• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপান উ. কোরিয়ার ৩৫ গ্রুপ ও ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করবে

    জাপান নতুন করে আরোপ করা অবরোধের অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার ৩৫ গ্রুপ ও ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে সোমবার একথা বলেন।
    তিনি বলেন, ‘অপহরণ এবং পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনে নতুন করে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে আমরা কাল উত্তর কোরিয়ার ৩৫ সংগঠন ও ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেব।’ এএফপি।

    মসজিদে গুলি ছোঁড়া’ মার্কিন সেনার জীবন পাল্টে দিল ইসলাম

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটে নিজের বাড়ির কাছের মসজিদে গুলি ছুঁড়েছিলেন সাবেক মার্কিন সেনা টেড হ্যাকি। প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ২০১৫ সালে এই কাজ করেছিলেন। এরপরই পাল্টে যায় তার জীবন।
    সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম বিবিসি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে এই মার্কিনী সেনার জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিও ফুটেছে দেখা যায়, কানেকটিকাট মসজিদের ভেতরে তার মুসলিম প্রতিবেশীদের পাশে টেড হেকি হাঁটু পেতে প্রার্থনায় মগ্ন।
    কিন্তু এর মাত্র কয়েক দিন আগে, প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার রাতে, ৪৮ বছর বয়সী হেকি স্থানীয় বারে ড্রিংক করে। সকালে তিনি বাড়িতে গিয়ে রাইফেল লোড করেন। তার বাগানে গিয়ে মসজিদের পাশে কয়েক রাইন্ড রাউন্ড গুলি ছুড়েন।
    প্রতিবেশী হেকি’র হামলার পাঁচ মাস পর, কুরেশি তাকে মসজিদে আয়োজিত ‘সঠিক ইসলাম ও উগ্রবাদ’ শীর্ষক সেমিনারে আমন্ত্রণ জানায়। হেকি এসে হাজির হলে মুসলিমরা স্বাগত জানালেন। হামলার কথা স্মরণ করে সে অনুতপ্ত হয়, অনুশোচনা জন্ম নেয় হ্যাকির অন্তরে। দুই পক্ষের আন্তরিকতা ছিল বিস্মিত হওয়ার মত।
    সকল ধর্মের মানুষ এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রকৃত ইসলাম ও উগ্রবাদ সম্পর্কে আলোচনা হয়। সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সবার কাছে ক্ষমা চায়। সবাই তাকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা করে দেয়।
    হেকি বলেন, আমি আসলে ইসলাম সম্পর্কে এতদিন ভুল ধারণার ওপর ছিলাম। ইসলাম কখনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারে না। পরবর্তীতে ছয় মাসের কারাদণ্ড হয় তার। এরপরই পাল্টে গেল জীবন। ভিডিও বিবিসি।

    উ. কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে পারবে জাপান: ট্রাম্প

    যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে জাপান উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে পারবে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাপান সফর গিয়ে সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
    সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘অ্যাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জামাদি কিনতে যাচ্ছেন।’ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতি ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, ‘যখন অ্যাবে অস্ত্রগুলো কেনা শেষ করবেন, তখন সেগুলোকে (ক্ষেপণাস্ত্রকে) গুলি করে ভূপাতিত করতে পারবেন।’ ট্রাম্পের মতে এর মধ্য দিয়ে মার্কিনিদের ব্যবসা এবং জাপানের নিরাপত্তা দুটো কাজই হবে। এর আগে সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প এক টুইটে বলেছিলেন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন সামরিক সরঞ্জামাদি বিক্রির বিষয়টি তিনি অনুমোদন করবেন।
    অপরদিকে অ্যাবে বলেন, উত্তর কোরীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জাপানকে ‘গুণগত ও পরিমাণগতভাবে’ দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে হবে। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আইনি সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতি জোর দিয়েছেন অ্যাবে। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমরা তা করতে পারব।’
     ট্রাম্পের সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে কোনও সামরিক চুক্তি হয়েছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। তবে দুই দেশের মধ্যেই আগে থেকেই সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সেনাঘাঁটি রয়েছে। ট্রাম্পের জাপান সফরে দুই দেশই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে একসঙ্গে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করলো। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জাপানি ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে দুইবার দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তার প্রথম এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে রবিবার জাপানে পৌঁছান। ১২ দিনের এই সফরে জাপান ছাড়াও  দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত ২৫ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এশিয়ায় কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটাই দীর্ঘতম সফর। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাপান সফরকালে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বোমা হামলার হুমকির ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী থেকে বেশ দূরের এলাকায় এসব হুমকি দেওয়া হয়। তবে নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশী করেও কোথাও কোন ধরণের বিস্ফোরক পায়নি কিংবা কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি। জাপানে বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার বিষয়টি ব্যতিক্রমী ঘটনা। বিবিসি ও এএফপি।

    বাড়তি ছুটি পাবে অধূমপায়ী কর্মীরা

    ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ এই বিষয়টি মোটামুটি সবারই জানা। ক্ষতিকর জানার পরও একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষই এই বদভ্যাস ছাড়তে পারেন না। ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েও বেশিরভাগ সময়  ধূমপান বন্ধ করা যায় না।
    তবে ধূমপান বন্ধ করতে অধূমপায়ীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান। মার্কেটিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘পাইলা’র মুখপাত্র হিরোতকা মাতসুসিমা বলেন, অধূমপায়ীদের জন্য বছরে অতিরিক্ত ছয় দিন ছুটির সুযোগ রাখা হচ্ছে।
    প্রতিষ্ঠানটির মতে, ধূমপায়ীরা ধূমপানের জন্য প্রতিদিন একাধিক বার বিরতি নিয়ে থাকে। কিন্তু অধূমপায়ীরা সাধারণত এটি করেন না। তাই তাদের বিশেষভাবে উত্সাহিত করতে এই ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।তাদের আশা, এতে করে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।-এপি

    প্রধানমন্ত্রীকে ছুটি দিন -আইনমন্ত্রীকে গয়েশ্বর

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এক মাস ধরে দেশে ফিরেছেন কিন্তু তিনি অফিস আদালতে যাচ্ছেন না কেন? তিনি কি অসুস্থ। যদি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে আইনমন্ত্রীকে বলতে চাই প্রধান বিচারপতিকে যদি অসুস্থতার কারণে ছুটি দিয়ে থাকেন তাহলে সেই কারণেই জনগণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকেও ছুটি দিন।
    শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
    জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করে জিয়া নাগরিক ফোরাম ( জিনাফ) নামের একটি সংগঠন।
    নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে নির্বাচনকে প্রথম বাক্সে বন্দি করা হয়েছে পরে ৭ নভেম্বর তা উদ্ধার হয়। আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রকে গুম করা হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে ক্রসফায়ারে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র কখনো একসাথে হতে পারেনা। তেঁতুল আর দুধ যেমন এক সঙ্গে রাখা যায়না ঠিক তেমনি আ.লীগ আর গণতন্ত্র এ সঙ্গে রাখলে গণতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাবে। তাই গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে হলে আওয়ামী লীগকে আমাদের সঠিকভাবে শিক্ষা দিতে হবে। দেশে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কোনো উপদ্রব থাকলে বিএনপি নির্বাচনে যাবেনা। আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে বাংলা দেশে কোন নির্বাচন হবেনা বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
    বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যে দিক দিয়ে যায় সে দিকে জনগণ আসবেই এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশ থেকে আসলেন পুলিশ ছাড়াও প্রায় ৫হাজার লোক সিভিল পোশাকে ছিলো তারপরও লোক হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লায়ন মিয়া মহাম্মদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, দেশ বাচাও মানুষ বাচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কর্মজীবীদলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ প্রমুখ।

    জাপান-বাংলাদেশ ইকোনমিক ডায়ালগ আজ

    বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করতে জাপানের ইকোনমি, ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তৃতীয় জাপান-বাংলাদেশ পাবলিক প্রাইভেট জয়েন্ট ইকোনমিক ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার জাপানের টোকিওতে এ যৌথ সংলাপ হবে।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এ ডায়ালগে অংশ নেবে। বাণিজ্য সচিব, ইআরডি সচিব, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রধানরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে থাকবেন।

    জাপান-বাংলাদেশ পাবলিক প্রাইভেট জয়েন্ট ইকোনমিক ডায়ালগের মূল উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা ও জাপানি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। ডায়ালগে বাংলাদেশে বিনিয়োগ, শিল্পের বৈচিত্র্য ও মানোন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হবে।

    ডায়ালগ ও সেমিনারের পাশাপাশি জাপানের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জাইকার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

    বায়ুমন্ডলে রেকর্ড মাত্রার কার্বন ডাই অক্সাইড

    পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ২০১৬ সালে রেকর্ড পরিমাণ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্বের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা (ডব্লিউএমও)। সংস্থাটির দাবি, গত ১০ বছরের তুলনায় গত বছর কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধির গড় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
    গবেষকরা বলছেন, মানব প্রজাতির কর্মকান্ড এবং এল নিনোর প্রভাবে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এমন এক মাত্রায় পৌঁছেছে যা ৮ লাখ বছরের মধ্যে দেখা যায়নি। এ ধরনের ঝুঁকিগুলো বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি ঠেকানোর লক্ষ্যকে অসাধ্য করে তুলছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
    উল্লেখ্য, এল নিনো হছে সমুদ্রের উপরিভাগের জলের তাপমাত্রার একটি নিরবিছিন্ন পরিবর্তন। পূর্ব-কেন্দ্রীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় শান্ত সমুদ্রের জলের গড়পড়তা তাপমাত্রায় যখন কমপক্ষে ০.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস-বৃদ্ধি হয় তখনকার পরিস্থিতিকে এল নিনো বলে বিবেচনা করা হয়। ২ থেকে ৭ বছর পরপর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। এল নিনোর কারণে খরা হওয়ার কারণে গাছপালা কার্বন ডাই অক্রাইড কম শোষণ করে
    ডবিøউএমও এ বছর ৫১টি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে গ্রিনহাউজ গ্যাস বুলেটিনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৬ সালে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্রদ্ধির গড় ৪০৩.৩ পার্টস পার মিলিয়ন বা পিপিএম হয়েছে; যা আগের বছর ৪০০ পিপিএম ছিল। কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল গত এল নিনোর সময়, ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে। এ বৃদ্ধির হার ছিল ২.৭ পিপিএম কিন্তু এখন সেই বৃদ্ধির হার ৩.৩ পিপিএম। গত ১০ বছরের বৃদ্ধির গড় থেকে এটি ৫০ শতাংশ বেশি।’
    ডব্লিউএমও’র বৈশ্বিক বায়ুমন্ডল পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির প্রধান ওকসানা তারাসোভা বিবিসিকে বলেন, ‘এ নেটওয়ার্কের আওতায় ৩০ বছরে আমাদের দেখা সবচেয়ে বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধির ঘটনা এটি।
    এল নিনোর কারণে খরা সৃষ্টি হয় আর তাতে গাছপালা কার্বন ডাই অক্সাইড কম শোষণ করতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭০ বছরে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ১০০ গুণ বেড়েছে।

    ফেসবুকে নিউজ শেয়ারে গুনতে হবে অর্থ

    বিনা পয়সায় কোনো কিছু সরাসরি আর প্রচার করবে না ফেসবুক। যারা ফেসবুকে পেজ তৈরি করে বিভিন্ন নিউজ প্রচার করেন, সেসব প্রকাশকের জন্য নিউজফিডের সুবিধা রাখছে না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ মূল্য পরিশোধ বা খরচ করলে পেজে পোস্ট করা স্টোরি ব্যবহারকারীদের নিউজফিডে দেখাবে না তারা। ইতোমধ্যে পেজ পাবলিশার বা প্রকাশকদের পোস্ট ছয়টি দেশের নিউজফিডে দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক। এটিকে আপাতত পরীক্ষামূলক বলছেন ফেসবুকের কর্মকর্তারা।

    সম্প্রতি ফেসবুক ‘এক্সপ্লোর ফিড’ নামের নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। এতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রকাশক ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আসা কনটেন্ট মূল ফিড থেকে সরিয়ে ফেলছে ফেসবুক। এসব পোস্ট পৃথকভাবে এক্সপ্লোর ফিডে থাকবে। তবে এক্সপ্লোর ফিডগুলো নিউজফিডে দেখাবে না। এক্সপ্লোর ফিডের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন কনটেন্ট পোস্ট ব্যবহারকারীকে দেখানো।
    ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যবহারকারীদের দুটি ফিড দেখানো হবে। একটিতে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও অন্যটিতে প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশকদের। শ্রীলঙ্কা, বলিভিয়া, স্লোভাকিয়া, সার্বিয়া, গুয়াতেমালা ও কম্বোডিয়াতে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু হচ্ছে। তবে এখনই বৈশ্বিকভাবে এটি চালু করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
    ফেসবুকের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল অনেক প্রতিষ্ঠান আতঙ্কে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেজের বিভিন্ন স্টোরি মূল ফিড থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বড় ধরনের পরিবর্তন। পেজ পোস্টগুলো এক্সপ্লোর ফিডে সরিয়ে দেওয়ায় প্রকাশকদের পোস্টের ‘অর্গানিক রিচ’ দুই তৃতীয়াংশ কমে গেছে।

    ওসীয়্যাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য : হাফেয মাওলানা মাহমুদুর রহমা

    ওসীয়্যাতের সংজ্ঞা হচ্ছে নিজের উপর আল্লাহ্ তাআলার হক্ অথবা বান্দার হক্ সংশ্লিষ্ট কোন করণীয় বা বর্জনীয় ফরয বা ওয়াজিব যদি বাকী থাকে, এমতাবস্থায় ঐ ব্যক্তির উপর তার ওয়ারিসদের প্রতি এ ব্যাপারে ওসীয়্যাত করাও ফরয বা ওয়াজিব হিসেবে গণ্য হবে। তার যিম্মায় কোন ফরয-ওয়াজিব যদি বাকী না থাকে তাহলে ওসীয়্যাত করা মুস্তাহাব। (শরহে মুসলিম-২/৩৯, তাকমিলায়ে ফাত্হুল মুলহিম-২/৯৪, ৯৫, দুররে মুখতার-৬/৬৪৮)।

    ওসীয়্যাতের গুরুত্ব সম্পর্কে হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্নে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে মুসলমানের উপর ওসীয়্যাত যোগ্য কিছু রয়েছে, তার জন্য ওসীয়্যাতনামা না লিখে দুই রাতও অতিবাহিত করা উচিৎ নয়। (বুখারী শরীফ-১/৩৮২, মুসলিম শরীফ-২/৩৯)।

    কোন কোন বর্ণনায় এক রাত আবার কোন বর্ণনায় তিন রাতের কথাও উল্লেখ রয়েছে। এজন্য মুহাদ্দিসগণ বলেন, আসলে হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য হল, কোন মুসলমানের জন্য নিজের ওসীয়্যাতনামা লিপিবদ্ধ করা ব্যতীত সামান্য সময়ও অতিবাহিত করা উচিৎ নয়। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে ওসীয়্যাত বিষয়াবলীকে চিন্তা করে লেখার জন্য উপরোল্লিখিত সময়ের কথা বলা হয়েছে। যার সর্বশেষ সময় হল, তিন দিন। (ফাত্হুল বারী-৫/৩৫৮)। এজন্য উক্ত হাদীসের বর্ণনাকারী হযরত ইব্নে উমর (রাযি.) বলেন, যেদিন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উক্ত কথা শুনেছি, সেদিন থেকে এক রাত অতিক্রম করার পূর্বেই আমার ওসীয়্যাতনামা আমার নিকট লিখে রেখেছি। (মুসলিম শরীফ-২/৩৯, ফাত্হুল বারী-৫/৩৮৫)। তাই উলামায়ে কিরাম সুস্থাবস্থায় যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি নিজের ওসীয়্যাতনামা লিপিবদ্ধ করে রাখাকে মুস্তাহাব বলেছেন। (শরহে মুসলিম-২/৩৯)।

    ওসীয়্যাতের উপরোল্লিখিত বিধানসমূহ জ্ঞানসম্পন্ন, স্বাধীন, বয়স্ক, অল্প বয়স্ক নর-নারী সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। তাদের বুদ্ধিমান, চতুর বা বিবেচনাশীল হওয়া ও মহিলাদের জন্য বিবাহিতা হওয়া এবং স্বামীর অনুমতি নেওয়া এগুলোর কোনটাই শর্ত নয়। (ফাত্হুল বারী-৫/৩৫৬)। একবার ওসীয়্যাতনামা লিপিবদ্ধ করার পর পুণরায় কোন বিষয়ে ওসীয়্যাত করার প্রয়োজন দেখা দিলে পূর্বের ওসীয়্যাতনামার সঙ্গে তা সংযোজন করে নিবে। (র্শহে মুসলিম-২/৩৯)। হযরত জাবির (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ওসীয়্যাত করে মারা গেল সে সঠিক রাস্তা ও সুন্নাতের পথের উপর রয়েই মারা গেল, তাক্বওয়া ও শাহাদাতের উপর মারা গেল এবং ক্ষমা প্রাপ্তাবস্থায় মারা গেল। (ইব্নে মাজাহ্-১৯৮ পৃঃ)।

    উক্ত হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, নিজের যিম্মায় কোন হক্ না থাকলেও ওসীয়্যাত করা, ক্ষমাপ্রাপ্তি এবং বড় পুণ্য ও সাওয়াবের অধিকারী হওয়ার কারণ। (আহ্সানুল ফাত্ওয়া-১/২৫)।

    ওসীয়্যাতের উপর হাদীস শরীফের এ তাকীদ ও ফযীলতের প্রতি তীক্ষ দৃষ্টি রেখেই হযরাত উলামায়ে কিরাম যুগে যুগে ওসীয়্যাতনামা লেখার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। ইমামে আযম আবু হানীফা (রাহ্.), বড় পীর আব্দুল ক্বাদীর জিলানী (রাহ্.), শাহ্ ওলীউল্লাহ্ মুহাদ্দিসে দেহ্লভী (রাহ্.), হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রাহ্.)এর মত বুযুর্গানে দ্বীনের ওসীয়্যাতই এর প্রমাণ। এ বিষয়ে একটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, ওসীয়্যাত করা না হলে অনাদায়ী নামায রোযার জন্য ওয়ারিসগণের উপর কাফ্ফারা, ফিদ্ইয়া আদায় করার হুকুম ওয়াজিব হিসেবে বর্তায় না। (জাওয়াহিরুল ফিক্বাহ্-১/৩৯৩)। তবে যারা ওলী ও ওয়ারিস থাকে, তারা নিজের পক্ষ থেকে আদায় করে দিলে দিতে পারে। এতে আশা করা যায়, আল্লাহ্ তায়ালা নিজ দয়া গুণে তা কবুল করে নিবেন এবং মৃত ব্যক্তির অপরাধ ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু এটাও স্মরণ রাখতে হবে যে, ওসীয়্যাত করা না হলে মৃত ব্যক্তির মাল থেকে ফিদ্ইয়া দেওয়া জায়েয নয়। (বেহেশতী যেওর-৩/২০, আহ্সানুল ফাত্ওয়া-৩/৪৪)।

    সমগ্র জীবন দ্বীনদারী বজায় রেখে চলার পরও নিজের সন্তান-সন্ততিকে দ্বীনি শিক্ষা না দেওয়ার কারণে অনেকেরই মৃত্যু কালীন এবং মৃত্যুর পরবর্তী কাজগুলো সুন্নাত মোতাবেক আদায় হয়-ই না, বরং তাতে নানা প্রকার বিদ্আত ও কুসংস্কারের অনুপ্রবেশ ঘটে। এগুলো থেকে বেঁচে থাকার জন্য নিজের সন্তান-সন্ততিকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়া এবং বিশেষভাবে জীবনের অন্তিম মুহূর্তে তাদেরকে এতদুদ্দেশ্যে ওসীয়্যাত করে যাওয়া প্রত্যেকের জন্যই অপরিহার্য কর্তব্য। (আহ্সানুল ফাত্ওয়া-১/২১, ২২, ৪/২৩১, ২৩২)।

    যামানার প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখেই আরিফ বিল্লাহ্ হযরত মাওলানা শাহ্ হাকীম মুহাম্মদ আখতার দামাত বারাকাতুহুম (করাচী)এর লিখিত ওসীয়্যাত নামার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আমাদের একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়াবলীর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে অত্র ওসীয়্যাত নামাটি হযরতের বিশিষ্ট খলীফা হযরত মাওলানা মুফ্তী নূরুল আমীন (মুফ্তী দারুল উলূম মাদ্রাসা, খুলনা এবং খতীব ও পেশ ইমাম মিনারা জামে মসজিদ, খুলনা) কর্তৃক লিখিত হল। যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের পক্ষ থেকে ওয়ারিসগণের প্রতি ওসীয়্যাত করতে পারেন। ওসীয়্যাত নামাটি নিুরূপ।

     

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

    আমি ……………………. এর পক্ষ থেকে নিজ সন্তানাদি এবং প্রিয়জনদের প্রতি ওসীয়্যাত করছি।

    তারিখ- …………………….

    ওসীয়্যাতনামা

    (১) আমার মুমূর্ষ অবস্থায় সূরা ইয়াসীন নিজে বা অন্য কারো দ্বারা বেশী বেশী পাঠ করবে বা করাবে। (ইব্নে মাজাহ্-১/১০৫, ফাত্ওয়ায়ে শামী-২/১৯১)। এবং কালেমার তালক্বীন করবে বা করাবে।

    এক্ষেত্রে বিশেষভাবে গাইরে মাহ্রাম মহিলাদের আমার নিকটে আসতেই দিবে না/কোন গাইরে মাহ্রাম পুরুষ দ্বারা কালেমার তালক্বীন, সূরা ইয়াসীন পাঠ ইত্যাদির ক্ষেত্রে খাস পর্দার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবে। সাবধান! যেন খাস পর্দার খেলাফ না হয়। (মুসলিম শরীফ-১/৩০০, তিরমিযী শরীফ-১/১৯২, র্দুরে মুখ্তার-২/১৯০)। মৃত্যুর পর আমার লাশের পাশে সম্মিলিতভাবে কুরআন পাঠ করবেনা বা করাবে না। তবে পৃথক পৃথকভাবে নিজ নিজ স্থান থেকে যার যা তাওফীক হয় পাঠ করে বখ্শে দিতে পারবে। (ফাত্ওয়ায়ে শামী-২/১৯৪)।

    (২) মারা যাওয়ার সাথে সাথে প্রথমেই গোসল ও স্বল্প সময়ের মধ্যে কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করবে। (আবুদাঊদ শরীফ-২/৪৫০, র্দুরে মুখ্তার-২/১৯৩)।

    (৩) আমার জানাযার প্রস্তুতি, গোসল, কাফন ও দাফনের ক্ষেত্রে পুরাপুরি সুন্নাতের অনুসরণ করবে। (মা-লাবুদ্দা মিনহু-১৩৬ পৃঃ)।

    (৪) আমার মৃত্যুর পর উŽচস্বরে ক্রন্দন বা নাজায়েয কথা বলবে না। (তিরমিযী শরীফ-১/১৯৫, বুখারী শরীফ-১/১৭২, মুসলিম শরীফ-১/৩০২, মা-লাবুদ্দা মিনহু-১৩৬ পৃঃ)।

    (৫) আল্লাহ্ তায়ালার মেহেরবানীতে যদি বৃহস্পতি বার রাত্রে বা শুক্রবার সকালে আমার মৃত্যু নসীব হয়, তাহলে জুম্আর পূর্বেই কাফন-দাফন সম্পন্ন করবে। জানাযায় বেশী লোক শরীক হওয়ার উদ্দেশ্যে বা কোন নিকটতম আত্মীয়ের দর্শনের জন্য আমাকে জুম্আর আগে যেন কাফন-দাফন হতে বিরত না রাখা হয়। (ফাত্ওয়ায়ে শামী-২/২৩৯, আহ্সানুল ফাত্ওয়া-১/২৮, ৪/২৪১)। মৃত্যু হলে আমাকে ……………….. দ্বারা জানাযার ব্যবস্থা করবে। (মা-লাবুদ্দা মিনহু-১৩৬ পৃঃ)।

    (৬) অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে যদি আমার বিগত জীবনের নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদী অনাদায়ী থাকে, তাহলে কাফফারা, ফিদ্ইয়া, হজ্ব , যাকাত আমার স্থাবর অস্থাবর ষোল আনা সম্পত্তি থেকে প্রথমে আমার কাফন-দাফন ও ঋণ পরিশোধের পর যা কিছু অবশিষ্ট থাকবে, তার এক তৃতীয়াংশ দ্বারা আদায় করবে। (জাওয়াহিরুল ফিক্বাহ্-১/৩৯২, মিরক্বাত-৪/২২৮, বেহেশ্তী যেওর-৩/২০)।

    (৭) আমার মৃত্যুর পর আত্মার মাগফিরাতের জন্য যদি কোন কিছু করতে ইচ্ছা কর, তাহলে দ্বীনদার আমলদার পরহেযগার ও হক্কানী মুফ্তী আলেমের সাথে পরামর্শ করে কাজ করবে। নিজের ইচ্ছামত কোন কাজ করবে না। (ফাযায়েলে সাদাক্বাত, ২য় খণ্ড)।

    (৮) আমাকে বুগলী বা সিন্দুকী কবরে দাফন করবে। কারণ তা উৎকৃষ্ট। (বুখারী শরীফ-১/১৭৯, মুসলিম শরীফ-১/৩১১, আবুদাঊদ শরীফ-২/৪৫৮, তিরমিযী শরীফ-১/২০২, র্দুরে মুখ্তার-২/২২৪)। কবরে ঠিক ডান কাতে ক্বিবলামুখী করে শোয়ানো সুন্নাত। এমনভাবে শোয়াবে, যেন সিনা পুরোপুরি ক্বিবলার দিকে ফিরে থাকে। প্রয়োজন হলে মাথা এবং পিঠের নীচে মাটি দেওয়া যাবে। (চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে কেবল মুখটি ক্বিবলার দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার নিয়ম সঠিক নয়। এতে শুধু লাশের উপর কষ্ট দেওয়া হয়)। (ফাত্ওয়ায়ে আলমগিরী-১/১৬৬, আহ্সানুল ফাত্ওয়া-১/২৮)।

    (৯) পুরুষদের জন্য কবর যিয়ারত করা মুস্তাহাব। (যিয়ারতের শাব্দিক অর্থ দেখা বা দর্শন করা। পরিভাষায় কবরস্থানে গিয়ে কবরবাসীকে সালামের দোয়া পড়ে কবরের কথা, কবরের আযাবের কথা এবং দুনিয়ার যিন্দেগীর অসারতার কথা চিন্তা করে অন্তর নরম করা এবং মৃত ব্যক্তিদের জন্য কিছু সাওয়াব বখ্শিশ করাকে কবর যিয়ারত বলে।) সপ্তাহে অন্ততঃ একদিন আমার কবর যিয়ারত করার চেষ্টা করবে। শুক্রবার সবচেয়ে ভাল। (মুসলিম শরীফ-১/৩১৩, ৩১৪, তিরমিযী শরীফ-১/২০৩, আবুদাঊদ শরীফ-২/৪৬১, ফাত্হুল বারী-৩/১৪৮)।

    সাওয়াব বখশিশ করার কয়েকটি সঠিক নিয়ম

    (ক) কিছু টাকা-পয়সা, ভাত-কাপড় কোন অভাবগ্রস্ত মু’মিন লোককে দান করে তার নিকট কোন কিছু প্রকাশ না করে নিজেরাই আল্লাহর নিকট দোয়া করবে যে, হে আল্লাহ্! এর বিনিময়ে যে সাওয়াব হয় তা অমুককে পৌঁছে দিও। (মুসলিম শরীফ-১/৩২৪)।

    (খ) সাদাকায়ে জারিয়া তথা মাদ্রাসা, মসজিদ, তালিবে ইল্ম-মুর্দারিসগণের খরচ, দ্বীনি কিতাব ইত্যাদি কাজে কিছু টাকা-পয়সা বা স্থাবর সম্পত্তি দান করে নিজেই আল্লাহর কাছে দোয়া করবে যে, হে আল্লাহ্! এর যা কিছু সাওয়াব হয়, তা অমুককে পৌঁছে দিও। নিয়্যাতে যেন গোলমাল না হয়, অর্থাৎ- নাম যশ খ্যাতির নিয়্যাত হওয়া উচিৎ নয়। খালেস আল্লাহর ওয়াস্তে নিয়্যাত করবে। নতুবা সাওয়াব হবে না বা পৌঁছবে না। (মুসলিম শরীফ-২/৪১)।

    (গ) পবিত্র কুরআন শরীফের কিছু অংশ পাঠ করে যেমন সূরা ফাতিহা, সূরা বাক্বারার প্রথম ও শেষ তিন আয়াত, সূরা ইয়াসীন, সূরা মুল্ক, সূরা ইখ্লাস তিন বার ইত্যাদি বা সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ, নফল নামায-রোযা, তাস্বীহ্, ইস্তিগফার, দরূদ শরীফ পড়ার মাধ্যমে আমাকে উপকৃত করবে।

    কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “মৃত ব্যক্তি কবরে পানিতে হাবুডুবু খেতে থাকা ব্যক্তির ন্যায়। সদা সে পিতা-মাতা ও ভাই-বোন, বন্ধুর দোয়া দ্বারা উপকৃত হওয়ার প্রতীক্ষায় থাকে।” (ফাত্ওয়ায়ে শামী-২/২৪৩, ফাত্হুল মুলহিম-৩/৩৮, মা-লাবুদ্দা মিনহু-১৩৭ পৃঃ)। অতঃপর আল্লাহর নিকট এরূপ দোয়া করবে যে, হে আল্লাহ্! অমুকের গুনাহ্ মাফ করে দাও, কবর আযাব হতে বাঁচিয়ে রাখ, অমুকের আখেরাতের মুশ্কিল আসান করে দাও। তার উপর রহ্মত নাযিল কর। তাকে চিরস্থায়ী সুখ দান কর। তার ভুল-ত্র€টি মাফ করে দাও। তোমার দয়া ও অনুগ্রহ দ্বারা তার পাপরাশিকে ক্ষমা করে দাও। ময়লা কাপড় যেমন ধুয়ে পরিস্কার করা হয়, তাকে পাপের ময়লা থেকে সেরূপ পরিস্কার করে দাও। এই জগতের বাড়ী, সঙ্গী এবং যুগল থেকে উত্তম বাড়ী, উত্তম সঙ্গী এবং উত্তম যুগল দান কর। তাকে বেহেশ্ত দান কর। তাকে সম্মানিত কর। তার স্থান প্রশস্ত করে দাও এবং কবর ও দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। (মুসলিম শরীফ-১/৩১১)।

    (১০) সাওয়াব রিসানীর উদ্দেশ্যে প্রচলিত যে সমস্ত অনুষ্ঠানাদি পালন করা হয়ে থাকে তা সম্পূর্ণ বর্জন করবে। যেমন, মীলাদ মাহ্ফিল, কুলখানি, তিন দিনের বা ৪০ দিনের খানা খাওয়ানো, মৃত্যু বা জন্ম বার্ষিকী পালন ইত্যাদি। (ফাত্ওয়ায়ে শামী-২/২৪০, মা-লাবুদ্দা মিনহু-১৩৬ পৃঃ)।

    (১১) পারিশ্রমিকের বিনিময় যেমন, টাকা-পয়সা নযরানা স্বরূপ লেনদেন করা, খানা খাওয়ানো বা মিষ্টি বিতরণের মধ্য দিয়ে হোক, কুরআন খতম, কালেমা খতম ও দোয়া দরূদ করানো থেকে বিশেষভাবে বিরত থাকবে। এগুলো কুরআন-হাদীসের আলোকে সম্পূর্ণ হারাম। (তাফ্সীরে মাআরিফুল কুরআন, সূরা বাক্বারাঃ ৪২ নং আয়াত, ছারছীনার মরহূম পীর হযরত মাওলানা শাহ্ নেছার উদ্দীন আহ্মদ (রাহ্.) প্রণীত আল্ ক্বওলুস্ সাদীদ-৩, ৪ পৃঃ)। মাআরিফুল কুরআনে ফাত্ওয়ায়ে শামীর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আল্লামা শামী র্দুরে মুখ্তারের শরাহ্ এবং শিফাউল আলীল গ্রন্থে বিস্তারিতভাবে এবং অকাট্য দলীলাদিসহ প্রমাণ করেছেন যে, পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মৃতদের উদ্দেশ্যে কুরআন খতম বা অন্য কোন দোয়া-কালাম ও ওযীফা পাঠ করানো হারাম। কারণ এর উপর কোন ধর্মীয় মৌলিক প্রয়োজন নির্ভরশীল নয়। এখন যেহেতু পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কুরআন পড়া হারাম, সুতরাং যে পড়বে এবং যে পড়াবে, উভয়ই গুনাহ্গার হবে। বস্তুতঃ যে পড়ছে সে যখন কোন সাওয়াব পাচ্ছে না, তখন মৃতের আত্মার প্রতি সে কি পৌঁছাবে? কবরের পাশে বসে দেখে দেখে বা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কুরআন শরীফ খতম করানোর রীতি সাহাবী, তাবিঈন এবং প্রথম যুগের উম্মতগণের দ্বারা কোথাও বর্ণিত বা প্রমাণিত নেই। সুতরাং এগুলো নিঃসন্দেহে বিদ্আত।

    (১২) যে এলাকায় আমার ইন্তিকাল হয় সে এলাকার কবরস্থানে আমাকে দাফন করবে। (ত্বাহ্ত্বাভী-৩৩৭ পৃঃ, আহ্সানুল ফাত্ওয়া-১/২৭, ৪/২১৮)।

    (১৩) গোসল দেওয়ার সময় (পুরুষ হলে) নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত, (মহিলা হলে) সম্পূর্ণ শরীরের পর্দার প্রতি খেয়াল রাখবে। যার নিয়মঃ দু’জন লোক একটি চাদর শরীরের সামান্য উপরে দুই পাশ থেকে টেনে ধরবে। (ফাত্ওয়ায়ে শামী-২/২২৩, আহ্সানুল ফাত্ওয়া-৪/২২৩)। এবং গায়েবানা জানাযা পড়বে না ও পড়াবে না। কেননা, এটা শরীয়তে নাজায়েয। (দুররে মুখতার- ২/২০৯)।

    (১৫) মরণোত্তর আমার চক্ষুসহ অন্য কোন অঙ্গ দান করবে না। কারণ তা নাজায়েয।

    (১৬) মুখ দেখানোর প্রথা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করবে। বিশেষ করে গাইরে মাহ্রাম মহিলাদের, গাইরে মাহ্রাম পুরুষদেরকে মুখ দেখানো থেকে বিরত রাখবে। (আহ্সানুল ফাত্ওয়া-৪/২২৯)।

    (১৭) স্মরণ রাখবে! কবরে ঘর বানানো হারাম। অতএব আমার কবর পাকা বা লেপা-পোঁচা করবেনা। মযবুতের জন্য কবর পাকা করা, কবর অনেক উঁচু করা এবং লেপা মাকরূহে তাহ্রীমী। (মুসলিম শরীফ-১/৩১২, আহ্সানুল ফাত্ওয়া-৪/১৮৯, ১৯৯, তিরমিযী শরীফ-১/২০৩)।

    (১৮) সুন্নাতের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে পাঁচ ওয়াক্ত নামায গুরুত্ব সহকারে জামাআতের সাথে, মহিলারা নিজ নিজ গৃহে পর্দা সহকারে আদায় করবে। নামাযের বাইরেও সুন্নাতের নিয়মাবলী ও মাসনূন দোয়াসমূহের প্রতি খুবই গুরুত্বারোপ করবে। (বুখারী শরীফ-১/৮৯, মুয়াত্তা মালিক-৩ পৃঃ, হিদায়া-১/১২৬)।

    (১৯) স্বীয় বাড়ীতে বেপর্দা রমণী, জীব-জন্তুর ছবি, টিভি, গানবাদ্য এগুলো ঢুকতে দিবে না। (মুসলিম শরীফ-২/১৯৯ ও ২০০, কাশ্কুলে মা’রিফাত-৫৬৭ পৃঃ, তিরমিযী শরীফ-২/৪৪, মিশ্কাত শরীফ-২/৩১৮)।

    (২০) বিবাহ-শাদীসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও অন্যান্য পারিবারিক অনুষ্ঠানে সকল প্রকার কু-প্রথা, অপচয় থেকে বিরত থাকবে। যেমন, গায়ে হলুদ, গেট সাজানো, ক্লাবে বিবাহ ইত্যাদি। বিশেষ করে বিবাহ সুন্নাত মোতাবেক মসজিদে সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে। (তিরমিযী শরীফ-১/২০৭, বেহেশ্তী যেওর-৬/১৬-৪১)।

    (২১) সব সময় সুন্নাতানুসারী আলেম, তালেবে ইল্ম, হক্কানী পীর-বুযুর্গ ও অন্যান্য সকল দ্বীনের সহীহ্ খাদেম ও মুবাল্লিগদেরকে আন্তরিকভাবে মুহাব্বত করবে, খেদমত করবে এবং সু-সম্পর্ক রেখে চলবে। (তা’লীমুল মুতাআল্লিম-৫৮ পৃঃ, আহ্সানুল ফাত্ওয়া-১/২৬)।

    (২২) প্রতিদিন কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের অভ্যাস করবে। (আহ্সানুল ফাত্ওয়া-১/২২)। এবং কোন সুদক্ষ ক্বারী সাহেবের নিকট থেকে কুরআন শরীফের অক্ষরগুলো মশ্ক্ব করে নিবে। সবসময় কুরআন শরীফের ৪টি হকের দিকে লক্ষ্য রাখবে। হকগুলো হলো, পবিত্র কুরআন শরীফের (ক) মুহাব্বত (খ) সম্মান (গ) বিশুদ্ধ তিলাওয়াত (ঘ) কুরআন শরীফের আদেশ নিষেধের অনুসরণ করা। (কাশকুলে মা’রিফাত-৫৬৭ পৃঃ)।

    (২৩) হক্কুল ইবাদ (বান্দার হক্) যথাযথ আদায় না করে থাকলে হক্ প্রাপ্তদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবে এবং অর্থ সম্পদ সংশ্লিষ্ট হক্ হলে সেগুলো পরিশোধের ব্যবস্থা করবে। (তিরমিযী শরীফ-১/২০৬, ইব্নে মাজাহ্-২/১৭৭, মা-লাবুদ্দা মিনহু-১৩৭ পৃঃ)।

    (২৪) ত্যাজ্য সম্পত্তি ওয়ারিসদের মধ্যে বন্টনের পূর্বে কোন প্রকার দান-খয়রাত, গরীব-মিসকীনদের খাওয়ানো ইত্যাদি থেকে অবশ্যই বিরত থাকবে। কারণ ত্যাজ্য সম্পত্তি বন্টনের পূর্বে তা থেকে মেহ্মানদের আদর-আপ্যায়ন, দান-খয়রাত ইত্যাদি করা বৈধ নয়। এ ধরনের দান-খয়রাত দ্বারা মৃত ব্যক্তি কোন সাওয়াব পায় না। বরং সাওয়াব মনে করে দেওয়া আরো কঠোর গুনাহ্। বিশেষ করে ওয়ারিস যদি নাবালক এতীম থাকে। কেননা, এতীমের মাল খাওয়া আগুন খাওয়ার শামিল। এতীমের অনুমতি নিয়েও দান-খয়রাত করবে না, কারণ নাবালকের অনুমতি ধর্তব্য নয়। (তাফ্সীরে মা’আরিফুল কুরআন-২/২১৮)।

    (২৫) ছেলে-মেয়েসহ সকল ওয়ারিসের হক্ পাই পাই হিসেব করে বুঝিয়ে দিবে। বিশেষ করে মেয়েদের হকের ব্যাপারে বেশী সাবধানতা অবলম্বন করবে। (তাফ্সীরে মাআরিফুল কুরআন-২/২১৫)।

    (২৬) ভাই-বোনের পারস্পরিক সুন্দর সম্পর্ককে কোন মূল্যেও ভঙ্গ হতে দিবে না। এই সুন্দরতম সম্পর্ক এবং বহু দামী মূলধনের হিফাযতের জন্য যদি নফ্সের কামনা-বাসনা ও মাল-সম্পদ এবং পদ-মর্যাদাও কুরবানী দিতে হয়, তবুও তাতে কখনও অস্বীকৃতি জানাবে না। আপোষের মধ্যে ঐক্য এবং মুহাব্বতের দ্বারা আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টি ও আখেরাতের নিয়ামতসমূহ ছাড়াও দুনিয়ার মধ্যে শান্তি, তৃপ্তি, খুশী, বরকত এবং সম্মান ও মাল-সম্পদের মধ্যে উন্নতি হয়। এর বিপরীত মতানৈক্য, আল্লাহ্ তায়ালার অসন্তুষ্টি এবং আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও দুনিয়াতে পেরেশানী, অপমান, দারিদ্রতা ও ধ্বংসের কারণ হয়। স্মরণ রাখতে হবে যে, দুনিয়াবী সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে আল্লাহ্ তায়ালার কোনরূপ হুকুম যেন আদৌ লঘন করা না হয়। (আহ্সানুল ফাত্ওয়া-১/২৩, ২৪)।

    (২৭) কোন সমস্যা বা প্রয়োজন সামনে আসলে সালাতুল হাজাত নামায পড়ে একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালার নিকট সমাধান চেয়ে নেওয়ার অভ্যাস করবে এবং কোন নেককার আলেম বা প্রিয়জনদের নিকট দোয়ার আবেদন জানাবে। মাঝে মধ্যে সালাতুল হাজাত পড়ে আল্লাহ্ তায়ালার নিকট স্বীয় আÍশুদ্ধির জন্য দোয়া করবে। (কাশ্কুলে মা’রিফাত-৫৬৮, আহ্সানুল ফাত্ওয়া-১/২৭)।

    পরিশেষ, দুনিয়ায় চলতে গেলে আচার-ব্যবহার, কথা-বার্তায় এমন কি শাসনের ক্ষেত্রে শিক্ষা-দীক্ষায়, ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কেউ না কেউ কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। কাজেই আমি সকলের কাছে আল্লাহর ওয়া¯ে ক্ষমা চাই। আমাকে দিল থেকে ক্ষমা করে দিবে। যদি জানতে পার যে, কেউ আমার দ্বারা কষ্ট পেয়েছে, তবে তার নিকট আমার পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে। (আহ্সানুল ফাত্ওয়া-১/২৬)।

    স্বাক্ষর……………………………………………………

    গ্রাম………………………………………………………

    পোঃ……………………………………………………….

    থানা………………………………………………………

    জেলা……………………………………………………..

     

     

    বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন রিটেল স্টোর অ্যামাজনের স্টক লাফিয়ে বাড়তেই মাইক্রোসফটের প্রতিাতা বিল গেটসকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় উঠে এসেছেন জেফ বেজোস। গত শুক্রবার অ্যামাজনের স্টক ১৩.৫ শতাংশ বাড়ার পরই এই খবর সামনে আসে। এর আগে গত আগস্টেও গেটসকে একবার টপকে গিয়েছিলেন বেজোস। অ্যামাজন সংস্থায় বেজোসের ৮ কোটি শেয়ার রয়েছে। স¤প্রতি সংস্থার স্টক বেড়ে যাওয়ায় একদিনে ১ হাজার কোটি ডলার সম্পত্তি বেড়ে গিয়েছে বেজোসের। ফলে তার মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৯ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। তাই এই মুহূর্তে তিনি বিল গেটসকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। রয়টার্স।

    জাপানে টাইফুন সাওলার আঘাতে ভূমিধসের আশংকা

    জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জের দিকে শনিবার টাইফুন সাওলা ধেয়ে আসায় সেখানে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ এর প্রভাবে শক্তিশালী ঝড় ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে। খবর এএফপি’র।
    খবরে বলা হয়, টাইফুন ল্যানের আঘাতে পাঁচজনের মৃত্যু, একজন নিখোঁজ ও অনেকে আহত হওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে নতুন এ ঝড় ধেয়ে আসছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানায়, স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে সাওলার অবস্থান ছিল ওকিনাওয়ার রাজধানী নাহা’র ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬২ কিলোমিটার বেগে এটি অগ্রসর হচ্ছে।
    শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঝড়টি ওকিনাওয়া ও গ্রীস্মমন্ডলীয় ছোট দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করতে যাচ্ছে এবং এটি রবিবার সকাল নাগাদ জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাগোশিমা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাপানের সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্র এনএইচকে জানায়, এতে ওকিনাওয়ার কিছু নদীর বেড়ে যেতে পারে। এএফপি।
    দু্ই-তৃতীয়াংশ আসনে জয় অ্যাবের: উ. কোরিয়াকে মোকাবিলার অঙ্গীকার
    জাপানের আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের দল। এর মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনে আর কোনো বাধা থাকলো না অ্যাবের কোয়ালিশন দলের। খবর এবিসি নিউজ ও সিএনএনের

    জাপানের গণমাধ্যম গতকাল সোমবার জানিয়েছে, শিনজো অ্যাবের লেবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) এবং ছোট অংশিদার মিলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৪৬৫ আসনের মধ্যে ৩১২টি আসনে জয় পেয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ৩১০টি আসন। চারটি আসনের ফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এ নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে অ্যাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন। নির্বাচনে জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী অ্যাবে উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি রবিবারই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর নীতি গ্রহণ করবেন। সামরিক বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করা হবে।

    রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে অবরোধের আওতায় আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

    সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো বর্বরতায় ক্ষিপ্ত হয়ে এবার মিয়ানমারের ওপর সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গ্লোবাল ম্যাগনিৎস্কি আইনের আওতায় এ অবরোধ আরোপের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
    উল্লেখ্য, গ্লোবাল ম্যাগনিৎস্কি আইনের অধীনে বিশ্বের যেকোনো স্থানে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ও দুর্নীতি কারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়লে সেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারে না, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পদ তারা ভোগ করলে তা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
    স্থানীয় সময় সোমবার ওয়াশিংটন থেকে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সম্প্রতি যা ঘটেছে, বিশেষ করে রোহিঙ্গাসহ অন্য সম্প্রদায় যে সহিংস ও ভীতিকর দুর্দশার শিকার হয়েছে, তাতে আমরা গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বেসরকারি গোষ্ঠী ও নজরদারি কমিটিসহ যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই নৃশংসতার জন্য দায়ী হলে তাদের নিশ্চিতভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।’
    আগামী মাসের শেষে আসিয়ানের এক সম্মেলনে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেসময় তিনি মিয়ানমারসহ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে সফর করবেন। তার এই সফরের আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তরফ থেকে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা জানানো হলো। কয়েক মাস ধরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়ন চললেও এবারই প্রথম মিয়ানমারকে কড়া ভাষায় ‍হুঁশিয়ারি দিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বারাক ওবামার আমলে মিয়ানমারের ওপর থেকে তুলে নেওয়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আবার বহালের মতো বড় কোনো পদক্ষেপের দিকে যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের ধীরগতির পদক্ষেপের সমালোচনা করছে আন্তর্জাতিক সমালোচকরা।
    গত আগস্ট মাসে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বর্বর অভিযান শুরু করলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এখনো রোহিঙ্গারা আসছে। জাতিসংঘের হিসাবমতে, এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি বিশ্বসম্প্রদায় আহ্বান জানালেও তাতে কান দেয়নি তারা। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ এই নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর দাবি, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়, তারা বাঙালি। কিন্তু ইতিহাস বলছে, প্রায় সাড়ে ৭০০ বছর ধরে রোহিঙ্গা মুসলিমরা রাখাইনে বসবাস করছে। রয়টার্স।

    নোবেল প্রাপ্তিতে পুরুষের চেয়ে নারীরা কেন এত পিছিয়ে

    বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক বলে বিবেচিত নোবেল পুরস্কার। ১৯০১ সাল থেকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্য সাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক তুলনারহিত কর্মকাণ্ডের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি এই ছয়টি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৮৯২ জনকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে নারী নোবেল বিজয়ীর সংখ্যা মাত্র ৪৮ জন। মজার বিষয় হলো, এ বছরও নোবেল বিয়জী ১১ জনের সবাই পুরুষ।
    নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ম্যারি কুরি। তেজস্ক্রিয়তার ওপর গবেষণার জন্য ১৯০৩ সালে স্বামী পিয়েরে কুরি এবং তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক অঁরি বেকেরেলের সঙ্গে যৌথভাবে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। এরপর ১৯১১ সালে রসায়নেও নোবেল জেতেন ম্যারি কুরি। পিচব্লেন্ড থেকে রেডিয়াম পৃথক করায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি রসায়নে নোবেল জেতেন। তিনিই একমাত্র নারী বিজ্ঞানী যিনি বিজ্ঞানের দুইটি ভিন্ন শাখায় পৃথকভাবে নোবেল জয়ের কৃতিত্ব লাভ করেছেন।
    মজার তথ্য হলো, ম্যারি কুরির মেয়ে ইরিনে জলিয়েট কুরিও নোবেল জিতে ছিলেন। ১৯৩৫ সালে রসায়নে অসামান্য অবদানের জন্য নোবেল জেতেন ইরিনে জলিয়েট কুরি। পদার্থ বিজ্ঞান কিংবা রসায়নে এককভাবে কোনো নারীর নোবেল জয়ের রেকর্ড থাকলেও ১৯৮৩ সালের আগ পর্যন্ত চিকিত্সা শাস্ত্রে কোনো নারীর নোবেল জয়ের কৃতিত্ব ছিল না। ১৯৮৩ সালে প্রথমবারের মতো এককভাবে চিকিত্সা শাস্ত্রে নোবেল জেতেন মার্কিন নারী বারবারা ম্যাকক্লিটক। এর এক দশক পর জার্মান বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ানে নুসেলিয়েন ভোলহার্ডও চিকিত্সা শাস্ত্রে নোবেল জেতেন।
    সব থেকে কম বয়সে নোবেল জয়ের নজির গড়েন পাকিস্তানের কিশোরী মালালা ইউসুফজাই। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকা অঞ্চলে শিক্ষা এবং নারী অধিকারের ওপর আন্দোলনের জন্য মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে যাওয়ার পর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন মালালা।
    তবে নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নোবেল জয়ী নারীদের সংখ্যা নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করছেন অনেকেই। প্রায় ৯০০ জন নোবেল বিজয়ীর মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র ৪৮ হওয়ার পেছনে কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে কিনা তা নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ। বিবিসির পক্ষ থেকেও হয়েছে নানান অনুসন্ধান। কারণ এমন অনেক নারী ছিলেন যাদের অসামান্য অবদান থাকার পরও নোবেল পুরস্কার পাননি।
    উদাহরণ হিসেবে অস্ট্রেলীয় নারী বিজ্ঞানী লিসে মেইটনারের কথা বলা যেতে পারে। তেজস্ক্রিয় বিক্রিয়ায় অবদান রাখার জন্য ১৯৩৭ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ২৯ বার নোবেল কমিটির বাছাইয়ে তার নাম থাকলেও তিনি কখনো নোবেল পুরস্কার লাভ করেননি। এছাড়া রসায়ন বিজ্ঞানের জন্যও তিনি বাছাই কমিটিতে জায়গা পেয়েছিলেন ১৯ বার। কিন্তু তারপরও তিনি নোবেল পাননি। নোবেল মিউজিয়ামের কিউরেটরদের মতে, নারীদের সংখ্যা কম হওয়ার পেছনে বিশেষ কোনো কারণ নেই।
    নোবেল বিজয়ীদের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নোবেল জয়ী বিজ্ঞানীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশই অভিবাসী আমেরিকান। এদের কেউ শিশু বয়সেই বাবা-মায়ের হাত ধরে গিয়েছিলেন আমেরিকায় আবার কেউ কেউ কর্মজীবন শুরুর পরই পাড়ি জমিয়েছিলেন আমেরিকায়।

    ‘সুপার মেজরিটি’ অর্জনের পথে শিনজো অ্যাবে

    জাপানের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে নেতৃত্বাধীন জোট। রবিবার নির্বাচন বুথ ফেরত জরিপে দেখা গেছে অ্যাবের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি নেতৃত্বাধীন ৩১১ আসন পেতে যাচ্ছে যা প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বা ‘সুপার মেজরিটি’।
    অন্য কিছু জরিপে দেখা গেছে দুই তৃতীয়াংশ থেকে সামান্য কম আসন পেয়েছে এলডিপি। এই সুপার মেজরিটি জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ‘শান্তি সংবিধান’ সংশোধনে ইচ্ছুক অ্যাবের জন্য প্রয়োজনীয়। ১৯৪৭ সালে জাপানের দখলদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করা সংবিধানে ৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যুদ্ধের অধিকার সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করে জাপান।
    জাপান এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখেই নীতিমালা গ্রহণ করেছে এরপর থেকে এবং বলে আসছে তাদের সেনাবাহিনী শুধু প্রতিরক্ষার জন্য বহাল রাখা হয়েছে। কিন্তু অ্যাবে সবসময় এটা পরিষ্কার বলে এসেছেন তিনি এর পরিবর্তন চান। এই জয় এলডিপিতে তার নেতৃত্ব আরো তিন বছর বাড়ার সুযোগ তৈরি হল, আগামী সেপ্টেম্বরে এই বিষয়ে দলের ভোট হবে। আর এতে ২০১২ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা অ্যাবে জাপানের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি পাবেন।