• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • চিনির ক্ষতিকর দিক

    Posted by admin on August 4
    Posted in Uncategorized 

    চিনির ক্ষতিকর দিক

    যারা মিষ্টিজাতীয় খাবার বিশেষ করে চিনি পছন্দ করেন তারা আজকেই এটিকে না বলুন। কেননা, এখন থেকে সতর্ক না হলে অদূর ভবিষ্যতে নানারকম ক্ষতি হতে পারে আপনার।
    চিনি ডায়বেটিক রোগীদের জন্য একেবারে বিষের সমতুল্য। এর পাশাপাশি ক্যান্সার, হূদরোগ ও স্থূলতাকে ত্বরান্বিত করে এই পদার্থ। এবার জেনে নিন চিনি আপনার শরীরে কি ধরণের ক্ষতি করতে পারে।
    * চিনি বেশি খেলে শরীরে ক্যানসার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আয়ু কমিয়ে আনে এটি।
    * চিনিতে রয়েছে ফ্রুকটোস, যা বেশি মাত্রায় শরীরে থাকলে মানুষ মোটা হয়ে যায়।
    * এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, চিনি বেশি খেলে কোকেন, গাজাসহ নানাবিধ নেশার সামগ্রীতে আসক্তি অনেক বেড়ে যায়।
    * কিছুদিন আগে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বেশিমাত্রায় চিনি খেলে স্মৃতি হ্রাস পায়। একইসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও খারাপ হয়।
    * সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, বেশিমাত্রায় চিনি খেলে রক্তের প্রবাহে পরিবর্তন হয়। ফলে হার্ট ফেল করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
    * বেশি চিনি খেলে শিশুদের মস্তিষ্ক ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একইসঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও কমিয়ে দেয় চিনি।
    * চিনি বা মিষ্টি খাবার বেশি খেলে যেমন শরীরের নানা ক্ষতি হয়, তেমনই এর ফলে আয়ুও কমে যায়।

    জাপান সরকারের উপর মার্কিন গোয়ান্দাগিরিঃ কৈফিয়ত চাইলো জাপান

    জাপান সরকার এবং জাপানি কোম্পানি গুলোর উপর মার্কিন গোয়েন্দাগিরির জন্যে ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছে জাপান।

    “সত্য ঘটনা উদঘাটন করে দেখতে আমরা মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার’র কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি” জাপানের প্রধান মন্ত্রী পরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা সাংবাদিকদেরকে বলেন। সাংবাদিকরা উইকিলিকস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জাপান সরকারের কর্মকর্তা ও কোম্পানি গুলোর উপর আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা’র গোয়েন্দাদের নজর সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

    “গোয়েন্দা নজররের বিষয়টি যদি সত্যি হয়ে থাকে আমেরিকার মিত্র দেশ হিসেবে আমরা সেটাকে অত্যন্ত দুঃখজনক হিসেবেই বিবেচনা করবো” সুগা বলেন।

    লতিফের এমপি পদ বাতিলে ইসিকে আ’লীগের অনুরোধ   

    আমেরিকার নিউইয়র্কের জ্যাকসনে দেয়া নিজের ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্যকে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দিয়েছেন উল্লেখ করে ওই বক্তব্যের কারণে দল থেকে বহিষ্কারের এখতিয়ার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেই বলে দাবি করেছেন দল সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া এক চিঠির জবাবে তিনি এই দাবি করেন। একই সাথে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত না হওয়ায় সিইসিকে দেয়া স্পিকারের চিঠি আমলে না নিয়ে তা ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ না থাকায় সংসদ সদস্য থাকার অধিকার নেই বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুরে একই চিঠির জবাবে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বহিষ্কার ও বহিষ্কার-পরবর্তী সাংবিধানিক অবস্থান জানানো হয়। এসময় টাঙ্গাইল-৪ আসনকে শূন্য ঘোষণা করতে ইসিকে অনুরোধও জানিয়েছে দলটি। আর ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছিলাম তারা নিজেদের অবস্থান ব্যাখা করেছে। এখন পূর্ব নজির অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের পক্ষে উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ইসির চিঠির লিখিত জবাব জমা দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ আর গণপ্রতিনিধিত্ব ৭২ এর ১২(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীকে কোনো নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের বা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়। লতিফ সিদ্দিকী উক্ত ধারা ও অনুচ্ছেদ অনুসারে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যেহেতু আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ধারা মতে, দলের সকল পদ ও  প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কৃত হয়েছেন এবং তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন তাই জাতীয় সংসদের পদে থাকার আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।তিনি আরো জানান, যেহেতু তিনি (লতিফ সিদ্দিকী) দলের কেউ নন, প্রাথমিক সদস্য পদও নেই এ কারণে ৬৬(৪) ধারা ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীর টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদ বাতিলে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।গত ১৩ জুলাই দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সিইসিকে চিঠি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর গত ১৬ জুলাই লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়।এর আগে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে চিঠির লিখিত জবাব দেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমেরিকার নিউইয়র্কে যে বক্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। ইসিতে পাঠানো চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কূটনৈতিক সফরকালে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বসবাসরত টাঙ্গাইলের অধিবাসীদের সঙ্গে আলাপকালে আমার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার যে কষ্টকল্পিত, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে, তা আলোচনার স্বার্থে যদি ধরে নেওয়া হয় আমি ওই বক্তব্য দিয়েছি, তাহলে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্যপদ বাতিল করার এখতিয়ার দলের কেন্দ্রীয় সংসদের নেই। কেননা, আমি বাংলাদেশ সরকারের তথা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে গিয়েছি এবং একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে উক্ত বক্তব্য দিয়েছি বলে বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নেই। অতএব আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে আমাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটাই ভুল ব্যাখার ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে।তিনি সংবিধানের ৬৬(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিতর্ক নিষ্পত্তি সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, অতএব, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক বিচার্য বিষয়ের অন্তর্গত নয় বিধায় উক্ত অভিযোগ প্রাথমিক স্তরেই খারিজ হবে।চিঠিতে আরো বলা হয়, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের কোনো একটি সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদে বর্ণিত সংসদ সদস্যপদ বজায় রাখার ক্ষেত্রে অযোগ্যতার আওতায় পড়ে না কিংবা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত দুটি কারণসমূহের একটিও আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আমি দল থেকে পদত্যাগও করিনি কিংবা সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে দলের কোনো সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোটও দেইনি।চিঠিতে বলা হয়, আমার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক আনীত অভিযোগ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণসমূহের মধ্যে পড়ে না বিধায় জাতীয় সংসদের স্পিকার যেমন সংবিধানের ৬৬(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে চিঠি প্রেরণ করতে পারেন না, তেমনি সিইসিও এতদসংক্রান্ত কোনোরূপ শুনানি কিংবা নিষ্পত্তি করার কোনো প্রকার আইনি অধিকার সংরক্ষণ করেন না।বিষয়টির গভীরতা ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রাখতে অনুরোধ করছি। তাই নির্বাচন কমিশন শুনানি বিতর্কে না জড়িয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর ফেরত পাঠাতে বাধিত হবে।এদিকে দু’পক্ষের জবাবের পরে নিজ কার্যালয়ে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সংবিধান ও আগের নজির অনুসারেই ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন চাইলে এ বিষয়ে দু’পক্ষের শুনানিও করতে পারে। তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি-না তা আইনি বিষয়। সংবিধান, আইন ও পূর্ব নজির অনুসারে কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কমিশন চাইলে এ বিষয়ে দ’ুপক্ষের মধ্যে শুনানি করতে পারে।তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দু’পক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছি। তারা আজকে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। এখন আমরা তা দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। প্রসঙ্গত গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী থাকাকালীন এক অনুষ্ঠানে হজরত মুহাম্মদ (সা.), পবিত্র হজ ও তাবলীগ-জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রবীণ রাজনীতিক লতিফ সিদ্দিকী। এরপর দেশের ইসলামী দল ও সংগঠনগুলো তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে তাকে মন্ত্রী পরিষদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এর পরে তাকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়ে তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়। এর পরে প্রায় আট মাস পরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্পিকারের দেয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিনকে চিঠি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ১৬ জুলাই ইসি লতিফ সিদ্দিকীর অবস্থান ও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেন। একইদিন সিদ্দিকীর বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেও চিঠি দেয়া হয়। আজ শেষদিনে দু’পক্ষই চিঠির জবাবে নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখা করল।

    মধ্য জাপানের তাপমাত্রা ৩৯. ডিগ্রি স্পর্শ করলো

    জাপান জুড়ে প্রচন্ড তপ্ত আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রচন্ড গরম রোববারও অব্যাহত থাকে। শনিবার গিফু প্রিফেকচাররের তাজিমি’র তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়েস। দিনটি ছিলো এ বছর জাপানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন

    বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

    এ ছাড়া গুনমা প্রিফেকচারের তাতেবাইয়াশি’তে তাপমাত্রা ছিলো বিকেল ৪টায় ৩৯.৪ ডিগ্রি, কিয়োতো ৩৮.৫ ডিগ্রি। মধ্য জাপানের নাগোয়া’তে তাপমাত্রা ছিলো ৩৮.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং টোকিও’র চিওদা ওয়ার্ডের কিতানো মারু পার্কে।

    রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৯২৮টি পর্যবেক্ষণ কেদ্রের মধ্যে ২১৫টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি ছিলো -যা মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

    ৬৭৩টি স্থানে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেঃ স্পর্শ করে।

    জাপানের ওপর মার্কিন নজরদারি

    জাপান সরকার এবং দেশটির বিভিন্ন ব্যাংক ও কোম্পানির ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আট বছর আগে এই নজরদারি চালানো হয়। ফাঁস করা এক নথিতে এ তথ্য জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী ওয়েবসাইট উইকিলিকস। তবে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। খবর বিবিসি’র।

    এক বিবৃতিতে উইকিলিকস জানিয়েছে, জাপানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসএ)। উইকিলিকস ৩৫ টি টেলিফোন নম্বরের তালিকাও প্রকাশ করেছে। জাপানের মন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের মধ্যকার আলোচনা বিশেষ করে বাণিজ্য সংক্রান্ত, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, পরমাণু এবং জ্বালানি নীতি সম্পর্কিত আলোচনায় হস্তক্ষেপ করেছে এনএসএ। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের বাসভবনের গোপন ব্রিফিংয়ের ওপরও নজরদারি চালানো হয়েছে।

    জাপানের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাংক, জ্বালানি বিভাগ এবং মিতসুবিশি ও মাত্শুইয়ের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের ওপর গোয়েন্দাবৃত্তি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উইকিলিকস এর আগে জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রাজিলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি চালানোর বিষয়টি প্রকাশ করেছে। এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বলেই পরিচিত। উইকিলিকস জানিয়েছে, এনএসএ সংগ্রহ করা এসব তথ্য অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বিনিময় করতো যারা ‘ফাইভ আইজ’ নামে পরিচিত।

    লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া   

    চোখের চিকিৎসা নিতে লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি লন্ডন যাবেন। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠজন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০ আগস্টে লন্ডন যাত্রার সম্ভাব্য তারিখ রাখা হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া জোরদার করবেন বলেও জানায় সূত্রগুলো। এর আগে গত ২০১০ সালের মে মাসে লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। পূর্ব লন্ডনের গোরস ভেনর নামের হোটেলে মায়ের সাথে সস্ত্রীক দেখা হয় তারেক রহমানের। ওই সময় স্থানীয় একটি হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞের চিকিৎসাসেবা নেন খালেদা জিয়া। এখন চোখের সমস্যা দেখা দেয়ায় লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি প্রধান। একই সাথে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বড় ছেলের সাথে দেখাও হবে সেখানে। লন্ডন বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা ইনকিলাবকে জানান, লন্ডনে গেলে সে দেশের সরকারের উচ্চপদস্থ কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা হতে পারে। তাছাড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত রুশনারা আলীর সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। এছাড়া সেখানকার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এমন প্রত্যাশা আছে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের।

    মহাসমুদ্রে বিলীন হবে ওয়াশিংটন ডিসি!
    মহাসমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্ট এবং ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের পরিচালিত এক নতুন গবেষণার ফলাফলে এ দাবি করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    গবেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীসহ চেসাপিক বে অঞ্চলের ভূমি দ্রুতই ডুবে যাচ্ছে। উষ্ণ জলবায়ুর কারণে চেসাপিক বে’র সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাচ্ছে।

    তারা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির এই হার ইস্ট কোস্টের যে কোনো অঞ্চলের থেকে অনেক বেশি। এ হারে পানি বাড়তে থাকলে আগামী ১০০ বছরে ওাশিংটন ডিসি ৬ ইঞ্চি বার তার চেয়ে পানির নিচে তলিয়ে যাবে। অধিক হারে বরফ গলার কারণে পানির উচ্চতা বাড়ছে।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ওই অঞ্চলে বন্যা বাড়বে।

    ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্টের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গবেষণা পরিচালনাকারীদের প্রধান বেন ডে জং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব ঠেকাতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। বিশ্বের এই অঞ্চলে ছয় ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি প্রকৃতপক্ষেই একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

    জাপানি মহিলারা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী

    দীর্ঘতম গড় আয়ুর ক্ষেত্রে জাপানের নারীরা তৃতীয় বছরের মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন। আয়ুর ক্ষেত্রে জাপানের পুরুষরা বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

    জাপানে স্বাস্থ্য, শ্রম এবং ওয়েলফেয়ার মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানান জাপানি নারীদের গড় আয়ু দাঁড়িয়েছে ৮৬.৮৩ বছর। জাপানি পুরুষদের গড় আয়ু ৮০.৫ বছর।

    পুরুষ ও নারীর উভয় ক্ষেত্রেই আগের বছরের চেয়ে গড় আয়ু বেড়ে গেছে যথাক্রমে ০.২২ এবং ০.২৯ শতাংশ হারে।

    লিঙ্গ ব্যবধানের গড় আগের বছরের চেয়ে কমেছে ০.০৭ শতাংশ।

    মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন জাপানিরা বেশি দিন বাঁচার পেছনে কারণ গুলো হলো ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় ব্যাপক উন্নতি। এসব রোগে আক্রান্ত হয়েই বেশির ভাগ মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকেন।

    ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে জাপান প্রবাসীদের সম্বর্ধনা

    মহান একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা, প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী বাংলাদেশ লোক সংগীত পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করলেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

    গত ২৬ জুলাই ২০১৫ রোববার, টোকিওর আকাবানে বিভিন্ন হলে দলমত নির্বিশেষে সকল প্রবাসীরা সমবেত হয়ে এই শিল্পীকে সম্বর্ধনা দিলেন।

    কাজী ইনসানুল হকের সভাপতিত্বে এই নাগরিক সম্বর্ধনায় শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উত্তরণ’র পক্ষে জাহিদ চৌধুরি, স্বরলিপি’র পক্ষে নাসিরুল হাকিম, বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরামের পক্ষে বাকের মাহমুদ, সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষে সুনীল দে মুঞ্জিগঞ্জ বিক্রমপুর সোসাইটির পক্ষে মোল্লা ওয়াহিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার পক্ষে ছালেহ মোঃ আরিফ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখার পক্ষে কাজী এনামুল হক, বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ১ম সচিব বেবী রাণী কর্মকার, সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষে তনুশ্রী গোলদার। এ ছাড়াও, মুক্তিযোদ্ধা অজিত বড়ুয়া, কাজী মাহফুজুল হক লাল প্রমুখ এই বীর কন্ঠযোদ্ধার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা জানান। মুকুল মুস্তাফিজ ও বাকের মাহমুদ তাকে উৎসর্গিত কবিতা পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন নারমিন হক এবং দ্বীপ্তি রাজবংশীর হাতে ফুলের তোড়া দেন মনি হাকিম।
    মুন্সী খ আজাদ তার শুভেচ্ছা বক্তব্য সহ ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর পরিচিতি বাংলা ও জাপানি ভাষায় পড়ে শোনান। জাপান প্রবাসীদের পক্ষ থেকে শিল্পীকে ক্রেস্ট প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি কাজী ইনসানুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক মীর রেজাউল করিম রেজা। বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরামের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেন জুয়েল আহসান কামরুল।

    সম্বর্ধনা অংশ উপস্থাপনা করেন সুখেন ব্রম্ম। সম্বর্ধনা শেষে আবেগ ঘন বক্তব্যে ইন্দ্রমোহন রাজবংশী জাপান প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন- আপনারা সম্মিলিত ভাবে আমাকে যে সম্মান জানালেন -তা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া- আমি আজীবন তা পরম মমতায় ধারণ করবো। দোয়া করবেন আমি যে মরমী গান সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি তা যেন শেষ করে যেতে পারি।

    উত্তরণ কালচারাল গ্রুপ জাপান’র সহযোগিতায় শিল্পী দম্পতি গান, গানের সাথে সাথে নানান কথাবার্তা, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের নানান ঘটনা বর্ণনা করেন। দর্শকরা প্রাণ ভরে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। বাংলাদেশের পরম বন্ধু বেশ ক’জন জাপানি দর্শকও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
    কম্পিউটার গ্রাফিক্সে ছিলেন কমল বড়ুয়া। এ ছাড়াও অন্যান্যরা সহযোগিতা করেন।

    অ্যাঞ্জেল নিয়ে তোলপাড়!

    ঠাকুরমার ঝুলি বা নিদেনপক্ষে আরব্য রজনীতে এমনটা হলে আমরা কেউই আশ্চর্য হতাম না। কিন্তু বাস্তবে যদি শোনেন, আকাশ থেকে একজন বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেল মাটিতে পড়ে গিয়েছে এবং তাঁকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে তাহলে তা এক কথায় হেসে উড়িয়ে দেবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তবে যতই হাসাহাসি করুন না কেন, সমপ্রতি ইন্টারনেটে একটি ছবি তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন   বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেল অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। তাকে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। পক্ককেশ ওই বৃদ্ধ অ্যাঞ্জেলকে দেখতে সাধারণ মানুষের মতোই। তবে শুধু একটাই ফারাক রয়েছে। তার পিঠে এক জোড়া ডানা রয়েছে। তবে বয়সের কারণে ডানা দুটোতে পালক কিংবা পশম নেই বললেই চলে। অ্যাঞ্জেল চোখ বন্ধ করে শুয়ে রয়েছে শান্তিতে।

    ছবিটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার পর কোটি কোটি মানুষ তা দেখছে। এটি এতই ‘জীবন্ত’ যে অনেকেই তাকে সত্যি সত্যি অ্যাঞ্জেল বলে বিশ্বাস করে মন্তব্য করেছে। কিন্তু বিষয়টি সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সাংবাদিকরা তুলে এনেছেন আসল ঘটনা। তারা বলছেন, এটি আসলে কোনো অ্যাঞ্জেল নয়। একটি ভাস্কর্য। অসাধারণ এবং ‘প্রায় জীবন্ত’ এই ভাস্কর্য তৈরী করেছেন দুই চিনা শিল্পী। তাদের নাম সুন ইউয়ান এবং পেং ইউ। চীনের রাজধানী বেজিংয়ে রাখা এই অ্যাঞ্জেলকে যারা সরাসরি দেখেছে তারাও একে আসল মনে করে বিভ্রান্ত হয়েছেন। দুই শিল্পী এই সাড়া জাগানো ভাস্কর্যের নাম দিয়েছেন ‘দ্য ফলেন অ্যাঞ্জেল’।

    বিধ্বস্ত বিমানের রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানকে খুঁজছে পুলিশ

    গত রোববার বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানকে খুঁজছে পুলিশ। বিমানটি পশ্চিম টোকিওর একটি বাড়ির উপর বিধ্বস্ত হলে ৩ জন নিহত হন।

    আবাসিক এলাকাটিতে দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ও এক আরোহী নিহত হন এবং বাড়ির ৩৪ বছর বয়স্ক এক নারী নিহত হন, এ ছাড়াও ৫ জন আহত হন।

    প্রায় এক ডজন তদন্তকারী মঙ্গলবার চোফু বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। এখানেই বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সহ অপর দু’টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, পুলিশের সন্দেহ তারা কোনো ভাবে দুর্ঘ্টনার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে।

    কোথাও কোনো অনিয়্ম হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে তারা বিমানের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড জব্দ করেন।

    ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিমানের ইঞ্জিন এবং ডানার ভগ্নাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

    পাইপার পিএ ৪৬ বিমানটি উড্ডয়নের এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে পাইলট সহ ৫ জন আরোহী ছিলেন। বিমানটি অত্যন্ত নীচু দিয়ে অপর্যাপ্ত গতিতে উড়ছিলো।

    তদন্তকারীরা বলেছেন ৩৬ বছর বয়স্ক পাইলট তাইশি কাওয়ামুরা রেডিওতে বিমানের কোনো ধরনের সমস্যার কথা জানাননি।

    আপিল বিভাগেও সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি বহাল

    একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করে।
    এই বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

    ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের ২৮ দিনের মাথায় আপিল করেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। চলতি বছর ১৬ জুন থেকে মোট ১৩ দিন দুই পক্ষের যুক্তি শোনে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। শুনানি শেষে আদালত ২৯ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করে।

     

    এর আগে ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যার ৩ নম্বর, সুলতানপুর বণিকপাড়ায় গণহত্যার ৫ নম্বর, উনসত্তরপাড়ায় গণহত্যার ৬, ও তত্কালীন আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মোজাফফর আহমেদকে অপহরণের পর হত্যার ৮ নম্বর অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেকটিতে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এই চারটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

    এছাড়াও পাঁচটি অভিযোগে তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৭ নম্বর অভিযোগ সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যার মামলায় তাকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। আপিল বিভাগ তাকে এ অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে। আর বাকি চারটি অভিযোগে দেয়া কারা দণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। গহিরা গ্রামে হিন্দু অধ্যুষিত পাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ২ নম্বর, জগত্মল্লপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ৪ নম্বর এবং রাউজান পৌরসভা এলাকার সতীশ চন্দ্র পালিত হত্যার ৭ নম্বর অভিযোগের প্রত্যেকটিতে সালাহউদ্দিন কাদেরকে ২০ বছর করে ৬০ বছর এবং নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজ ও ওয়াহেদ ওরফে ঝুনু পাগলাকে অপহরণ ও নির্যাতনের ১৭ এবং মো. সালেহউদ্দিনকে অপহরণ ও নির্যাতনের ১৮ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর করে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।

    সাড়ে ৫ লাখ বছরের পুরনো মানুষের দাঁতের সন্ধান ফ্রান্সে

    ফ্রান্সের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের একটি দাঁত পেয়েছে দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি গ্রুপ। মঙ্গলবার এটিকে খুঁজে পান তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পাঁচ লাখ ৬০ হাজার বছরের পুরনো।
    এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকরা একে বড় ধরনের আবিষ্কার বলে বর্ণনা করেছেন।
    ফসিলতত্ত্ববিদ এমিলি ভায়ালেট বলেন, মাটি খননের সময়ে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের একটি দাঁত পাওয়া গেছে। তবে এটি নারী নাকি পুরুষের তা জানা যায়নি। সময় নির্ধারণের বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে আমরা জানতে পেরেছি এটি আনুমানিক ৫ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার বছরের পুরনো।

    সালাউদ্দিন কাদেরের চূড়ান্ত রায় কাল

    মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপিলের চূড়ান্ত রায় বুধবার ঘোষণা করা হবে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
    গত ৭ জুলাই আপিলের শুনানি শেষে ২৯ জুলাই রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। এদিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
    এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময়ের অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করেছে। অথচ ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার জন্য চলে যান। পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পাকিস্তান এয়ারওয়েজের টিকেটও রয়েছে এবং সেখানে পড়ালেখা-সংক্রান্ত সনদও রয়েছে। ১৯৭১ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দেশে ছিলেন না। এসব কিছু আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি।’
    অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আপিল বিভাগেও আমরা যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছি। আশা করি, তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকবে। আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকার বিষয়ে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। একাত্তরে তিনি যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’

    মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২৩ অভিযোগের মধ্যে ১৭টিতে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে নয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। আটটি অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেয়া হয়।

    ইসলামের বিজয় অত্যাসন্ন আপনি কি প্রস্তুত  

    আমাদের প্রত্যেকের জীবন থেকে চলে গেল আরেকটি আনন্দালোকের মধুর সময়। সেই রজব শাবান থেকে মহামহিমান্বিত রমজান, শবেকদর ও পবিত্র ঈদুল ফিতর। কী রহমত, বরকত, ক্ষমা-করুণা, নাজাত ও মাগফিরাতের ঢেউ। কী আবেগ উচ্ছ্বাস আনন্দাশ্রু আর হৃদয়নিংড়ানো নিবেদনের মওসুম। কেমন ছায়া, কেমন মায়া, কী শীতলতা, কত অনুকম্পার ভরা বর্ষা। শবে মিরাজ, নিসফে শাবান, শবে বরাত, সিয়াম ও কিয়াম, তিলওয়াত, তারাবীহ, সাহরি, ইফতার, সাদাকা ও ইতেকাফ পালন করে, তাকবীরের উদ্দীপনায় প্রেমপুণ্য পরিচয় ও পরিপূরণের ঈদ। হে আল্লাহ তুমি আমাদের মঙ্গলে পূর্ণ করে দাও, রজব ও শাবানকে ভরে দাও, বরকত ও ঋদ্ধিতে। আমাদের হায়াত দারাজ করে পৌঁছে দাও, পবিত্র মাস রমজানের দ্বারপ্রান্তে। এ দোয়াটি নবী করিম (সা.)-এর। বলেছেন, রমজানের শেষ দশকে খোঁজো কদরের রাত। এ রাতের নাগাল যে পাবে তার অতীত গোনাহ মাফ। হাজার মাসের সেরা এ রাত মুক্তির পয়গাম। সামনে আসছে হজ ও কোরবানী। এরপর মহররম। আশুরার পর সৌভাগ্যের পরম বার্তাবহ রবিউল আউয়াল। আবার একটু দম নিয়েই বছরের চাকা ঘুরে গিয়ে স্পর্শ করবে নতুন রজব শাবান। আরেকটি রমজান। জানা নেই, কারা কারা পাবে সে নতুন বাঁকা চাঁদ। জীবনের ডায়েরির পাতায় আরেকটি রমজান।গত পাঁচ বছর ধরে, কী এক কুদরত দেখে চলেছি আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর আশিসধন্য পবিত্র স্বদেশ বাংলাদেশে। জুন, জুলাই ও আগস্টের ভ্যাপসা গরম, তাপদাহ, খররোদ্র আর বিদঘুটে আবহাওয়ায় যেই রমজান আসে শুরু হয় ছায়া ঢাকা শীতল আবহে স্বস্তির মরুদ্যান। একটি মাস যেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ। আবার ঈদ শেষে যেই সেই। রমজান শরীফে বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস যে রহমত ও স্বস্তিতে ভরে যায়, এটি প্রত্যক্ষ করে কোটি কোটি মানুষ আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর দিকে ঝুঁকে পড়ে। নামাজির সংখ্যা শতগুণ বৃদ্ধি পায়, বাড়ে রোজাদার ও পরহেজগারের পরিমাণ। উপচে পড়ে লাখো মসজিদ। তারাবীহ, জুমা ও কিয়ামুল্লাইলে নামে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার ঢল। দোয়া, মোনাজাত, জিকির, তওবা, প্রার্থনা, ফরিয়াদ, কান্না ও রোনাজারির বেহেশতি আবহ সৌরভে ভরে দেয় বাংলার আকাশ-বাতাস। কী অপূর্ব এ বাংলা, কত গভীর এর আস্থা ও বিশ্বাস। কত ব্যাপক এখানে ঈমান, আমল ও ইহসান। কী কঠিন মায়ার চাদর বিছিয়েছেন আল্লাহ এ দেশের মানুষের অন্তরে। কতই না শক্ত তাদের বাঁধন প্রিয় নবীজির (সা.) ভালোবাসার ডোরে।বাংলাদেশের সাথে আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) মহান আনুগত্যের সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেই মনে পড়ে আমাদের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কথা। তিনিই তো বলেছেন, এ কোন মধুর শরাব দিলে আল আরাবী সাকী। নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হলো আঁখি। …আল কোরআনে সবক দিলে শবে কদর রাতে। নর-নারী, বাদশাহ-ফকির সেই জামাতে হলো শামিল। যা ছিল নজরানা দিল রাঙা পায়ে রাখি। এ কোন মধুর…। ইসলাম ও ঈমানের বন্ধন, কোরআন সুন্নাহ, রমজান ও শবে কদরের মায়া আর এলো খুশীর ঈদের ছায়া যে এই বাংলায় দেড়হাজার বছর ধরেই বিস্তৃত তা কাজী নজরুল ইসলামের মত সুন্দর করে আর কে বলতে পারবে? শুধু বাংলায় বাংলাভাষায়ই নয়, দুনিয়ার প্রতিটি প্রান্তে সকল জীবন্তভাষায় ইসলামের শানে রচিত কবিতা ও সংগীত আমরা খুঁজে দেখেছি, নজরুল ইসলামের মত হৃদয়, মায়া, অশ্রু ও নিবেদন, তাঁর মত ভাব, ভাষা, ছন্দ ও সুর সহজে চোখে পড়ে না। বাংলাদেশ বিশ্ব ও আশপাশের প্রায় তিরিশ কোটি বাংলাভাষীর ঈদ প্রাণ খুঁজে পায় না যদি না গীত ও শ্রুত হয় কবি কাজীর গান, ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ। তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ। তোর সোনা দানা বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ। দে জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙ্গাইতে নিদ। তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ। কী অসাধারণ দার্শনিক ও দিক-নির্দেশক এর বাণী। কত অনন্য এর ভাব, ভাষা, গীত ও ছন্দ।২০১৫-এর ঈদ যদিও ছিল অনেক দুঃখ কষ্ট ও জমাটবাধা শোকের পাটাতনে স্থাপিত তথাপি অন্ধকার দিগন্ত ফুঁড়ে বের হওয়া আলোর ফোয়ারা দেখে আশায় জাগ্রত হয় মুমিন হৃদয়। মেঘ দেখে ভয় পাওয়া উম্মতে মুহাম্মদী আবার আড়ালে তার সূর্যের হাসিও দেখে। বিগত কয়েক বছরে সারাবিশ্বে কাফির মুশরিক ও নাস্তিক বেঈমানদের হাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিহত হয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ মুসলমান। এ কষ্ট কি বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়ে বাজে না? ফিলিস্তিন, লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, চীন, ফিলিপাইনসহ সাত মহাদেশের কোন জমিনটি এমন আছে যেখানে উম্মতে মুহাম্মদীর পূর্ণ নিরাপত্তা স্বীকৃত। লাখো শহীদ, লাখো শরণার্থী, লাখো এতিম বিধবা সন্তানহারার কষ্ট জমাট বাধা এই ঈদে মুক্তি ও বিজয়ের কোন ঐশী আলোকচ্ছটা কি দেখতে পাওয়া যাবে? দিকে দিকে দেশে দেশে নয়া কারবালার পশ্চাদপটে কি ভেসে ওঠে কোন নতুন জিন্দেগীর দিশা? ইসলাম তো কারবালার পরই নতুন জীবন ফিরে পায়।এবার বিশ্বের ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ মক্কাশরীফে গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। মসজিদে নববীতে ১৫ হাজার আর মসজিদুল হারামে প্রায় ১২ লাখ মানুষ ইতেকাফ পালন করেন। ২৭ রমজান রাতে মক্কায় ইবাদত বন্দেগীতে কাটান ৫০ লাখ মানুষ। এবার সউদী বাদশাহ স্বয়ং কাবা সংলগ্ন স্থানে ইতেকাফে শরিক হন। এর আগে তিনি পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করতে মদীনা শরীফ যান। উন্নত প্রযুক্তিতে এবছরই প্রথম কাবাশরীফের অসাধারণ সব ছবি বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয়। আকাশ থেকে কাবার ছাদ আর পূর্ণ তাওয়াফ ও কিয়ামুল্লাইলের ছবি ধারন করা হয়। যেসব দেখে ইসলাম গ্রহণ করে বিশ্বব্যাপী শত সহস্র মানুষ। আমেরিকায় খতম তারাবির জামাত হয় তিন হাজার। আড়াইশ’ হাফেজ ছিলেন বাংলাদেশী। অসংখ্য হাফেজ আমেরিকার মাদরাসায় পড়ে কোরআন মুখস্থ করেছেন। ইউরোপে খতম তারাবির কোন সীমাসংখ্যা নেই। জাপানে বাংলাদেশী হাফেজরা তারাবিহ পড়াতে গিয়েছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে অসংখ্য ইমাম এখন বাংলাদেশী কুয়েত-কাতারে হাজার খানেক ইমাম বাংলাদেশী। এবার ঈদুল ফিতরের জামাত দেখে বোঝা মুশকিল ছিল, একি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনার জামাত না কি কোন আরব রাজধানীর? এসব জামাত ছিল মস্কোয়, লন্ডনে, ইটালি, জার্মানী, চীন, নিউইয়র্ক আর ওয়াশিংটনে। মক্কা, মদীনা, রাবাত, কায়রো, আম্মান, বাগদাদ, বাকু, করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ, দিল্লী, আহমদাবাদ, বাংলোর, বোম্বে, কলকাতা, ঢাকা, কুয়ালালামপুর ও জাকার্তা কোথাও কোন ছন্দপতন নেই। একই নামাজ, একই তাকবীর ধ্বনি, একই দুরূদ, একই মোনাজাত। বার্মিংহামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যপ্রাচ্যে থেকে সংগ্রহ করে নেয়া কিছু পান্ডুলিপি ও পূরাকীর্তি দীর্ঘ বছর পড়েছিল। এক গবেষক এসব ঘেটে বের করেছেন পবিত্র কোরআনের সর্বপ্রাচীন কিছু অংশ। তাদের কার্বন টেস্টে ধরা পড়েছে এ কাগজগুলোর বয়স কমপক্ষে ১৩৭০ বছর। বিজ্ঞানীদের মতে, এসব হযরত নবী করিম (সা.)-এর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এমন কোন ব্যক্তির হাতের লেখা। প্রক্রিয়াজাত হরিণের চামড়ায় হিজাজি লিপিতে তৈরি এ পান্ডুলিপি নুকতা ও যের, যবর, পেশ সংযুক্ত হওয়ার আগেকার। নবী করিম (সা.)-এর নিকট এ অংশটি নাজিল হয় অন্তত ১৪৪০ বছর আগে। বিজ্ঞানীদের আন্দাজ ১৩৭০ হলেও এর বয়স আরো বেশী হওয়ার সম্ভাবনার কথা তারাই বলেছেন। ঈদের পর জুমার রাতে ইন্টারনেটে পাওয়া পবিত্র মহাগ্রন্থের এ পাতাটি খুব মনযোগ দিয়ে দেখে বুঝতে পারি এটি সূরা তোয়াহার প্রথম দিককার ১৩টি আয়াত। আর সূরা মারইয়ামের শেষাংশ। দেখে আমার শরীর কেঁপে ওঠে। বিগলিত অন্তরে অশ্রুর ধারায় চলে যাই ইতিহাসের সে পবিত্র প্রাঙ্গণে। বলা তো যায় না, হয়ত এ পাতাটি হাতে পেয়েই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন হযরত ওমর (রা.)। ইতিহাস তো তাই বলে। তিনি তো নবী করিম (সা.) কে হত্যার উদ্দেশ্যে খোলা তরবারি হাতে বের হয়েছিলেন। যাচ্ছিলেন রাসূল (সা.) এর ঠিকানায়। পথে তাকে একজন প্রশ্ন করেছিলেন, কোথায় চললে হে ক্ষিপ্ত কোরেশ যুবক। জবাবে বলেছিলেন, দেবদেবীর বিরোধিতাকারী মুহাম্মদকে হত্যা করতে। সেই লোক তখন বলেছিলেন, মুহাম্মাদকে পরে হত্যা কর। আগে খবর নিয়ে দেখ তোমার পরিবারের কী অবস্থা। তোমার বোন ফাতিমা ও ভগ্নিপতি সাঈদ নাঈম ইসলাম গ্রহণ করেছে। হযরত ওমর ঘুরে দাঁড়ালেন। গেলেন বোনের বাড়িতে। শুনলেন ওরা যেন ভেতরে কী পাঠ করছে। দরোজা ধাক্কা দিলেন। হুংকার শুনে বোন ভগ্নিপতি কোরআনের পাতটি লুকিয়ে দরোজা খুলে দিলে ওমর অতর্কিত তাদের দু’জনকেই বেদম মারপিট শুরু করেন। ওমরের বোন ফাতিমা তখন তার স্বামীকে ঠেলে ঘর থেকে বের করে তার প্রাণ রক্ষা করেন। নিজে ক্ষিপ্ত বাঘিনীর মত বড়ভাই ওমরকে বললেন, জীবনে বহুবার তুমি আমাকে মেরেছ। তোমার চাপে বহুবিষয়ে আমরা মতও পাল্টেছি। কিন্তু এবার আমরা এমন এক মহাসত্যের সন্ধান পেয়েছি, জীবন গেলেও এ থেকে আমরা সরে যাব না। ভাইজান, তোমার হাতে যদি আমার মৃত্যুও হয় তবুও আমি হযরতকে ত্যাগ করব না। ইসলাম হাতে পেয়ে আবার কুফুরিতে ফিরে যাওয়ার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল। রক্তাক্ত-আহত বোন ফাতিমার মুখে এত দৃঢ় উচ্চারণ শুনে ওমর ভড়কে গেলেন। বললেন, আচ্ছা তোরা কী যেন তিলাওয়াত করছিলি। দে, ওটা আমাকে দে। বোন বললেন, এ হচ্ছে সদ্য নাজিল হওয়া কিছু আয়াত। কেবল পবিত্র মানুষেরাই এটি স্পর্শ করতে পারে। তুমি মুশরিক, তুমি এটি স্পর্শ করতে পার না। তখন ওমর বললেন, তাহলে আমাকে কী করতে হবে? ফাতিমা বললেন, তুমি গিয়ে গোসল করে প্রস্তুত হয়ে এসো। ওমর তাই করলেন। ভেজা চুল, স্নিগ্ধ দেহলতা, আপাত শান্ত ধীর সুস্থ ওমর। খাত্তাবপুত্র কোরেশী কূটনীতিক বীরকেশরী ওমর। নবী করীম (সা.) যে দু’জন লোকের হেদায়েত প্রাপ্তির বিষয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেছেন। আবু জাহেল ও ওমর। এদের একজনের অন্তরে এখন আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়েত কার্যকর হতে যাচ্ছে। বোন ফাতিমা বললেন, দেখ, ভাইজান, তুমি আমার সাথে যে আচরণই কর না কেন, কথা দাও কোরআনের এ পাতাটি তুমি নষ্ট করবে না। এর অবমাননা করবে না। ওমর ওয়াদা করলেন এবং বোনের কাছ থেকে লুক্কায়িত পৃষ্ঠাটি হাতে নিলেন। চোখ পড়ল ঐশী বাণী পাক কোরআনের এ জীবন্ত আয়াতগুলোর ওপর। পরম করুণাময় মহামহিম আল্লাহর নামে। তোয়াহা, কোরআন আমি আপনাকে বিপন্ন করার জন্য অবতীর্ণ করিনি হে মুহাম্মদ (সা.)। এ আমি নাজিল করেছি যারা আমাকে ভয় করে তাদের জন্য উপদেশ স্বরূপ। আমি তো পরম করুণাময়। আরশে অধিষ্ঠিত। আকাশ ও ভূম-লে যা কিছু আছে সবই আমার। একে একে আরো ক’টি আয়াত পড়ে স্থানুর মত হয়ে গেলেন ওমর। কাঁপছেন তিনি। এ কার কথা? কে এই করুণাময়। কে আমায় স্পর্শ করে বিগলিত করে ফেললেন তার বাণীর সুরে। বললেন, আমায় তোরা হযরতের কাছে নিয়ে চল। গেলেন, তাকে দেখে রাসূলের সহচরেরা সতর্ক হয়ে ওঠলেন। নগ্ন কৃপান হাতে ক্ষিপ্ত ওমরকে তারা বাধা দেবেন বলে ওঠে দাঁড়ালেন। হযরত (সা.) বললেন, আসতে দাও। ওকে তোমরা বাধা দিও না। ওমর এলেন। একনজর দেখলেন ত্রিভূবনের সুদর্শনতম নূরানী মুখবয়ব। উদ্যত কৃপান সঁপে দিলেন তার পদতলে। বললেন, আমাকে গ্রহণ করুন হে মহান। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। হযরত মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। হযরত তার বুকে হাত রেখে তাকে আশ্বস্ত করলেন। ওমর বললেন, গতকাল পর্যন্ত আমিই ছিলাম বড় বাধা। এখন আর কোন বাধা নেই। এখন থেকে আর গোপনে নয়, কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ পড়বেন আপনি। আমরা সঙ্গী হব। কাবায় ছুটে গিয়ে ঘোষণা দিলেন, এতদিন যত অন্যায়-অত্যাচার হয়েছে সবকিছুর অবসান চাই। খাত্তাবের পুত্র ওমর ইসলাম গ্রহণ করেছে। কেউ যদি তার পুত্রকন্যাকে এতিম আর স্ত্রীকে বিধবা বানাতে চায়, সেই আমার সামনে এসে দাঁড়াক। এ দিন থেকেই ইসলাম ও মুসলমানের জীবনে দৃশ্যমান অনেক পরিবর্তন এলো।জানি না কেন জানি আমার মনে হয় এটি কি সেই সূরা তোয়াহা। একি সেই লুকোনো পৃষ্ঠা। ওমর (রা.) যা নষ্ট না করার ওয়াদা করেছিলেন। মহান আল্লাহ কি দেড়হাজার বছর ধরে এটি হেফাজত করে রেখেছেন? বাগদাদের খলিফাদের পর আধুনিক সময়ে এটিই কি ইউরোপে চলে এলো? এত বছর পর হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সাথে শত বৈরিতা, নিন্দা, কৌতূক আর ঔদ্ধত্যে লিপ্ত ইউরোপের নেতৃবর্গ আর দুর্জন শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের কাছে নতুন কোন ইশারা নিয়েই কি এসেছে এই সূরা তোয়াহা। আল্লাহ ভাল জানেন। তবে হযরত ওমরের চিঠি নীলনদে বন্যা আনার মতই তার স্মৃতিধন্য পৃষ্ঠা যে ইউরোপে হেদায়েতের প্লাবন আনবে না তা-ইবা কে বলতে পারে। ঈদ উপলক্ষে ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথ দ্বিতীয় হঠাৎ প্রোগ্রাম করলেন মসজিদে যাবেন। প্রথমবারের মত রাজকীয় রীতি ভঙ্গ করে তিনি খালি পা হলেন। পবিত্রতা অর্জন করে বিনম্র শ্রদ্ধায় আনত নয়ন ও বিগলিত মন রাণী মাথায় টেনে দিলেন দীর্ঘ ওড়না। ঢুকলেন গিয়ে মসজিদে। চেহারায় তার অপূর্ব বিনয় ও ভক্তি। ছবি প্রচারিত হলে গোটা মুসলিম জাহানে নেমে আসে তার ইহ-পরকালীন পরম সাফল্যের জন্য হৃদয়নিংড়ানো দোয়া। মধ্যপ্রাচ্যের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উপচে পড়ে কল্যাণ কামনার প্রার্থনা আর হেদায়েতের মোনাজাতে। পৃথিবীর সব মানুষের অন্তরের মালিক যিনি তার পরিকল্পনা কারো জানা নেই। তিনি যা চান তাই করেন।  দু’চারজন থেকে শুরু হয়ে আজ প্রায় ২০০ কোটি মুসলমান। একটি থেকে শুরু করে আজ ৬০টি রাজধানী মুসলমানের। মক্কার পর কুফা, বাগদাদ, দামেস্ক দিল্লি যেমন ইসলামের জন্য ওয়াশিংটন, লন্ডন, সিডনি, প্যারিস, রোমও তেমন। প্রকৃতির মতই এর গতি। শান্তি ও ভালোবাসা এর শক্তি। মহান আল্লাহ বলেছেন, অবিশ্বাসীরা আমার নূরের প্রদীপকে ফুঁ দিয়ে নেভাতে চায়। আমি কিন্তু আমার আলোর জ্যোতিকে পূর্ণরূপেই প্রজ্বলিত করব। ওরা যতই অপছন্দ করুক। আমি আমার রাসূলকে পাঠিয়েছি সকল মত ও পথের উপর ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য। এটাই বাস্তবায়িত হবে। মুশরিকরা যতই অপছন্দ করুক।আল্লাহর রাসূল (সা.) কে নিয়ে যারা কূটক্তি ও বিষোদগার করছে তারা পরাজিত হবেই। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তারা শাস্তি পাবেই। যারা মানবপ্রকৃতি বিরোধী বিকৃত জীবনাচার আইন করে চালু করছে তারা বিলুপ্ত হবেই। গোটা ইউরোপ দ্রুতই ইসলাম গ্রহণ করবে। শত বিপর্যয়ের মুখেও বিশ্বব্যাপী ইসলামের জাগরণ এর আধ্যাত্মিক মহাশক্তি বলেই সংঘটিত হবে। ইসলাম তার অন্তর্নিহিত শক্তিতেই প্রতিষ্ঠিত হবে। ইনশাআল্লাহ এ সর্বপ্লাবী বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে। আপনি তৈরি তো!