• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপান জুড়ে তীব্র দাবদাহ অব্যাহত

    জাপানের কান্তো অঞ্চলের কিছু অংশে তাপমাত্রা প্রায় ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওঠার মধ্যে দিয়ে আজ জাপানের বেশিরভাগ অংশেই পারদ বেশ উঁচু অবস্থানে ছিল।
    এই অঞ্চলের অনেক স্থানেই আবহাওয়া চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ ছিল।

    গুনমা জেলার মায়েবাশি এবং ইসেসাকি শহরে তাপমাত্রা ৩৮.৯ ডিগ্রী এবং তোচিগি জেলার সানো শহরে ৩৮.৭ ডিগ্রী পর্যন্ত ওঠে।
    আগামীকাল আরও গরম আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দেয়া হয়েছে।

    জাপানের আবহাওয়া এজেন্সি বলছে, গতকাল পর্যন্ত গত দু’সপ্তাহে দিনের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দেশজুড়ে যে কোন বছরের গড় তাপমাত্রা হতে ১.৫ থেকে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি।

    গত সপ্তাহে জাপান জুড়ে ১৮ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত 

    জাপানের অগ্নি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সির কর্মকর্তারা বলছেন, গত রবিবার শেষ হওয়া সপ্তাহটিতে অতি উচ্চ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকার কারণে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় দেশজুড়ে ১৮ হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

    এজেন্সি জানাচ্ছে যে গতমাসের ২৯ তারিখ থেকে চলতি মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩শ ৪৭ ব্যক্তি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এটি এর পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তির বয়স ৬৫ বা তার চাইতে বেশি।

    এজেন্সি কর্মকর্তারা বলছেন, আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং ৭শ ২৯ জন মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় দীর্ঘসময় ধরে তাদের হাসপাতালে অবস্থানের প্রয়োজন হয়।

    কর্মকর্তারা আরও বলছেন যে টোকিও’তে ১ হাজার ৮শ ৫৭ জন, মধ্য জাপানের আইচি জেলায় ১ হাজার ৩শ ৪২ জন এবং পশ্চিম জাপানের ওসাকা জেলায় মোট ১ হাজার ২শ ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে জাপানের অনেক অংশে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।

    আণবিক বোমা হামলার ৭৪ বছর পূর্তিতে হিরোশিমায় স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন

    জাপানের শহর হিরোশিমায় বিশ্বের প্রথমবারের মত আণবিক বোমা হামলার ৭৪তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

    আজ হিরোশিমা শান্তি স্মৃতি উদ্যানে সকাল ৮টায় এক স্মারক অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে ও ৯২টি দেশের প্রতিনিধি’সহ প্রায় ৫০ হাজার লোক এতে অংশ নেন।

    সেখানকার একটি স্মৃতিস্তম্ভে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৬ জন নিহত ব্যক্তির নামের একটি তালিকা স্থাপন করা হয়েছে। ঐ তালিকায় গত ১২ মাসে নিহতদের নামও অন্তর্ভুক্ত আছে।

    স্মারক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আজ সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে অর্থাৎ ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট আণবিক বোমা ফেলার মুহূর্তটিতে এক মৌন প্রার্থনায় মিলিত হন।

    উল্লেখ্য, একটি পরমাণু অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব অর্জনের সম্ভাবনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যেই এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হল।

    তিন দশক আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি মাইলফলক পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি গত শুক্রবার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। মাঝারি পাল্লার পরমাণু অস্ত্র চুক্তি বা আইএনএফ ছিল পরমাণু মুক্তকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

    হিরোশিমার মেয়র কাযুমি মাতসুই ঐ অনুষ্ঠানে একটি শান্তি ঘোষণা পাঠ করেন। এতে তিনি হিবাকুশা নামে পরিচিত আণবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনের কথায় কর্ণপাতের জন্য জাপান সরকারের কাছে আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, তারা দেখতে চাইছেন জাপান যেন পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করা একটি জাতিসংঘ চুক্তিতে অংশগ্রহণ করে।

    নারী ব্রিটিশ ওপেন জিতে নিলেন ২০ বছর বয়সী জাপানি খেলোয়াড় শিবুনো

    জাপানের লড়াকু গলফার হিনাকো শিবুনো নির্দিষ্ট সীমার চাইতে ১৮ টি শট কম খেলে নারী বিভাগে ব্রিটিশ ওপেন জিতে নিয়েছেন। ২০ বছর বয়সী শিবুনো গলফে এমন সম্মানজনক পদক জিতে নেয়া দ্বিতীয় জাপানি এবং ৪২ বছরের মধ্যে প্রথম।

    এটি ছিল তার প্রথম বিদেশী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ। তিনি এই মৌসুমে দেশে দুটি ট্যুর প্রতিযোগিতাও জিতে নিয়েছেন।

    চূড়ান্ত রাউন্ডে যাওয়ার সময় তিনি রোববার পারের চেয়ে ১৪ শট কম খেলেছেন এবং রানার আপের চেয়ে দুই শট এগিয়ে থেকে শীর্ষে ছিলেন।

    সামনের নয়টি হোলের ক্ষেত্রে তিনি তৃতীয় স্থানে চলে গেলেও দশম, বারতম, তেরতম এবং পনেরতম হোলের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা লিজেটে সালাসের সাথে একই অবস্থানে থাকেন। সালাসকে হারাতে শিবুনো পুনরায় এক শটে আঠারতম হোলে বল ফেলেন।

    এ ধরণের কৃতিত্ব দেখানো একমাত্র জাপানি গলফার ছিলেন হিসাকো হিগুচি, যিনি ১৯৭৭ সালে ইউএস এলপিজিএ চ্যাম্পিয়নশীপ জিতেন।

    জেতার পর শিবুনো বলেন তার অনুভূতি তিনি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেননা। তিনি বলেন তার এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।

    শিবুনো বলেন তার মনে হয়েছিল যে তিনি যেন জাপানেই খেলছেন কারণ তিনি শুনতে পেয়েছিলেন কেউ জাপানি ভাষায় কথা বলছিল। তিনি বলেন প্রথমার্ধে তিনি কিছুটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন কিন্তু নয় হোল পার করাসহ আঠারোতম হোলে বল ফেলে তিনি কিছুটা নিশ্চিন্ত হন। শিবুনো বলেন এই এক বলেই তিনি জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।

    হজ্বের মওসুম : আল্লাহর হুকুমের সামনে যেন সমর্পিত হই

    শাওয়াল মাসের আগমনের মাধ্যমে ‘আশহুরে হজ্ব’ বা হজ্বের মাসসমূহের সূচনা হয়েছে। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে- ‘اَلْحَجُّ اَشْهُرٌ مَّعْلُوْمٰتٌ’ ‘হজ্ব হচ্ছে নির্দিষ্ট মাস কয়েক।’ অর্থাৎ এই মাসগুলো হজ্বের মওসুম। এই সময় হজ্বের ইহরাম করা যায়। আর হজ্বের নির্ধারিত কাজসমূহ সম্পন্ন হয় যিলহজ্বের সেই দিনগুলোতে।

    হজ্ব ইসলামের অন্যতম রোকন। হাদীস শরীফে তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্যদান তথা ঈমানের পর যে চার ফরয ইবাদতকে ইসলামের ভিত্তি বলা হয়েছে হজ্ব তার অন্যতম। কাজেই হজ্বের গুরুত্ব উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

    কুরআন মাজীদে সামর্থ্যবানদের উপর হজ্ব ফরয হওয়ার বিধান এসেছে খুবই তাকীদের সাথে । ইরশাদ হয়েছে-

    وَ لِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا،  وَ مَنْ كَفَرَ فَاِنَّ اللهَ غَنِیٌ عَنِ الْعٰلَمِیْنَ.

    মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্ব করা তার অবশ্যকর্তব্য। আর যে এই নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করবে তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের প্রতি সামান্যও মুখাপেক্ষী নন। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭

    সূরা বাকারার এই স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন বাণী থেকেই হজ্বের গুরুত্ব বোঝা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের বিষয়ে শিথিলতা ও অবহেলার ভয়াবহতাও। কাজেই  সামর্থ্যবান মুমিন নারী-পুরুষের কর্তব্য, এই গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদতটি আদায় করে ফেলা। এ ব্যাপারে অযথা কালক্ষেপণ না করা।

    শয়তান নানাভাবে মানুষকে এই ইবাদত আদায়ের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত করতে চায়। মানুষের মনে নানা রকম ওয়াসওয়াসা দেয়। শয়তানের ওয়াসওয়াসা হয়ে থাকে মানুষের অবস্থা-অনুসারে। একেক শ্রেণিকে একেকভাবে একেক যুক্তিতে বিভ্রান্ত করে। কারো মনে এই ওয়াসওয়াসা দেয় যে, এত অর্থ ব্যয় করে হজ্বে গিয়ে কী লাভ? এই অর্থ যদি সমাজের অসহায়-দুঃখীদের পেছনে খরচ করা হয় তাহলে তাদের দুঃখ মোচনের কত বড় ব্যবস্থাই না হয়?! অথচ এই কুমন্ত্রণা মদ-সিনেমা, নাচ-গান-কনসার্ট ইত্যাদি স্বভাব-চরিত্র বিধ্বংসী অপকর্মসমূহের ক্ষেত্রে শয়তান দেয় না; বরং ঐসকল ক্ষেত্রে অর্থ-ব্যয়কে নানা অপযুক্তিতে উৎসাহিত করে। কে না বুঝবেন যে, কোনো ফরয কাজ বন্ধ রেখে নফল কাজ যুক্তিসঙ্গত নয়। বিশেষত যখন নফল কাজটি ফরয কাজ বন্ধ করার উপর নির্ভরশীলও নয়। পক্ষান্তরে অন্যায় ও গর্হিত কাজ তো এমনিতেই বন্ধ করতে হবে। সেখানে ঐ কাজ বন্ধ করে সে অর্থ যদি সদকা করা হয় তাহলে তা আরো ভালো। কিন্তু শয়তান আল্লাহর বান্দাকে এভাবে সরল চিন্তার পরিবর্তে উল্টো ও বক্র চিন্তার সবক দিয়ে থাকে। হজ্ব-কুরবানীর ক্ষেত্রে নফল দান-সদকার প্রসঙ্গ সামনে নিয়ে আসে, কিন্তু গুনাহের পথে ব্যয়ের ক্ষেত্রে নীরব থাকে।

    এখানে আরেকটি প্রশ্নও বিবেচনা করা যায়। আর তা হচ্ছে, হজ্বের মত মহান ইবাদতের তাওফীক না-হওয়া ইসলাম-বিমুখ লোকও সমাজে অনেক আছে। হজ্বের মওসুমে তারা প্রত্যেকে গরীব-দুঃখীর পিছনে কত লক্ষ টাকা করে খরচ করেন শুনি! ওরা যে ওয়াসওয়াসাটা দ্বীনদার মুসলিমদের দিয়ে থাকেন সেটা যে কত বড় কপটতা তার দৃষ্টান্ত তো তারা নিজেরাই।

    যাদের মনে ইসলামের বিধি-বিধানের প্রতি উপেক্ষার মনোভাব রয়েছে তারা শয়তানের এইসব কুমন্ত্রণায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এটা তাদের দুর্ভাগ্যের ব্যাপার। ইসলামের বিধানের ব্যাপারে উপেক্ষা ও অনীহার ভাব মনে এলে ‘আউযুবিল্লাহ’ পড়ে আল্লাহর আশ্রয় নিতে হবে।

    একশ্রেণির মানুষ এমনও আছেন, যারা ইসলামের বিধি-বিধানের ব্যাপারে আনুগত্যশীল। তাদেরকে শয়তান অন্যভাবে মন্ত্রণা দেয়। তাদেরকে বলে যে, হজ্ব করা যত গুরুত্বপূর্ণ, হজ্ব রক্ষা করা তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই এখন যুবক বয়সে হজ্ব না করাই শ্রেয়। এখন তো তুমি হজ্ব করে এসে পাক্কা মুসল্লী হতে পারবে না; কাজেই এখন নয়, অপারগ বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার আগে হজ্ব করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না?!

    অথচ কে না বুঝবেন যে, এক দায়িত্ব পালন করতে না পারার আশঙ্কায় আরেক দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার কোনো মানে হয় না। হজ্ব রক্ষা করতে না পারার আশঙ্কায় হজ্ব না করাটা তো এরকমই একটা কাজ। আমাদের চিন্তা করতে হবে এভাবে যে, আমার যখন হজ্ব আদায়ের সামর্থ্য আছে আমি তা আদায় করে ফেলি। এই ফরয দায়িত্ব থেকে দায়মুক্ত হয়ে যাই। এরপর অন্যান্য ফরয-ওয়াজিব বিধান পালনের ক্ষেত্রেও আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব। যতটুকুই সফল হই তা আমার প্রাপ্তি, কিন্তু হজ্বের ফরয বিধান তো পালিত হয়ে গেল।

    এভাবে চিন্তা করলে বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। এমনও তো হতে পারে, আল্লাহর এই বিধানটি পালনের বরকতে অন্যান্য বিধান পালনেরও তাওফীক হয়ে যাবে।

    মানুষ কি ভালো কাজ নিজের শক্তিতে করতে পারে? সে তা করে আল্লাহর তাওফীকে। কাজেই আল্লাহ তাআলা তাওফীক দিলে আমি হজ্ব রক্ষাও করতে পারব।

    সারকথা হচ্ছে, ইবাদত আদায়ের ক্ষেত্রে নানা প্রকারের ওয়াসওয়াসা মনে আসতে পারে, কিন্তু মুমিনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সে এইসকল ওয়াসওয়াসাকে দু’পায়ে দলে আল্লাহ তাআলার ইবাদত ও আনুগত্যের দিকে এগিয়ে যায়। আল্লাহর হুকুমের উপর কোনো যুক্তিকেই সে প্রাধান্য দেয় না; বরং সে যুক্তিসমূহকে বিচার করে আল্লাহর হুকুমের মানদণ্ডে। যে যুক্তি আল্লাহর হুকুম পালনে সহায়ক হয় সে সেই যুক্তিকে সুযুক্তি আর যা এর বিপরীত তাকে কুযুক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে।

    মুমিনের চেতনার ভুবন জুড়ে এই বিশ্বাস জাগ্রত থাকে যে, আল্লাহ তাআলাই মানুষের সৃষ্টিকর্তা। অর্থ-বিত্তসহ জীবন যাপনের সকল উপায়-উপকরণেরও সৃষ্টিকর্তা। পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু মানুষের জন্য তিনিই সৃষ্টি করেছেন। কাজেই মানুষের জীবন ও সম্পদ তাঁর আদেশে ব্যয় হওয়াই সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত। তাঁর আদেশ পালনে অর্থ ব্যয় কিছুতেই অপচয় নয়; বরং অর্থ-ব্যয়ের এটিই সবচেয়ে যথার্থ ও যুক্তিসঙ্গত খাত।

    আশহুরে হজ্বের শুরুতে আল্লাহ তাআলা আমাদের ঈমানকে উজ্জীবিত করে দিন, আল্লাহমুখী চিন্তার তাওফীক দিন এবং তাঁর বিধানসমূহ শিরোধার্য করার ও আন্তরিকভাবে পালন করার তাওফীক দান করুন- আমীন।

    জাপানে তাপদাহে ৭ জনের মৃত্যু

    জাপানে প্রচণ্ড তাপদাহে ৫টি জেলায় মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ন্যূনতম ৭ জনে।

    মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ জন উত্তরের জেলা হোক্কাইদো’র। এই জেলাটিতে দেশের অন্যান্য অংশের চেয়ে সাধারণত শীতল আবহাওয়া বিরাজ করে।

    এই ৩ জনের মধ্যে ৬০-এর কোঠার এক পুরুষকে মিকাসা শহরে মধ্যরাতের পর পরই তার বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে তাকে তাপদাহে মৃত বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে।

    নোবোরিবেৎসু শহরের ৬০-এর কোঠার এক নারীকে খুব সকালের দিকে পরিবারের অন্য এক সদস্য টয়লেটে অজ্ঞান অবস্থায় খুঁজে পান। যে ডাক্তার তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি জানান, তার শরীরের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। তাদের ধারণা তিনি তাপদাহে মৃত্যুবরণ করেন।

    বিহোরো শহরে, ৮০-এর কোঠার এক নারীকে তার বাড়িতে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে তাপদাহে তার মৃত্যু হয় বলে সন্দেহ করছেন এখানকার ডাক্তাররা।

    মধ্য জাপানের তোইয়ামা জেলায়, ১১ মাসের একটি মেয়ে শিশুকে পার্ক করে রাখা একটি গাড়ির মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ তাপদাহে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে সন্দেহ করছে।

    জাপানের কাছ থেকে ৫ গুণ খরচ চায় যুক্তরাষ্ট্র

    জাপানে যেসব মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে, তাদের জন্য টোকিওকে পাঁচগুণ খরচ বাড়ানোর চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, মার্কিন সেনাদের পেছনে জাপান যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে না। ফলে মার্কিন সেনারা এক রকমের অন্যায্য ভার বহন করছে। জাপানের সঙ্গে কয়েক দশক আগে সই হওয়া সামরিক চুক্তিকেও অন্যায্য বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। গত মাসে তিনি জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে চুক্তিটি সংশোধন করার প্রস্তাব দেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, দেখুন- যদি কেউ জাপানে হামলা চালায় তা হলে আমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব কিন্তু আমাদের ওপর কেউ আক্রমণ করলে জাপান যুদ্ধ করবে না- এটি অন্যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মসমর্পণ করার পর টোকিও এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি সামরিক চুক্তি হয়, যার আওতায় আমেরিকা জাপানে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলে এবং যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার একেবারে গভীর অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ পায়। আসাহি শিম্বুন।

    শেষ বেলায় টোকিও শেয়ার বাজারে সীমিত মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা

    আজ দিনের শুরুতে টোকিও শেয়ার বাজারে দরপতন ঘটলেও শেষ পর্যন্ত দর কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে লেনদেন শেষ হয়।

    ২শ ২৫টি নির্বাচিত শেয়ারের নিক্কেই গড় সূচক গতকালের শেষ বেলার মূল্য থেকে ১৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ২১ হাজার ৫শ ৪০ পয়েন্টে দিন শেষ করে।

    বাজারের ক্রীড়নকরা বলছে, বাজার খোলার অব্যবহিত পরে ঐ সূচক ২শ পয়েন্টেরও বেশি নেমে গেলেও ইয়েনের অবস্থান দুর্বল হওয়ার মাঝে বিনিয়োগকারীরা পুনরায় শেয়ার কেন নেন।

    তাদের ভাষ্যানুযায়ী, দশ বছরের মধ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের প্রথম হ্রাস মার্কিন অর্থনীতি এবং আর্থিক নীতিতে কি প্রভাব রাখে, তার উপর লক্ষ্য রেখে অনেক বিনিয়োগকারীই আজ বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক বা দ্বিধান্বিত অবস্থানে ছিল।

    তীব্র গরমে প্রাণ গেলো ১১ জাপানির

    তীব্র দাবদাহের জেরে জাপানে মারা গেলেন ১১ জন। এছাড়া অসুস্থ ৫,৬৬৪ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার জাপান সরকার প্রকাশিত বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গিয়েছে।

    বর্ষার পরে জাপানের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা হু হু করে বাড়ছে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে গরমে কাহিল হয়ে হাসপাতালে রোগীর ভিড় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে ১১৯ জনের শারীরিক পরিস্থিতি এমনই যে, তিন সপ্তাহের আগে তাঁদের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    দাবদাহে নিহত ১১ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যু দেখা দিয়েছে আইচি প্রিফেকচারে। এখানে গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯২ জন। এছাড়া, ওসাকা ও টোকিও প্রিফেকচারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন যথাক্রমে ৩৮৮ ও ২৯৯ জন।

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী সপ্তাহে আরও চড়বে তাপমাত্রা। এর জেরে বাসিন্দাদের প্রচুর পরিমাণে তরল পান এবং যথা সম্ভব রোদের কম বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।

    জাপানে গত এক সপ্তাহে ৫ হাজারেরও বেশি লোক তাপদাহে আক্রান্ত

    জাপান জুড়ে প্রচণ্ড উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে রবিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে সারা দেশ থেকে ৫ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি লোককে তাপদাহে আক্রান্ত হওয়ার দরুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যা এর আগের এক সপ্তাহ থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি।

    অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানায়, ৫ হাজার ৬৬৪ জন রোগীর মধ্যে ২ হাজার ৯৭৮ জনের বয়স ৬৫ বা তার চেয়ে বেশি এবং ১১ জন নিহত হন।

    কর্মকর্তারা বলছেন, ১ হাজার ৯৯৩ জন রোগী বাড়িতে এবং ৯৫৭ জন রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    গত সপ্তাহে জাপানের অনেক অংশে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়।

    আবহাওয়া কর্মকর্তারা সতর্ক করছেন যে, তাপ তরঙ্গ আগামী এক সপ্তাহ বা তার থেকেও বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কর্মকর্তারা তাপদাহের বিরুদ্ধে পূর্ব সতর্কতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।

    কণ্ঠ হারাল মিনি মাউস

    তিন দশক ধরে পর্দার ‘মিনি মাউস’ ছিলেন তিনি। মানে মিকির সঙ্গী মিনির কণ্ঠটি ছিল তারই। পঁচাত্তর বয়সে মারা গেলেন সেই রুসি টেলর। ডিজনির পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান বব ইগার একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রুসি টেলরের মৃত্যুতে মিনি মাউস তার কণ্ঠ হারাল।’ ক্যালিফর্নিয়ার গেøনডেলে থাকতেন রুসি। গত শুক্রবার নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় তার। তবে মৃত্যুর কারণ জানাননি ডিজনি কর্তৃপক্ষ। বব তার বিবৃতিতে আরও বলেছেন, ‘তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিনি আর রুসি একসঙ্গে কাজ করেছেন। সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনোদন জুগিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি, রুসির কাজ ভবিষ্যতেও মানুষকে বিনোদন জোগাবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রেরণা হয়ে থাকবেন তিনি।’

    ১৯৪৪ সালের ৪ মে ম্যাসাচুসেটসে জন্মেছিলেন রুসি। ১৯৮৬ সালে ডিজনির একটি অডিশনে প্রায় ২০০ জনের মধ্যে তাকে বেছে নেওয়া হয় মিনির হয়ে কথা বলার জন্য। তার পর থেকে এত দিন মিকি-মিনির ভক্তেরা তার গলাই শুনে এসেছেন। একবার এক সাক্ষাৎকারে রুসি নিজেই জানিয়েছিলেন ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গে তার প্রথম পরিচয়ের কথা। তার মিনি মাউস হয়ে ওঠার গল্প।

    ডিজনিল্যান্ডে গিয়ে খোদ ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গে দেখা হয়েছিল রুসির। তখন তিনি বালিকা। ওয়াল্ট ডিজনিকে তখন রুসি জানিয়েছিলেন বড় হয়ে তারই সৃষ্টি কোনও কার্টুন চরিত্রের হয়ে কাজ করতে আগ্রহী তিনি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে মিনির চরিত্রের জন্য অডিশনের সুযোগ আসে। বাকিটা ইতিহাস। শুধু মিনি-ই নয়। পেবলস ফ্লিনস্টোন, স্ট্রবেরি শর্টকেক-এর মতো কার্টুন চরিত্রের হয়েও কণ্ঠ দিয়েছেন রুসি। কাজ করেছেন ডাক টেলস সিরিজে। রুসি বলেছিলেন, ‘আমি কখনও বিখ্যাত হতে চাইনি। যে চরিত্রের হয়ে কাজ করছি, জানতাম সেটি বিখ্যাত। আমি সেটাকেই মেনে নিয়েছি।’

    আশির দশকের মাঝামাঝি সময়েই বাস্তব মিকি মাউসের সঙ্গে দেখা হয় মিনির। ওয়েন অলউইন ১৯৭৭ সাল থেকে মিকি মাউসের জন্য কণ্ঠ দিয়ে এসেছেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন ‘মিকি মাউস’। রুসির সঙ্গে ওয়েনের সাক্ষাতের পরেই জমে উঠেছিল প্রেম। ১৯৯১ সালে রুসি আর ওয়েনের চার হাত এক হয়। তবে বিয়েটা খুব গোপনেই সেরেছিলেন ‘মিকি’ আর ‘মিনি’। রুসি জানিয়েছেন, মিকি আর মিনি যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ, গোটা বিশ্ব সেটা জানুক, তা চাননি তারা। তবে এক কথায় সুখি দম্পতির উদাহরণ ছিলেন তারা। রুসির কথায়, ‘আমরা একসঙ্গে সবচেয়ে ভাল মুহ‚র্তগুলো কাটিয়েছি। একসঙ্গে হেসেছি। প্রচুর গান শুনেছি। সারাক্ষণ আমাদের বাড়িতে কিছু না কিছু বাজত।’ সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।

    হাকাতা ও বুসানের মধ্যে চলবে নতুন উচ্চ গতিসম্পন্ন ফেরি

    সোমবার জেআর কিউশু গ্রুপ ঘোষণা দেয় যে ‘কুইন বিটল’ নামের ফেরিটি আগামী বছরের ১৫ই জুলাই থেকে পরিসেবা কার্যক্রম শুরু করবে।

    নৌযানটির মোট ধারণক্ষমতা পাঁচশো ২ জন যাত্রী, যা বর্তমানে ব্যবহৃত বিটল ফেরির তুলনায় ২.৬ গুণ বেশি। ফেরিটিতে একটি বিজনেস ক্লাস অঞ্চল, শুল্কমুক্ত দোকান এবং ক্যান্টিন রয়েছে।

    এছাড়াও, হুইল চেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ঢালু পথ ও লিফট, শিশুদের জন্য একটি কক্ষ এবং ব্রেস্ট ফিডিংয়ে জন্য নির্দিষ্ট স্থানসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা রয়েছে।

    ঐতিহাসিক এবং বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কারণে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের মধ্যে এখন টানাপড়েন চলছে। জেআর কিউশু গ্রুপের প্রেসিডেন্ট তোশিহিকো আওইয়াগি সাংবাদিকদের বলেন, নতুন এই ফেরি দুই দেশের মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে আদান-প্রদান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।

    ৩ দিনের সফরে ঢাকা আসছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে আবারো বাংলাদেশের ভোট চায় জাপান। এর বিপরীতে বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগ এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের কাছে সরব সমর্থন চায় বাংলাদেশ। এসব বিষয়ে আলোচনা করতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো আজ সোমবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রণে ৩ দিনের সফরে কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করবেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
    কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের ভোটে জাপানের অংশ নেওয়ার ঘোষণা অনেক আগেই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো। জাপান চাচ্ছে, গত ২০১৬-২০১৭ মেয়াদের মতো এবারো বাংলাদেশ এই পদে জাপানকে ভোট দিক। সেবার বাংলাদেশ ওই পদে প্রার্থী হলেও পরবর্তী সময়ে জাপানকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়।
    ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, তারো কোনোর সফরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেবে ঢাকা। জাপানের কাছে আরো বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে সমর্থন চাইবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকার পক্ষে টোকিও’র সরব সমর্থন চাওয়া হবে।

    জাপানের ফুকুশিমায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শেষ বন্দরটি আবার চালু

    উত্তর জাপানের ফুকুশিমা জেলার ২০১১ সালের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি মৎস্য বন্দরের মধ্যে শেষটি বর্তমানে আবার চালু করা হয়েছে।

    পুনরুদ্ধার কর্মকাণ্ড শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ৮ বছর ৪ মাসের মধ্যে প্রথম শুক্রবার তোমিকা বন্দর আবার চালু করা হয়।

    ২০১১ সালের ১১ই মার্চের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে ২০ মিটারেরও বেশি উঁচু এক ৎসুনামিতে বন্দরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং এখানে নোঙ্গর করা অধিকাংশ নৌকা ভেসে যায়। কাছের ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনা সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার পরে এলাকাটি একটি প্রবেশ নিষেধ স্থান হিসেবেও চিহ্নিত হয়।

    ২ বছর আগে প্রবেশ নিষেধ এলাকার আদেশ তুলে নেয়ার পরে এই বন্দরের পুনরুদ্ধার কাজ শুরু হয়।

    শুক্রবারের এক অনুষ্ঠানে, দুর্ঘটনার পরে পাশের সব বন্দরে চলে যাওয়া ৫টি মাছ ধরার নৌকা তাদের পতাকা উড়িয়ে এই বন্দরে ফিরে আসে। এই পতাকা প্রচুর মাছ ধরা পড়ার প্রতীক।
    দুর্যোগের আগে, এই বন্দরে প্রচুর পরিমাণে স্থানীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ফ্ল্যাটটফিশের পাশাপাশি স্যামন ও জাপানি সুজুকি মাছ ধরা পড়তো।

    জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরীয় আইনপ্রনেতাদের বৈঠক

    গতকাল জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রনেতারা ওয়াশিংটনে এক বার্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। জাপান এবং দক্ষিণ কোরীয় রাজনীতিবিদরা, উভয় দেশের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে তাদের সরকারদের প্রতি আহ্বান জানানোর জন্য কাজ করতে মতৈক্যে পৌঁছান।

    ১৭ জন আইনপ্রনেতা এবং অন্যান্যরা, প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন। যুদ্ধ কালীন শ্রম সমস্যা এবং জাপানের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার ক্রম বর্ধমান উত্তেজনা আলোচ্য সূচীর প্রধান বিষয় ছিল।

    দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে রপ্তানির জন্য জাপানের আরও কঠোর পরীক্ষা নিরীক্ষা, যুদ্ধ কালীন শ্রম সমস্যা সম্পর্কিত বিরোধের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হতে পারে বলে জানা গেছে।

    জবাবে জাপানী প্রতিনিধিদল বলে যে, এই ব্যবস্থা শ্রম সমস্যার সাথে সম্পর্কিত নয়। তাঁরা বলেন যে, নিরাপত্তা সম্পর্কিত সম্পদসহ সেমিকন্ডাক্টরের জন্য ব্যবহৃত বস্তুর উপর নিয়ন্ত্রণ গত কয়েক বছর ব্যাপী গুরুতর সমস্যা হিসাবে বিদ্যমান ছিল।

    মার্কিন আইনপ্রনেতারা, মুক্ত বিশ্বের সম্মুখীন সমস্যাদি সমাধানের জন্য ত্রি পক্ষীয় সহযোগিতাকে জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন বলে জানা গেছে।

    জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রনেতারা, উভয় দেশের সংসদ দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কি করতে পারে তা’ বিবেচনা করে দেখতে একমত হন।