• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • হজ্ব বিষয়ক ভুল-ভ্রান্তি

    হজ্বই একমাত্র ইবাদত, যার নিয়ত করার সময়ই আল্লাহ তাআলার নিকট সহজতা ও কবুলের দুআ করা হয়। অন্যান্য ইবাদত থেকে হজ্বের আমলটি যে কঠিন তা এ থেকেই স্পষ্ট। হজ্বের সঠিক মাসআলার জ্ঞান যেমন জরুরি, তেমনি তা আদায়ের কৌশল এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করণীয় বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ খেয়াল রাখাও জরুরি। হজ্বে যে সকল ভুল হতে দেখা যায় তা সাধারণত উদাসীনতার কারণেই হয়ে থাকে। তাই নিম্নে সচরাচর ঘটে থাকে এমন কিছু ভুল উল্লেখ করা হচ্ছে। যেন হাজ্বীগণ এ সকল ভুল-ভ্রান্তি- থেকে বেঁচে সুষ্ঠুরূপে হজ্ব আদায়ে সক্ষম হন। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করুন।

    ইহরামের দুই রাকাত নামাযের জন্য ইহরাম বিলম্বিত করা

    ইহরাম বাঁধার আগে দুই রাকাত নামায পড়ার নিয়ম আছে। তাই অনেককে দেখা যায়, এই দুই রাকাত নামাযের সুযোগ না পাওয়ার কারণে ইহরাম বিলম্বিত করতে থাকে। এমনকি এ নামায পড়তে না পারার কারণে কেউ কেউ ইহরাম ছাড়াই মীকাতে র ভেতরে পর্যন- চলে যায় অথচ ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নয়। তারা যেহেতু ইহরামের আগে দুই রাকাত নামায আদায়কে জরুরি মনে করে তাই তারা এমনটি করে থাকে। অথচ ইহরামের আগে নামায পড়া সকল মাযহাবেই মুস্তাহাব; জরুরি কিছু নয়। পক্ষান-রে ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা নাজায়েয। সুতরাং ইহরামের আগে নামাযের সুযোগ পেলে তো তা আদায় করা চাই, কিন্তু সুযোগ না পেলে সে কারণে ইহরাম বাঁধাকে বিলম্ব করবে না।-সহীহ মুসলিম ১/৩৭৬; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১২৯০০; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৯৮; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৫/৮১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৩; রদ্দুল মুহতার ২/৪৮১-৪৮২

    ইহরাম বাঁধার নিয়ম সংক্রান্ত- ভ্রান্তি-সমূহ

    অনেকে মনে করে থাকে যে, ইহরামের কাপড় পরে নামায পড়ার পর নিয়ত করলেই ইহরাম সম্পন্ন হয়ে যায়। এ ধারণা ভুল। এগুলো দ্বারা ইহরাম সম্পন্ন হয় না। নিয়ত আরবীতে করা হোক বা বাংলাতে, সশব্দে করা হোক বা মনে মনে এর দ্বারা ইহরাম সম্পন্ন হয় না; বরং নিয়তের পর তালবিয়া পড়লে ইহরাম পূর্ণ হয়। অতএব বোঝা গেল, ইহরাম সম্পন্ন হয় দুই বস’র সমন্বয়ে : ১. হজ্ব বা উমরার নিয়ত করা ও ২. তালবিয়া পড়া।-জামে তিরমিযী ১/১০২; গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৬৫; মানাকি মোল্লা আলী কারী পৃ. ৮৯

    মক্কাগামীদের জন্য জিদ্দায় ইহরাম বাঁধা

    কেউ কেউ আগে থেকেই ইহরাম বাঁধা ঝামেলা মনে করে এবং ভাবে যে, ইহরাম বেঁধে নিলেই তো ইহরামের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়ে যাবে। বিমান যেহেতু জিদ্দায় অবতরণ করবে তাই জিদ্দায় ইহরাম বাঁধার ইচ্ছায় ইহরামকে বিলম্বিত করে। অথচ মীকাতের বাইরের হাজ্বীদের জন্য ইহরাম ব্যতীত মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নেই। উপমহাদেশ থেকে গমনকারী হাজ্বীদের জন্য মীকাত হল কারনুল-মানাযিল ও যাতু ইরক যা অতিক্রম করেই জেদ্দায় যেতে হয়। যদি কেউ বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করে তবে তার জন্য পুনরায় মীকাতে ফিরে এসে ইহরাম বেঁধে যাওয়া জরুরি। যদি তা না করে তবে দম ওয়াজিব হবে। যেহেতু বিমানে থাকা অবস্থায় মীকাতের জায়গা নির্ধারণ করা কঠিন বা ঐ সময় ঘুমিয়ে পড়া, অন্যমনষ্ক থাকা ইত্যাদি হতে পারে। তাই বিমানে চড়ার আগে কিংবা বিমানে উঠেই ইহরাম বেঁধে নেওয়ার কথা বলা হয়।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৫৭০২; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৮৪; গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২১; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৫/৭৬; রদ্দুল মুহতার ২/৪৭৭

    সেলাইবিহীন কাপড় বা চপ্পলের জন্য ইহরাম বিলম্বে বাঁধা

    কেউ কেউ ইহরামের কাপড় না পরে বিমানে উঠে যায়। অথবা মদীনা থেকে গাড়িতে উঠে পড়ে। এরপর যখন গাড়ি বা বিমানের মধ্যে পরিধানের কাপড় বদলিয়ে ইহরামের কাপড় পরা কষ্টকর হয় কিংবা কাপড় লাগেজে থেকে যায়। তখন তারা সেলাইবিহীন কাপড় পরতে না পারার কারণে ইহরাম বিলম্বিত করতে থাকে। এমনকি ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করে ফেলে। ফলে দম ওয়াজিব হয়ে যায়। অথচ মীকাত অতিক্রমের আগে সেলাইযুক্ত কাপড়ের অবস্থায়ই যদি ইহরাম বেঁধে নিত এবং গাড়ি বা বিমান থেকে অবতরণের পরেই ইহরামের কাপড় পরে নিত তবে তার অন্যায়টা দম ওয়াজিব হওয়ার মতো বড় হত না। ইহরাম অবস্থায় এ কয়েক ঘণ্টা (১২ ঘণ্টার কম) সেলাই করা কাপড় পরে থাকার কারণে একটি পূর্ণ সদকা ফিতর আদায় করে দিলেই চলত।-জামে তিরমিযী ১/১৭১; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৩০০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪২; রদ্দুল মুহতার ২/৫৪৭

    ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করা যাবে না

    কেউ কেউ মনে করে, যে কাপড়ে ইহরাম বাঁধা হয়েছে সে কাপড় হালাল (ইহরাম শেষ) হওয়ার আগ পর্যন- বদলানো যাবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। ওই কাপড় নাপাক না হলেও বদলানো যাবে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৫০১০, ১৫০১১; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ৯৮; গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৭১

    তাওয়াফের সময় ছাড়াও ইযতিবা করা

    অনেককে দেখা যায়, ইহরামের প্রথম থেকেই ইযতিবা (বাম কাঁধের উপর চাদর রেখে ডান বগলের নিচ দিয়ে নিয়ে পরিধান করা) করে থাকে এবং হালাল হওয়া পর্যন- এ অবস্থায় থাকাকে শরয়ী হুকুম মনে করে। এটি ভুল। এভাবে নামায পড়লে নামায মাকরূহ হবে। আবার কেউ কেউ তাওয়াফের সময় ইযতিবা করে এবং এ অবস্থায় সায়ীও করে থাকে এবং তাওয়াফের মতো সাঈতেও তা করা শরয়ী বিধান মনে করে। অথচ সাঈতে ইযতিবা’র বিধান নেই। এমনকি সকল তাওয়াফেও এটি সুন্নত নয়; বরং যে তাওয়াফের পর সাঈ করতে হয় শুধু সেই তাওয়াফেই ইযতিবা করতে হয়। সুতরাং নফল তাওয়াফে ইযতিবা নেই। কেননা নফল তাওয়াফের পর সাঈ নেই।-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৫; মানাসিক মোল্লা আলী কারী পৃ. ১২৯; আলমুগনী ইবনে কুদামা ৫/২১৭

    শক্তি প্রদর্শনে বিশ্বকে চমকে দিল চীন

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসান হয়েছিল ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখে জাপানে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে। সেই ঐতিহাসিক ক্ষণের ৭০ বছর পূর্তির দিনে সামরিক শোভাযাত্রায় নিজের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে চীন।
     চীনের বিখ্যাত তিয়ান আনমেন স্কোয়ারে ঐতিহাসিক এই সামরিক শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলো ১২ হাজার সৈন্য ও ২০০ টি বিমান। এই শোভাযাত্রায় অসংখ্য ট্যাংক ও মিসাইল প্রদর্শন করা হয়। বিশেষ করে বড় সামরিক জাহাজ ধ্বংসকারী ডংফেং ২১-ডি বিশেষ ভাবে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উল্লেখ্য, শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত ৮০ শতাংশ অস্ত্র প্রথম বারের মতো জনসম্মুখে দেখানো হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই শোভাযাত্রা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াকু চীনের মানুষদেরকে উৎসর্গ করেছেন। সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের দিনে তিনি জানিয়েছেন চীনা সেনাবাহিনী আর নিজের ক্ষমতা বাড়াবে না বরং ৩ লাখ সেনা কমাবে।
    চীনের এই ঐতিহাসিক প্যারেডে ত্রিশটি দেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন।  রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জাতিসংঘের সভাপতি বান কি মুন ও উপস্থিত ছিলেন । তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সহ অনেক পশ্চিমা দেশের প্রধান আমন্ত্রণ রক্ষা করেননি। এদিকে চীনের শোভাযাত্রার দিনের কিছু আগে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে আলাস্কার বেরিং সাগরে প্রথমবারের মতো পাঁচটি যুদ্ধ জাহাজ দেখা গেছে।

    পরীক্ষামূলক ভাবে জাপান বিদেশি গৃহকর্মীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে

    জাপানের গৃহস্থালি সেবা বিদেশি কর্মীদের জন্যে পরীক্ষামূলক ভাবে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। দু’টি অঞ্চলে এক বছরের মধ্যেই প্রাথমিক ভাবে এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য সকল স্থানেও এই আইন প্রযোজ্য হবে। জাপানে এই খাতে কর্মী সংকট রয়েছে।

    কর্মপরিবেশের যথাযথ শর্তপূরণ সাপেক্ষে আপাততঃ গৃহকর্মীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠছে ওসাকা এবং কানাগাওয়া প্রিফেকচারে। জাপানের জাতীয় কৌশলগত অর্থনৈতিক অঞ্চলের উপর একটি বিশেষ কমিটি সেপ্টেম্বরে এর পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা চুড়ান্ত করবে।

    নতুন আইন অনুসারে গৃহস্থলির কাজের জন্যে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তা অবশ্যই পূর্ণকালীন ভিত্তিতে এবং বেতন জাপানি কর্মীদের সমান বা বেশি হতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৩ বছর মেয়াদে বিদেশি গৃহকর্মী আনতে পারবে। সার্বক্ষণিক ভাবে গৃহকর্মীকে রাখা যাবে না এবং নিয়োগকর্তা কর্মীর আবাসন নিশ্চিত করবেন। ওসাকা এবং কানাগাওয়া কোম্পানি গুলোকে নতুন নীতিমালা মেনে চলতে অনুরোধ করবে।

    দাসুকিন হলো জাপানের অন্যতম বৃহৎ গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। তারা এই সুযোগের পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্যেই তারা বিদেশি ছাত্র এবং অন্যান্য স্বল্প-মেয়াদী অভিবাসীদের খন্ডকালীন ভিত্তিতে “পরিষ্কার কর্মী”র মতো বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে আসছে। বিদেশি পূর্ণকালীন কর্মীদেরকে দিয়ে শিশুর যত্ন ও বাজার করার মতো বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা সম্ভব। এর সাথে থাকছে সাধারণ গৃহস্থলির কাজকর্ম। দাসুকিন দাবি করেছে যে তারা বিদেশি ও জাপানি কর্মীদের সমান কাতারে রাখা হবে এবং মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    টোকিও ভিত্তিক গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিয়ার ফিলিপাইন সহ অন্যান্য দেশ থেকে গৃহকর্মী সংগ্রহের উদ্যোগ নেবে কারণ তারা ওসাকা ও কানাগাওয়া’তে তাদের কর্মপরিসর বৃদ্ধি করছে। বিয়ার ফিলিপাইনে নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণের জন্যে এক বছরের মধ্যে একটি সাবসিডিয়ারি খুলবে। তাদের উদ্দেশ্য শ্রম বাজারে বড় রকমের দখল নেয়া। প্যাসোনা লাইফকেয়ার ফিলিপাইন থেকে ৫০ জন বিদেশি কর্মীকে নিয়োগ দেবে।

    বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ প্রদান জাপানের কর্মী সংকটকে কিছুটা দূরীভূত করবে। সরকারের এক পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে গৃহকর্মী পরিসেবা ৬০ হাজার কোটি ইয়েন বা ৫০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে যা ২০১২ সালের তুলনায় ৬ গুন। বর্তমানে বহু গৃহকর্মী প্রবীণ হয়ে পড়েছেন এবং কেবলমাত্র খন্ডকালীন ভিত্তিতে কাজ করে থাকেন, ফলে গৃহকর্মীর জন্যে নতুন উৎসের প্রয়োজন পড়ছে।

    এতো দিন পর্যন্ত গৃহকর্মীর জন্যে জাপানের নাগরিক হওয়া কিম্বা বিদেশিদের যথাযথ যোগ্যতা থাকা বাধ্যতামূলক ছিলো যা বিদেশি কর্মীদেরকে কঠোর ভাবে গৃহস্থলীর আওতার বাইরে রাখছিলো। যদি এই ব্যবস্থা সফল হয় তবে রাজধানী টোকিও সহ অন্যান্য স্থানেও গৃহকর্মীদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। নীতিটি শেষ পর্যন্ত দেশের সকল স্থানের জন্যে প্রযোজ্য হবে।

    নিরাপত্তা বিলের প্রতিবাদে জাপান জুড়ে বিক্ষোভ

    গত রোববার জাপানের ২০০টিরও বেশি স্থানে ছাত্র সহ সাধারণ প্রতিবাদকারীরা বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র গৃহীত এই পদক্ষেপ বহির্বিশ্বে জাপানের সামরিক ভূমিকাকে জোরালো করে তুলবে।

    সবচেয়ে বড় সমাবেশের একটি টোকিও’র ডায়েট ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার বিক্ষোভকারী এতে অংশ নেন বলে আয়োজকরা জানান। বিরোধী দল গুলোর কোনো কোনো নেতাও এতে অংশ নেন, যেমন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ জাপান’র কাৎসুইয়া ওকাদা এবং জাপান কমিউনিস্ট পার্টির কাজুও শিই।

    আবে সরকারকে বিলটি বাতিল করার আহ্বান জানাবেন বলে বিরোধী নেতারা সমাবেশে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ডিপিজে প্রধান ওকাদা “আবে প্রশাসনকে সাধারণ নাগরিকদের সংকটের অনুভূতি এবং তাদের রাগান্বিত হওয়ার কারণ বুঝতে হবে”।

    ব্রেনকে রাখুন সুস্থ

    Posted by admin on August 31
    Posted in Uncategorized 

    ব্রেনকে রাখুন সুস্থ

    মানব শরীরের চালিকা শক্তি ব্রেন। সেই ব্রেন সুস্থ না থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে আপনার সকল কাজ। তাই আপনার ব্রেনের চাহিদা সম্পর্কে এবার মনোযোগ দিন। আপনার ব্রেনকে সুস্থ-স্বাভাবিক গতিতে চালানোর জন্য কিছু টিপস দিয়েছেন বিবিসি’র ফিচার বিভাগের লেখক ডেভিট রবসন। ইত্তেফাকের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলে তার সেই পরামর্শের অনুবাদ:

    আপনার ব্রেনের যোগ্যতা নিয়ে কখনই হতাশ হবেন না

    অনেক সময় নিজেদের দক্ষতা সম্পর্কে হতাশায় ভুগী আমরা। কিন্তু বিষয়টা মোটেও পছন্দ করে না আমাদের ব্রেন। সে সর্বদা আত্মবিশ্বাসী থাকতে পছন্দ করে। তাই যত বড় সমস্যাতেই থাকুন, কখনই নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না। কারণ আপনার ব্রেন সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সর্বদা আপনাকে সাহায্য করবে। নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না টরন তার এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, বয়স হবার সঙ্গে সঙ্গে নিজ ব্রেনের স্মরণশক্তি সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকে মানুষ। ফলে ব্রেনও আর মনে রাখারা প্রয়েজন মনে করে না অনেক কিছু! তাই আপনার ব্রেনের উপর ভরসা রাখুন।

    আপনার শ্রবণ ইন্দ্রিয়কে রক্ষা করুন

    ব্রেন কখনই একা থাকতে পছন্দ করে না। সে সর্বদা তার সঙ্গীদের সহায্য নিয়ে চলে। আর ব্রেনের সঙ্গীরা হলো আপনার ইন্দ্রিয়। তাই কখনই ইন্দ্রিয়দেরকে ব্রেন থেকে পৃথক করবেন না। আর আপনার ব্রেনের সবচাইতে পছন্দের সঙ্গী আপনার শ্রবণ ইন্দ্রিয়। তাই সর্বদা শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের বিশেষ যত্ন নিন। এই ইন্দ্রিয়ের দক্ষতার সঙ্গে জড়িত আপনার ব্রেনের দক্ষতা। গবেষণায় দেখা গেছে, শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জ্ঞান ও অনুধাবনের ক্ষমতা হ্রাস পায়।

    ভীন্ন ভাষা বা কোন বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখুন

    আপনার ব্রেনকে কখনই অলস রাখবেন না। বরং ব্রেনকে ব্যস্ত রাখতে নতুন ভাষা বা বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখুন। এতে বৃদ্ধি পাবে ব্রেনের কর্মক্ষমতা। গবেষণায় দেখা গেছে আমরা আমাদের অনুধাবন ও ইন্দ্রিয়গুলোকে সবচাইতে বেশি ব্যবহার করি নতুন ভাষা বা বাদ্যযন্ত্র শেখার সময়। আর সে কারণেই আপনার ব্রেন হয়ে ওঠে দক্ষ এবং তড়িৎ কার্যক্ষম।

    জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন

    আপনার ব্রেনের জন্য সবচাইতে বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে স্থূলতা। তাই সর্বদা এড়িয়ে চলুন জাঙ্ক ফুড। ব্যস্ত জীবনযাপনের কারণে বর্তমানে আমরা অনেকেই নির্ভর হয়ে যাচ্ছি ফাস্টফুডের ওপর। সেই সঙ্গে অফিসের কলিগ বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গ ঘরের বাইরে খাবার খেতে গেলে বেছে নিচ্ছি মোরগ পোলাও, তেহরি বা পিৎজা। সেই সঙ্গে রয়েছে আমাদের গ্যাজেটের (মোবাইল-ল্যাপটপ) আসক্তি। ফলে আমরা হয়ে যাচ্ছি স্থূলাকার। কিন্তু আমাদের রক্তনালীতে এমন চর্বি জমা হয়ে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়। ফলে ব্রেনভোগে তার পর্যাপ্ত নিউট্রেশন ও অক্সিজেনের অভাবে। মূলত সে কারণেই স্থূলাকার মানুষ অল্প কাজ করেই হাপিয়ে যান। তাই নিজের দেহ এবং ব্রেনের সুস্থতার জন্য ত্যাগ করুন জাঙ্ক ফুড খাবার অভ্যাস।

    নিজের দেহ গঠনে মনোযোগ দিন

    দেহ ছাড়া ব্রেন এবং ব্রেন ছাড়া দেহ। এরা একজন আরেকজনকে ছাড়া অসহায়। তাই ব্রেনকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই মনোযোগ দিন আপনার দেহ গঠনে। নিয়মিত খেলাধুলা করুন, ব্যায়াম করুন এবং দেহ গঠনের অন্যান্য নিয়মগুলো মেনে চলুন। আপনি দেহ গঠনে মনোযোগ দিলে আপনার দেহের সঙ্গে ব্রেনের সম্পর্কটাও হবে নিবিড়।

    নিজেকে ২১ বছর বয়সী তরুণ ভাবুন

    কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, বার্ধক্যকে বয়সের ফ্রেমে বেধে রাখা যায় না। সম্প্রতি ব্রিটেনের এক গবেষণায় মিলেছে তার প্রমাণ। সেখানে দেখা গেছে, যারা নিজেদের মনে তারণ্যকে লালন করে, তারা দীর্ঘায়ু লাভ করে। আর তার কারণ, তাদের ব্রেন কখনই অনুভবই করে না যে মৃত্যুর সময় হয়ে গেছে। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ৭০ বছর বয়সী যে সকল মানুষ সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এবং নিজেদেরকে তরুণদের মতই উচ্ছাসিত রাখেন, তারা বৃদ্ধ বয়সের অনুধাবনগত সমস্যায় কম ভোগেন। এমনকি তাদের ব্রেনও বেশ সক্রিয়তার সঙ্গে কাজ করে। গবেষণাটিতে দেখানো হয় এমন বৃদ্ধরা তার সমবয়সী বাকি বৃদ্ধদের থেকে ৭০ গুন বেশি সুস্থ থাকেন মানসিকভাবে।

    হজ্জ্বঃ হাদীস ও আছারের আলোকে

    ফাতাওয়া বিভাগ, মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়া – ঢাকা

    হজ্ব তিন প্রকার : তামাত্তু, কিরান ও ইফরাদ।

    মক্কার বাইরে অবস্থানকারী ব্যক্তিরা উপরোক্ত যেকোনো প্রকার হজ্ব করতে পারেন। এতে তাদের ফরয হজ্ব আদায় হবে। তবে উপরোক্ত তিন প্রকার হজ্বের মধ্যে সর্বোত্তম হল হজ্বে কিরান, এরপর হজ্বে তামাত্তু, এরপর হজ্বে ইফরাদ। নিচে প্রতিটির পরিচয় ও জরুরি মাসাইল উল্লেখ করা হল।

    এক. কিরান

    মীকাত অতিক্রমের পূর্বে উমরা ও হজ্বের ইহরাম বেঁধে একই ইহরামে উমরাহ ও হজ্ব উভয়টি আদায় করা। প্রথমে মক্কা মুকাররামা পৌঁছে উমরা করা অতঃপর এই ইহরাম দ্বারা হজ্বের সময়ে হজ্ব করা এবং কুরবানী দেওয়া।

    দুই. তামাত্তু হজ্ব

    হজ্বের মাসসমূহে মীকাত থেকে শুধু উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধা এবং মক্কা মুকাররামায় পৌঁছে উমরার কাজ সম্পন্ন করার পর চুল কেটে বা চেঁছে ইহরামমুক্ত হয়ে যাওয়া। অতঃপর এই সফরেই হজ্বের ইহরাম বেঁধে হজ্বের নির্ধারিত কাজগুলো সম্পন্ন করা এবং কুরবানী দেওয়া।

    তিন. ইফরাদ

    মীকাত থেকে শুধু হজ্বের নিয়তে ইহরাম বাঁধা এবং মক্কা মুকাররামা পৌঁছে উমরা না করা বরং (সুন্নত তাওয়াফ) তাওয়াফে কুদূম করে ইহরাম অবস্থায় হজ্বের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা। অতঃপর নির্ধারিত সময়ে হজ্বের আমলগুলো সম্পন্ন করা। উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা রা. বলেন, বিদায় হজ্বে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রওনা হলাম। আমাদের মধ্যে কেউ (তামাত্তুর নিয়তে প্রথমে) উমরার জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন, কেউ (কিরানের নিয়তে) হজ্ব ও উমরার জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন এবং কেউ (ইফরাদের নিয়তে) শুধু হজ্বের ইহরাম গ্রহণ করলেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্বে ইফরাদের জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন। যারা শুধু হজ্ব বা একত্রে হজ্ব-উমরার (কিরানের) ইহরাম গ্রহণ করেছিলেন তারা ১০ যিলহজ্বের পূর্ব পর্যন্ত- ইহরাম থেকে মুক্ত হননি।-সহীহ বুখারী ১/২১২

    ইহরামের নিয়ম

    ইহরামের মূল বিষয় হচ্ছে হজ্ব বা উমরার নিয়তে তালবিয়া পাঠ। এর দ্বারাই ইহরাম সম্পন্ন হয়ে যায়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মাথায় সিঁথি করা অবস্থায় ইহরামের তালবিয়া পাঠ করতে দেখেছি। তিনি বলেছেন, এই বাক্যগুলোর অতিরিক্ত কিছু বলেননি।-সহীহ মুসলিম ১/৩৭৬

    তবে ইহরাম গ্রহণের সুন্নত তরীকা হল মোচ, নখ এবং শরীরের পরিষ্কারযোগ্য লোম চেঁছে বা কেটে পরিষ্কার করবে। উত্তমরূপে গোসল করবে, গোসল সম্ভব না হলে ওযু করবে। পুরুষগণ দু’টি নতুন বা ধৌত সাদা চাদর নিবে। একটি লুঙ্গির মতো করে পরবে। অপরটি চাদর হিসাবে ব্যবহার করবে। পায়ের পাতার উপরের অংশ খোলা থাকে এমন চপ্পল বা স্যাণ্ডেল পরবে। মহিলাগণ স্বাভাবিক কাপড় পরবে। তাদের জন্য ইহরাম অবস্থায় জুতা-মোজা পরার অবকাশ রয়েছে। ইহরাম বাঁধার আগে খালি শরীরে আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মুস্তাহাব। শরীরের আতর বা ঘ্রাণ ইহরাম গ্রহণের পর বাকি থাকলেও অসুবিধা নেই। তবে ইহরামের কাপড়ে আতর বা সুগন্ধি লাগাবে না। কেননা ইহরামের কাপড়ে এমন আতর বা সুগন্ধি লাগানো নিষেধ, যার ঘ্রাণ ইহরামের পরও বাকি থাকে। মাকরূহ ওয়াক্ত না হলে ইহরাম বাঁধার আগে দুই রাকাত নফল নামায পড়বে। অতঃপর যে হজ্ব আদায়ের ইচ্ছা সে অনুযায়ী নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ করবে।

    নিচে ইহরামের প্রতিটি বিষয় দলীলসহ আলোচনা করা হল

    ১. মোচ, নখ এবং শরীরের পরিষ্কারযোগ্য লোম চেঁছে বা কেটে পরিষ্কার করা। যে ব্যক্তি হজ্বে যেতে চায় তার শরীরের ক্ষৌর কার্য সম্পর্কে বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত আতা রাহ.কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, এর অনুমতি আছে, এতে কোনো অসুবিধা নেই।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৪৯৯৮

    ২. ইহরামের উদ্দেশ্যে উত্তমরূপে গোসল করা। হযরত যায়েদ বিন ছাবেত রা. থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইহরামের জন্য পরিহিত পোশাক খুলতে এবং গোসল করতে দেখেছেন।-জামে তিরমিযী ১/১০২ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন ইহরাম বাঁধার ইচ্ছা করবে তখন তার জন্য গোসল করা সুন্নত।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ১৫৮৪৭ গোসল সম্ভব না হলে ওযু করে নেওয়া। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি উমরার জন্য অযু করলেন, গোসল করলেন না।- মাসআলা : ঋতুমতী মহিলার জন্য ইহরামের আগে গোসল করা মুস্তাহাব।-গুনইয়াতুন নাসিক পৃ. ৬৯ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো নারী হায়েয বা নেফাস অবস্থায় মীকাতে পৌঁছলে গোসল করবে এবং ইহরাম গ্রহণ করবে। অতঃপর হজ্বের যাবতীয় কাজ করতে থাকবে। শুধু বাইতুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত।-সুনানে আবু দাউদ ১/২৪৩

    টিপি-লিংক ও গুগলের যৌথ উদ্ভাবন
    ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের জন্য নতুন যুগের রাউটার ‘অনহাব’
    বর্তমান সময়ের তারহীন যোগাযোগ ব্যবস্থায় অন্যতম জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহূত প্রযুক্তির নাম ওয়াই-ফাই। এই ওয়াই-ফাইকে আরও বেশি দ্রুত ও সুরক্ষিত করতে এবং এর ব্যবহারকে আরও বেশি সহজ করতে যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করে নেটওয়ার্কিং পণ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড টিপি-লিংক এবং অনলাইন জায়ান্ট গুগল। তাদের যৌথ উদ্যোগেই তৈরি হয়েছে নতুন যুগের রাউটার ‘অনহাব’। বর্তমান সময়ে ব্যবহূত ওয়াই-ফাই রাউটারগুলো যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, তার সবগুলো নিয়েই কাজ করা হয়েছে অনহাবে।  যেমন—এতে খুব কম পরিমাণ তার ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে ব্যবহার করা হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের একটি অ্যান্টেনা যা খোলা জায়গাতেও খুব ভালো পারফর্ম্যান্স প্রদান করতে সক্ষম। এর অ্যান্টেনাটি এর স্মার্ট সফটওয়্যারের সাথে সমন্বিত হয়ে ওয়াই-ফাই সিগন্যালকে সবসময়ই বাড়তি রাখবে। ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিংয়ে টিপি-লিংকের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ফলাফল হিসেবে অনহাবে অনন্য সার্কুলার অ্যান্টেনার সাথে ব্যবহার করা হয়েছে আরও ১৩টি বিল্ট-ইন হিডেন অ্যান্টেনা যেগুলো নেটওয়ার্কের ইন্টারফেয়ারেন্স কমিয়ে দিয়ে নেটওয়ার্কের সংযোগকে অপটিমাইজ রাখে। ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবহারকে সহজ করে তুলতে অনহাবের জন্য রয়েছে গুগলের অন মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপ দিয়ে সহজেই নেটওয়ার্ক সেটআপ এবং ব্যবস্থাপনার কাজগুলো করা যায়। সেটআপের সময় অনহাব নিজে থেকেই সর্বোচ্চ পারফর্ম্যান্স প্রদানের জন্য সেটিংস নির্ধারণ করে নেয়। পরবর্তী সময়ে কোনো বিষয়ে পরিবর্তন এলে সেই অনুযায়ীও অনহাব নিজে থেকেই সেটিংস বদলে নিতে পারে। অনহাবের পক্ষ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নতুন নতুন ফিচার এবং সিকিউরিটি আপডেট ইনস্টল করা হয়ে থাকে। ফলে সময়ের সাথে এর পারফর্ম্যান্স বাড়তে থাকে। তাছাড়া এটি ব্লুটুথ স্মার্ট, উইভ, ৮০২.১৫.৪ প্রভৃতি সংযোগ প্রোটোকল সমর্থন করে বলে নানা ধরনের স্মার্ট ডিভাইসকেও অনলাইনে সংযুক্ত রাখা যাবে অনহাব ব্যবহার করে। নতুন এই রাউটার প্রসঙ্গে গুগলের গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার ট্রন্ড উয়েলনার বলেন, ‘টিপি-লিংকের সাথে কাজ করার মাধ্যমে অনহাব ডিজাইন করতে গিয়ে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে টিপি-লিংকের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে দ্রুত সংযোগ, সহজ ওয়াই-ফাই ব্যবস্থাপনা ও সময়ের সাথে উন্নততর সেবা পাওয়ার জন্য নতুন যুগের অনহাব রাউটার তৈরি সম্ভব হয়েছে।’ নীল ও কালো রঙে তৈরি ২০০ ডলার মূল্যের এই রাউটারটি এরই মধ্যে প্রি-অর্ডারের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে গুগল স্টোর, টিপি-লিংক স্টোর, অ্যামাজন, ফ্রাইস ডটকম, নিউএগ এবং ওয়ালমার্টে। বাংলাদেশের টিপি-লিংক পণ্যের একমাত্র পরিবেশক এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা জানান, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই রাউটারটি বাংলাদেশের বাজারেও পাওয়া যাবে।

    নারিতা, হানেদা এবং কানসাই বিমানবন্দরে বসছে পূর্ণ শরীর স্ক্যানার

    জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয় ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতিকল্পে এ বছরের অক্টোবর থেকেই বিমানবন্দর গুলোতে পূর্ণ শরীর স্ক্যানার স্থাপন করবে।

    মন্ত্রণালয় বলেছে প্রাথমিক ভাবে নারিতা, হানেদা এবং কানসাই বিমানবন্দরে স্ক্যানার গুলো বসানো হবে। ২০২০ সালের মধ্যেই দেশের সকল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানার বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে।

    পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দর গুলোতে এ ধরনের স্ক্যানার রয়েছে, ফলে যাত্রীরা যদি অস্ত্র বা অন্য কিছু লুকিয়ে তাদের কাপড়ের মধ্যে বহন করেন নিরাপত্তারক্ষীরা তা চিহ্নিত করতে সক্ষম হবেন।

    উল্লেখ্য আগেই জাপানের বিমানবন্দর গুলোতে এ ধরণের স্ক্যানার বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিলো। ২০১০ সালে এক দফা বসানোর উদ্যোগ নেয়া হলে তা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রশ্নে নানান বিতর্কের জন্ম দেয়। কারণ স্ক্যানারের মাধ্যমে মানবদেহের আকার গুলো স্পষ্টই দৃশ্যমান হচ্ছিলো। তবে নতুন স্ক্যানারে শরীরের আকার সে ভাবে প্রদর্শিত হবে না।

    জাপানে নিরাপত্তা বিলের প্রতিবাদে অনশন
    জাপানে নিরাপত্তা বিলের প্রতিবাদে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিরল অনশন কর্মসূচি পালন করেছে। বিলটি পাস হলে জাপান বিদেশে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে বলে সমালোচকরা আশঙ্কা করছেন। ছাত্রদের এই অনশনের ফলে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সমর্থিত একটি প্রস্তাবিত আইনের ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার চিত্রটিই স্পষ্টভাবে ফুটে উঠল।
    জাপানের ন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন প্রতিরোধে সচেষ্ট হওয়ার মাত্র কয়েক দিন পরই ছাত্ররা এই প্রতিবাদ করল। বিলটি পাস হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো জাপানের সৈন্যরা বিদেশে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বৃহস্পতিবার বিকালে ডায়েট ভবনের সামনে চার ছাত্র অনশন শুরু করে।

    বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উদযাপিত

    গত ২৩ আগস্ট জাপানের চিবা প্রিফেকচারে ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হল জাতীয় শোক দিবস। আয়োজন করেছিলো বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান শাখা। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি শেখ এমদাদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চিবা প্রিফেকচারের স্থানীয় পরিষদ সদস্য আবে সাতোশি, ওয়াতানাবে শিনোবু এবং বাংলাদেশে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত জনাব হোরিগুচি। আরো উপস্থিত ছিলেন জাপানের সংসদ সদস্য তানুমা তাকাশি।

    কোরান তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করার পর জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর আগত অতিথিবৃন্দ, প্রবাসী এবং জাপানিরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। দ্বিতীয় পর্বে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান। আলোচনা করেন তাজউদ্দিন মাহমুদ রবি, আসিফ, শহীদুল ইসলাম, মোঃ নাহিদ, শহিদুর রহমান হিরু প্রমূখ। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্মকান্ড এবং সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেন। বাংলার মানুষ তাঁর অপরিসীম অবদানের কথা কোনোদিন ভুলতে পারে না বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। উপস্থিত অতিথি মিসেস ওয়াতানাবে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুদীর্ঘ লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধুর কী ভূমিকা ছিল, তিনি কীভাবে একটি পরাধীন জাতিকে স্বধীনতা এনে দিলেন। প্রধান অতিথি মাননীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বঙ্গবন্ধুকে যে সম্মান প্রদান করেছিল ১৯৭৩ সালে তা অবিস্মরণীয়। । তিনি আজকে শোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য জাপানের ডায়েট সদস্য তানুমা তাকাশি, স্থানীয় পরিষ্দের সদস্য আবে সাতোশি, ওয়াতানাবে শিনোবু এবং জনাব হরিগুচিকে ধন্যবাদ জানান। ধন্যবাদ জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান শাখার সদস্যদেরও অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য।

    বিশেষ অতিথি তানুমা তাকাশি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। বিশেষ অতিথি হোরিগুচি বাংলাদেশ ও জাপানের এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে আরও শক্তিশালী করা যায় তার জন্য জাপান কাজ করে যাবে বলে উল্লেখ করেন। স্থানীয় পরিষদ সদস্য আবে সাতোশি বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। জাপান শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চায়।

    সভাপতির ভাষণে শেখ এমদাদ হোসেইন বলেন, আমরা জাপানে বঙ্গবন্ধুর আদশর্ প্রতিষঠা করতে চাই, তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন। অনুষ্ঠান শেষে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।

    ওকিনাওয়া অতিক্রম করছে গোনি

    মৌসুমের ১৫নং তাইফুন গোনি সোমবার সন্ধ্যায় ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানতে শুরু করে। মঙ্গলবার ভোরে তাইফুনটি ওকিনাওয়া ছাড়িয়ে কিউশু’র উপর চলে আসবে। বিকেলে তা আরো উত্তর-পশ্চিমে সরে গিয়ে জাপানের মূল ভূখন্ড হনশুর একেবারে দক্ষিণাঞ্চল ধরে জাপান সাগরে গিয়ে পড়বে।

    তাইফুন কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার। তাইফুনে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৫২ কিলোমিটার।

    গোনি মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পুরোপুরি জাপান সাগরে অবস্থান করবে।

    দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানে তাইফুনটির প্রভাবে প্রবল দমকা বাতাস এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিউশু, শিকোকু অঞ্চল সহ হনশু’র হিরোশিমা এবং ওকাইয়ামা অঞ্চল গুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ সকলকে ভূমিধস, আকস্মিক প্লাবন এবং বজ্রবিদ্যুৎ থেকে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছে।

    এদিকে অপর তাইফুন আৎসুমি আরো শক্তি হারিয়ে এখন জাপানের সমান্তরাল হয়ে উত্তরমুখী চলেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যে নাগাদ তাইফুনটি আরো উত্তরে সরে যাবে।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন

    বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য্যের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে টোকিওর কিতা-কু ওজিহোকতোপিয়া হলে গত রোববার বিকেলে পালিত হলো জাতীয় শোক দিবস।

    অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরি ও কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান।

    জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাপান শাখার সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ। প্রধান অতিথি ছিলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরি, বিশেষ অতিথি ছিলেন খলিলুর রহমান ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

    ১৫ অগাষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ও ২১ অগাষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে উপস্থিত সকলে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
    তাদের সকলের রুহের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

    আলচনা পর্ব শুরু করা হয় আ.লীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরার সূচনা বক্তব্য দিয়ে। তিনি সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।

    অনুষ্ঠানে জাপান আ.লীগের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বেশ কিছু প্রবাসী ও মিডিয়ার প্রায় সকলেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা পর্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাষ্ট স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অশ্রুভেজা, কলঙ্কময় ঘটনার কথা, পৈশাচিক নৃশংস হত্যাকান্ডের কথা সহ এই যুগ শ্রেষ্ঠ নেতার প্রতি অবিচল শ্রদ্ধার কথা জানিয়ে বক্তব্য দেন- রাসেল মাঝি, নাজমুল হোসেন রতন, আব্দুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম মনির, সোহেল রানা, আব্দুল কুদ্দুস, মাসুদ আলম, রায়হান কবির ভুঁইয়া, মোতালেব শাহ আইয়ুব, স্বচিপ সদস্য আব্দুল্লাহ মাসুদ টুটুল, জাহিদ হোসেন, মাসুদুর রহমান মাসুদ, হারুনর রশিদ, মোল্লা আলমগীর, সনত বড়ুয়া প্রমুখ।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জাপানি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী প্রকাশের তৎপরতা ব্যক্ত করেন এবং প্রধান অতিথিকে তিনি সেই বইয়ের একটি কপি উপহার দেন।

    বিশেষ অতিথি খলিলুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অতীত-বর্তমান এবং বর্তমান সরকারের চমৎকার শাসনামলের বর্ণনা তুলে ধরেন। ২১শে অগাষ্ট গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রীর বেঁচে যাওয়া এবং নেত্রীর পাশে তার উপস্থিতি ও মৃত্যুর মুখোমুখি দলীয় কর্মীরা কীভাবে মানব ঢাল বানিয়ে নেত্রীকে রক্ষা করেন তার বর্ণনা দেন। হল ভর্তি দর্শক সে বর্ণনায় শিহরিত হয়ে ওঠেন।

    প্রধান অতিথি খালিদ মাহমুদ চৌধুরি দীর্ঘক্ষণ ধরে তার বক্তৃতায় “সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ” সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন এবং সব শেষে জাপান প্রবাসীদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন -অতীত থেকে আজ অব্দি আপনারা বাংলাদেশের প্রতি আপনাদের ঋণ যে ভাবে শোধ দিয়ে চলেছেন তা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করেছে এবং করবে।

    আরিফহীরা কমিটিই জাপান আওয়ামী লীগের মূল স্বীকৃতঃ খালিদ মাহমুদ চৌধুরি

    জাপান আওয়ামী লীগের দু’টি কমিটি এবং মাঝেমধ্যে তাদের কর্মতৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। “মূলধারা” ও “ভিন্ন ধারা” এ রকম ভাবে কমিটি দু’টিকে বিশেষায়িত করা হয়। মিডিয়ার পক্ষে কমিউনিটি নিউজের উপদেষ্টা সম্পাদক কাজী ইনসানুল হক বিষয়টি নিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরির কাছে প্রশ্ন রাখেন।

    প্রথমে প্রশ্নটির জবাব দেন কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক খলিলুর রহমান। তিনি বলেন “একটি বৃহৎ দল হিসেবে দলের ভেতর মত পার্থক্য থাকতেই পারে -অযথা কলহ নয়, আমাদের দরজা সব সময়ে অবারিত। এটিই মূল কমিটি -এখানে এসে মিলে মিশে এক সাথে দলের কার্যক্রম চালানো নিজের ও দলের জন্যে মঙ্গলময়”।

    খালিম মাহমুদ চৌধুরি আরো স্পষ্ট বক্তব্যে বলেন “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক যে কমিটিতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সেটিই যে মূল কমিটি, স্বীকৃত কমিটি সেটা সহজেই বোধগম্য হওয়া উচিত”।

    সভার শেষে দলের সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং দলের সকল কর্মীর সহযোগীতায় জাপানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

    Untitled Post

    Posted by admin on August 24
    Posted in Uncategorized 

    এমপি পদ নিয়ে বিতর্ক পদত্যাগের ঘোষণা লতিফ সিদ্দিকীর

    দল থেকে নিজেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ দাবি করলেও নিজের সংসদ সদস্য পদের ব্যাপারে দলের কাছেই সিদ্ধান্ত চান বিতর্কিত সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকারের নিকট পদত্যাগ করে চলমান বিতর্কের অবসান ঘটাবেন দাবি করেন। এতে ইসির আয়োজিত ওই শুনানির আর প্রয়োজন পড়বে না বলেও জানান। গতকাল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অনুষ্ঠিত শুনানিতে অংশ নিয়ে শুনানি মুলতাবির আবেদন করে ইসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাকে নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিতে ইসি আগামী ২ সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। তবে ইসিতে বিচারধীন থাকায় স্পিকারের নিকট তিনি পদত্যাগ করতে পারেন কি না এ নিয়েও আলোচনায় এসেছে। তা ছাড়া চলমান বিতর্কের মধ্যে স্পিকার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। লিখিত জবাবের মতোই শুনানিতেও দল থেকে বহিষ্কারের কারণে সংসদ সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানান আওয়ামী লীগ।গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে বেলা ১১টায় শুনানি শুরু হয়। ইসির পূর্ব নির্ধারিত শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ এবং ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম ও আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. শাহজাহানের উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিজে শুনানিতে না এলেও তার প্রতিনিধিত্ব করেন দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাউছার ও সাইফুদ্দিন খালেদ।শুনানির শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য দিতে তার প্রতিনিধিদের বলেন। সে সময় লতিফ সিদ্দিকী দাঁড়িয়ে আগে বক্তব্য দেয়ার অনুমতি চান। এরপর অনুমতি পেয়েই তিনি কমিশনকে বলেন, আমি এখান থেকে বের হয়ে গিয়েই পদত্যাগ করবো। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। শুনানিরও প্রয়োজন নেই। তার বক্তব্য শুনে কমিশন দুই সপ্তাহ পর শুনানির রায় দেয়ার ঘোষণা দেন।শুনানিতে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমি সাচ্চা মুসলমান, আমি জন আস্থায় বিশ্বাস করি। জনতার আদালতে আমি গিয়েছি। আমি সংসদ সদস্য। আইনগতভাবে ও সাংবিধানিকভাবে সংবিধানের ৬৬ (৪) ধারা অনুযায়ী আমার বিষয়ে স্পিকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় আমাকে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়েছে।নিজের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে লতিফ বলেন, এর আগে ‘বহুবার’ দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও এমন শুনানিতে তাকে আগে কখনো আসতে হয়নি। দল থেকে আমি বহিষ্কৃত হয়েছি। বহুভাবে বহুবার বহিষ্কার হয়েছি। এভাবে আর কখনো হয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আমি আনন্দের সঙ্গে, নির্লিপ্তভাবে ঘোষণা করছি, আমি টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করব। এটা আমার ঘোষণা, আমার সিদ্ধান্ত। নির্বাচন কমিশনের এ শুনানির আর দরকার নেই। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে শুনানির মুলতবির আবেদন করে ইংরেজিতে লেখা একটি চিঠিও নির্বাচন কমিশনে জমা দেন লতিফ সিদ্দিকী।  পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাউছারকে শুনানিতে বক্তব্য দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি বলেন, নির্বাচনী আইন ও সংবিধান অনুযায়ী লতিফ সিদ্দিকীর আর সংসদ সদস্য পদে বহাল থাকার সুযোগ নেই। তার সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এরপর লতিফ সিদ্দিকী সহাস্যে ডায়াসে গিয়ে আওয়ামী লীগের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন।এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, তিনি আমাদের কাছে দু’সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন, আমরা দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে এবং সেদিনই এর রায় হবে। তবে এর আগে তিনি পদত্যাগ করলে শুনানির বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবো। পরে সংসদের স্পিকারই বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।নিয়ম অনুযায়ী, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার জন্য কোনো সংসদ সদস্য যদি স্পিকারের কাছে আবেদন করেন, স্পিকার তা গ্রহণ করে আসনটি শূন্য ঘোষণার ব্যবস্থা করে। আসন শূন্য হলে ইসি নির্বাচনের ব্যবস্থা করে।এর আগে ইসিকে লিখিত চিঠিতে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে দাবি করেছিলেন দলের সাবেক এই প্রেসিডিয়াম সদস্য। এর বৈধতা নিয়ে তিনি আদালতেও যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে তিনি আদালত গড়িয়ে ফের ইসিতে আসেন। গতকাল তিনি ইসি থেকে বিষয় ফের সংসদে সমাধানের ঘোষণা দেন। তবে তার পদত্যাগপত্র স্পিকার গ্রহণ করবেন কি না তা নিয়ে ইসির কর্মকর্তারা সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, বিষয়টি অনেক বির্তক হয়েছে। তাই ইসিতে বিচারধীন বলে স্পিকার ইসিকেই সমাধানের দায়িত্ব দিতে পারেন। তবে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু তার সংসদ সদস্য পদ নিয়েই বিতর্ক চলছে তার মানে তিনি এখনো সংসদ সদস্য। আর সদস্য পদের পদত্যাগপত্র স্পিকারের কাছে দিতেই পারেন। এক্ষেত্রে ইসিতে বিচারধীন থাকা কোন বিষয় প্রাধান্য পাবে না। শুনানি থেকে বের হয়ে লতিফ সিদ্দিকী উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আমি অবগত হয়েছি, আমার নেত্রী চান না, পদ নিয়ে যেন বাড়াবাড়ি করি। সংসদ সদস্য পদ কার কাছে কতটা মূল্যবান আমি জানি না। তবে আমার কাছে মূল্যবান হল জনগণের ভালবাসা ও নেত্রীর আস্থা এবং আনুগত্য। তাই আমি কমিশনকে বলেছি, এ মামলায় আমি লড়তে চাই না। এ শুনানি মুলতবি করা হোক। তিনি বলেন, আমি আমার পদত্যাগপত্র স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেব। সংসদ সদস্য পদ নিয়ে লড়বার মতো দুর্বল মানসিকতা আমার নেই। আমি চাই, এদেশের কল্যাণ হোক। জঙ্গিবাদ, অনাচারের বৈষ্যমের রাজনীতি, হানাহানির রাজনীতি নির্মূল হোক। ন্যায় প্রতিষ্ঠা হোক। আমি আমার নেতার (শেখ হাসিনা) অনুগত, এ বিষয়ে আর আইনি লড়াই করতে চাই না। আজই স্পিকারের কাছে আমার সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে চিঠি দিবো। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি একজন সাচ্ছা মুসলমান। আমার ঈমানে এতটুকুও দুর্বলতা নেই, যা প্রচার হয়েছে তা মিথ্যা প্রচার হয়েছে।প্রসঙ্গত: গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী থাকাকালীন এক অনুষ্ঠানে হজরত মোহাম্মদ (সা.) পবিত্র হজ ও তাবলিগ-জামাত নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করেন তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। এরপর ইসলামী দল ও সংগঠনগুলো তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে দল ও মন্ত্রিপরিষদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এর পর তার সংসদ পদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে গত ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিনকে চিঠি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে ১৬ জুলাই ইসি লতিফ সিদ্দিকীর অবস্থান ও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়। একই দিন সিদ্দিকীর বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেও চিঠি দেয়া হয়।

    ওকিনাওয়াতে তাইফুন গোনির আঘাত

    প্রবল বাতাস নিয়ে তাইফুন গোনি দক্ষিণ জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জের আঘাত হানতে শুরু করেছে।

    আবওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন তাইফুনটি রোববার বিকেল ৪টায় ইশিগাকি দ্বীপ থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। তাইফুনটি ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে।

    সাকিশিমা এবং ইশিগাকি দ্বীপপুঞ্জ ইতিমধ্যেই তাইফুনের কবলে পড়েছে।

    তাইফুনটি কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২১৬ কিলোমিটারের মতো। সোমবার সকাল পর্যন্ত এসব এলাকায় তাইফুনের তান্ডব অব্যাহত থাকবে।

    ধীরে ধীরে তাইফুনটি ওকিনাওয়ার মূল দ্বীপটিতে প্রবেশ করবে এবং এরপর কাগোশিমা প্রিফেকচারের আমামি অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যাবে।

    এ সময় সাগর উত্তাল থাকবে। আবহাওয়া বিভাগ জলচ্ছ্বাস, ভূমিধ্বস, আকস্মিক প্লাবন এবং বজ্রবিদ্যুতের সতর্কতা জারি করেছে।

    অপর তাইফুন আৎসুমি টোকিও থেকে দূরবর্তী ওগাসাওয়ারা দ্বীপমালা হয়ে উত্তরে বাঁক নিচ্ছে। দেশের প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতে বাংলাদেশি শাহরিয়ার

    ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতে বাংলাদেশি শাহরিয়ার
    ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতের চূড়ায় উঠলেন বাংলাদেশি আরোহী কাজী শাহরিয়ার রহমান ওরফে সুজন। রাশিয়ায় অবস্থিত ইউরোপের সর্বোচ্চ ৫৬৪২ মিটার অথবা ১৮৫১০ ফুট পর্বত এলব্রুস আরোহণ করেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান এবং পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এলব্রুস বিজয় করেন শাহরিয়ার। তিনি ও তার দল অত্যন্ত বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে এই ক্লাইম্ব সম্পন্ন করেন। শাহরিয়ার প্রায় ১০ মিনিট সামিটে অবস্থান করেন এবং বাংলাদেশ ও আমেরিকার পতাকা উড়ান। এই এক্সপেডিশানে সহায়তা করেন রাশিয়ান মাউন্টেরিয়ারিং কোম্পানি সেভেন সাম্মিটস ক্লাব এবং সেভেন সাম্মিটস ক্লাবের অভিজ্ঞ মাউন্টেন গাইড ভ্লাদিমির কোটল্যার।
    পর্বতারোহণ শাহরিয়ারের নেশা। ইতোপূর্বে তিনি আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো, আমেরিকার রেইনিয়ার, শাস্তা, গ্রেয়স পিক, টরেয়স পিক, বিয়ারসডাত, লংস পীক, হাফ ডোম, হুইটনি এবং মেক্সিকোর লা মালিনছে, পিকো দে ওরিজাবা পর্বতারোহণ করেছেন।
    পেশাগত জীবনে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার শাহরিয়ার ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালির ক্যাডেন্স ডিজাইন সিস্টেমস-এ কর্মরত। তিনি কানাডা প্রবাসী কবি ইকবাল হাসানের মেয়ের জামাই।