• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপানের ব্যবসায়িক মনোভাবের অবনতি

    বিশ্লেষকরা, ব্যাংক অফ জাপানের ত্রৈমাসিক তানকান জরীপে পরপর ২য় বারের মত বৃহদাকারের নির্মাতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক মনোভাব দুর্বল বলে প্রতীয়মান হয়েছে বলে অনুমান করছেন।

    প্রায় ১০ হাজার কোম্পানির নির্বাহীরা দেশের অর্থনীতি নিয়ে কিধরণের মনোভাব পোষণ করছে তা পরিমাপ করে তানকান তৈরি করা হয়।

    আগামী ১লা জুলাই জরীপের ফলাফল প্রকাশের আগে ১৪টি বেসরকারি খাতের সংস্থার বিশ্লেষকরা তাঁদের পূর্বাভাষ প্রকাশ করেন। এগুলোর মধ্যে ১৩টি ব্যবসায়িক মনোভাবের অবনতি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন।

    বিশ্লেষকরা, পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিকে ব্যাংক অফ জাপানের জরীপে ১২ পয়েন্ট রেকর্ড করা হলেও এবার বৃহদাকারের নির্মাতা কোম্পানিগুলোর এই সূচক ৭ থেকে ১২র মধ্যে হবে বলে অনুমান করছেন।

    তাঁরা, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য বিরোধের ফলে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

    তাঁরা অপর কারণ হিসেবে, চীনের বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ কোম্পানি হুয়াওয়ের সঙ্গে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বাণিজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর উদ্বেগ বলে উল্লেখ করেন।

    চালক অসুস্থ হয়ে পড়লেও, নতুন ব্যবস্থা বাস থামিয়ে দেবে

    জাপানি একটি মটরগাড়ি নির্মাতা আগামী মাসে বাজারে নতুন এক ধরনের বাস বিক্রি করা শুরু করবে যেগুলো চালক হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লেও, স্বয়ংক্রিয়ভাবে থেমে যেতে পারবে।

    হিনো মটরস এই জরুরি চালোনা বন্ধ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে, কেননা হঠাৎ করে অসুস্থতার জন্য অচেতন হয়ে পড়া বাসচালক সংশ্লিষ্ট বাস দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে।

    কোম্পানিটি জানাচ্ছে, এই ব্যবস্থা তাদের বড় পর্যটন বাসে জুলাই মাস থেকে সংযোজন করা হবে।

    এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা মহাসড়কে ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়। একটি অবলোহিত রশ্মী ব্যবহার করা ক্যামেরা চালকদের চোখ বন্ধ হয়ে গেছে কিনা বা তারা স্টিয়ারিং হুইলের উপর ঝুঁকে পড়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে দেখবে।

    তারপর ব্যবস্থাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাস থামিয়ে দেবে যখন ক্যামেরাটি নিশ্চিত হবে যে বাসটি এর রাস্তার লেনের বাইরে বেরিয়ে পড়েছে।

    বাসের গতি কমে গেলে এই ব্যবস্থা ব্রেকের লাইট জ্বালাবে এবং বাসের হর্ণ বাজাবে অন্যান্য চালকদের সতর্ক ক’রে দেয়ার জন্য।

    কোম্পানিটি এও জানাচ্ছে, এটি এ ধরনের প্রথম ব্যবস্থা যা বাণিজ্যিক গাড়িতে বসানো হবে।

    হিনো মটরসের হিরোকাযু ওকুইয়ামা বলছেন, অনেক যাত্রী থাকা একটি বাস বা একটি বড় ট্রাক সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।

    তিনি এও বলছেন, কোম্পানিটি এই সর্বাধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য কাজ করে যাবে।

    শিশু সন্তানের দেখাশোনায় জাপানি বাবাদের ছুটি নিতে অনীহা

    ইউনিসেফ বলছে শিশু সন্তানের দেখাশোনার জন্য জাপানে পিতাদের অনেক ছুটি দেওয়া হলেও খুব কম পিতাই তা ব্যবহার করেন। জাতিসংঘের এই অঙ্গ সংগঠনটি বলছে এর জন্য জাপানে কর্মী ঘাটতি এবং কর্মসংস্কৃতি দায়ী।

    জাতিসংঘ শিশু তহবিল ৪১টি শিল্পোন্নত দেশের “পরিবার-বান্ধব নীতি” নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার।

    প্রতিবেদনে বলা হয় এর মধ্যে কেবল অর্ধেক সংখ্যক দেশে মায়েদের ছোট শিশুদের দেখাশোনার জন্য অন্ততপক্ষে ৬ মাসের সবেতন ছুটি দেওয়া হয়। শিশুসন্তানের দেখাশোনার জন্য বাবা মাকে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে যে সব দেশে, সেখানে তুলনায় কম সংখ্যক বাবা এই সুবিধার সদ্‌ব্যবহার করেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানেই এখন বাবাদের জন্য সবচেয়ে লম্বা সবেতন ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু ২০১৭ সালে প্রতি ২০ জন বাবার মধ্যে কেবল ১ জন এর সদ্‌ব্যবহার করেছেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয় ছুটি না নেওয়ার কারণ হিসেবে জাপানি বাবারা এর জন্য কর্মস্থলে কর্মী সংখ্যায় ঘাটতি এবং “ছুটি নেওয়ার অনুকূল পরিবেশের অভাব”এর কথা উল্লেখ করেন।

    ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয় শিশুসন্তানের দেখাশোনার জন্য বাবারা ছুটি নিলে, পারিবারিক বন্ধন আরও জোরদার হয়। তাছাড়া এতে মায়ের ওপর চাপ কমে এবং লিঙ্গ সমতা’র উন্নতি হয়।

    বৃষ্টিতে ভাসল বাংলাদেশের আশা

    গত ক’দিন থেকেই বৃষ্টির দখলে ব্রিস্টল। বৃষ্টি মাথায় করেই কার্ডিফ থেকে এখানে এসেছিল বাংলাদেশ দল। একদিন অনুশীলনও করতে পারেনি বেরসিক এই বৃষ্টির খপ্পরে পড়ে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল ম্যাচের দিনেও বৃষ্টির। সেই ভবিষ্যদ্বানী সত্য করে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই গতকাল দিনটা শুরু হয়েছে ব্রিস্টলে। সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হবে কি না এ নিয়েই দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা। মাঝখানে কিছুটা সময় বৃষ্টি বন্ধ হলে আশার আলো ফুটেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু আবার বৃষ্টি শুরু যে হয়েছিল, সেটা আর থামেনি। দুই আম্পায়ার তাই নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। আশাভঙ্গ হয় মাশরাফিদের।

    স্থানীয় সময় সকাল ১২টা ১৫ মিনিটে দুই আম্পায়ার মাঠ পরিদর্শন করে টস কখন হবে সে সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মাঠ পর্যবেক্ষণেই যাওয়া হয়নি আম্পায়ারদের। বাংলাদেশ সময় ৬টা ৪৫ মিনিটের (স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) দিকে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মাঠে নামেন দুই আম্পায়ার। কিছুক্ষণ আলোচনার পর জানিয়ে দেন আর মাঠে নামা সম্ভব নয় কারও পক্ষে।

    প্রথমে জানানো হয়েছিল বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। কারণ কম পক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ খেলতে চাইলে এর পর আর শুরু করা যেত না। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে মাঠ অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আম্পায়ারদের। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগ হয়ে গেছে দুই দলের মধ্যে। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া দুই ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত পয়েন্টসহ শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে গেছে টেবিলের পাঁচে। তবে, বড় ক্ষতিটা করে গেল বাংলাদেশের।

    এই তারিখ, এই ভেন্যু, এই প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযানে আলাদা করেই লক্ষ্য ছিল এই ম্যাচ। হাতছানি ছিল সম্ভাব্য একটি জয়ের। বৃষ্টিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হলো ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডে। চার ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট দাঁড়াল এখন ৩। টানা দুই ম্যাচ থেকে একটি করে পয়েন্ট পেয়ে চার ম্যাচে লঙ্কানদের পয়েন্ট ৪।
    আবহাওয়ার পূবাভাসে বৃষ্টির শঙ্কা ছিলই। তবু একটু আশা ছিল ইংল্যান্ডের আবহাওয়া বলে, শেষ মূহুর্তে যা পরিবর্তন হয় অনেক সময়ই। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি এ দিন। ম্যাচের আগের দিন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন, এই ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট না পেলে অনেক কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এখন সামনে এগোতে হবে দলকে।
    বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী সোমবার, টন্টনে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ দল ব্রিস্টল থেকে টন্টনে যাবে আগামীকাল।

    ব্রিস্টলে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল। এর আগে শুক্রবার শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচেও হতে পারেনি টস। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে তিন ম্যাচ পরিত্যক্ত হলো বৃষ্টির বাধায়। গত সোমবার সাউথ্যাম্পটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে খেলা হয় মোটে ৭ ওভার ৩ বল।
    বিশ্বকাপের ইতিহাসে নতুন রেকর্ডই হলো এদিন। এর আগে কোন বিশ্বকাপে দুটির বেশি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়নি। ১৯৯২ ও ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে দুটি করে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল।

    জাপানের জায়েন্ট পান্ডা

    জাপানে বর্তমানে টোকিওর উয়েনো চিড়িয়াখানাসহ তিনটি স্থাপনায় ১০ টি জায়েন্ট পান্ডা রয়েছে। কালো এবং সাদা রঙের এই ভাল্লুকগুলো জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাণীদের অন্যতম। ১৯৭২ সালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঠিক পরে জাপান চীনের কাছ থেকে দুটি জায়েন্ট পান্ডা পেয়েছিল এবং এরপর থেকেই সারা দেশ জুড়ে এই প্রাণীকে নিয়ে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।

    বিপদজনক প্রজাতি এবং ফুল ও লতাগুল্মের ব্যবসা সংক্রান্ত আর্ন্তজাতিক চুক্তির আওতায় জায়েন্ট পান্ডার বাণিজ্যিকীকরণ নিষিদ্ধ। বর্তমানে চীন প্রজনন গবেষণা কর্মসূচির অংশ বলে ব্যাখ্যা দিয়ে তার পান্ডাদের ভাড়া দেয়। যে সব স্থাপনা ঐ প্রাণীগুলোকে ভাড়া নেবে তাদেরকে বার্ষিক ফি পরিশোধ করতে হবে। উয়েনো চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার এবং তারা প্রায় প্রতি বছর দুটি পান্ডার জন্য ১০ কোটি ইয়েন বা প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ডলার পরিশোধ করে থাকে। এই দুই পান্ডা হল শান শান এর বাবা মা।

    দৃশ্যতঃ কোন্‌ দেশকে পান্ডা ভাড়া দেয়া হবে তা চীন তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণকারী একটি গ্রুপের মতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান, পান্ডা ভাড়া দেয়া দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

    জায়েন্ট পান্ডার প্রজনন প্রক্রিয়া খুব কঠিন। তবে পশ্চিম জাপানের ওয়াকাইয়ামা জেলার এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ পার্ক সফল ভাবে এই কাজ করতে পেরেছে এবং ১৬টি জায়েন্ট পান্ডাকে লালনপালন করছে তারা।এই সংখ্যা হল চীনের বাইরে সর্বোচ্চ। এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তারা বলছেন চীনের সাথে যৌথ গবেষণা এবং চীনা গবেষকদের সাথে ঘনিষ্ট সহযোগিতার কারণে ভালো ফল পাওয়া গেছে। স্থাপনাতে সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে তা পান্ডাদের জন্য উপযুক্ত আবাসভূমি বলে তাঁরা আরও উল্লেখ করেন।

    মুমিনের নৈতিক গুণাবলি-২

    উবায়দুর রহমান খান নদভী

    মুমিনের নৈতিক গুণাবলি আলোচনা করতে গিয়ে গত নিবন্ধে আমরা বলেছিলাম প্রকৃত মুমিন তারাই, যারা কোনো ভুল কাজ করে ফেললে তার পুনরাবৃত্তি করে না এবং নিজেদের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। কোনো অশ্লীল কাজ ও সীমালঙ্ঘন করে ফেললে আল্লাহর জিকির করে। এই জিকিরের বদৌলতে তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা বলে স্বীকৃতি লাভ করে ধন্য হয়। উত্তম নৈতিক গুণাবলির অধিকারী মুমিনদের জন্য অফুরন্ত পারিশ্রমিক রয়েছে।
    পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “এদের দু’বার পারিশ্রমিক প্রদান করা হবে। কারণ, এরা ধৈর্যশীল এবং এরা ভালোর দ্বারা মন্দের মোকাবেলা করে এবং তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি, তা হতে ব্যয় করে। তারা যখন অসার ও বেহুদা বাক্য শ্রবণ করে তখন তারা তা উপেক্ষা করে চলে এবং বলে, আমাদের কাজের ফল আমাদের জন্য, তোমাদের কাজের ফল তোমাদের জন্য। তোমাদের প্রতি সালাম ও নিরাপত্তা, আমরা অজ্ঞদের সঙ্গ চাই না।’ (আল কোরআন)।

    এখানে মুমিনদের যে বিশেষ গুণের কথা তুলে ধরা হয়েছে তা এই যে, তারা অসার বাক্য শ্রবণ করতে আগ্রহী নয় এবং মন্দের প্রতিফল মন্দের দ্বারা দেয় না; বরং ভালো দ্বারা দেয়। এদের অন্য গুণাবলি সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তারা কর্তব্য পালন করে।’ এবং অন্য গুণাবলি সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, তারা কর্তব্য পালন করে এবং সেদিনের ভয় করে, যেদিনের পরিব্যাপ্তিও হবে ব্যাপক।

    আহার্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্তে¡ও তারা অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দীকে আহার দান করে এবং বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদের আহার্য দান করি। আমরা তোমাদের নিকট থেকে প্রতিদান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়। এই আয়াতসমূহে এবং অনুরূপ অন্যান্য আয়াতসমূহের যে বিশ্লেষণ রাসূল সা. বর্ণনা করেছেন, তা হাদিসের বিভিন্ন গ্রন্থে সংরক্ষিত আছে। এই হাদিসগুলোকে নৈতিক চরিত্রের বিভিন্ন গুণের সাথে পরিবেশন করা হলে বোঝা যাবে, রাসূল সা.-এর শিক্ষাক্রমে নৈতিক শিক্ষা বলতে কী বোঝায় এবং নৈতিকতার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য কতটুকু?

    ইসলামে নৈতিক চরিত্রের গুরুত্ব কতখানি তা রাসূল সা.-এর এই দোয়া থেকেই আঁচ করা যায়। যা তিনি নামাজ শেষে পাঠ করতেন, ‘হে আল্লাহ আপনি আমাকে উত্তম থেকে উত্তম নৈতিকতার পথ প্রদর্শন করুন। আপনি ছাড়া আমাকে উত্তম চরিত্রের পথ দেখানোর কেউ নেই এবং মন্দ চরিত্রকে আমা থেকে দূরীভ‚ত করুন। আপনি ছাড়া মন্দ চরিত্র দূরীভ‚ত করার কেউ নেই।’
    হাদিসে বর্ণিত এই শব্দাবলির প্রতি লক্ষ করলে বোঝা যায়, আল্লাহর রাসূল সা. স্বীয় নৈকট্য ও প্রার্থনা কবুলের উত্তমলগ্নে আল্লাহপাকের দরবারে যে বস্তুটি কামনা করেছেন, তা হলো হুসনে আখলাক বা উত্তম চরিত্র। ইসলামে ঈমানের চেয়ে বড় জিনিস আর আছে কি? কিন্তু ঈমানের পরিপূর্ণতা উত্তম চরিত্রের দ্বারাই সম্ভব।

    রাসূল সা. বলেছেন, মুমিনদের মাঝে পরিপূর্ণ ঈমান ওই ব্যক্তিরই আছে, যার চরিত্র সর্বোত্তম। এ হাদিসটি তিরমিজী, ইবনে হাম্বল, আবু দাউদ ও হাকেমে বর্ণিত আছে। এতে বোঝা যায়, ইসলামে ঈমানের পরিপূর্ণতা যে মানদন্ডের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তা হলো উত্তম চরিত্র। এটি এমন একটি ফল যদ্বারা ঈমানরূপ বৃক্ষের পরিচয় পাওয়া যায়।
    বস্তুত ইসলামে নামাজ এবং রোজার যে গুরুত্ব রয়েছে তা অত্যন্ত সুস্পষ্ট। কিন্তু উত্তম চরিত্র কখনো কখনো এর স্থলাভিষিক্ত বলে ধরা হয়। রাসূলে আকরাম সা. বলেছেন, ‘মানুষ উত্তম চরিত্রের দ্বারা এই মরতবা লাভ করতে পারে, যা দিনভর রোজা রাখলে, রাতভর ইবাদত করলে অর্জন করা যায়। এ হাদিসটি কয়েকটি সমার্থবোধ পরিবর্তনসহ আবু দাউদ, ইবনে হাম্বলসহ বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত আছে।

    এতে বোঝা যায়, নফল নামাজে রাতভর জাগ্রত থাকা এবং নফল রোজায় দিনভর ক্ষুৎপিপাসায় কাতর থাকার ফলে যে দরজা হাসিল করা যায়, ঠিক সেই মরতবা উত্তম চরিত্রের দ্বারাও অর্জন করা যায়। উত্তম চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ইবাদত ও আনুগত্যের আধিক্য আরো বাড়িয়ে তোলে।
    ইসলামের দৃষ্টিতে সব মানুষই সমান, কিন্তু ইসলামে উত্তম চরিত্র এমন একটি মানদন্ড, যার দ্বারা পরস্পর মানুষের দরজা ও মরতবা পৃথক হয়ে যায়।

    ফ্রান্সে নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিতে জাপান নারী ফুটবল দলের কোচের আহ্বান

    জাপান নারী ফুটবল দলের কোচ জানিয়েছেন তিনি চান তার দলের খেলোয়াড়রা ফ্রান্সে বিশ্বকাপে তাদের সামর্থের সবটুকু উজাড় করে দিবে।

    কোচ আসাকো তাকাকুরা এবং অধিনায়ক সাকি কুমাগাই দলের প্রথম খেলায় আর্জেন্টিনাকে মোকাবেলা করার একদিন আগে প্যারিসে রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

    তাকাকুরা বলেন, তার খেলোয়াড়রা ভালো অবস্থায় টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। তিনি বলেন, প্রথম খেলাটি হবে কঠিন তবে তারা যাতে তাদের দক্ষতার পূর্ণ ব্যবহার করতে পারে সেজন্য তিনি তাদের গাইড করবেন।

    তাকাকুরা জাপানি খেলোয়াড়দের গড় বয়স প্রায় ২৪ বছর উল্লেখ করেন, যা এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

    তিনি বলেন, তিনি চান এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তরুণ খেলোয়াড়রা গড়ে উঠুক। তিনি আরও বলেন, জাপান একবার বিশ্বকাপ জিতেছে এবং তার দল আবারও সেটা জেতার জন্য বদ্ধপরিকর।

    অধিনায়ক কুমাগাই বলেন, তার দল জয়ের মাধ্যমে তিন পয়েন্ট অর্জনের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।

    কাঠখড় পুড়িয়েই তিনের সেরা সাকিব

    বাংলাদেশের সবসময়ের সেরা ক্রিকেটার, অনেক দিন থেকেই বিশ্বসেরাদের একজন। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টানা তৃতীয়বারের বিশ্বকাপে খেলছেন সেরা অলরাউন্ডারের মুকুট নিয়ে। এমনিতে প্রমাণের কিছু ছিল না তার। তবে একটি জায়গায় ঠিকই কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে সময়ের সেরা এই ক্রিকেটারকে। বোঝাতে হয়েছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে। প্রমাণ করতে হয়েছে নিজেকে। শুরুর সাফল্য সহজ করে দিয়েছে পথচলা। তিন নম্বরে উঠে আসার পর থেকে যে সাফল্য যাত্রা শুরু হয়েছে, সেই পথ ধরে অনেক দূর এগোতে চান বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক। তবে এখনই তৃপ্ত হচ্ছেন না সাকিব আল হাসান।

    তিন নম্বরে নেমেই গতপরশু কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব। বিশ্বকাপে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। তিনে খেলেই এবারের বিশ্বকাপে আগের দুই ম্যাচে সাকিব করেছেন ৭৫ ও ৬৪। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তিনিই। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ শেষে ২৬০ রান সাকিবের, ২১৫ রান নিয়ে দুইয়ে জেসন রয়।

    ক্যারিয়ার জুড়ে বেশিরভাগ ম্যাচেই পাঁচ-ছয়ে ব্যাট করেছেন সাকিব আল হাসান। কখনোবা চারে। গত কয়েকটি সিরিজ থেকে নিজের ইচ্ছাতেই তিন নম্বরে নামছেন তিনি। তিনে নেমে পাচ্ছেন চোখ ধাঁধানো সাফল্য। তিনে সাকিবের নিয়মিত খেলার শুরু গত বছর। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৭ সালে বিচ্ছিন্নভাবে দুটি ম্যাচে তিনে খেলে ভালো করতে পারেননি। গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে ব্যাট করতে শুরু করেন তিনে। সেই টুর্নামেন্টে মোটামুটি সফল হন। পরে ভালো করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও। কিন্তু গত এশিয়া কাপের সময় চোট নিয়ে ছিটকে যাওয়ার পর আবার জায়গা হারান তিনে। দল পরখ করে দেখে অন্যদের। সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে আবার তিনে ফেরেন সাকিব। যথারীতি সফল এবারও। তিন ইনিংসের দুটিতেই করেন অপরাজিত ফিফটি। এরপর বিশ্বকাপের এই সাফল্য। সব মিলিয়ে তিনে যতটুকু খেলেছেন, তার রেকর্ড ঈর্ষণীয়। ৮৩১ রান করেছেন ৫১.৯৩ গড়ে, এই পজিশনে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা গড়। ১৮ ইনিংসে ৮টি হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি এই সেঞ্চুরি, ১২১ রানের ইনিংসটি তিন নম্বরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের।

    কিন্তু বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে বড় ইনিংস ছিল না একটা লম্বা সময় ধরে। খরা ঘুচেছিল কার্ডিফে, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরি করে। সেই কার্ডিফেই এবার সাকিব আল হাসান পেলেন প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরির স্বাদ। ইংল্যান্ডের রেকর্ড রান তাড়ায় বাংলাদেশ খুব বড় চ্যালেঞ্জ জানাতে না পারলেও সাকিব করেছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। খেলেছেন ১১৯ বলে ১২১ রানের ইনিংস। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরের রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেই ম্যাচে অসাধারণ সেঞ্চুরিতে দলের অবিস্মরণীয় জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সাকিব। তবে সেবার সঙ্গী পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহকে, যার ব্যাট থেকেও এসেছিল সেঞ্চুরি। এবার সেই রিয়াদকে সাক্ষী রেখেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে তুলে নিলেন শতক।

    এবারের আগে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন সাকিব। ২১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ছিল ৬৩, তার মাপের একজন ক্রিকেটারের পাশে যা বড্ড বেমানান। এবার প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই স্কোর ছাড়িয়ে খেললেন ৭৫ রানের ইনিংস। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে এলো ৬৪ রান। এবার সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরিটির পর সাকিব ফিরে তাকালেন তিন নম্বরে নামার সিদ্ধান্তের শুরুর দিনগুলোয়। জানালেন, নিজে সিদ্ধান্তটি নেওয়ার পর বোঝাতে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের অনেককে, ‘হ্যাঁ, আমারই ছিল (তিনের সিদ্ধান্ত)। সবাইকে বোঝাতে হয়েছে, সবাইকে। কারণ একটি ম্যাচে রান না করলেও তারা বলত যে পাঁচ নম্বরেই আমার খেলা ভালো। তিন নম্বরে খেলতে তাই অনেককে রাজি করাতে হয়েছে আমাকে।’

    ব্যাট কথা বলতে শুরু হওয়ার পর অবশ্য কথায় আর কাউকে বোঝাতে হচ্ছে না। বরং তিনি উপভোগ করছেন এই নতুন চ্যালেঞ্জে, সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের সাফল্য। এখনই সন্তুষ্ট না হয়ে দলে অবদান রাখতে চান আরও বেশি, ‘এটা একটু আলাদা, ভিন্ন কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তবে আমি এই মূহুর্তে উপভোগ করছি। আমার কাছে মনে হয়েছিল, আমার জন্য আরও বেশি অবদান রাখার সুযোগ এটি। ব্যাটে আরও বেশি অবদান রাখার সুযোগ। তবে বলতেই হবে, এটা কেবলই শুরু। এই টুর্নামেন্টে এবং এরপরও আরও অনেক ম্যাচ আছে। আরও অবদান রেখে যেতে হবে। ব্যাটে-বলে আমি যতটা সম্ভব, আরও বেশি অবদান রাখতে চাই।’

    তিন নম্বরে উঠে আসার পর থেকেই অসাধারণ ধারাবাহিকতা সাকিবের ব্যাটে। এই ম্যাচের আগে ১৭ ইনিংসে ফিফটি পেরিয়েছিলেন ৮ বার। তবে সেঞ্চুরি ছিল না একটিও। তিন নম্বর ব্যাটসম্যানের কাছে দলের দাবি থাকে বড় ইনিংস। সেই দাবিও মেটালেন এবার। তিন নম্বরে বাংলাদেশের মাত্র পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি এটি। দুটি করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল, একটি জুনায়েদ সিদ্দিক। আর সাকিবের ইনিংসের আগে তিনে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড ছিল সৌম্য সরকারের, গত অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ১১৭। শতক করে ৬ হাজার ওয়ানডে রানের পথেও এগোচ্ছিলেন সাকিব। তবে বেন স্টোকসের ইয়র্কারে তাকে থামতে হয়েছে একটু দূরে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ হাজার ছুঁতে তার প্রয়োজন আর ২৩ রান।

    অলিম্পিকের প্রাক্কালে জাপানে ট্রেনের নিরাপত্তা জোরদার

    জাপান সরকার এবং রেলওয়ে কোম্পানিগুলো, ২০২০ টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক ক্রীড়ানুষ্ঠানের প্রাক্কালে দেশের ট্রেনগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

    ঠিক এক বছর আগে একটি শিনকানসেন বা বুলেট ট্রেনে, এক ব্যক্তির চালানো প্রাণঘাতী ছোরা হামলার পর এই পদক্ষেপ তরান্বিত হয়। চলন্ত ট্রেনের ভেতরে চালানো উক্ত হামলায়, এক ব্যক্তি নিহত এবং এবং দুজন নারী আহত হন।

    রেলওয়ে কোম্পানিগুলো, টহলের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রেনে সুরক্ষামূলক বর্ম, ছুরিকাঘাত প্রতিরোধে সক্ষম ভেস্ট এবং গোল মরিচের স্প্রে রাখছে।

    চলতি বছর এপ্রিল মাসে, সঠিকভাবে মোড়ানো নেই এমন ধরণের ছোরা, রান্নার কাজে ব্যবহৃত ছুরি, কাঁচিসহ অন্যান্য যেকোনো ধারালো সামগ্রী ট্রেনে বহন নিষিদ্ধ করা হয়। এই নির্দেশাবলী অমান্য কারী যাত্রীদের ট্রেন থেকে নেমে যেতে বাধ্য করা হতে পারে।

    পরিবহন মন্ত্রণালয়, এখন রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের সাথে থাকা মালামাল পরীক্ষা করার উপায় বিবেচনা করে দেখছে। মন্ত্রণালয়, তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির দেহ ও মালামাল শনাক্ত করে ছবি প্রদর্শনে সক্ষম এমন ধরনের একটি বডি স্ক্যানার পরীক্ষা করে দেখছে। যন্ত্রটি, যাত্রীদের চলাচলে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে পোশাকের নীচে লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরক এবং অন্যান্য বিপদজনক সামগ্রী শনাক্ত করতে সক্ষম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে।

    জাপানের ইয়োকোহামার পাতালরেল লাইনচ্যুত

    জাপানের ইয়োকোহামার একটি রেল পরিচালনা কোম্পানি বলছে যে তাদের একটি পাতাল রেল টোকিওর অদূরের শহরটির মধ্যে দিয়ে চলার সময় লাইনচ্যুত হয়েছে। পুলিশ বলছে, কোন হতাহতের খবর তারা পায়নি।

    ইয়োকোহামা মিউনিসিপ্যাল পাতাল রেলের নীল লাইন কর্তৃপক্ষ বলছে, আজ ভোর ৫টা ২০ মিনিটের অব্যবহিত পর রেলগাড়িটির ছয়টি বগির মধ্যে চারটিই লাইনের বাইরে চলে যায়।

    পুলিশ বলছে, গাড়ীতে সেসময় ১শ ২০ থেকে ১শ ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। পরে তাদের সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।

    ঐ পরিচালক কোম্পানি শুরুতে তাদের সবগুলো রুটে রেল চলাচল বন্ধ করে দিলেও প্রায় ঘন্টাখানেক পর আংশিকভাবে সেগুলো পুনরায় চালু করা হয়।

    ইয়োকোহামার নগর কর্মকর্তারা বলছেন, রেল পরিচালনা কোম্পানি আগের রাতে একটি রক্ষণাবেক্ষণ গাড়ি চালানোর জন্য রেললাইনের উপর অতিরিক্ত লাইন পেতেছিল।
    তবে সেগুলো তুলে নেয়া হয়নি বলে কর্মকর্তাদের মতে, দিনের প্রথম ট্রেনটি হয়ত তাতে আঘাত হেনে থাকতে পারে।

    রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনোলজি  (RUET) ছাত্রদের কৃতিত্ব

    বাংলাদেশের রাজশাহী শহরে অবস্থিত রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনোলজি (RUET) এর কিছু ছাত্র দ্বারা পরিচালিত একটি টিম । টিমটির নাম Team Crack Platoon। এই নামে বাংলাদেশের প্রথম ইলেকট্রিক ফরমুলা কার তৈরি করে ওরা জাপানে ফরমুলা ষ্টুডেন্ট -২০১৯ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। বিশ্বের অনেকগুলো দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। ২০১৭ সালে টিম ক্র্যাক প্লাটুন বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ও একমাত্র দল হিসেবে ফর্মুলা স্টুডেন্ট জাপান এ অংশগ্রহণ করে। এবারও টিম ক্র্যাক প্লাটুন নতুন এক ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছে। ২০১৯ এর ফর্মুলা স্টুডেন্ট জাপান এ তারা দেশের সর্বপ্রথম ফর্মুলা ইলেক্ট্রিক কার তৈরী করতে যাচ্ছে। যা কিনা দেশের অটোমোবাইল সেক্টরকে আরো এক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

    তবে এর জন্য বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে। প্রাথমিক ভাবে চেসিস তৈরীর টাকা টীমের সদস্যরা বহন করলেও বর্তমানে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে স্পন্সরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে তারা। আপাতত কম্পিটিশন এর রেজিস্ট্রেশন আর গাড়ি তৈরীর কাজ শুরু করার জন্য তাদের ৪-৫ লাখ টাকার প্রয়োজন।

    যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদেরকে স্পন্সর করতে চান তাহলে তাদের ওয়েবসাইট www.teamcrackplatoon.com বিস্তারিত বর্ননা দেয়া আছে। এছাড়াও তাদের একটি ফেজবুক পেজ আছে https://www.facebook.com/crackplatoon.ruet/  যাতে এ সব তথ্য দেয়া হবে।
    যে যতটুকুই স্পন্সর করুন না কেন তার টাকার প্রতিটি তথ্য দিতে Team Crack Platoon বদ্ধপরিকর। গুগল ডকের মাধ্যমে তাদের সাথে সকল তথ্য শেয়ার করা হবে।

    টিম ক্র্যাক প্লাটুন একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক সংগঠন। কিন্তু এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয় । আসুন আমরা সকলে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসি এবং ইতিহাসের অংশ হই।

     

    জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে টহলদার রোবটের ব্যবহার শুরু হতে যাচ্ছে

    টোকিও’র অদূরের নারিতা বিমানবন্দর পরিচালনাকারী কোম্পানি টার্মিনাল ভবনে এমন একটি রোবটের উন্মোচন করেছে যা নিরাপত্তা টহলের জন্য ব্যবহার করা হবে।

    ২০২০ সালের অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিকের কারণে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার প্রত্যাশা থেকে নিরাপত্তা জোরদারের কাজে এই রোবটগুলো ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমানবন্দরের পরিচালনা কোম্পানি।

    আগামী মাসের ৩ তারিখ থেকে এই রোবটগুলোর কার্যক্রম শুরু হবে। যন্ত্রগুলো কিভাবে পরিচালনা করা হবে, তা গতকাল গণমাধ্যমের কাছে প্রদর্শন করা হয়েছে।

    ১.২০ মিটার উঁচু চাকাযুক্ত রোবটগুলোর সাথে ৩শ ৬০ ডিগ্রীর নজরদারি ক্যামেরার পাশাপাশি বাধা সনাক্তকারী সেন্সর ও একটি মেটাল ডিটেক্টর’সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সংযুক্ত রয়েছে।

    রোবটটি বাধা এড়িয়ে টার্মিনালগুলোর ভিতরে পূর্বে থেকে প্রোগ্রামকৃত একটি টহল পথ অনুসরণ করতে পারে।

    নারিতা বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, জাপানের কোন বিমানবন্দরে এবারই প্রথম এ ধরণের কোন নিরাপত্তা রোবট ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা কর্মীর ঘাটতি মেটাতে জাপানের কয়েকটি রেল স্টেশন’সহ কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যেই রোবটের ব্যবহার হয়ে আসছে।

    বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য করবে জাপান

    জাপান ও বাংলাদেশের নেতারা বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের ১২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ইয়েন ঋণ প্রদানের একটি চুক্তি নিয়ে সম্মত হয়েছেন।

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে এবং তাঁর বাংলাদেশি প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনা গতকাল টোকিওতে বৈঠকে মিলিত হন।

    সেই তহবিল অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি বন্দর নির্মাণ এবং রাজধানী ঢাকার একটি রেল প্রকল্পে খরচ করতে তাঁরা সম্মত হয়েছেন।

    অবকাঠামো উন্নয়নে নেয়া উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে অঞ্চল জুড়ে চীনের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেতে থাকার সময়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।

    দুই পক্ষ একই সাথে বাংলাদেশ থেকে জাপানে আসা শ্রমিকদের কর্ম পরিস্থিতি উন্নত করে নেয়ার প্রয়োজনীয়তাও নিশ্চিত করে নিয়েছে। শ্রমিক ঘাটতি সামাল দিতে জাপান বিদেশী কর্মীদের স্বাগত জানাচ্ছে।

    মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতির উল্লেখও আবে করেছেন। এদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে টোকিওর সহায়তার প্রতিশ্রুতি আবে দেন।

    আবে পরে সাংবাদিকদের বলেছেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করে নিতে এবং বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসতে তাঁর সরকার কাজ করবে।

    জাপানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চা

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে জাপান পিছিয়ে পড়েছে। গবেষণা পত্রে সূত্র উল্লেখের বিশ্ব ক্রমতালিকায় চতুর্থ স্থান থেকে জাপানের নবম স্থানে অবনতি ঘটা সংশ্লিষ্ট উপাত্ত এই দাবিকে সমর্থন করছে।

    কঠোর আর্থিক পরিস্থিতির অধীনে জাপান সরকার প্রায় এক দশক আগে শুধুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা-পূর্ণ বলে বিবেচিত হওয়া ব্যবহারিক গবেষণা প্রকল্পগুলোকেই নির্দিষ্টভাবে তহবিল বরাদ্দ দেয়া শুরু করে।

    একই সময়ে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম পরিচালনার বাজেট কর্তন করে। এর ফলে মৌলিক গবেষণার জন্য তহবিলের সংকট ঘটে। কেউ কেউ এ বিষয়ে দিকনির্দেশ করেছেন যে তরুণ গবেষকদের অস্থিতিশীল অবস্থা তাদের জাপানের বাইরে চাকরি খুঁজে নিতে উদ্বুদ্ধ করছে।

    প্রতিবেশী চীন যখন বিজ্ঞান ও গবেষণা খাতে বিশাল অংকের তহবিলের যোগান দিচ্ছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া একটি সুদৃঢ় বাজেট প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করছে, তখন এ খাতে জাপানের বাজেটের মোট পরিমাণ খুব একটা প্রবৃদ্ধির আভাষ দিচ্ছে না।

    নাগোইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং’য়ের ডিন অধ্যাপক নোরিমি মিযুতানি বলেছেন, কার্যক্রম পরিচালনার খরচ কর্তনের ফলে গবেষকরা সরকারি ভর্তুকির পাশাপাশি বাইরের উৎসের অনুদান খোঁজা শুরু করতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, তবে এ ধরণের অনুদান জোগাড় করা অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা-পূর্ণ হওয়ার কারণে গবেষকরা যথেষ্ট সময় এবং শক্তির অপচয়ের পরও এই অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়শ ব্যর্থতার মুখোমুখি হন।

    অধ্যাপক মিযুতানি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, মধ্য থেকে দীর্ঘ মেয়াদী কৌশলের উপর ভিত্তি করে গবেষণার প্রসারে সরকারি সহায়তার অধীনে শিক্ষা এবং শিল্পখাতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকা উচিত।

    ঈদের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি

    কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শত নাগরিক জাতীয় কমিটি। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই তার মুক্তি দাবি করেছে সংগঠনটি।

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন। অসুস্থ অবস্থায়ই এক বছরের বেশি সময় ধরে ‘রাজনৈতিক উদ্দশ্যেপ্রণোদিত’ মামলায় কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

    তারা বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, খালেদা জিয়া ন্যূনতম মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। তার প্রতি প্রদর্শিত এ হৃদয়হীন আচরণ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার যদি মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা হয়ে থাকে, তা হলে বলতেই হয়, সেই মহান লক্ষ্য থেকে তাকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত করা হচ্ছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা প্রত্যাশা করি- কল্যাণ, মঙ্গল ও শ্রেয়বোধ আমাদের অন্তর আত্মাকে জাগিয়ে দেবে। সত্য ও সুন্দরের পথে সরকার এগিয়ে আসবে। তারা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেবে।

    বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- শত নাগরিকের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, মো. আসাফউদ্দৌলা, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. মাহবুবউল্লাহ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার, ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, ড. সদরুল আমিন, প্রফেসর আবদুর রহমান সিদ্দিকী, ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, ড. মোসলেহউদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন, এরশাদ মজুমদার, এম আব্দুল্লাহ, এমএ আজিজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, কাদের গণি চৌধুরী, ড. রাশিদুল হাসান, ইঞ্জি. আ ন হ আখতার হোসেন, প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া, কামাল উদ্দিন সবুজ, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. জেডএম তাহমিদা বেগম, ড. আখতার হোসেন খান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।