেষে অতিভক্তি প্রবণতার যেমন অভাব নেই তেমনি ঢালাও অভিযোগ ও অবাস্তব সমীকরণেরও যেন কোনো শেষ নেই। জাগতিক ক্ষেত্রে অবশ্য এ ধরনের ঢালাও অভিযোগের প্রবণতা কম দেখা যায়। সব শ্রেণি-পেশার লোকদের মধ্যেই ভালো-মন্দ উভয় শ্রেণির লোক থাকলেও সেখানে কিন্তু আমরা ভালো ও যোগ্য লোকটিকে ঠিকই খুঁজে নিই। অন্তত খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি; বরং খোঁজাখুঁজিটাকে জীবনযাত্রার সাধারণ নিয়মই মনে করি। কিন্তু ধর্মীয় ক্ষেত্রে যেন রাজ্যের অবসাদ এসে ভর করে। আর তাই খোঁজাখুঁজির কষ্টটুকু স্বীকার করার পরিবর্তে ঢালাও অভিযোগ দায়ের করে দায়মুক্ত হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এভাবে দুনিয়াতে বিবেকের দংশন থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া গেলেও আখিরাতে আল্লাহ তাআলার প্রশ্ন থেকে বাঁচা যাবে না।

    ধর্মীয় ক্ষেত্রেও যোগ্য ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বের সন্ধান অপরিহার্য। এখানে বিচার-বিবেচনাহীন অন্ধভক্তি যেমন ক্ষতিকর তেমনি ঢালাও অভিযোগ-প্রবণতাও। দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, বর্তমান মুসলিমসমাজে উভয় শ্রেণির ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। নানামুখী ফিতনার প্রসার ও বিস্তারের এটাও অন্যতম প্রধান কারণ।

    এই ফিতনা-গ্রস্ততা থেকে মুক্তির জন্য দ্বীনী ইলমের পঠন-পাঠনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের যেমন কিছু করণীয় আছে তেমনি আছে সাধারণ মুসলিম, যারা আলিমদের নিকট থেকে দ্বীনী শিক্ষা গ্রহণ করছেন তাদেরও। সাধারণ মুসলিম জনগণের কর্তব্য হচ্ছে, অহং ও শৈথিল্য উভয় প্রকারের মনোভাব ত্যাগ করে সঠিক দ্বীনী ইলমের অন্বেষণ ও অনুসরণে কৃতসংকল্প হওয়া এবং দ্বীনী ইলমে পারদর্শী মুত্তাকী ব্যক্তিত্বের সন্ধানে প্রবৃত্ত হওয়া। হক্কানী উলামায়ে কেরামের সাহচর্যের মাধ্যমে কুরআন-সুন্নাহ্র সঠিক ইলম অর্জন করে সে অনুযায়ী জীবন ও কর্মকে সজ্জিত করার চেষ্টা করা।

    অন্যদিকে দ্বীনী শিক্ষার পঠন-পাঠনে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কর্তব্য হবে বক্তব্য ও লেখালেখির পাশাপাশি বাস্তব জীবনে ইসলামী বিধি-বিধান পালনে আরো বেশি সচেতন হওয়া। অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে সন্তুষ্ট না থেকে একজন দাঈর যে পর্যায়ের ভালো অবস্থানে থাকা কাম্য ঐ অবস্থানের দৃষ্টান্ত আরো বেশি স্থাপনে সচেষ্ট হওয়া। নিঃসন্দেহে এই অবক্ষয়ের যুগেও দ্বীনের তালীম ও দাওয়াতের সাথে যারা জড়িত সামগ্রিক বিচারে তাদের অবস্থা অন্যদের চেয়ে উন্নত। কিন্তু এই ‘অপেক্ষাকৃত উন্নত’ অবস্থায় সীমাবদ্ধ না থেকে সীরাতুন নবী ও সীরাতে সাহাবার মানদণ্ডে নিজেদের স্বভাব-চরিত্রকে বিচার করা। ইসলামী শরীয়তে যা কিছু গর্হিত ও বর্জনীয় তা থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকা।

    কে না জানেন যে, খাস-আম সকল মুসলিমের যাঁরা আদর্শ সেই আম্বিয়ায়ে কেরাম, বিশেষত শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য এই ছিল যে, করণীয়-বর্জনীয় উভয় ক্ষেত্রেই তাঁরা ছিলেন উম্মতের আদর্শ। যে আদর্শ তারা নিয়ে এসেছিলেন সেই আদর্শের শ্রেষ্ঠ ও প্রথম অনুসারী ছিলেন তাঁরাই। দাওয়াতের উপায় ও পন্থা নির্ধারণেও তাঁরাই আমাদের আদর্শ। তাদের অনুসরণের মধ্যেই আমাদের সাফল্য, দাওয়াতের সাফল্য। তাঁদের এই আদর্শ থেকে বিচ্যুতি শুধু দাঈর জন্যই আত্মঘাতী নয়, ইসলামী দাওয়াতের জন্যেও ক্ষতির কারণ। একইসাথে সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে দাওয়াতকে তার প্রকৃতরূপে গ্রহণের পথেও বড় অন্তরায়। তাছাড়া ইসলামী দাওয়াতের বিপক্ষ শক্তির জন্যে ঢালাও অভিযোগ ও অন্যায় প্রচারণারও অনেক বড় ছুতা।

    বর্তমান ফিতনার যুগে ইসলামের সঠিক শিক্ষার উপরে থাকতে হলে এবং ইসলামের সঠিক শিক্ষা সর্বস্তরের জনগণের সামনে স্পষ্ট ও বাধাহীনভাবে উপস্থাপন করতে হলে ইলমী-আমলী উভয় ক্ষেত্রে অগ্রসরতা ও অবিচলতার কোনো বিকল্প নেই। এককথায় দাঈ-মাদউ উভয় শ্রেণির মাঝে ইলম ও তাকওয়ার ব্যাপক চর্চাই হচ্ছে ফিতনার যুগে ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার প্রধান উপায়।

    আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফীক দান করুন- আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন।

    দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস

    বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ২৯ দেশে; আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৭৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চীনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে, কিন্তু মৃত্যুর মিছিল থামছে না।

    এ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৬০ জন, যাদের মধ্যে ১৫ জন ছাড়া বাকি সবার মৃত্যু ঘটেছে চীনে। আগেই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এবার সংস্থাটির প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে পরিষ্কার যোগসূত্র না থাকা রোগী বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চীনের বাইরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা তুলনামূলকভাবে কম। তবে যে প্যাটার্ন বা ধরনে এ রোগের সংক্রমণ ঘটছে, তা উদ্বেগজনক। কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা বা চীন সফর না করেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইরানে নতুন করে সংক্রমণ ঘটা ও মৃত্যুর ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। ভাইরাসটিকে ঠেকানোর মতো সুযোগ সীমিত বা সংকীর্ণ হয়ে আসছে।

    সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩৯ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সিঙ্গাপুরে পাঁচ বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আরব আমিরাতে এক বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেল। আমিরাত নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার এক জন বাংলাদেশি ছাড়াও ফিলিপাইনের এক নাগরিক একই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে দুজনের অবস্থা স্থিতিশীল। দুজনই হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। ইরানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো দুই জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চার জনের মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটল। ইরানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটির সব শহরেই এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। শুক্রবার ইতালিতে ৭৮ বছর বয়সি এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে দুই জন মারা গেল ইতালিতে। লেবাননে ৪৫ বছর বয়সি এক নারীর করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মিসর, ইসরায়েলেও এ রোগী পাওয়া গেছে।

    কানাডা বলছে, তাদের যে নয় জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, এর মধ্যে এক জন সম্প্রতি ইরান থেকে ফিরেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং সে-কিউন বলেন, তার দেশ জরুরি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দিয়েগু ও চেংদো শহরকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। দিয়েগু শহরের রাস্তা এখন এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেশটিতে তিন জন সেনা সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সব সেনা স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, চীনসহ অন্যান্য দেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর এখনো সুযোগ রয়েছে। সম্ভাব্য মহামারি ঠেকাতে সব দেশকে আরো বেশি প্রস্তুত থাকতে হবে।

    চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দেশটির মূল ভূখণ্ডে ৩৯৭ জনের শরীরে নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৮৮৯ জন। সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ২৮৮ জনে। আর ২৯টি দেশ ও তিনটি অঞ্চল মিলিয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৭ হাজার ৭৬৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সাউথ চায়না মরনিং পোস্ট। শুক্রবার চীনে মোট ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে, এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই মারা গেছেন ১০৬ জন। তাতে চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৪৫ জন। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে নিহতদের মধ্যে ইরানে চার জন, জাপানে তিন জন, হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়ায় দুজন করে এবং ফিলিপাইন, ফ্রান্স, তাইওয়ান ও ইতালিতে একজন করে মারা গেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু শহরে একটি চার্চে প্রার্থনায় যোগ দেওয়া ১৬৯ জন মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ঐ সম্প্রদায়ের নয় হাজার সদস্য স্বেচ্ছায় নিজেদের ঘরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকার এবং পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইসরাইলে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের চৌহদ্দি এবং জাপানের প্রমোদতরির বাইরে দক্ষিণ কোরিয়াতেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। উপকূলে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা প্রমোদতরি ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৩৯ জনসহ জাপানে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭২ জনে।

    নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্ক রোগটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে বলে আবারো হুঁশিয়ার করেছে আইইডিসিআর। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অযথা যেন গুজব না ছড়ায় সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। বিদেশি নাগরিক বা বিদেশফেরত অনেকে নানারকম হেনস্তার শিকার হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, অতি-উত্সাহী লোকের বাড়াবাড়ি বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। আমাদের কাছে তথ্য এসেছে বাড়িওয়ালারা তাদের বাসায় ঢুকতে দিচ্ছে না। একজন চীনা নাগরিক তার ভাড়া করা বাসায় উঠতে গেলে তাকে উঠতে দেওয়া হয়নি। তিনি পরে একটি হোটেলে রাত কাটিয়েছেন। কারও এ ধরনের কাজ পুরো দেশকে ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে মন্তব্য করে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, কেউ সত্যিই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এবং হেনস্তার কারণে তাকে বাইরে থাকতে হলে রোগটি বড়ো আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

    দুই মাসে চীনের ক্ষতি ১৮৫০০ কোটি ডলার

    করোনা ভাইরাস কাবু করে ফেলেছে চীনের অর্থনীতিকে। চীন দ্বিতীয় বৃহত্ অর্থনীতির দেশ হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীততেও। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) চীনের ক্ষতি হতে পারে ১৮ হাজার ৫০০ কোটির ডলারেও বেশি। কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, ভোক্তা ব্যয় এবং পর্যটন খাতকে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী এমন আশঙ্কার খবর প্রকাশিত হয়েছে।

    করোনা ভাইরাস রোগী পাওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামসাংয়ের কারখানা বন্ধ

    দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনেই বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে; এক কর্মীর দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স তাদের মোবাইল ফোন তৈরির একটি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। দেশটির সেন্টার্স ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ২২০ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩৩ জনে। দায়েগু শহরের কাছে গুমিতে স্যামসাংয়ের একটি মোবাইল সেট তৈরির কারাখানায় এক কর্মীর দেহে শনিবার করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। এরপর ওই কারখানা সোমবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ।

    জাপানে করোনা ভাইরাসের আরও ১৫টি নতুন সংক্রমণ

    আজ জাপানে, করোনা ভাইরাসের বেশ কয়েকটি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।

    উত্তরাঞ্চলীয় জেলা হোক্কাইদোর কর্মকর্তারা বলেন যে, ১০এর কোঠার বয়সী একটি মেয়েসহ ৮ ব্যক্তি নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এর ফলে, জেলাটিতে সংক্রমিতের সংখ্যা ১৬ জনে উন্নীত হয়েছে।

    টোকিওর পার্শ্ববর্তী চিবা জেলার কর্তৃপক্ষ, জেলাটিতে ৩টি এবং টোকিওতে ১টি নতুন সংক্রমণের ঘটনার বিষয় জানান।

    জাপানের অন্যান্য স্থানের মধ্যে, কুমামোতো জেলায় দুটি এবং ওয়াকায়ামা জেলায় একটি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।

    কর্তৃপক্ষ জানায় যে, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জাপানে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৭৫৮ জনে পৌঁছেছে।

    ইতোমধ্যে জাপান, নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ফ্লু প্রতিরোধক ওষুধ ব্যবহারের কথা বিবেচনা করছে।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাৎসুনোবু কাতো, আজ সাংবাদিকদেরকে এ কথা জানান।

    তিনি বলেন যে, কার্যকর বলে প্রমাণিত হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

    কাতো বলেন, বিদেশে নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে যে সব ওষুধের কথা বলা হয়েছে ‘আভিগান’ হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন সে সব ওষুধের মধ্যে কেবল একটি।

    চীনে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩শ ছাড়িয়ে গেছে

    চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, আরও ১০৯ জনের প্রাণহানির সংবাদ দেয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা ২ হাজার ৩শ ছাড়িয়ে গেছে। মোট সংক্রমণের সংখ্যা এখন ৭৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরম্ভ হওয়া হুবেই প্রদেশে অধিকাংশ সংক্রমণের ঘটনা ঘটে।

    চীনা কর্মকর্তারা, হুবেই, জেযিয়াং ও শানদং প্রদেশের বেশ কয়েকটি কারাগারে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানান।

    তাঁরা, এপর্যন্ত ৫শর বেশী কারাবন্দী ও কারারক্ষী সংক্রমিত হন বলে জানান।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এই রোগের জন্য প্রতিষ্ঠিত কোন চিকিৎসা নেই বলে জানায়। তবে সংস্থা, এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ভাইরাস প্রতিষেধকের মিশ্রণসহ দুটি ক্লিনিকাল পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানায়।

    আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনা কর্মকর্তারা, আগামী এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ থেকে একটি প্রতিষেধক ব্যবহার করে ক্লিনিকাল পরীক্ষা আরম্ভ করা হতে পারে বলে জানান।

    দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর থেগুকে বিশেষ সতর্ক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

    বর্তমানে, দেশটিতে, সংক্রমণের সংখ্যা, ৪৩০ ছাড়িয়ে গেছে।
    কর্মকর্তারা, দেশটিতে সংক্রমিতদের অর্ধেকের বেশী রোগী হচ্ছে থেগুর অধিবাসী বলে উল্লেখ করেন।

    সংক্রমিতদের অধিকাংশই, এর আগে একজন সংক্রমিত মহিলা যে গির্জায় যান তাঁরাও একই গির্জায় যান বলে জানা গেছে।

    ভাইরাসটি বর্তমানে, ২৪টির বেশী দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতালির সংবাদ মাধ্যম, দেশটিতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা জানায়। মৃত ব্যক্তিটি হচ্ছেন, ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় অংশের ৭৮ বছর বয়সী এক পুরুষ। এতে, উক্ত ব্যক্তির চীন সফরের কোন রেকর্ড ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়।

    করোনাভাইরাস; মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪৭

    চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আরও ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সারাবিশ্বে সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৪৭ জনে। আজ শুক্রবার সিএনএনের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।

    মৃতের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। এখন পর্যন্ত চীনে মারা গেছেন ২২৩৬ জন, আর চীনের বাইরে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।

    সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, চীনে ৭৫ হাজার ৪৬৫ জনের শরীরের এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ৬৯১ জনে।

    গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর আস্তে আস্তে তা বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

    হুবেইয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রদেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬২ হাজার ৪২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ১৪৪ জনের।